কুরআনের কথাগুলো হলো একটি দিক-নির্দেশনা বা উপদেশ

যেই বিধান কিছু মানুষের সাথে যায় আর কিছুর সাথে যায় না তা আল্লাহর বিধান নয় চিন,জাপান,কোরিয়া, মোংগলিয়া,উপজাতি এ সকল অঞ্চলে মানুষের দাড়িই হয়না তাই আল্লাহ দাড়ির বিধান কুরআনে দেননি কেননা তিনি কুরআনকে বলেছেন পুরো বিশ্বের জন্য উপদেশগ্রন্থ।

বিশ্বজগতের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কুরআনের কথাগুলো হলো একটি দিক-নির্দেশনা বা উপদেশ(সূরা নং-৩৮,আয়াত-৮৭)।

১.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন,আল্লাহ সবার সাথে উত্তম আচরণ,সদ্ব্যবহার করতে বলেছেন।বাসার কাজের লোক,পরিচিত,অপরিচিত সবার সাথে,আর আল্লাহর এই আদেশ জানাই সালাত।

“তোমরা ইবাদাত কর আল্লাহর,তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতাপিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে,ইয়াতীম,মিসকীন,নিকট আত্মীয়- প্রতিবেশী,অনাত্মীয়-প্রতিবেশী,পার্শ্ববর্তী সাথী,মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।(সুরা আন-নিসা,আয়াত ৩৬)

আর কুরআনের বাইরের বই পড়লে জানবেন,শবে মেরাজ, শবে কদর আর নফল নামাজ,তাহাজ্জুদ ও একরাতে সব গুনাহ মাপের নামাজের নিয়ম।মানে যা ব্যক্তির কাছ থেকে বিনিময়ের মাধ্যমে শিখতে হয় বা বই কিনে শিখতে হয়।

২.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন আল্লাহ কাউকে উপহাস করতে,একে অপরকে দোষারোপ করতে,মন্দ নামে ডাকতে নিষেধ করেছেন।যারা এসব করে আল্লাহর কাছে তারা যালিম।কিন্তু আপনি আমি নোয়াখাইল্লা, কাইল্লা,ভোটকা কারো ব্যার্থতায় হাসাহাসি মানে উপহাস করি।আমাদের সো কলড আলেমরা এক অপরকে দোষারোপ,গালাগালি কাফের মুশরেক বলছে।

“হে মু’মিনগণ!কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে;কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকেও যেন উপহাস না করে;কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে।তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করনা এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকনা;ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ।যারা এ ধরণের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই যালিম।(সুরা আলহুজরাত,আয়াত ১১)

এই আয়াত অনুযায়ী আমরা যেসব ধর্মীয় বক্তাদের দোষারোপ করতে দেখি,আল্লাহর কাছে তারা যালিম।

৩.আল্লাহ ঘুষ দিতে ও অন্যের সম্পদ খেতে নিষেধ করেছেন।আর আপনি এ কাজ করলে,আপনার সালাত কায়েম হলো না।অথচ আল্লাহর নিষেধ করা কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করে চলছি লেবাস ধরে,কুরআন কায়েমের কথা বলে মানে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার নামে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছি।

“তোমরা নিজদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।(সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৮)

৪.আল্লহ সম্পদ পুঞ্জিভূত বা আগলিয়ে রাখতে নিষেধ করেছেন যদি আপনি তা পালন করেন,আপনি সালাত কায়েম করলেন।কিন্তু আমি আপনি অন্যের সম্পদ এমনকি সরকারি সম্পদ ও নিজের করে আগলিয়ে রেখে ভোগ করি।”জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সম্পদ পুঞ্জিভুত করে রেখে ছিল আর আগলিয়ে রেখেছিল(সুরা মাআরিজ আয়াত ১৭/১৮)

৫.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন,আল্লাহ বিনয়ী হতে ও ক্ষমাশীল হতে বলেছেন।আর না বুজে পড়লে আপনাকে যে যা বুজাবে তা আল্লাহর কথা বলে চালানো যাবে।”তুমি বিনয় ও ক্ষমা পরায়ণতার নীতি গ্রহণ কর,এবং লোকদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দাও, আর মূর্খদের কে এড়িয়ে চল।(সুরা আল-আরাফ,আয়াত ৭)

আর আল্লাহর এ সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলাই সালাত কায়েম করা।জ্বী আপনি ঠিকই শুনেছেন আল্লাহ সালাত কায়েম করতে বলেছেন,পড়তে নয়।পার্থিব জগতের প্রতিটা কাজে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলাটাই সার্বক্ষণিক সালাতে থাকা।আল্লাহ বলছেন তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতে দাঁড়াবে না যতক্ষন তোমরা বুঝতে পারসো তোমরা কি বলছো।আচ্ছা আমরা কি স্বাভাবিক অবস্থায় বুঝে সালাত দাড়াই? উত্তর না,তাই আমরা সালাত কায়েম করি না, আমরা সালাত পড়ি।

ভূমি অফিসের কর্মকর্তা,আমি ঘুষ দিতে গড়িমসি করায় বললেন,”আপনি টাকা দিলে দেন নয় আমি নামাজে গেলাম।”তাই আল্লাহ বলছেন সুরা বাকারা ১৭৭ নাম্বার আয়াতে “কল্যান নেই তোমাদের পূর্ব-পশ্চিম দিকে মুখ ফেরানোতে,এরপরই তিনি বলেছেন আমাদের জন্য কিসে কল্যান রয়েছে।

কিন্তু আমরা আরবি উচ্চারণ,তেলাওয়াত,হরফ প্রতি নেকিতে এতই ব্যস্ত যে আমরা মূল বইয়ের চাইতে, আউট অফ সিলেবাসে র বইয়ে প্রতি মনোযোগী বেশি,সে সকল বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মূল বইকে ডিফেন্ড করি,সেই বইকে মুল বইয়ের সমকক্ষ বা বেশি গুরুত্ব দেই।ব্যক্তির কথা দিয়ে আল্লাহর কথা জাজ করি,তাই আল্লাহ বলে দিয়েছেন,অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে একই সাথে শির্ক করে (সুরা12:আয়াত106)

Sourcefb

সৎকর্ম বাদ দিয়ে প্রচলিত নামাজ নিয়ে জান্নাতের চাবি বানিয়ে ফেলেছে?

সৎকর্ম বাদ দিয়ে প্রচলিত নামাজ নিয়ে জান্নাতের চাবি বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কুরআনে একটা জায়গায় প্রচলিত নামাজ পড়ে জান্নাতে যাওয়ার কথা বলা নেই কিন্তু 63 বেশি আয়াতে এক সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাস ও সৎ কর্মে জান্নাতের কথা বলা আছে কুরআনে প্রচলিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে ও সারা দিন না খেয়ে রোজা রাখলে জান্নাতে যাওয়া যাবে নিচে উল্লেখিত 84 টি আয়াতের মত একটি আয়াত উল্লেখ করুন। নইলে আপনারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছেন তা সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দিন।

আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কুরআনে বলেছেন—“যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে তারা-ই সৃষ্টির সেরা”(৯৮:৭)। পুরুষই হোক বা নারী-ই হোক, যারা তওবা করে,বিশ্বাসী হয়ে, সৎকাজ করবে, তাদের প্রাপ্য নষ্ট হবে না, বরং পরিপূর্ণ ভাবে দেয়া হবে। তাদের ভয় নাই, তারা দু:খিতও হবে না—তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।এই কথাগুলো বলা আছে নীচের উল্লেখিত আয়াত সমূহে।
1.সময়ের শপথ ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।(103:1-3)
2.নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়। এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।(11:114)
3.তবে যারা তাওবা করে, বিশ্বাস ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ অভিমুখী হয়। (25:70,71)
4.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে,আমি অবশ্যই তাদের থেকে তাদের মন্দকাজগুলো মিটিয়ে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তারা যে উত্তম কাজ করত, তার প্রতিদান দেব।(29:7)
5.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে আমি অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করব।(29:9)
6.হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর—বিশুদ্ধ তাওবা,সম্ভবত তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। (66:8)
7.আর আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তাওবা করে, বিশ্বাস করে , সৎকাজ করে এবং সৎপথে অবিচল থাকে।(20:82)
8.তবে যে ব্যক্তি তাওবা করেছিল, বিশ্বাস করেছিল এবং সৎকর্ম করেছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (28:67)

9.অতঃপর যারা বিশ্বাস করে ও নিজেকে সংশোধন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।(6:48)
10.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদসমূহে স্থান দান করব; যার নিচে নদীমালা প্রবাহিত থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার কত উত্তম!(29:58)
11.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে শুভ সংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত; যার তলদেশে নদী প্রবাহিত,যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে, তখনই তারা বলবে, আমাদেরকে পূর্বে জীবিকা হিসেবে যা দেয়া হতো, এতো তারই মতো। একই রকম ফল তাদেরকে দেয়া হবে এবং সেখানে রয়েছে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিণী, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে।(2:25)
12.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে, যারা ইয়াহুদী এবং খ্রিষ্টান হয়েছে অথবা সাবেয়ী হয়েছে, এদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ এবং শেষ দিবসে বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য তাদের রবের নিকট পুরস্কার আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।(2:62)
13.আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই হবে জান্নাতের অধিবাসী; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।(2:82)
14.নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে, সালাত প্রতিষ্ঠা করেছে এবং যাকাত দিয়েছে, তাদের প্রতিদান রয়েছে তাদের রব-এর নিকট। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।(2:277)
15.আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদের প্রতিফল পুরোপুরিভাবে প্রদান করবেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(3:57)
16.আর যারা বিশ্বাস করে ও ভাল কাজ করে অচিরেই আমি তাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার পাদদেশে নদী-নালাসমূহ প্রবাহিত; যেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী থাকবে এবং তাদেরকে আমি চিরস্নিগ্ধ ছায়ায় প্রবেশ করাব।(4:57)
17.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে, আমরা তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর কে আল্লাহর চেয়ে কথায় সত্যবাদী?(4:122)
18.আর পুরুষই হোক অথবা নারীই হোক, যারাই বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করবে, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি বিন্দু পরিমাণও যুলুম করা হবে না। (4:124)
19.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তিনি তাদেরকে পূর্ণ পুরস্কার দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দেবেন,কিন্তু যারা উন্নাসিকতা প্রদর্শন করে ও অহঙ্কার করে তাদেরকে তিনি মর্মন্তুদ শাস্তি প্রদান করবেনএবং আল্লাহ ছাড়া তাদের জন্য তারা কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।(4:173)
20.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদের জন্য ক্ষমা এবং মহাপুরস্কার আছে।(5:9)
21.নিশ্চয় যারা বিশ্বাসী এবং ইয়াহুদী, স্বাবেয়ী ও খ্রিষ্টান তাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করবে এবং সৎকাজ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।(5:69)
22.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, তার জন্য তাদের কোন পাপ নেই, যদি তারা সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে, পুনরায় সাবধান হয় এবং সৎকর্মশীল হয়। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলগণকে ভালবাসেন। (5:93)
23.আর যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে এমন কোন ব্যক্তিকে আমি তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করিনা – তারাই হবে জান্নাতবাসী, সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে। (7:42)
24.আর যারা বিশ্বাস করেছে, হিজরত করেছে এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদায় শ্ৰেষ্ঠ। আর তারাই সফলকাম।(9:20)
25.…….আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদেরকে ইনসাফপূর্ণ প্রতিফল প্রদানের জন্য। আর যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত গরম পানীয় ও অতীব কষ্টদায়ক শাস্তি; কারণ তারা কুফরী করত।(10:4)
26.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের রব তাদের বিশ্বাসের কারণে তাদেরকে পথ নির্দেশ করবেন; নিয়ামতে ভরপুর জান্নাতে তাদের পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। (10:9)
27.কিন্তু যারা ধৈর্য ধারণ করে ও সৎকর্ম করে এমন লোকদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং বিরাট প্রতিদান। (11:11)
28.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে ,সৎকর্ম করেছে এবং তাদের রবের প্রতি বিনয়াবনত হয়েছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।(11:23)
29.যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, কল্যাণ ও শুভ পরিণাম তাদেরই।(13:29)
30.যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে প্রবেশ করানো হবে জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত; সেখানে তারা তাদের রবের অনুমতিক্রমে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে,সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’।(14:23)
31.পুরুষ ও নারী যে কেউই বিশ্বাসী হয়ে সৎকর্ম করবে, তাকে আমি নিশ্চয়ই সুখী জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।(16:97)

  1. তোমরা সৎকাজ করলে সৎকাজ নিজেদের জন্য করবে এবং মন্দকাজ করলে তাও করবে নিজেদের জন্য। নিশ্চয় এ কুরআন এমন পথনির্দেশ করে, যা সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সৎকর্মপরায়ণ বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।(17:7,9)
    33.সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি তাঁর বান্দার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে তিনি কোন প্রকার বক্রতা রাখেননি। একে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত তাঁর কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য এবং বিশ্বাসীগণ, যারা সৎকাজ করে তাদেরকে এই সুসংবাদ দেয়ার জন্য যে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার ।(18:1,2)
    34.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে আমি তাদেরকে পুরস্কৃত করি, যে সৎকাজ করে আমি তার কর্মফল নষ্ট করিনা।(18:30)
    35.ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি পার্থিব জীবনের শোভা-সৌন্দর্য, আর তোমার রবের নিকট পুরস্কার লাভের জন্য স্থায়ী সৎকাজ হল উৎকৃষ্ট আর আকাঙ্ক্ষা পোষণের ভিত্তি হিসেবেও উত্তম। (18:46)
    36.আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে, তার জন্য প্রতিদান স্বরূপ আছে কল্যাণ এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলব।(18:88)
    37.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাউস।(18:107)
    38.বল,আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র সত্য ইলাহ। কাজেই যে তার রব-এর সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে ও তার রব-এর ইবাদাতে কাউকেও শরীক না করে।(18:110)
    39.কিন্তু তারা নয়—যারা তাওবা করেছে, বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে। তারা তো জান্নাতে প্ৰবেশ করবে। আর তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না।(19:60)
    40.এবং যারা সৎ পথে চলে আল্লাহ তাদেরকে অধিক হিদায়াত দান করেন এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার রবের পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং প্রতিদান হিসাবেও শ্রেষ্ঠ।(19:76)
    41.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকর্ম করেছে পরম দয়াময় তাদের জন্য পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টি করবেন।(19:96)
    42.আর যারা তাঁর নিকট বিশ্বাসী হয়ে ও সৎকর্ম করে উপস্থিত হবে, তাদের জন্য আছে সমুচ্চ মর্যাদাসমূহ।(20:75)
    43.নিশ্চয় আমি তার জন্য বড় ক্ষমাশীল যে তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকাজ করে ও সৎপথে অবিচল থাকে।(20:82)
    44.আর যে বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করে, কোন আশংকা নেই অবিচারের এবং অন্য কোন ক্ষতির।(20:112)
    45.সুতরাং যদি কেউ বিশ্বাসী হয়ে সৎকর্ম করে, তবে তার কর্ম-প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হবে না এবং নিশ্চয় আমি তা লিখে রাখি।(21:94)
    46.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে অবশ্যই আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তা-ই করেন।(22:14)
    47.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে,আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, সেথায় তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ-কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা এবং সেথায় তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের।(22:23)
    48.সুতরাং যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।(22:50)
    49.সে দিন আল্লাহরই আধিপত্য হবে;তিনিই তাদের বিচার করবেন; যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তারা অবস্থান করবে সুখময় জান্নাতে।(22:56)
    50.হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকাজ কর; তোমরা যা কর সেই সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত। (23:51)
    51.তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে অবশ্যই প্রতিনিধিত্ব দান করবেন; যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে……(24:55)
    52.কিন্তু তারা ছাড়া যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে, আল্লাহকে বেশী পরিমাণ স্মরণ করেছে এবং অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্ৰহণ করেছে। আর যালিমরা শীঘ্রই জানবে কোন ধরনের গন্তব্যস্থলে তারা ফিরে যাবে। (26:227)
    53.অতঃপর সুলাইমান তার এ কথাতে মৃদু হাসলেন এবং বললেন, হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি এমন সৎকাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন। আর আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন।(27:19)
    54.তবে যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, সে অবশ্যই সফলকাম হবে। কেহ যদি সৎ কাজ করে তাহলে সে তার কাজ অপেক্ষা উত্তম ফল পাবে, আর যে মন্দ কাজ করে সেতো শাস্তি পাবে শুধু তার কাজ অনুপাতে। (28:67,84)
    55.আর যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলল, ধিক তোমাদেরকে! যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ এবং ধৈর্যশীল ছাড়া তা কেউ পাবে না।(28:80)
    56.অতএব যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে, তারা জান্নাতে আনন্দে থাকবে।(30:15)
    57.যে অবিশ্বাস করে, অবিশ্বাসের জন্য সে-ই দায়ী। আর যারা সৎকাজ করে, তারা নিজেদেরই জন্য সুখশয্যা রচনা করে। কারণ, যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে পুরস্কৃত করেন।নিশ্চয় তিনি অবিশ্বাসীদেরকে ভালবাসেন না। (30:44,45)
    58.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে সুখের উদ্যানরাজি। (31:8)
    59.যারা বিশ্বাস করে সৎকাজ করে, তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য জান্নাত হবে তাদের বাসস্থান।(32:19)
    60.আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি অনুগত হবে এবং সৎকাজ করবে তাকে আমরা পুরস্কার দেব দু’বার। আর তার জন্য আমরা প্ৰস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিযিক।(33:31)
    61.এটা এজন্য যে, যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণ তিনি তাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। এদেরই জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রয়েছে।’(34:4)
    62.এবং তাকে বলেছিলাম, তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরী কর,ওগুলির কড়াসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর এবং তোমরা সৎকাজ কর। তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আমি তার সম্যক দ্রষ্টা।(34:11)
    63.আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আমার নৈকট্য লাভের সহায়ক হবে না। তবে নৈকট্য লাভ করবে তারাই যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে এবং তারা তাদের কাজের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার। আর তারা প্রাসাদসমূহে নিরাপদে বসবাস করবে।(34:37)
    64.যারা অবিশ্বাস করে, তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি এবং যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।(35:7)
    65.দাউদ বললেন, তোমার ভেড়ীটিকে তার ভেড়ীগুলোর সঙ্গে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলুম করেছে। আর শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর তো সীমালঙ্ঘন করে থাকে—করে না শুধু যারা বিশ্বাসী এবং সৎকাজ করে, আর তারা সংখ্যায় স্বল্প। আর দাউদ বুঝতে পারলেন, আমরা তো তাকে পরীক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি তার রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন এবং নত হয়ে লুটিয়ে পড়লেন, আর তাঁর অভিমুখী হলেন।(38:24)
    66.যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে এবং যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আমি কি তাদেরকে সমান গণ্য করব? অথবা সাবধানিগণকে কি অপরাধিগণের সমান গণ্য করব?(38:28)

67.কেউ মন্দ কাজ করলে সে শুধু তার কাজের অনুরূপ শাস্তিই প্রাপ্ত হবে। আর যে পুরুষ কিংবা নারী বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করবে তবে তারা প্ৰবেশ করবে জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে দেয়া হবে অগণিত রিযিক।(40:40)
68.আর সমান নয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মান এবং যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে এবং যারা দুষ্কৃতিপরায়ণ। তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।(40:58)
69.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার রয়েছে।(41:8)
70.আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম যে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করে, সৎকাজ করে এবং বলে, ‘আমি তো আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)’ ।(41:33)
71.যে সৎকাজ করে সে নিজের কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ কাজ করলে তার প্রতিফল সে নিজেই ভোগ করবে। আর তোমার প্রতিপালক তাঁর দাসদের প্রতি কোন যুলুম করেন না।(41:46)
72.তুমি সীমালংঘনকারীদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখবেন তাদের কৃতকর্মের জন্য; অথচ তা আপতিত হবে তাদেরই উপর। আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তারা থাকবে জান্নাতের উদ্যানসমূহে। তারা যা কিছু চাইবে তাদের রবের কাছে তাদের জন্য তা-ই থাকবে। এটাই তো মহা অনুগ্রহ। আল্লাহ এ সুসংবাদই তাঁর বান্দাদেরকে দেন, যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে। বল, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের কাছ থেকে আত্মীয়তার সৌহাদ্য ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না। যে উত্তম কাজ করে আমরা তার জন্য এতে কল্যাণ। বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, গুণগ্ৰাহী।।(42:22,23)
73.তিনি বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণদের আহবানে সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ধিত করেন; আর অস্বীকারকারীদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। (42:26)
74.যে সৎকাজ করে সে তার কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ কাজ করলে তা তারই উপর বর্তবে, তারপর তোমাদেরকে তোমাদের রবের দিকেই প্রত্যাবর্তিত করা হবে।(45:15)
75.দুষ্ককৃতকারীরা কি মনে করে যে, আমি জীবন ও মৃত্যুর দিক দিয়ে ওদেরকে তাদের সমান গণ্য করব, যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে?তাদের বিচার-সিদ্ধান্ত কতই না মন্দ!(45:21)
76.অতঃপর যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে, পরিণামে তাদের রব তাদেরকে প্রবেশ করাবেন স্বীয় রহমতে। এটাই সুস্পষ্ট সাফল্য।(45:30)
77.আর যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে এবং মুহাম্মদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তাতে বিশ্বাস করেছে,আর তা-ই তাদের রবের পক্ষ হতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাদের মন্দ কাজগুলো বিদূরিত করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন।(47:2)
78.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। কিন্তু যারা অবিশ্বাস করে তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং তারা আহার করে যেমন চতুষ্পদ জন্তুরা আহার করে। আর জাহান্নামই তাদের বাসস্থান। (47:12)
79.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের।(48:29)
80.স্মরণ কর,যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন সমাবেশ দিবসে,সেদিন হবে লাভ-ক্ষতির দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে, তিনি তার পাপরাশি মোচন করবেন এবং তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহা সাফল্য।(64:9)
81.এক রাসূল, যে তোমাদের কাছে আল্লাহ্‌র সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করে, যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে আনার জন্য। আর যে কেউ আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে,সৎকাজ করবে তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহ্‌ তো তাকে উত্তম রিযিক দেবেন।(65:11)
82.কিন্তু যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।(84:25)
83.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; এটাই মহাসাফল্য।(85:11)
84.তবে যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (95:6)

85.পৃথিবী যখন আপন কম্পনে প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে।এবং পৃথিবী যখন তার ভারসমূহ বের করে দেবে, এবং মানুষ বলবে, ‘এর কি হল?’সেদিন পৃথিবী তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে।যেহেতু তোমার রব তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।সেদিন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো যায়। অতএব কেউ অণু পরিমাণও সৎ কাজ করলে সে তা দেখবে এবং কেহ অণু পরিমান অসৎ কাজ করলে তাও দেখতে পাবে। (99:1-8)
86.যে ব্যক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান এবং সেদিনের ভীতিকর অবস্থা থেকে তারা নিরাপদ থাকবে। আর যারা মন্দ কাজ নিয়ে আসবে তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করেছ তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হল’। (27:89,90)
87.যে সৎপথ অবলম্বন করবে। সে তো নিজেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করে এবং যে পথভ্রষ্ট হবে সে তো পথভ্রষ্ট হবে নিজেরই ধ্বংসের জন্য। আর কোন বহনকারী অন্য কারো ভার বহন করবে না। আর আমরা রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত শাস্তি প্রদানকারী নই।(17:15)
88.হে মানুষ! তুমি তোমার রবের কাছে পৌছা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাত লাভ করবে।(84:6)
89.সুতরাং যে তার রবের সাথে সাক্ষাত কামনা করে সে যেন সৎ কাজ করে এবং তার রবের ইবাদাতে কেহকেও শরীক না করে। (18:110)

Anamul Hoque Anamul fbfd

আল কুরআন যেভাবে পরিত্যক্ত:

📚 আল কুরআন যেভাবে পরিত্যক্ত:

✅ ইমামদের ও ইমামদের নামে রচিত কিতাব বা বই তাদের নিজস্ব মতামতে ভরপুর। তাই যারা মাযহাবের অনুসরণ করে, তারা উক্ত কিতাব বা বই গুলো পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ সালাফী বা আহলে হাদীছদের রচিত কিতাব বা বই গুলো রসূনের নামে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা ভরপুর। উক্ত কিতাব বা বই গুলো তাদের অনুসারীরা পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ তরিকাহ পন্থী বা পীর পন্থীদের কিতাব বা বই গুলো বানোয়াট কেরামতিতে ভরপুর। মুরিদ বা ভক্তগণ উক্ত কিতাব বা বই গুলো পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ প্রচলিত তাবলীগ জামাআত ইলিয়াস সাহেবের রচিত কিতাব বা বই গুলো পাঠ করতে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

⚽ আল কুরআনের দাওয়াত প্রদানে আমার অভিজ্ঞতা:

✅ আমি একান্ত বন্ধুর নিকট আল কুরআনের দাওয়াত প্রদান করেছি, তখনই তারা আমাকে পরিত্যগ করেছে।

✅ আমার সংগঠন আল কুরআনের দাওয়াতের কারণে আমাকে পরিত্যগ করেছে।

✅ সাধারণ মানুষকে আল কুরআনের দাওয়াত প্রদান করছি তারাও দুনিয়া ভর্তি মানুষের দলিল পেশ করে, আমাকে পরিত্যগ করে চলেছে।

✅ ছাত্র ছাত্রীগণ একাডেমিক বইয়ের ভিড়ে আল কুরআন পরিত্যক্ত করে রেখেছে।

✅ চাকরি জীবিগণ নিজ দফতর নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হওয়ায়, আল কুরআন পরিত্যক্ত করে রেখেছে।

✅ আল কুরআনের দাওয়াত যাঁরা গ্রহণ করছে, তাদেরকে আবার মোল্লারা অবজ্ঞা করে বলছে, তোমরা কুরআনের কিছু বুঝতে পরবেনা। কারণ কুরআন বুঝতে হলে, ১৬ প্রকারের ইলেম লাগবে। অনেক বই পড়তে হবে। তবেই তো কুরআনের কিছু বুঝতে পরবে। আমরা ২০ বছর যাবত পড়াশোনা করেই কিছু বুঝতে পারছি না। আর তোমরা পড়াশোনা না করেই কুরআন বুঝে ফেল্লে, ইত্যাদি কথা বলে অবজ্ঞা, অপমান করে পরিত্যগ করে থাকেন।

✅ আল কুরআনের বিধান থেকে দুরে থাকার পরিনতি:

وَمَنْ اَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَاِنَّ لَهٗ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَّنَحْشُرُهٗ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ اَعْمٰي
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।
Ta Ha ২০:১২৪
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِيْۤ اَعْمٰي وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا
সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?
Ta Ha ২০:১২৫

قَالَ كَذٰلِكَ اَتَتْكَ اٰيٰتُنَا فَنَسِيْتَهَا ۚ وَكَذٰلِكَ الْيَوْمَ تُنْسٰي
তিনি বলবেন, ‘এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল’। Ta Ha ২০:১২৬

وَكَذٰلِكَ نَجْزِيْ مَنْ اَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِنْۢ بِاٰيٰتِ رَبِّهٖ ؕ وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَشَدُّ وَاَبْقٰي
আর এভাবেই আমি প্রতিফল দান করি তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে এবং তার রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে না। আর আখিরাতের আযাব তো অবশ্যই কঠোরতর ও অধিকতর স্থায়ী।
Ta Ha ২০:১২৭

✅ কুরআন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।

وَإِنَّهُۥ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ وَسَوْفَ تُسْـَٔلُونَ
নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে। Az-Zukhruf 43:44

✅ রসুলের মামলা কুরআন পরিত্যাজ্য কারীদের জন্যঃ

وَقَالَ الرَّسُوْلُ يٰرَبِّ اِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوْا هٰذَا الْقُرْاٰنَ مَهْجُوْرًا
আর রাসূল বলবে, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে। Al-Furqan 25:30

📗 কুরআনের অনুসরণ করলে সে কি কাফের? সে কি পাগল? সে কি মিথ্যা বাদী?

সালামুন আ’লাইকুম, সম্মানিত পাঠক পাঠিকাগণ আসুন দেখেনি কুরআনে রব্বুল আ’লামীন এ বিষয়ে কি বলেছেন:

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আর তাতে কোন বক্রতার অবকাশ রাখেননি। সূরা আল কাহফ ১৮:১

(১) আসুন দেখেনি কাফেরের পরিচয় অর্থাৎ কাফের কারা?
(২) আসুন দেখেনি কাফেররা কি চায়?
(৩) আসুন দেখেনি মিথ্যাবাদী কারা?
(৪) আসুন দেখেনি পাগল কাদেরকে বলা হয়েছে?
(৫) আসুন দেখেনি এসব মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার পর। আল্লাহ তাঁর রাসুলগণেকে কি সান্ত্বনা দিয়েছে।

আসুন জেনেনি কাফের শব্দের অর্থঃ
কুফর অর্থঃ ঢেকে রাখা, যারা আল্লাহ প্রদত্ত ফিতরাত কে ডেকে রাখে তারা কাফের। কাফের অর্থঃ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞ, অমান্যকারী।

হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে। সূরা আল মুমিনুন ২৩:৯৭+৯৮

(১)#_আসুন দেখেনি কাফেরের পরিচয় অর্থাৎ কাফের কারা:

وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍۚ وَلَئِن جِئْتَهُم بِـَٔايَةٍ لَّيَقُولَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا مُبْطِلُونَ
আর আমি তো মানুষের জন্য এই কুরআনে সব ধরনের দৃষ্টান্ত পেশ করেছি। আর যদি তুমি তাদের কাছে কোন আয়াত নিয়ে আস, তবে অবশ্যই কাফিররা বলবে, ‘তোমরা তো বাতিলপন্থী’।
Ar-Rum 30:58

مَا يُجَٰدِلُ فِىٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِى ٱلْبِلَٰدِ
কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে। Ghafir 40:4

ٱلَّذِينَ يَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ كَٰفِرُونَ
যারা আল্লাহর পথে বাধা প্রদান করত এবং তাতে বক্রতা সন্ধান করত এবং তারা ছিল আখিরাতকে অস্বীকারকারী’।
Al-A’raf 7:45; 11:19

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا۟ بَيْنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُوا۟ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا
নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি’ এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায় । An-Nisa’ 4:150

أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ حَقًّاۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
তারাই প্রকৃত কাফির এবং আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানকর আযাব। An-Nisa’ 4:151

يَعْرِفُونَ نِعْمَتَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُنكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ
তারা আল্লাহর নিআমত চিনে, তারপরও তারা তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই কাফির। An-Nahl 16:83

وَإِذَا رَءَاكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى يَذْكُرُ ءَالِهَتَكُمْ وَهُم بِذِكْرِ ٱلرَّحْمَٰنِ هُمْ كَٰفِرُونَ
আর যারা কুফরী করে তারা যখন তোমাকে দেখে তখন তোমাকে কেবল উপহাসের পাত্র হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলে, ‘এ কি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেবতাদের সমালোচনা করে?’ অথচ তারাই ‘রহমান’-এর আলোচনার বিরোধিতা করে। Al-Anbiya 21:36

ٱلَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ كَٰفِرُونَ
যারা যাকাত দেয় না। আর তারাই আখিরাতের অস্বীকারকারী।
Fussilat 41:7

(কাফেরদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কুরআন মাজিদে আল্লাহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন সংক্ষেপে কিছু আয়াত তুলে ধরা হল। নিচের আয়াতগুলো ভালো করে বুঝে অধ্যায়ন করলে কাফেরদের সম্পর্কে ধারনা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
(৪৩:৩০)(৪০:১৪)(৩৪:৩৪)(২৩:১১৭)(১৬:৮৩)(৭:৪৫-৭৬)

(২)#_আসুন দেখেনেই কাফেররা কি করতে চায়।

১/ কাফেররা চায় আমরা যেন কোরআন অর্থাৎ আল্লাহর নাযিলকৃত ওহীর অনুসরণ না করি। সূরা আল ইসরা ১৭:৭৩

২/কাফেররা চায় মুসলিমদেরকে যমীন থেকে উৎখাত করতে। সূরা আল ইসরা ১৭:৭৬

৩/ তাদের কাছে যখন কুরআনের আয়াত দিয়ে কথা বলা হয় কাফেররা তখন আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। সূরা হাজ্জ ২২:৭২

৪/ যখনই কোন আয়াত কাফেরদের বিরুদ্ধে যারা বলে তখন তারা তাদেরকে হত্যা করতেও পিছপা হয়নি। সূরা আল বাকারা ২:৮৭

৫/কাফেররা সবাই ফেরাউনের সম্প্রদায়ের অতএব তাদের শেষ পরিণতি তাদেরকে পানিতে ডুবিয়ে মারবে। সূরা আল ইসরা ১৭:১০৩

(৩)#_আসুন দেখেনি কাদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছ কাফের সম্প্রদায়ের লোকেরা।

১/কাফেররা সালামুন আলা মোহাম্মদকেও মিথ্যাবাদী বলেছে।
সূরা আল আনআম ৬:৩৩

২/ সালামান আলা আদম থেকে শুরু করে সালমান আলা মুহাম্মদ পর্যন্ত সমস্ত নবী রাসূলদেরকে কাফেররা মিথ্যাবাদী বলেছে। সূরা আল আনআম ৬:৩৪

৩/সালামুন আলা নূহের সম্প্রদায় আদ ও সামূদ রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে। সুরা হাজ্জ ২২:৪২

৪/ সালামুন আলা নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যেবাদী বলেছিল। সূরা আশ-শুআরা ২৬:১০৫

৫/ সালামুন আলা লূতের সম্প্রদায় রসুলদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছিল।

৬/ পূর্বেও বহু সেনা শিবিরের অধিপতি এবং বড় নেতা ও শাসকরাও রসূলদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছিল।
সূরা সোয়াদ ৩৮:১২

৭/মক্কার কাফের মুশরিক সালামুন আলা মুহাম্মদকে জাদুকর এবং মিথ্যাবাদী বলেছিল। সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ কারণ তিনি আল্লাহর হুকুম আদেশ নির্দেশিত জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য অর্থাৎ কুরআনের অনুসরণ করার জন্য বলেছিলেন সেই জন্য ।

এখনোও বর্তমান সমাজে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে, তাদেরকে শুধুমাত্র কুরআনের অনুসরণ করার কথা বললে তখন তারা মানব রচিত কিছু কিতাবের কথা বলে, সেগুলোকে অস্বীকার করলে তারা বলে তুমি কাফের তুমি মিথ্যেবাদী তুমি পাগল ছাগল যা তা বলে। এমনকি আক্রমণাত্মকভাবে মারমুখী হয়ে ওঠেঃ

وَيَوْمَ نَحْشُرُ مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ فَوْجًا مِّمَّنْ يُّكَذِّبُ بِاٰيٰتِنَا فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ
আর স্মরণ কর সেদিনের কথা, যেদিন প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত তাদেরকে আমি দলে দলে সমবেত করব। অতঃপর তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
An-Naml ২৭:৮৩

যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে? সূরা আন নামাল ২৭:৮৪
(২:৮৭)(৬:৩৪-৫৭)(২২:৪২)(২৬:১০৫+১২৩+১৪১+১৬০)(৩৫:৪)(৩৮:৪+১২)(৩৯:৫৯)(৪০:৫)(৫:১২)(৫৪:৯+১৮+২৩+৩৩)(৬৯:৪)

(৪)#_আসুন দেখেনি কাফেররা কাদেরকে পাগল বলেছে।

১/ কাফের মুশরিকরা বলে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে! সে অবশ্যই পাগল। সূরা আল হিজর ১৫:৬

২/ ফেরআউন সালামুন আলা মুসাকে পাগল বলেছিল। সূরা আশ-শুআরা ২৬:২৭

৩/ কাফেররা বলে আমরা কি এক পাগলা কবির কথা মেনে চলবে। সূরা আস সাফফাত ৩৫:৩৬

৪/ এখন তারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর তারা বলছে পাগল- যাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
সূরা আদ দুখান ৪৪:১৪

৫/ তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।
সূরা আয যারিয়াত ৫১:৩৯

৬/ এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় পাগল। সূরা আয-যারিয়াত ৫২:৫২

৭/ তাদের আগে নূহের জাতিও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা আমার বান্দাহকে অস্বীকার করেছিল আর বলেছিল- ‘‘একটা পাগল’’ আর তাকে ভয় দেখানো হয়েছিল।

(৫)#_আসুন দেখেনি কাফেরদের এসব কথার জবাবে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলছেন।

১/ আমি আমার বান্দাহর প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত কোন সূরাহ এনে দাও আর তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর। সূরা আল বাকারা ২:২৩

(মুশরিকরা রসূলদের কথা অমান্য করলে রসূলদের তো আর কিছুই করার নেই, কারণ)

২/স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলদের উপর কি কোন দায়িত্ব আছে? সূরা আন নাহল ১৬:৩৫

(৬)#_আসুন দেখেনেই কাফের-মুশরিকদের মিথ্যা অপবাদ তিরস্কার এর পর আল্লাহর তার রাসূলদের কি সান্ত্বনা দিয়েছেন।

১/ তারা যা বলে তা তোমাকে কষ্ট দেয় এটা আমি অবশ্যই ভালভাবে অবগত, কেননা তারা তো তোমাকে মিথ্যে মনে করে না, প্রকৃতপক্ষে যালিমরা আল্লাহর আয়াতকেই প্রত্যাখ্যান করে। সূরা আল আনআম ৬:৩৩

২/ তোমার পূর্বেও রসূলগণকে মিথ্যে মনে করা হয়েছে কিন্তু তাদেরকে মিথ্যে মনে করা এবং কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছে। আল্লাহর ওয়াদার পরিবর্তন হয় না, নাবীগণের কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট পৌঁছেছেই। সূরা আল আনআম ৬:৩৪

৩/ কাফিররা ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর আয়াত নিয়ে ঝগড়া করে না। কাজেই দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। সূরা গাফির ৪০:৪

৪/ কাজেই তুমি উপদেশ দিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণকও নও, আর পাগলও নও। সূরা আত তূর ৫২:২৯

৫/ তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও।তোমার জন্য অবশ্যই আছে অফুরন্ত পুরস্কার। নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের উচ্চমার্গে উন্নীত। শীঘ্রই তুমি দেখতে পাবে আর তারাও দেখবে। তোমাদের মধ্যে কে পাগলামিতে আক্রান্ত। তোমার প্রতিপালক বেশি জানেন কে তাঁর পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর সঠিক পথপ্রাপ্তদেরকেও তিনি ভাল করে জানেন। কাজেই তুমি মিথ্যাবাদীদের কথা মান্য কর না। সূরা আল ক্বলাম ৬৮:২-৮

৬/তোমাদের সঙ্গী পাগল নয়। সূরা আত তাকবীর ৮১:২২

৭/ এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, আর আমার বান্দাহ দাঊদের কথা স্মরণ কর, সে ছিল শক্তি-সামর্থ্যের অধিকারী আর বড়ই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। সূরা সোয়াদ ৩৮:১৭

৮/ তোমরা হীনবল ও দুঃখিত হয়ো না, বস্তুতঃ তোমরাই জয়ী থাকবে যদি তোমরা মু’মিন হও। সূরা আল ইমরান ৩:১৩৯

৯/ আর তোমার রব্বের ‘ইবাদাত করতে থাক যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কাছে মৃত্যু না আসে। সূরা আল হিজর ১৫:৯৯

(৭)#_আসুন দেখেনেই মুসলমানদেরকে অর্থাৎ কিতাবধারীদের আল্লাহ কি বলেছেন।

১/ হে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। সূরা আল মায়েদা ৫:৭৭

২/ দীনের মধ্যে জবরদস্তির অবকাশ নেই, নিশ্চয় হিদায়াত গোমরাহী হতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই যে ব্যক্তি তাগুতকে অমান্য করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল, নিশ্চয়ই সে দৃঢ়তর রজ্জু ধারণ করল যা ছিন্ন হওয়ার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাতা। সূরা আল বাকারা ২:২৫৬

৩/ বল, ‘‘হে মানুষ! আমার দ্বীন সম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে তাহলে জেনে রেখ, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার ‘ইবাদাত কর, আমি তাদের ‘ইবাদাত করি না, বরং আমি আল্লাহর ‘ইবাদাত করি যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান, আর আমি আদিষ্ট হয়েছি মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। সূরা ইউনুস ১০:১০৪

৪/ আর আমাকে এও আদেশ দেয়া হয়েছে যে, তুমি দ্বীনের দিকে তোমার মুখ প্রতিষ্ঠিত কর একনিষ্ঠভাবে, আর তুমি কক্ষনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। সূরা ইউনুস ১০:১০৫

৫/ (এটা শিক্ষা) যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করবে না, আমি অবশ্যই তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা। সূরা হূদ ১১:২

৬/ যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না, অন্যথায় আমি আশঙ্কা করছি যে, তোমাদের উপর একদিন বেদনাদায়ক ‘আযাব আসবে। সূরা হুদ ১১:২৬

৭/ তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে। সূরা তওবা ৯:৩২

৮/ আর যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাদের নাপাকীর উপর আরো নাপাকী বাড়িয়ে দেয়, আর তাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। সূরা তওবা ৯:১২৫

৯/ যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে? সূরা আন নামাল ২৭:৮৪

১০/ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে খুব ভাল ক’রেই জানেন। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে তাদের কাজকর্মের জন্য দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি। সূরা আল ইসরা ১৭:৫৪

১১/ অথচ এ পথই তোমার প্রতিপালকের সরল-সঠিক পথ, যারা নাসীহাত গ্রহণ করে আমি তাদের জন্য নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করে দিয়েছি। সূরা আল ইমরান ৩:১২৬

১২/ আল্লাহ্ই আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সুদৃঢ় পথ। সূরা মারইয়াম ১৯:৩৬

‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের অনুসরণ করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ করুন। সূরা আল ইমরান ৩:৫৩

AnamulHoque

কোরআনে বর্ণিত তাওহীদের দাওয়া প্রসঙ্গে ৯ জন নবীর ভাষণ-

কোরআনে বর্ণিত তাওহীদের দাওয়া প্রসঙ্গে ৯ জন নবীর ভাষণ-👇

🥀১] 👉 নবী নূহ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉 আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়’ই আমি নূহকে তার সম্প্রাদায়ের প্রতি প্রেরণ করেছি, সে বললো, হে আমার সম্প্রাদায় তোমরা এক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ব্যতিত তোমাদের আর অন্য কোনো উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্য এক মহা দিবসের শাস্তির আশংকা করি।(সূরা আরাফ ৫৯) তার সম্প্রাদায়ের লোকেরা তাকে (নূহকে) বললো, আমরা তোমাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় দেখছি।(সূরা আরাফ৬০)

🥀২] 👉নবী হুদ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- আদ সম্প্রাদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম তার ভাই হুদ’কে, সে বললো হে আমার সম্প্রাদায়, তোমরা কেবল মাত্র এক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোনো উপাস্য নেই।(সূরা আরাফ৬৫) তার সম্প্রাদায়ের লোকেরা বলতে লাগলো, আমরা তোমাকে নির্বোধ দেখতে পাচ্ছি, এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদি মনে করি, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যই এসেছ যে আমরা এক ইলাহের ইবাদত করি আর আমাদের বাপ দাদারা যাদের পূজা করতো তাদের ছেড়ে দেই?এত’এব নিয়ে আসো থাকে, যার দ্বারা তুমি আমাদের ভয় দেখাচ্ছো?
(সূরা আরাফ৬৬-৭০)

🥀৩] 👉নবী সালেহ আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছি তার ভাই সালেহ’কে। সে বললো, হে আমার সম্প্রাদায় তোমরা একক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের আর অন্য কোনো উপাস্য নেই। তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। এটি হল আল্লাহর উটনী, তোমাদের জন্য নিদর্শন, তাকে আল্লাহর যমীনে চরে খেতে দাও, মন্দ উদ্দেশে একে স্পর্শ করবে না, করলে পীড়াদায়ক শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে।(সূরা আরাফ৭৩) তার জাতির গর্বিত প্রধানগণ ঐসব লোকদেরকে বলেছিল যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, যারা তাদের মধ্যে ঈমান এনেছিল- ‘‘তোমরা কি জান যে সালিহ তার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত? বলেছিল, ‘তিনি যে বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তাতে আমরা বিশ্বাসী’।”যারা অহঙ্কার করেছিল তারা বলেছিল, ‘তোমরা যাতে বিশ্বাস করেছ আমরা তা অস্বীকার করছি।’”অতঃপর তারা উষ্ট্রীটিকে মেরে ফেলল এবং তাদের প্রতিপালকের স্পষ্ট বিরোধিতা করে চলল আর বলল, ‘হে সালিহ! তুমি যদি রসূল হয়েই থাক তাহলে তা নিয়ে এসো আমাদেরকে যার ওয়াদা করছ (ভয় দেখাচ্ছ)।”অতঃপর ভূমিকম্প তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করল আর তারা তাদের ঘরগুলোতে মুখ থুবড়ে পড়ে রইল।”
(সূরা আরাফ৭৫-৭৮)

🥀৪]👉 নবী ইব্রাহীম আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিল সত্যবাদি নবী, সে তার পিতা আযরকে বললো, হে আমার পিতা আপনি ও আপনার জাতি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর পূজা করছে যা তাদের কল্যায়ণ ও অকল্যায়ণ করার ক্ষমতা রাখে না,নিশ্চয়ই আপনি ও আপনার জাতিকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত দেখছি। তখন তার পিতা বললো, হে ইব্রাহিম, তুমি কি আমাদের উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে আমি অবস্যই প্রাস্তর আঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করবো।(সূরা মারিয়াম৪৬)

🥀৫] 👉 নবী শুয়াইব আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন-“আমি মাদইয়ানবাসীদের কাছে তাদের ভাই শুয়াইবকে পাঠিয়েছিলাম। (সে বলেছিল) ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের কাছে তো স্পষ্ট নিদর্শন এসে গেছে, কাজেই মাপ ও ওজন সঠিকভাবে কর, লোকেদেরকে তাদের প্রাপ্য বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করো না, পৃথিবীর সংশোধনের পর তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি কর না, এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা সত্যিই মু’মিন হয়ে থাক।’”(সূরা আরাফ৮৫)

🥀৬] 👉নবী ইয়াকুব আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- যখন ইয়াকুবের মৃত্যু এসে পৌঁছেছিল? তখন সে তার পুত্রদেরকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আমার পরে তোমরা কার উপাসনা করবে’? পুত্রগণ উত্তর দিয়েছিল, ‘আমরা আপনার এবং আপনার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের উপাসনা করব, যিনি অদ্বিতীয় উপাস্য এবং আমরা তাঁরই প্রতি আত্মসমর্পিত।”(সূরা বাক্বারা১৩৩)

🥀৭] 👉 নবী ইউসুফ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- হে কারা’গারের সঙ্গীদ্বয়? পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল? নাকি পরাক্রমশালী এক আল্লাহ্?(সূরা ইউসুফ৩৯)

🥀৮] 👉নবী ঈষা (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- তিনি ঈষা আরো বলেন, নিশ্চয়’ই আল্লাহ আমার ও পালনকর্তা, তোমাদেরও পালনকর্তা।
এত’এব তোমরা কেবল মাত্র তার ইবাদত করো, এটাই সরল সঠিক পথ।(সূরা মারইয়াম৩৬)

🥀৯] 👉নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- বলুন! তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, তিনি ছাড়া মহা দয়ালু কেউ নেই।(সূরা বাক্বারা১৬৩) বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার কাছে ওহী করা হয়,তোমাদের ইলাহ একক ইলাহ, সুতরাং যে তার পালনকর্তার সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।(সূরা কাহফ১১০)
বলুন! আমাকে তো এই আদেশ’ই দেওয়া হয়েছে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, সুতরাং তোমরা কি (এক ইলাহের কাছে) আত্মসমর্পণ’কারি(বান্দা) হবে না?(সূরা আম্বিয়া১০৮) (কাফিররা এর জবাব দিয়ে বলেছিলো) সে(মুহাম্মদ) কি আমাদের বহু ইলাহের পরিবর্তে একক ইলাহে সাব্যস্ত করে দিয়েছে? নিশ্চয়’ই এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার।(সূরা সাদ ৫)

Courtesy Anamul Hoque Anamul fbfd

আল কুরআন কাদের উপর নাযিল হয়েছে:

💎 আল কুরআন কাদের উপর নাযিল হয়েছে:

রসূলের নামে প্রচলিত হাদীছের মহেপড়ে আর কতকাল আল কুরআনের প্রতি ঘৃণ্যতা প্রশ্ন করে প্রতিরোধের চেষ্টা করবে।

কুরআন শেখার কথা বলে মাদ্রাসাগুলো যুগের পর যুগ ধরে সাধারন ধর্মভীরু মানুষের নিকট থেকে দান-খয়রাত নিয়ে থাকে (সেই দান এখন বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে; তারা এখন আর আগের মত দরিদ্র জীবন-যাপন করে না; আমজনতাকে হুমকি-ধমকিও দেয়)। বাস্তবে তারা কুরআন পড়ে না; আর কাজেই সমাজে এসে তারা মানুষকে কুরআন না শিখিয়ে ইসলামের নামে ইতিহাসের আবর্জনা উপহার দেয়।

তাদেরই একজন আমাকে প্রশ্ন করেছে – “আপনার নিকট প্রশ্ন হাদীস ছাড়া কুরআন আল্লাহর নিকট থেকে নাজিল হয়েছে প্রমাণ দিন”।

কুরআন থেকে এর প্রচুর জবাব দেয়ার আছে। আমি সংক্ষেপে লিখেছি –

الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য। -২:২

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
নিঃসন্দেহে আমরাই স্মারকগ্রন্থ (যিকর বা কুরআন) অবতারণ করেছি, আর আমরাই তো এর সংরক্ষণকারী। -১৫:৯

لَقَدْ جَاءَكَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
অবশ্যই এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার প্রভুর নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না। -১০:৯৪

وَإِنَّهُ لَتَنْزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এই কুরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ। -২৬:১৯২

تَنْزِيلُ الْكِتَابِ لَا رَيْبَ فِيهِ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ * أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ بَلْ هُوَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ
এ কিতাবের অবতরণ বিশ্ব পালনকর্তার নিকট থেকে, এতে কোন সন্দেহ নেই। তারা কি বলে, এটা সে মিথ্যা রচনা করেছে? বরং এটা তোমার প্রভুর তরফ থেকে সত্য। -৩২:১-৩

وَيَرَى الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ الَّذِي أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ هُوَ الْحَقَّ وَيَهْدِي إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, তারা তোমার প্রভুর নিকট থেকে অবর্তীর্ণ কুরআনকে সত্য জ্ঞান করে এবং এটা মানুষকে পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ আল্লাহর পথ প্রদর্শন করে। -৩৪:৬

وَلَقَدْ جِئْنَاهُمْ بِكِتَابٍ فَصَّلْنَاهُ عَلَى عِلْمٍ هُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
আমরা তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমরা স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। -৭:৫২

لَكِنِ اللَّهُ يَشْهَدُ بِمَا أَنْزَلَ إِلَيْكَ أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا
আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন তিনি যে তা সজ্ঞানেই করেছেন, সে ব্যাপারে আল্লাহ নিজেও সাক্ষী এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষী। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। -৪:১৬৬

فَإِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَكُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا أُنْزِلَ بِعِلْمِ اللَّهِ وَأَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَهَلْ أَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
অতঃপর তারা যদি তোমাদের কথা পুরণ করতে অপারগ হয়; তবে জেনে রাখ, এটি আল্লাহর এলম দ্বারা অবতীর্ণ হয়েছে; আরও একীন করে নাও যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই। অতএব, এখন কি তোমরা আত্মসমর্পন করবে? -১১:১৪

পর্ব দুই
উপরের জবাব লেখার পর, আরও একটি জাহেল সওয়াল করেছে- “এই আয়াতগুলো কি আপনার উপর নাযিল হয়েছে না কি মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর?”

নিচে আগেই প্রস্তুতকৃত জবাব দেয়া হল।

শেষনবীর সাথে সাথে আমাদের সকলের উপরও কুরআন নাযিলকৃত (আনঝালনা ইলাইকা…. আনঝালনা ইলাইকুম)!


আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সকল আসমানী বাণী সুনির্দিষ্ট নবীগণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মানবসমাজের সকলের প্রতিই নাযিলকৃত – এ বিষয়ে কুরআনে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ বিদ্যমান। এর অন্যতম উদ্দেশ্য যাতে করে উত্তরাধিকারিত্ব আর দায়িত্বশীলতার প্রশ্নে সকলকে জবাবদিহিতার জায়গায় উপনীত করা যায়।

এতদ্বিষয়ে দীর্ঘ রচনা লেখার সুযোগ থাকলেও আমরা এখানে কতিপয় আয়াত উল্লেখ করে বুঝতে চেষ্টা করব যে, কুরআন কেবলমাত্র শেষ নবীর উপরই নাযিলকৃত মহাগ্রন্থ নয়, তাঁর সাথে আমাদের সকলের উপর নাযিলকৃত আল্লাহর বিধানাবলী।

এক.
খাতামুন নাবিয়্যিনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে (আনঝালনা ইলাইকা/’আলাইকা …)

وَلَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ آَيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَمَا يَكْفُرُ بِهَا إِلَّا الْفَاسِقُونَ
আমরা তোমার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। অবাধ্যরা ব্যতীত কেউ এগুলো অস্বীকার করে না। -২:৯৯

إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ
নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করো, যা আল্লাহ তোমাকে হৃদয়ঙ্গম করান। -৪:১০৫

إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ فَاعْبُدِ اللَّهَ مُخْلِصًا لَهُ الدِّينَ
আমরা তোমার প্রতি এ কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব, তুমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করো। -৩৯:২

أَوَلَمْ يَكْفِهِمْ أَنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ
এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমরা তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। -২৯:৫১

إِنَّا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ لِلنَّاسِ بِالْحَقِّ
নিঃসন্দেহে আমরা তোমার কাছে মহাগ্রন্থ অবতারণ করেছি মানবজাতির জন্য সত্যের সাথে। -৩৯:৪১

দুই.
আবার একই বক্তব্য আমাদেরকে তথা মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করেও বহুবার, বহুভাবে বলা হয়েছে (আনঝালানা ইলাইকুম …)। এখানে কতিপয় দৃষ্টান্ত পেশ করা হল।

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمْ بُرْهَانٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ نُورًا مُبِينًا
হে মানবকুল! তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সনদ পৌঁছে গেছে। আর আমি তোমাদের প্রতি প্রকৃষ্ট আলো অবতীর্ণ (নাযিল) করেছি। -৪:১৭৪

لَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ كِتَابًا فِيهِ ذِكْرُكُمْ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
আমরা অবশ্যই তোমাদের কাছে অবতারণ (নাযিল) করেছি এক মহাগ্রন্থ যাতে রয়েছে তোমাদের যিকর (কথা); তোমরা কি তবে বুঝবে না? -২১:১০

وَلَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ آَيَاتٍ مُبَيِّنَاتٍ وَمَثَلًا مِنَ الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُمْ وَمَوْعِظَةً لِلْمُتَّقِينَ
আর আমরা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ, তোমাদের পূর্ববর্তীদের কিছু দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহ ভীরুদের জন্যে দিয়েছি উপদেশ। -২৪:৩৪

এরূপ আরও আছে-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ
হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের রব্বের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুমিনদের জন্য। -১০:৫৭

আর মুমিনগণ রাসূলের মাধ্যমে তাদের সবার প্রতি নাযিলকৃত সেই কিতাবে পূর্ণ বিশ্বাস পোষণ করে, তার স্বীকৃতিও কুরআনে আছে।

وَالَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَآَمَنُوا بِمَا نُزِّلَ عَلَى مُحَمَّدٍ وَهُوَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ
আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে, আর বিশ্বাস করছে তাতে যা মুহাম্মদের কাছে অবতীর্ণ হয়েছে- আর সেটিই হচ্ছে তাদের প্রভুর কাছ থেকে আগত মহাসত্য। -৪৭:২

কুরআনের প্রতি যে প্রেম – ভালোবাসা – ভক্তি থাকার কথা ছিল, তা আমরা অপাত্রে দান করে গর্হিত পরকীয়া কর্মে লিপ্ত আছি বিধায় কুরআনের এই শাশ্বত সত্যগুলো আমাদের চোখে পড়ছে না – এটা অত্যন্ত আফসোস আর পরিতাপের বিষয়।

কুরআন নাযিলের এই গৌরবের ক্ষেত্রে মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ তা’য়ালা এই যে আমাদেরকেও যুক্ত করেছেন, তা আমাদের মাথায় থাকতে হবে – তাহলে যেমন আমরা তার জন্য গর্ব ও আনন্দ অনুভব করব, তেমনি কুরআনের যথার্থ উত্তরাধিকারিত্ব গ্রহণের দায়িত্ববোধও আমাদের মাঝে তৈরি হবে, ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ!

Sourse.fbfd