ছিয়ামের সংখ্যা 10

By A.B.Kamal fbfd

ছিয়ামের সংখ্যা
.
আল্লাহ ছূরা বাক্বারার ১৮৪ নং আয়াতে বলেছেন যে, “ছিয়াম নির্দিষ্ট কয়েকদিন”। এবং ১৮৪-১৮৫ নং আয়াতে তিনবার বলেছেন যে, “তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করো।
.
“অঙ্ক” কাকে বলে এবং “সংখ্যা” কাকে বলে?
.
আল ক্বুরআনে বিভিন্ন স্থানে বহু সংখ্যার বর্ণনা রয়েছে। ক্বুরআনে এমন এমন সংখ্যা রয়েছে যা মানুষের এই সামান্য জ্ঞানেও ধরে না।
গণিত শাস্ত্রে স্বাভাবিক সংখ্যা, মৌলিক সংখ্যা, যৌগিক সংখ্যা, ধনাত্মক সংখ্যা, ঋণাত্মক সংখ্যা ইত্যাদি ইত্যাদি বহু ধরণের সংখ্যার কথা পাঠ্যপুস্তকে থাকলেও মূলতঃ প্রাইমারী সংখ্যা দুই প্রকার, আর তা হলো “স্বাভাবিক (ক্রমিক) সংখ্যা এবং পূর্ণসংখ্যা”। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০১২ থেকে ২০১৭ ষষ্ঠ শ্রেণীর গণিত বই এর প্রথম অধ্যায় এ “অঙ্কপাতন” এ লেখা আছে যে, গণিতে “দশটি” প্রতীক দ্বারা সব সংখ্যাই প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিকগুলো হলো : ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,০, এগুলোকে অংক বলা হয়। আবার এগুলো (ক্রমিক) সংখ্যাও বটে। শূন্য ব্যতীত বাকি সংখ্যাগুলো স্বাভাবিক (ক্রমিক) সংখ্যা। এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অঙ্ক বলাহয় এবং শেষেরটিকে শুন্য বলা হয়। উক্ত পুস্তকের ৫৯ নং পৃষ্টায় তৃতীয় অধ্যায় “পূর্ণসংখ্যায়” লেখা আছে যে, গণীতে ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,০ এই দশটি প্রতীক বা অঙ্ক দ্বারা সব সংখ্যাই লেখা হয়। তাহলে বোঝা গেলো যে, এক থেকে নয় পর্যন্ত শুন্যসহ এগুলো সবই “অঙ্ক”। তাহলে এগুলো পূর্ণসংখ্যা নয়। যদিও এগুলোকে (ক্রমিক) সংখ্যা বলা যায় তবে তা স্বাভাবিক সংখ্যা, তবে তা পূর্ণসংখ্যা নয়। তাহলে ১০ থেকে শুরু হয় সংখ্যা। তাহলে ১০ হলো সর্ব নিম্ন পূর্ণ সংখ্যা। নামতা পড়ার ক্ষেত্রেও পড়া হয় “একক, দশক, শতক। এখানেও বোঝার বিষয় হলো ১ থেকে ৯ পর্যন্ত অংকগুলো “স্বাভাবিক, ক্রমিক বা একক সংখ্যা”, ইহা কোনোটাই পূর্ণ সংখ্যা নয় তাই বলাহয় “একক”। আর দশ থেকে শুরু হয় “দশক”। দশ লিখতে দুটি অঙ্ক লাগে যথা ১ এবং ০। তাই দশ থেকে আর একক সংখ্যা থাকে না। দশকের পর শুরু হয় শতক।
.
১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,০ এই দশটি প্রতীককে অঙ্ক বলা হয় এবং ১ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্কগুলোকে স্বাভাবিক ক্রমিক সংখ্যা বলা হয়। অর্থাৎ একটা অঙ্কের সাথে আর একটি অঙ্ক মিসবে না। অর্থাৎ দুইটা অঙ্কের মাঝে অন্য কোনো অঙ্ক থাকবে না। অর্থাৎ ১ থেকে ৯ পর্যন্ত এই অঙ্কগূলো একক, স্বাভাবিক, ক্রমিক সংখ্যা। এই একক সংখ্যা লেখার ক্ষেত্রে যেকোনো একটি অঙ্কই একটি ক্রমিক সংখ্যা। যেমন, ১ এর পরের অঙ্ক ২। ২ এর পরের অঙ্ক ৩। ৩ এর পরের অঙ্ক ৪ ইত্যাদি। গণিতের ভাষায় পাশাপাশি দুইটা অঙ্ক একসাথে বসিয়ে সংখ্যা গঠনের প্রক্রিয়াকে অঙ্ক পাতন বলে। অঙ্ক পাতনের মাধ্যমে সংখ্যা গঠণ করা হয়। যেমন ১ এবং ০ এই দুটি অঙ্ককে একসাথে লিখলে ১০ (দশ) সংখ্যা হয়। এভাবে ১১, ১২, ১৩ এবং ১১১, ৩২৫, ৬৪৩৭২ ইত্যাদি যতদুর যাবে তা সবই সংখ্যা হবে। তবে সর্ববৃহৎ সংখ্যার শেষ নেই। যেহেতু ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সবগুলো প্রতীককে অঙ্ক বলা হয় তাই ১০ থেকে শুরু হয় প্রথম পূর্ণসংখ্যা। ১০ হলো সর্বপথম ও সর্বনিম্ন পূর্ণসংখ্যা। দশটি প্রতীক অঙ্ক দ্বারা সকল সংখ্যা লেখা হয়। তাই ১ থেকে ৯ পর্যন্ত প্রতীককে সার্থক অঙ্ক বলা হয় এবং ০ (শূন্য) প্রতীককে সংখ্যার অভাবজ্ঞাপক অঙ্ক বলা হয়। গণিত শাস্ত্রে ১০ এর কমে কোনো প্রকৃত পূর্ণ সংখ্যা নেই। ১০ হলো সর্বনিম্ন পূর্ণসংখ্যা। তবে সর্ববৃহৎ সংখ্যার শেষ নেই।
.
মানুষ গণনা শিখে অংকের বই দিয়ে, তাই ঐ বইটিকে বলা হয় অংকের বই বা গনিতের বই বা গণনার বইও বলা যায়। মানুষ গণনা শেখে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত ১০ টি প্রতীক অঙ্ক দিয়ে। আর ১ থেকে ৯ পর্যন্ত ইহাও প্রতিটি একক সংখ্যা, তবে ইহা কোনোটিই পূর্ণ সংখ্যা নয়। ইহা পূর্ণ সংখ্যা তখন হয় যখন একটি অঙ্কের সাথে আর একটি অঙ্ক মিসানো হয় বা একটি অঙ্কের সাথে একাধিক অঙ্ক মিসিয়ে সংখ্যা গঠন করা করা হয়। কারণ, আপনি যতই গণনা করবেন ০ থেকে ৯ পর্যন্ত এই ১০ টি প্রতীক অঙ্ক দিয়েই গণনা করতে হবে। এবং পূর্ণ সংখ্যা ১০ থেকে যত সংখ্যাই লেখা হবে ঐ ০ থেকে ৯ পর্যন্ত ১০ টি প্রতীক অঙ্ক দিয়েই লিখতে হবে। অর্থাৎ পূর্ণ সংখ্যা শুরু হয় ১০ দিয়ে। ১০ হলো সর্বনিম্ন পূর্ণ সংখ্যা। তবে সর্ব বৃহৎ সংখ্যার শেষ নেই। আর আল্লাহও বলে দিয়েছেন যে, “ছিয়াম নির্দিষ্ট কয়েকদিন”। আল্লাহ আরও বলেছেন যে, তোমরা “সংখ্যা পূর্ণ করো”-২:১৮৪-১৮৫। গণিতের ভাষায় সংখ্যা পূর্ণ হয় দশ দিয়ে। মানুষ জানার জন্য বা বোঝার জন্য এই রকম ভাবনা-চিন্তা করে যাতে বিভ্রান্ত না হয় তাই আল্লাহ হজ্জ্ব এর বিধানে ২:১৯৬ নং আয়াতে পূর্ণসংখ্যার বর্ণনা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, কোন সংখ্যাকে পূর্ণ সংখ্যা বলা হয় বা সংখ্যা কিভাবে পূর্ণ হয়।
.
[২:১৯৬] (আল্লাহ বলেন) (…”তিলকা আশারাতুন কামিলাহ”…) অর্থঃ সেই পূর্ণ সংখ্যা দশ। ২ নং ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৯৬।
.
আলোচনাঃ ছূরা বাক্বারার ১৮৪-১৮৫ নং আয়াতে যে সংখ্যা পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছিলো বা আমরা বলেছিলাম যে, কত হলে আমরা এই পূর্ণ সংখ্যা পেতে পারি, সেই পূর্ণ সংখ্যার হিসাব আল্লাহ আমাদেরকে জানালেন অর্থাৎ পূর্ণ সংখ্যা ১০। “দশ” হলো পূর্ণ সংখ্যা।
.
“তিলকা” অর্থ ঐ, “আশারাতুন” অর্থ দশ সংখ্যা, “কামিলাতুন” অর্থ পূর্ণ হওয়া, অর্থাৎ ঐ পূর্ণ সংখ্যা দশ। বা সেই পূর্ণ সংখ্যা দশ। বা উহাই পূর্ণ সংখ্যা দশ। বা ঐ পূর্ণ দশ।
.
আল-মুজামুল ওয়াফী আরবী অভিধানের ৮২৯ এবং ৮৩০ পৃষ্টায় “কামিল” শব্দের অর্থ পূর্ণ, পরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ, ও পূর্ণাঙ্গ হওয়া। তাই মাদ্রাসার শেষ পড়াকেও বলা হয় কামেল পাশ, পরিপূর্ণ পাশ, অর্থাৎ পড়া শেষ। উক্ত অভিধানের ৩১৮ পৃষ্টায় “তিলকা” অর্থ উহা, ঐ, সেই। ছূরা বাক্বারার ১৯৬ নং আয়াতে হজ্জ্ব এর বিধানে আল্লাহ “তিলকা, আশারাতুন, এবং কামিলাতুন” তিনটি শব্দ এক সাথে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ “সেই পূর্ণ সংখ্যা দশ। তবে অনুবাদে এভাবে পাওয়া যায় না। অনুবাদে পাওয়া যায়, “এভাবে পুর্ণ হয়ে যায় ১০টি ছিয়াম। সঠিক অর্থ হবে ঐ পূর্ণ সংখ্যা দশ। কারণ, তিলকা অর্থ “ঐ”, “উহা” বা “সেই”।
.
ছূরা বাক্বারার একশত ছিয়ানব্বই নং আয়াত টি যদিও হজ্জ্ব প্রসঙ্গে, তবুও “তিলকা” শব্দ থাকাতে চিন্তা, গবেষনা রয়েছে। কারণ, এভাবে বা ঐ ভাবে পূর্ণ হয়ে যায় অর্থাৎ পূর্বেকার কোনো কথার ইঙ্গিতই বহন করে, আর তিলকা শব্দ থাকাতে “ঐ” বা “উহা” বা “সেই” পূর্বেকার কথাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ ছফরকারী গন্তব্যে ফিরে গিয়েই রমজানের ছিয়াম বা রোজা রাখবে। কিন্তু ওমরার জন্য পশু না পাওয়াতে গন্তব্যে ফিরে গিয়ে যে ছিয়াম রাখার কথা তা থেকেই ৩ টি ছিয়াম হজ্জ এর স্থানে রাখার কথা বোঝানো হয়েছে। আর ফিরে যাওয়ার পর ৭ টি ছিয়াম রাখলেই তাদের সেই সংখ্যা পূর্ণ হয়ে যাবে বিধায় বলা হয়েছে ঐ পূর্ণ সংখ্যা ১০ না সেই পূর্ণ সং্খ্যা ১০। তার পরেই বলা হয়েছে এই বিধান মছজিদুল হারামের বাসিন্দাদের জন্য নহে। তাতেই সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, ইহা ছফরকারীর ছিয়াম।
.
আল ক্বুরআনের বহুস্থানে “তিলকা” শব্দের অর্থ পাওয়া যায়- উহা, ঐ, সেই। কয়েকটি “তিলকা” শব্দের অর্থ লক্ষ্য করা যেতে পারে যা ক্বুরআনের প্রায় অনুবাদে একই ভাবে পাওয়া যায়। যেমন-
.
[২:১৩৪] (১) “তিলকা উম্মাতুন ক্বদ খলাত”। সেই ছিলো এক উম্মাত যা গত হয়ে গেছে। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৩৪। তাহলে তিলকা অর্থ “সেই”।
.
[২:১৪১] (২) “তিলকা উম্মাতুন ক্বদ খলাত”। সেই ছিলো এক উম্মাত যা গত হয়ে গেছে। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৪১। তাহলে তিলকা অর্থ “সেই”।
.
[১৯:৬৩] “তিলকাল জান্নাতুল লাতি”…। সেই জান্নাতের অধিকারী করবো মুত্তাক্বীদেরকে। ছূরা মার’ইয়াম আয়াত ৬৩। তাহলে তিলকা অর্থ “সেই”।
=====================

প্রচলিত হাদিস ভিত্তিক সালাত সম্পুর্ন মানুষের তৈরি

By Hasan fbfd

প্রচলিত হাদিস ভিত্তিক সালাত সম্পুর্ন মানুষের তৈরি ৷ কুরআনের সালাতের সাথে কোন মিল নেই ৷ প্রচলিত সালাতের ভুলগুলো হলো….
১, ওহী গায়রে মাতলু নামক মানুষের বানানো দোয়ায় কুনুত, দোয়া মাছুরা, আত্তাহিয়াতু পরা, সালাম দেয়া, ইত্যাদি ৷
২, রাসুলের নামে সুন্নাত নামাজ পড়া ৷ আল্লাহর ফরজের পাশাপাশী রাসুলের ইবাদত করা ৷
৩, সালাতে প্রার্থনাসুচক আয়াত না পরে যা ইচ্ছা তাই পড়া ৷
৪, সিজদাহ ও রুকুর নামে শারিরীক ব্যায়াম করা ৷ তাতে সালাতের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় ৷
৫, রাকাতের মাধ্যমে সালাত পরিমাপ করা ৷

এভাবে অনেক ভ্রান্তিকর নিয়ম প্রচলিত সালাতে পালন করা হয় ৷ যা কুরআন বহির্ভুত ৷ এই নিয়মগুলো মানুষের মেধার মধ্যে এমনভাবে সেটিং হয়ে গেছে যা হতে মানুষ বেড় হতে পারবেনা ৷ কুরআনীক সালাত সবার কাছে ভ্রান্তিকর মনে হয় ৷

হাদিস লেখকরা এখানেই জয়ী ৷ আমরা হাদিস ভিত্তিক মুসলিম ৷ কিন্তু কুরআনীক মুসলিম হতে পারবোনা কখনই ৷ যদি কুরআনে আল্লাহ কি আদেশ দিয়েছেন তা না বুঝি ৷

.

Source :-comments..

Snap-II fm wp. Bn
By hasan fb
প্রচলিত হাদিস ভিত্তিক সালাত সম্পুর্ন মানুষের তৈরি ৷ কুরআনের সালাতের সাথে কোন মিল নেই ৷ প্রচলিত সালাতের ভুলগুলো হলো….
১, ওহী গায়রে মাতলু নামক মানুষের বানানো দোয়ায় কুনুত, দোয়া মাছুরা, আত্তাহিয়াতু পরা, সালাম দেয়া, ইত্যাদি ৷
২, রাসুলের নামে সুন্নাত নামাজ পড়া ৷ আল্লাহর ফরজের পাশাপাশী রাসুলের ইবাদত করা ৷
৩, সালাতে প্রার্থনাসুচক আয়াত না পরে যা ইচ্ছা তাই পড়া ৷
৪, সিজদাহ ও রুকুর নামে শারিরীক ব্যায়াম করা ৷ তাতে সালাতের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় ৷
৫, রাকাতের মাধ্যমে সালাত পরিমাপ করা ৷

এভাবে অনেক ভ্রান্তিকর নিয়ম প্রচলিত সালাতে পালন করা হয় ৷ যা কুরআন বহির্ভুত ৷ এই নিয়মগুলো মানুষের মেধার মধ্যে এমনভাবে সেটিং হয়ে গেছে যা হতে মানুষ বেড় হতে পারবেনা ৷ কুরআনীক সালাত সবার কাছে ভ্রান্তিকর মনে হয় ৷

হাদিস লেখকরা এখানেই জয়ী ৷ আমরা হাদিস ভিত্তিক মুসলিম ৷ কিন্তু কুরআনীক মুসলিম হতে পারবোনা কখনই ৷ যদি কুরআনে আল্লাহ কি আদেশ দিয়েছেন তা না বুঝি ৷
⬇⬇⬇COMMENTS ⬇⬇⬇
কুরআন নিয়ে কি কখনও ভেবেছেন? নাকি কুরআন নিয়ে ভাবার দায়িত্ব আপনার নেই ৷ দায়িত্ব শুধু গুটি কয়েক মানুষের হাতে? তারপর তারা যা বলবে তাই মেনে নিতে হবে ৷ সারাজীবন অন্ধভাবে হাদিস মেনেছেন ৷কুরআনের কথা শুনতে তাই নতুন মনে হয় ৷ সত্য তুলে ধরলে বলেন, এরা আবার কি বলছে ৷ সব কাফের, মুশরিক ৷ সারাজীবন নিজে গবেষনা,এবং কুরআন মনযোগ দিয়ে বুঝে না পরে মোল্লা, আর হাদিসের বানী শুনে অন্ধভাবে তা বিশ্বাস করেছেন ৷ তাই আপনার মানুষিকতা এমন হওয়া স্বাভাবিক ৷ কুরআন নিয়ে ভাবতে হবে, সুরা মুহাম্মদের ২৪ সুরা সাবা ০৬ নং আয়াত দেখুন ৷

বোখারী, মুসলিম সহ সকল হাদিসগুলো কোথা থেকে আসলো, কি লিখলো সেটা দেখার দয়িত্ব আপনার কি নেই? তাকে এগুলো লেখার দায়িত্ব কে দিলো? রাসুল দিয়েছে নাকি স্বয়ং আল্লাহ? আল্লাহর কুরআনে কি কিছুই পাননা? তাহলে অন্য কিতাব কেন ৷ সুরা কলম এর 36-41 আয়াত দেখুন ৷

রাসুলের মৃত্যুর ২৫০ বছর পর বোখারাকে কে এই মাতবরী করতে বললো? রাসুলের সাহাবিরাও তো লিখতে পারতো? হাদিসের উপর অগাধ বিশ্বাসের কারনে কুরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন না তো?

এসব হাদিস মুলত কুরানের সাথে সামান্য সামজস্য রেখে কুরআনের বিপক্ষে পুরো ইসলাম ধর্মকে পাল্টে দিয়েছে ৷ সেটা অনুধাবন করতে পারেন কি? অবাক লাগে তখন, যখন ভাবি মানুষ শুধু অন্ধ বিশ্বাসের উপর গবেষনা না করেই কিভাবে বলে হাদিসগুলো রাসুলের বানী, কাজ, মৌন সম্মতি? কুরান ব্যাতিত আল্লাহ কাউকে এত নিয়মের জালে বন্দি করেননি ৷ (23:62) আয়াত দেখুন ৷

কুরআন মনোযোগ দিয়ে বুঝে পরুন ৷ তারপর হাদিসের সাথে মিলিয়ে দেখুন কত ঘাপলা ৷ এ দায়িত্ব আপনার ৷
⬇⬇⬇
6:162
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আপনি বলুনঃ আমার সালাত ,আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।
প্রশ্ন :-
*****ফরজ সালাত কার জন্য?
******সুন্নত সালাত কার জন্য ?
****** নফল কার জন্য ?
৪:১৫০-১৫১ কাফের সংঘা ।

বিধান দিবার অধিকার একমাত্র আল্লাহর (১২:৪০,৬৬)।

তারাবি সুন্নত সালাত কার জন্য পরি ????
⬇⬇⬇
এখন মোললারা বলছে, ফরজ, আললাহর, সুননত রাসুলের, নফল নিজের, এ হল আমাদের বর্তমানের অবসথা। আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম।
.
২০১৭, ছেরে দিলাম লাইলাতুল কিয়াম, আর ২০১৮ ছেরে দিলাম তারাবী। যোহর ও আছর পড়ি না, মাগরিবের সালাত নিয়ে একটু সমষ্যার মধ্যে আছি, তার পর ও মাঝেমধ্যে পড়তে হয়।
⬇⬇⬇
🔜তোমার আরো সুভিধা আছে।সালাত না পরলেও চলবে আল্লাহকে বলবা। আল্লা সালাত পরতে বলছ কিন্তুু কেমনে বলছো তাতো বলনাই তাই পরিনাই।
⬇⬇⬇
🔜🔜কে বলেছে আল্লাহ্ বলেনি????
যারা কুরআন না পড়ে মানুষের কথা শুনে চলে, তারাই আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপকারী!!
⬇⬇⬇
🔜🔜তুমি কোরআন বুজ না কি, বুজলে সালাত বা নামাজে সূরা, ২/৪৫.’১৫৩.’১৭/১১০ । এই আয়াত গুলো অসিকার কর কেন। ভাল ভাবে পড়ে বুজিয়ে বলেন। যদি না মানেন, তাহলে, সূরা, ৭/১৭৫-১৭৬, পড়েন।
⬇⬇⬇
🔜ভাই এরা আহলী কোরআন এরা কিছু বুসতে পারবে না।মানুষিক রুগি।
⬇⬇⬇
🔜🔜কেউ বলছে না কি আমরা আহলী কোরআন, রাসুল কি প্রচার করছেন, সূরা, ৫/৬৭ , পড়েন, না বুজে অযতা তর্ক করেন কেন।
⬇⬇⬇
🔜কোর আনের রুপক সব্দে কি বুজ?
⬇⬇⬇
✔🔜🔜সে জ্ঞান শুধু আল্লাহর আছে (3:7)
⬇⬇⬇
Akm Hasan Hanafi
আল্লাহ্ তো বলেছেন-
কুরআনই সম্মানিত রাসুলের বানী/ হাদীস (69:40)।
ঐ বানীগুলো রাসুলের সেটা কে বলেছে আপনাদের?
⬇⬇⬇
আল্লাহ উপদেশ গ্রহণের জন্য কুরআন সহজ করে দিয়েছেন (54:17,22,32,40)

কিছু লোক কুরআন থেকে মানুষ কে দুরে রাখার জন্যই সদা সচেষ্ট, হাদীস ছাড়া কুরআন বোঝা সম্ভব নয়!!!!!!
তবে কি আল্লাহ্ মিথ্যা বলেছেন?
⬇⬇⬇
Akm Hasan Hanafi
নূন্যতম ঈমানও আপনার মধ্যে নাই।
আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করে মানুষের কথা বিশ্বাস করেন!!!
আপনাদের মতো অজ্ঞ লোকদের সাথে আল্লাহ্ কথা বলতে নিষেধ করেছেন (28:55
⬇⬇⬇
✔✔কুরআন থেকে কুরআন থেকে একটাও মিথ্যা বেড় করতে পারবেন না আমার পোষ্টের ৷ সারাজীবন অন্ধভাবে হাদিস মেনেছেন ৷ তাই আপনার মানুষিকতা এমন হওয়া স্বাভাবিক ৷

বোখারী কোথা থেকে এগুলা লিখলো সেটা দেখার দয়িত্ব আপনার কি নেই? তাকে এগুলো লেখার দায়িত্ব কে দিলো? রাসুল দিয়েছে নাকি স্বয়ং আল্লাহ?

রাসুলের মৃত্যুর ২৫০ বছর পর বোখারাকে কে এই মাতবরী করতে বললো? রাসুলের সাহাবিরাও তো লিখতে পারতো? হাদিসের উপর অগাধ বিশ্বাসের কারনে কুরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন না তো?

কুরআন মনোযোগ দিয়ে বুঝে পরুন ৷ তারপর হাদিসের সাথে মিলিয়ে দেখুন কত ঘাপলা ৷ এ দায়িত্ব আপনার ৷
⬇⬇⬇
আললাহ কোরআনে কোথাই বলছে মাদ্রাসা পড়ার জন্যে। সূরা বা আয়াত দিয়ে বলেন, অযতা তর্ক করে লাভ আছে। কে মাদ্রাসায় পড়ছে বা না পড়ছে ঐ গুলো নিয়ে আপনার মাথা ঘামাইবার কি দরকার আছে। কোরআন পড়েন বুজেন তার পর আমল করেন।
⬇⬇⬇
✔অর্থ, নিশচয় মুখের বানি সন্মানিত রাসুলের। ৬৯/৪০.
✔এখানে কি বলছে, ৫৬/৮১,
⬇⬇⬇
রাসুল দিয়েছেন কুরআন ৷ হাদিস কখন দিলো? ২৫০ বছর পর হাদিস দিলো বোখারী ৷ রাসুল যদি হাদিসই দিতেন তাহলে তার সময় থাকাকালিন দিতেন ৷ হাদিস দিয়েছে বোখারী, মুসলিমরা ৷ রাসুল তো এগুলা দেননি ৷
⬇⬇⬇
🔜ভাই,আপনি মুহাম্মদ (সা) কে শেষ নবি হিসাবে মানেন? কোরান থেকে এক রাকাত সালাত আদায়ের নিয়ম বলেন যদি সত্যবাদি হয়ে থাকেন।
⬇⬇⬇
🔜🔜রাকাত কি? নামাজ মাপার যন্ত্র নাকি?
⬇⬇⬇
🙄কিছু কিছু পাব্লিক মাদ্রাসা থেইকা ছুইটা আইসা কমেন্ট করতেছে। এরা জানেনা বুখারি যেই হাদিস গ্রন্থ লিখেছে তার অস্তিত্য এই দুনিয়ায় নাই।
⬇⬇⬇
🔜এ আর এক নতুন শয়তানের উদয় হয়েছে—- এ শয়তান মুসলমান হতেই পারেনা।
⬇⬇⬇
🌐🔜🔜আরে মূর্খ! শয়তান কুরআন বহন করতে পারে না। দেখুন,কুরআন,২৬:২১০-২১২।
⬇⬇⬇
কুরআন ব্যাতিত অন্য কোন কিতাব মানা যাবেনা ৷ বোখারী, মুসলিম, তিরমিজি কোনটাই না ৷ (7:3) তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর। এবং উপদেশ গ্রহন করে অল্প কয়েকজন ৷ বাকি সবাই বধিরের মত ৷
⬇⬇⬇
মানার জন্য, জানার জন্য বোঝার জন্য, অনুস্মরণ করার জন্য আল্লাহ কয়টি কিতাবের কথা বলেছেন? কয়টি কিতাব মানতে হবে? . আল্লাহবলেন- . ﻛِﺘَﺎﺏٌ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﻳَﻜُﻦ ﻓِﻲ ﺻَﺪْﺭِﻙَ ﺣَﺮَﺝٌ ﻣِّﻨْﻪُ ﻟِﺘُﻨﺬِﺭَ ﺑِﻪِ ﻭَﺫِﻛْﺮَﻯٰ ﻟِﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ O ﺍﺗَّﺒِﻌُﻮﺍ ﻣَﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻜُﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺘَّﺒِﻌُﻮﺍ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀَ ۗ ﻗَﻠِﻴﻠًﺎ ﻣَّﺎ ﺗَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ O . অর্থঃ- এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব, এটি পৌছে দিতে আপনার মনে কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়। আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ। O তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের (অন্য আউলিয়াদের) অনুসরণ করো না। ছূরা আ’রাফ আয়াত ২-৩।

অন্য কোন কিতাব মানার হুকুম নেই ৷ রাসুল কুরআন ব্যাতিত নিজের হাদিস প্রচার করেনি!!
⬇⬇⬇
রাসুল শুধু কুরআন অনুসরন করেছেন :-কুরআন দেখুন ৬/৫০,১০৬;৭/২০৩;১০/ ১৫,১০৯;২১/৪৫;৩৩/২;৪৬/৯;৩/৩১;৪০/৩৮। রাসুল শুধু কুরআন প্রচার করেছেন :-কুরআন দেখুন ৩/২০;৫/৯২,৯৯;১৩/৪০;১৬/ ৩৫,৮২;২৪/৫৪;২৯/১৮;৩৬/১৭;৪২/৪৮;৬৪/১২। রাসুল শুধু কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করেছেন :-কুরআন দেখেন ২/১২৯,১৫১;৩/ ১৬৪;২৭/৯২;২৯/৪৫;৬২/২;৬৪/১২;৬৬/১। রাসুল কুরআন দ্বারা ফয়সালা করতেন :-কুরআন দেখুন ৪/১০৫;৫/৪২,৪৪,৪৫,৪৭,৪৯;১ ১/৪৫,১১০;১৪/১৫;২৪/৪৮,৫১;৫৭/২৫
⬇⬇⬇
নবী বলেছিলেন আমার কাছ থেকে কোরআন ব্যতীত কিছুই লিখবেনা, যে কেউ লিখেছ অবশ্যই তা ধ্বংশ করবে (মুসলিম- জিহাদ- ৭২, হাম্বল-৩/১২, ২১, ৩৯), * আমর ইবনুল আসকে নবী বললেন প্রতিটি কথা লিখতে, যা তিনি বলেন (হাম্বল-২/১৬২), * ওমর বললেন কোরআন আমাদের জন্য যথেষ্ট, নবীর নিকট হতে কোন কিছু লিখবে না (বোখারী_জিহাদ- ১৭৬, গিজিয়া-৬, ইলিম ৪৯, মারজা- ১৭, মেগাজী-৮৩, ইতিসাম-২৬; মুসলিম, ভাসীয়া-২০, ২১, ২২)। ওম্র ঠিক না আমর ইবনুল আস। কার কথা শুনবেন । দেখছেন হাদিস মানেই ভেজাল।
……..xxxx……

 

 

https://m.facebook.com/groups/1805246912824708?

(same as 🔝)

view=permalink&id=2180473238635405

https://m.facebook.com/groups/1805246912824708?view=permalink&id=2180473238635405

https://m.facebook.com/groups/1805246912824708?view=permalink&id=2180473238635405

When Iftar-2:187-Explaination

By Wapp zahir abbas

~**সিয়াম পূন কর রাত পর্যন্ত।
বাকারা আয়াত ১৮৭ ।**~

# আমরা আকাশ পরিস্কার থাকতে ইফতার করে থাকি ।

# সন্ধ্যার নিকটে বা সন্ধ্যায়(৩৭:১৩৮)ও ইফতার কথা বলা হয় নাই ।

# আল্লাহ সরাসরি বলে দিলেন রাত পর্যন্ত ।

রাত কখন হয়:-
৯২:১
শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে,
৭৯:২৯
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন
84:16
فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ
আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার
84:17
وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে
86:1
وَالسَّمَاءِ وَالطَّارِقِ
শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর।
86:2
وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ
আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি?
86:3
النَّجْمُ الثَّاقِبُ
সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
এখন সঠিক ভাবে বুঝা গেল যে যখন আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন
হবে তখনই রাত হয় ।

*প্রচলিত মাগরিব আযানের ৩০-৩৫ মিনিট পর রাত হয় ।*

👉Needs to be depth study of Ayats
☝For discussions only

⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇⬇

Brief Explanation 👇🏻

♦ ইফতার কখন?♦
.
বিছমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম
======================
.
ছিয়াম বা রোজা কতক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ করতে হবে, সূর্যাস্ত পর্যন্ত? নাকি রাত পর্যন্ত? ইফতারের সময় কখন থেকে শুরু হয়?
সন্ধায়? নাকি রাতের আগমন ঘটলে? রাত কখন থেকে শুরু হয়? রাত কখন শেষ হয়? রাত কাকে বলে? এ বিষয়ে কুরআন কি বলে?
======================
.
যুগ যুগ ধরে মানুষ সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করলেও বর্তমানে ইফতার নিয়েও ফেসবুকসহ নানান মানুষের মুখে নানান রকম কথা শোনা যায়। কেউ বলে সূর্যাস্তের পরেই ইফতার করতে হবে। আবার কেউ কেউ বলে রাত না হওয়া পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করতে হবে। আবার বেশিরভাগ মানুষ বলে যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত আরম্ভ হয়ে যায়। তাই আমারও প্রশ্ন জাগে যে, কতক্ষন পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করতে হবে? সূর্যাস্ত পর্যন্ত? সন্ধা পর্যন্ত? না কি রাত না হওয়া পর্যন্ত? এ বিষয়ে আল্লাহ ক্বুরআনে কি বলেন? এই বিষয়টি বোঝার জন্য আমি ক্বুরআনের অনেকগুলো অনুবাদ পড়েছি। ত্রিশ পারা ক্বুরআনের মধ্যে মাত্র একটি আয়াতেই আল্লাহ ইফতার তথা ছিয়াম পূর্ণ করার কথা বলেছেন। আর তা হলো- আল্লাহ বলেনঃ-…”অতঃপর রোজা পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত”…। ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৮৭।
.
[২:১৮৭] (আল্লাহ বলেন)…”অ’কুলূ অশ রবূ হাত্তা- ইয়াতা বাইয়্যানা লাকুমুল খইতুল আব’ইয়াদু মিনাল খইতিল আছ’অদি মিনাল ফাজরি, ছুঁম্মা আতিঁম মুচ্ছিয়া-মা ইলাল লাইল”…অর্থঃ- আর পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো রেখা থেকে (ফজরের) ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর ছিয়াম পূর্ণ করো নিশাগম পর্যন্ত বা রাত পর্যন্ত বা রাত না হওয়া পর্যন্ত। ২ নং ছূরা বাক্বারা আয়াত নং ১৮৭।
.
আলোচনাঃ নিশাগম পর্যন্ত অর্থাৎ রাতের আগমন পর্যন্ত, নিশি অর্থ রাত। ছিয়াম পূর্ণ করার ব্যপারে ক্বুরআনের প্রতিটি অনুবাদেই “রাত” শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। ক্বুরআনের কোনো অনুবাদেই সন্ধা বা সূর্যাস্ত বলা হয়নি। কিন্তু এই আয়াতে আল্লাহ সরাসরি “ইলাল লাইল” শব্দ উল্লেখ করেছেন, যার অর্থ রাত পর্যন্ত, লাইল অর্থ রাত। এই আয়াতের ভিত্তিতে ছিয়াম বা রোজা পূর্ণ করতে হবে রাত না হওয়া পর্যন্ত। এ কথাগুলো আমি বলিনি, কথাগুলো সরাসরি আল্লাহ নিজেই তাঁর ক্বুরআনে বলে দিয়েছে। আল্লাহ সরাসরি “লাইল” তথা রাতের কথাই বলেছেন। এখন জানার বিষয় হলো রাত কখন থেকে শুরু হয় এবং রাত কখন শেষ হয়? তাহলে আল্লাহর কথা অনুযায়ী এ দুটি বিষয় ক্বুরআন থেকে বোঝতে পারলে এটির সমাধান পাওয়া যাবে ইনশা-আল্লাহ।
.
আমরা জানি যে, সাধারনত ৪ টি দিক রয়েছে, যথা পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিন। এখানেই শেষ নয়, এই ৪ টি দিকের ৪ টি কর্ণারে আরও ৪ টি দিক রয়েছে, যথা ঈশাণ, বায়ু, অগ্নি, নৈঋত, এখানেও শেষ নয় আরও দুটি দিক রয়েছে যথা উর্দ্ধ, অধঃ। তদ্রুপ রাত এবং দিনই শেষ নয়। রাত এবং দিনের মধবর্তি স্থানে আলো-আঁধারের সংমিশ্রণে আরও দুটি সময় রয়েছে যথা ফজর এবং সাফাক্ব অর্থাৎ প্রভাত এবং সন্ধ্যা। ফজরের আজান থেকেই রাত শেষ হয়ে যায় এবং সেই সময় তারকাগুলোও অস্ত যায়। ফজরের আজান থেকে রাত শেষ হয়ে সূর্যদয়ের আগ পর্যন্ত আলো-আঁধারের সংমিশ্রনের সময়কে বলা হয় ফজর/ভোর বা ছুবহে ছাদেক। তদ্রুপ সূযাস্ত থেকে পুরোপুরি অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত আলো-আঁধারের সংমিশ্রনের সময়কে বলা হয় গুধুলী, সন্ধ্যা বা সাফাক্ব। বিজ্ঞানের ভাষায় এ দুটি সময়কে বলা হয় “twilight” “টুইলাইট”। বিজ্ঞান মতে এ দুটি সময়ের পরিমান ৭২ মিনিট, তবে কারও মতে এসময়ের পরিমান ৩০ মিনিট বা ৪০ মিনিট। আরও গবেষনা করলে এ সময় দুটির সঠিক পরিমান বলা যাবে। এদুটি সময় দিনেরই অংশ।
.
অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয় যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই দিন শেষ রাত শুরু। এবং আরবি বা হিজরী সাল গণনায় সূর্যাস্ত থেকেই তার পরের দিন ধরা হয়। যার কারণে মানুষ সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ইফতার করে। অথচ তখনও দিনের আলো পরিষ্কারভাবে দেখা যায় এবং রাতও শুরু হয় না।
.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের ধরে নেয়া এই ভাবনাচিন্তা কতটুকু সঠিক? আসলেই কি সূর্যাস্ত থেকে রাত শুরু হয়? নাকি “সাফাক্ব” বা সন্ধার পরে রাত শুরু হয়? এখন জানার বিষয় হলো রাত কখন থেকে শুরু হয়?।
.
যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন আছমান জমিন, চন্দ্র-সূর্য, এবং যিনি দিন-রাত সৃষ্টি করেছেন তিনিই কেবল বলে দিবেন যে, কখন থেকে রাত শুরু হয় এবং কখন থেকে দিন শুরু হয়। আল্লাহ তাঁর ক্বুরআনে ফজর, ছুবহে (ছাদেক), সকাল-সন্ধা, সাফাক্ব, রাত, দিন, ও দশদিকেরও বর্ণনা দিয়েছেন। আমরা ক্বুরআন থেকে জেনে নেবো যে, কখন থেকে রাত শুরু হয়।
.
রাত ও ছুবাহঃ
[৭৪:৩৩-৩৪] (আল্লাহ বলেন) শপথ রাত্রির যখন তার অবসান হয়। শপথ ছুবহে (ছাদেকের) প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়। ৭৪ নং ছূরা মুদ্দাচ্ছির আয়াত ৩৩-৩৪।
.
আলোচনাঃ আল্লাহ শপথ করলেন রাতের, তারপর শপথ করলেন ছুবাহ বা প্রভাতের। আল্লাহর কথা অনুযায়ী বোঝা গেলো যে, প্রথমে রাত, তার পর ছুবাহ বা প্রভাত।
.
রাত ও ছুবাহঃ
[৮১:১৭-১৮] (আল্লাহ বলেন) শপথ নিশাবসানের। (শপথ) ছুবহে (ছাদেকের বা প্রভাত আগমন কালের। ৮১ নং ছূরা তাকবীর আয়াত ১৭-১৮।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতেও আল্লাহ প্রথমে শপথ করলেন রাতের, তারপর ছুবাহ বা প্রভাতের। এই দুটি ছূরার চারটি আয়াতে আল্লাহ প্রথমে রাতের কথা বলে তারপর বলেছেন ছুবহে (ছাদেকের কথা অর্থাৎ প্রভাতের কথা। তাহলে এখানে আগে রাত, তার পরে প্রভাত। এখানে আমরা দুটি সময় পেলাম, যা রাত ও ছুবাহ। ঠিক তদ্রুপ সন্ধ্যা আবার রাত। যেমনঃ-
.
সাফাক্ব, রাত ও নক্ষত্রঃ
[৮৪:১৬-১৭] (আল্লাহ বলেন) আমি শপথ করি “সাফাক্বের”, বা সন্ধ্যার, এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে তার। ৮৪ নং ছূরা ইনশিক্বক আয়াত ১৬-১৭।
.
আলোচনাঃ আল্লাহ শপথ করলেন সন্ধ্যার ও রাতের। এই আয়াতের লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো আল্লাহ আগে “সাফাক্ব” বা সন্ধ্যার কথা বলেছেন, তারপরে বলেছেন রাতের কথা। তাহলে আল্লাহর কথা অনুযায়ী বোঝা গেলো যে, আগে সন্ধ্যা হয় তারপরে হয় রাত। আবার লক্ষ্য করুন! আল্লাহ প্রথমে বললেন সন্ধ্যা, তারপর বললেন রাত, আল্লাহর কথা অনুযায়ী বোঝা গেলো যে, প্রথমে সন্ধ্যা হয়, তার পরে হয় রাত। তাহলে রাতের আগে সন্ধ্যা আছে। তাহলে সন্ধ্যা কখনো রাত নয়। এবং আল্লাহ এ কথাও বলেছেন যে, রাতে “নক্ষত্র” বা “তারকার” সমাগম ঘটবে। সন্ধায় একটি “শুক তারা” বা “সন্ধ্যা তারা” থাকবে, কিন্তু বহু “তারার” সমাগম ঘটবে না। রাত হলেই বহু “তারার” সমাগম ঘটবে। অর্থাৎ আকাশে বহু সংখ্যক “নক্ষত্র” বা “তারকা” দেখা দিলে তখন থেকেই রাত শুরু হবে। যতক্ষন আকাশে “তারকা” উঠবে না ততক্ষন রাত হবে না। তাহলে আমরা আমাদে ছিয়াম পূর্ণ করবো রাতের আগমন ঘটলে।
.
আল্লাহর কথায় ইহাই প্রমান হয় যে, প্রথমে সন্ধ্যা হয়, তারপর হয় রাত। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথে রাত হয় না। এখন কেউ যদি সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করে তাহলে সে সন্ধ্যায় ইফতার করলো, সে রাত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলো না। কারণ, আল্লাহ ক্বুরআনে সন্ধ্যার বর্ণনা দিয়েছেন এবং রাতেরও বর্ণনা দিয়েছেন। সুর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার হলে আল্লাহ বলতেন যে, অতঃপর ছিয়াম পূর্ণ করো সাফাক্ব পর্যন্ত বা সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু আল্লাহ সাফাক্বের কথা বলেছেন কি? বা সন্ধ্যার কথা বলেছেন কি? বা সূর্য অস্তমিত হওয়ার কথা বলেছেন কি? আল্লাহ তো সরাসরি রাতের কথাই বলেছেন। তাহলে মানুষ কোন যুক্তিতে সন্ধ্যায় ইফতার করে? মানুষ না জেনে শুধু ভুল করে আর মিথ্যাই বলে যায়। আর সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করে প্রতিটি মানুষের ছিয়াম তথা রোজা নষ্টই করে। কাজেই, আল্লাহর কথা অনুযায়ী সন্ধ্যার পরে যখন রাত আরম্ভ হবে ঠিক ততক্ষন পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ করতে হবে, অর্থাৎ রাত শুরু হলেই ইফতার করতে হবে।
.
দিনের দুই প্রান্তে দুটি ছালাত রয়েছে। ঐ ছালাত দুটির আগে ও পরে সেহেরী ও ইফতার অর্থাৎ পানাহার করা যায়। যেমন, ফজরের ছালাতের সময় হওয়ার আগে ছেহেরী শেষ করতে হয়, তদ্রুপ দিনের শেষ প্রান্তে একটি ছালাত রয়েছে। ঐ ছালাত শেষ করে একটু অন্ধকার হলেই অর্থাৎ রাত শুরুর দিকেই ইফতার করতে হয়। আর সেজন্যই আল্লাহ বলেছেন যে, ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত। আরও লক্ষ্য করুন!-
.
রাত ও নক্ষত্রঃ
[৮৬:১-৩] (আল্লাহ বলেন) শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে যা আবির্ভূত হয় তার; তুমি কী জানো রাত্রিতে যা আর্বিভূত হয় তা কী? তা উজ্জ্বল নক্ষত্র। ৮৬ নং ছূরা তারিক্ব আয়াত ১-৩।
.
আলোচনাঃ আল্লাহ বলেছেন রাত্রিতে উজ্জ্বল নক্ষত্র অর্থাৎ তারকা উঠবে বা তারকা দেখা যাবে। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো দেখা যায় না বিধায় সে সময়টা কখনোই রাত নয়। সন্ধ্যায় উজ্জল “তারকার” মেলা দেখা যায় না। যখন অসংখ্য “তারকা” দেখা যাবে তখন থেকে রাত শুরু হবে। কাজেই রাত না হওয়া পর্যন্ত ছিয়াম পুর্ণ করতে হবে। ছিয়াম বা রোজার সাথে সূর্য উঠা বা সূর্য ডোবার কোনো সম্পর্ক নেই বলেই সূর্য উঠার অনেক আগে থেকেই ছিয়াম বা রোজা শুরু করতে হয়। এই কথাটা পুনরায় লক্ষ্য করুন! ছিয়াম বা রোজার সাথে সূর্য উঠা বা সূর্য ডোবার কোনো সম্পর্ক নেই বলেই সূর্য উঠার অনেক আগে থেকেই ছিয়াম বা রোজা শুরু করতে হয়। অর্থাৎ রাত থাকতেই ছেহেরি শেষ করতে হয়। তাহলে রোজা শুরু হয় রাত থেকেই। ঠিক একইভাবে রাতের অন্ধকার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
.
ছুবাহঃ
[৬:৯৬] (আল্লাহ বলেন) তিনি প্রভাত রশ্মির উন্মেষক। তিনি রাত্রিকে আরামদায়ক করেছেন…। ৬ নং ছূরা আন’আম আয়াত ৯৬।
.
আলোচনাঃ অর্থাৎ সূর্য উঠার আগে যে আলোয় পৃথিবী আলোকিত হয় তাই প্রভাতের রশ্মি। অর্থাৎ তা দিনেরই অংশ। এরকম একটি সময় সূর্য ডোবার পরেও দেখা যায় যার নাম সাফাক্ব বা সন্ধ্যা।
.
দিন আলোকিতঃ
[৯২:২] (আল্লাহ বলেন) শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়। ৯২ নং ছূরা লাইল আয়াত ২।
.
আলোচনাঃ প্রশ্ন জাগে, দিন কখন থেকে বা কোন সময় থেকে আলোকিত হয়? সূর্য উঠলেই কি দিন আলোকিত হয়? নাকি সূর্য উঠার আগেই দিন আলোকিত হয়? উত্তর হবে সূর্য উঠার আগেই দিন আলোকিত হয়ে যায় তাই সূর্য উঠার আগের সে সময়টাও দিন। সাফাক্ব বা সন্ধ্যা এবং ছুবাহ বা প্রভাতের সময় কিছুক্ষন পরিষ্কার আলো দেখা যায় বিধায় তা কখনো রাত নয়, তা দিনেরই অংশ।
.
রাত অন্ধকারঃ
[৭৯:২৯] (আল্লহ বলেন) (তিনি) রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন। ৭৯ নং ছূরা নাযিয়াত আয়াত ২৯।
.
আলোচনাঃ এখানেও প্রমান হয় যে, যখন রাত হবে তখন সবকিছু অন্ধকার হয়ে যাবে। কাজেই সন্ধ্যার সময় সবকিছু অন্ধকার হয় না বিধায় তা রাত নয়, তা দিন। কাজেই, ইফতার দিনে নয়, ইফতার রাতে। কারণ, আল্লাহ রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেছেন।
.
আলোচনাঃ কেউ যদি বলে যে, সূর্যের উপস্থিতি তথা সূর্য উঠলেই দিন শুরু হয়, আর সূর্য ডোবলে রাত শুরু হয়, তাহলে তার কাছে আমার প্রশ্ন থাকেবে যে, আপনি ফজরের নামাজ এবং মাগরিবের নামাজ কি রাতে পড়েন, না কি দিনে পড়েন? কারণ, আল্লাহ বলেছেন যে, “দিনের দুই কিনারায় নামাজ ঠিক রাখবে” ১১ নং ছুরা হুদ আয়াত ১১৪। এই আয়াতে “নাহার” অর্থ দিন এবং “ত’র’ফা” অর্থ প্রান্ত বা কিনারা দুটি শব্দ রয়েছে, যার অর্থ দিনের কিনারায়। এই আয়াতের ভিত্তিতে আপনি কি সূর্য উঠার পরে দিন শুরু হলে দিনের কিনারায় ফজরের নামাজ পড়েন? নাকি রাতের অন্ধকার শেষ হয়ে যখন ফজরের আজান থেকে দিনের শুরু হয় তখন ফজরের নামাজ পড়েন, কোনটি? তদ্রুপ সূর্যাস্ত থেকে যদি রাত শুরু হয়, তাহলে (প্রচলিত) মাগরিবের নামাজ কেনো রাতে পড়েন? কারণ, বলা হয়েছে “দিনের দুই কিনারায় নামাজ ঠিক রাখবে”-১১:১১৪। আপনার কথা অনুযায়ী দিনের শেষ কিনারায় সূর্য ডোবার আগে কেনো মাগরিবের নামাজ পড়েন না? ফজর পড়েন রাতে এবং মাগরিবও পড়েন রাতে। তাহলে দিবসের দুই প্রান্তে বা দুই কিনারায় পড়লেন কই? আসল বিষয় হলো সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন আলো থাকে। তদ্রুপ সূর্য উঠার আগেই পৃথিবী আলোকিত হয়ে যায়। সন্ধ্যা এবং প্রভাত এ দুটি সময় দিনেরই অংশ, কারণ, এ দুটি সময়ও পরিষ্কার দেখা যায় তাই এ দুটি সময় দিনেরই অংশ, এবং আল্লাহর কথা মতো সকলেই দিনের অংশের মধ্যেই তথা দুই কিনারায় দুটি ছালাত আদায় করে।
.
আলোচনাঃ সূর্য উঠার ২০/২৫/৩০ মিনিট আগের অবস্থা লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে, ছুবহে ছাদেক অর্থাৎ দিনের আলো শুরু হয়ে গেছে কিন্তু সূর্য উঠেনি। দিন শুরু হয় ফজরের আজান থেকেই, অর্থাৎ ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত তারকা থাকে তাই সেটা রাত। তদ্রুপ সুর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন দিন থাকে। যতক্ষন আলো থাকবে ততক্ষন দিন। যখন পুরোপুরি আলো চলে যাবে ঠিক তখন থেকেই রাত শুরু হবে।
.
(সূর্য না উঠা সত্ত্বেও যেমন দিন শুরু হয়, তদ্রুপ সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন আলো থাকে বিধায় তা দিনের অংশ)।
.
রাতে বিশ্রাম এবং দিনে দর্শনঃ
[১০:৬৭] (আল্লাহ বলেন) তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন রাত, যাতে করে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পারো, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার জন্য…। ১০ নং ছূরা ইঊনুছ আয়াত ৬৭।
.
আলোচনাঃ লক্ষ্য করুন, দিনে দর্শন হয়। কোনো লাইটিং ব্যবস্থা ব্যতীত সূর্য উঠার আগে কিছু সময় এবং সূর্য ডোবার পরেও কিছু সময় মানুষ মানুষকে পরিষ্কারভাবে দেখতে পায়, যাকে আল্লাহ দর্শন বলেছেন। তাহলে তা কখনো রাত নয়, সে সময়টা দিনেরই অংশ। এই আয়াতে আল্লাহ প্রথমে বলেছেন রাতে প্রশান্তি লাভ করা যায়। লক্ষ্য করুন! সূর্য ডোবার সাথে সাথে মানুষ প্রশান্তি তথা বিশ্রাম বা ঘুম যায় না, রাতে ঘুম যায়। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত হয় না।
.
দিন সরে গেলে অন্ধকারঃ
[৩৬:৩৭] (আল্লাহ বলেন) ‘তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে রাত, তা থেকে আমি দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়। ছূরা ইয়াছীন আয়াত ৩৭।
.
আলোচনাঃ লক্ষ্য করুন! আল্লাহ সূর্যের কথা বলেননি। কারণ, সূর্য সরে গেলেও বা সূর্য ডুবে গেলেও কিছুক্ষন দিনের আলো থাকে। তাই আল্লাহ বললেন যে, দিনকে সরিয়ে নিলেই মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। অর্থাৎ আলো সরে গেলেই মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। কিন্তু সাফাক্বের সময় বা সন্ধ্যার সময় এবং ছুবহে ছাদেকের সময় মানুষ অন্ধকারে ডুবে থাকে না। এ দুটি সময় কিছুক্ষন আলো থাকে বিধায় তা দিনেরই অংশ। কাজেই ইফতার দিনে নয়, ইফতার রাতে।
.
আলোচনাঃ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আল্লাহ যদি বলতেন যে, “রাত থেকে আমি সূর্যকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়”। তাহলে সাধারণ মানুষ ও নাস্তিকগণ প্রশ্ন করতো যে, সূর্য সরে যাওয়ার সাথে সাথে তো আমরা অন্ধকারে ডুবি না, বা অন্ধকারাচ্ছন্নও হই না, অন্ধকার তো হয় আরও অনেক পরে। তাহলে স্রষ্টা কি ভুল বললো? (নাউযুবিল্লাহ) তারা আরও বলার সুযোগ পেতো যে, স্রষ্টা এটা সঠিক বলেননি, তারা আরও বলতো যে, এটা স্রষ্টার অসামঞ্জস্য কথা। কিন্তু সৃষ্টির কাছে স্রষ্টা প্রশ্নের সন্মুখীন হবেন এমন কথা স্রষ্টা কখনোই বলবেন না। এখন কেউ যদি বলে যে, সূর্য অস্ত গেলেই রাত হয়, তবে সে স্রষ্টার বিপরীত কথা বললো। কাজেই আল্লাহ এমন অসামঞ্জস্য কথা কোথাও বলেননি।
.
দিন দেখার জন্যঃ
[১৭:১২] (আল্লাহ বলেন) আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। অতঃপর নিস্প্রভ করে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে দেখার উপযোগী করেছি…। ১৭ নং ছূরা বনি-ইসরাঈল আয়াত ১২।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতেও আল্লাহ সূর্যের কথা বলেননি। বলেছেন আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। আল্লাহ রাতকে নিস্প্রভ বলেছেন, অর্থাৎ রাতে দিনের আলো থাকে না, তাই নিস্প্রভ। কিন্তু সূর্য ডোবার সাথে সাথে নিস্প্রভ অর্থাৎ দিনের আলো নিস্প্রভ হয় না, এবং দিন দেখার জন্য। কাজেই সন্ধার সময়ও কিছু সময় মানুষ মানুষকে দেখতে পায় তাই সন্ধার পরেই রাত হবে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত হয় না। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার নয়, ইফতার রাতে।
.
রাতে বিশ্রাম দিন আলোকময়ঃ
[২৭:৮৬] (আল্লাহ বলেন) তারা কি দেখে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিনকে করেছি আলোকময়…। ২৭ নং ছূরা নামল আয়াত ৮৬।
.
আলোচনাঃ এখানেও আল্লাহ দিনের আলোর কথা বলেছেন। যতক্ষন আলো থাকবে ততক্ষন দিন থাকবে। সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন আলো থাকে, যাতে মানুষ অনেক দুরেও পরিষ্কার দেখতে পায়। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত হয় না।
.
রাতে বিশ্রাম দিন দেখার জন্যঃ
[৪০:৬১] (আল্লাহ বলেন) তিনিই আল্লাহ যিনি রাত সৃষ্টি করেছেন তোমাদের বিশ্রামের জন্য এবং দিবসকে করেছেন দেখার জন্য…। ৪০ নং ছূরা মু’মীন আয়াত ৬১।
.
আলোচনাঃ এখানেও দিন দেখার জন্য। সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন দেখা যায়। তাই তা রাত নয়, তা দিন।
.
[৩:২৭] (আল্লাহ আমাদেরকে বলতে বলেন) বলো, তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করাও…। ৩ নং ছূরা আল ইমরান আয়াত ২৭।
.
আলোচনাঃ এখানেও লক্ষ্য করার বিষয় হলো আল্লাহ দিনকে রাতের ভিতর প্রবেশ করান। কিন্তু সূর্যকে দিনের ভিতর বা রাতের ভিতর প্রবেশ করানোর কথা আল্লাহ বলেননি। কারণ, সূর্য এক নিয়মে বিরামহীনভাবে চলে। আর রাত ও দিনের এখতেলাফ হয়, অর্থাৎ রাত ও দিনের পরিবর্তন হয়। “অখতিলা ফিল লাইলি অঁন্নাহারী”- ২:১৬৪।
.
অন্ধকার ও আলোঃ
[৬:১] (আল্লাহ বলেন) সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। ছূরা আন’আম আয়াত ১।
.
আলোচনাঃ অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। কিন্তু সূর্য উঠার আগে এবং সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন সব কিছু দেখা যায়, তাই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই অন্ধকার হয় না তাই সূর্য ডোবার সাথে সাথে রাত হয় না।
.
রাত আচ্ছন্ন দিন আলোকিতঃ
[৯২:১-২] (আল্লাহ বলেন) শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয় । ৯২ নং ছূরা লাইল আয়াত ১-২।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতে রাত আচ্ছন্ন অর্থাৎ রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করার কথা বোঝনো হয়েছে, এবং দিনকে আলোকিত বলা হয়েছে। দিনের আলো না থাকলেই রাত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়, সূর্য দ্বারা নয়, কারণ, প্রভাত এবং সন্ধ্যায় সূর্য না থাকলেও সূর্যের প্রভাবে কিছুক্ষন আলো থাকে। কাজেই যতক্ষন আলো থাকে ততক্ষন দিন)।
.
কিছুদিন পূর্বে ফেসবুকে লক্ষ্য করলাম যে, এক শ্রেণীর মানুষ মা’রেফুল কুরআনের ৯১ নং ছূরা শামছের ৩ ও ৪ নং আয়াতের ভুল অনুবাদকৃত ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সূর্যের অনুপস্থিতিকেই রাত বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে এবং মানুষকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা নিজেরা যেমন পথভ্রষ্ট তেমনি তারা অন্যকেও পথভ্রষ্ট করতে চায় এবং তারা ক্বুরআন থেকে কোনো সমাধানই নিতে চায় না। তাদের সমাধান মানব রচিত কেতাবে। তারা তাদের মূল হাতিয়ার হিসাবে মা’রেফুল ক্বুরআনের ভুল অনুবাদটাই বেছে নিয়েছে। আরবির দিকে তারা খেয়াল করে না, এমনকি অন্যন্য অনুবাদও তারা দেখে না।
.
মহিউদ্দীন খান এর অনুবাদকৃত মা’রেফুল ক্বুরআনের ভুল অনুবাদ লক্ষ্য করুন!
.
[৯১:৩-৪] শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে। শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে। ৯১ নং ছূরা আশ শামছ আয়াত ৩-৪।
.
আলোচনাঃ উক্ত আয়াত দুটির আরবিতে “সূর্য” শব্দ নেই। ভাবার্থেও পাওয়া যায় না। কারণ, এর আগের আয়াতেই “নাহার” অর্থাৎ দিনের কথা বলা হয়েছে। রাত কখনোই সূর্যকে ঢাকতে পারে না। কারণ, সুর্যকে ঢেকে দিলে তো আমেরিকাসহ পুরো পৃথিবীই অন্ধকার হয়ে যাবে। বরং, সূর্য আমাদের চোখের আড়াল হওয়ার কারণেই অন্ধকার বা রাত শুরু হয়। তাই এই আয়াতের সঠিক অর্থ হবে যথা- শপথ দিবসের যখন সে প্রখরভাবে প্রকাশ করে। (শপথ) রাত্রির যখন সে উহাকে (দিনকে) আচ্ছাদিত করে। এই আয়াতের আরও কয়েকটি অনুবাদ দেখলেই আমার কথার সত্যতা প্রমান হবে। ৯১ নং ছূরা আশ শামছের ৪ নং আয়াতের আরও কয়েকটি অনুবাদ লক্ষ্য করুন, যথা-
.
ডাঃ জহুরুল হক এর অনুবাদঃ
[৯১:৪] রাতের কথা (ভাবো) যখন সে তাকে আচ্ছাদিত করে। ছুরা শামছ আয়াত ৪।
.
(এই আয়াতের বাংলা অনুবাদে “সূর্য” শব্দটি নেই)
.
ভাই গিরীশচন্দ্র সেন এর অনুবাদঃ
[৯১:৪] রজনীর (শপথ) যখন তাহাকে আচ্ছাদন করে। ছুরা শামছ আয়াত ৪।
.
(এই আয়াতের বাংলা অনুবাদেও সূর্য শব্দ নেই)।
.
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ক্বুরআনুল কারিমের অনুবাদঃ
[৯১:৪] শপথ রজনীর, যখন সে উহাকে আচ্ছাদিত করে। ছূরা শামছ আয়াত ৪।
.
(এখানেও “সূর্য” শব্দটি নেই। রজনী তাকে আচ্ছাদিত করে অর্থাৎ রজনী দিনকে আচ্ছাদিত করে। অর্থাৎ রজনী দিনকে আচ্ছন্ন করে বা ঢেকে দেয়)।
.
আল কোরআন একাডেমী লন্ডন, হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ এর সহজ সরল বাংলা অনুবাদঃ
[৯১:৪] শপথ রাতের যখন সে তাকে ঢেকে দেয়। ছুরা শামছ আয়াত ৪।
.
(এখানেও “সূর্য” শব্দটি নেই)।
.
পাকিস্তান ভিত্তিক উর্দো ক্বুরআনের অনুবাদঃ
[৯১:৩-৪] (ক্বছম) আওর দিনকি যব ও উছকো রৌশনি করদে। আওর রাতকি (ক্বছম) জব উছী ছুপালে। ছুরা শামছ আয়াত ৩-৪।
.
(রাত দিনকে “ছুপালে” অর্থাৎ ঢেকে দেয়। এখানেও রাত এবং দিনের কথা বলা হয়েছে, সূর্যের কথা বলা হয়নি)
.
(আল ক্বুরআন ইন্টারনেট থেকে)
[৯১:৪] রাত, যখন তা সবকিছুকে আঁধারে ঢেকে দেয়। ছুরা শামছ আয়াত ৪।
.
(এখানেও তাই। রাত সবকিছুকে আচ্ছাদিত করে অর্থাৎ আলোকে ঢেকে দেয়। The night when it covers him over. কাজেই, আল্লাহ এখানে বলেননি যে, “রাত সূর্যকে আচ্ছাদিত করে)।
.
আলোচনাঃ কেউ কেউ এই আয়াতের মিথ্যা অর্থ করে আল্লাহর অন্যন্য আয়াতগুলোকে বাতিল করতে চায় এবং আল্লাহকে মিথ্যাবাদী বানাতে চায়, নাউযুবিল্লাহ। তারা নিজেরাই মিথ্যাবাদী, তাই তারা ক্বুরআনের অর্থই বোঝে না। তারা ছুরা শামছের ৪ নং আয়াতের দলিল দিয়ে জোর গলায় বলে যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে। তারা ক্বুরআনের উপরোক্ত আয়াতগুলো চোখ দিয়ে দেখে না। এবার লক্ষ্য করুন! ছূরা শামছের ৪ নং আয়াত এর মতো আরও একটি আয়াত-)।
.
[১৩:৩] তিনিই ভু-মণ্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড়-পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্য নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে। ছূরা র’দ আয়াত ৩।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতেও “ইউগ শিল লাইলাঁন নাহা-রা” অর্থ …”তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন”…। এই আয়াত এবং ছূরা শামছ এর ৪ নং আয়াত প্রায় একই রকম। এ দুটি আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, “তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন”। এখানেও সূর্যের কথা নেই। আসলে মিথ্যাবাদীদেরকে ক্বুরআন থেকে প্রমান দেখানো সত্ত্বেও মিথ্যাবাদীরা বলবে বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার। মিথ্যাবাদীদের জন্য জলন্ত প্রমান ছূরা ঝুমারের ৫ নং আয়াত। যথা-
.
[৩৯:৫] (আল্লাহ বলেন)…”ইউ’কাব্বিরুল লাইলা আলান নাহারি, অ’ইউ কাব্বিরুন নাহারা আ’লাল লাইলি”… অর্থ, তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন…। ৩৯ নং ছূরা ঝুমার আয়াত ৫।
.
আলোচনাঃ এখানে “সূর্য” দ্বারা আচ্ছাদিত করার কথা আল্লাহ বলেননি। এখানেও সরাসরি বলা হয়েছে যে, “লাইলা আলান নাহারি” এবং “নাহারা আ’লাল লাইলি”। এখানে “লাইল” এবং “নাহার” অর্থাৎ “রাত” এবং “দিন” এর কথা বলা হয়েছে। দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করার কথা বলা হয়েছে। এখানে “সূর্য” শব্দই নাই। কাজেই ছূরা শামছের ৪ নং আয়াতেও “সূর্য” শব্দটি নেই।
.
শপথ রাত্রির যখন সে আচ্ছাদিত করে,-৯১:৪। কিন্তু সন্ধ্যার সময় তো রাত আচ্ছাদিত হয় না। তা হবে যখন অন্ধকার হবে তখন। সন্ধ্যার সময় মানুষের চোখ থেকে সূর্য অদৃশ্য হলেও সূর্যের প্রভাব পুরোপুরি শেষ না হওয়াতে চতুর্দিকে আলো থাকে বিধায় তা দিনের অংশ এবং তার নাম সাফাক্ব। যেমন ছুবহে ছাদেক থেকে রাত শেষ হয় কিন্তু তখনও সুর্য উঠে না, কিন্তু সূর্যের প্রভাবে আলোকিত হয়ে যায়। আল্লাহ এখানে বলেননি যে, সূর্য অস্ত গেলে/ডুবে গেলে রাত হয়। আল্লাহ এমন নয় যে, সন্ধ্যাকে রাত বলবেন। কারণ, আল্লাহ ক্বুরআনে বহুস্থানে সন্ধ্যার বিবরণ দিয়েছেন। কাজেই যখন আচ্ছাদিত হয় অর্থাৎ দিনের আলো চলে যাওয়ার পর রাত ঢাঁকা পরে যায় ঠিক তখনই রাত হয়। তা সাফাক্বের পর বা সন্ধ্যার পর।
.
মূল কথা, যেরকম একটি অন্ধকার সময় ছেহেরি খাওয়া শেষ করা হয়, ঠিক তেমনই একটি অন্ধকার সময় না হওয়া পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটা আল্লাহর ক্বুরআনের বিধান। তাই আল্লাহ বলেন “ছুম্মা আতিম্মুছ ছিয়ামা ইলাল লাইল” অর্থাৎ ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত/নিশাগম পর্যন্ত/নিশির আগমন পর্যন্ত/রাত না হওয়া পর্যন্ত। ২ নং ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৮৭। আল্লাহ এখানে “আতিম্মুছ ছিয়ামা ইলাল মাগরিব, ইলাল গুরুবিশ শামছ বা দুলুকিশ শামছ তথা সূর্যাস্ত পর্যন্ত বলেননি। সূর্যাস্তের পর ঈষৎ অন্ধকার হলে ও আকাশে বহু সংখ্যক তারকা দেখা দিলে রাত হয়। তারকা অস্ত গেলে ফজর এবং দিন শুরু হয়। আল্লাহর বাণী যার ইচ্ছা হয় সে মানবে, না হয় পূর্ব যুগের মতো অস্বীকার করেই যাবে।
.
আসুন, আমরা সকল মতভেদ, ভেদাভেদ ভুলে, কোনো দলের অন্তর্ভূক্ত না হয়ে, মানুষের কথায় কান না দিয়ে, নিজের প্রভিত্তির অনুস্মরণ না করে আল্লাহর বিধান ক্বুরআন থেকে সমাধান খোজার চেষ্টা করি। সঠিক তথ্য না জানার কারণে পূর্ব থেকে যে ভুল আমরা করে আসছি ক্বুরআন থেকে তার সমাধান নিয়ে সঠিকভাবে আমরা আমাদের ছিয়াম বা রোজা পূর্ণ করে আল্লাহ ভিতি, পরহেজগারী, বা মুত্তাক্বি হওয়ার চেষ্টা করি। কাজেই, আমাদের এতো কষ্টের ছিয়াম বা রোজা আল্লাহর ক্বুরআনের নির্দেশ অনুসারে হচ্ছে কিনা সেদিকে আমরা খেয়াল রেখে আল্লাহর প্রতিটি হুকুম আহকাম সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করি। এবং রাত না হওয়া পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ করি। ক্বুরআন যা বলবে তাই সত্য হবে। কারণ, ক্বুরআন সন্দেহমুক্ত ও নির্ভুল কিতাব-২:২।
===================

Path of Rosul

By tuhin farique fbfd

আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

##যালিম ব্যক্তি সেদিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম! [25:27]

^^^^^^^ রাসুলের পথ কোনটা????
মানবরচিত হাদীস/ আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কুরআন??

#তুমি বল,এটাই আমার পথ; প্রতিটি মানুষকে আমি আহবান করি সজ্ঞানে, আমি এবং আমার অনুসারীগণও; আল্লাহ মহিমান্বিত এবং যারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে আমি তাদের অন্তভুর্ক্ত নই।[12:108]

^^^^^^^আল্লাহর আয়াত অনুযায়ী রাসুলের পথ ছিল কুরআন,রাসুল কে অনুসরণ করতে চাইলে এই পথই অনুসরণ করতে হবে।

যারা আল্লাহর আয়াত মানে না-কাফির,যালিম,ফাসিক

যারা আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যান করে / যারা আল্লাহর আয়াত মানে না-

১. তারা নবীর শত্রু, শয়তান (৬:১১২)!
২. তারা তাগূত- জাহান্নামী (২:২৫৭)!
৩. তাদের অবস্থা হাঁপানো কুকুরের মত (৭:১৭৬)!
৪. তারা পুস্তকবহনকারী গাধার মত (৬২:৫)।
৫. তারা পশুর মত, বা তার থেকেও বিভ্রান্ত (৭:১৭৯)!
৬. তারা নিকৃষ্ট জীব (৮:২২)!
৭.তারা বধির ও মুক, অন্ধকারে রয়েছে (৬:৩৯)!
৮. তারা কাফির (৫:৪৪)!
৯. তারা যালিম (৫:৪৫)!
১০. তারা ফাসিক (৫:৪৭)!
১১. আল্লাহর আয়াত আসার পর যারা আল্লাহর আয়াত ভুলে থাকবে
তাদেরকে হাসরের মাঠে অন্ধ অবস্থায় উঠানো হবে (২০:১২৪-১২৭)!

### আমি আপনাকে কুরআনের আয়াত দারা গালি দিলাম ।

Source fbgp

Siam upto night not magrib

By zahir our wapp

[5/1, 10:46 AM] ‪+91 97077 58106‬: ———->আল্লাহর দেওয়া নিতিমালা করণীয়!
———->বাব দাদার নিতিমালা বর্জণীয়!
–সিয়াম (রোজা) পূর্ণ করুন লাইল (রাত) পর্যন্ত–
→কোরআন দেখুন……
সূরা: বাক্বারা
আয়াত: ১৮৭
…………………………………………………………………………..আর পানাহার কর, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিস্কার দেখা যায়! অতঃপর সিয়াম (রোজা) পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত……………………………………।
এখন প্রশ্ন হল রাত কখন হয়, এবং সন্ধা কখন হয় ???
রাত এবং সন্ধা এক নয়!
কোরআন দেখুন……
সূরা: আল ইনশিক্বাক
আয়াত: ১৬ এবং ১৭
১৬) আমি শপথ করি সন্ধাকালীন লাল আভারের
১৭) এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে।

এই দুইটা আয়াতে আমরা পেলাম
→ ১) শাফাক, অর্থ সন্ধা
→ ২) লাইল, অর্থ রাত।
এখন দয়াময় আল্লাহ কি সিয়াম পালন করতে হুকুম করেছেন, শাফাক (সন্ধা) পর্যন্ত ? নাকি
লাইল (রাত) পর্যন্ত ??
এখন আপনারাই বিবেচনা করুন, এবং দেখুন
সূরা: বাক্বারার ১৮৭ নং আয়াতে কি আছে ?

অনেক মুফতি আছে মনগরা ফতুয়া দেয় যে সূর্য ডুবে গেলেই রাত শুরু হয়,
এটা মিথ্যা ফতুয়া, সূর্য ডুবে গেলে শাফাক (সন্ধা) শুরু হয়, তার পর লাইল (রাত) শুরু হয়।

আর রাত হলো অন্ধকার,
কোরআন দেখুন….
সূরা: আন নাযিআ’ত
আয়াত: ২৯
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন………………./

এবার দেখুন দয়াময় আল্লাহ শপথ করে চিনিয়ে দিচ্ছে রাতে কি আগমন করে!
সূরা: আত্ব-তারিক্ব
আয়াত: ১,২,৩
১) শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর।
২) আপনি জানেন, রাত্রিতে আগমন হয় তা কি ?
৩) তা হল উজ্জল নক্ষত্র।

এবার দেখুন রাত শেষ হয় কখন!

সূরা: আল মুদ্দাসসির
আয়াত: ৩৩, ৩৪
৩৩) শপথ রাত্রির, যখন তার অবসান হয়।
৩৪) শপথ প্রভাতকালের, যখন তা
আলোকম্ভাসিত হয়।

দিন আলোকিতঃ
সূরা: লায়ল
আয়াত: ২
শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়।

এক কথায় বলা যায় যে আলো ছারা দিন হয় না
এবং অন্ধকার ছারা রাত হয় না।

এখন প্রশ্ন হলো আমরা কি সিয়াম (রোজা) দিন পর্যন্ত করব নাকি রাত পর্যন্ত ?

আবারো দেখে নিন সূরা বাক্বারার ১৮৭ নং আয়াত।
………………………………………………………………………আর পানাহার কর, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিস্কার দেখা যায়, এবং সিয়াম (রোজা) পূর্ণ কর লাইল (রাত) পর্যন্ত!……………………………………….।

ধন্যবাদ সবাইকে।
From FB☝

.
[5/1, 12:16 PM] Aliahmed(Alia): 👆🏾বঢ়িয়া!
.
🔺চিয়াম ৰাতিলৈকে সেইটো বঢ়িয়াকৈ বুজিলো.
নুবুজা সকলৰ বাবে দুখঃ সংবাদ হয়তো আহিব পাৰেযে আল্লাহে হয়তো কব(নকবওঁ পাৰে)-
” তোমালোকো কোৰআনক পৰিত্যাগ কৰি(যিটো ৰছুলে কমপ্লেইন কৰিবই) কিয় চিয়াম দিনতেই ভংগ কৰিছিলা”!
.
আৰু এটা কথা ,
🔺চিয়াম কেইদিন পালন কৰিব লাগে পৰিষ্কাৰকৈ বুজাই দিলে ভাল হয়!