Category Archives: Quran

রাসূল দ্বীনের মধ্যে কোরআনের বাহিরে কিছু এ বলত না।

✅মানব রচিত কিতাবের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই, যারা বুঝাইতে চাই , তারাই টাকা কামাই করার ধান্দা করে।

👉রাসূল দ্বীনের মধ্যে কোরআনের বাহিরে কিছু এ বলত না।তিনি শুধু ওহীর অনুসরন করতো।নিজ থেকে কিছু বলতো না।
📚৫:৬৭.৬:৫০,৫১,৯৩,১০৬.৭:২,৩,১০.৪০:৭৮.৪৭:৩.৪:১৬৩.১০:২,১৫.২১:৪৫.৩৪:৫০.৭২:২৩,৪৬:৯
👉রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
📚৫:৯৯,১৬:৩৫
👉রাসূলকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
📚১৭:১০৫
👉রাসূল কোরআন দ্বারা মানুষকে ভয়-প্রদর্শন করতেন।
📚৬:৫১
👉রাসূল কোরআন দ্বারা মানুষকে উপদেশ দিতেন।
📚৬:৭০
👉কোরআনকে নিজের পক্ষ থেকে পরিবর্তিত করা আমার কাজ নয়। আমি সে নির্দেশেরই আনুগত্য করি,যা আমার কাছে আসে।
📚১০:১৫
👉আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
📚৩৬:৬৯
👉রাসূল মানুষের উপর জোরজবর করেন নাই দ্বীনের জন্য অতএব, যে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন।
📚৫০: ৪৫
👉তাহলে বুঝা যায় কোরআনের রাসূল দ্বীন প্রতিষ্টিত করছে শুধু কোরআন দিয়ে।

By fbfd Jewel

সুস্পষ্টকুরআন কর্তৃক কুরআনের বর্ণনা-ব্যাখ্যাকৃত,সুস্পষ্ট,বক্রতা ও সন্দেহ মুক্ত,বিজ্ঞানময়,সহজ,এটি ফরজ..

কুরআন কর্তৃক কুরআনের বর্ণনা-
“”””””‘””””””‘””””””‘””””””‘””””””‘””””””‘
★ কুরআন হিদায়তের জন্য বিস্তারিত, ব্যাখ্যাকৃত,সত্য ও ন্যায়ে পরিপূর্ণ, নিখুঁত, মানুষের জন্য সব রকমের দৃষ্টান্ত, উদাহরণ, উপমা তাতে রয়েছে।
(১)6.115 (২)6.114 (৩)11.1 (৪)17.12 (৫)17.41 (৬)17.89 (৭)20.113 (৮)39.27 (৯)30.58 (১০)16.89 (১১)2.176 (১২(10.37

★ কুরআন সুস্পষ্ট কিতাব!
(১)43.2 (২)26.2 (৩)27.2 (৪)28.2 (৫)12.1 (৬)44.2 (৭)5.15 (৮)16.89 (৯)15.1 (১০)36.69(১১)24.34

★ আল্লাহ সুস্পষ্ট বর্ণনা কারী!
(১)24.18 (২)24:25 (৩)24:54 (৪)24:59

★ কুরআনে আসমান ও জমিনের সুস্পষ্ট, অস্পষ্ট, প্রকাশ্য ও গোপন সবকিছুই লিখিত রয়েছে!
(১)6.59 (২)10.61 (৩)11.6 (৪)27.75 (৫)34.3 (৬)36.12

★ কুরআন সর্বজ্ঞানী আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ!
(১)39.1 (২)45.2 (৩)46.2 (৪)32.2 (৫)40.2 (৬)27.6

★ কুরআন বক্রতা ও সন্দেহ মুক্ত!
(১)39.28 (২)2.2 (৩)32.2 (৪)10.37

★ কুরআন কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না, সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহর!
(১) 6.115 (২)75.17

★ কুরআন প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানময় ও বিজ্ঞানময় কিতাব!
(১)36.2 (২)31.2 (৩)10.1

★ কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহ!
55.2

★ কুরআন সম্মানিত!
56.77

★ কুরআন সহজ বুঝা ও উপদেশ গ্রহণের জন্য!
(১)54.17 (২)54:22 (৩)54:32 (৪)54:40 (৫)19.97 (৬)44.58

★ কুরআন অধ্যায়ন কর তা নিয়ে চিন্তা, গবেষণা কর, মনযোগ দিয়ে শোন ও মান !
(১)47.24 (২)4.82 (৩)17.14 (৪)17:78 (৫)17:106 (৬)16.98 (৭)7.204 (৮)75.18 (৯)84.21

★ কুরআন আবৃত্তি করা, পৌঁছে দেওয়া, পাঠের অনুসরণ করা নবীর ও মুসলিমের কাজ!
(১)27.92 (২)75.18 (৩)5.67

★ কুরআনই অনুসরণ কর এটি ফরজ এর ব্যাপারে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে!
(১)7.3 (২)28.85 (৩)45.18

★ কুরআন দ্বারা উপদেশ, দাওয়াত ও আহবান কর। কুরআন পথ, দলিল, নির্দেশ ও সতর্ক বাণী!
(১)17.9 (২)45.11 (৩)45:20 (৪)45:32 (৫)45:15 (৬)45:22 (৭)18.57 (৮)38.1 (৯)6.51 (১০)6:70 (১১)6:90 (১২)36.69 (১৩)7.2 (১৪)14.52 (১৫)19.97 (১৬)39.20 (১৭)50.45 (১৮)21.10 (১৯)20.3 (২০)20:113 (২২)24.34

★ আল্লাহই একমাত্র হুকুমদাতা, নির্দেশদাতা!
(১)6.57 (২)10.40 (৩)12.67

Seven pares-15:87

অনুবাদেদুর্নীতি #১৫ঃ৮৭

সুরা হিজরঃ৮৭

প্রচলিত ভুয়া অনুবাদঃ “আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।”

এই বাক্যে আরবিতে “আয়াত” শব্দটি নেই। তাদের মনগড়া অনুবাদ ঢুকাতে অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করেছে।

সঠিক অনুবাদঃ

এবং নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি (ওয়া লাক্বাদ আতাইনাকা)

অসংখ্য (সাবাআ, আরবরা সাবআ মানে শুধু সাত সংখ্যা বোঝে না, সাত, সত্তর ইত্যাদি সংখ্যা দিয়ে তারা অসংখ্য কিছু বোঝায়। বাঙালিরা শতবার বলতে অসংখ্যবার বোঝায়। যেমন “আমি তোমাকে ১০০ বার বলছি এটা করো না” বা “একবার না পারিলে দেখো শতবার” ইত্যাদি। এর মানে এই না যে কেউ গুণে গুণে ১০০ বার কাজটা করতে নিষেধ করছে বা না পরলে গুণে গুণে একশবারই চেষ্টা করতে হবে।)

আল মাছানি থেকে (মিন আল মাছানি)

এবং মহান কুরান (ওয়া কুরাআন আল আজিম)

এখন মিন আল মাছানি বুঝলেই বাক্যটা বোঝা যাবে।

মাছানি আসছে মাছনা বা দ্বিগুণ বা দুই থেকে। মাছানি মানেও সবসময় সংখ্যা বোঝায় না। এখানে আবার আল-মাছানি আছে। তার মানে এটা নির্দিষ্ট কোনো কিছু যা থেকে রাসুলকে অসংখ্য কিছু দেয়া হয়েছে এবং কুরান দেয়া হয়েছে।

৩৯ঃ২৩ এবং ১৫ঃ৮৭ তে মাছানি মানে অনুবাদ করছে পুনরাবৃত্ত বা যা বার বার আবৃত্তি করা যায়। এটা প্রচলিত অনুবাদ। কুরআন আবৃত্তি বা সুর করে পড়ার জন্য দেয়নি। কুরান মানেই যা বার বার পাঠ করা যায়। কাজেই মাছানি মানে পুনরাবৃ্ত্ত অনুবাদ করলে সেটা বাক্যের গঠনে বাহুল্য দোষে দুষ্ট হবে। তাছাড়া কোন্ ৭টি আয়াত- সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। সেই ৭ আয়াত বারবার পড়লে কি উপকার হবে সেটাও কেউ জানেনা। কাজেই এসব ভুয়া অনুবাদের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আল-মাছানি অর্থ এখানে “দুই জনের দল।” আল্লাহ রাসুলকে দিয়েছেন অসংখ্য (সাবাআ) দুই জনের দল (মিন আল-মাছানি)।

কেন দিয়েছেন? কারণ তাদের মিশন/দায়িত্ব ছিল কুরান প্রচার করা। এরা ছিলেন নবী, এরা ৩ঃ৮১ অনুসারে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে রাসুল কুরান নিয়ে আসলে ঈমান আনবে এবং রাসুলকে কুরান প্রচারে সাহায্য করবে নিজ নিজ গোত্রে। ফলে এরাই পরিণত হবে নিজ নিজ গোত্রের রাসুলে।

কোনো প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর সময় সকল কোম্পানিই অসংখ্য ছোট ছোট দল গঠন করে তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করতে পাঠায় মানুষের দ্বারে দ্বারে।

এবার ১৫ঃ৯১ পড়েন। প্রসংগ ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এরা কুরানকে টুকরো টুকরো করেছে। এদের কথাই ২৩ঃ৫১-৭২ এ বলা হচ্ছে। ২৩ঃ৫১ তে সম্বোধিত রাসুলগণ দলে দলে বিভক্ত হয়েছে ২৩ঃ৫৩ তে। সংগৃহীত

https://www.facebook.com/share/p/JNNnRiLi1EbMVZDM/?mibextid=oFDknk

Quran for All human beings

“আর এভাবেই আমি তোমার ওপর আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি যাতে তুমি মূল জনপদ ও তার আশপাশের বাসিন্দাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর যাতে ‘একত্রিত হওয়ার দিন’ এর ব্যাপারে সতর্ক করতে পার, যাতে কোন সন্দেহ নেই, একদল থাকবে জান্নাতে আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।” আল কোরআন ৪২

এখানে বলা হয়েছে ” মূল জনপদ ও তার আশপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক কর।
মানে আপনাদের সম্মানিত রাসূল মক্কা মদিনার সতর্ককারী, পুরো পৃথিবীর না। !!!????

” আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।” আল কোরআন ২৬-১১৪
মানে কোরআন কি শুধু মহানবীর আত্মীয়দের জন্য????!!!!

তাহলে কেন পবিত্র কোরআনে ” হে মানবজাতি” আহবান আছে??!!!!

কোরআনের বহু আয়াতে ” হে মানবজাতি বা হে মানুষ ” শীর্ষক সম্বোধন এর অন্যতম প্রমাণ। একই কারণে নিজেকে ” বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ” ও “মানবজাতির জন্য সতর্ককারী” —– এসবের মানে কি????!!!!!

হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন। আল কোরআন ৪৯-১৩

“O mankind! verily there hath come to you a convincing proof from your Lord: For We have sent unto you a light (that is) manifest. (The Noble Quran, 4:174)

আর আমি প্রত্যেক রাসূলকে তার কওমের ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়, সুতরাং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল কোরআন ১৪-৭

এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ, Verily, this (the Qur’ân) is no less than a Reminder to (all) the ’Alamîn (mankind and jinns) (The Noble Quran, 81-27)

এটা তো বিশ্ববাসীর জন্যে এক উপদেশ মাত্র। “This is no less than a Message to (all) the Worlds. (The Noble Quran, 38-87)

“আমি আমার বান্দার (মোহাম্মাদের) প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত কোন সূরা আনো। আর যদি সত্যবাদী হও তাহলে এ কাজের জন্য আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সব সাক্ষীকে আহ্বান কর।” (আল কোরআন ২-২৩)
“আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সেই আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।” (আল কোরআন ২-২৪).

Nas(mankind/people):

https://www.islamawakened.com/quran/Quran-roots/Eng/Nun-Waw-Siin-1118.html

কুরআনের কথাগুলো হলো একটি দিক-নির্দেশনা বা উপদেশ

যেই বিধান কিছু মানুষের সাথে যায় আর কিছুর সাথে যায় না তা আল্লাহর বিধান নয় চিন,জাপান,কোরিয়া, মোংগলিয়া,উপজাতি এ সকল অঞ্চলে মানুষের দাড়িই হয়না তাই আল্লাহ দাড়ির বিধান কুরআনে দেননি কেননা তিনি কুরআনকে বলেছেন পুরো বিশ্বের জন্য উপদেশগ্রন্থ।

বিশ্বজগতের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কুরআনের কথাগুলো হলো একটি দিক-নির্দেশনা বা উপদেশ(সূরা নং-৩৮,আয়াত-৮৭)।

১.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন,আল্লাহ সবার সাথে উত্তম আচরণ,সদ্ব্যবহার করতে বলেছেন।বাসার কাজের লোক,পরিচিত,অপরিচিত সবার সাথে,আর আল্লাহর এই আদেশ জানাই সালাত।

“তোমরা ইবাদাত কর আল্লাহর,তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতাপিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে,ইয়াতীম,মিসকীন,নিকট আত্মীয়- প্রতিবেশী,অনাত্মীয়-প্রতিবেশী,পার্শ্ববর্তী সাথী,মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।(সুরা আন-নিসা,আয়াত ৩৬)

আর কুরআনের বাইরের বই পড়লে জানবেন,শবে মেরাজ, শবে কদর আর নফল নামাজ,তাহাজ্জুদ ও একরাতে সব গুনাহ মাপের নামাজের নিয়ম।মানে যা ব্যক্তির কাছ থেকে বিনিময়ের মাধ্যমে শিখতে হয় বা বই কিনে শিখতে হয়।

২.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন আল্লাহ কাউকে উপহাস করতে,একে অপরকে দোষারোপ করতে,মন্দ নামে ডাকতে নিষেধ করেছেন।যারা এসব করে আল্লাহর কাছে তারা যালিম।কিন্তু আপনি আমি নোয়াখাইল্লা, কাইল্লা,ভোটকা কারো ব্যার্থতায় হাসাহাসি মানে উপহাস করি।আমাদের সো কলড আলেমরা এক অপরকে দোষারোপ,গালাগালি কাফের মুশরেক বলছে।

“হে মু’মিনগণ!কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে;কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকেও যেন উপহাস না করে;কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে।তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করনা এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকনা;ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ।যারা এ ধরণের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই যালিম।(সুরা আলহুজরাত,আয়াত ১১)

এই আয়াত অনুযায়ী আমরা যেসব ধর্মীয় বক্তাদের দোষারোপ করতে দেখি,আল্লাহর কাছে তারা যালিম।

৩.আল্লাহ ঘুষ দিতে ও অন্যের সম্পদ খেতে নিষেধ করেছেন।আর আপনি এ কাজ করলে,আপনার সালাত কায়েম হলো না।অথচ আল্লাহর নিষেধ করা কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করে চলছি লেবাস ধরে,কুরআন কায়েমের কথা বলে মানে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার নামে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছি।

“তোমরা নিজদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।(সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৮)

৪.আল্লহ সম্পদ পুঞ্জিভূত বা আগলিয়ে রাখতে নিষেধ করেছেন যদি আপনি তা পালন করেন,আপনি সালাত কায়েম করলেন।কিন্তু আমি আপনি অন্যের সম্পদ এমনকি সরকারি সম্পদ ও নিজের করে আগলিয়ে রেখে ভোগ করি।”জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সম্পদ পুঞ্জিভুত করে রেখে ছিল আর আগলিয়ে রেখেছিল(সুরা মাআরিজ আয়াত ১৭/১৮)

৫.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন,আল্লাহ বিনয়ী হতে ও ক্ষমাশীল হতে বলেছেন।আর না বুজে পড়লে আপনাকে যে যা বুজাবে তা আল্লাহর কথা বলে চালানো যাবে।”তুমি বিনয় ও ক্ষমা পরায়ণতার নীতি গ্রহণ কর,এবং লোকদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দাও, আর মূর্খদের কে এড়িয়ে চল।(সুরা আল-আরাফ,আয়াত ৭)

আর আল্লাহর এ সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলাই সালাত কায়েম করা।জ্বী আপনি ঠিকই শুনেছেন আল্লাহ সালাত কায়েম করতে বলেছেন,পড়তে নয়।পার্থিব জগতের প্রতিটা কাজে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলাটাই সার্বক্ষণিক সালাতে থাকা।আল্লাহ বলছেন তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতে দাঁড়াবে না যতক্ষন তোমরা বুঝতে পারসো তোমরা কি বলছো।আচ্ছা আমরা কি স্বাভাবিক অবস্থায় বুঝে সালাত দাড়াই? উত্তর না,তাই আমরা সালাত কায়েম করি না, আমরা সালাত পড়ি।

ভূমি অফিসের কর্মকর্তা,আমি ঘুষ দিতে গড়িমসি করায় বললেন,”আপনি টাকা দিলে দেন নয় আমি নামাজে গেলাম।”তাই আল্লাহ বলছেন সুরা বাকারা ১৭৭ নাম্বার আয়াতে “কল্যান নেই তোমাদের পূর্ব-পশ্চিম দিকে মুখ ফেরানোতে,এরপরই তিনি বলেছেন আমাদের জন্য কিসে কল্যান রয়েছে।

কিন্তু আমরা আরবি উচ্চারণ,তেলাওয়াত,হরফ প্রতি নেকিতে এতই ব্যস্ত যে আমরা মূল বইয়ের চাইতে, আউট অফ সিলেবাসে র বইয়ে প্রতি মনোযোগী বেশি,সে সকল বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মূল বইকে ডিফেন্ড করি,সেই বইকে মুল বইয়ের সমকক্ষ বা বেশি গুরুত্ব দেই।ব্যক্তির কথা দিয়ে আল্লাহর কথা জাজ করি,তাই আল্লাহ বলে দিয়েছেন,অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে একই সাথে শির্ক করে (সুরা12:আয়াত106)

Sourcefb

আল কুরআন যেভাবে পরিত্যক্ত:

📚 আল কুরআন যেভাবে পরিত্যক্ত:

✅ ইমামদের ও ইমামদের নামে রচিত কিতাব বা বই তাদের নিজস্ব মতামতে ভরপুর। তাই যারা মাযহাবের অনুসরণ করে, তারা উক্ত কিতাব বা বই গুলো পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ সালাফী বা আহলে হাদীছদের রচিত কিতাব বা বই গুলো রসূনের নামে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা ভরপুর। উক্ত কিতাব বা বই গুলো তাদের অনুসারীরা পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ তরিকাহ পন্থী বা পীর পন্থীদের কিতাব বা বই গুলো বানোয়াট কেরামতিতে ভরপুর। মুরিদ বা ভক্তগণ উক্ত কিতাব বা বই গুলো পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ প্রচলিত তাবলীগ জামাআত ইলিয়াস সাহেবের রচিত কিতাব বা বই গুলো পাঠ করতে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

⚽ আল কুরআনের দাওয়াত প্রদানে আমার অভিজ্ঞতা:

✅ আমি একান্ত বন্ধুর নিকট আল কুরআনের দাওয়াত প্রদান করেছি, তখনই তারা আমাকে পরিত্যগ করেছে।

✅ আমার সংগঠন আল কুরআনের দাওয়াতের কারণে আমাকে পরিত্যগ করেছে।

✅ সাধারণ মানুষকে আল কুরআনের দাওয়াত প্রদান করছি তারাও দুনিয়া ভর্তি মানুষের দলিল পেশ করে, আমাকে পরিত্যগ করে চলেছে।

✅ ছাত্র ছাত্রীগণ একাডেমিক বইয়ের ভিড়ে আল কুরআন পরিত্যক্ত করে রেখেছে।

✅ চাকরি জীবিগণ নিজ দফতর নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হওয়ায়, আল কুরআন পরিত্যক্ত করে রেখেছে।

✅ আল কুরআনের দাওয়াত যাঁরা গ্রহণ করছে, তাদেরকে আবার মোল্লারা অবজ্ঞা করে বলছে, তোমরা কুরআনের কিছু বুঝতে পরবেনা। কারণ কুরআন বুঝতে হলে, ১৬ প্রকারের ইলেম লাগবে। অনেক বই পড়তে হবে। তবেই তো কুরআনের কিছু বুঝতে পরবে। আমরা ২০ বছর যাবত পড়াশোনা করেই কিছু বুঝতে পারছি না। আর তোমরা পড়াশোনা না করেই কুরআন বুঝে ফেল্লে, ইত্যাদি কথা বলে অবজ্ঞা, অপমান করে পরিত্যগ করে থাকেন।

✅ আল কুরআনের বিধান থেকে দুরে থাকার পরিনতি:

وَمَنْ اَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَاِنَّ لَهٗ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَّنَحْشُرُهٗ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ اَعْمٰي
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।
Ta Ha ২০:১২৪
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِيْۤ اَعْمٰي وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا
সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?
Ta Ha ২০:১২৫

قَالَ كَذٰلِكَ اَتَتْكَ اٰيٰتُنَا فَنَسِيْتَهَا ۚ وَكَذٰلِكَ الْيَوْمَ تُنْسٰي
তিনি বলবেন, ‘এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল’। Ta Ha ২০:১২৬

وَكَذٰلِكَ نَجْزِيْ مَنْ اَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِنْۢ بِاٰيٰتِ رَبِّهٖ ؕ وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَشَدُّ وَاَبْقٰي
আর এভাবেই আমি প্রতিফল দান করি তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে এবং তার রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে না। আর আখিরাতের আযাব তো অবশ্যই কঠোরতর ও অধিকতর স্থায়ী।
Ta Ha ২০:১২৭

✅ কুরআন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।

وَإِنَّهُۥ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ وَسَوْفَ تُسْـَٔلُونَ
নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে। Az-Zukhruf 43:44

✅ রসুলের মামলা কুরআন পরিত্যাজ্য কারীদের জন্যঃ

وَقَالَ الرَّسُوْلُ يٰرَبِّ اِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوْا هٰذَا الْقُرْاٰنَ مَهْجُوْرًا
আর রাসূল বলবে, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে। Al-Furqan 25:30

📗 কুরআনের অনুসরণ করলে সে কি কাফের? সে কি পাগল? সে কি মিথ্যা বাদী?

সালামুন আ’লাইকুম, সম্মানিত পাঠক পাঠিকাগণ আসুন দেখেনি কুরআনে রব্বুল আ’লামীন এ বিষয়ে কি বলেছেন:

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আর তাতে কোন বক্রতার অবকাশ রাখেননি। সূরা আল কাহফ ১৮:১

(১) আসুন দেখেনি কাফেরের পরিচয় অর্থাৎ কাফের কারা?
(২) আসুন দেখেনি কাফেররা কি চায়?
(৩) আসুন দেখেনি মিথ্যাবাদী কারা?
(৪) আসুন দেখেনি পাগল কাদেরকে বলা হয়েছে?
(৫) আসুন দেখেনি এসব মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার পর। আল্লাহ তাঁর রাসুলগণেকে কি সান্ত্বনা দিয়েছে।

আসুন জেনেনি কাফের শব্দের অর্থঃ
কুফর অর্থঃ ঢেকে রাখা, যারা আল্লাহ প্রদত্ত ফিতরাত কে ডেকে রাখে তারা কাফের। কাফের অর্থঃ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞ, অমান্যকারী।

হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে। সূরা আল মুমিনুন ২৩:৯৭+৯৮

(১)#_আসুন দেখেনি কাফেরের পরিচয় অর্থাৎ কাফের কারা:

وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍۚ وَلَئِن جِئْتَهُم بِـَٔايَةٍ لَّيَقُولَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا مُبْطِلُونَ
আর আমি তো মানুষের জন্য এই কুরআনে সব ধরনের দৃষ্টান্ত পেশ করেছি। আর যদি তুমি তাদের কাছে কোন আয়াত নিয়ে আস, তবে অবশ্যই কাফিররা বলবে, ‘তোমরা তো বাতিলপন্থী’।
Ar-Rum 30:58

مَا يُجَٰدِلُ فِىٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِى ٱلْبِلَٰدِ
কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে। Ghafir 40:4

ٱلَّذِينَ يَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ كَٰفِرُونَ
যারা আল্লাহর পথে বাধা প্রদান করত এবং তাতে বক্রতা সন্ধান করত এবং তারা ছিল আখিরাতকে অস্বীকারকারী’।
Al-A’raf 7:45; 11:19

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا۟ بَيْنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُوا۟ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا
নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি’ এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায় । An-Nisa’ 4:150

أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ حَقًّاۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
তারাই প্রকৃত কাফির এবং আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানকর আযাব। An-Nisa’ 4:151

يَعْرِفُونَ نِعْمَتَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُنكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ
তারা আল্লাহর নিআমত চিনে, তারপরও তারা তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই কাফির। An-Nahl 16:83

وَإِذَا رَءَاكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى يَذْكُرُ ءَالِهَتَكُمْ وَهُم بِذِكْرِ ٱلرَّحْمَٰنِ هُمْ كَٰفِرُونَ
আর যারা কুফরী করে তারা যখন তোমাকে দেখে তখন তোমাকে কেবল উপহাসের পাত্র হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলে, ‘এ কি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেবতাদের সমালোচনা করে?’ অথচ তারাই ‘রহমান’-এর আলোচনার বিরোধিতা করে। Al-Anbiya 21:36

ٱلَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ كَٰفِرُونَ
যারা যাকাত দেয় না। আর তারাই আখিরাতের অস্বীকারকারী।
Fussilat 41:7

(কাফেরদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কুরআন মাজিদে আল্লাহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন সংক্ষেপে কিছু আয়াত তুলে ধরা হল। নিচের আয়াতগুলো ভালো করে বুঝে অধ্যায়ন করলে কাফেরদের সম্পর্কে ধারনা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
(৪৩:৩০)(৪০:১৪)(৩৪:৩৪)(২৩:১১৭)(১৬:৮৩)(৭:৪৫-৭৬)

(২)#_আসুন দেখেনেই কাফেররা কি করতে চায়।

১/ কাফেররা চায় আমরা যেন কোরআন অর্থাৎ আল্লাহর নাযিলকৃত ওহীর অনুসরণ না করি। সূরা আল ইসরা ১৭:৭৩

২/কাফেররা চায় মুসলিমদেরকে যমীন থেকে উৎখাত করতে। সূরা আল ইসরা ১৭:৭৬

৩/ তাদের কাছে যখন কুরআনের আয়াত দিয়ে কথা বলা হয় কাফেররা তখন আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। সূরা হাজ্জ ২২:৭২

৪/ যখনই কোন আয়াত কাফেরদের বিরুদ্ধে যারা বলে তখন তারা তাদেরকে হত্যা করতেও পিছপা হয়নি। সূরা আল বাকারা ২:৮৭

৫/কাফেররা সবাই ফেরাউনের সম্প্রদায়ের অতএব তাদের শেষ পরিণতি তাদেরকে পানিতে ডুবিয়ে মারবে। সূরা আল ইসরা ১৭:১০৩

(৩)#_আসুন দেখেনি কাদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছ কাফের সম্প্রদায়ের লোকেরা।

১/কাফেররা সালামুন আলা মোহাম্মদকেও মিথ্যাবাদী বলেছে।
সূরা আল আনআম ৬:৩৩

২/ সালামান আলা আদম থেকে শুরু করে সালমান আলা মুহাম্মদ পর্যন্ত সমস্ত নবী রাসূলদেরকে কাফেররা মিথ্যাবাদী বলেছে। সূরা আল আনআম ৬:৩৪

৩/সালামুন আলা নূহের সম্প্রদায় আদ ও সামূদ রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে। সুরা হাজ্জ ২২:৪২

৪/ সালামুন আলা নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যেবাদী বলেছিল। সূরা আশ-শুআরা ২৬:১০৫

৫/ সালামুন আলা লূতের সম্প্রদায় রসুলদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছিল।

৬/ পূর্বেও বহু সেনা শিবিরের অধিপতি এবং বড় নেতা ও শাসকরাও রসূলদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছিল।
সূরা সোয়াদ ৩৮:১২

৭/মক্কার কাফের মুশরিক সালামুন আলা মুহাম্মদকে জাদুকর এবং মিথ্যাবাদী বলেছিল। সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ কারণ তিনি আল্লাহর হুকুম আদেশ নির্দেশিত জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য অর্থাৎ কুরআনের অনুসরণ করার জন্য বলেছিলেন সেই জন্য ।

এখনোও বর্তমান সমাজে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে, তাদেরকে শুধুমাত্র কুরআনের অনুসরণ করার কথা বললে তখন তারা মানব রচিত কিছু কিতাবের কথা বলে, সেগুলোকে অস্বীকার করলে তারা বলে তুমি কাফের তুমি মিথ্যেবাদী তুমি পাগল ছাগল যা তা বলে। এমনকি আক্রমণাত্মকভাবে মারমুখী হয়ে ওঠেঃ

وَيَوْمَ نَحْشُرُ مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ فَوْجًا مِّمَّنْ يُّكَذِّبُ بِاٰيٰتِنَا فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ
আর স্মরণ কর সেদিনের কথা, যেদিন প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত তাদেরকে আমি দলে দলে সমবেত করব। অতঃপর তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
An-Naml ২৭:৮৩

যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে? সূরা আন নামাল ২৭:৮৪
(২:৮৭)(৬:৩৪-৫৭)(২২:৪২)(২৬:১০৫+১২৩+১৪১+১৬০)(৩৫:৪)(৩৮:৪+১২)(৩৯:৫৯)(৪০:৫)(৫:১২)(৫৪:৯+১৮+২৩+৩৩)(৬৯:৪)

(৪)#_আসুন দেখেনি কাফেররা কাদেরকে পাগল বলেছে।

১/ কাফের মুশরিকরা বলে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে! সে অবশ্যই পাগল। সূরা আল হিজর ১৫:৬

২/ ফেরআউন সালামুন আলা মুসাকে পাগল বলেছিল। সূরা আশ-শুআরা ২৬:২৭

৩/ কাফেররা বলে আমরা কি এক পাগলা কবির কথা মেনে চলবে। সূরা আস সাফফাত ৩৫:৩৬

৪/ এখন তারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর তারা বলছে পাগল- যাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
সূরা আদ দুখান ৪৪:১৪

৫/ তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।
সূরা আয যারিয়াত ৫১:৩৯

৬/ এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় পাগল। সূরা আয-যারিয়াত ৫২:৫২

৭/ তাদের আগে নূহের জাতিও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা আমার বান্দাহকে অস্বীকার করেছিল আর বলেছিল- ‘‘একটা পাগল’’ আর তাকে ভয় দেখানো হয়েছিল।

(৫)#_আসুন দেখেনি কাফেরদের এসব কথার জবাবে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলছেন।

১/ আমি আমার বান্দাহর প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত কোন সূরাহ এনে দাও আর তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর। সূরা আল বাকারা ২:২৩

(মুশরিকরা রসূলদের কথা অমান্য করলে রসূলদের তো আর কিছুই করার নেই, কারণ)

২/স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলদের উপর কি কোন দায়িত্ব আছে? সূরা আন নাহল ১৬:৩৫

(৬)#_আসুন দেখেনেই কাফের-মুশরিকদের মিথ্যা অপবাদ তিরস্কার এর পর আল্লাহর তার রাসূলদের কি সান্ত্বনা দিয়েছেন।

১/ তারা যা বলে তা তোমাকে কষ্ট দেয় এটা আমি অবশ্যই ভালভাবে অবগত, কেননা তারা তো তোমাকে মিথ্যে মনে করে না, প্রকৃতপক্ষে যালিমরা আল্লাহর আয়াতকেই প্রত্যাখ্যান করে। সূরা আল আনআম ৬:৩৩

২/ তোমার পূর্বেও রসূলগণকে মিথ্যে মনে করা হয়েছে কিন্তু তাদেরকে মিথ্যে মনে করা এবং কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছে। আল্লাহর ওয়াদার পরিবর্তন হয় না, নাবীগণের কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট পৌঁছেছেই। সূরা আল আনআম ৬:৩৪

৩/ কাফিররা ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর আয়াত নিয়ে ঝগড়া করে না। কাজেই দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। সূরা গাফির ৪০:৪

৪/ কাজেই তুমি উপদেশ দিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণকও নও, আর পাগলও নও। সূরা আত তূর ৫২:২৯

৫/ তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও।তোমার জন্য অবশ্যই আছে অফুরন্ত পুরস্কার। নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের উচ্চমার্গে উন্নীত। শীঘ্রই তুমি দেখতে পাবে আর তারাও দেখবে। তোমাদের মধ্যে কে পাগলামিতে আক্রান্ত। তোমার প্রতিপালক বেশি জানেন কে তাঁর পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর সঠিক পথপ্রাপ্তদেরকেও তিনি ভাল করে জানেন। কাজেই তুমি মিথ্যাবাদীদের কথা মান্য কর না। সূরা আল ক্বলাম ৬৮:২-৮

৬/তোমাদের সঙ্গী পাগল নয়। সূরা আত তাকবীর ৮১:২২

৭/ এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, আর আমার বান্দাহ দাঊদের কথা স্মরণ কর, সে ছিল শক্তি-সামর্থ্যের অধিকারী আর বড়ই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। সূরা সোয়াদ ৩৮:১৭

৮/ তোমরা হীনবল ও দুঃখিত হয়ো না, বস্তুতঃ তোমরাই জয়ী থাকবে যদি তোমরা মু’মিন হও। সূরা আল ইমরান ৩:১৩৯

৯/ আর তোমার রব্বের ‘ইবাদাত করতে থাক যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কাছে মৃত্যু না আসে। সূরা আল হিজর ১৫:৯৯

(৭)#_আসুন দেখেনেই মুসলমানদেরকে অর্থাৎ কিতাবধারীদের আল্লাহ কি বলেছেন।

১/ হে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। সূরা আল মায়েদা ৫:৭৭

২/ দীনের মধ্যে জবরদস্তির অবকাশ নেই, নিশ্চয় হিদায়াত গোমরাহী হতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই যে ব্যক্তি তাগুতকে অমান্য করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল, নিশ্চয়ই সে দৃঢ়তর রজ্জু ধারণ করল যা ছিন্ন হওয়ার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাতা। সূরা আল বাকারা ২:২৫৬

৩/ বল, ‘‘হে মানুষ! আমার দ্বীন সম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে তাহলে জেনে রেখ, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার ‘ইবাদাত কর, আমি তাদের ‘ইবাদাত করি না, বরং আমি আল্লাহর ‘ইবাদাত করি যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান, আর আমি আদিষ্ট হয়েছি মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। সূরা ইউনুস ১০:১০৪

৪/ আর আমাকে এও আদেশ দেয়া হয়েছে যে, তুমি দ্বীনের দিকে তোমার মুখ প্রতিষ্ঠিত কর একনিষ্ঠভাবে, আর তুমি কক্ষনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। সূরা ইউনুস ১০:১০৫

৫/ (এটা শিক্ষা) যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করবে না, আমি অবশ্যই তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা। সূরা হূদ ১১:২

৬/ যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না, অন্যথায় আমি আশঙ্কা করছি যে, তোমাদের উপর একদিন বেদনাদায়ক ‘আযাব আসবে। সূরা হুদ ১১:২৬

৭/ তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে। সূরা তওবা ৯:৩২

৮/ আর যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাদের নাপাকীর উপর আরো নাপাকী বাড়িয়ে দেয়, আর তাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। সূরা তওবা ৯:১২৫

৯/ যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে? সূরা আন নামাল ২৭:৮৪

১০/ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে খুব ভাল ক’রেই জানেন। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে তাদের কাজকর্মের জন্য দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি। সূরা আল ইসরা ১৭:৫৪

১১/ অথচ এ পথই তোমার প্রতিপালকের সরল-সঠিক পথ, যারা নাসীহাত গ্রহণ করে আমি তাদের জন্য নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করে দিয়েছি। সূরা আল ইমরান ৩:১২৬

১২/ আল্লাহ্ই আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সুদৃঢ় পথ। সূরা মারইয়াম ১৯:৩৬

‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের অনুসরণ করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ করুন। সূরা আল ইমরান ৩:৫৩

AnamulHoque

আল কুরআন কাদের উপর নাযিল হয়েছে:

💎 আল কুরআন কাদের উপর নাযিল হয়েছে:

রসূলের নামে প্রচলিত হাদীছের মহেপড়ে আর কতকাল আল কুরআনের প্রতি ঘৃণ্যতা প্রশ্ন করে প্রতিরোধের চেষ্টা করবে।

কুরআন শেখার কথা বলে মাদ্রাসাগুলো যুগের পর যুগ ধরে সাধারন ধর্মভীরু মানুষের নিকট থেকে দান-খয়রাত নিয়ে থাকে (সেই দান এখন বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে; তারা এখন আর আগের মত দরিদ্র জীবন-যাপন করে না; আমজনতাকে হুমকি-ধমকিও দেয়)। বাস্তবে তারা কুরআন পড়ে না; আর কাজেই সমাজে এসে তারা মানুষকে কুরআন না শিখিয়ে ইসলামের নামে ইতিহাসের আবর্জনা উপহার দেয়।

তাদেরই একজন আমাকে প্রশ্ন করেছে – “আপনার নিকট প্রশ্ন হাদীস ছাড়া কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে নাজিল হয়েছে প্রমাণ দিন”।

কুরআন থেকে এর প্রচুর জবাব দেয়ার আছে। আমি সংক্ষেপে লিখেছি –

الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য। -২:২

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
নিঃসন্দেহে আমরাই স্মারকগ্রন্থ (যিকর বা কুরআন) অবতারণ করেছি, আর আমরাই তো এর সংরক্ষণকারী। -১৫:৯

لَقَدْ جَاءَكَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
অবশ্যই এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার প্রভুর নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না। -১০:৯৪

وَإِنَّهُ لَتَنْزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এই কুরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ। -২৬:১৯২

تَنْزِيلُ الْكِتَابِ لَا رَيْبَ فِيهِ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ * أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ بَلْ هُوَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ
এ কিতাবের অবতরণ বিশ্ব পালনকর্তার নিকট থেকে, এতে কোন সন্দেহ নেই। তারা কি বলে, এটা সে মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা তোমার প্রভুর তরফ থেকে সত্য। -৩২:১-৩

وَيَرَى الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ الَّذِي أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ هُوَ الْحَقَّ وَيَهْدِي إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, তারা তোমার প্রভুর নিকট থেকে অবর্তীর্ণ কুরআনকে সত্য জ্ঞান করে এবং এটা মানুষকে পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ আল্লাহর পথ প্রদর্শন করে। -৩৪:৬

وَلَقَدْ جِئْنَاهُمْ بِكِتَابٍ فَصَّلْنَاهُ عَلَى عِلْمٍ هُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
আমরা তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমরা স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। -৭:৫২

لَكِنِ اللَّهُ يَشْهَدُ بِمَا أَنْزَلَ إِلَيْكَ أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا
আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন তিনি যে তা সজ্ঞানেই করেছেন, সে ব্যাপারে আল্লাহ নিজেও সাক্ষী এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষী। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। -৪:১৬৬

فَإِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَكُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا أُنْزِلَ بِعِلْمِ اللَّهِ وَأَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَهَلْ أَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
অতঃপর তারা যদি তোমাদের কথা পুরণ করতে অপারগ হয়; তবে জেনে রাখ, এটি আল্লাহর এলম দ্বারা অবতীর্ণ হয়েছে; আরও একীন করে নাও যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। অতএব, এখন কি তোমরা আত্মসমর্পন করবে? -১১:১৪

পর্ব দুই
উপরের জবাব লেখার পর, আরও একটি জাহেল সওয়াল করেছে- “এই আয়াতগুলো কি আপনার উপর নাযিল হয়েছে না কি মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর?”

নিচে আগেই প্রস্তুতকৃত জবাব দেয়া হল।

শেষনবীর সাথে সাথে আমাদের সকলের উপরও কুরআন নাযিলকৃত (আনঝালনা ইলাইকা…. আনঝালনা ইলাইকুম)!


আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সকল আসমানী বাণী সুনির্দিষ্ট নবীগণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মানবসমাজের সকলের প্রতিই নাযিলকৃত – এ বিষয়ে কুরআনে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ বিদ্যমান। এর অন্যতম উদ্দেশ্য যাতে করে উত্তরাধিকারিত্ব আর দায়িত্বশীলতার প্রশ্নে সকলকে জবাবদিহিতার জায়গায় উপনীত করা যায়।

এতদ্বিষয়ে দীর্ঘ রচনা লেখার সুযোগ থাকলেও আমরা এখানে কতিপয় আয়াত উল্লেখ করে বুঝতে চেষ্টা করব যে, কুরআন কেবলমাত্র শেষ নবীর উপরই নাযিলকৃত মহাগ্রন্থ নয়, তাঁর সাথে আমাদের সকলের উপর নাযিলকৃত আল্লাহর বিধানাবলী।

এক.
খাতামুন নাবিয়্যিনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে (আনঝালনা ইলাইকা/’আলাইকা …)

وَلَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ آَيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَمَا يَكْفُرُ بِهَا إِلَّا الْفَاسِقُونَ
আমরা তোমার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। অবাধ্যরা ব্যতীত কেউ এগুলো অস্বীকার করে না। -২:৯৯

إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ
নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করো, যা আল্লাহ তোমাকে হৃদয়ঙ্গম করান। -৪:১০৫

إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ فَاعْبُدِ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ
আমরা তোমার প্রতি এ কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব, তুমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করো। -৩৯:২

أَوَلَمْ يَكْفِهِمْ أَنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ
এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমরা তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। -২৯:৫১

إِنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّ
নিঃসন্দেহে আমরা তোমার কাছে মহাগ্রন্থ অবতারণ করেছি মানবজাতির জন্য সত্যের সাথে। -৩৯:৪১

দুই.
আবার একই বক্তব্য আমাদেরকে তথা মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করেও বহুবার, বহুভাবে বলা হয়েছে (আনঝালানা ইলাইকুম …)। এখানে কতিপয় দৃষ্টান্ত পেশ করা হল।

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمْ بُرْهَانٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ نُورًا مُبِينًا
হে মানবকুল! তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সনদ পৌঁছে গেছে। আর আমি তোমাদের প্রতি প্রকৃষ্ট আলো অবতীর্ণ (নাযিল) করেছি। -৪:১৭৪

لَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ كِتَابًا فِيهِ ذِكْرُكُمْ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
আমরা অবশ্যই তোমাদের কাছে অবতারণ (নাযিল) করেছি এক মহাগ্রন্থ যাতে রয়েছে তোমাদের যিকর (কথা); তোমরা কি তবে বুঝবে না? -২১:১০

وَلَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ آَيَاتٍ مُبَيِّنَاتٍ وَمَثَلًا مِنَ الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُمْ وَمَوْعِظَةً لِلْمُتَّقِينَ
আর আমরা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ, তোমাদের পূর্ববর্তীদের কিছু দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহ ভীরুদের জন্যে দিয়েছি উপদেশ। -২৪:৩৪

এরূপ আরও আছে-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের রব্বের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুমিনদের জন্য। -১০:৫৭

আর মুমিনগণ রাসূলের মাধ্যমে তাদের সবার প্রতি নাযিলকৃত সেই কিতাবে পূর্ণ বিশ্বাস পোষণ করে, তার স্বীকৃতিও কুরআনে আছে।

وَالَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَآَمَنُوا بِمَا نُزِّلَ عَلَى مُحَمَّدٍ وَهُوَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ
আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে, আর বিশ্বাস করছে তাতে যা মুহাম্মদের কাছে অবতীর্ণ হয়েছে- আর সেটিই হচ্ছে তাদের প্রভুর কাছ থেকে আগত মহাসত্য। -৪৭:২

কুরআনের প্রতি যে প্রেম – ভালোবাসা – ভক্তি থাকার কথা ছিল, তা আমরা অপাত্রে দান করে গর্হিত পরকীয়া কর্মে লিপ্ত আছি বিধায় কুরআনের এই শাশ্বত সত্যগুলো আমাদের চোখে পড়ছে না – এটা অত্যন্ত আফসোস আর পরিতাপের বিষয়।

কুরআন নাযিলের এই গৌরবের ক্ষেত্রে মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ তা’য়ালা এই যে আমাদেরকেও যুক্ত করেছেন, তা আমাদের মাথায় থাকতে হবে – তাহলে যেমন আমরা তার জন্য গর্ব ও আনন্দ অনুভব করব, তেমনি কুরআনের যথার্থ উত্তরাধিকারিত্ব গ্রহণের দায়িত্ববোধও আমাদের মাঝে তৈরি হবে, ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ!

Sourse.fbfd

Introduction of Quran

📗 কুরআন থেকে কুরআনের পরিচয়
নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন (৫৬:৭৭)

লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত (৫৬:৭৮) (৪৩:৪)

নাজিল হয়েছে আল্লাহর পক্ষ হতে (৬৯:৪৩) (৫৬:৮০)

নাজিল হয়েছে জিব্রীলের মাধ্যমে (26-193)

নাজিল হয়েছে রাসুল সাঃ এর অন্তরে (2-97) (26-194)

নাজিল হয়েছে আরবি ভাষায় (26-195)

নাজিল হয়েছে ধীরে ধীরে (25-32) (17-106)

কুরআন রাসূলের মুখের বানি (69-40) (81-19)

কুরআন নাজিল হয়েছে রমজান মাসে (2-185)

কুরআন নাজিল হয়েছে সম্মানিত রাত্রে (44-3)

কুরআন নাজিল হয়েছে বরকতময় রাত্রে (97-1)

কুরআন আল্লাহ্ জমা করেছেন (75-17)

আল্লাহ্ নিজেই ব‍্যাখ‍্যা করেছেন (75-19)

আল্লাহ্ নিজেই তফসীর করেছেন (25-33)

আল্লাহ্ কিতাব নাজিল করেছেন (6-155)(4-105+236)

আল্লাহ্ কুরআন নাজিল করেছেন (6-19) (12-3)

এটাই কুরআন ও কিতাব (27-1)(41-2+3)(43-2+3)

এই কিতাব আল্লাহ্ নাজিল করেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই (32-2)(2-2)

এই কুরআন মানা আল্লাহ্ ফরজ করেছেন (28-85)

মুনকারীনে কুরআন হওয়া হারাম (21-50)

এই কুরআন একমাত্র হেদায়েতের কিতাব (2-2) (17-9)

দীনের জন্য কুরআন ছাড়া অন‍্য কিতাব মানা শির্ক (2-79) (3-78)

এভাবেই আল্লাহ্ আমাদের জন্য একমাত্র হেদায়েতের বানি কুরআনুল কারীম হেফাজত করেছেন (15-9)

আল্লাহ্ বলেন, তিনি যা করেন, তৎসম্পর্কে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে।
(সূরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ২৩)

আমরা আল্লাহর দাস। আমাদের একটাই কাজ শুধু শুনলাম ও মানলাম । আল্লাহ্ বলেন, মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম। (আন-নূর, আয়াতঃ ৫১)

কুরআন ব্যাখ্যার দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহর (৭৫:১৯)

আর আল্লাহ কুরআনেই কুরআনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন! (৩:১৩৮)

বার্তাবাহক এর দায়িত্ব বার্তা (কুরআন) পৌছে দেন। (৫:৬৭)

আমার প্রতি যা নাযিল করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’।(৪৬:৯)

বিধান একমাত্র আল্লাহরই। (১২:৪০)

তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি কাউকে শরীক করেন না।(১৮:২৬)

আল্লাহ বলেন, আমি কিতাবে কোন ত্রুটি করিনি। (৬:৩৮)

পড় তোমার রবের নামে। (৯৬:১)

এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। ২:২

বিধান দাতা আল্লাহ, ১২;৪০/১৬;৫১

দ্বীনের বিধান হল এক মাত্র কুরআন ২১:১০/২৯:৫১/১২:১১১/৬৮:৪৪/২৯:৫১/৬:১১৪,১৫৫/২০:৯৯,১০১/ ৩৯:২৩/৬:১৫৫/৫:৪৬/৭:৩/৭;৩৬/৫৪:১৭,২২,৩২,৪০/৮১:২৭/১৭৯/৭২:১৭/

এই কুরআনকেও আল্লাহ হাদীস বলেছেন। ৩৯:২৩/১২:১১১/৬৮:৪৪/৪৫:৬/৭:৩৬/৫৬;৮১/৫৬;৮২/

কুরআনের বাইরে যা কিছু দ্বীনের বিধান হিসেবে আছে তা হল লাহুয়াল হাদীস (অবান্তর হাদীস)। ৩১:৬/২:৭৯/৩:৭৮

নাজিলকৃত বিধান দ্বারা যারা দ্বীনের বিষয়ে ফয়সালা করে না তারা জালেম,ফাসেক, কাফের, ৫:৪৪,৪৫,৪৭

নাজিলকৃত বিধান দিয়ে ফয়সালা দিতে হবে, ৫;৪৮

কুরআন হল সর্ব শ্রেষ্ঠ সত্য হাদীস,৩৯:২৩

আল্লাহর নেয়ামতের হাদীস প্রকাশ করুন ৯৩;১১

আল্লাহর চাইতে সত্য হাদীস কার? ৪;৮৭

কুরআন যথেষ্ঠ ২৯:৫১

নবী নিজেই কুরআন লিপিবদ্ধ করেন ৷

নবী নিজেই কুরআন লিপিবদ্ধ করেন ৷

নবীর জন্মের বহু আগ থেকে লিখন পদ্ধতি চালু হয়,
কুরআনের আগে বা পরে তিনি অন্য কোন কিতাব নিজ হাতে লেখেনি, শুধু কুরআনই লিখেছেন ৷ এর আগে বা পরে কোন গ্রন্থ্য নয়!
প্রমানগুলো ভালকরে লক্ষ করুন…….

① প্রথম প্রমান__

সূরা আল আনকাবূত (العنكبوت), আয়াত: ৪৮
ইতিপূর্বে (কুরআনের আগে) আপনি কোন কিতাব পড়তেন না এবং স্বহস্তে লিখতেনও না, যদি এমনটি হতো, তাহলে মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করতে পারতো।

② দ্বিতীয় প্রমান_

সূরা আল আনকাবূত (العنكبوت),আয়াত:৪৫
আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং সালাত প্রতিষ্টা করুন। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর ৷

★ কাগজে লিপিবদ্ধ করার আগে নবীজিকে কোন কিতাব থেকে তেলাওয়াত করতে বলেছেন???

☞ লেখা বা লিখিত ব্যাপারটা নবীর পুর্ব থেকে প্রচলন ছিল! এবং আল্লাহ লেখার ব্যাপারে বলেছেন ৷

③ তৃতীয় প্রমান দেখুন…..
২:২৮২ আয়াতে ঋনগ্রহিতা, দাতার ঋন লিখে রাখার নির্দেশ!!
সুরা আরাফ,৭ নাম্বার আয়াতে তাওরাত ও ইঞ্জিল গ্রন্থের লিখিত রুপের কথা বলা হয়ে ৷ লিখিত না হলে সেগুলো ছিল কিভাবে?

আরও প্রমানের জন্য আয়াতগুলো মন দিয়ে পড়ুন ৷ আয়াতে লিখন পদ্ধতির ব্যাবহার পরিস্কার_

ⓐ সূরা আল কাহফ (الكهف), আয়াত: ১০৯
বলুনঃ আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও।

ⓑ সূরা আল আম্বিয়া (الأنبياء), আয়াত: ১০৪
সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, যেমন গুটানো হয় লিখিত কাগজপত্র। যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমাকে তা পূর্ণ করতেই হবে।

ⓒ সূরা আল হাজ্জ্ব (الحجّ), আয়াত: ৭০
তুমি কি জান না যে, আল্লাহ জানেন যা কিছু আকাশে ও ভুমন্ডলে আছে এসব কিতাবে লিখিত আছে। এটা আল্লাহর কাছে সহজ।

Fb

Quran vs Hadith

🟩🟩দেশের ৬ জন বিজ্ঞ আলেমদের কাছে আমার প্রশ্ন, “বর্তমানে যেসব সহীহ হাদীসের কিতাব পাওয়া যাচ্ছে সব কি আল্লাহর কাছ থেকে নাজিল হয়েছে? আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল কি তা অনুমোদন করেছেন?”

✅✅আমার উত্তর: না (রেফারেন্স:- সমগ্র কুরআনে এমন একটি আয়াতও নেই যেখানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অনুমোদন করেছেন, বরং নিষেধ করেছেন, ইসলামের উৎস হিসেবে কুরআনের বাইরে সহীহ হাদীসের কোনো অজানা বই অনুসরন করতে , রেফারেন্স: = (2:79 ,3:78,5:3,7:3)

🟩কুরআন আল্লাহর দেওয়া সর্বশেষ গ্রন্থ এবং কুরআন বাদে কিছুই অনুসরন করা যাবে না আল্লাহ বা রসুল সঃ এর অনুগত্য করতে।দলিল 5:3 & 7:3

সূরা ৫. আল-মায়েদা আয়াত নং ৩
অনুবাদঃআজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে।

সূরা ৭. আল-আ’রাফআয়াত নং ৩
অনুবাদঃ তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর। -(আল-বায়ান)

🟩প্রত্যেক নবিকে সঠিক বিচারের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে যাকে বলা হয় হিকমাহ!দলিল 4:54

সূরা ৪. আন-নিসা আয়াত নং ৫৪
অনুবাদঃ বরং তারা কি লোকদেরকে হিংসা করে, আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে? তাহলে তো আমি ইবরাহীমের বংশধরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব। -(আল-বায়ান)

🟩কুরআনের খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা করার জন্য আল্লাহ কোন বই দেননি!দলিল 10:37

সূরা ১০. ইউনুস আয়াত নং ৩৭
অনুবাদঃ এ কুরআন তো এমন নয় যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ তা রচনা করতে পারবে; বরং এটি যা তার সামনে রয়েছে, তার সত্যায়ন এবং কিতাবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা সৃষ্টিকুলের রবের পক্ষ থেকে। -(আল-বায়ান)

🟩কেউ যদি কুরআনের বাইরে আল্লাহর নামে কিছু চালিয়ে যায় তবে তা মিথ্য।দলিল 3:78-79 এবং 2:79,

সূরা ৩. আলে-ইমরান আয়াত নং ৭৮-৭৯
অনুবাদঃ তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা নিজদের জিহবা দ্বারা বিকৃত করে কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা সেটা কিতাবের অংশ মনে কর, অথচ সেটি কিতাবের অংশ নয়। তারা বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, অথচ তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। আর তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে, অথচ তারা জানে। –
কোন মানুষের জন্য সংগত নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, হিকমাত ও নবুওয়াত দান করার পর সে মানুষকে বলবে, ‘তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার বান্দা হয়ে যাও’। বরং সে বলবে, ‘তোমরা রববানী হও। যেহেতু তোমরা কিতাব শিক্ষা দিতে এবং তা অধ্যয়ন করতে’। -(আল-বায়ান)

সূরা ২. আল-বাকারা আয়াত নং ৭৯
অনুবাদঃ সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস। -(আল-বায়ান)

🟩কুরআনকে অন্য কোন গ্রন্থের সাথে মিশিয়ে একত্রে গ্রহণ করা যাবে না এবং কোন দলকে অনুসরণ করা যাবে না।দলিল 3:71, 3:100

সূরা ৩. আলে-ইমরান আয়াত নং ৭১
অনুবাদঃ হে কিতাবীরা, কেন তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করছ এবং সত্যকে গোপন করছ, অথচ তোমরা তা জান? -(আল-বায়ান)

সূরা ৩. আলে-ইমরান আয়াত নং ১০০
অনুবাদঃ হে মুমিনগণ, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তোমরা যদি তাদের একটি দলের আনুগত্য কর, তারা তোমাদের ঈমানের পর তোমাদেরকে কাফির অবস্থায় ফিরিয়ে নেবে। -(আল-বায়ান)

🟩আলেম সমাজ তাদের অঙ্গীকার ভুলে গেছে সম্ভবত। দলিল 3:187

সূরা ৩. আলে-ইমরান আয়াত নং ১৮৭
অনুবাদঃ আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ কিতাবপ্রাপ্তদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, ‘অবশ্যই তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না’। কিন্তু তারা তা তাদের পেছনে ফেলে দেয় এবং তা বিক্রি করে তুচ্ছ মূল্যে। অতএব তারা যা ক্রয় করে, তা কতইনা মন্দ! -(আল-বায়ান)

🟩কুরআন বুঝার পর কুরআন দিয়ে বিচার করে তাওরাত, জাবুর ও ইঞ্জিলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়।দলিল 4:47

সূরা ৪. আন-নিসা আয়াত নং ৪৭
অনুবাদঃ হে কিতাবপ্রাপ্তগণ, তোমরা ঈমান আন, তার প্রতি যা আমি নাযিল করেছি তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে। আমি চেহারাসমূহকে বিকৃত করে তা তাদের পিঠের দিকে ফিরিয়ে দেয়া অথবা তাদেরকে লা‘নত করার পূর্বে যেমনিভাবে লা‘নত করেছি আসহাবুস্ সাবতকে* । আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়েই থাকে। -(আল-বায়ান)

সূরা ৪. আন-নিসা আয়াত নং ১৩৬
অনুবাদঃ হে মুমিনগণ, তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসূলের প্রতি এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন। আর যে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং শেষ দিনকে অস্বীকার করবে, সে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত হবে। -(আল-বায়ান)

🟩যদি কেউ কুরআন অনুসরণ না করে শুধু কালেমা পাঠ করে এবং সাক্ষ্য দেয় যে তিনি রাসুল (সাঃ) এর উম্মত, তাহলে তিনি জান্নাত পাবেন এমন গ্যারান্টি নিশ্চিতভাবে মিথ্যা, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে আমাদেরকে জান্নাত দেওয়া হবে না।দলিল 4:123

সূরা ৪. আন-নিসা আয়াত নং ১২৩
অনুবাদঃ না তোমাদের আশায় এবং না কিতাবীদের আশায় (কাজ হবে)। যে মন্দকাজ করবে তাকে তার প্রতিফল দেয়া হবে। আর সে তার জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। -(আল-বায়ান)

Saim Shahariar Saim Shahariar

Fb

9:111-আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেনআল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন

মুসলিম সংবিধান।
পোস্ট নং ১২৬/২১
বেহেশত কি ভাবে ক্রয় করতে হবে উহার বিবরণ।

اِنَّ اللّٰهَ اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَهُمۡ وَ اَمۡوَالَهُمۡ بِاَنَّ لَهُمُ الۡجَنَّۃَ ؕ یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ فَیَقۡتُلُوۡنَ وَ یُقۡتَلُوۡنَ ۟ وَعۡدًا عَلَیۡهِ حَقًّا فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ وَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ وَ مَنۡ اَوۡفٰی بِعَهۡدِهٖ مِنَ اللّٰهِ فَاسۡتَبۡشِرُوۡا بِبَیۡعِکُمُ الَّذِیۡ بَایَعۡتُمۡ بِهٖ ؕ وَ ذٰلِکَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۱۱۱﴾

নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ ওয়াদা পূরণে আল্লাহর চেয়ে অধিক কে হতে পারে? সুতরাং তোমরা (আল্লাহর সংগে) যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং সেটাই মহাসাফল্য। ৯:১১১

সারাংশঃ
বেহেশত আমরা কি ভাবে ক্রয় করবো?
আল্লাহ তায়ালা সূরা তাওবার ১১১ নং আয়াতে বেহেশত বিক্রয়ের দরপত্র আহবান করেছেন এবং দরপত্রের মূল্যও দিয়ে দিয়েছেন তা হলো—
প্রথমত আমার স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ, রোপ্য, নগদ টাকা পয়সা, মুদ্রা, ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ,নগদ একাউন্ট, সঞ্চয় পত্র, ইত্যাদিতে আমার যত অর্থ আছে সব আল্লাহর জন্য দান করে দিতে হবে। বাকী আছে আমার জান।
দ্বিতীয়ত মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার
জন্যে প্রয়োজনে আমার জানটাও উৎসর্গ করে দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়ম নীতির মাধ্যমে জীবন দিয়েদিতে হবে। তা হলো আমি সেনা, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বহিরাগত শত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য তাদের সাথে যুদ্ধ করে আমার জীবটা দিয়ে দিতে আমার কোন দ্বিধা বোধ থাকতে পারবেনা।

আমার জান মাল সব কিছুর বিনিময় আমি যে বেহেশত পেলাম অর্থাৎ, আল্লাহর সাথে আমার যে লেন দেন হলো এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয়। এতে আমি ঠকি নাই। বরং আমি জিতেছি। এটাই আমার সাফল্য।

আমরা দুনিয়াতে খালি হাত নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি আবার দুনিয়া থেকে যাওয়ার সময় খালি হাত নিয়েই যাব। মাঝ খানে আল্লাহই আমাদেরকে সম্পদের মালিক বানায়েছেন। আল্লাহর দেওয়া সম্পদ আল্লাহর ওয়াস্তে দান করলে এর বিনিময় আল্লাহ আমাদেরকে আবার বেহেশতের মালিক বানায়ে দিবেন। অর্থাৎ, যার সম্পদ তাকে দিয়ে দিলাম মাঝ খানে আমি বেহেশতের মালিক হলাম এর চেয়ে বড় খুশি আর কি হতে পারে?
সুতরাং আমরা আল্লাহর সাথে বেহেশত ক্রয়ের এ লেনদেন আনন্দের সাথে করবো।

মোটকথাঃ বেহেশত পেতে হলে আমার সম্পূর্ণ অর্থ সম্পদ আল্লাহর ওয়াস্তে দান করে দিতে হবে, আমার জন্য আমার পকেটে এক পয়সাও রাখা যাবেনা এবং সর্বশেষ প্রয়োজন হলে আমার জীবনটাও
আল্লাহকে দিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ, আমিত্ববোধ বলতে কিছুই থাকতে পারবেনা। কেননা আল্লাহ তায়ালা আমার জান ও মাল জান্নাতের বিনিময় ক্রয় করেছেন। আমার জন্যে জান্নাত ছাড়া আর কিছুই থাকছেনা।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন —

اِنَّ اللّٰهَ اشۡتَرٰی مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَنۡفُسَهُمۡ وَ اَمۡوَالَهُمۡ بِاَنَّ لَهُمُ الۡجَنَّۃَ

নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে
জান্নাত।
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা মুমিনের নিকট জান্নাত বিক্রয় করবেন মুমিনের সম্পদ এবং জীবনের বিনিময়।

এক কথায় টাকা দিয়ে বেহেশত ক্রয় করতে হবে।
এ টাকা কার কাছে কোন ঠিকানায় দিবেন?

এ টাকা এতিম মিসকিন (অসহায় মানুষ) এর নিকট দিবেন। এরা হলো আল্লাহর নিকট অর্থ পাঠানোর ঠিকানা।

এ ঠিকানায় দিলেই আল্লাহ পেয়ে যাবেন।

বেহেশতের দাম কত?

বেহেশতের দাম কাস্টমার হিসেবে ঠিক করা হয়েছে।

যে কাস্টমারের নিকট কোটি টাকা আছে তার কাছে কোটি টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।

যে কাস্টমারের নিকট লক্ষ টাকা আছে তার কাছে লক্ষ টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।

যে কাস্টমারের নিকট হাজার টাকা আছে তার কাছে হাজার টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।

যে কাস্টমারের নিকট শত টাকা আছে তার কাছে শত টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।

যে কাস্টমারের নিকট এক টাকা আছে তার কাছে এক টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। এর কমে তার কাছে বেহেশত বিক্রি করবেন না।

যে কাস্টমারের নিকট শূন্য টাকা আছে তার কাছে শূন্য টাকায় বেহেশত বিক্রয় করা হবে। কেননা সম্পদ পুঞ্জিভূত ও আগলে রাখলে তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত।

আমি সব টাকা আল্লাহকে দিয়ে দিলে আমি কি ভাবে চলব আমার সংসার কি ভাবে চলবে?

এ প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ প্রথমেই দিয়ে দিয়েছন। তিনি বলেছেন আমি বেহেশত মুমিনের কাছে বিক্রয় করবো, কোন কাফির, মুনাফিক ও মুশরিকের কাছে বিক্রয় করব না।

মুমিন তো আল্লাহর প্রতি এত টুকু বিশ্বাস থাকতে হবে যে আল্লাহ আজকে আমাকে ও আমার পরিবারকে রিযিক সরবরাহ করেছেন, আগামী দিনও সে আল্লাহ আমাদেরকে রিযিক সরবরাহ করবেন।
আল্লাহ তায়ালার প্রতি যার এতটুকু বিশ্বাস নেই সেতো মুমিনই নয়। সে তো কোটি টাকা দিলেও তার কাছে আল্লাহ তায়ালা বেহেশত বিক্রি করবেন না।

  • তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে।
    সকল আসমানী কিতাবে বেহেশত ক্রয়ের নীতিমালা একই যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্যঃ ইবাদত বন্দেগী তথা নামাজ, রোযা, হজ্ব, পর্দা ও যিকির ইত্যাদি দ্বারা বেহেশত বেচাকেনা হয়না। বেহেশত বেচাকেনা হয় জীবন দিয়ে ও টাকা দ্বারা। আমরা যারা ইবাদত দ্বারা বেহেশত ক্রয় করার চিন্তা ভাবনা করছি। আমাদের এ চিন্তা ভাবনা ভুল।
এখনো সময় আছে আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করে নিই।
অপর দিকে আমরা যারা হরতাল অবরোধ
করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বা প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যাচিছ আমরা নিজেকে শহিদ বলে গর্ববোধ করে বেহেশতের দাবিদার মনে করছি। আমাদের এ চিন্তা ভাবনাও ভুল। কেননা হরতাল অবরোধ এগুলো আল্লাহর রাস্তা নয়। এগুলো দুনিয়া হাসিলের বিভিন্ন পন্থা।
বিঃ দ্রঃ مال মাল শব্দটি عام আম শব্দ (ব্যপকতা অর্থে) ব্যবহৃত হয়। এখানে “মাল” শব্দ দ্বারা যত প্রকারের অর্থ সম্পদ আছে সব গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নবী (সঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে কুরআন মাফিক ফয়সালাঃ

নবী (সঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে কুরআন মাফিক ফয়সালাঃ
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেকেই বলে, নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে রসূলের সুন্নাহে ( বিধান ১৭ঃ৭৭) তথা হাদীসকে দ্বীনের দলিল হিসাবে রেখে গেছেন। তাদের এই কথা ঠিক নহে। কারণ নবী (সঃ) দ্বীনের ক্ষেত্রে একটি কথাও নিজের তরফ থেকে বা মনগড়াভাবে বলেন নাই ৫৩ঃ৩। তাঁর প্রতি যা ওহী নাযিল হত দ্বীনের ক্ষেত্রে তিনি শুধু তাই ব্যক্ত করেন ৫৩ঃ৪। তিনি কোন কিছু আল্লাহর নামে বানিয়ে বলেন নাই ৬৯ঃ৪৪। যদি আল্লাহর নামে কোন কিছু বানিয়ে বলতেন তাহলে আল্লাহ তাঁর দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতেন ৬৯ঃ৪৫ এবং তাঁর জীবন ধমনী কাটিয়ে দিতেন ৬৯ঃ৪৬। তাছাড়া তিনি ওহী ব্যতিত দ্বীনের ক্ষেত্রে কাউকে সতর্ক করেন নাই ২১ঃ৪৫। আর নবী (সঃ) ওহী ব্যতিত কোনকিছু অনুসরণও করেন নাই ৬ঃ৫০/১০ঃ১৫ -১৬/৬১/৬ঃ১৯/৪২ঃ৭/ ২১ঃ৪৫/ ৬৯ঃ৪২-৪৯/ ৫৩ঃ২-৬/২৮ঃ৮৭-৮৮/ ৩৮ঃ৮৬/ ৩৩ঃ২/ ৭ঃ২’২০৩/ ৮৪ঃ২০-২৪/ ৪৬ঃ৯-১০/ ৬ঃ৫১/ ১১৫/ ১০৬/৫০ঃ৪৫/ ৪৩ঃ৪৩-৪৪/১৭ঃ৭৩-৭৫/৭২ঃ১৯-২৮/ ৭২ঃ২-৫।
আর আল্লাহ তো নবী (সা.)-এর জন্য এই কুআরনকে বিধান হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন ২৮ঃ৮৫। আর নবী (সঃ)-কে আল্লাহ বলেন, তুমি ওহিকে অবলম্বন কর ৪৩ঃ৪৩। আর তিনি তো প্রভুর স্পষ্ট প্রমাণের উপর অর্থাৎ ওহীর উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৬ঃ৫৭। কারণ দ্বীনের বিষয়ে কুরআনই পরিপূর্ণ দলিল ৫ঃ৩। কারণ সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে আল্লাহর কথাই পরিপূর্ণ ৬ঃ১১৫। অতএব, দ্বীনের বিষয়ে যারা কুরআন মাফিক বিধান দেয় না তারা যালিম, ফাসিক ও কাফির ৫ঃ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই নবী (সঃ) কুরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

তবে এক শ্রেণীর লোক নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণকে বিকৃতভাবে বর্ণনা করেছে। বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) সেই দুইটি বিষয়ের কথাই উল্লেখ করে বলেছেন, যে দুইটি বিষয় সূরা মায়েদার ৪৮ নং আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে জানিয়েদিয়েছেন।

“লিকুল্লী যাআলনা মিনকুম শির আতা ওয়া মিনহাজা” ৫ঃ৪৮ । এখানে উল্লেখ্য যে,” শির আতা” অর্থ ধর্মীয় আইন (আরবী অভি. পৃ. নং-১৫২০)।
“মিনহাজার ” আভিধানিক অর্থ হচ্ছে প্রকাশ্য রাস্তা (আরবী অভি. পৃ. নং- ২৩১২)। উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি ধর্মীয় আইন (কুরআন) এবং (আল্লাহ প্রাপ্তির) প্রকাশ্য রাস্তা। অর্থাৎ এই দুইটি বিষয় হচ্ছে (১) আল্লাহর বিধান যেটা কিতাবউল্লাহ, অর্থাৎ এই কুরআন। (২) অপরটি হচ্ছে মিনহাজা। অর্থাৎ আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ। যে পথটা বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান ভিত্তিক দর্শনের যুগেও মানুষের কাছে অজানা। আর আল্লাহ বলেন, অজানা বিষয়টি রসূল তোমাদেরকে শিক্ষা দিবেন ২ঃ১৫১। এই জন্য মুমিনদের মধ্য থেকেই মুমিনদের কাছে রসূল পাঠাই ৩ঃ১৬৪/ ২৪ঃ৫৫। এইজন্য প্রত্যেক নবীর কাছ থেকে এই মর্মে অঙ্গীর নিয়েছেন তোমার (শেষাংশে) কাছে একজন রসূল যাবে, তাকে তুমি রিশ্বাস করবে এবং (রিসালাত দিয়ে) সাহায্য করবে ৩ঃ৮১। এই অঙ্গিকার অনুসারে প্রত্যেক নবীর শেষাংশে বিশ্বস্তদের মধ্যথেকে একজনকে রেসালাতের ভার দিয়ে রসূল হিসাবে রেখে গেছেন। যার মধ্যে আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ নিহিত আছে। অতএব বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) দুটি বিষয় রেখে গেছেন (১) কিতাবুল্লাহ অর্থাৎ কুরআন (২) রসুল যেটা আল্লাহ প্রাপ্তির স্পষ্ট পথ যেটা মিনহাযা বলে উল্লেখ করা হযেছে অর্থাৎ আহলে বাইতের কথা বলা হয়েছে।এই আহলে বাইত হল নবীর আদর্শিক বংশধর। । অতএব বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) কুরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

মোঃ নজরুল ইসলাম = ২০–০৪–২০১৯ খ্রীঃ।

Who is kafir.bn

By M Badsha fbfd

সিয়ারা বলছে সুন্নিরা কাফের,।
সুন্নিরা বলছে সিয়ারা কাফের,।
মাজহাবিরা বলছে ওহাবিরা কাফের।

ওহাবিরা বলছে মাজহাবিরা কাফের।

আর আল্লাহ বলছেন আয়াত

অস্বীকারকারীরা কাফের।

হে দুনিয়ার ——-
১।, সিয়া,
২।সুন্নি,
৩।হানাফি,
৪।হাম্বলি,
৫।সাফেঈ,
৬।মালেকি,
৭।আহলে হাদিস,
৮।আহলে সুন্নাত
৯।তরিকত
১০।হকিকত
১১।শিচতিয়া
১২।নকশবন্দিয়া
১৩।দেওবন্দিয়া,
১৪।মাজার পূজারি
১৫।পীর পূজারি,
ভাইয়েরা,,,,,,,,
তোমাদের কল্যানকামী এক ভাই আহ্বান করছে,
তোমরা সকল আগাছা পরিত্যাগ করে,
আল্লাহর রুজ্জু (কুআনকে)মজবুত করে ধারন কর, দলে দলে বিভক্ত হয়ো না।
এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা বুজতে।

‘নিশ্চয় আমি তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন’।
হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যেমনভাবে করা উচিৎ এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যু বরণ করনা।

…..

কারা মুসলিম আল্লাহ কাকে মুসলিম বলেছেন,

An-Naml 27:81)
وَمَآ أَنتَ بِهَٰدِى ٱلْعُمْىِ عَن ضَلَٰلَتِهِمْۖ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِـَٔايَٰتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ

আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই মুসলিম।

Ar-Rum 30:53)
وَمَآ أَنتَ بِهَٰدِ ٱلْعُمْىِ عَن ضَلَٰلَتِهِمْۖ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِـَٔايَٰتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ

আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলিম।

Az-Zukhruf 43:68-69)
يَٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ
ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا وَكَانُوا۟ مُسْلِمِينَ

হে আমার বান্দাগণ, আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা চিন্তিতও হবে না।
যারা আমার আয়াতে ঈমান এনেছিল এবং তোমরা মুসলিম ছিলে।

~~~~
আর কারা আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করে দেখুন,

Al-‘Ankabut 29:47)
وَكَذَٰلِكَ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَۚ فَٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يُؤْمِنُونَ بِهِۦۖ وَمِنْ هَٰٓؤُلَآءِ مَن يُؤْمِنُ بِهِۦۚ وَمَا يَجْحَدُ بِـَٔايَٰتِنَآ إِلَّا ٱلْكَٰفِرُونَ

এভাবেই আমি আপনার প্রতি কিতাব অবর্তীণ করেছি। অতঃপর যাদের কে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, তারা একে মেনে চলে এবং এদেরও কেউ কেউ এতে বিশ্বাস রাখে। কেবল কাফেররাই আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে।

Al-An’am 6:33)
قَدْ نَعْلَمُ إِنَّهُۥ لَيَحْزُنُكَ ٱلَّذِى يَقُولُونَۖ فَإِنَّهُمْ لَا يُكَذِّبُونَكَ وَلَٰكِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ يَجْحَدُونَ
আমি অবশ্যই জানি যে, তারা যা বলে তা তোমাকে দুঃখ দেয়। কিন্তু তারা তো তোমাকে অস্বীকার করে না, বরং যালিমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।

Al-‘Ankabut 29:49)
بَلْ هُوَ ءَايَٰتٌۢ بَيِّنَٰتٌ فِى صُدُورِ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْعِلْمَۚ وَمَا يَجْحَدُ بِـَٔايَٰتِنَآ إِلَّا ٱلظَّٰلِمُونَ

বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে তা সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর যালিমরা ছাড়া আমার আয়াতসমূহকে কেউ অস্বীকার করে না।

Luqman 31:32)
مَا يَجْحَدُ بِـَٔايَٰتِنَآ إِلَّا كُلُّ خَتَّارٍ كَفُورٍ
বিশ্বাসঘাতক ও কাফির ব্যক্তি ছাড়া কেউ আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করে না।

Fussilat 41:27-28)
فَلَنُذِيقَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ عَذَابًا شَدِيدًا وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَسْوَأَ ٱلَّذِى كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ
ذَٰلِكَ جَزَآءُ أَعْدَآءِ ٱللَّهِ ٱلنَّارُۖ لَهُمْ فِيهَا دَارُ ٱلْخُلْدِۖ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا يَجْحَدُونَ

সুতরাং আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে কঠিন আযাব আস্বাদন করাব এবং আমি অবশ্যই তাদের কাজের নিকৃষ্টতম প্রতিদান দেব।
এই আগুন, আল্লাহর দুশমনদের প্রতিদান। সেখানে থাকবে তাদের জন্য স্থায়ী নিবাস তারা যে আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করত তারই প্রতিফলস্বরূপ।

আল কুরআন অর্থ না বুঝে পড়া চরম গুনাহ

আল কুরআন অর্থ না বুঝে বা বুঝার উদ্দেশ্য ছাড়া পড়া চরম গুনাহ (Edited)

By.S Zauhar see fbgp link.

  • শওকত জাওহার

১. আল্লাহ কুরআন কিরায়াতের (পাঠের) নির্দেশ দিয়েছেন (৯৬:১, ১৬:৯৮)। আর কিরায়াত/পাঠ বলতে ‘বুঝে পড়া’ বুঝায়, না বুঝে পড়া নয়। তাই আল্লাহর আদেশ হচ্ছে ‘বুঝে বুঝে কুরআন পড়’। ‘না বুঝে বুঝে কুরআন পড়’ নয়। এমতাবস্থায় যারা বুঝার উদ্দেশ্য ছাড়া কুরআন পড়ে তারা আল্লাহর আদেশ লংঘনকারী তথা গুনাহগার। ‘কিরায়াত’/ পাঠ বলতে বুঝে পড়া বুঝায়, তার প্রমাণ, ১৭:১৪ আয়াতে বলা হয়েছে, “তোমার আমলনামা কিরায়াত/পাঠ কর, তোমার হিসেবের জন্য তুমি যথেষ্ট”। যদি পাঠ মানে না বুঝে পড়া হয়, তাহলে কিভাবে সে তার হিসাবের জন্য যথেষ্ট হবে?
.
২. আল্লাহ বলেছেন যারা কিতাবের হক্ব আদায় করে তিলাওয়াত/ আবৃত্তি করে তারাই কিতাবের প্রতি মু’মিন/ ঈমানদার, অন্যরা নয় (২:১২১)। কিতাবের একটি হক হচ্ছে কিতাবের তথ্য অনুসারে আমল করা। না বুঝলে আমল করা যায় না। কিতাবের আরেকটি হক হচ্ছে কিতাবের তথ্য প্রচার করা। না বুঝলে তথ্য প্রচার করা যায় না। কিতাবের আরেকটি হক হচ্ছে কিতাবকে সঠিক উচ্চারণে ও আবৃত্তির ভঙ্গিতে পড়া। কারণ ভুল উচ্চারণে ও আবৃত্তির ভঙ্গিতে পড়লে অর্থ বদলে যায়। সুতরাং কিতাবের অন্যতম হক্ব হচ্ছে কিতাবের অর্থ বুঝা। যারা কিতাবের অর্থ বুঝার উদ্দেশ্য ছাড়া পড়ে তারা আল্লাহর ঘোষণা অনুসারে কিতাবের প্রতি প্রকৃত ঈমানদার নয়।
.
৩. ৪৭:২৪ আয়াতে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর/ উপাত্ত বিন্যাসের মাধ্যমে তথ্য নির্ণয় বা তথ্যগত সিদ্ধান্তে পৌঁছার জন্য চিন্তা গবেষণা (৪:৮২) না করার জন্য আল্লাহ প্রশ্ন রেখেছেন যে, তাদের অন্তর কি তালা লাগানো আছে? না বুঝলে চিন্তা গবেষণা করা সম্ভব নয়। না বুঝা এবং চিন্তা গবেষণা না করা হলো আল্লাহর নির্দেশনা লংঘন এবং গুনাহের কাজ।
.
৪. ৬২:৫ আয়াতে কিতাবকে যথাযথভাবে বহন না করাকে (কিতাব ঘরে রাখা/ কিতাবের ধারক বাহক হওয়া অথচ না পড়া অথবা না বুঝে পড়াকে) ঐ গাধার কাজের সমতুল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে যে গাধা পিঠে কিতাব বহন করে অথচ জানে না সে কি বহন করছে। তাহলে এ ধরনের বেবুঝ পাঠ অবশ্যই তিরস্কারযোগ্য ও গুনাহের কাজ।
.
৫. কুরআন নাজিল করা হয়েছে হিদায়াত, হিদায়াতের প্রমাণ ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী হিসেবে (২:১৮৫)। যেভাবে পড়লে হিদায়াত পাওয়া যায় না, হিদায়াতের প্রমাণ বুঝা যায় না, সত্য মিথ্যার পার্থক্য জানা যায় না সেভাবে/ অর্থ না বুঝে পড়া গুনাহ।
.
৬. কুরআন নাজিল করা হয়েছে যেন মানুষ কুরআনের আয়াত নিয়ে তাফাক্কুর/ চিন্তা গবেষণা করে কুরআনে বর্ণিত তথ্যের বাস্তব নমুনা জানা ও তার মাধ্যমে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য (২:২১৯, ১৬:৪৪)। সুতরাং অর্থ না বুঝে পাঠ করলে গুনাহ।
.
৭. যারা জ্ঞান অর্জন করে আর যারা জ্ঞান অর্জন করে না, উভয়ে সমান নয় (৩৯:৯)। জ্ঞানে সুস্থির ব্যক্তিরাই (উলামা) আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহর বিধি-বিধানের প্রভাব গ্রহণ করে (৩৫:২৮)। কিতাবের আংশিক বিধান বাস্তবায়ন মানে কিতাবের কিছু অংশের প্রতি ঈমান ও কিছু অংশের প্রতি কুফর (২:৮৫, ৪৭:২৫-২৮)। তাই সমগ্র কিতাবের জ্ঞান অর্জনের জন্য তা পাঠ করতে হবে, অন্যথায় গুনাহ হবে।
.
৮. কুরআনকে সহজ করা হয়েছে এর তথ্য স্মরণ রাখার (বুঝার ও তদনুযায়ী কাজ করার) জন্য। তাই এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে হবে তথা এর উপদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে (৫৪:১৭,২২,৩২,৪০)। না বুঝলে উপদেশ বাস্তবায়ন করা যায় না। তাই না বুঝে পড়া গুনাহ।
.
৯. তার চেয়ে বড় জালিম কে যাকে রবের আয়াত দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় অথচ সে মুখ ফিরিয়ে নেয়? (১৮:৫৭)। (যদি আয়াত না বুঝে তাহলে আয়াত দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয় এবং মানুষ তা থেকে বিমুখ থাকে)। তার চেয়ে বড় জালিম কে যার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো সাক্ষ্য (কোন তথ্যের পক্ষে বা বিপক্ষে আল্লাহর আয়াত) আছে অথচ সে তা গোপন করে? (২:১৪০)। (যে অর্থ বুঝে না সে নিজের থেকে ও অন্যের থেকে কুরআনের সাক্ষ্য গোপন করে)। সুতরাং অর্থ না বুঝে পাঠ করা সবচেয়ে বড় জুলুম বা গুনাহ।
.
১০. কুরআন পাঠ করতে হবে শয়তানের ধোঁকা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে। (১৬:৯৮)। শয়তান চায় মানুষ যেন কুরআন না বুঝে। না বুঝে বা বুঝার উদ্দেশ্য ছাড়া পড়া হচ্ছে শয়তানের উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করা।
.
১১. আসমান-জমিন ও উভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছুই বিনা উদ্দেশ্যে সৃষ্টি বা প্রণয়ন করা হয় নি। বিনা উদ্দেশ্যে সৃষ্টি বা প্রণয়ন করার ধারণা কাফিরদের ধারণা। (৩৮:২৭)। উদ্দেশ্য ছাড়া প্রণয়ন করা হয়েছে মর্মে ধারণা করা কাফিরদের ধারণা। এটা সে ধরনের ধারণার অন্তর্ভুক্ত যাতে গুনাহ। (৪৯:১২)। তাই যে ধরনের পাঠে পাঠের উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেয়া হয় না তা গুনাহ।
.
১২. আল্লাহ কুরআনকে ফরজ করেছেন এবং কুরআনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় ফরজ করেছেন। (২৮:৮৫, ৩৩:৫০, ৬৬:২, ৪:১১, ৯:৬০ ইত্যাদি)। না বুঝে পড়লে এসব ফরজ পালন করা সম্ভব নয়। তাই না বুঝে পড়া গুনাহ।
.
১৩. আল্লাহ যদি তাঁর প্রদত্ত মূল নির্দেশের শর্তসাপেক্ষ ব্যতিক্রমের অনুমতি দেন সেক্ষেত্রে গুনাহ নেই, অন্যথায় গুনাহ আছে। (২:২০৩)। গুনাহের মূল বিষয় হচ্ছে চূড়ান্ত বিচারে তা মানুষের জন্য অকল্যাণকর হওয়া (আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা গুনাহ, তবে আল্লাহর সকল নির্দেশ মূলত মানুষেরই কল্যাণ অকল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে)। (২:২১৯)। সাক্ষ্য গোপন করা গুনাহ (২:২৮৩, ৫:১০৬)। আর কুরআন না বুঝে পড়া হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে থাকা সাক্ষ্য গোপন করার সমতুল্য। (২:১৪০)। তাই কুরআন না বুঝে পড়া গুনাহ।
.
১৪. আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন তা পরিপালন করা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা মানুষের পক্ষে অবশ্যই সম্ভব, কারণ আল্লাহ এমন কোন দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা মানুষের পক্ষে সাধ্যের বাহিরে। (২:২৩৩, ২:২৮৬, ৭:৪২, ৬৫:৭, ৬:১৬৫)। সামর্থ্যের তারতম্য ঘটে তথা স্বাভাবিক অবস্থার সামর্থ্য ও ওজরকালীন সামর্থ্য ভিন্নরূপ হয়ে থাকে। ওজর অবস্থায় মূল নির্দেশের ব্যতিক্রম হলে শর্তসাপেক্ষে সে দোষমুক্ত সাব্যস্ত হয়। (২:১৭৩)। এসব আয়াতের শিক্ষানুসারে বুঝা যায়, যে নিরক্ষরতাজনিত কারণে পড়তে পারে না, সে শুনার মাধ্যমে কুরআন বুঝার চেষ্টা করবে; যে আরবি ভাষা (উচ্চারণ ও অর্থ বুঝার পর্যায়ে) শিখতে পারে নি, সে নিজ ভাষায় অনুবাদ পড়ার মাধ্যমে কুরআন বুঝার চেষ্টা করবে; যে সঠিক উচ্চারণে পড়তে সক্ষম হয় না, সে চেষ্টা করলে যতটুকু পারে সেটাই ব্যতিক্রম হিসেবে তার ব্যতিস্বাতন্ত্রিক অবস্থানে তার জন্য সাধ্যমতো সঠিক হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সমগ্র কুরআন অধ্যয়ন হবে মূল টার্গেট, তারপর প্রক্রিয়া শুরুর পর যে তার সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেটা তার সামর্থ্যের সাপেক্ষেই বিচার্য হবে। তবে যে আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে আল্লাহ তাকে নিয়মমাফিক বিভিন্ন মাত্রায় (সুবুল) হিদায়াত দিতে থাকেন। (২৯:৬৯)। সামর্থ্য ক্রমোন্নয়নশীল তাই সামর্থ্য বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে।

Source:-with comments:-

https://www.facebook.com/groups/747667572302186/permalink/1010112576057683/

কোরান নিয়ে চিন্তা ভাবনা

By Rakibul Islam fb

কোরান নিয়ে চিন্তা ভাবনা। দায়িত্ব কার? রসূলের ও আলেম ওলামাদের নাকি আমাদের সকলের?
“এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।৩৮:২৯”
“এরা কি লক্ষ্য করে না কোরানের প্রতি?….। “Why do they not study the Quran carefully?…..। ৪:৮২”
“তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? ৪৭:২৪”
“অতএব তারা কি এই কালাম সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? না তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে, যা তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি? ২৩:৬৮
“তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিদর্শনাবলী এসে গেছে। অতএব, যে প্রত্যক্ষ করবে, সে নিজেরই উপকার করবে এবং যে অন্ধ হবে, সে নিজেরই ক্ষতি করবে। আমি তোমাদের পর্যবেক্ষক নই। ৬:১০৪
“আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।When the Quran is recited, you shall listen to it and take heed, that you may attain mercy.৭:২০৪
“আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?” ৫৪:১৭
আয়াতগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে বলুনতো , কোরান পড়ে চিন্তাভাবনা কে করবে? রসূল ও আলেম ওলামারাই কি আমাদের জন্য চিন্তা ভাবনা করে দেবেন? আল্লাহর নির্দেশ কি বলে!!

Epidemic(মহামাৰী) in Quran

By ss Jaman fbfd

মহামারি নিয়ে পবিত্র কোরআনের যত আয়াত•••
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
★★ রোগের মহামারি নিয়ে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বেশ কিছু আয়াত আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক কী বলা হচ্ছে সেসব আয়াতে…
★ সুরা আহযাব: আয়াত-৯
আর তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি।
★ সুরা আনআম: আয়াত-৪২
তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দিয়েছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বীকার করে।
★ সুরা ইয়াসিন: আয়াত-২৮-২৯
তারপর (তাদের এই অবিচারমূলক জুলুম কার্য করার পর) তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনো প্রয়োজনও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল)।
★ সুরা আ’রাফ: আয়াত-১৩৩
শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি।
★ সুরা বাকারা: আয়াত-২৬
নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না।
★ সুরা আ’রাফ: আয়াত-৯৪
ওর অধিবাসীদের আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রোগব্যাধি এবং অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয়।
★ সুরা মুদ্দাসসির: আয়াত-৩১
তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন।
★ সুরা আল-আনআম: আয়াত-৬৫
তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা ওপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নিচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম।
★ সুরা আল আ’রাফ: আয়াত-৯১
তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রাস করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল।
★ সুরা আল কামার: আয়াত-৩৪
তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিবায়ু।
★ সুরা ইউনুস: আয়াত-১৩
অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল।
★ সুরা সাবা: আয়াত-১৬
তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ ও অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দিই না।
★ সুরা বাকারা: আয়াত-১৪৮
নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।
★ সুরা বাকারা: আয়াত-১৫৫
আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
★ সুরা সাফফাত: আয়াত-১৭৩
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে)।
★ সুরা আল আন’আম: আয়াত- ৪৪-৪৫
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করল) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম । আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই রইল, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’।
★ সুরা ত্বাহা: আয়াত-১৪
নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো।
★ সুরা মুলক: আয়াত- ১৬-১৭
তোমরা কী ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেয়া হবে।
নাকি তোমরা ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের ওপর কংকরবর্ষী ঝঞ্ঝা-বৃষ্টি কিংবা প্রস্তর-বৃষ্টি বর্ষণ করার হুকুম দেবেন না? (যদি আমি এমন করার হুকুম করি) তখন তোমরা জানতে পারবে বা উপলব্ধি করবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণীর পথ-নির্দেশ।
★ সুরা আল আ’রাফ: আয়াত-১৩০
তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সঙ্কটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে আনবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে)
★ সুরা আল আ’রাফ: আয়াত- ৯৭-৯৮
জনপদের অধিবাসীরা কী ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল?
★ সুরা ফাজর: আয়াত- ৬-১৪
আপনি কী দেখেননি, আপনার ‘রব’ আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিল? যাদের দৈহিক গঠন ছিল, স্তম্ভ এবং খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ এবং তাদের এত শক্তি ও বলবীর দেয়া হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের শহরসমূহে অন্য কোনো মানবগোষ্ঠীকে দেয়া হয়নি। এবং সামুদ গোত্রকে যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করত এবং বহু সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের সাথে, যারা দেশের সীমাসমূহ লঙ্গন করেছিল। অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। তারপর আপনার ‘রব’ তাদের ওপর শাস্তির কশাঘাত করলেন। নিশ্চয়ই আপনার ‘রব’ প্রতিটি বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।

Punishment in this world-Quran

By syed wali fbfd

পৃথিবীতে আল্লাহর শাস্তি : কুরআন যা বলে
ক. প্রাথমিক ধারণা
৩০. ৪১: মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়ে; যাহার ফলে উহাদেরকে উহাদের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদান করান, যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।
৬. ৪৩-৪৪: আমার শাস্তি যখন তাহাদের উপর আপতিত হইল তখন তাহারা কেন বিনীত হইল না? অধিকন্তু তাহাদের হৃদয় কঠিন হইয়াছিল এবং তাহারা যাহা করিতেছিল শয়তান তাহা তাহাদের দৃষ্টিতে শোভন করিয়াছিল। তাহাদেরকে যে উপদেশ দেওয়া হইয়াছিল তাহারা যখন তাহা বিস্মৃত হইল তখন আমি তাহাদের জন্য সমস্ত কিছুর দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিলাম; অবশেষে তাহাদেরকে যাহা দেওয়া হইল যখন তাহারা তাহাতে উল্লাসিত হইল তখন অকস্মাৎ তাহাদেরকে ধরিলাম; ফলে তখনই তাহারা নিরাশ হইল।
৪৪. ১৫-১৬: আমি কিছুকালের জন্য শাস্তি রহিত করিব- তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া যাইবে। যেদিন আমি তোমাদেরকে প্রবলভাবে পাকড়াও করিব, সেদিন নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিবই।
৩. ১৭৮: কাফিররা যেন কিছুতেই মনে না করে যে, আমি অবকাশ দেই তাহাদের মঙ্গলের জন্য। আমি অবকাশ দিয়া থাকি যাহাতে তাহাদের পাপ বৃদ্ধি পায় এবং তাহাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে।

বিস্তারিত

২. ৫৭-৫৯: আমি মেঘ দ্বারা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করিলাম এবং তোমাদের নিকট মান্না৪২ ও সাল্ওয়া৪৩ প্রেরণ করিলাম। ‘তোমাদেরকে যে উত্তম জীবিকা দান করিয়াছি তাহা হইতে আহার কর। তাহারা আমার প্রতি কোন জুলুম করে নাই, বরং তাহারা তাহাদের প্রতিই জুলুম করিয়াছিল। স্মরণ কর, যখন আমি বলিলাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেথা ইচ্ছা স্বচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দ্বারা দিয়া এবং বল: ‘ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিব এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করিব। কিন্তু যাহারা অন্যায় করিয়াছিল তাহারা তাহাদেরকে যাহা বলা হইয়াছিল তাহার পরিবর্তে অন্য কথা বলিল। সুতরাং অনাচারীদের প্রতি আমি আকাশ হইতে শান্তি প্রেরণ করিলাম, কারণ তাহারা সত্য ত্যাগ করিয়াছিল।

২. ৬১: যখন তোমরা বলিয়াছিলে, ‘হে মূসা! আমরা একইরকম খাদ্যে কখনও ধৈর্য ধারণ করিব না; সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর- তিনি যেন ভূমিজাত দ্রব্য শাক-সবজি, কাঁকুড়, গম,৪৮ মসুর ও পেঁয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন।’ মূসা বলিল, ‘তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্টতর বস্তুর সঙ্গে বদল করিতে চাও? তবে কোন নগরে অবতরণ কর। তোমরা যাহা চাও নিশ্চয়ই তাহা সেখানে আছে।’ তাহারা লঞ্ছনা ও দারিদ্রগস্ত হইল এবং তাহারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হইল। ইহা এইজন্য যে, তাহারা আল্লাহ্র আয়াতকে৪৯ অস্বীকার করিত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করিত। অবাধ্যতা ও সীমালংঘন করিবার জন্যই তাহাদের এই পরিণতি হইয়াছিল।

২.৮৫-৮৬: তোমরাই তাহারা যাহারা অতঃপর একে অন্যকে হত্যা করিতেছ এবং তোমাদের এক দলকে স্বদেশ হইতে বহিষ্কার করিতেছ, তোমরা নিজেরা তাহাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও সীমালংঘন দ্বারা পরস্পরের পৃষ্ঠপোষকতা করিতেছ এবং তাহারা যখন বন্দীরূপে তোমাদের নিকট উপস্থিত হয় তখন তোমরা মুক্তিপণ চাও; অথচ তাহাদের বহিষ্করণই তোমাদের জন্য অবৈধ ছিল। তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখান কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাহারা এরূপ করে তাহাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তাহারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হইবে। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন। তাহারাই আখিরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবন μয় করে; সুতরাং তাহাদের শাস্তি লাঘব করা হইবে না এবং তাহারা কোন সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে না।

৩. ১১২: আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি ও মানুষের প্রতিশ্রুতির বাহিরে যেখানেই তাহাদের পাওয়া গিয়াছে সেখানেই তাহারা লাঞ্ছিত হইয়াছে। তাহারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হইয়াছে এবং হীনতাগ্রস্ত হইয়াছে। ইহা এইহেতু যে, তাহারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহ প্রত্যাখান করিত এবং অন্যায়ভাবে নবীগণকে হত্যা করিত; ইহা এইজন্য যে, তাহারা অবাধ্য হইয়াছিল এবং সীমালংঘন করিত।

৩. ১৬৫-১৬৭. কী ব্যাপার! যখন তোমাদের মুসীবত আসিল তখন তোমরা বলিল, ‘ইহা কোথা হইতে আসিল? অথচ তোমরা তো দ্বিগুন বিপদ ঘটাইয়াছিলে। বল, ‘ইহা তোমাদের নিজেদেরই নিকট হইতে’; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
যেদিন দুই দল পরস্পরের সম্মুখীন হইয়াছিল, সেদিন তোমাদের উপর যে বিপর্যয় ঘটিয়াছিল তাহা আল্লাহ্রই হুকুমে; ইহা মুমিনগণকে জানিবার জন্য এবং মুনাফিকদেরকে জানিবার জন্য এবং তাহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘আস, তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর অথবা প্রতিরোধ কর।’ তাহারা বলিয়াছিল, ‘যদি যুদ্ধ জানিতাম তবে নিশ্চিতভাবে তোমাদের অনুসরণ করিতাম।’ সেদিন তাহারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীর নিকটতর ছিল। যাহা তাহাদের অন্তরে নাই তাহারা তাহা মুখে বলে; তাহারা যাহা গোপন রাখে আল্লাহ্ তাহা বিশেষভাবে অবহিত।

৩. ১৭৮: কাফিররা যেন কিছুতেই মনে না করে যে, আমি অবকাশ দেই তাহাদের মঙ্গলের জন্য। আমি অবকাশ দিয়া থাকি যাহাতে তাহাদের পাপ বৃদ্ধি পায় এবং তাহাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে।

৪. ৬১-৬২: তাহাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হইতে মুখ একেবারে ফিরাইয়া লইতে দেখিবে।
তাহাদের কৃতকর্মের জন্য যখন তাহাদের কোন মুসীবত হইবে তখন তাহাদের কী অবস্থা হইবে? অতঃপর তাহারা আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া তোমার নিকট আসিয়া বলিবে, ‘আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই নাই।’

৪. ৭৮-৭৯: তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাইবেই, এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করিলেও। যদি তাহাদের কোন কল্যাণ হয় তবে তাহারা বলে ‘ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে।’ আর যদি তাহাদের কোন অকল্যাণ হয় তবে তাহারা বলে, ‘ইহা তোমার নিকট হইতে।’ বল, ‘সবকিছুই আল্লাহ্র নিকট হইতে। এই সম্প্রদায়ের হইল কী যে, ইহারা একেবারেই কোন কথা বোঝে না!
কল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা আল্লাহ্র নিকট হইতে এবং অকল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা তোমার নিজের কারণে এবং তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করিয়াছি; সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।

৫. ১৮. ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানগণ বলে, ‘আমরা আল্লাহ্র পুত্র ও তাঁহার প্রিয়।’ বল, ‘তবে কেন তিনি তোমাদের পাপের জন্য তোমাদেরকে শাস্তি দেন? না, তোমরা মানুষ তাহাদেরই মতো যাহাদেরকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করিয়াছেন।’ যাহাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেন; আস্মান ও যমীনের এবং ইহাদের মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্রই, আর প্রত্যাবর্তন তাঁহারই দিকে।

৫. ৭০-৭১: আমি বনী ইসরাঈলের নিকট হইতে অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম ও তাহাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম। যখনই কোন রাসূল তাহাদের নিকট এমন কিছু আনে যাহা তাহাদের মনঃপূত নয়, তখনই তাহারা কতককে মিথ্যাবাদী বলে ও কতককে হত্যা করে। তাহারা মনে করিয়াছিল, তাহাদের কোন শাস্তি হইবে না; ফলে তাহারা অন্ধ ও বধির হইয়া গিয়াছিল। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি ক্ষমাশীল হইয়াছিলেন। পুনরায় তাহাদের অনেকেই অন্ধ ও বধির হইয়াছিল। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সম্যক দ্রষ্টা।

৬. ৬: তাহারা কি দেখে না যে, আমি তাহাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি? তাহাদেরকে দুনিয়ায় এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যেমনটি তোমাদেরকেও করি নাই এবং তাহাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করিয়াছিলাম, আর তাহাদের পাদদেশে নদী প্রবাহিত করিয়াছিলাম; অতঃপর তাহাদের পাপের দরুন তাহাদেরকে বিনাশ করিয়াছি এবং তাহাদের পরে অপর মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করিয়াছি।

৬. ১০-১১: তোমরা পূর্বেও অনেক রাসূলকেই ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হইয়াছে। তাহারা যাহা লইয়া ঠাট্টাবিদ্রুপ করিতেছিল পরিণামে তাহাই বিদ্রুপকারীদেরকে পরিবেষ্টন করিয়াছে। বল, ‘তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমন কর, অতঃপর দেখ, যাহারা সত্যকে অস্বীকার করিয়াছে তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছিল।’

৬. ৪০-৪৫: বল, ‘ তোমরা ভাবিয়া দেখ যে, আল্লাহ্র শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হইলে অথবা তোমাদের নিকট কিয়ামত উপস্থিত হইলে তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও ডাকিবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? না, তোমরা শুধু তাঁহাকেই ডাকিবে, তোমরা যে দুঃখের জন্য তাঁহাকে ডাকিতেছ তিনি ইচ্ছা করিলে তোমাদের সেই দুঃখ দূর করিবেন এবং যাহাকে তোমরা তাঁহার শরীক করিতে, তাহা তোমরা বিস্মৃত হইবে।
তোমার পূর্বেও আমি বহু জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি; অতঃপর তাহাদেরকে অর্থসংকট ও দুঃখ- ক্লেশ দ্বারা পীড়িত করিয়াছি, যাহাতে তাহারা বিনীত হয়। আমার শাস্তি যখন তাহাদের উপর আপতিত হইল তখন তাহারা কেন বিনীত হইল না? অধিকন্তু তাহাদের হৃদয় কঠিন হইয়াছিল এবং তাহারা যাহা করিতেছিল শয়তান তাহা তাহাদের দৃষ্টিতে শোভন করিয়াছিল। তাহাদেরকে যে উপদেশ দেওয়া হইয়াছিল তাহারা যখন তাহা বিস্মৃত হইল তখন আমি তাহাদের জন্য সমস্ত কিছুর দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিলাম; অবশেষে তাহাদেরকে যাহা দেওয়া হইল যখন তাহারা তাহাতে উল্লাসিত হইল তখন অকস্মাৎ তাহাদেরকে ধরিলাম; ফলে তখনই তাহারা নিরাশ হইল।
অতঃপর জালিম সম্প্রদায়ের মূল্যেচ্ছেদ করা হইল এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই- যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।

৬. ৪৯: যাহারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলিয়াছে সত্য ত্যাগের জন্য তাহাদের উপর শাস্তি আপতিত হইবে।

৬. ১২৩: এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে সেখানকার অপরাধীদের প্রধানকে সেখানে চক্রান্ত করার অবকাশ দিয়াছি; কিন্তু তাহারা শুধু তাহাদের নিজেদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে; অথচ তাহারা উপলব্ধি করে না।

৬. ১৩১-১৩২: ইহা এইহেতু যে, অধিবাসীবৃন্দ যখন অনবিহত, তখন কোন জনপদকে উহার অন্যায় আচরণের জন্য ধ্বংস করা তোমার প্রতিপালকের কাজ নয়। প্রত্যেকে যাহা করে তদনুসারে তাহা স্থান রহিয়াছে এবং উহারা যাহা করে সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নন।

৬. ১৪৮: যাহারা র্শিক করিয়াছে তাহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষগণ র্শিক করিতাম না এবং কোন কিছুই হারাম করিতাম না।’ এইভাবে তাহাদের পূর্ববর্তীরাও প্রত্যাখান করিয়াছিল, অবশেষে তাহারা আমার শাস্তি ভোগ করিয়াছিল, বল, ‘তোমাদের নিকট কোন প্রমাণ আছে কি? থাকিলে আমার নিকট তাহা পেশ কর; তোমরা শুধু কল্পনারই অনুসরণ কর এবং শুধু মনগড়া কথা বল।’

৭. ৪-৫: কত জনপদকে আমি ধ্বংস করিয়াছি! আমার শাস্তি তাহাদের উপর আপতিত হইয়াছিল রাত্রিতে অথবা দ্বিপ্রহরে যখন তাহারা বিশ্রামরত ছিল। যখন আমার শাস্তি তাহাদের উপর আপতিত হইয়াছিল তখন তাহাদের কথা শুধু ইহাই ছিল যে, ‘নিশ্চয় আমরা জালিম ছিলাম।’

৭: ৯৪-১০৩: আমি কোন জনপদে নবী পাঠাইলে উহার অধিবাসীবৃন্দকে অর্থ-সংকট ও দুঃখ-ক্লেশ দ্বারা আক্রান্ত করি, যাহাতে তাহারা কাকুতি-মিনতি করে। অতঃপর আমি অকল্যাণকে কল্যাণে পরিবর্তিত করি। অবশেষে তাহারা প্রাচুর্যের অধিকারী হয় এবং বলে, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরাও তো দুঃখ-সুখ ভোগ করিয়াছে।’ অতঃপর অকস্মাৎ তাহাদেরকে আমি পাকড়াও করি, কিন্তু তাহারা উপলব্ধি করিতে পারে না। যদি সেই সকল জনপদের অধিবাসীবৃন্দ ঈমান আনিত ও তাক্ওয়া অবলম্বন করিত তবে আমি তাহাদের জন্য আকাশম-লী ও পৃথিবীর কল্যাণ উন্মুক্ত করিতাম, কিন্তু তাহারা প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল; সুতরাং তাহাদের কৃতকর্মের জন্য তাহাদেরকে শাস্তি দিয়াছি।
তবে কি জনপদের অধিবাসীবৃন্দ ভয় রাখে না যে, আমার শাস্তি তাহাদের উপর আসিবে রাত্রিতে যখন তাহারা থাকিবে নিদ্রামগ্ন? অথবা জনপদের অধিবাসীবৃন্দ কি ভয় রাখে না যে, আমার শাস্তি তাহাদের উপর আসিবে পূর্বাহ্নে যখন তাহারা থাকিবে ক্রীড়ারত? তাহারা কি আল্লাহ্র কৌশলের ভয় রাখে না? বস্তুত ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় ব্যতীত কেহই আল্লাহ্র কৌশল হইতে নিরাপদ মনে করে না।
কোন দেশের জনগণের পর যাহারা ঐ দেশের উত্তরাধিকারী হয় তাহাদের নিকট ইহা কি প্রতীয়মান হয় নাই যে, আমি ইচ্ছা করিলে তাহাদের পাপের দরুন তাহাদেরকে শাস্তি দিতে পারি? আর আমি তাহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দিব, ফলে তাহারা শুনিবে না।
এই সকল জনপদের কিছু বৃত্তান্ত আমি তোমার নিকট বিবৃত করিতেছি, তাহাদের নিকট তাহাদের রাসূলগণ তো স্পষ্ট প্রমাণসহ আসিয়াছিল; কিন্তু যাহা তাহারা পূর্বে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল তাহাতে ঈমান আনিবার পাত্র তাহারা ছিল না, এইভাবে আল্লাহ্ কাফিরদের হৃদয় মোহর করিয়া দেন। আমি তাহাদের অধিকাংশকে প্রতিশ্রুতি পালনকারী পাই; বরং তাহাদের অধিকাংশকে তো পাপাচারীই পাইয়াছি।
তাহাদের পর মূসাকে আমার নিদর্শনসহ ফির‘আওন ও তাহার পরিষদবর্গের নিকট পাঠাই; কিন্তু তাহারা উহা অস্বীকার করে। বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কি হইয়াছিল তাহা লক্ষ্য কর।

৭. ১৬৫-১৬৭: যে উপদেশ তাহাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল তাহারা যখন উহা বিস্মৃত হয়, তখন যাহারা অসৎকার্য হইতে নিবৃত্ত করিত তাহাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং যাহারা জুলুম করে তাহারা কুফরী করিত বলিয়া আমি তাহাদেরকে কঠোর শাস্তি দেই। তাহারাা যখন নিষিদ্ধ কাজ ঔদ্ধত্যসহকারে করিতে লাগিল তখন তাহাদেরকে বলিলাম, ‘ঘৃণিত বানর হও!’
স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তিনি তো কিয়ামত পর্যন্ত তাহাদের উপর এমন লোকদেরকে প্রেরণ করিবেন যাহারা তাহাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকিবে, আর তোমার প্রতিপালক তো শাস্তিদানে তৎপর এবং তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।

৭. ১৮২-১৮৩: যাহারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে আমি তাহাদেরকে এমনভাবে ক্রমে ক্রমে ধ্বংসের দিকে লইয়া যাই যে, তাহারা জানিতেও পারিবে না। আমি তাহাদেরকে সময় দিয়া থাকি; আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।

৮. ৩১-৩৬: যখন তাহাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তাহারা তখন বলে, ‘আমরা তো শ্রবণ করিলাম, ইচ্ছা করিলে আমরাও ইহার অনুরূপ বলিতে পারি, ইহা তো শুধু সেকালের লোকদের উপকথা। স্মরণ কর, তাহারা বলিয়াছিল, ‘হে আল্লাহ্! ইহা (আল্লাহর আয়াত) যদি তোমার পক্ষ হইতে সত্য হয়, তবে আমাদের উপর আকাশ হইতে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দাও ।’
এবং তাহাদের কী বা বলিবার আছে যে, আল্লাহ্ তাহাদেরকে শাস্তি দিবেন না, যখন তাহারা লোকদেরকে মসজিদুল হারাম হইতে নিবৃত্ত করে? তাহারা উহার তত্বাবধায়ক নয়, শুধু মুত্তাকীগণই উহার তত্বাবধায়ক; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশ ইহা অবগত নয়।
কা‘বাগৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাহাদের সালাত, সুতরাং কুফরীর জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর।
আল্লার্হ পথ হইতে লোককে নিবৃত্ত করার জন্য কাফিররা তাহাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাহারা ধন-সম্পদ ব্যয় করিতেই থাকিবে; অতঃপর উহা তাহাদের মনস্তাপের কারণ হইবে; ইহার পর তাহারা পরাভূত হইবে এবং যাহারা কুফরী করে তাহাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হইবে।

৮. ৫০-৫৩: ৫০. তুমি যদি দেখিতে পাইতে ফিরিশ্তাগণ কাফিরদের মুখম-লে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করিয়া তাহাদের প্রাণ হরণ করিতেছে এবং বলিতেছে, ‘তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ কর। ইহা তাহা, তোমাদের হস্ত যাহা পূর্বে প্রেরণ করিয়াছিল, আল্লাহ্ তো তাহার বান্দাদের প্রতি অত্যাচারী নন। ফির‘আওনের স্বজন ও উহাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাসের ন্যায় ইহারা আল্লাহ্র আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে; সুতরাং আল্লাহ্ ইহাদের পাপের জন্য ইহাদেরকে শাস্তি দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিমান, শাস্তিদানে কঠোর; ইহা এইজন্য যে, যদি কোন সম্প্রদায় নিজের অবস্থায় পরিবর্তন না করে তবে আল্লাহ্ এমন নন যে, তিনি উহাদেরকে যে সম্পদ দান করিয়াছেন, উহা পরিবর্তন করিবেন; এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

৯. ৫১-৫২: বল, ‘আমাদের জন্য আল্লাহ্ যাহা নির্দিষ্ট করিয়াছেন তাহা ব্যতীত আমাদের অন্য কিছু হইবে না; তিনি আমাদের কর্মবিধায়ক এবং আল্লাহ্র উপরই মু’মিনদের নির্ভর করা উচিত।’
বল, ‘তোমরা আমাদের দুইটি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষা করিতেছ এবং আমরা প্রতীক্ষা করিতেছি, আল্লাহ্ তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন সরাসরি নিজ পক্ষ হইতে অথবা আমাদের হস্ত দ্বারা। অতএব তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।

১১. ১০১-১০২: আমি উহাদের প্রতি জুলুম করি নাই কিন্তু উহারাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। যখন তোমার প্রতিপালকের বিধান আসিল তখন আল্লাহ্ ব্যতীত যে ইলাহ্সমূহের তাহারা ‘ইবাদত করিত তাহারা উহাদের কোন কাজে আসিল না। তাহারা ধ্বংস ব্যতীত উহাদের অন্য কিছু বৃদ্ধি করিল না।
এইরূপই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শাস্তি দান করেন জনপদসমূহকে যখন উহারা জুলুম করিয়া থাকে। নিশ্চয়ই তাঁহার শাস্তি মর্মন্তুদ, কঠিন।

১৩. ৬: মঙ্গলের পূর্বে উহারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করিতে বলে, যদিও উহাদের পূর্বে ইহার বহু দৃষ্টান্ত গত হইয়াছে। মানুষের সীমালংঘন সত্বেও তোমার প্রতিপালক তো মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল এবং তোমার প্রতিপালক শাস্তিদানে তো কঠোর।

১৩. ৩১-৩৪: যদি কোন কুরআন এমন হইত যদ্দ¦ারা পর্বতকে গতিশীল করা যাইত অথবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যাইত অথবা মৃতের সঙ্গে কথা বলা যাইত- তবুও উহারা উহাতে বিশ্বাস করিত না। কিন্তু সমস্ত বিষয়ই আল্লাহ্র ইখ্িতয়ারভুক্ত। তবে কি যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহাদের প্রত্যয় হয় নাই যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে নিশ্চয়ই সকলকে সৎপথে পরিচালিত করিতে পারিতেন?
যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের কর্মফলের জন্য তাহাদের বিপর্যয় ঘটিতেই থাকিবে, অথবা বিপর্যয় তাহাদের আশেপাশে আপতিত হইতেই থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি আসিয়া পড়িবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা হইয়াছে এবং যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদেরকে আমি কিছু অবকাশ দিয়াছিলাম, তাহার পর উহাদেরকে শাস্তি দিয়াছিলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি!
তবে কি প্রত্যেক মানুষ যাহা করে তাহার যিনি পর্যবেক্ষক তিনি ইহাদের অক্ষম ইলাহ্গুলির মত? অথচ উহারা আল্লাহ্র বহু শরীক করিয়াছে। বল, ‘উহাদের পরিচয় দাও।’ তোমরা কি পৃথিবীর মধ্যে এমন কিছুর সংবাদ দিতে চাও- যাহা তিনি জানেন না? অথবা ইহা বাহ্যিক কথা মাত্র? না, কাফিরদের নিকট উহাদের ছলনা শোভন প্রতীয়মান হইয়াছে এবং উহাদেরকে সৎপথ হইতে নিবৃত্ত করা হইয়াছে, আর আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। উহাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে আছে শাস্তি এবং আখিরাতের শাস্তি তো আরো কঠোর! এবং আল্লাহ্র শাস্তি হইতে রক্ষা করিবার উহাদের কেহ নাই।

১৩. ৪০-৪১: উহাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়াছি তাহার কিছু যদি তোমাকে দেখাই অথবা যদি ইহার পূর্বে তোমার কাল পূর্ণ করিয়া দেই- তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা এবং হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ।
উহারা কি দেখে না যে, আমি উহাদের দেশকে চতুর্দিক হইতে সংকুচিত করিয়া আনিতেছি? আল্লাহ্ আদেশ করেন, তাঁহার আদেশ রদ করিবার কেহ নাই এবং তিনি হিসাব গ্রহণে তৎপর।

১৬. ৯৪. পরস্পর প্রবঞ্চনা করিবার জন্য তোমরা তোমাদের শপথকে ব্যবহার করিও না; করিলে পা স্থির হওয়ার পর পিছলাইয়া যাইবে এবং আল্লাহ্র পথে বাধা দেওয়ার কারণে তোমরা শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করিবে; তোমাদের জন্য রহিয়াছে মহাশাস্তি।

১৬. ১১২. আল্লাহ্ দৃষ্টান্ত দিতেছেন এক জনপদের যাহা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, যেখানে আসিত সর্বদিক হইতে উহার প্রচুর জীবনোপকরণ; অতঃপর উহা আল্লাহ্র অনুগ্রহ অস্বীকার করিল, ফলে তাহারা যাহা করিত তজ্জন্য আল্লাহ্ তাহাদেরকে স্বাদ গ্রহণ করাইলেন ক্ষুধা ও ভীতির আচ্ছাদনের।

১৭. ৪-৭: এবং আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনী ইস্রাঈলকে জানাইয়াছিলাম, ‘নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারস্ফীত হইবে।’
অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হইল তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; উহার ঘরে ঘরে প্রবেশ করিয়া সমস্ত ধ্বংস করিয়াছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হইয়াই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় উহাদের উপর প্রতিষ্ঠিত করিলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করিলাম ও সংখ্যায় গরিষ্ঠ করিলাম। তোমরা সৎকর্ম করিলে সৎকর্ম নিজেদের জন্য করিবে এবং মন্দ কর্ম করিলে তাহাও করিবে নিজেদের জন্য। অতঃপর পরবর্তী নির্ধারিত কাল উপস্থিত হইলে আমি আমার বান্দাদেরকে প্রেরণ করিলাম তোমাদের মুখম-ল কালিমাচ্ছন্ন করিবার জন্য, প্রথমবার তাহারা যেভাবে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছিল পুনরায় সেইভাবেই উহাতে প্রবেশ করিবার জন্য এবং তাহারা যাহা অধিকার করিয়াছিল তাহা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করিবার জন্য।

১৭. ১৬-১৭: আমি যখন কোন জনপদ ধ্বংস করিতে চাই তখন উহার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিদেরকে সৎকর্ম করিতে আদেশ করি, কিন্তু উহারা সেখানে অসৎকর্ম করে; অতঃপর উহার প্রতি দ-াজ্ঞা ন্যায়সংগত হইয়া যায় এবং আমি উহা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি। নূহের পর আমি কত মানবগোষ্ঠী ধ্বংস করিয়াছি! তোমার প্রতিপালকই তাঁহার বান্দাদের পাপচরণের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট।

১৯. ৭৩- ৭৫: উহাদের নিকট আমার স্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্ত করা হইলে কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘দুই দলের মধ্যে কোন্টি মর্যাদায় শ্রেষ্ঠতর ও মজলিস হিসাবে উত্তম?
উহাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি-যাহারা উহাদের অপেক্ষা সম্পদ ও বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ ছিল। বল, ‘যাহারা বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাহাদেরকে প্রচুর ঢিল দিবেন যতক্ষণ না তাহারা, যে বিষয়ে তাহাদেরকে সতর্ক করা হইতেছে তাহা প্রত্যক্ষ করিবে, উহা শাস্তি হউক অথবা কিয়ামতই হউক। অতঃপর তাহারা জানিতে পারিবে, কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও কে দলবলে দুর্বল ।

২১. ১১-১৫: আমি ধ্বংস করিয়াছি কত জনপদ, যাহার অধিবাসীরা ছিল জালিম এবং তাহাদের পরে সৃষ্টি করিয়াছি অপর জাতি। অতঃপর যখন উহারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করিল তখনই উহারা জনপদ হইতে পলায়ন করিতে লাগিল।
উহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘পলায়ন করিও না এবং ফিরিয়া আস তোমাদের ভোগসম্ভারের নিকট ও তোমাদের আবাসগৃহে, হয়ত এ বিষয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে।’ উহারা বলিল, ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম জালিম।’
উহাদের এই আর্তনাদ চলিতে থাকে আমি উহাদেরকে কর্তিত শস্য ও নির্বাপিত অগ্নি-সদৃশ না করা পর্যন্ত।

২১. ৬৬-৭০: ইব্রাহীম বলিল, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদত কর যাহা তোমাদের কোন উপকার করিতে পারে না, ক্ষতিও করিতে পারে না? ধিক্ তোমাদেরকে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে তোমরা যাহাদের ‘ইবাদত কর তাহাদেরকে! তবুও কি তোমরা বুঝিবে না?
উহারা বলিল, ‘তাহাকে পোড়াইয়া দাও, সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলিকে, তোমরা যদি কিছু করিতে চাও।’
আমি বলিলাম, ‘হে অগ্নি! তুমি ইব্রাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হইয়া যাও।’
উহারা তাহার ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করিয়াছিল। কিন্তু আমি উহাদেরকে করিয়া দিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।

২১. ৮৭: এবং স্মরণ কর যুন-্ নূন (ইউনুস আঃ) -এর কথা, যখন সে ক্রোধভারে বাহির হইয়া গিয়াছিল এবং মনে করিয়াছিল আমি তাহার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করিব না। অতঃপর সে অন্ধকার হইতে আহ্বান করিয়াছিল: ‘তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী।’

২২. ৪৭-৪৮: তাহারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করিতে বলে, অথচ আল্লাহ্ তাহার প্রতিশ্রুতি কখনও ভঙ্গ করেন না। তোমার প্রতিপালকের নিকট একদিন তোমাদের গণনার সহ¯্র বৎসরের সমান; এবং আমি অবকাশ দিয়াছি কত জনপদকে যখন উহারা ছিল জালিম; অতঃপর উহাদেরকে শাস্তি দিয়াছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট।

২২. ৬০: ইহাই হইয়া থাকে, কোন ব্যক্তি নিপীড়িত হইয়া সমতুল্য প্রতিশোধ গ্রহণ করিলে ও পুনরায় সে অত্যাচারিত হইলে আল্লাহ্ তাহাকে অবশ্যই সাহায্য করিবেন; আল্লাহ্ নিশ্চিয়ই পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।

২৩. ৭৩- ৭৭: তুমি তো উহাদেরকে সরল পথে আহ্বান করিতেছ। যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারা তো সরল পথ হইতে বিচ্যুত, আমি উহাদেরকে দয়া করিলেও এবং উহাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করিলেও উহারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিতে থাকিবে। আমি তো উহাদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করিলাম, কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের প্রতি বিনত হইল না এবং কাতর প্রার্থনাও করে না। অবশেষে যখন আমি উহাদের জন্য কঠিন শাস্তির দুয়ার খুলিয়া দেই তখনই উহারা ইহাতে হতাশ হইয়া পড়ে।

২৭. ৪৯-৫২: উহারা বলিল, ‘তোমরা আলাøহ্র নামে শপথ গ্রহণ কর, ‘আমরা রাত্রিকালে তাহাকে ও তাহার পরিবার-পরিজনকে অবশ্যই আক্রমণ করিব; অতঃপর তাহার অভিভাবককে নিশ্চয় বলিব, ‘তাহার পরিবার-পরিজনের হত্যা আমরা প্রত্যক্ষ করি নাই; আমরা অবশ্যই সত্যাবাদী।’
উহারা এক চক্রান্ত করিয়াছিল এবং আমিও এক কৌশল অবলম্বন করিলাম, কিন্তু উহারা বুঝিতে পারে নাই।
অতএব দেখ, উহাদের চক্রান্তের পরিণাম কী হইয়াছে- আমি অবশ্যই উহাদেরকে ও উহাদের সম্প্রদায়ের সকলকে ধ্বংস করিয়াছি।
এই তো উহাদের ঘরবাড়ি- সীমালংঘনহেতুযাহা জনশূন্য অবস্থায় পড়িয়া আছে; ইহাতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে।

২৮. ৫৮-৫৯: কত জনপদকে আমি ধ্বংস করিয়াছি যাহার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করিত! এইগুলিই তো উহাদের ঘরবাড়ি; উহাদের পর এইগুলিতে লোকজন সামান্যই বসবাস করিয়াছে। আর আমি তো চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী!
তোমার প্রতিপালক জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না উহার কেন্দ্রে তাঁহার আয়াত আবৃত্তি করিবার জন্য রাসূল প্রেরণ না করিয়া এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি যখন ইহার বাসিন্দারা জুলুম করে।

২৯. ১০: মানুষের মধ্যে কতক বলে, ‘আমরা আল্লাহে বিশ্বাস করি, কিন্তু আল্লাহ্র পথে যখন উহারা নিগৃহীত হয়, তখন উহারা মানুষের পীড়নকে আল্লাহ্র শাস্তির মত গণ্য করে এবং তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে কোন সাহায্য আসিলে উহারা বলিতে থাকে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই ছিলাম।’ বিশ্ববাসীর অন্তঃকরণে যাহা আছে, আল্লাহ্ কি তাহা সম্যক অবগত নহেন?’

২৯. ৩৪-৩৫: ‘আমরা এই জনপদবাসীদের উপর আকাশ হইতে শস্তি নাযিল করিব, কারণ উহারা পাপাচার করিতেছিল।’ আমি তো বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে একটি স্পষ্ট আয়াত রাখিয়াছি।

২৯. ৩৯-৪০: এবং আমি সংহার করিয়াছিলাম কারূন, ফির‘আওন ও হামানকে। মূসা উহাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিয়াছিল; তখন তাহারা দেশে দম্ভ করিত; কিন্তু উহারা আমার শাস্তি এড়াইতে পারে নাই। উহাদের প্রত্যেককেই আমি তাহার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়াছিলাম : উহাদের কাহারও প্রতি প্রেরণ করিয়াছি প্রস্তরসহ প্রচ- ঝটিকা, উহাদের কাহাকেও আঘাত করিয়াছিল মহানাদ, কাহাকেও আমি প্রোথিত করিয়াছিলাম ভূগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি কোন জুলুম করেন নাই; তাহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল।

৩০. ৩৬: আমি যখন মানুষকে অনুগ্রহের আস্বাদ দেই তাহারা তাহাতে উৎফুল্ল হয় এবং উহাদের কৃতকর্মের ফলে দুর্দশাগ্রস্ত হইলেই উহারা হতাশ হইয়া পড়ে।

৩০. ৪১: মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়ে; যাহার ফলে উহাদেরকে উহাদের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদান করান, যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।

৩২. ২০-২১: এবং যাহারা পাপাচার করিয়াছে তাহাদের বাসস্থান হইবে জাহান্নাম; যখনই উহারা জাহান্নাম হইতে বাহির হইতে চাহিবে তখনই উহাদেরকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে উহাতে এবং উহাদেরকে বলা হইবে, ‘ যে অগ্নিশাস্তিকে তোমরা মিথ্যা বলিতে, উহা আস্বাদন কর।’ গুরু শাস্তির পূর্বে উহাদেরকে আমি অবশ্যই লঘুশাস্তি আস্বাদন করাইব, যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।

৩৩. ২৪. কারণ আল্লাহ্ সত্যবাদীদেরকে পুরস্কৃত করেন তাহাদের সত্যবাদিতার জন্য এবং তাঁহার ইচ্ছা হইলে মুনাফিকদেরকে শাস্তি দেন অথবা উহাদেরকে ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

৩৪. ১৫-১৭: সাবাবাসীদের জন্য তো উহাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শন: দুইটি উদ্যান, একটি ডান দিকে, অপরটি বাম দিকে, উহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালক প্রদত্ত রিযিক ভোগ কর এবং তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। উত্তম নগরী এবং ক্ষমাশীল প্রতিপালক। পরে উহারা অবাধ্য হইল। ফলে আমি উহাদের উপর প্রবাহিত করিলাম বাঁধভাঙ্গা বন্যা এবং উহাদের উদ্যান দুইটিকে পরিবর্তন করিয়া দিলাম এমন দুইটি উদ্যানে যাহাতে উৎপন্ন হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ এবং কিছু কুল গাছ। আমি উহাদেরকে এই শাস্তি দিয়াছিলাম উহাদের কুফরীর জন্য। আমি কৃতঘœ ব্যতীত আর কাহাকেও এমন শাস্তি দেই না।

৩৯. ২৫- ২৬: উহাদের পূর্ববর্তিগণও অস্বীকার করিয়াছিল, ফলে শাস্তি এমনভাবে উহাদেরকে গ্রাস করিল যে, উহারা ধারণাও করিতে পারে নাই। ফলে আল্লাহ্ উহাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা ভোগ করাইলেন এবং আখিরাতের শাস্তি তো কঠিনতর। যদি ইহারা জানিত!

৪২. ৩০: তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তাহাত তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তো তিনি ক্ষমা করিয়া দেন।

৪২. ৪৮: উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয়, তবে তোমাকে তো আমি ইহাদের রক্ষক করিয়া পাঠাই নাই। তোমার কাজ তো কেবল বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। আমি মানুষকে যখন অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে ইহাতে উৎফুল্ল হয় এবং যখন উহাদের কৃতকর্মের জন্য উহাদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন মানুষ হইয়া পড়ে অকৃতজ্ঞ।

৪৩. ৪৬-৪৮: মূসাকে তো আমি নিদর্শনসহ ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট পাঠাইয়াছিলাম। সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রেরিত।’
সে উহাদের নিকট আমার নিদর্শনসহ আসিবামাত্র উহারা তাহা লইয়া হাসি-ঠাট্টা করিতে লাগিল। আমি উহাদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাই নাই যাহা উহার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয়। আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম যাহাতে উহারা প্রত্যাবর্তন করে।

৪৪. ১৫-১৬: আমি কিছুকালের জন্য শাস্তি রহিত করিব- তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া যাইবে। যেদিন আমি তোমাদেরকে প্রবলভাবে পাকড়াও করিব, সেদিন নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিবই।

৫৭. ২২-২৩: পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর যে বিপর্যয় আসে আমি উহা সংঘটিত করিবার পূর্বেই উহা লিপিবদ্ধ থাকে; আল্লাহ্র পক্ষে ইহা খুবই সহজ। ইহা এইজন্য যে, তোমরা যাহা হারাইয়াছ তাহাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যাহা তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন তাহার জন্য হর্ষোৎফুল্ল না হও। আল্লাহ্ পসন্দ করেন না উদ্ধত ও অহংকারীদেরকে।

৬৪. ১১: আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিপদই আপতিত হয় না এবং যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তাহার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।

বিস্তারিত

২. ৫৭-৫৯: আমি মেঘ দ্বারা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করিলাম এবং তোমাদের নিকট মান্না৪২ ও সাল্ওয়া৪৩ প্রেরণ করিলাম। ‘তোমাদেরকে যে উত্তম জীবিকা দান করিয়াছি তাহা হইতে আহার কর। তাহারা আমার প্রতি কোন জুলুম করে নাই, বরং তাহারা তাহাদের প্রতিই জুলুম করিয়াছিল। স্মরণ কর, যখন আমি বলিলাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেথা ইচ্ছা স্বচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দ্বারা দিয়া এবং বল: ‘ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিব এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করিব। কিন্তু যাহারা অন্যায় করিয়াছিল তাহারা তাহাদেরকে যাহা বলা হইয়াছিল তাহার পরিবর্তে অন্য কথা বলিল। সুতরাং অনাচারীদের প্রতি আমি আকাশ হইতে শান্তি প্রেরণ করিলাম, কারণ তাহারা সত্য ত্যাগ করিয়াছিল।

২. ৬১: যখন তোমরা বলিয়াছিলে, ‘হে মূসা! আমরা একইরকম খাদ্যে কখনও ধৈর্য ধারণ করিব না; সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর- তিনি যেন ভূমিজাত দ্রব্য শাক-সবজি, কাঁকুড়, গম,৪৮ মসুর ও পেঁয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন।’ মূসা বলিল, ‘তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্টতর বস্তুর সঙ্গে বদল করিতে চাও? তবে কোন নগরে অবতরণ কর। তোমরা যাহা চাও নিশ্চয়ই তাহা সেখানে আছে।’ তাহারা লঞ্ছনা ও দারিদ্রগস্ত হইল এবং তাহারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হইল। ইহা এইজন্য যে, তাহারা আল্লাহ্র আয়াতকে৪৯ অস্বীকার করিত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করিত। অবাধ্যতা ও সীমালংঘন করিবার জন্যই তাহাদের এই পরিণতি হইয়াছিল।

২.৮৫-৮৬: তোমরাই তাহারা যাহারা অতঃপর একে অন্যকে হত্যা করিতেছ এবং তোমাদের এক দলকে স্বদেশ হইতে বহিষ্কার করিতেছ, তোমরা নিজেরা তাহাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও সীমালংঘন দ্বারা পরস্পরের পৃষ্ঠপোষকতা করিতেছ এবং তাহারা যখন বন্দীরূপে তোমাদের নিকট উপস্থিত হয় তখন তোমরা মুক্তিপণ চাও; অথচ তাহাদের বহিষ্করণই তোমাদের জন্য অবৈধ ছিল। তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখান কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাহারা এরূপ করে তাহাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তাহারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হইবে। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ সে সম্বন্ধে অনবহিত নন। তাহারাই আখিরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবন μয় করে; সুতরাং তাহাদের শাস্তি লাঘব করা হইবে না এবং তাহারা কোন সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে না।

৩. ১১২: আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি ও মানুষের প্রতিশ্রুতির বাহিরে যেখানেই তাহাদের পাওয়া গিয়াছে সেখানেই তাহারা লাঞ্ছিত হইয়াছে। তাহারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হইয়াছে এবং হীনতাগ্রস্ত হইয়াছে। ইহা এইহেতু যে, তাহারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহ প্রত্যাখান করিত এবং অন্যায়ভাবে নবীগণকে হত্যা করিত; ইহা এইজন্য যে, তাহারা অবাধ্য হইয়াছিল এবং সীমালংঘন করিত।

৩. ১৬৫-১৬৭. কী ব্যাপার! যখন তোমাদের মুসীবত আসিল তখন তোমরা বলিল, ‘ইহা কোথা হইতে আসিল? অথচ তোমরা তো দ্বিগুন বিপদ ঘটাইয়াছিলে। বল, ‘ইহা তোমাদের নিজেদেরই নিকট হইতে’; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
যেদিন দুই দল পরস্পরের সম্মুখীন হইয়াছিল, সেদিন তোমাদের উপর যে বিপর্যয় ঘটিয়াছিল তাহা আল্লাহ্রই হুকুমে; ইহা মুমিনগণকে জানিবার জন্য এবং মুনাফিকদেরকে জানিবার জন্য এবং তাহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘আস, তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর অথবা প্রতিরোধ কর।’ তাহারা বলিয়াছিল, ‘যদি যুদ্ধ জানিতাম তবে নিশ্চিতভাবে তোমাদের অনুসরণ করিতাম।’ সেদিন তাহারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীর নিকটতর ছিল। যাহা তাহাদের অন্তরে নাই তাহারা তাহা মুখে বলে; তাহারা যাহা গোপন রাখে আল্লাহ্ তাহা বিশেষভাবে অবহিত।

৩. ১৭৮: কাফিররা যেন কিছুতেই মনে না করে যে, আমি অবকাশ দেই তাহাদের মঙ্গলের জন্য। আমি অবকাশ দিয়া থাকি যাহাতে তাহাদের পাপ বৃদ্ধি পায় এবং তাহাদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে।

৪. ৬১-৬২: তাহাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হইতে মুখ একেবারে ফিরাইয়া লইতে দেখিবে।
তাহাদের কৃতকর্মের জন্য যখন তাহাদের কোন মুসীবত হইবে তখন তাহাদের কী অবস্থা হইবে? অতঃপর তাহারা আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া তোমার নিকট আসিয়া বলিবে, ‘আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই নাই।’

৪. ৭৮-৭৯: তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাইবেই, এমনকি সুউচ্চ সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করিলেও। যদি তাহাদের কোন কল্যাণ হয় তবে তাহারা বলে ‘ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে।’ আর যদি তাহাদের কোন অকল্যাণ হয় তবে তাহারা বলে, ‘ইহা তোমার নিকট হইতে।’ বল, ‘সবকিছুই আল্লাহ্র নিকট হইতে। এই সম্প্রদায়ের হইল কী যে, ইহারা একেবারেই কোন কথা বোঝে না!
কল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা আল্লাহ্র নিকট হইতে এবং অকল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা তোমার নিজের কারণে এবং তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করিয়াছি; সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।

৫. ১৮. ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানগণ বলে, ‘আমরা আল্লাহ্র পুত্র ও তাঁহার প্রিয়।’ বল, ‘তবে কেন তিনি তোমাদের পাপের জন্য তোমাদেরকে শাস্তি দেন? না, তোমরা মানুষ তাহাদেরই মতো যাহাদেরকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করিয়াছেন।’ যাহাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেন; আস্মান ও যমীনের এবং ইহাদের মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্রই, আর প্রত্যাবর্তন তাঁহারই দিকে।

৫. ৭০-৭১: আমি বনী ইসরাঈলের নিকট হইতে অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম ও তাহাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম। যখনই কোন রাসূল তাহাদের নিকট এমন কিছু আনে যাহা তাহাদের মনঃপূত নয়, তখনই তাহারা কতককে মিথ্যাবাদী বলে ও কতককে হত্যা করে। তাহারা মনে করিয়াছিল, তাহাদের কোন শাস্তি হইবে না; ফলে তাহারা অন্ধ ও বধির হইয়া গিয়াছিল। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি ক্ষমাশীল হইয়াছিলেন। পুনরায় তাহাদের অনেকেই অন্ধ ও বধির হইয়াছিল। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সম্যক দ্রষ্টা।

৬. ৬: তাহারা কি দেখে না যে, আমি তাহাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি? তাহাদেরকে দুনিয়ায় এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম যেমনটি তোমাদেরকেও করি নাই এবং তাহাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করিয়াছিলাম, আর তাহাদের পাদদেশে নদী প্রবাহিত করিয়াছিলাম; অতঃপর তাহাদের পাপের দরুন তাহাদেরকে বিনাশ করিয়াছি এবং তাহাদের পরে অপর মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করিয়াছি।

৬. ১০-১১: তোমরা পূর্বেও অনেক রাসূলকেই ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হইয়াছে। তাহারা যাহা লইয়া ঠাট্টাবিদ্রুপ করিতেছিল পরিণামে তাহাই বিদ্রুপকারীদেরকে পরিবেষ্টন করিয়াছে। বল, ‘তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমন কর, অতঃপর দেখ, যাহারা সত্যকে অস্বীকার করিয়াছে তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছিল।’

৬. ৪০-৪৫: বল, ‘ তোমরা ভাবিয়া দেখ যে, আল্লাহ্র শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হইলে অথবা তোমাদের নিকট কিয়ামত উপস্থিত হইলে তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও ডাকিবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? না, তোমরা শুধু তাঁহাকেই ডাকিবে, তোমরা যে দুঃখের জন্য তাঁহাকে ডাকিতেছ তিনি ইচ্ছা করিলে তোমাদের সেই দুঃখ দূর করিবেন এবং যাহাকে তোমরা তাঁহার শরীক করিতে, তাহা তোমরা বিস্মৃত হইবে।
তোমার পূর্বেও আমি বহু জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি; অতঃপর তাহাদেরকে অর্থসংকট ও দুঃখ- ক্লেশ দ্বারা পীড়িত করিয়াছি, যাহাতে তাহারা বিনীত হয়। আমার শাস্তি যখন তাহাদের উপর আপতিত হইল তখন তাহারা কেন বিনীত হইল না? অধিকন্তু তাহাদের হৃদয় কঠিন হইয়াছিল এবং তাহারা যাহা করিতেছিল শয়তান তাহা তাহাদের দৃষ্টিতে শোভন করিয়াছিল। তাহাদেরকে যে উপদেশ দেওয়া হইয়াছিল তাহারা যখন তাহা বিস্মৃত হইল তখন আমি তাহাদের জন্য সমস্ত কিছুর দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিলাম; অবশেষে তাহাদেরকে যাহা দেওয়া হইল যখন তাহারা তাহাতে উল্লাসিত হইল তখন অকস্মাৎ তাহাদেরকে ধরিলাম; ফলে তখনই তাহারা নিরাশ হইল।
অতঃপর জালিম সম্প্রদায়ের মূল্যেচ্ছেদ করা হইল এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই- যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।

৬. ৪৯: যাহারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলিয়াছে সত্য ত্যাগের জন্য তাহাদের উপর শাস্তি আপতিত হইবে।

৬. ১২৩: এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে সেখানকার অপরাধীদের প্রধানকে সেখানে চক্রান্ত করার অবকাশ দিয়াছি; কিন্তু তাহারা শুধু তাহাদের নিজেদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে; অথচ তাহারা উপলব্ধি করে না।

৬. ১৩১-১৩২: ইহা এইহেতু যে, অধিবাসীবৃন্দ যখন অনবিহত, তখন কোন জনপদকে উহার অন্যায় আচরণের জন্য ধ্বংস করা তোমার প্রতিপালকের কাজ নয়। প্রত্যেকে যাহা করে তদনুসারে তাহা স্থান রহিয়াছে এবং উহারা যাহা করে সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নন।

৬. ১৪৮: যাহারা র্শিক করিয়াছে তাহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষগণ র্শিক করিতাম না এবং কোন কিছুই হারাম করিতাম না।’ এইভাবে তাহাদের পূর্ববর্তীরাও প্রত্যাখান করিয়াছিল, অবশেষে তাহারা আমার শাস্তি ভোগ করিয়াছিল, বল, ‘তোমাদের নিকট কোন প্রমাণ আছে কি? থাকিলে আমার নিকট তাহা পেশ কর; তোমরা শুধু কল্পনারই অনুসরণ কর এবং শুধু মনগড়া কথা বল।’

৭. ৪-৫: কত জনপদকে আমি ধ্বংস করিয়াছি! আমার শাস্তি তাহাদের উপর আপতিত হইয়াছিল রাত্রিতে অথবা দ্বিপ্রহরে যখন তাহারা বিশ্রামরত ছিল। যখন আমার শাস্তি তাহাদের উপর আপতিত হইয়াছিল তখন তাহাদের কথা শুধু ইহাই ছিল যে, ‘নিশ্চয় আমরা জালিম ছিলাম।’

৭: ৯৪-১০৩: আমি কোন জনপদে নবী পাঠাইলে উহার অধিবাসীবৃন্দকে অর্থ-সংকট ও দুঃখ-ক্লেশ দ্বারা আক্রান্ত করি, যাহাতে তাহারা কাকুতি-মিনতি করে। অতঃপর আমি অকল্যাণকে কল্যাণে পরিবর্তিত করি। অবশেষে তাহারা প্রাচুর্যের অধিকারী হয় এবং বলে, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরাও তো দুঃখ-সুখ ভোগ করিয়াছে।’ অতঃপর অকস্মাৎ তাহাদেরকে আমি পাকড়াও করি, কিন্তু তাহারা উপলব্ধি করিতে পারে না। যদি সেই সকল জনপদের অধিবাসীবৃন্দ ঈমান আনিত ও তাক্ওয়া অবলম্বন করিত তবে আমি তাহাদের জন্য আকাশম-লী ও পৃথিবীর কল্যাণ উন্মুক্ত করিতাম, কিন্তু তাহারা প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল; সুতরাং তাহাদের কৃতকর্মের জন্য তাহাদেরকে শাস্তি দিয়াছি।
তবে কি জনপদের অধিবাসীবৃন্দ ভয় রাখে না যে, আমার শাস্তি তাহাদের উপর আসিবে রাত্রিতে যখন তাহারা থাকিবে নিদ্রামগ্ন? অথবা জনপদের অধিবাসীবৃন্দ কি ভয় রাখে না যে, আমার শাস্তি তাহাদের উপর আসিবে পূর্বাহ্নে যখন তাহারা থাকিবে ক্রীড়ারত? তাহারা কি আল্লাহ্র কৌশলের ভয় রাখে না? বস্তুত ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় ব্যতীত কেহই আল্লাহ্র কৌশল হইতে নিরাপদ মনে করে না।
কোন দেশের জনগণের পর যাহারা ঐ দেশের উত্তরাধিকারী হয় তাহাদের নিকট ইহা কি প্রতীয়মান হয় নাই যে, আমি ইচ্ছা করিলে তাহাদের পাপের দরুন তাহাদেরকে শাস্তি দিতে পারি? আর আমি তাহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দিব, ফলে তাহারা শুনিবে না।
এই সকল জনপদের কিছু বৃত্তান্ত আমি তোমার নিকট বিবৃত করিতেছি, তাহাদের নিকট তাহাদের রাসূলগণ তো স্পষ্ট প্রমাণসহ আসিয়াছিল; কিন্তু যাহা তাহারা পূর্বে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল তাহাতে ঈমান আনিবার পাত্র তাহারা ছিল না, এইভাবে আল্লাহ্ কাফিরদের হৃদয় মোহর করিয়া দেন। আমি তাহাদের অধিকাংশকে প্রতিশ্রুতি পালনকারী পাই; বরং তাহাদের অধিকাংশকে তো পাপাচারীই পাইয়াছি।
তাহাদের পর মূসাকে আমার নিদর্শনসহ ফির‘আওন ও তাহার পরিষদবর্গের নিকট পাঠাই; কিন্তু তাহারা উহা অস্বীকার করে। বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কি হইয়াছিল তাহা লক্ষ্য কর।

৭. ১৬৫-১৬৭: যে উপদেশ তাহাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল তাহারা যখন উহা বিস্মৃত হয়, তখন যাহারা অসৎকার্য হইতে নিবৃত্ত করিত তাহাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং যাহারা জুলুম করে তাহারা কুফরী করিত বলিয়া আমি তাহাদেরকে কঠোর শাস্তি দেই। তাহারাা যখন নিষিদ্ধ কাজ ঔদ্ধত্যসহকারে করিতে লাগিল তখন তাহাদেরকে বলিলাম, ‘ঘৃণিত বানর হও!’
স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তিনি তো কিয়ামত পর্যন্ত তাহাদের উপর এমন লোকদেরকে প্রেরণ করিবেন যাহারা তাহাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকিবে, আর তোমার প্রতিপালক তো শাস্তিদানে তৎপর এবং তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।

৭. ১৮২-১৮৩: যাহারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে আমি তাহাদেরকে এমনভাবে ক্রমে ক্রমে ধ্বংসের দিকে লইয়া যাই যে, তাহারা জানিতেও পারিবে না। আমি তাহাদেরকে সময় দিয়া থাকি; আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।

৮. ৩১-৩৬: যখন তাহাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তাহারা তখন বলে, ‘আমরা তো শ্রবণ করিলাম, ইচ্ছা করিলে আমরাও ইহার অনুরূপ বলিতে পারি, ইহা তো শুধু সেকালের লোকদের উপকথা। স্মরণ কর, তাহারা বলিয়াছিল, ‘হে আল্লাহ্! ইহা (আল্লাহর আয়াত) যদি তোমার পক্ষ হইতে সত্য হয়, তবে আমাদের উপর আকাশ হইতে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দাও ।’
এবং তাহাদের কী বা বলিবার আছে যে, আল্লাহ্ তাহাদেরকে শাস্তি দিবেন না, যখন তাহারা লোকদেরকে মসজিদুল হারাম হইতে নিবৃত্ত করে? তাহারা উহার তত্বাবধায়ক নয়, শুধু মুত্তাকীগণই উহার তত্বাবধায়ক; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশ ইহা অবগত নয়।
কা‘বাগৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাহাদের সালাত, সুতরাং কুফরীর জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর।
আল্লার্হ পথ হইতে লোককে নিবৃত্ত করার জন্য কাফিররা তাহাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাহারা ধন-সম্পদ ব্যয় করিতেই থাকিবে; অতঃপর উহা তাহাদের মনস্তাপের কারণ হইবে; ইহার পর তাহারা পরাভূত হইবে এবং যাহারা কুফরী করে তাহাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হইবে।

৮. ৫০-৫৩: ৫০. তুমি যদি দেখিতে পাইতে ফিরিশ্তাগণ কাফিরদের মুখম-লে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করিয়া তাহাদের প্রাণ হরণ করিতেছে এবং বলিতেছে, ‘তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ কর। ইহা তাহা, তোমাদের হস্ত যাহা পূর্বে প্রেরণ করিয়াছিল, আল্লাহ্ তো তাহার বান্দাদের প্রতি অত্যাচারী নন। ফির‘আওনের স্বজন ও উহাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাসের ন্যায় ইহারা আল্লাহ্র আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে; সুতরাং আল্লাহ্ ইহাদের পাপের জন্য ইহাদেরকে শাস্তি দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিমান, শাস্তিদানে কঠোর; ইহা এইজন্য যে, যদি কোন সম্প্রদায় নিজের অবস্থায় পরিবর্তন না করে তবে আল্লাহ্ এমন নন যে, তিনি উহাদেরকে যে সম্পদ দান করিয়াছেন, উহা পরিবর্তন করিবেন; এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

৯. ৫১-৫২: বল, ‘আমাদের জন্য আল্লাহ্ যাহা নির্দিষ্ট করিয়াছেন তাহা ব্যতীত আমাদের অন্য কিছু হইবে না; তিনি আমাদের কর্মবিধায়ক এবং আল্লাহ্র উপরই মু’মিনদের নির্ভর করা উচিত।’
বল, ‘তোমরা আমাদের দুইটি মঙ্গলের একটির প্রতীক্ষা করিতেছ এবং আমরা প্রতীক্ষা করিতেছি, আল্লাহ্ তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন সরাসরি নিজ পক্ষ হইতে অথবা আমাদের হস্ত দ্বারা। অতএব তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।

১১. ১০১-১০২: আমি উহাদের প্রতি জুলুম করি নাই কিন্তু উহারাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। যখন তোমার প্রতিপালকের বিধান আসিল তখন আল্লাহ্ ব্যতীত যে ইলাহ্সমূহের তাহারা ‘ইবাদত করিত তাহারা উহাদের কোন কাজে আসিল না। তাহারা ধ্বংস ব্যতীত উহাদের অন্য কিছু বৃদ্ধি করিল না।
এইরূপই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শাস্তি দান করেন জনপদসমূহকে যখন উহারা জুলুম করিয়া থাকে। নিশ্চয়ই তাঁহার শাস্তি মর্মন্তুদ, কঠিন।

১৩. ৬: মঙ্গলের পূর্বে উহারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করিতে বলে, যদিও উহাদের পূর্বে ইহার বহু দৃষ্টান্ত গত হইয়াছে। মানুষের সীমালংঘন সত্বেও তোমার প্রতিপালক তো মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল এবং তোমার প্রতিপালক শাস্তিদানে তো কঠোর।

১৩. ৩১-৩৪: যদি কোন কুরআন এমন হইত যদ্দ¦ারা পর্বতকে গতিশীল করা যাইত অথবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যাইত অথবা মৃতের সঙ্গে কথা বলা যাইত- তবুও উহারা উহাতে বিশ্বাস করিত না। কিন্তু সমস্ত বিষয়ই আল্লাহ্র ইখ্িতয়ারভুক্ত। তবে কি যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহাদের প্রত্যয় হয় নাই যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে নিশ্চয়ই সকলকে সৎপথে পরিচালিত করিতে পারিতেন?
যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের কর্মফলের জন্য তাহাদের বিপর্যয় ঘটিতেই থাকিবে, অথবা বিপর্যয় তাহাদের আশেপাশে আপতিত হইতেই থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি আসিয়া পড়িবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।
তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা হইয়াছে এবং যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদেরকে আমি কিছু অবকাশ দিয়াছিলাম, তাহার পর উহাদেরকে শাস্তি দিয়াছিলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি!
তবে কি প্রত্যেক মানুষ যাহা করে তাহার যিনি পর্যবেক্ষক তিনি ইহাদের অক্ষম ইলাহ্গুলির মত? অথচ উহারা আল্লাহ্র বহু শরীক করিয়াছে। বল, ‘উহাদের পরিচয় দাও।’ তোমরা কি পৃথিবীর মধ্যে এমন কিছুর সংবাদ দিতে চাও- যাহা তিনি জানেন না? অথবা ইহা বাহ্যিক কথা মাত্র? না, কাফিরদের নিকট উহাদের ছলনা শোভন প্রতীয়মান হইয়াছে এবং উহাদেরকে সৎপথ হইতে নিবৃত্ত করা হইয়াছে, আর আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করেন তাহার কোন পথপ্রদর্শক নাই। উহাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে আছে শাস্তি এবং আখিরাতের শাস্তি তো আরো কঠোর! এবং আল্লাহ্র শাস্তি হইতে রক্ষা করিবার উহাদের কেহ নাই।

১৩. ৪০-৪১: উহাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়াছি তাহার কিছু যদি তোমাকে দেখাই অথবা যদি ইহার পূর্বে তোমার কাল পূর্ণ করিয়া দেই- তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা এবং হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ।
উহারা কি দেখে না যে, আমি উহাদের দেশকে চতুর্দিক হইতে সংকুচিত করিয়া আনিতেছি? আল্লাহ্ আদেশ করেন, তাঁহার আদেশ রদ করিবার কেহ নাই এবং তিনি হিসাব গ্রহণে তৎপর।

১৬. ৯৪. পরস্পর প্রবঞ্চনা করিবার জন্য তোমরা তোমাদের শপথকে ব্যবহার করিও না; করিলে পা স্থির হওয়ার পর পিছলাইয়া যাইবে এবং আল্লাহ্র পথে বাধা দেওয়ার কারণে তোমরা শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করিবে; তোমাদের জন্য রহিয়াছে মহাশাস্তি।

১৬. ১১২. আল্লাহ্ দৃষ্টান্ত দিতেছেন এক জনপদের যাহা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, যেখানে আসিত সর্বদিক হইতে উহার প্রচুর জীবনোপকরণ; অতঃপর উহা আল্লাহ্র অনুগ্রহ অস্বীকার করিল, ফলে তাহারা যাহা করিত তজ্জন্য আল্লাহ্ তাহাদেরকে স্বাদ গ্রহণ করাইলেন ক্ষুধা ও ভীতির আচ্ছাদনের।

১৭. ৪-৭: এবং আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনী ইস্রাঈলকে জানাইয়াছিলাম, ‘নিশ্চয়ই তোমরা পৃথিবীতে দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারস্ফীত হইবে।’
অতঃপর এই দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হইল তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম আমার বান্দাদেরকে, যুদ্ধে অতিশয় শক্তিশালী; উহার ঘরে ঘরে প্রবেশ করিয়া সমস্ত ধ্বংস করিয়াছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হইয়াই থাকে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় উহাদের উপর প্রতিষ্ঠিত করিলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করিলাম ও সংখ্যায় গরিষ্ঠ করিলাম। তোমরা সৎকর্ম করিলে সৎকর্ম নিজেদের জন্য করিবে এবং মন্দ কর্ম করিলে তাহাও করিবে নিজেদের জন্য। অতঃপর পরবর্তী নির্ধারিত কাল উপস্থিত হইলে আমি আমার বান্দাদেরকে প্রেরণ করিলাম তোমাদের মুখম-ল কালিমাচ্ছন্ন করিবার জন্য, প্রথমবার তাহারা যেভাবে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছিল পুনরায় সেইভাবেই উহাতে প্রবেশ করিবার জন্য এবং তাহারা যাহা অধিকার করিয়াছিল তাহা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করিবার জন্য।

১৭. ১৬-১৭: আমি যখন কোন জনপদ ধ্বংস করিতে চাই তখন উহার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিদেরকে সৎকর্ম করিতে আদেশ করি, কিন্তু উহারা সেখানে অসৎকর্ম করে; অতঃপর উহার প্রতি দ-াজ্ঞা ন্যায়সংগত হইয়া যায় এবং আমি উহা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি। নূহের পর আমি কত মানবগোষ্ঠী ধ্বংস করিয়াছি! তোমার প্রতিপালকই তাঁহার বান্দাদের পাপচরণের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট।

১৯. ৭৩- ৭৫: উহাদের নিকট আমার স্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্ত করা হইলে কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘দুই দলের মধ্যে কোন্টি মর্যাদায় শ্রেষ্ঠতর ও মজলিস হিসাবে উত্তম?
উহাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করিয়াছি-যাহারা উহাদের অপেক্ষা সম্পদ ও বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ ছিল। বল, ‘যাহারা বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাহাদেরকে প্রচুর ঢিল দিবেন যতক্ষণ না তাহারা, যে বিষয়ে তাহাদেরকে সতর্ক করা হইতেছে তাহা প্রত্যক্ষ করিবে, উহা শাস্তি হউক অথবা কিয়ামতই হউক। অতঃপর তাহারা জানিতে পারিবে, কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও কে দলবলে দুর্বল ।

২১. ১১-১৫: আমি ধ্বংস করিয়াছি কত জনপদ, যাহার অধিবাসীরা ছিল জালিম এবং তাহাদের পরে সৃষ্টি করিয়াছি অপর জাতি। অতঃপর যখন উহারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করিল তখনই উহারা জনপদ হইতে পলায়ন করিতে লাগিল।
উহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘পলায়ন করিও না এবং ফিরিয়া আস তোমাদের ভোগসম্ভারের নিকট ও তোমাদের আবাসগৃহে, হয়ত এ বিষয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে।’ উহারা বলিল, ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম জালিম।’
উহাদের এই আর্তনাদ চলিতে থাকে আমি উহাদেরকে কর্তিত শস্য ও নির্বাপিত অগ্নি-সদৃশ না করা পর্যন্ত।

২১. ৬৬-৭০: ইব্রাহীম বলিল, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদত কর যাহা তোমাদের কোন উপকার করিতে পারে না, ক্ষতিও করিতে পারে না? ধিক্ তোমাদেরকে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে তোমরা যাহাদের ‘ইবাদত কর তাহাদেরকে! তবুও কি তোমরা বুঝিবে না?
উহারা বলিল, ‘তাহাকে পোড়াইয়া দাও, সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলিকে, তোমরা যদি কিছু করিতে চাও।’
আমি বলিলাম, ‘হে অগ্নি! তুমি ইব্রাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হইয়া যাও।’
উহারা তাহার ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করিয়াছিল। কিন্তু আমি উহাদেরকে করিয়া দিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।

২১. ৮৭: এবং স্মরণ কর যুন-্ নূন (ইউনুস আঃ) -এর কথা, যখন সে ক্রোধভারে বাহির হইয়া গিয়াছিল এবং মনে করিয়াছিল আমি তাহার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করিব না। অতঃপর সে অন্ধকার হইতে আহ্বান করিয়াছিল: ‘তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী।’

২২. ৪৭-৪৮: তাহারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করিতে বলে, অথচ আল্লাহ্ তাহার প্রতিশ্রুতি কখনও ভঙ্গ করেন না। তোমার প্রতিপালকের নিকট একদিন তোমাদের গণনার সহ¯্র বৎসরের সমান; এবং আমি অবকাশ দিয়াছি কত জনপদকে যখন উহারা ছিল জালিম; অতঃপর উহাদেরকে শাস্তি দিয়াছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট।

২২. ৬০: ইহাই হইয়া থাকে, কোন ব্যক্তি নিপীড়িত হইয়া সমতুল্য প্রতিশোধ গ্রহণ করিলে ও পুনরায় সে অত্যাচারিত হইলে আল্লাহ্ তাহাকে অবশ্যই সাহায্য করিবেন; আল্লাহ্ নিশ্চিয়ই পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।

২৩. ৭৩- ৭৭: তুমি তো উহাদেরকে সরল পথে আহ্বান করিতেছ। যাহারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাহারা তো সরল পথ হইতে বিচ্যুত, আমি উহাদেরকে দয়া করিলেও এবং উহাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করিলেও উহারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিতে থাকিবে। আমি তো উহাদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করিলাম, কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের প্রতি বিনত হইল না এবং কাতর প্রার্থনাও করে না। অবশেষে যখন আমি উহাদের জন্য কঠিন শাস্তির দুয়ার খুলিয়া দেই তখনই উহারা ইহাতে হতাশ হইয়া পড়ে।

২৭. ৪৯-৫২: উহারা বলিল, ‘তোমরা আলাøহ্র নামে শপথ গ্রহণ কর, ‘আমরা রাত্রিকালে তাহাকে ও তাহার পরিবার-পরিজনকে অবশ্যই আক্রমণ করিব; অতঃপর তাহার অভিভাবককে নিশ্চয় বলিব, ‘তাহার পরিবার-পরিজনের হত্যা আমরা প্রত্যক্ষ করি নাই; আমরা অবশ্যই সত্যাবাদী।’
উহারা এক চক্রান্ত করিয়াছিল এবং আমিও এক কৌশল অবলম্বন করিলাম, কিন্তু উহারা বুঝিতে পারে নাই।
অতএব দেখ, উহাদের চক্রান্তের পরিণাম কী হইয়াছে- আমি অবশ্যই উহাদেরকে ও উহাদের সম্প্রদায়ের সকলকে ধ্বংস করিয়াছি।
এই তো উহাদের ঘরবাড়ি- সীমালংঘনহেতুযাহা জনশূন্য অবস্থায় পড়িয়া আছে; ইহাতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে।

২৮. ৫৮-৫৯: কত জনপদকে আমি ধ্বংস করিয়াছি যাহার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের দম্ভ করিত! এইগুলিই তো উহাদের ঘরবাড়ি; উহাদের পর এইগুলিতে লোকজন সামান্যই বসবাস করিয়াছে। আর আমি তো চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী!
তোমার প্রতিপালক জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না উহার কেন্দ্রে তাঁহার আয়াত আবৃত্তি করিবার জন্য রাসূল প্রেরণ না করিয়া এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি যখন ইহার বাসিন্দারা জুলুম করে।

২৯. ১০: মানুষের মধ্যে কতক বলে, ‘আমরা আল্লাহে বিশ্বাস করি, কিন্তু আল্লাহ্র পথে যখন উহারা নিগৃহীত হয়, তখন উহারা মানুষের পীড়নকে আল্লাহ্র শাস্তির মত গণ্য করে এবং তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে কোন সাহায্য আসিলে উহারা বলিতে থাকে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই ছিলাম।’ বিশ্ববাসীর অন্তঃকরণে যাহা আছে, আল্লাহ্ কি তাহা সম্যক অবগত নহেন?’

২৯. ৩৪-৩৫: ‘আমরা এই জনপদবাসীদের উপর আকাশ হইতে শস্তি নাযিল করিব, কারণ উহারা পাপাচার করিতেছিল।’ আমি তো বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে একটি স্পষ্ট আয়াত রাখিয়াছি।

২৯. ৩৯-৪০: এবং আমি সংহার করিয়াছিলাম কারূন, ফির‘আওন ও হামানকে। মূসা উহাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিয়াছিল; তখন তাহারা দেশে দম্ভ করিত; কিন্তু উহারা আমার শাস্তি এড়াইতে পারে নাই। উহাদের প্রত্যেককেই আমি তাহার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়াছিলাম : উহাদের কাহারও প্রতি প্রেরণ করিয়াছি প্রস্তরসহ প্রচ- ঝটিকা, উহাদের কাহাকেও আঘাত করিয়াছিল মহানাদ, কাহাকেও আমি প্রোথিত করিয়াছিলাম ভূগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি কোন জুলুম করেন নাই; তাহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল।

৩০. ৩৬: আমি যখন মানুষকে অনুগ্রহের আস্বাদ দেই তাহারা তাহাতে উৎফুল্ল হয় এবং উহাদের কৃতকর্মের ফলে দুর্দশাগ্রস্ত হইলেই উহারা হতাশ হইয়া পড়ে।

৩০. ৪১: মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়াইয়া পড়ে; যাহার ফলে উহাদেরকে উহাদের কোন কোন কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদান করান, যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।

৩২. ২০-২১: এবং যাহারা পাপাচার করিয়াছে তাহাদের বাসস্থান হইবে জাহান্নাম; যখনই উহারা জাহান্নাম হইতে বাহির হইতে চাহিবে তখনই উহাদেরকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে উহাতে এবং উহাদেরকে বলা হইবে, ‘ যে অগ্নিশাস্তিকে তোমরা মিথ্যা বলিতে, উহা আস্বাদন কর।’ গুরু শাস্তির পূর্বে উহাদেরকে আমি অবশ্যই লঘুশাস্তি আস্বাদন করাইব, যাহাতে উহারা ফিরিয়া আসে।

৩৩. ২৪. কারণ আল্লাহ্ সত্যবাদীদেরকে পুরস্কৃত করেন তাহাদের সত্যবাদিতার জন্য এবং তাঁহার ইচ্ছা হইলে মুনাফিকদেরকে শাস্তি দেন অথবা উহাদেরকে ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

৩৪. ১৫-১৭: সাবাবাসীদের জন্য তো উহাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শন: দুইটি উদ্যান, একটি ডান দিকে, অপরটি বাম দিকে, উহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালক প্রদত্ত রিযিক ভোগ কর এবং তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। উত্তম নগরী এবং ক্ষমাশীল প্রতিপালক। পরে উহারা অবাধ্য হইল। ফলে আমি উহাদের উপর প্রবাহিত করিলাম বাঁধভাঙ্গা বন্যা এবং উহাদের উদ্যান দুইটিকে পরিবর্তন করিয়া দিলাম এমন দুইটি উদ্যানে যাহাতে উৎপন্ন হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ এবং কিছু কুল গাছ। আমি উহাদেরকে এই শাস্তি দিয়াছিলাম উহাদের কুফরীর জন্য। আমি কৃতঘœ ব্যতীত আর কাহাকেও এমন শাস্তি দেই না।

৩৯. ২৫- ২৬: উহাদের পূর্ববর্তিগণও অস্বীকার করিয়াছিল, ফলে শাস্তি এমনভাবে উহাদেরকে গ্রাস করিল যে, উহারা ধারণাও করিতে পারে নাই। ফলে আল্লাহ্ উহাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা ভোগ করাইলেন এবং আখিরাতের শাস্তি তো কঠিনতর। যদি ইহারা জানিত!

৪২. ৩০: তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তাহাত তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তো তিনি ক্ষমা করিয়া দেন।

৪২. ৪৮: উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয়, তবে তোমাকে তো আমি ইহাদের রক্ষক করিয়া পাঠাই নাই। তোমার কাজ তো কেবল বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। আমি মানুষকে যখন অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে ইহাতে উৎফুল্ল হয় এবং যখন উহাদের কৃতকর্মের জন্য উহাদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন মানুষ হইয়া পড়ে অকৃতজ্ঞ।

৪৩. ৪৬-৪৮: মূসাকে তো আমি নিদর্শনসহ ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট পাঠাইয়াছিলাম। সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রেরিত।’
সে উহাদের নিকট আমার নিদর্শনসহ আসিবামাত্র উহারা তাহা লইয়া হাসি-ঠাট্টা করিতে লাগিল। আমি উহাদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাই নাই যাহা উহার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয়। আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম যাহাতে উহারা প্রত্যাবর্তন করে।

৪৪. ১৫-১৬: আমি কিছুকালের জন্য শাস্তি রহিত করিব- তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়া যাইবে। যেদিন আমি তোমাদেরকে প্রবলভাবে পাকড়াও করিব, সেদিন নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিবই।

৫৭. ২২-২৩: পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর যে বিপর্যয় আসে আমি উহা সংঘটিত করিবার পূর্বেই উহা লিপিবদ্ধ থাকে; আল্লাহ্র পক্ষে ইহা খুবই সহজ। ইহা এইজন্য যে, তোমরা যাহা হারাইয়াছ তাহাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যাহা তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন তাহার জন্য হর্ষোৎফুল্ল না হও। আল্লাহ্ পসন্দ করেন না উদ্ধত ও অহংকারীদেরকে।

৬৪. ১১: আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বিপদই আপতিত হয় না এবং যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে তিনি তাহার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।

পবিত্র কোরআনের ৯৮ নির্দেশনাঃ খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

MD Hasan fbfdbd

পবিত্র কোরআনের ৯৮ নির্দেশনাঃ খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯)
০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।
০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)
০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)
০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)
০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)
০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)
০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)
০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)
১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)
১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)
১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন। (০২ঃ ২৮২)
১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। (০২ঃ ১৭০)
১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন। (২ঃ ২৮০)
১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবেন না। (০২ঃ ২৭৫)
১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবেন না। (০২ঃ১৮৮)
১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২.১৭৭)
১৮. আস্থা রাখুন (০২ঃ ২৮৩)
১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না। (২:৪২)
২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন। (০৪ঃ ৫৮)
২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান। (০৪: ১৩৫)
২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে বিতরণ করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার আদায় করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৪. এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না। (০৪.১০)
২৫. এতিমদের রক্ষা করুন। (০২.২২০)
২৬. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না। (০৪ঃ ২৯)
২৭. মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করুন। (৪৯ঃ ০৯)
২৮. সন্দেহ এড়িয়ে চলুন। (৪৯ঃ ১২)
২৯. গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না, কুৎসা রটাবেন না। (৪৯ঃ ১২)
৩০. আল্লাহর বিধানুসারে বিচার করুন। (০৫ঃ ৪৫)
৩১. সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন। (৫৭ঃ০৭)
৩২.দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান। (১০৭ঃ ০৩)
৩৩. অভাবীকে অভাব পূরুনের উপায় বাতলে দিন। (০২ঃ ২৭৩)
৩৪. অপব্যয় করবেন না। (১৭ঃ ২৯)
৩৫. খোঁটা দিয়ে দানকে নষ্ট করে দিবেন না। (০২ঃ ২৬৪)
৩৬. অতিথিকে সম্মান করুন। (৫১ঃ ২৬)
৩৭. কেবলমাত্র নিজে আমল করে তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যকে আমল করার আদেশ দিবেন। (০২ঃ৪৪)
৩৮. কাউকে গালাগালি করবেন না। (০২ঃ ৬০)
৩৯. লোকজনকে মসজিদে যেতে বাধা দিবেন না। (০২ঃ ১৪৪)
৪০. কেবল তাদের সাথেই লড়াই করুন, যারা আপনার সাথে লড়াই করে (০২ঃ ১৯০)
৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার মেনে চলুন। (০২ঃ ১৯১)
৪২. যুদ্ধেংদেহী হবেন না। (০৮ঃ১৫)
৪৩. দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। (০২ঃ ২৫৬)
৪৪. সকল নবির উপর ঈমান আনুন। (২: ২৮৫)
৪৫. স্ত্রীর মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন না। (০২ঃ ২২২)
৪৬. আপনার শিশুকে পূর্ণ দুবছর বুকের দুধ খাওয়ান। (০২ঃ ২৩৩)
৪৭. অননুমোদিত উপায়ে যৌন মিলন করবেন না। (১৭ঃ ৩২)
৪৮. যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন। (০২ঃ ২৪৭)
৪৯. কোনো ব্যক্তিকে সামর্থ্যের বাহিরে বেশি বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। (০২ঃ ২৮৬)
৫০. বিভক্তি উসকে দিবেন না। (০৩ঃ ১০৩)
৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন (৩: ১৯১)
৫২. আমল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের সমান পুরষ্কার পাবেন; তাই আমল করুন। (৩: ১৯৫)
৫৩. ‘মাহরাম’ আত্মীয়কে বিবাহ করবেন না। (০৪ঃ ২৩)
৫৪. পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন। (০৪ঃ ৩৪)
৫৫. কৃপণ হবেন না । (০৪ঃ ৩৭)
৫৬. অন্তরে পরশ্রীকাতরতা পুষে রাখবেন না। (০৪ঃ ৫৪)
৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না। (০৪ঃ ৯২)
৫৮. প্রতারণার পক্ষে ওকালতি করবেন না। (০৪ঃ ১০৫)
৫৯. পাপ কাজে এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না। (০৫ঃ০২)
৬০. সৎ কাজে সহযোগিতা করুন। (০৫ঃ ০২)
৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোনোকিছু সত্য বলে গ্রহণ করবেন না। ( ০৬ঃ ১১৬)
৬২. ন্যায়বিচার করুন। (০৫ঃ ০৮)
৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। (০৫ঃ ৩৮)
৬৪. পাপ ও বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন (০৫ঃ ৬৩)
৬৫. মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকরের মাংস ভক্ষণ থেকে দূরে থাকুন। (০৫ঃ ০৩)
৬৬. মাদক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (৫:৯০)
৬৭. জুয়া খেলবেন না। (০৫ঃ ৯০)
৬৮. অন্য ধর্মের দেবদেবীদের অবমাননা করবেন না। (০৬ঃ ১০৮)
৬৯. ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দ্যেশ্যে মাপে কম দিবেন না। (০৬ঃ ১৫২)
৭০. খান এবং পান করুন; তবে অপচয় করবেন না। (০৭ঃ ৩১)
৭১. নামাজের সময় ভালো পোশাক পরিধান করুন। (০৭ঃ ৩১)
৭২. আশ্রয়প্রার্থীকে সুরক্ষা দিন, সহযোগিতা করুন। (০৯ঃ ০৬)
৭৩. বিশুদ্ধতাকে আঁকড়ে ধরুন। (০৯ঃ ১০৮)
৭৪. আল্লাহর রহমতের আশা কখনই পরিত্যাগ করবেন না। (১২ঃ ৮৭)
৭৫. অজ্ঞতাবশত ভুল করলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করুন। ( ১৬ঃ ১১৯)
৭৬. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করুন হিকমা ও উত্তমভাবে। (১৬ঃ ১২৫)
৭৭. অন্যের পাপের বোঝা কাউকে বইতে হবে না, বিশ্বাস করুন। (১৭ঃ ১৫)
৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না। (১৭ঃ ৩১)
৭৯. যে বিষয়ে জ্ঞান আপনার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে কারও পিছু লাগবেন না। (১৭ঃ ৩৬)
৮০. নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন। (২৩ঃ ০৩)
৮১. অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ২৭)
৮২. যারা আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, এই বিশ্বাস রাখুন। (২৪:৫৫)
৮৩. জমিনে নম্রভাবে চলাফেরা করুন। (২৫ঃ ৬৩)
৮৪. পৃথিবীতে আপনার অংশকে অবহেলা করবেন না। (২৮ঃ ৭৭)
৮৫. আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকবেন না। (২৮ঃ ৮৮)
৮৬. সমকামিতার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন না। (২৯ঃ ২৯)
৮৭. সৎ কাজের আদেশ দিন, অসৎ কাজে বাধা দিন। (৩১ঃ ১৭)
৮৮. জমিনের উপর দম্ভভরে ঘুরে বেড়াবেন না। (৩১ঃ ১৮)
৮৯. মহিলারা তাদের জাকজমকপূর্ণ পোষাক প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (৩৩ঃ ৩৩)
৯০. আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, বিশ্বাস রাখুন। (৩৯ঃ ৫৩)
৯১. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না। (৩৯ঃ ৫৩)
৯২. ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন। (৪১ঃ ৩৪)
৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। (৪২ঃ ১৩)
৯৪. সর্বোত্তম মানুষ হওয়ার লড়াই করুন। (৪৯ঃ ১৩)
৯৫. বৈরাগ্যবাদী হবেন না। ( ৫৭ঃ ২৭)
৯৬. জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপৃত হোন। ( ৫৮ঃ ১১)
৯৭. অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন। (৬০ঃ ০৮)
৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান। (৬৪ঃ ১৬)

এইসকল প্রতিটা আইন নিজের মধ্যে ধারন করাই হলো সালাত!! আর সালাতী হতে পারলেই হবেন যাকাহ বা পরিশুদ্ধ!! এবং আপনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন ৷

Hadith not explaination of Quran

By Mahmud Hasan fbfd

মিথ্যাবাদিরা বলে হাদিস কুরআনের ব্যাখা ৷ যারা হাদিসকে কুরআনের ব্যাখা বলে তারা আয়াত অস্বিকারকারী কাফের ৷
আল্লাহ নিজেই কুরআন ব্যাখা করেছেন
(11:1) আলিফ_লাম_রা ৷ এটি এমন কিতাব, যার আয়াতগুলি সুস্থিত করা হয়েছে অতপর বিস্তারিতভাবে বর্ননা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়ের তরফ থেকে ৷
(7:174) আর এভাবেই আমি আয়াতসমুহকে বিস্তারিতভাবে বর্ননা করি, যাতে তারা ফিরে আসে ৷
(7:52) আর আমিতো তাদের কাছে এমন কিতাব নিয়ে এসেছি যা আমি জ্ঞানের ভিত্তিতে বিস্তারিত বর্ননা করেছি, তা হিদায়াত ও রহমত এমন জাতীর জন্য, যারা ঈমান রাখে ৷
(75:19) অতপর এর বিশদ ব্যাখার দায়িত্ব আমারই ৷

কুরআনকে আল্লাহ বিশদ ব্যাখাময়, যথাযথ বর্ননাময়,এবং সুস্পষ্ট করেছেন কিনা তার আরও আয়াত দেখুনঃ (2:266) (6:97)(6:98) (6:114) (6:119) (6:126) (6:154) (7:32) (7:35) (7:52) (7:174) (10:5)(10:24) (10:37) (12:111) (13:2) (17:12)(17:89) (18:54) (20:113) (24:61) (41:3)

এই আয়াতগুলো পড়ার পর যারা কুরআনের বাইরে অন্য কোন কিতাব যেমন, বোখারী, মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ সহ অন্য কিতাবকে কুরআনের ব্যাখা বললে, সে আয়াতগুলোকে কঠোরভাবে অস্বিকার করে কাফির সাব্যস্ত হবে ৷

আয়াত অস্বিকার করলেই কাফির ৷

Imp verses. Jsy

মদিনার ইউনিভার্সিটিতে পড়ে
জামেয়াতুল উলূমুল ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়ে,
মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে পড়ে,
দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ে,
আরও অনেক ইউনিভার্সিটিতে পড়ে ডঃ মাহবুবুল্লাহ যশোরী
বলছে,

(১) এই কুরআন আমাদের জন্য যথেষ্ট ২৯/৫১ আয়াত মতে।
(২) শুধু কুরআনকে মায়ের ভাষায় পড়লে গোমরা হওয়া থেকে বাঁচা যাবে ১৯/৯৭ আয়াত মতে।
(৩) রবের পাঠানো আহসানুল হাদিস মানলেই চলবে ৩৯/২৩ আয়াত মতে।
(৪) কুরআনের প্রতিটি আয়াত উপদেশ লাভের জন্য আল্লাহর সহজ করে দিয়েছেন ৫৪/১৭,২২,৩২,৪০ আয়াতগুলি মতে।
(৫) কোরআনকে বুঝার জন্য,কোরআনকে মানার জন্য,কোরআনকে প্রচার করার জন্য মানুষের লেখা কোন গ্রন্থের প্রয়োজন পড়ে না।
২১/১০,৫/৬৭,৪৪/৫৮ আয়াতগুলি মতে।
(৬) যে ব্যক্তি শুধু কোরআন মেনে জীবন কাটাবে সে অবশ্যই মুসলিম থাকবে।
ওই লোকগুলি কোনদিন মুসলিম থাকতে পারবে না যারা কোরআনের বিপরীত মানুষের লেখা কোন গ্রন্থকে মেনে জীবন কাটাবে ৩/৮৫ আয়াত মতে।
(৭)কোরআন কেবল ঐ সকল লোকদেরকে পথ দেখায় যারা জীবিত। কোরআন মৃত ব্যক্তিদের জন্য আসেনি।
কোরআন মৃত ব্যক্তিদেরকে কবরে যাওয়ার পূর্বে ২/১৭৭ আয়াত মেনে মুত্তাকিন হতে বলে।
(৮) যারা শুধু কুরআন মেনে চলে, তারা ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের দালাল হতে পারেনা ৫/৫১ আয়াত মতে।
(৯) যে সমাজে বড় বড় ডিগ্রিধারী মৌলবীরা কোরআনের ব্যাপারে মিথ্যাচারে ব্যস্ত রয়েছে তাদেরকে আমরা উলামায়ে রব্বানী না বলে উলামায়ে ক্রাইম বলতে বাধ্য হই।
কারণ তারা সবাই কোরআনের ইসলাম আসার পরে নিজেদের মাঝে মতবিরোধ ঘটায় ২/২১৩ আয়াত মতে।
(১০) ডক্টর মাহবুবুল্লাহ যশোরী আপনাদেরকে বাধ্য করছে না ২/২৫৬ আয়াত মতে কোরআনের ইসলাম মানার ব্যাপারে।
তবে আপনাদেরকে দাওয়াত দিচ্ছে
আপনারা বাংলাদেশী সেবা পার্টি তে এসে রবের দেওয়া ন্যায় তন্ত্র কায়েম করার লক্ষ্যে কাজ করতে পারেন।
মনে রাখবেন
আমাদের পার্টি দুর্নীতিমুক্ত
দুষ্কৃতী মুক্ত
ভ্রষ্টাচার মুক্ত
আমরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করি না
আমরা জঙ্গিবাদের সাপোর্ট করি না
আমরা আগুন খোর উলামা ও বক্তাদের পক্ষে কথা বলি না
আমরা সকল বাতিল মতবাদ যারা তৈরি করেছে তাদের থেকে দূরে থাকি আল্লাহ তাআলার আয়াত নিয়ে।