Controversies on ifter time.

Controversies on ifter time.
https://m.facebook.com/groups/1637342032970504?view=permalink&id=2946154205422607
………………………………………………….
By Zia Mahmood fbfd
FASTING

A note for all 3 groups:

– Traditional Mazhabies,

– Qurani Socialists / Lexiconists,

– Quran Alone Muslims.

1. Fasting is compulsory for the Month of Ramadan.

– 2.185 “…Therefore, those of you who witness the month shall fast IT,…” IT> the whole month.

– ‘Ramadan’ –  the ward used in Quran as PROPER NOUN. So, the meaning of the word has nothing to do with ‘Month of Ramadan’

– count of month is 12. Allah says ‘month of Ramadan’. So Ramadan is one of them and it repeats itself in every 12 months.

– it is a lunar month. You can witness only Lunar months through Allah’s Creation. You can’t witness a solar month > that is just a human calculation.

2. Fasting is compulsory only for the month.

– not LESS number of days.

– not MORE number of days > if Allah does not set the limit (Fast IT) then some people would fast the full year.

– there is make up fasting if you miss  and in lieu fasting but other then that no other fasting.

3. Fasting is till the night and not till Sunset.

– 2.185″…..Then you shall maintain the fast UNTIL the night.”

– Sunset and Sunrise do not define night.

**
Some people use 22.61, 31.29, 39.5, 74.33-34 to define night but that is not correct. GHURUB is SUNSET (50.39, 20.130) and LAYL is NIGHT (10.67, 25.47, 34.18, 73.20, 79.29, 91.1-4)

11.114 “….. (at) the APPROACH of the NIGHT…..” approach of the night is not the night. 1st ray of light to Sunrise and Sunset to last ray of light are the two approaches of night and not the night itself.
**

4. Three Salah times and Fasting time is beautifully depicted in this image.

– FASTING STARTS when time for FAJR SALAH STARTS and FASTING ENDS when time for ISHA SALAH ENDS.

Wish you all success in Fasting the month of Ramadan.
(https://m.facebook.com/groups/233232853928910?view=permalink&id=405601486692045).
.
Pic…


Zia…The attached picture has one thing incorrect – it says ‘parts of the night’. It should be ‘approaches of the night ‘
.
David Namuh fbfd..
If I may. The “night” is in singular form with two end points of the day. When combined with the plural form of Zulfa as in “zulufann min al-layl”, it is clear that the verse is pointing to two adjacent time periods of a single night that are literally near to it, the two corresponding ends of the “day”, again singular form of the day is used.

Hence, when we combine the two endpoints of the day, it results in two periods, one starting from the sunset, a very short interval of time in itself, to the near part of the night, that is the beginning of the night. The second one starting with the near part that is towards the end of the night and up to the beginning of daybreak, another very short interval of time, the sunrise.

We notice that the Quran does not use the words sunset and sunrise to denote the two ends of the day in Quran 11:114. Given that the actual time it takes for the sun to dip behind the horizon at sunset and emerge from below the horizon in the morning is not enough to perform the Salah. That amounts to less than two minutes at the equator and that too assuming that one is able to identify this very short interval in all weather conditions accurately. Hence, the need to define a generous enough period with one defined endpoint each to perform one’s Salat makes sense. That too without putting an undue burden on the believers,another Quranic guideline, is more logical.

In fact, this solves the problem of the North pole, Moon, Mars etc. What God is telling us is whatever ‘day’ schedule you are living, divide it in such a way that you remember God at the beginning of your day and at the end of your day, roughly.
…….x……..

In Quran only two fard salat.-syedraf.

In Quran only two fard salat.
.
Pl don’t follow Lahwal Hadith(quran.com/45/6).
.
 AnalysisQuran-11:114.
١١٤:١١
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ ۚ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ ذَٰلِكَ ذِكْرَىٰ لِلذَّاكِرِينَ

আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।
Observe the Salat at the two ends of the day; and during ‘zulufan min al-layl’ (the near parts of the night). 11:114
১১:১১৪
আৰু তুমি ছালাত কায়েম কৰা, দিনৰ দুয়ো প্ৰান্তভাগত আৰু ৰাতিৰ প্ৰথমাংশত। নিশ্চয় সৎকৰ্মই অসৎকৰ্মক দূৰ কৰে। উপদেশ গ্ৰহণকাৰীসকলৰ বাবে এইটো এটা উপদেশ।
⬇️⬇️⬇️
The words in 11:114 are key in defining the times of the Fajr (Dawn) Salat and the Isha (Night) Salat.
⬇️⬇️⬇️
ResultQuran-24:58
٥٨:٢٤
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنْكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنْكُمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ۚ مِنْ قَبْلِ صَلَاةِ الْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُمْ مِنَ الظَّهِيرَةِ وَمِنْ بَعْدِ صَلَاةِ الْعِشَاءِ ۚ ثَلَاثُ عَوْرَاتٍ لَكُمْ ۚ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ ۚ طَوَّافُونَ عَلَيْكُمْ بَعْضُكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ ۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
Look at the above verse 24:58.
What you have got?
.
1- صَلَاةِ الْفَجْرِ
2-صَلَاةِ الْعِشَاءِ
And 3-ONLY JOHR (Not salat, mentioned time only).
.
️️️️️️️️️️️️️
Note:-
The Secterians/so-called hadith follower .Pl be NOTED DOWN:-
.
✔️Shall I seek other than God as a lawmaker when it is He who has brought down to you the Book fully detailed? 6:114
.
✔️We did not leave anything out of the Book. 6:38
.
✔️He said, “The knowledge thereof is with my Lord in a Record. My Lord does not err, nor does He forget.” 20:52
.
✔️We have made it (the Quran) easy to understand, in your own tongue, so that they may be reminded. 44:58
.
✔️In the Quran we are commanded not to follow what we inherited from our parents if it is not clearly found in the Quran:
⬇️
And when it is said to them, “Follow what God has brought down (Quran),” they say, “No, we only follow what we found our fathers upon.” What! Even if their fathers did not understand anything and were not guided? 2:170

.
pred.compsyedraf
.
(Main- http://www.quran-islam.org/main_topics/islam/pillars/number_of_salat_(P1200).html)
……………………xxxxxxxx…………………..

How quranists do salat without Hadith?

সংক্ষিপ্ত পোস্ট

ইদানিং কালে এমন কথা শুনা যায় কুরআন মানি হাদিস মানি না, কিছু কিছু নামধারী মুসলিম দাবীদারদের মুখে, যারা আবার নিজেদের আহলে কুরআন বলে দাবী করে।
তারা দাবী করে রাসুল সাঃ এর নামে কোন হাদিস নেই সব মানুষের বানানো হাদিস, মুসলিমদের পথভ্রষ্ট করার জন্য রাসুল সাঃ নামে হাদিস চালিয়ে দেওয়া হইছে।।

শুধু কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের এই বিশ্বাস মতে তারা নিজেরকেি জাহান্নামী ফেরকা বানিয়ে নিয়েছে নিজেদের অজ্ঞতা বা পার্থিব লোভে। আর এটা প্রমান করবো কোন হাদিস দিয়ে নয় বরং আল কুরআনে বহুল আলোচিত সালাত নামক ইবাদত দ্বারাই।

যখন কুরআন মানি হাদিস মানিদের বলা হয় শুধু কুরআন অনুসরন করে কেমনে আপনারা সালাত আদায় করেন বা কায়েম করেন। তখন তারা সরাসরি উত্তর না দিয়ে নয় ছয় করে বা বলে সালাত আদায় কি সালাত কায়েম করা কি জিনিস আবার। অর্থাৎ তাদের কথায় বুঝা যায় সালাত কোন আমল (কায়িক ও পঠিত) বিষয় নয় শুধু বিশ্বাসের বিষয়। তাই আল কুরআনের আয়াত দিয়ে প্রমান করবো সালাত একটি দৈনিক গুরুত্বপুর্ন ও তারা কেমনে জাহান্নামি ফেরকা হয়ে গেছে।

১) সালাত দৈনিক আমল করা একটি ইবাদতঃ

আল কুরআন হতে যে সকল আয়াত দিবো সেগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেব যে সালাত শুধু বিশ্বাসের ব্যপার নয় দৈনিক আমল করা ইবাদত

ক) নিদৃষ্ট সময় সালাত আদায় ফরজ

আল্লাহ বলেন
অতঃপর যখন তোমরা সালাত সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন সালাত ঠিক করে পড়। নিশ্চয় সালাত মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

সুরা আন নিসা, আয়াত ১০৩

খ) দৈনিক কখন সালাত আদায় করতে হবে

আল্লাহ বলেন
আর সালাত কায়েম কর দিনের দু’ প্রান্তভাগে (অর্থাৎ ফজর ও মাগরেবের সময়) ও রাতের প্রথমাংশে (অর্থাৎ এশার সময়)।

সুরা হুদ, আয়াত ১১৪

আল্লাহ বলেন
সূর্য ঢলে যাওয়ার পর হতে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত (অর্থাৎ যোহ্‌র, আসর, মাগরেব ও এশার) সালাত কায়েম কর, আর কায়েম কর ফজরের নামায।

সুরা বানী ইসরায়ীল, আয়াত ৭৮

আল্লাহ বলেন
আর সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজরে) ও সূর্যাস্তের পূর্বে (আসরে) তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির কিছু সময়ে (এশায়) এবং দিনের প্রান্তভাগগুলিতে (ফজর, যোহ্‌র ও মাগরেবে), যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।

সুরা ত্বাহা, আয়াত ১৩০

আল্লাহ বলেন
(৯) মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন সালাত (আযান) দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
(১০) অতঃপর সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

সুরা আল জুমুআহ, আয়াত ৯-১০

গ) সালাত আদায় বিষয়ক অন্যান্য আয়াত

আল্লাহ বলেন
যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয় কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

সুরা আন নিসা, আয়াত ১৫৩

আল্লাহ বলেন
আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ।

সুরা ত্বােয়া হা, আয়াত ১৩২

আল্লাহ বলেন
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা সালাত আদায় কারী।

সূরা আল-মাআরিজ, আয়াত:২২

উল্লেখিত আয়াতগুলো হতে বুঝতে পারলাম সালাত শুধু বিশ্বাসের ব্যপার নয় এটা দৈনিক আমলের ব্যপার। আল কুআরনে দৈনিক সালাত আদায়ের কথা বললেও কিন্তু সালাতের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত কোন পদ্ধতিতে আদায় হবে তার বর্ননা করা হয় নাই।

২) কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের কথা বা বিশ্বাস তারা নিজেরাই কেন জাহান্নামি হয়ে যায়ঃ

আল্লাহ বলেন
(সালাতে) কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর।

সুরা আল মুযযাম্মিল, আয়াত ২০

আল্লাহ বলেন
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি সালাতে দন্ডায়মান হন,

সুরা আশ শোআরা, আয়াত ২১৮

আল্লাহ বলেন
হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সুরা আল হজ্জ, আয়াত ৭৭

আল কুরআনে সালাত আদায় পদ্ধতির এমন বর্ননাই পাওয়া যায়, মানে সালাতের জন্য দাড়াতে হবে রুকু করতে হবে সেজদা করতে হবে, আয়াত পাঠ করতে হবে। কিন্তু কুরআনে সালাত আদায় পদ্ধতি সম্পুর্ন বিবরন পাওয়া যায় না অর্থাৎ

ক) সালাতে কোনটার আগে কোনটা করতে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
খ) কোন অবস্থায় (দাড়ানো, রুকু, সেজদা) কি বলতে বা হবে না এর কোন বর্ননা পাওয়া যায় না
গ) সালাতে কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করতে বলা হইছে কিন্তু সালাতের কোন অবস্থায় পাঠ করতে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
ঘ) আয়াত গুলো উচ্চ স্বরে না মনে মনে পড়তে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
গ) কোন অবস্থা দিয়ে সালাত শুরু ও শেষ করতে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
ঘ) জামআতে সালাত কে কি করবে অর্থাৎ একজন ইমাম সালাত পড়াবে না সবাই একযোগে ইমাম ছাড়া পড়বে এর বর্ননা পাওয়া যায় না
ঙ) জামআতে সালাত আদায় করলে কেও সালাত শুরুর বেশ খানিক পর যোগ দিলে সে কি ভাবে বা কি অবস্থায় সালাত শুরু করবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না।
মোটা দাগে বিষয়গুলো বললাম, প্রচলিত সালাতে এমন অনেক বিষয় আছে যা সম্পাদনের পদ্ধতি আল কুরআন হতে বর্ননা পাওয়া যায় না।

যেহেতু কুরআন মানি, হাদিস মানি না দাবীদাররা শুধু কুরআন মানে সেহেতু তাদের ইবাদতের দলিলের একমাত্র উৎস আল কুরআন এবং যেহেতু সেই আল কুরআনে দৈনিক সালাত আদায়ের কথা বলা হইছে কিন্তু সেই সালাত আদায়ের সম্পুর্ন পদ্ধতি আল কুরআনে পাওয়া যায় না। সেহেতু তাদের কথা বা বিশ্বাস মতে তাদের পক্ষে আজিবন সালাত আদায় করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। যদি কেও সালাত আদায় করে দাবী করলেও নিজেদের মনগড়া নিয়মে সালাত আদায় করে, যা আল্লাহর নিকট মন গড়া নিয়মে আমল করা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয় সুরা কাসাস আয়াত ৫০ মতে।

যেহেতু তাদের কথা বা বিশ্বাস মতে কুরআনের দলিল দিয়ে সালাত আদায় করা আজিবন কোন ক্রমে সম্ভব নয় সেহেতু সুরা সুরা মুদাসসির আয়াত নং ৪১, ৪২,৪৩,৪৭ মতে তারা জাহান্নামী হয়ে যায়। এবার সুরা মুদাসসির এর আয়াত গুলো আবার একটু দেখে নেই

আল্লাহ বলেন
(৪১) অপরাধীদের সম্পর্কে
(৪২) বলবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে?
(৪৩) তারা বলবেঃ আমরা সালাত পড়তাম না,
(৪৪) অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না,
(৪৫) আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
(৪৬) এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
(৪৭) আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত।

সুরা মুদাসসির, আয়াত ৪১-৪৭

এই বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট লিং নিচে দেওয়া হলো, যেখানে এই সংক্রান্ত মনে যত ধরনের প্রশ্ন জাগবে তার উত্তর পাবেন আশা করি।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1015075008834891&id=100009972030385

……..

Source:-(see many comments)

https://m.facebook.com/groups/1637342032970504?view=permalink&id=2635409619830402

.

Commented by syedraf:- https://refquranistajm.wordpress.com/2020/04/26/in-quran-only-two-fard-salat-syedraf/

ইফতার কখন?

By A B Kamal

ধারাবাহিক পর্ব (১০২)

♦সত্য প্রকাশ- মানুষ কি?♦

.
♦ইফতার কখন? সন্ধ্যায় না রাতে? রাত কখন থেকে শুরু হয়?
.

আবু বকর (কামাল)

.
ছালামুন আলাইকুম
ছিয়াম বা রোজা কতক্ষন পর্যন্ত পূর্ণ করতে হবে, সূর্যাস্ত পর্যন্ত? নাকি রাত পর্যন্ত? ইফতারের সময় কখন থেকে শুরু হয়?

সন্ধায়? না কি রাতের আগমন ঘটলে? রাত কখন থেকে শুরু হয়? রাত কখন শেষ হয়? রাত কাকে বলে? এ বিষয়ে কুরআন কি বলে?

.
যুগ যুগ ধরে মানুষ সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করলেও বর্তমানে ইফতার নিয়েও ফেসবুকসহ নানান মানুষের মুখে নানান রকম কথা শোনা যায়। কেউ বলে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। আবার কেউ কেউ বলে রাত না হওয়া পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করতে হবে। আবার বেশিরভাগ মানুষ বলে যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত আরম্ভ হয়ে যায়। তাই আমারও প্রশ্ন জাগে যে, কতক্ষন পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করতে হবে? সূর্যাস্ত পর্যন্ত? সন্ধা পর্যন্ত? না কি রাত না হওয়া পর্যন্ত? এ বিষয়ে আল্লাহ ক্বুরআনে কি বলেন? এই বিষয়টি বোঝার জন্য আমি ক্বুরআনের অনেকগুলো অনুবাদ পড়েছি। ত্রিশ পারা ক্বুরআনের মধ্যে মাত্র একটি আয়াতেই আল্লাহ ইফতার তথা ছিয়াম পূর্ণ করার কথা বলেছেন। আর তা হলো- আল্লাহ বলেন-
.
[২:১৮৭]…”অ’কুলূ অশ রবূ হাত্তা- ইয়াতা বাইয়্যানা লাকুমুল খইতুল আব’ইয়াদু মিনাল খইতিল আছ’অদি মিনাল ফাজরি, ছুঁম্মা আতিঁম মুচ্ছিয়া-মা ইলাল লাইল”…অর্থঃ- আর পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো রেখা থেকে (ফজরের) ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর ছিয়াম পূর্ণ করো নিশাগম পর্যন্ত বা রাত পর্যন্ত বা রাত না হওয়া পর্যন্ত বা রাতের আগমন পর্যন্ত। ছূরা বাক্বারা আয়াত নং ১৮৭।
.

আলোচনাঃ নিশাগম পর্যন্ত অর্থাৎ রাতের আগমন পর্যন্ত, নিশি অর্থ রাত। ছিয়াম পূর্ণ করার ব্যপারে আল ক্বুরআনের প্রতিটি অনুবাদেই “রাত” শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। ক্বুরআনের কোনো অনুবাদেই সন্ধা বা সূর্যাস্ত বলা হয়নি। কিন্তু এই আয়াতে আল্লাহ সরাসরি “ইলাল লাইল” বাক্য উল্লেখ করেছেন, যার অর্থ রাত পর্যন্ত, লাইল অর্থ রাত। এই আয়াতের ভিত্তিতে ছিয়াম বা রোজা পূর্ণ করতে হবে রাত না হওয়া পর্যন্ত। এ কথাগুলো আমি বলিনি, কথাগুলো সরাসরি আল্লাহ নিজেই তাঁর ক্বুরআনে বলে দিয়েছেন। আল্লাহ সরাসরি “লাইল” তথা রাতের কথাই বলেছেন। এখন জানার বিষয় হলো রাত কখন থেকে শুরু হয় এবং রাত কখন শেষ হয়? তাহলে আল্লাহর কথা অনুযায়ী এ দুটি বিষয় ক্বুরআন থেকে বোঝতে পারলে এর একটা সমাধান পাওয়া যাবে ইনশা-আল্লাহ।

.

আমরা জানি যে, সাধারনত ৪ টি দিক রয়েছে, যথা পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিন। এখানেই শেষ নয়, এই ৪ টি দিকের ৪ টি কর্ণারে আরও ৪ টি দিক রয়েছে, যথা ঈশাণ, বায়ু, অগ্নি, নৈঋত, এখানেও শেষ নয় আরও দুটি দিক রয়েছে যথা উর্দ্ধ, অধঃ। তদ্রুপ রাত এবং দিনই শেষ নয়। রাত এবং দিনের মধ্যবর্তি স্থানে আলো-আঁধারের সংমিশ্রণে আরও দুটি সময় রয়েছে যথা ফজর এবং সাফাক্ব অর্থাৎ প্রভাত এবং সন্ধ্যা। ফজরের আজান থেকেই রাত শেষ হয়ে যায় এবং সেই সময় তারকাগুলোও অস্ত যায়। ফজরের আজান থেকে রাত শেষ হয়ে সূর্যদয়ের আগ পর্যন্ত আলো-আঁধারের সংমিশ্রণের সময়কে বলা হয় ফজর/ ছুবহে ছাদেক বা ভোর। তদ্রুপ সূযাস্ত থেকে পুরোপুরি অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত আলো-আঁধারের সংমিশ্রণের সময়কে বলা হয় গোধূলি, সন্ধ্যা, অস্তরাগ বা সাফাক্ব। বিজ্ঞানের ভাষায় এ দুটি সময়কে বলা হয় “twilight” “টুইলাইট”। বিজ্ঞান মতে এ দুটি সময়ের পরিমাণ ৭২ মিনিট, তবে কারও মতে এসময়ের পরিমান ৩০ মিনিট বা ৪০ মিনিট। আরও গবেষনা করলে এ সময় দুটির সঠিক পরিমাণ বলা যাবে। তবে এদুটি সময় দিনেরই অংশ।

.
অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয় যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই দিন শেষ হয়ে রাত শুরু হয়ে যায়। এবং আরবি বা হিজরী সাল গণনায় সূর্যাস্ত থেকেই তার পরের দিন ধরা হয়। যার কারণে মানুষ সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ড়োজা ভোঙ্গ করে বা ইফতার করে। অথচ তখনও দিনের আলো পরিষ্কারভাবে দেখা যায় এবং রাতও শুরু হয় না।
.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষের ধরে নেয়া এই ভাবনা-চিন্তা কতটুকু সঠিক? আসলেই কি সূর্যাস্ত থেকে রাত শুরু হয়? নাকি “সাফাক্ব” বা সন্ধার পরে রাত শুরু হয়? এখন জানার বিষয় হলো রাত কখন থেকে শুরু হয়?।
.
যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন আছমান জমিন, চন্দ্র-সূর্য, এবং যিনি দিন-রাত সৃষ্টি করেছেন তিনিই কেবল তাঁর নাজিলকৃত ক্বুরআনে বলে দিবেন যে, কখন থেকে রাত শুরু হয় এবং কখন থেকে দিন শুরু হয়। আল্লাহ তাঁর ক্বুরআনে ফজর, ছুবহে (ছাদেক), সকাল-সন্ধা, সাফাক্ব, রাত, দিন, ও দশদিকেরও বর্ণনা দিয়েছেন। আমরা ক্বুরআন থেকে জেনে নেবো যে, কখন থেকে রাত শুরু হয়।
.
রাত ও ছুবাহঃ
[৭৪:৩৩-৩৪] (আল্লাহ বলেন) শপথ রাতের যখন তার অবসান হয়। শপথ ছুবহে (ছাদেকের) প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়। ৭৪ নং ছূরা মুদ্দাচ্ছির আয়াত ৩৩-৩৪।
.
আলোচনাঃ আল্লাহ প্রথমে শপথ করলেন রাতের, তারপর শপথ করলেন ছুবাহ বা প্রভাতের। আল্লাহর কথা অনুযায়ী বোঝা গেলো যে, প্রথমে রাত, তারপর ছুবাহ বা প্রভাত। আল্লাহ আবারও বললেন-
.
রাত ও ছুবাহঃ
[৮১:১৭-১৮] (আল্লাহ বলেন) শপথ নিশাবসানের। (শপথ) ছুবহে (ছাদেকের বা প্রভাত আগমন কালের। ৮১ নং ছূরা তাকবীর আয়াত ১৭-১৮।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতেও আল্লাহ প্রথমে শপথ করলেন রাতের, তারপর শপথ করলেন ছুবাহ বা প্রভাতের। এই দুটি ছূরার চারটি আয়াতে আল্লাহ প্রথমে রাতের কথা বলে তারপর বলেছেন ছুবহে (ছাদেকের) কথা অর্থাৎ প্রভাতের কথা। তাহলে এখানে আগে রাত, তারপরে প্রভাত। আল্লাহ এখানে রাতের পরে দিনের কথা বলেননি। আল্লাহ বলেছেন রাতের পরে প্রভাতের কথা। তাহলে রাতের পরে ছুবাহ বা প্রভাত হয়। তাহলে এখানে আমরা দুটি সময় পেলাম, যা রাত ও ছুবাহ। ঠিক তদ্রুপ সন্ধ্যা আবার রাত। যেমনঃ-
.
সাফাক্ব, রাত ও নক্ষত্রঃ
[৮৪:১৬-১৭] (আল্লাহ বলেন) আমি শপথ করি “সাফাক্বের”/ অস্তরাগের বা সন্ধ্যাকালিন লাল আভার, (শপথ করি) রাতের, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে তার। ৮৪ নং ছূরা ইনশিক্বক আয়াত ১৬-১৭।
.
আলোচনাঃ আল্লাহ প্রথমে শপথ করলেন সন্ধ্যার তারপর শপথ করলেন রাতের। এই আয়াতের লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো আল্লাহ আগে “সাফাক্ব”/ অস্তরাগ বা সন্ধ্যার কথা বলেছেন, তারপরে বলেছেন রাতের কথা। তাহলে আল্লাহর কথা অনুযায়ী বোঝা গেলো যে, আগে সন্ধ্যা হয় তারপরে হয় রাত। আবার লক্ষ্য করুন! আল্লাহ প্রথমে বললেন সন্ধ্যা, তারপর বললেন রাত। আল্লাহর কথা অনুযায়ী বোঝা গেলো যে, প্রথমে সন্ধ্যা হয়, তার পরে হয় রাত। তাহলে রাতের আগে সন্ধ্যা আছে। তাহলে সন্ধ্যা কখনোই রাত নয়। এবং আল্লাহ এ কথাও বলেছেন যে, রাতে “নক্ষত্র” বা “তারকার” সমাগম ঘটবে।
.
সন্ধায় একটি “শুক তারা” বা “সন্ধ্যা তারা” থাকবে, কিন্তু বহু “তারার” সমাগম ঘটবে না। রাত হলেই বহু “তারকার” সমাগম ঘটবে। অর্থাৎ আকাশে বহু সংখ্যক “নক্ষত্র” বা “তারকা” দেখা দিলে তখন থেকেই রাত শুরু হবে। যতক্ষন আকাশে বহু “তারকার সমাগম” ঘটবে না ততক্ষন রাত হবে না। তাহলে আমরা আমাদের ছিয়াম পূর্ণ করবো রাতের আগমন ঘটলে। কিন্তু ক্বুরআন অস্বীকারকারীরা আল্লাহর শিখানো “আগে সন্ধ্যা” তারপর “রাত” এ কথা মানতে রাজি না। তাদের দলিল ছাড়া কথা একটাই তা হলো, সূর্য অস্ত গেলেই “রাত” আরম্ভ হয়ে যায়, কিন্তু আল্লাহ তা বলেননি। আল্লাহ আগে সন্ধ্যার কথা বলে তারপর বলেছেন রাতের কথা।
.

এখন কেউ যদি সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করে তাহলে সে সন্ধ্যায় ইফতার করলো, সে রাত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলো না এবং সে আল্লাহর আদেশ অমান্য করলো। কারণ, আল্লাহ ক্বুরআনে সন্ধ্যার বর্ণনা দিয়েছেন এবং রাতেরও বর্ণনা দিয়েছেন। সুর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার হলে আল্লাহ বলতেন যে, অতঃপর ছিয়াম পূর্ণ করো সাফাক্ব পর্যন্ত বা সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু আল্লাহ সাফাক্বের কথা বলেছেন কি? বা সন্ধ্যার কথা বলেছেন কি? বা সূর্য অস্তমিত হওয়ার কথা বলেছেন কি? আল্লাহ তো সরাসরি রাতের কথাই বলেছেন। তাহলে মানুষ কোন যুক্তিতে সন্ধ্যায় ইফতার করে? মানুষ না জেনে শুধু ভুল করে আর মিথ্যাই বলে যায়। আর সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করে প্রতিটি মানুষের ছিয়াম তথা রোজা নষ্টই করে। কাজেই, আল্লাহর কথা অনুযায়ী সন্ধ্যার পরে যখন রাত আরম্ভ হবে ঠিক ততক্ষন পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ করতে হবে, অর্থাৎ রাত শুরু হলেই ইফতার করতে হবে।

.
♦ছালাতের সময় দ্বারা ইফতারের উদাহরণঃ
.

দিনের দুই প্রান্তে দুটি ছালাত রয়েছে। ঐ ছালাত দুটির আগে ও পরে সেহেরী ও ইফতার অর্থাৎ পানাহার করা যায়। যেমন, ফজরের ছালাতের সময় হওয়ার আগে ছেহেরী শেষ করতে হয়, তদ্রুপ দিনের শেষ প্রান্তে একটি ছালাত রয়েছে। ঐ ছালাত শেষ করে একটু অন্ধকার হলেই অর্থাৎ রাত শুরুর দিকেই ইফতার করতে হয়। আর সেজন্যই আল্লাহ বলেছেন যে, ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত। আল্লাহ বলেছেন যে, “বিনয়ী হয়ে ধৈয্যের সাথে ছালাত কায়েম করতে হবে”- ২:৪৫+১৫৩। আজান, ইফতার ও নামাজ একসাথে হলে ধৈর্য ও বিনয়ী কোনোটাই হওয়া যায় না। তাই ফজরের ছালাতের আগেই ছেহরি বা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শান্তিতে বিনয়ের সাথে এবং ধৈর্য্যের সাথে ফজর এর ছালাত আদায় করতে হয় তদ্রুপ, সূর্যাস্তর পরে শান্তিতে বিনয়ের সাথে এবং ধৈয্যের সাথে ছালাত শেষ করার পর রাত আরম্ভ হলেই ইফতার তথা খাওয়া-দাওয়া আরম্ভ করতে হয়, এটাই আল্লাহর বিধান।

.

ছিয়াম বা রোজার সাথে সূর্য উঠা বা সূর্য ডোবার কোনো সম্পর্ক নেই বলেই সূর্য উঠার অনেক আগে থেকেই ছিয়াম বা রোজা শুরু করতে হয়। এই কথাটা পুনরায় লক্ষ্য করুন! ছিয়াম বা রোজার সাথে সূর্য উঠা বা সূর্য ডোবার কোনো সম্পর্ক নেই বলেই সূর্য উঠার অনেক আগে থেকেই ছিয়াম বা রোজা শুরু করতে হয়। অর্থাৎ রাত থাকতেই ছেহেরি শেষ করতে হয়। তাহলে রোজা শুরু হয় রাত থেকেই। ঠিক একইভাবে রাতের অন্ধকার না আসা পর্যন্ত ছিয়ামও পূর্ণ করতে হয় তাই আল্লাহ বললেন যে, “ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত।

.
ছুবাহঃ
[৬:৯৬] (আল্লাহ বলেন) তিনি প্রভাত রশ্মির উন্মেষক। তিনি রাত্রিকে আরামদায়ক করেছেন…। ৬ নং ছূরা আন’আম আয়াত ৯৬।
.
আলোচনাঃ অর্থাৎ সূর্য উঠার আগে যে আলোয় পৃথিবী আলোকিত হয় তাই প্রভাতের রশ্মি। অর্থাৎ তা দিনেরই অংশ। এরকম একটি সময় সূর্য ডোবার পরেও দেখা যায় যার নাম সাফাক্ব, অস্তরাগ বা সন্ধ্যা।
.
দিন আলোকিতঃ
[৯২:২] (আল্লাহ বলেন) শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়। ৯২ নং ছূরা লাইল আয়াত ২।
.
আলোচনাঃ প্রশ্ন জাগে, দিন কখন থেকে বা কোন সময় থেকে আলোকিত হয়? সূর্য উঠলেই কি দিন আলোকিত হয়? না কি সূর্য উঠার আগেই দিন আলোকিত হয়? উত্তর হবে সূর্য উঠার আগেই দিন আলোকিত হয়ে যায় তাই সূর্য উঠার আগের সে সময়টাও দিন। সাফাক্ব বা সন্ধ্যা এবং ছুবাহ বা প্রভাতের সময় কিছুক্ষন পরিষ্কার আলো দেখা যায় বিধায় তা কখনো রাত নয়, তা দিনেরই অংশ।
.
রাত অন্ধকারঃ
[৭৯:২৯] (আল্লহ বলেন) (তিনি) রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন। ৭৯ নং ছূরা নাযিয়াত আয়াত ২৯।
.
আলোচনাঃ এখানেও প্রমাণ হয় যে, যখন রাত হবে তখন সবকিছু অন্ধকার হয়ে যাবে। কাজেই সন্ধ্যার সময় সবকিছু অন্ধকার হয় না বিধায় তা রাত নয়, তা দিনেরই অংশ। কাজেই, ইফতার দিনে নয়, ইফতার রাতে। কারণ, আল্লাহ রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেছেন। আল্লাহ সন্ধ্যাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেননি।
.
কেউ যদি বলে যে, সূর্যের উপস্থিতি তথা সূর্য উঠলেই দিন শুরু হয়, আর সূর্য ডোবলে রাত শুরু হয়, তাহলে তার কাছে আমার প্রশ্ন থাকেবে যে, আপনি ফজরের নামাজ এবং মাগরিবের নামাজ কি রাতে পড়েন, না কি দিনে পড়েন? কারণ, আল্লাহ বলেছেন যে, “দিনের দুই কিনারায় নামাজ ঠিক রাখবে” ১১ নং ছূরা হূদ আয়াত ১১৪। এই আয়াতে “নাহার” অর্থ দিন এবং “ত’র’ফা” অর্থ প্রান্ত বা কিনারা দুটি শব্দ রয়েছে, যার অর্থ দিনের কিনারায়। এই আয়াতের ভিত্তিতে আপনি সূর্য উঠার পরে দিন শুরু হলে দিনের কিনারায় ফজরের নামাজ পড়েন কি? না কি রাতের অন্ধকার শেষ হয়ে যখন ফজরের আজান থেকে দিনের শুরু হয় তখন ফজরের নামাজ পড়েন, কোনটি?
.

তদ্রুপ সূর্যাস্ত থেকে যদি রাত শুরু হয়, তাহলে (প্রচলিত) মাগরিবের নামাজ কেনো রাতে পড়েন? কারণ, বলা হয়েছে “দিনের দুই কিনারায় নামাজ ঠিক রাখবে”-১১:১১৪। আপনার কথা অনুযায়ী দিনের শেষ কিনারায় সূর্য ডোবার আগে কেনো মাগরিবের নামাজ পড়েন না? আপনার কথা অনুযায়ী সূর্য ডোবার সাথে সাথে রাত আরম্ভ হলে মাগরিবের নামাজ কেনো রাতে পড়েন? মাগরিব তো দিনের শেষ কিনারায় পড়ার কথা। ফজর পড়েলেন রাতে এবং মাগরিবও পড়েলেন রাতে, তাহলে দিবসের দুই প্রান্তে বা দুই কিনারায় পড়লেন কই? আসল বিষয় হলো সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন আলো থাকে তাই তা দিনেরই অংশ। তদ্রুপ সূর্য উঠার আগেই পৃথিবী আলোকিত হয়ে যায় তাই তাও দিনের অংশ। সন্ধ্যা এবং প্রভাত এ দুটি সময় দিনেরই অংশ, কারণ, এ দুটি সময়ও পরিষ্কার দেখা যায় তাই আল্লাহর কথা অনুযায়ী সকলেই দিনের অংশের মধ্যেই তথা দিনের দুই কিনারায় দুটি ছালাত আদায় করে।

.

সূর্য উঠার ২০/২৫/৩০ মিনিট আগের অবস্থা লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে, ছুবহে ছাদেক থেকেই দিনের আলো শুরু হয়ে গেছে কিন্তু তখনও সূর্য উঠেনি। দিন শুরু হয় ফজরের আজান থেকেই, অর্থাৎ ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত তারকা থাকে তাই ওটা রাত। তদ্রুপ সুর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন আলো থাকে তাই ওটা দিন। যতক্ষন আলো থাকবে ততক্ষন দিনই থাকবে। যখন পুরোপুরি আলো চলে যাওয়ার পর অন্ধকার হয়ে যাবে ঠিক তখন থেকেই রাত শুরু হবে।

.
রাতে বিশ্রাম এবং দিনে দর্শনঃ
[১০:৬৭] (আল্লাহ বলেন) তিনি তোমাদের জন্য তৈরী করেছেন রাত, যাতে তোমরা তাতে প্রশান্তি লাভ করতে পারো, আর দিন দিয়েছেন দর্শন করার জন্য…। ১০ নং ছূরা ইঊনুছ আয়াত ৬৭।
.

আলোচনাঃ লক্ষ্য করুন, দিনে দর্শন হয়। কোনো লাইটিং ব্যবস্থা ব্যতীত সূর্য উঠার আগে কিছু সময় এবং সূর্য ডোবার পরেও কিছু সময় মানুষ মানুষকে পরিষ্কারভাবে দেখতে পায়, যাকে আল্লাহ দর্শন বলেছেন। তাহলে তা কখনো রাত নয়, সে সময়টা দিনেরই অংশ। এই আয়াতে আল্লাহ প্রথমে বলেছেন রাতে প্রশান্তি লাভ করা যায়। লক্ষ্য করুন! সূর্য ডোবার সাথে সাথে মানুষ প্রশান্তি তথা বিশ্রাম বা ঘুম যায় না, রাতে ঘুম যায়। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত হয় না।

.
দিন সরে গেলে অন্ধকারঃ
[৩৬:৩৭] (আল্লাহ বলেন) ‘তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে রাত, তা থেকে আমি দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়। ছূরা ইয়াছীন আয়াত ৩৭।
.
আলোচনাঃ লক্ষ্য করুন! আল্লাহ সূর্যের কথা বলেননি। কারণ, সূর্য সরে গেলেও বা সূর্য ডুবে গেলেও কিছুক্ষন দিনের আলো থাকে। তাই আল্লাহ বললেন যে, দিনকে সরিয়ে নিলেই মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। অর্থাৎ আলো সরে গেলেই মানুষ অন্ধকারে ডুবে যায়। কিন্তু সাফাক্বের সময় বা সন্ধ্যার সময় এবং ছুবহে ছাদেকের সময় মানুষ অন্ধকারে ডুবে থাকে না। এ দুটি সময় কিছুক্ষন আলো থাকে বিধায় তা দিনেরই অংশ। কাজেই ইফতার দিনে নয়, ইফতার রাতে।
.

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আল্লাহ যদি বলতেন যে, “রাত থেকে আমি সূর্যকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়”। তাহলে সাধারণ মানুষ ও নাস্তিকগণ প্রশ্ন করতো যে, সূর্য সরে যাওয়ার সাথে সাথে তো আমরা অন্ধকারে ডুবি না, বা অন্ধকারাচ্ছন্নও হই না, অন্ধকার তো হয় আরও অনেক পরে। তাহলে স্রষ্টা কি ভুল বললো? (মা’আজাল্লাহ) তারা আরও বলার সুযোগ পেতো যে, স্রষ্টা এটা সঠিক বলেননি, তারা আরও বলতো যে, এটা স্রষ্টার অসামঞ্জস্য কথা। কিন্তু সৃষ্টির কাছে স্রষ্টা প্রশ্নের সন্মুখীন হবেন এমন কথা স্রষ্টা কখনোই বলবেন না। এখন কেউ যদি বলে যে, সূর্য অস্ত গেলেই রাত হয়, তবে সে স্রষ্টার বিপরীত কথা বললো। কাজেই আল্লাহ এমন অসামঞ্জস্য কথা কোথাও বলেননি।

.
দিন দেখার জন্যঃ
[১৭:১২] (আল্লাহ বলেন) আমি রাত্রি ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। অতঃপর নিস্প্রভ করে দিয়েছি রাতের নিদর্শন এবং দিনের নিদর্শনকে দেখার উপযোগী করেছি…। ১৭ নং ছূরা বনি-ইসরাঈল আয়াত ১২।
.

আলোচনাঃ এই আয়াতেও আল্লাহ সূর্যের কথা বলেননি। বলেছেন আমি রাত ও দিনকে দুটি নিদর্শন করেছি। আল্লাহ রাতকে নিস্প্রভ বলেছেন, অর্থাৎ রাতে দিনের আলো থাকে না, তাই নিস্প্রভ। কিন্তু সূর্য ডোবার সাথে সাথে নিস্প্রভ অর্থাৎ দিনের আলো নিস্প্রভ হয় না, এবং দিন দেখার জন্য। কাজেই সন্ধ্যার সময়ও কিছু সময় মানুষ মানুষকে দেখতে পায় তাই সন্ধ্যার পরেই রাত হবে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত হয় না। কাজেই সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার নয়, ইফতার রাতে। আর আল্লাহও বলেছেন যে, “ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত।

.
রাতে বিশ্রাম দিন আলোকময়ঃ
[২৭:৮৬] (আল্লাহ বলেন) তারা কি দেখে না যে, আমি রাত সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিনকে করেছি আলোকময়…? ২৭ নং ছূরা নামল আয়াত ৮৬।
.
রাতে বিশ্রাম দিন দেখার জন্যঃ
[৪০:৬১] (আল্লাহ বলেন) তিনিই আল্লাহ যিনি রাত সৃষ্টি করেছেন তোমাদের বিশ্রামের জন্য এবং দিন সৃষ্টি করেছেন দেখার জন্য…। ৪০ নং ছূরা মু’মীন আয়াত ৬১।
.
আলোচনাঃ উপরের দুটি আয়াতে আল্লাহ দিনের আলোর কথা বলেছেন। অর্থাৎ যতক্ষন আলো থাকবে ততক্ষন দিন থাকবে। সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন আলো থাকে, যাতে মানুষ অনেক দুরেও পরিষ্কার দেখতে পায়। আল্লাহর কথায় ইহাই প্রমাণ হলো যে, সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন যে আলো থাকে তা দিনেরই অংশ। আল্লাহর কথায় ইহাও প্রমাণ হলো যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই রাত হয় না।
.
[৩:২৭] (আল্লাহ আমাদেরকে বলতে বলেন) বলো, তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করাও…। ৩ নং ছূরা আল ইমরান আয়াত ২৭।
.

আলোচনাঃ এখানেও লক্ষ্য করার বিষয় হলো যে, আল্লাহ দিনকে রাতের ভিতর প্রবেশ করান। কিন্তু সূর্যকে দিনের ভিতর বা রাতের ভিতর প্রবেশ করানোর কথা আল্লাহ বলেননি। কারণ, সূর্য এক নিয়মে বিরামহীনভাবে চলে। আর রাত ও দিনের এখতেলাফ হয়, অর্থাৎ রাত ও দিনের পরিবর্তন হয়। “অখতিলা ফিল লাইলি অঁন্নাহারী”- ২:১৬৪।

.
অন্ধকার ও আলোঃ
[৬:১] (আল্লাহ বলেন) সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। ছূরা আন’আম আয়াত ১।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতে আল্লাহ অন্ধকারের কথা বলেছেন। অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। কিন্তু সূর্য উঠার আগে এবং সূর্য ডোবার পরেও কিছুক্ষন সব কিছু দেখা যায়, তাই সূর্য ডোবার সাথে সাথেই অন্ধকার হয় না তাই সূর্য ডোবার সাথে সাথে রাতও হয় না। তাই সূর্য ডোবার সাথে ইফতারও করা যায় না।
.
রাত আচ্ছন্ন দিন আলোকিতঃ
[৯২:১-২] (আল্লাহ বলেন) শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয় । ৯২ নং ছূরা লাইল আয়াত ১-২।
.

আলোচনাঃ এই আয়াতে রাত আচ্ছন্ন অর্থাৎ রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করার কথা বোঝনো হয়েছে, এবং দিনকে আলোকিত বলা হয়েছে। দিনের আলো না থাকলেই রাত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়, সূর্য দ্বারা নয়, কারণ, প্রভাত এবং সন্ধ্যায় সূর্য না থাকলেও সূর্যের প্রভাবে কিছুক্ষন আলো থাকে। কাজেই যতক্ষন আলো থাকে ততক্ষন দিন।

.
কিছুদিন আগে ফেসবুকে লক্ষ্য করলাম যে, এক শ্রেণীর মানুষ মা’রেফুল ক্বুরআনের ৯১ নং ছূরা শামছের ৩ ও ৪ নং আয়াতের ভুল অনুবাদকৃত ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সূর্যের অনুপস্থিতিকেই রাত বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে এবং মানুষকে মিথ্যা কথা শুনিয়ে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারা নিজেরা যেমন পথভ্রষ্ট তেমনি তারা অন্যকেও পথভ্রষ্ট করতে চায় এবং তারা ক্বুরআন থেকে কোনো সমাধানই নিতে চায় না। তারা সমাধান গ্রহণ করে মানব রচিত কেতাব থেকে। তারা তাদের মূল হাতিয়ার হিসাবে মা’রেফুল ক্বুরআনের ভুল অনুবাদটাই বেছে নিয়েছে। আরবির দিকে তারা খেয়াল করে না, এমনকি অন্যন্য অনুবাদও তারা দেখতে চায় না।
.
মহিউদ্দীন খান এর অনুবাদকৃত মা’রেফুল ক্বুরআনের ভুল অনুবাদ লক্ষ্য করুন!
.
[৯১:৩-৪] শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে। শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে। ৯১ নং ছূরা আশ শামছ আয়াত ৩-৪। অনবাদঃ মা’রেফুল ক্বুরআন।
.
আলোচনাঃ উক্ত আয়াত দুটির অনুবাদে “সূর্য” শব্দ দেয়া আছে কিন্তু আরবিতে “সূর্য” শব্দ নেই, প্রনাউনেও নাই এমনকি ভাবার্থেও পাওয়া যায় না। কারণ, এর আগের আয়াতেই “নাহার” অর্থাৎ দিনের কথা বলা হয়েছে। কাজেই “নাহার” অর্থ সূর্য নয়, “নাহার” অর্থ দিন। তাই প্রনাউন অনুসারে এর আগের আয়াতের “নাহার” এর অর্থ দিনের কথা বলা হয়েছে। উক্ত ছূরার ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, “রাত্রি সূর্যকে আচ্ছাদিত করে”, এই অনুবাদ সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, রাত কখনোই সূর্যকে ঢাকতে পারে না। কারণ, সুর্যকে ঢেকে দিলে তো আমেরিকাসহ পুরো পৃথিবীই অন্ধকার হয়ে যাবে। বরং, সূর্য আমাদের চোখের আড়াল হওয়ার কারণেই ধিরে ধিরে অন্ধকার হতে থাকে তখনই রাত হয়। তাই এই আয়াতের সঠিক অর্থ হবে যথা- “শপথ দিবসের যখন সে প্রখরভাবে প্রকাশ করে। (শপথ) রাত্রির যখন সে উহাকে (দিনকে) আচ্ছাদিত করে”। এই আয়াতের আরও কয়েকটি অনুবাদ দেখলেই আমার কথার সত্যতা প্রমাণ হবে ইনশা-আল্লাহ। ৯১ নং ছূরা আশ শামছের ৪ নং আয়াতের আরও কয়েকটি অনুবাদ লক্ষ্য করুন, যথা-
.
ডাঃ জহুরুল হক এর অনুবাদঃ
[৯১:৪] রাতের কথা (ভাবো) যখন সে তাকে আচ্ছাদিত করে। ছূরা শামছ আয়াত ৪। (এই আয়াতের বাংলা অনুবাদে “সূর্য” শব্দটি নেই)
.
ভাই গিরীশচন্দ্র সেন এর অনুবাদঃ
[৯১:৪] রজনীর (শপথ) যখন তাহাকে আচ্ছাদন করে। ছুরা শামছ আয়াত ৪। (এই আয়াতের বাংলা অনুবাদেও “সূর্য” শব্দটি নেই)।
.
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ক্বুরআনুল কারিমের অনুবাদঃ
[৯১:৪] শপথ রজনীর, যখন সে উহাকে আচ্ছাদিত করে। ছূরা শামছ আয়াত ৪। (এখানেও “সূর্য” শব্দটি নেই। রজনী তাকে আচ্ছাদিত করে অর্থাৎ রজনী দিনকে আচ্ছাদিত করে। অর্থাৎ রজনী দিনকে আচ্ছন্ন করে বা ঢেকে দেয়)।
.
আল কোরআন একাডেমী লন্ডন, হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ এর সহজ সরল বাংলা অনুবাদঃ
[৯১:৪] শপথ রাতের যখন সে তাকে ঢেকে দেয়। ছুরা শামছ আয়াত ৪। (এখানেও “সূর্য” শব্দটি নেই)।
.
পাকিস্তান ভিত্তিক উর্দো ক্বুরআনের অনুবাদঃ
৯১:৩-৪ আওর দিনকি যব ও উছকো রৌশনি করদে। আওর রাতকি (ক্বছম) জব উছকো ছুপালে। ছুরা শামছ আয়াত ৩-৪। (রাত উছকো “ছুপালে” অর্থাৎ রাত দিনকে ঢেকে দেয়। এখানেও রাত এবং দিনের কথা বলা হয়েছে, সূর্যের কথা বলা হয়নি)।
.
(আল ক্বুরআন ইন্টারনেট থেকে)
[৯১:৪] রাত, যখন তা সবকিছুকে আঁধারে ঢেকে দেয়। ছুরা শামছ আয়াত ৪। (এখানেও তাই সূর্য শব্দ নাই। রাত সবকিছুকে আচ্ছাদিত করে অর্থাৎ আলোকে ঢেকে দেয়। The night when it covers him over. কাজেই, আল্লাহ এখানেও বলেননি যে, “রাত সূর্যকে ঢেকে দেয় বা রাত সূর্যকে আচ্ছাদিত করে)।
.
আলোচনাঃ কেউ কেউ এই আয়াতের মিথ্যা অর্থ করে আল্লাহর অন্যন্য আয়াতগুলোকে ব্যর্থ করতে চায় এবং আল্লাহকে মিথ্যাবাদী বানাতে চায়, মা’আজাল্লাহ। তারা নিজেরাই মিথ্যাবাদী, তাই তারা ক্বুরআনের অর্থই বোঝে না। তারা ছূরা শামছের ৪ নং আয়াতের ভুল দলিল দিয়ে জোর গলায় বলে যে, সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে। তারা ক্বুরআনের উপরোক্ত আয়াতগুলো চোখ দিয়ে দেখে না। এবার লক্ষ্য করুন! ছূরা শামছের ৪ নং আয়াত এর মতো আরও একটি আয়াত। আল্লাহ বলেন-
.
[১৩:৩]…তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা চিন্তা করে। ছূরা র’দ আয়াত ৩।
.
আলোচনাঃ এই আয়াতেও “ইউগ শিল লাইলাঁন নাহা-রা” অর্থ …”তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন”…। এই আয়াত এবং ছূরা শামছ এর ৪ নং আয়াত প্রায় একই রকম। এ দুটি আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, “তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন”। এখানেও সূর্যের কথা বলা হয়নি। আসলে মিথ্যাবাদীদেরকে ক্বুরআন থেকে প্রমাণ দেখানো সত্ত্বেও মিথ্যাবাদীরা বলবে যে, “বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার”। মিথ্যাবাদীদের জন্য জলন্ত প্রমাণ ছূরা ঝুমারের ৫ নং আয়াত। যথা-
.
[৩৯:৫] (আল্লাহ বলেন)…”ইউ’কাব্বিরুল লাইলা আলান নাহারি, অ’ইউ কাব্বিরুন নাহারা আ’লাল লাইলি”… অর্থ, তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন…। ৩৯ নং ছূরা ঝুমার আয়াত ৫।
.
আলোচনাঃ এখানে “সূর্য” দ্বারা আচ্ছাদিত করার কথা আল্লাহ বলেননি। এখানেও আল্লাহ সরাসরি বলেছেন যে, “লাইলা আলান নাহারি” এবং “নাহারা আ’লাল লাইলি”। এখানে “লাইল” এবং “নাহার” অর্থাৎ “রাত” এবং “দিন” এর কথা বলা হয়েছে। দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করার কথা বলা হয়েছে। এখানে “শামছ” তথা “সূর্য” শব্দই নেই। কাজেই ছূরা শামছের ৪ নং আয়াতেও “সূর্য” শব্দটি নেই। আল্লাহ আরও বলেন-
.
[২২:৬১] এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা। ছূরা হজ্জ আয়াত ৬১।
.

শপথ রাত্রির যখন সে আচ্ছাদিত করে,- ৯১:৪। কিন্তু সন্ধ্যার সময় তো রাত আচ্ছাদিত হয় না। তা হবে যখন অন্ধকার হবে তখন। সন্ধ্যার সময় মানুষের চোখ থেকে সূর্য অদৃশ্য হলেও সূর্যের প্রভাব পুরোপুরি শেষ না হওয়াতে চতুর্দিকে আলো থাকে বিধায় তা দিনের অংশ এবং তার নাম সাফাক্ব বা অস্তরাগ। যেমন ছুবহে ছাদেক থেকে রাত শেষ হয় কিন্তু তখনও সুর্য উঠে না, কিন্তু সূর্যের প্রভাবে আলোকিত হয়ে যায়। আল্লাহ এখানে বলেননি যে, সূর্য অস্ত গেলে/ ডুবে গেলে রাত হয়। আল্লাহ এমন নয় যে, সন্ধ্যাকে রাত বলবেন। কারণ, আল্লাহ ক্বুরআনে বহুস্থানে সন্ধ্যার বিবরণ দিয়েছেন। কাজেই যখন আচ্ছাদিত হয় অর্থাৎ দিনের আলো চলে যাওয়ার পর রাত ঢাঁকা পরে যায় ঠিক তখনই রাত হয়। তা সাফাক্বের পর বা সন্ধ্যার পর।

.
মূল কথা, যেরকম একটি অন্ধকার সময় ছেহেরি খাওয়া শেষ করা হয়, ঠিক তেমনই একটি অন্ধকার সময় না হওয়া পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটা আল্লাহর ক্বুরআনের বিধান। তাই আল্লাহ বললেন “ছুম্মা আতিম্মুছ ছিয়ামা ইলাল লাইল” অর্থাৎ ছিয়াম পূর্ণ করো রাত পর্যন্ত/নিশাগম পর্যন্ত/নিশির আগমন পর্যন্ত/রাত না হওয়া পর্যন্ত। ২ নং ছূরা বাক্বারা আয়াত ১৮৭। আল্লাহ এখানে “আতিম্মুছ ছিয়ামা ইলাল মাগরিব, ইলাল গুরুবিশ শামছ বা দুলুকিশ শামছ তথা সূর্যাস্ত পর্যন্ত বলেননি। সূর্যাস্তের পর ঈষৎ অন্ধকার হলে ও আকাশে বহু সংখ্যক তারকা দেখা দিলে রাত হয়। তারকা অস্ত গেলে ফজর হয়, এবং ফজরের পর দিন শুরু হয়। আল্লাহর বাণী যার ইচ্ছা হয় সে মানবে, না হয় পূর্ব যুগের মতো অস্বীকার করেই যাবে।
.

আসুন, আমরা সকল মতভেদ, ভেদাভেদ ভুলে, কোনো দলের অন্তর্ভূক্ত না হয়ে, মানুষের কথায় কান না দিয়ে, নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে আল্লাহর বিধান ক্বুরআন থেকে সমাধান খোজার চেষ্টা করি। সঠিক তথ্য না জানার কারণে পূর্ব থেকে যে ভুল আমরা করে আসছি ক্বুরআন থেকে তার সমাধান নিয়ে সঠিকভাবে আমরা আমাদের ছিয়াম বা রোজা পূর্ণ করে আল্লাহ ভিতি, পরহেজগারী, বা মুত্তাক্বি হওয়ার চেষ্টা করি। কাজেই, আমাদের এতো কষ্টের ছিয়াম বা রোজা আল্লাহর ক্বুরআনের নির্দেশ অনুসারে হচ্ছে কিনা সেদিকে আমরা খেয়াল রেখে আল্লাহর প্রতিটি হুকুম আহকাম সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করি, এবং রাত না হওয়া পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ করি। ক্বুরআন যা বলবে তাই সত্য হবে। কারণ, ক্বুরআন হচ্ছে সন্দেহমুক্ত ও নির্ভুল কিতাব-২:২।

Source:- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1182481871924271&id=100004874088187

Understanding Salat bn

By S M NAZRUL ISLAM FBFD

.

সালাত বুঝে না পড়লে কোন দিন ২৯(৪৫) বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

♥ [45] اتلُ ما أوحِىَ إِلَيكَ مِنَ الكِتٰبِ وَأَقِمِ الصَّلوٰةَ ۖ إِنَّ الصَّلوٰةَ تَنهىٰ عَنِ الفَحشاءِ وَالمُنكَرِ ۗ وَلَذِكرُ اللَّهِ أَكبَرُ ۗ وَاللَّهُ يَعلَمُ ما تَصنَعونَ
[45] আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।
[45] Recite (O Muhammad SAW) what has been revealed to you of the Book (the Qur’ân), and perform As-Salât (Iqamât¬as¬Salât). Verily, As-Salât (the prayer) prevents from Al-Fahshâ’ (i.e. great sins of every kind, unlawful sexual intercourse) and Al-Munkar (i.e. disbelief, polytheism, and every kind of evil wicked deed) and the remembering (praising) of (you by) Allâh (in front of the angels) is greater indeed [than your remembering (praising) of Allâh in prayers. And Allâh knows what you do.♪♥
সালাত আদায় কারী নাবুঝে,
পড়লে , আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে
♥ [36] وَلا تَقفُ ما لَيسَ لَكَ بِهِ عِلمٌ ۚ إِنَّ السَّمعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤادَ كُلُّ أُولٰئِكَ كانَ عَنهُ مَسـٔولًا
[36] যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।
১৭(৩৬)
[36] And follow not (O man i.e., say not, or do not or witness not) that of which you have no knowledge. Verily! The hearing, and the sight, and the heart, of each of those one will be questioned (by Allâh). -♥
যেমন একজন নামাজ পড়া লোক নিচের আয়াতটা বলে মাথা নত করল, ( রুকু) , সে নাবুঝলে সে তো ওজনে কম দিবে –
♥ [35] وَأَوفُوا الكَيلَ إِذا كِلتُم وَزِنوا بِالقِسطاسِ المُستَقيمِ ۚ ذٰلِكَ خَيرٌ وَأَحسَنُ تَأويلًا
[35] মেপে দেয়ার সময় পূর্ণ মাপে দেবে এবং সঠিক দাঁড়িপালায় ওজন করবে। এটা উত্তম; এর পরিণাম শুভ।
[35] And give full measure when you measure, and weigh with a balance that is straight. That is good (advantageous) and better in the end.১৭(৩৫)♥
নামাজে যা বল্ল তা করলো না, তা প্রতি দেখেন আল্লাহ অসন্তুষ্ট হল ৬১(২/৩),
♥ [2] يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا لِمَ تَقولونَ ما لا تَفعَلونَ
[2] মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা কেন বল?
[2] O you who believe! Why do you say that which you do not do?
[3] كَبُرَ مَقتًا عِندَ اللَّهِ أَن تَقولوا ما لا تَفعَلونَ
[3] তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।
[3] Most hateful it is with Allâh that you say that which you do not do♥

এই বার ভাবুন নামাজী ব্যাক্তি উক্ত বানীগুলো না মানার কারণে, ৫(৪৪/৪৫/৪৭ অনুসারে) সে কাফির/ ফাসিক / জালিম হল।
এবং জাহান্নামি হতে পারে।♥
৫(৪৪) টা দিলাম —
♥ [44] إِنّا أَنزَلنَا التَّورىٰةَ فيها هُدًى وَنورٌ ۚ يَحكُمُ بِهَا النَّبِيّونَ الَّذينَ أَسلَموا لِلَّذينَ هادوا وَالرَّبّٰنِيّونَ وَالأَحبارُ بِمَا استُحفِظوا مِن كِتٰبِ اللَّهِ وَكانوا عَلَيهِ شُهَداءَ ۚ فَلا تَخشَوُا النّاسَ وَاخشَونِ وَلا تَشتَروا بِـٔايٰتى ثَمَنًا قَليلًا ۚ وَمَن لَم يَحكُم بِما أَنزَلَ اللَّهُ فَأُولٰئِكَ هُمُ الكٰفِرونَ
[44] আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক ♥আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের♥।
এইবার দেখুন তার পরিনতি —

♥ [6] إِنَّ الَّذينَ كَفَروا مِن أَهلِ الكِتٰبِ وَالمُشرِكينَ فى نارِ جَهَنَّمَ خٰلِدينَ فيها ۚ أُولٰئِكَ هُم شَرُّ البَرِيَّةِ
[6] আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।
[6] Verily, those who disbelieve (in the religion of Islâm, the Qur’ân and Prophet Muhammad (SAW)) from among the people of the Scripture (Jews and Christians) and Al-Mushrikûn will abide in the Fire of Hell. They are the worst of creatures.♥
কিভাবে এখন নামাজ আদায় কারীরা
এখন কাফের ও জাহান্নামি হচ্ছে ।

♥ ভয় নেই যারা বুঝে পড়েন না তাদের জন্য সুসংবাদ আছে –
আজ থেকেই মানে বুঝার, বিশ্বাষ করা,ও সেই অনুযায়ী কাজ করার কাজে নিয়োজিত হন,

আল্লাহ ক্ষমাশীল –
♥_ [17] إِنَّمَا التَّوبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذينَ يَعمَلونَ السّوءَ بِجَهٰلَةٍ ثُمَّ يَتوبونَ مِن قَريبٍ فَأُولٰئِكَ يَتوبُ اللَّهُ عَلَيهِم ۗ وَكانَ اللَّهُ عَليمًا حَكيمًا
[17] অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।
[17] Allâh accepts only the repentance of those who do evil in ignorance and foolishness and repent soon afterwards; it is they whom Allâh will forgive and Allâh is Ever All¬Knower, All¬Wise.
[18] وَلَيسَتِ التَّوبَةُ لِلَّذينَ يَعمَلونَ السَّيِّـٔاتِ حَتّىٰ إِذا حَضَرَ أَحَدَهُمُ المَوتُ قالَ إِنّى تُبتُ الـٰٔنَ وَلَا الَّذينَ يَموتونَ وَهُم كُفّارٌ ۚ أُولٰئِكَ أَعتَدنا لَهُم عَذابًا أَليمًا
[18] আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
[18] And of no effect is the repentance of those who continue to do evil deeds until death faces one of them and he says: “Now I repent;” nor of those who die while they are disbelievers. For them We have prepared a painful torme♥
তবেই আমাদের জন্য জান্নাত অপেক্ষা করছে –
♥৭০(৩৪-৩৫)-
[34] وَالَّذينَ هُم عَلىٰ صَلاتِهِم يُحافِظونَ
[34] এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান,
[34] And those who guard their Salât (prayers) well ,
[35] أُولٰئِكَ فى جَنّٰتٍ مُكرَمونَ
[35] তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে।
[35] Such shall dwell in the Gardens (i.e. Paradise) honoure♥
আরো দেখুন ৭৫(৩১)৯৫(১০-১৯)।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সালাতে যা বলি বুঝে বলে , বিশ্বাষ করে, সেই অনুসারে জীবনযাপন করার তৌফিক দান করুন।
♥♥♥πππππππππππππ ♥♥♥♥

1-আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩/2-লাউয়াল হাদিস বা অসার বানি ৩১ঃ৬।

By Nazrul Islam fbfd

হাদিস মানার আগে জানুন কার হাদিস মানবেন?আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের হাদিস? হাদিস মানে কি?
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
যারা হাদিসের নামে কুরআন বা কুরআনের সাথে সম্পর্কহীন বুখারীদের তৈরি কথাকে হাদিস মনে করে, আল্লাহর কথা বাদ দিয়ে- আলেমদের তথা মানব রচিত কথায় ইবাদত করেন, তারা আগে কুরআনের নিম্মলিখিত আয়াতগুলির অর্থ ঈমান নিয়ে পড়ে যাচাই করুন- আপনি কার হাদিস মানবেন? আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের তৈরি করা হাদিস? কুরআন মতে হাদিস দুই প্রকার। ১. কুরআন নিজেই আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩।২. লাউয়াল হাদিস বা অসার বানি ৩১ঃ৬।কুরআন নিজেই নবীর হাদিস বা বানি ৬৯ঃ৪০/ ৮১ঃ১৯। কুরআন আল্লাহর বানি তার পক্ষে সমর্থিত আয়াত ৬৯ঃ৪২-৪৪/২৯ঃ৪৬-৪৯।।
আরো দেখুন কুরআন রাসুলের / আল্লাহর হাদিস বা বানি ৪ঃ৪২/৪ঃ৮৭/৪ঃ১৪০/৪৭ঃ৮/৬ঃ৬৮/৭ঃ২৮৫/১২ঃ১১১/১৮ঃ৬/২০ঃ৯/৩১ঃ৬/৩৩ঃ৫৩/৩৯ঃ২৩/৪৫ঃ৬/৫১ঃ২৪/৫২ঃ৩৪/৫৩ঃ৫৯/৫৬ঃ৮১/৬৬ঃ৩/৬৮ঃ৪৪/৬৮ঃ৫০/৭৯ঃ১৫/৮৫ঃ১৭/৮৮ঃ১।
হাদিসঃ = হাদিস মানে বানি , কথা, মেসেজ, খবর, বার্তা, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, ট্রেডিশন, বিবৃতি, বর্ননা, বচন, কথন, । ফলে উল্লেখিত আয়াত সমুহ দ্বারা প্রমানিত হয় যে কুরআন নিজেই হাদিস বা আল্লাহর বানি।

কিছু ধর্মান্ধ পন্ডিতদের কথা, লিখা, কমেন্টে মনে হয় আরবি হাদিস শব্দটি শুধু নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর আমলে উৎপত্তি লাভ করেছে। তাদের মতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর কথা কাজ সম্মতি কে হাদিস বলে। তাদের এই সংজ্ঞা সার্বজনিন নয়, সার্বকালিন নয়। অর্থাৎ এই সংজ্ঞা যথার্থ নয়। কারন হাদিস শব্দটি আরবি ভাষা সৃষ্টির লগ্ন হতেই আরবি অভিধানে ছিল, আছে, থাকবে। কাজেই আরবি হাদিস শব্দটির অর্থ যেহেতু কথা, বানি, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, কালাম, যেহেতু শব্দটি নবীজির আবির্ভাবের আগে থেকেই ছিল সেহেতু কুরআন নিজেই হাদিস বা বানি। আর আল্লাহ + নবীর সেই বানিটিই হল কুরআন, যার দলিল উপরে দেয়া হয়েছে।

সুতরাং হাদিস মানে বুখারিদের কয়টা কথা শুধু নয়।দ্বীনের ক্ষেত্রে মানব রচিত যাবতীয় বিধান বর্জনীয়। কেননা দ্বীনের বিধান দিতে হবে কুরআন হতে মর্মে বহু আয়াত কুরআনে উল্লেখ আছে ২ঃ৭৮-৭৯/২৫৬/৬ঃ৫০-৫৫/৭০/৮৪/২১ঃ৮৩/৩৯ঃ২৭/৪৩ঃ৪৩/৫০ঃ৪৫/১৮ঃ২৭।দ্বীনের সকল ফায়সালা হবে কুরআন মাফিক ৮৬ঃ১৩। অনেকে বলেন বেশির ভাগ মানুষই তো মানব রচিত হাদিস অনুসরন করে।এই অধিকাংশ লোকের কথায়, মতে চলা লোকদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা অধিকাংশ লোকের কথা মত চলে তারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত হবে ৬ঃ১১৬। কেননা, সত্য ও ন্যায়ের দিক হতে আল্লাহর বিধানই পরিপুর্ন ৬ঃ১১৫।

Mirrage as per Quran bn

Mahmood Hasan👉কুরআন অনুসারে বিয়ে
কুরান অনুসারে বিয়ে করতে হলে যে বিষয়গুলো অনুসরন করতে হয় সেগুলো হলো ;বিয়ে 4:6, 2:221, 4:21, 2:235, 4:241- উভয়ের বয়স mature কিনা তা দেখতে হবে (4:6)
2- বিশ্বাসীগন অবিশ্বাসীদেরকে বা মুশরিকীনদের কে বিয়ে করতে পারবেন না (2:221) 
3- উভয়কেই একে অপরের প্রতি সুস্পস্ট সম্মতি বা কমিটমেন্ট থাকতে হবে (4:21)
4- বিবাহে সুস্পস্ট প্রকাশ্য ঘোষনা থাকতে হবে  (2:235)
5- বিবাহ লিখিত বা কন্টাক্ট হতে হবে (2:235)
6- বিবাহ হল স্থায়ী চুক্তি , অস্থায়ী নয় ॥ 4:21
a) ডিভোর্স দিতে হলে চার মাস অপেক্ষা করতে হবে (2:226) 
b) ডিভোর্স এর আগে পারিবারিকভাবে reconcile এর পদক্ষেপ নিতে হবে (4:35)
c) বড়ধরনের নৈতিক অধঃপতন ছাড়া বউকে স্বামীর গৃহ ছাড়া করা যাবে না (65:1)
d) ডিভোর্স দিতে হলে স্ত্রীকে ক্ষতিপূরন দিতে হবে (2:241)
e) সন্তান থাকলে তার ভরনপোষন এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে (2:233)
f) সন্তান ছোট হলে সন্তানের লালন পালনের জন্য মাকে দুই বছর ভরনপোষন এর ব্যয় ভার বহন করতে হবে (2:233)
7- স্বামীকে অবশ্যই মোহরানা পরিশোধ করতে হবে (4:24)
এই হল বিবাহের রীতিনীতি ॥ এতে কোন মন্ত্র নেই ॥ বাকী আল্লাহ ভরসা ॥

.

Comment:-Ibrahim marium2:235নং আয়াতে লিখিত কন্টাক্ট এর কিছুতো আমি পেলাম না ভাই|দুইয়াধীক(৪:৩) বিবাহের বিষয়টি কি ভাবে আপনার নজর এড়িয়ে গেল ভাই?
.

Zia Mahmood

Ibrahim Marium 
There is no blame upon you if you announce your engagement to the women, or you keep it to yourself. God knows that you will think about them, but do not meet them secretly, unless it is for saying righteous words. DO NOT  EXECUTE THE MARRIAGE CONTRACT  until the interm is fulfilled. And know that God knows your innermost thoughts, so beware of Him, and know that God is Forgiver, Forbearing. 2:235
For 4.3 – read my article. 

কোরান নিয়ে চিন্তা ভাবনা

By Rakibul Islam fb

কোরান নিয়ে চিন্তা ভাবনা। দায়িত্ব কার? রসূলের ও আলেম ওলামাদের নাকি আমাদের সকলের?
“এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।৩৮:২৯”
“এরা কি লক্ষ্য করে না কোরানের প্রতি?….। “Why do they not study the Quran carefully?…..। ৪:৮২”
“তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? ৪৭:২৪”
“অতএব তারা কি এই কালাম সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? না তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে, যা তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি? ২৩:৬৮
“তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিদর্শনাবলী এসে গেছে। অতএব, যে প্রত্যক্ষ করবে, সে নিজেরই উপকার করবে এবং যে অন্ধ হবে, সে নিজেরই ক্ষতি করবে। আমি তোমাদের পর্যবেক্ষক নই। ৬:১০৪
“আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।When the Quran is recited, you shall listen to it and take heed, that you may attain mercy.৭:২০৪
“আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?” ৫৪:১৭
আয়াতগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে বলুনতো , কোরান পড়ে চিন্তাভাবনা কে করবে? রসূল ও আলেম ওলামারাই কি আমাদের জন্য চিন্তা ভাবনা করে দেবেন? আল্লাহর নির্দেশ কি বলে!!

Quran চোরের হাত কাটা

By Rakibul Islam fb

আজ আলোচনার বিষয় — কোরআনের আলোকে চোরের হাত কাটা,,

চোরের শাস্তি
১২:১-৩ “আলিফ-লাম-রা; এগুলো সুস্পষ্ট গ্রন্থের আয়াত। আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার। আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করেছি, যেমতে আমি এ কোরআন তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছি। তুমি এর আগে অবশ্যই এ ব্যাপারে অনবহিতদের অন্তর্ভূক্ত ছিলে।”
কোরআনে চুরির শাস্তির কথা কি বলা হয়েছে?
৫:৩৮ আয়াতে চুরির জন্য জন্য নির্ধারিত শাস্তির বর্ননা দেয়া আছে।
৫:৩৮ “যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে ‘এক্তা’উ’ ‘আইদিয়াহুমা’ তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।”
৫:৩৯ “অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
আরবি শব্দ ‘এক্তা’উ’ অর্থ “কাটো” , আর ‘আইদিয়াহুমা’ অর্থ “হাতগুলো” (তিন বা ততোধিক)।
৫:৩৮ শাব্দিক অর্থ দাড়ায় – “যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাতগুলো (তিন বা ততোধিক) কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।”
হাতগুলো কতটুকু কাটতে হবে , তার দুই ধরনের মত পাওয়া যায়।
১ম মতানুযায়ী হাতগুলো একেবারে কেটে ফেলে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর সাথে একমত হওয়া যাচ্ছে না নিম্নোক্ত কারনে। প্রথমত আরবি শব্দ ‘আইদিয়াহুমা’ , ‘ইয়াদ’ বা দুই হাতের বহুবচন। এক হাতের আরবি ‘ইদ’। আমরা জানি প্রতিটি মানুষের এমনকি চোরের ও দুইটার বেশি হাত নেই। তাহলে আমরা তিন বা ততোধিক হাত কেমনে কাটব? যদি আমরা স্বীকার ও করে নেই যে এই আয়াতে পুরুষ ও নারী দুই চোরের কথা বলা হয়েছে , তাহলে কি আমাদের চোরের দুটো হাতই কেটে ফেলতে বলা হয়েছে?
দ্বিতীয়ত যদি কাউকে ভুলবশত চোর সাব্যস্ত করা হয় বা কাউকে শত্রুতাকরে চোর হিসাবে ফাসানো হয় অতঃপর তাদের দুই হাত কেটে ফেলা হয় , তখন কিভাবে শুধরানো হবে? আবার এমন ও তো হতে পারে , এমন কেউ যার হাত নেই কিন্ত বুদ্ধি দিয়ে চুরি করতে সহায়তা করেছে, তার কি শাস্তি?
তৃতীয়ত হাত কেটে ফেলা হলে , ৫:৩৯ আয়াতে আল্লাহ যে বলেছেন চোর যদি তওবা করে ও সংশোধিত হয় , তো আল্লাহ নিশ্চয় তার তওবা কবুল করেবেন। এই আয়াতের প্রোয়োগ কিভাবে হবে? হাত তো ফিরে আসবে না!! এর অর্থ দাড়ায় হাত সম্পুর্ন কেটে ফেল্লে ৫:৩৯ আয়াতের কোন কার্যকারীতাই থাকে না। কোরানের আয়াত তো আর মিথ্যা হতে পারে না!!
২য় মতানুযায়ী হাত একেবারে কেটে না ফেলে , হাতে cut mark বা দাগ চিহ্ন রেখে দিতে। এর স্বপক্ষে যুক্তি হিসাবে তারা কোরআনের ১২:৩১ ও ১২:৫০ আয়াতদ্বয়ের উল্লেখ করেন , যেখানে মহিলারা ছুরি দিয়ে নিজেই নিজের হাত কেটেছিল। নিজেই নিজের হাত নিশ্চয় সম্পুর্ন কেটে ফেলা সম্ভব না। কমনসেন্স তাই বলে।
১২:৩১ “…. সে তাদের প্রত্যেককে একটি ছুরি দিয়ে বললঃ ইউসুফ এদের সামনে চলে এস। যখন তারা তাকে দেখল, হতভম্ব হয়ে গেল এবং আপন হাত কেটে ফেলল। তারা বললঃ কখনই নয় এ ব্যক্তি মানব নয়। এ তো কোন মহান ফেরেশতা।”
১২:৫০ “বাদশাহ বললঃ ফিরে যাও তোমাদের প্রভুর কাছে এবং জিজ্ঞেস কর তাকে ঐ মহিলার স্বরূপ কি, যারা স্বীয় হস্ত কর্তন করেছিল! আমার পালনকর্তা তো তাদের ছলনা সবই জানেন।”
যদিও হাতে দাগ দেয়া মানবিক ও ব্যাবহারিকভাবে অধিক গ্রহনযোগ্য তবুও এই মতের সাথেও একমত হওয়া যাচ্ছে না। কারন ১ম মতের বিরুদ্ধে যে কারন গুলো উল্লেখ করা হয়েছে , তা এই মতের বিরুদ্ধেও খাটে। তাছাড়াও বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এতই উন্নতি হয়েছে যে প্লাস্টিক সার্জারী করে দাগ তুলে ফেলা কোন ব্যাপারই নয়।
তদুপরি ৫:৩৮ আয়াতে ‘কাতা’আ’ আর ১২:৩১ আয়াতে ‘কাত্তা’আ’ শব্দ ব্যবহার হয়েছে। যদিও দুটো শব্দই আরবিতে একই শব্দের ভিন্ন রুপ এবং ‘কাত্তা’আ’ শব্দের মানে কোরানের অন্য আয়াতগুলোতে (৫:৩৩, ৭:১২৪, ২০:৭১ ও ২৬:৪৯) সম্পুর্ন কেটে ফেলা বলা হয়েছে। তাহলে আমরা কোন মানেটা নিব? হাত সম্পুর্ন কেটে ফেলা নাকি হাতে কেটে দাগ বা চিহ্ন দিয়ে দেয়া? উত্তর কোরানের আলোকে পরের পোস্টে দিব ইনশাল্লাহ,
,
,
চোরের শাস্তি।(শেষ অংশ)
৩য় মতানুযায়ী কুরআনের নৈতিকতা স্মরনে রেখে বলা হয়েছে চোরদের হাত নয় , তাদের চুরির সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের কেটে ফেলতে অর্থাৎ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে বলা হয়েছে। এই মতের সমর্থনে ৩টি কারন দর্শানো হয়েছে।
১ম কারন – সকলেই জানেন বাংলায় কিছু শব্দ আছে যার আক্ষরিক ও আলঙ্করিক দুই ধরনের মানে করা হয়। যেমন – যদি বলা হয় আমার হাত ব্যাথা করছে। এখানে ‘হাত’ শব্দটি আক্ষরিক অর্থেই হাতকে বোঝায়। কিন্তু যদি বলি , আমার খুব হাত টানাটানি যাচ্ছে। এখানে নিশ্চয় কেউ আমার হাত ধরে টানাটানি করছে না। এখানে হাতের আলঙ্করিক অর্থ বোঝানো হয়েছে , অর্থাৎ আমার টাকা বা সম্পদের অভাব ঘটেছে।
সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের বুঝাতে বাংলায় বা ইংরাজীতে বা আরবিতেও ‘হাত’ শব্দটি ব্যাবহৃত হয়। যেমন এরশাদ শিকদারের ডান হাত বা right hand man ছিল অমুক , এটা বলতে আমরা বুঝি এরশাদ শিকদারের প্রধান সহায়তাকারী ছিল অমুক। অমুকের পক্ষে এ কাজটা করা সম্ভব ছিল না , যদি না তমুকের হাত ওর পিছনে থাকত!! এখানে পৃষ্ঠপোষককে বুঝানো হয়েছে। কোন চোরের পক্ষে সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষক ছাড়া একা চুরি করা দূরুহ। তাকে চুরির মাল কারো না কারো কাছে বেচা লাগবে , কারো না কারো সহায়তা তার লাগবে। একারনেই সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের তার কাছ থেকে কেটে বা বিচ্ছিন্ন করে ফেল্লেই , তার চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিচ্ছিন্ন কিভাবে করতে হবে তার বর্ননাও কুরআনে আছে। সে বর্ননায় পরে আসছি।
তদ্রুপ কুরআনেও ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আক্ষরিক ও আলঙ্করিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। প্রমানস্বরুপ ২৭:১২ , ৫:৬৪ , ৩৮:৪৫ আয়াতগুলো পড়ে দেখুন।
২৭:১২ “ আপনার হাত আপনার বগলে ঢুকিয়ে দিন, সুশুভ্র হয়ে বের হবে নির্দোষ অবস্থায়। এগুলো ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের কাছে আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্যতম। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।”
এই আয়াতে ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আক্ষরিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে।
৫:৬৪ “আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে তাদের প্রতি অভিসম্পাত। বরং তাঁর উভয় হস্ত উম্মুক্ত। তিনি যেরূপ ইচ্ছা ব্যয় করেন।….” এই আয়াতে ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আলঙ্করিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। এখানে হাত বন্ধ বলতে কৃপনতা বোঝায়।
৩৮:৪৫ “স্মরণ করুন, হাত ও চোখের অধিকারী আমার বান্দা ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা।” এখানেও ‘হাত’ (ইয়াদ) শব্দটি আলঙ্করিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। আরো দেখতে পারেন ২:১৯৫, ২:২৩৭ ও ২২:১০ আয়াতগুলি।
তাহলে ৫:৩৮ আয়াতের তর্জমা যদি “যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের তাদের কাছ থেকে কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।” এভাবে করা হয় তাহলে দেখুন ৫:৩৯ নং আয়াতের সাথেও কোন বিরোধ থাকে না।
৫:৩৯ “অতঃপর যে তওবা করে স্বীয় অত্যাচারের পর এবং সংশোধিত হয়, নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
২য় কারন – মানুষ খুন করা নিশ্চয় চুরি করার থেকেও জঘন্য অপরাধ। কুরআনে খুনীর জন্য দুই ধরনের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ৪:৯২ আয়াতে বিশ্বাসীদের অনিচ্ছাকৃত খুনের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। এই শাস্তি মৃত্যুদন্ড ও নয় বা জেল বাস ও নয়। ৪:৯২ “মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।”
ইচ্ছাকৃত খুনের শাস্তি – ২:১৭৮ “হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।”
দুটো আয়াতেই দেখুন ক্ষতিপুরন দেয়া ও ক্ষতিপুরন দিয়ে মৃত্যুদন্ড রহিতের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। এটা হয়তোবা খুন হওয়া ব্যাক্তির পরিবারের ভরনপোষনের স্বার্থে করা হয়েছে। খুনীর এই যে শাস্তি , এটা নিশ্চয় চোরের হাত কেটে ফেলার শাস্তির চেয়ে বেশী নয়। চুরির শাস্তি তো আর খুনের শাস্তির চেয়ে বেশি হতে পারেনা?
৩য় বা শেষ কারন আল্লাহ সুরা ইউসুফে (১২) উদাহরন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন , চোরের শাস্তি কিভাবে দিতে হবে।
১২:৭০ অতঃপর যখন ইউসুফ তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন পানপাত্র আপন ভাইয়ের রসদের মধ্যে রেখে দিল। অতঃপর একজন ঘোষক ডেকে বললঃ হে কাফেলার লোকজন, তোমরা অবশ্যই চোর।
১২:৭১ তারা ওদের দিকে মুখ করে বললঃ তোমাদের কি হারিয়েছে?
১২:৭২ তারা বললঃ আমরা বাদশাহর পানপাত্র হারিয়েছি এবং যে কেউ এটা এনে দেবে সে এক উটের বোঝা পরিমাণ মাল পাবে এবং আমি এর যামিন।
১২:৭৩ তারা বললঃ আল্লাহর কসম, তোমরা তো জান, আমরা অনর্থ ঘটাতে এদেশে আসিনি এবং আমরা কখনও চোর ছিলাম না।
১২:৭৪ তারা বললঃ যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও, তবে যে, চুরি করেছে তার কি শাস্তি?
১২:৭৫ তারা বললঃ এর শাস্তি এই যে, যার রসদপত্র থেকে তা পাওয়া যাবে, এর প্রতিদানে সে দাসত্বে যাবে। আমরা যালেমদেরকে এভাবেই শাস্তি দেই।
১২:৭৬ অতঃপর ইউসুফ আপন ভাইদের থলের পূর্বে তাদের থলে তল্লাশী শুরু করলেন। অবশেষে সেই পাত্র আপন ভাইয়ের থলের মধ্য থেকে বের করলেন। এমনিভাবে আমি ইউসুফকে কৌশল শিক্ষা দিয়েছিলাম। সে বাদশাহর আইনে আপন ভাইকে কখনও দাসত্বে দিতে পারত না, যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন। আমি যাকে ইচ্ছা, মর্যাদায় উন্নীত করি এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপরে আছে অধিকতর এক জ্ঞানীজন।
১২:৭৭ তারা বলতে লাগলঃ যদি সে চুরি করে থাকে, তবে তার এক ভাইও ইতিপূর্বে চুরি করেছিল। তখন ইউসুফ প্রকৃত ব্যাপার নিজের মনে রাখলেন এবং তাদেরকে জানালেন না। মনে মনে বললেনঃ তোমরা লোক হিসাবে নিতান্ত মন্দ এবং আল্লাহ খুব জ্ঞাত রয়েছেন, যা তোমরা বর্ণনা করছ;
১২:৭৮ তারা বলতে লাগলঃ হে আযীয, তার পিতা আছেন, যিনি খুবই বৃদ্ধ বয়স্ক। সুতরাং আপনি আমাদের একজনকে তার বদলে রেখে দিন। আমরা আপনাকে অনুগ্রহশীল ব্যক্তিদের একজন দেখতে পাচ্ছি।
১২:৭৯ তিনি বললেনঃ যার কাছে আমরা আমাদের মাল পেয়েছি, তাকে ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। তা হলে তো আমরা নিশ্চিতই অন্যায়কারী হয়ে যাব।”
উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহর আইনে চুরির শাস্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে তা দেখানো হয়েছে।
১২:৭ “অবশ্য ইউসুফ ও তাঁর ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসুদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।”
১২:৩৮ “আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি। আমাদের জন্য শোভা পায় না যে, কোন বস্তুকে আল্লাহর অংশীদার করি। এটা আমাদের প্রতি এবং অন্য সব লোকের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্ত অধিকাংশ লোক অনুগ্রহ স্বীকার করে না।”
উপরের আয়াতগুলো থেকে এটা পরিস্কার তারা রাজার আইন (১২:৭৬) অনুসরন করেনি , বরং চোরকে শাস্তি দিয়েছে আল্লাহর আইনে(১২:৭৫)। লক্ষ করুন ওরা ১২:৩৮ “আমি আপন পিতৃপুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম অনুসরণ করছি।”
দেখা যাচ্ছে আল্লাহর আইনে চোরের শাস্তি নিম্নরুপ :
১) সন্দেহভাজন চোরকে প্রথমেই চুরি স্বীকার করার সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং স্বীকার করে চুরির মাল ফেরৎ দিলে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।১২:৭২
২)৫:৩৮ চুরি প্রমান হলে তার সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের থেকে কেটে ফেলা হবে অর্থাৎ সে দাসত্বে যাবে।১২:৭৫ এর অর্থ দাড়ায় চোরাই মালের টাকা বা জরিমানার সমপরিমান অর্থ চোর শ্রম মজুরি দিয়ে শোধ দিবে।
এখন দেখুন এরপরে যদি চোর ক্ষমা চায় ও অনুতপ্ত হয় , তাহলে তাকে ক্ষমা করা সম্ভব।
আয়াতগুলো থেকে আমরা আরো জানতে পারি যে কাউকে চুরির দায়ে ফাসানো সম্ভব। হাত কেটে ফেল্লে যার চুরির মিথ্যা অভিযোগে হাত কাটা গেছে , তার হাত কিভাবে ফেরৎ দেয়া যাবে। আর চুরির শাস্তি যদি হাত কেটেই ফেলা হবে , তাহলে নিশ্চয় ইউসুফ নিজের আদরের ভাইকে চুরির দায়ে ফাসাতো না।
আজকের মুসলমান ভাইয়েরা বলতে পারেন , এই আইন সেই ইউসুফের জমানার জন্য প্রযোজ্য ছিল , আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এর উত্তরে বলব , আল্লাহ আমাদের এই কাহিনী শুনিয়েছেন কিছু শেখানোর জন্য , আনন্দ উপভোগের জন্য নয়।
পোস্টের শুরু করেছিলাম সূরা ইউসুফের ১ম আয়াত দিয়ে , শেষ করছি শেষ আয়াত দিয়ে।
১২:১১১ তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ রহমত ও হেদায়েত।

Sourse

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1132321620453100&id=100010258176779

মৃত্যু

By Abu Saiyad Khan fb

অনিবার্য, আসন্ন মৃত্যুকে আলিঙ্গন


-আবু সাঈদ খান

<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<
মৃত্যু বোঝাতে কুরআনে মূলতঃ দু’টি পরিভাষা বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। একটি মাওতুন; আর একটি ওফাত (তাওয়াফ্ফিউন) – দুটি বিশেষ্যই বাংলায় আমাদের জন্য পরিচিতি শব্দসমষ্টি।
মহিমান্বিত কুরআনের একটি আয়াতাংশ আমাদের সমাজে প্রায় অনেকেই শুনে শুনে রপ্ত করে রেখেছে, – কুল্লু নাফসিন যায়িকতুল মাওত (كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ)। এর অর্থও তারা বোঝে – সকল সত্তাকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
কুরআনে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে মৃত্যু সংক্রান্ত এই শাশ্বত সত্যটি তিনবার (৩:১৮৫, ২১:৩৫, ২৯:৫৭) জানানো হয়েছে।
“জীবন এবং মৃত্যু” -দুটিরই মালিক আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা।
لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ
মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব যাঁর সেইজনেরই, তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। -৭:১৫৮ (আরও- ২:২৫৮, ৩:১৫৬, ৯:১১৬, ১০:৫৬, ২৩:৮০, ৪০:৬৮, ৪৪:৮, ৫৭:২)
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي وَنُمِيتُ وَإِلَيْنَا الْمَصِيرُ
নিঃসন্দেহ আমরা স্বয়ং জীবন দান করি এবং আমরাই মৃত্যু ঘটাই, আর আমাদের কাছেই শেষ-আগমন। -৫০:৪৩ (আরও -১৫:২৩; ৩৬:১২ )
দেখা যাচ্ছে, মৃত্যুই কোন কিছুর শেষ নয়, বরং সেখান থেকে স্বীয় রব্বের কাছে প্রত্যাবর্তনের যাত্রা শুরু। যেহেতু ‘প্রত্যাবর্তনের’ কথা বলা হয়েছে, এর মানে আমরা সেই মহান সত্তার সমীপেই ছিলাম- সেই শেকড় অভিমুখেই আবার আমাদের ফিরে যেতে হবে। সে সম্পর্কেও বহু কুরআনী দলীল বিদ্যমান আছে।
كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে। -২:২৮
মৃত্যু, মৃত্যু, এবং মৃত্যু
///////////////////////////////////////////////////
মানব নিয়ে আল্লাহর মহা পরিকল্পনায় মুত্যু একটি অপরিহার্য অংশ ও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।
هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا شُيُوخًا وَمِنْكُمْ مَنْ يُتَوَفَّى مِنْ قَبْلُ وَلِتَبْلُغُوا أَجَلًا مُسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর। -৪০:৬৭
অতঃপর যখন সেই নির্ধারিত কাল উপস্থিত হবে তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত মালাইকা এসে তার কার্য সম্পন্ন করবে।
قُلْ يَتَوَفَّاكُمْ مَلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ
বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। -৩২:১১
কখন এবং কোথায় হবে আমাদের মৃত্যু ?
///////////////////////////////////////////////////////////////////
না, সেটা কেউ অবগত নয়। সময় এবং স্থানের বিষয়টি আমাদের সম্পূর্ণ অজানা।
وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا
আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না- সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে। -৩:১৪৫
وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
আর কোনো সত্তা জানে না কী সে অর্জন করবে আগামীকাল। আর কোনো সত্ত্বা জানে না কোন দেশে সে মারা যাবে। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, পূর্ণ-ওয়াকিফহাল। -৩১:৩৪
মৃত্যু যন্ত্রণা (ছাকরতুল মাওত)
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////
وَجَاءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِيدُ
মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে। -৫০:১৯
كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ () وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ () وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ () وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ
কখনও না, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে। এবং বলা হবে, “কে সেই (রক্ষাকারী) জাদুকর?” আর সে বুঝতে পারবে যে, এ হচ্ছে বিদায় বেলা। এবং এক পায়ের হাড় অন্য পায়ের হাড়ে ঠোকর খেতে থাকবে। -৭৫:২৬-২৯
হুশিয়ারিঃ মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ কোরো না
/////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশ জারী করা হয়েছে, যেন কোন অবস্থাতেই আমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ না করি। তাহলে ভয়াবহ পরিণতর মুখোমুখী হতে হবে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। -৩:১০২
وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ
এরই ওছিয়ত করেছে ইবরাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলিম না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না। -২:১৩২
মুসলিম না হয়ে মরলে নিষ্ঠুর পরিণতি
////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ فَأَلْقَوُا السَّلَمَ مَا كُنَّا نَعْمَلُ مِنْ سُوءٍ بَلَى إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
ফেরেশতারা তাদের জান এমতাবস্থায় কবজ করে যে, তারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে। তখন তারা আনুগত্য প্রকাশ করবে যে, আমরা তো কোন মন্দ কাজ করতাম না। হ্যাঁ, নিশ্চয় আল্লাহ সববিষয় অবগত আছেন, যা তোমরা করতে। -১৬:২৮
إِنَّ الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا فَأُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
যারা নিজের অনিষ্ট করে, ফেরেশতারা তাদের প্রাণ হরণ করে বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা বলেঃ এ ভূখন্ডে আমরা অসহায় ছিলাম। ফেরেশতারা বলেঃ আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না যে, তোমরা দেশত্যাগ করে সেখানে চলে যেতে? অতএব, এদের বাসস্থান হল জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত মন্দ স্থান। -৪:৯৭
وَلَوْ تَرَى إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُوا الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ
আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর। -৮:৫০
فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ
ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে? -৪৭:২৭
মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করলে কেমন অভিবাদন
///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ طَيِّبِينَ يَقُولُونَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
ফেরেশতা যাদের জান কবজ করেন তাদের পবিত্র থাকা অবস্থায়। মালাইকাগণ বলেঃ “সালামুন আলাইকুম”। তোমরা যা করতে, তার প্রতিদানে জান্নাতে প্রবেশ কর। -১৬:৩২
إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ () نَحْنُ أَوْلِيَاؤُكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآَخِرَةِ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِي أَنْفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ () نُزُلًا مِنْ غَفُورٍ رَحِيمٍ
নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন। ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর। এটা ক্ষমাশীল করুনাময়ের পক্ষ থেকে সাদর আপ্যায়ন। -৪১:৩০-৩২
আমরা কেমন মৃত্যু চাই?
////////////////////////////////////////////////////////////////////
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آَمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآَمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ করুন এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দিন, আর আমাদের মৃত্যু দান করুন নেক লোকদের সাথে। -৩:১৯৩
وَمَا تَنْقِمُ مِنَّا إِلَّا أَنْ آَمَنَّا بِآَيَاتِ رَبِّنَا لَمَّا جَاءَتْنَا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান করুন। -৭:১২৬
رَبِّ قَدْ آَتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
হে পালনকর্তা আপনি আমাকে (ইউসুফ) রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছেন এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্য সহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছেন। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা, আপনিই আমার কার্যনির্বাহী ইহকাল ও পরকালে। আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যুদান করুন এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত করুন।-১২:১০১
যখন মৃত্যুরও মৃত্যু হবে
//////////////////////////////////////////////////////////////
ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَا
তখন সে সেখানে মরবে না, আর বাঁচবেও না। -৮৭:১৩
إِنَّهُ مَنْ يَأْتِ رَبَّهُ مُجْرِمًا فَإِنَّ لَهُ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَا
নিঃসন্দেহে যে কেউ তার প্রভুর কাছে আসে অপরাধী হয়ে তার জন্য তবে তো রয়েছে জাহান্নাম। সে সেখানে মরবে না, আর সে বাঁচবেও না। -২০:৭৪
يَتَجَرَّعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِنْ وَرَائِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ
সে তা চুমুক দিয়ে পান করবে, আর সে তা সহজে গলাধঃকরণ করতে পারবে না, আর মরণ যন্ত্রণা তার কাছে আসবে সব দিক থেকে, কিন্তু সে মরবে না। আর তার সামনে রয়েছে কড়া শাস্তি। -১৪:১৭
وَإِذَا أُلْقُوا مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُقَرَّنِينَ دَعَوْا هُنَالِكَ ثُبُورًا () لَا تَدْعُوا الْيَوْمَ ثُبُورًا وَاحِدًا وَادْعُوا ثُبُورًا كَثِيرًا
আর যখন তাদের শৃঙ্খলিত অবস্থায় এর মধ্যের এক সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা সেইখানেই ধ্বংস হওয়া আহ্বান করবে। “আজকের দিনে তোমরা একবারের ধ্বংসের জন্য কামনা করো না, বরং বহুবার ধ্বংস হওয়ার দোয়া করতে থাক!” -২৫:১৩-১৪


Epidemic(মহামাৰী) in Quran

By ss Jaman fbfd

মহামারি নিয়ে পবিত্র কোরআনের যত আয়াত•••
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
★★ রোগের মহামারি নিয়ে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বেশ কিছু আয়াত আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক কী বলা হচ্ছে সেসব আয়াতে…
★ সুরা আহযাব: আয়াত-৯
আর তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি।
★ সুরা আনআম: আয়াত-৪২
তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দিয়েছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বীকার করে।
★ সুরা ইয়াসিন: আয়াত-২৮-২৯
তারপর (তাদের এই অবিচারমূলক জুলুম কার্য করার পর) তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনো প্রয়োজনও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল)।
★ সুরা আ’রাফ: আয়াত-১৩৩
শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি।
★ সুরা বাকারা: আয়াত-২৬
নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না।
★ সুরা আ’রাফ: আয়াত-৯৪
ওর অধিবাসীদের আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রোগব্যাধি এবং অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয়।
★ সুরা মুদ্দাসসির: আয়াত-৩১
তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন।
★ সুরা আল-আনআম: আয়াত-৬৫
তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা ওপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নিচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম।
★ সুরা আল আ’রাফ: আয়াত-৯১
তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রাস করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল।
★ সুরা আল কামার: আয়াত-৩৪
তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিবায়ু।
★ সুরা ইউনুস: আয়াত-১৩
অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল।
★ সুরা সাবা: আয়াত-১৬
তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ ও অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দিই না।
★ সুরা বাকারা: আয়াত-১৪৮
নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।
★ সুরা বাকারা: আয়াত-১৫৫
আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
★ সুরা সাফফাত: আয়াত-১৭৩
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে)।
★ সুরা আল আন’আম: আয়াত- ৪৪-৪৫
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করল) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম । আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই রইল, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’।
★ সুরা ত্বাহা: আয়াত-১৪
নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো।
★ সুরা মুলক: আয়াত- ১৬-১৭
তোমরা কী ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেয়া হবে।
নাকি তোমরা ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের ওপর কংকরবর্ষী ঝঞ্ঝা-বৃষ্টি কিংবা প্রস্তর-বৃষ্টি বর্ষণ করার হুকুম দেবেন না? (যদি আমি এমন করার হুকুম করি) তখন তোমরা জানতে পারবে বা উপলব্ধি করবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণীর পথ-নির্দেশ।
★ সুরা আল আ’রাফ: আয়াত-১৩০
তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সঙ্কটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে আনবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে)
★ সুরা আল আ’রাফ: আয়াত- ৯৭-৯৮
জনপদের অধিবাসীরা কী ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল?
★ সুরা ফাজর: আয়াত- ৬-১৪
আপনি কী দেখেননি, আপনার ‘রব’ আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিল? যাদের দৈহিক গঠন ছিল, স্তম্ভ এবং খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ এবং তাদের এত শক্তি ও বলবীর দেয়া হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের শহরসমূহে অন্য কোনো মানবগোষ্ঠীকে দেয়া হয়নি। এবং সামুদ গোত্রকে যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করত এবং বহু সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের সাথে, যারা দেশের সীমাসমূহ লঙ্গন করেছিল। অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। তারপর আপনার ‘রব’ তাদের ওপর শাস্তির কশাঘাত করলেন। নিশ্চয়ই আপনার ‘রব’ প্রতিটি বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।

Zakat fbfd fm Quran

বিষয়ঃ- যাকাত by ss Jaman

যাকাত শব্দটি মূল য্বা, ক্বা, ফ থেকে উৎপত্তি, যাক্কা এবং যাক্কি শব্দ থেকে আগত।

যাকাত শব্দের অর্থ পরিশুদ্ধ বা Purification হওয়া, অর্থাৎ আমার সম্পদের উপর গরীব দের যে হক রয়েছে, তা আল্লাহর নির্দেশিত খাতে বন্টনের মাধ্যমে সম্পদ কে হালাল করে নেওয়াই হচ্ছে যাকাত।

কোরআন এ শুধু যাকাত শব্দটি ৫৯ বার এসেছে, সালাত এসেছে ৯৯ বার, এরমধ্যে সালাত ও যাকাত এর গুরুত্ব বুঝাতে এটি একসাথে এসেছে ২৪ বার, যেখানে বলা হয়েছে,

“তোমরা সালাত কায়েম কর, এবং যাকাত পরিশোধ কর”
(২ঃ৪৩/৮৩/১১০/১১৭/২৭৭) (৪ঃ৭৭/১৬২) (৫ঃ১২/৫৫) (৯ঃ৫/১১/১৮/৭১) (২১ঃ৭৩) (২২ঃ৪১/৭৮) (২৪ঃ৩৭/৫৬) (২৭ঃ৩) (৩১ঃ৪) (৩৩ঃ৩৩) (৫৮ঃ১৩) (৭৩ঃ২০) (৯৮ঃ৫)।

যাকাতের প্রতিশব্দ হিসেবে ২ টি শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে,
১. সদাকা ২. দান বা ব্যয় ‘ইয়ুনফিকু’।

কেন যাকাত দিবো?
(৯২ঃ১৮) যে আত্মশুদ্ধির জন্য তার ধন-সম্পদ দান করে।
(৩৩ঃ৩৩) আল্লাহ তো কেবল তোমাদের মধ্য থেকে অপবিত্রতা দূর করতে চান এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে চান।
(৯ঃ১০৩) আপনি তাদের সম্পদ থেকে ‘সদকা’ গ্রহন করুন, এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন।
(৫৯ঃ৭) যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান শুধু তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে।
আরো দেখুনঃ (৯ঃ১০৪) (৭৬ঃ৮-৯)(৯৮ঃ৫)(২৪ঃ৫৬)(১৬ঃ৯০)(২৮ঃ৭৮).

দান করলে সম্পদ বাড়েঃ-
(৩০ঃ৩৯) আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি লাভের জন্য যে যাকাত তোমরা দাও (তা-ই বৃদ্ধি পায়) সুতরাং তারাই সমৃদ্ধশালী।
(২ঃ২৬১) যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস্য-বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মে।
(৬৪ঃ১৭) যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণ বৃদ্ধি করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন।
আরো দেখুনঃ (২৮ঃ৫৪)(২ঃ১১০)(৫৭ঃ৭)(৫৭ঃ১৮).

দানের প্রতিফলন বা রেজাল্টঃ
(৩৪ঃ৩৯) তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন।
(৮ঃ৬০) আল্লাহর পথে যা কিছু ব্যয় করবে, তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে।
(৯ঃ১২১) তারা ছোট বা বড় যা কিছুই ব্যয় করে তা তাদের অনুকূলে (আমলনামায়) লিপিবদ্ধ হয়।
আরো দেখুনঃ (১৩ঃ২২)(২ঃ২৭২)(২৪ঃ৫৬)(৭৩ঃ২০).

দানের ব্যাপারে যাদের অনুসরণ করবোঃ
(৭ঃ১৫৬) যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমাদের অয়াতসমূহে ঈমান আনে।
(২২ঃ৪১) তারা এমন লোক যাদেরকে আমরা যমীনের বুকে প্রতিষ্ঠিত করলে সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে;
(৯৮ঃ৫) তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে তাঁরই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে এবং সালাত কায়েম করে ও যাকাত প্ৰদান করে। আর এটাই সঠিক দ্বীন।
আরো দেখুনঃ (২ঃ৪৩)(৫ঃ৫৫)(৪ঃ১৬২)(৯ঃ১১)(৯ঃ১৮)(৯ঃ৭১)(২৪ঃ৩৭)(২৩ঃ৪)(৪২ঃ৩৮)(৩২ঃ১৬)(২৮ঃ৫৪)(২২ঃ৩৫)(১৯ঃ৩১)(৬৪ঃ১৬)

দান করার সামর্থ্য আল্লাহর থেকেই পাইঃ
(৪ঃ৩৯) আল্লাহ তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করলে তাদের কি ক্ষতি হত?
(২৩ঃ৩৫) আমরা তাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সহযোগিতা করেছি,
(৩ঃ২৭) আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিয্‌ক দান করেন। ’
আরো দেখুনঃ (৮ঃ৩)(৯ঃ৫৯)(৩ঃ১৭০)(১৬ঃ৫৫)(১৬ঃ৫৬)(১০ঃ৮৮)(১০ঃ১০৭)(৯ঃ৭৫)।

কি ব্যয় করবো?
(২ঃ২১৯) তারা আপনাকে জিজ্জেস করে কি তারা ব্যায় করবে ? বলুন, যা উদ্বৃত্ত (Surplus).

কিভাবে দান করবো?
(৬৫ঃ৭) বিত্তবান নিজ সমৰ্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবনোপকরণ সীমিত সে আল্লাহ যা দান করেছেন তা থেকে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে সামথ্য দিয়েছেন তার চেয়ে গুরুতর বোঝা তিনি তার উপর চাপান না।
(১৭ঃ২৯) তুমি তোমার হাত গলায় বেঁধে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণরূপে মেলেও দিও না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও আফসোসকৃত হয়ে বসে পড়বে।
(২ঃ২৭৪) যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের প্রতিদান তাদের রব-এর নিকট রয়েছে।
(২৫ঃ৬৭) যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কৃপনতাও করে না, আর তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী।
(৩ঃ১৩৪) যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে।
আরো দেখুনঃ (১৩ঃ২২)(৩৫ঃ২৯)(৪ঃ১১৪)(২ঃ২৭১)(৩ঃ১৩৪)(১৬ঃ৭৫)(৫৭ঃ১০).

কোন বস্তুটি দান করবো?
(৩ঃ৯২) তোমরা যা ভালবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো সওয়াব অর্জন করবে না। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবগত।
(৮ঃ৩) আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তা থেকে দান করে।

দান কেমন হওয়া উচিৎঃ
(২ঃ২৬৭) হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি জমি হতে তোমাদের জন্য যা উৎপাদন করে থাকি, তা থেকে যা উৎকৃষ্ট, তা দান কর। এমন মন্দ জিনিস দান করার সংকল্প করো না, যা তোমরা মুদিত চক্ষু ব্যতীত গ্রহণ কর না।

দানের ক্ষেত্রে ৩ টি উদাহরণঃ
(২ঃ২৬৪) দান হচ্ছে পাথরের মত একটি বড় ধন ভান্ডার, যা মাটি দিয়ে ঢাকা থাকে, কেউ যদি খোটা দেয় তবে বৃষ্টির মাধ্যমে মাটি সরে গিয়ে ধনভাণ্ডারটি উন্মুক্ত হয়ে যায়।
(২ঃ২৬৫) কোন উঁচু ভূমিতে অবস্থিত একটি বাগান, যাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়, ফলে তার ফল-মূল দ্বিগুণ জন্মে। যদি মুষলধারে বৃষ্টি নাও হয়, তবে হাল্কা বৃষ্টিই বা এর শিশির বিন্দুই যথেষ্ট।
অর্থাৎ দানের প্রতিদান দ্বিগুণ যা কোন ভাবেই আল্লাহ নষ্ট করবেন না।
(২ঃ২৬৬) এমন দান যেখানে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়ে গেছে কিন্তু ফল পাওয়ার আগেই তা স্বমূলে বিনাশ হয়ে গেছে, এমনো কোন উপায় নেই যে পূনঃরায় মেশিন চালু করা যায়।
অর্থাৎ আমি দান করেছি কিন্তু প্রতিদান পেলাম না।

কার্পণ্য করা যাবে নাঃ
(৪৭ঃ৩৮) তোমরাই তো তারা যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে বলা হচ্ছে অথচ তোমাদের অনেকে কৃপণতা করছে; যারা কার্পণ্য করে, তারা তো কার্পণ্য করে নিজেদের প্রতি। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত।
(৩ঃ১৮০) আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তাদের জন্য তা মঙ্গল, যেটাতে তারা কৃপণতা করবে কেয়ামতের দিন সেটাই তাদের গলায় বেড়ী হবে।
(৪ঃ৩৭) যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তা গোপন করে। আর আমরা কাফেরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
আরো দেখুনঃ (৯ঃ৭৬)

যে দান বাতিল হয়ঃ
(৪ঃ৩৮) আর যারা মানুষকে দেখাবার জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনে না। আর শয়তান কারো সঙ্গী হলে সে সঙ্গী কত মন্দ!
(১৭ঃ২৭) অপব্যয় কারী শয়তানের ভাই।
(৯ঃ৫৩) ‘তোমার ইচ্ছাকৃত ব্যয় কর অথবা অনিচ্ছাকৃত, তোমাদের কাছে থেকে তা কিছুতেই গ্রহণ করা হবে না; নিশ্চয় তোমরা হচ্ছ ফাসিক সম্প্রদায়।’
আরো দেখুনঃ (৭৪ঃ৬)(৩ঃ১১৭)(৯ঃ৫৪)

অসামর্থ্য ব্যাক্তি দান না করলেও হবেঃ
(৯ঃ৯১) যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং যারা অর্থ সাহায্যে অসমর্থ, তাদের কোন অপরাধ নেই, যদি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের হিতাকাঙ্খী হয়। মুহসিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ নেই; আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(২ঃ২৮০) আর যদি সে অভাবগ্রস্থ হয় তবে সচ্ছলতা পর্যন্ত তা অবকাশ। আর যদি তোমরা সাদকা কর তবে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।
আরো দেখুনঃ (৯ঃ৭৯)

দান না করেও দানের সওয়াব পাওয়াঃ
(৯ঃ৯২) আর ঐ লোকদেরও (বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ)… তারা এমন অবস্থায় ফিরে গেল যে, তাদের চক্ষু হতে অশ্রু বইতে লাগল এ দুঃখে যে, তাদের কাছে ব্যয় করার মত কোন কিছুই নেই।

কাকে দান করবো?
(২ঃ২৭৩) অভাবগ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য; যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, জীবিকার সন্ধানে ভূপৃষ্ঠে ঘোরা-ফেরা করতে পারে না। তারা কিছু চায় না বলে, অবিবেচক লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে; তারা লোকেদের কাছে নাছোড়বান্দা হয়ে যাচ্ঞা করে না।

কি কি খাতে ব্যয় হবে?
(৯ঃ৬০) সদকা তো শুধু ফকীর, মিসকীন ও সদকা আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য, দাসমুক্তিতে, ঋণ ভারাক্রান্তদের জন্য, আল্লাহ্‌র পথে ও মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(২ঃ১৭৭) সম্পদ দান করবে তার ভালবাসায় আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করবে, অর্থ-সংকটে, দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করবে। তারাই সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী।
(২ঃ২১৫) ‘যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন এবং মুসাফিরদের জন্য। উত্তম কাজের যা কিছুই তোমরা কর আল্লাহ্‌ সে সম্পর্কে সম্যক অবগত।
(৮ঃ৪১) যুদ্ধে যা তোমরা গনীমত হিসেবে লাভ করেছ ,তার এক-পঞ্চামাংশ আল্লাহ্‌র, রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের এবং সফরকারীদের।
(৫৭ঃ৭) আল্লাহ্‌ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে ‘ফায়’ হিসেবে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহ্‌র, রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিসকীন ও পথচারীদের।
(৪ঃ৮) সম্পত্তি বন্টনকালে আত্মীয়, ইয়াতীম এবং অভাবগ্রস্ত লোকদের উপস্থিত থাকলে তাদেরকে তা থেকে কিছু দিবে এবং তাদের সাথে সদালাপ করবে।

বন্টন পদ্ধতি বা পরিমানঃ
‘গানিমতুম’ থেকে ‘গানিমা’ অর্থ যেকোনো ইনকাম, উপার্যন বা সম্পদ বুঝায়।
‘গনীমত’ (৮ঃ৪১) ‘যুদ্ধে যা তোমরা গনীমত হিসেবে লাভ করেছ ,তার এক-পঞ্চামাংশ’ অর্থাৎ ১০০ টাকায় ২০ টাকা বা ২০%.

যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অর্জন ৩ ভাবে কোরআন এ বর্নিত হয়েছে।
১. ‘গনীমত’ (৮ঃ৬৯) তোমরা যে গনীমত লাভ করেছ তা বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর।
২. ‘ফাই’ বা যা বিনা যুদ্ধে বা চুক্তির মাধ্যমে অর্জিত,
(৫৭ঃ৭) আল্লাহ্‌ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে ‘ফায়’ হিসেবে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহ্‌র।
৩. ‘আনফাল’ (৮ঃ১) লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে আনফাল (যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ) সম্বদ্ধে; বলুন, ‘ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্‌ এবং রাসূলের।

কখন যাকাত দিবো?
(৬ঃ১৪১) যখন ফলবান হবে তখন সেগুলোর ফল খাবে এবং ফসল তোলার দিন সে সবের হক প্রদান করবে।

অর্থাৎ যেদিন ইনকাম হবে সে দিন এর হক প্রদান করতে হবে, এটা প্রত্যহিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক হতে পারে অথবা বাৎষরীকও হতে পারে।

স্বর্ন ও রৌপ্য প্রসঙ্গঃ
(৯ঃ৩৪) যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।

অর্থাৎ ব্যাবহায্য ব্যতীত কোন স্বর্ন-রৌপ্য জমা রাখা যাবে না।

সম্পদ জমা করা যাবে নাঃ
(১০৪ঃ২) যে সম্পদ জমায় ও তা বার বার গণনা করে।
(১০৪ঃ৪) সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায় (প্রজ্বলিত আগুন)
(২ঃ১৯৫) তোমরা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় কর এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। আর তোমরা ইহ্‌সান কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসীনদের ভালবাসেন।

যারা যাকাত অস্বীকার করে তারা আখেরাতও অস্বীকারকারীঃ
(৪১ঃ৭) যারা যাকাত প্ৰদান করে না এবং তারাই আখিরাতের সাথে কুফরিকারী।
(৪ঃ৩৯) আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনলে এবং আল্লাহ তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করলে তাদের কি ক্ষতি হত?
(৩৬ঃ৪৭) যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় কর’ তখন কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, ‘যাকে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে খাওয়াতে পারতেন আমরা কি তাকে খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছ।’
(৯ঃ৯৮) তারা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে তা জরিমানা গণ্য করে এবং তোমাদের বিপর্যয়ের প্রতীক্ষা করে।

যারা যাকাত পারিশোধ করে তারাই পরকাল বিস্বাসীঃ
(২৭ঃ৩) যারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় আর তারাই আখেরাতে নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।
(৪ঃ১৬২) সালাত প্রতিষ্ঠাকারী, যাকাত প্রদানকারী এবং আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনয়নকারী, তাদেরকে অচিরেই আমরা মহা পুরস্কার দেব।
(৫ঃ১২) তোমরা যদি সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, আমার রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন, তাঁদেরকে সম্মান-সহযোগিতা কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান কর, তবে আমি তোমাদের পাপ অবশ্যই মোচন করব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত’।

পরিশেষে আমাদের চাওয়া হচ্ছেঃ
(৬৩ঃ১০) আমরা তোমাদেরকে যে রিফিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে। তোমাদের কারও মৃত্যু আসার আগে। (অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে)
‘হে আমার রব ! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকাহ দিতাম ও সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম !

লিমিটেশনঃ ‘যাকাত’, ‘সাদাকাহ’ এবং ‘দান’ এর মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য আছে কি না আমার জানা নাই।
আমি কোন মুফতি, শায়েখ বা কোন আলেম নই যে, যাকাতের মত এত বিশাল বিষয়ে আমার জ্ঞান রয়েছে,
তবুও নিজে কোরআন পড়ে যা উপলব্ধি করলাম, তা উপস্থাপন করেছি মাত্র।
ভুল ত্রুটি শুধরে দিলে ‘সীরাতুল মুস্তাকীম’ (সঠিক পথ) পেতে সহজ হবে।

Collected

Who can give Fatwa.bn

//////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আল্লাহ তা’য়ালাই ফতোয়া দানকারী

#

‘ইফতাউন’ ক্রিয়ামূল থেকে জাত ‘ফতওয়া’ মূলক ব্যবহার কুরআনে ৯ টি। এর অর্থ বিধিবদ্ধ আইনের নির্দেশ বা বিধান বলে দেয়া।

কারাগারে সঙ্গীদ্বয়ের দু’টি স্বপ্নের বিষয়ে নবী ইউসুফ তাদের বলেন-

قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ

তোমরা যে বিষয়ে জানতে আগ্রহী তার ফতোয়া (সিদ্ধান্ত বা নিস্পত্তি) হয়ে গেছে। -১২:৪১

মিশরের বাদশাহ স্বপ্নে দেখল, সাতটি মোটাতাজা গাভী- এদেরকে সাতটি শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অন্যগুলো শুষ্ক। এই অদ্ভূত স্বপ্ন তাকে ভাবিয়ে তুলল, তাই তার রাজন্যবর্গের কাছে এ বিষয়ে ‘ফতোয়া’ চাইল।

يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَفْتُونِي فِي رُؤْيَايَ إِنْ كُنْتُمْ لِلرُّؤْيَا تَعْبُرُونَ

হে পরিষদবর্গ! তোমরা আমাকে আমার স্বপ্নের বিষয়ে ফতোয়া (সিদ্ধান্ত) দাও বা ব্যাখ্যা বল (Explain to me), যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় পারদর্শী হয়ে থাক। -১২:৪৩

দীনের বিষয়ে ঈমানদারগণসহ অনেকেই শেষনবীকে বহু প্রশ্ন করত। সেটাই নীচের আয়াতদ্বয়ে এভাবে বলা হয়েছে যে, তারা তোমার কাছে ফতোয়া চায় (يَسْتَفْتُونَكَ); জবাবে আবার বলা হয়েছে যে- তুমি বলো, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ফতোয়া দিচ্ছেন। যেমন.

وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ

আর নারীদের সন্বন্ধে তারা তোমার কাছে ফতোয়া (বিবাহের সিদ্ধান্ত বা অনুমতি) চায়। বলো- আল্লাহ্ তাদের সন্বন্ধে তোমাদের কাছে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। -৪:১২৭

يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلَالَةِ

মানুষ তোমার নিকট ফতোয়া জানতে চায় অতএব, তুমি বলে দাও, আল্লাহ্ তোমাদের বিধান বাতলে দিচ্ছেন মাতাপিতৃহীন তথা সন্তানসন্ততিহীনদের (কালালাহ) সন্বন্ধে। -৪:১৭৬

উপরের আয়াতদ্বয়ে যেখানে মানুষ ফতোয়া জানতে চায় বলে উদ্ধৃতি এসেছে, কুরআনের বহু ক্ষেত্রে আবার একই বিষয় ইয়াসআলুনাকা (يَسْأَلُونَكَ) বা তারা তোমার কাছে জানতে চায় বা প্রশ্ন করে – এভাবেও ব্যক্ত করা হয়েছে।

আর ঐ সমস্ত আয়াতের ক্ষেত্রে প্রায় অব্যবহিত পরেই আল্লাহ তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে ‘তুমি বলো’ উল্লেখ করে সেই সব বিষয়ে আল্লাহর জবাব বা ফতোয়া মানব জাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন।

বোধগম্যতার সুবিধা হবে চিন্তা করে সে সংক্রান্ত বেশ কিছু আয়াত আমি এখানে উপস্থাপন করছি।

১.
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ

তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম। -২:১৮৯

২.
يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنْفِقُونَ قُلْ مَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ

তারা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, তারা ব্যয় কী করবে? বলে দাও- ভালো জিনিস যা-কিছু তোমরা খরচ করো তা মাতাপিতার জন্য ও নিকট-আ‌ত্মীয়দের ও এতিমদের ও মিসকিনদের ও পথচারীদের জন্য। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে। -২:২১৫

৩.
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِنْ نَفْعِهِمَا وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنْفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآَيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ

তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার। -২:২১৯

৪.
يَسْأَلُونَكَ مَاذَا أُحِلَّ لَهُمْ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَمَا عَلَّمْتُمْ مِنَ الْجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ اللَّهُ فَكُلُوا مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ

তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করছে কি তাদের জন্য হালাল হয়েছে। বলো- পবিত্র বস্তুসমূহ তোমাদের জন্য বৈধ হয়েছে। আর শিকারী পশুপক্ষীদের শিকার করতে যা শিখিয়েছ- তাদের তোমরা শিখিয়েছ যা আল্লাহ্ তোমাদের শিখিয়েছেন, কাজেই তারা তোমাদের কাছে যা ধরে আনে তা থেকে তোমরা খাও, তবে তার উপরে আল্লাহ্‌র নাম উল্লেখ করো। আর আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ হিসেব-নিকেশে তৎপর। -৫:৪

৫.
يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّي لَا يُجَلِّيهَا لِوَقْتِهَا إِلَّا هُوَ ثَقُلَتْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا تَأْتِيكُمْ إِلَّا بَغْتَةً يَسْأَلُونَكَ كَأَنَّكَ حَفِيٌّ عَنْهَا قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

তারা তোমাকে কেয়ামত সন্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে- কখন তা ঘটবে। বলো- এর জ্ঞান অবশ্যই রয়েছে আমার প্রভুর কাছে, এর সময় সন্বন্ধে তা প্রকাশ করতে পারে না তিনি ছাড়া কেউ। এ অতি গুরুতর ব্যাপার মহাকাশমন্ডলে ও পৃথিবীতে, এ এসে পড়বে না তোমাদের উপরে অতর্কিতে ছাড়া। তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করছে যেন তুমি তার অনুসন্ধানে লেগে আছো। বলো- এর জ্ঞান আলবৎ আল্লাহ্‌র কাছে, কিন্তু অধিকাংশ লোকই জানে না। -৭:১৮৭

৬.
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

তারা তোমাকে যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ সন্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে। বলো- যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পত্তি আল্লাহ্ ও রসূলের জন্য। সুতরাং আল্লাহ্‌কে তোমরা ভয়ভক্তি করো, আর তোমাদের নিজেদের মধ্যে সাব স্থাপন করো, আর আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলকে মেনে চলো যদি তোমরা মুমিন হও। -৮:১

৭.
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا

আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে রূহ সম্পর্কে। বলো- রূহ আমার প্রভুর নির্দেশাধীন, আর তোমাদের তো জ্ঞানভান্ডারের সৎসামান্য বৈ দেওয়া হয় নি। -১৭:৮৫

৮.
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْجِبَالِ فَقُلْ يَنْسِفُهَا رَبِّي نَسْفًا

আর তারা তোমাকে পাহাড়গুলো সন্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। কাজেই বলো- আমার প্রভু তাদের ছড়িয়ে দেবেন ছিটিয়ে ছিটিয়ে। -২০:১০৫
তারা আপনাকে পাহাড় সম্পর্কে প্রশ্ন করা। অতএব, আপনি বলুনঃ আমার পালনকর্তা পহাড়সমূহকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন।

৯.
يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا () فِيمَ أَنْتَ مِنْ ذِكْرَاهَا () إِلَى رَبِّكَ مُنْتَهَاهَا

তারা কেয়ামত সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে- কখন তার আগমন হবে? এ-সন্বন্ধে বলবার মতো তোমার কী আছে? এর চরম সীমা রয়েছে তোমার প্রভুর নিকট। -৭৯:৪২-৪৪

সুতরাং কুরআনের বহু আয়াত থেকে যেমন দেখা যায়, আল্লাহ তা’য়ালা যেমন তাঁর বাণী নাযিলকারী; একইসাথে তাঁর বাণীর ওয়াজকারী, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বা বয়ানকারী এবং তাফসিরকারী।

বিধান বা নির্দেশ জারীর ক্ষেত্রে তেমনি তিনি আবার বিধানাবলীর হুকুমকারী বা ফতোয়া দানকারীও বটে।

রাসূলের কাছে মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা ফতোয়া চেয়েছে, কিন্তু রাসূল নিজে থেকে তাদের কোন ফতোয়া দান করেন নি। আল্লাহর দেয়া ফতোয়াই আল্লাহর বাণীরূপে তিনি তাদের শুনিয়ে দিয়েছেন এবং আমাদের জন্য রেখে গেছেন।

কিন্তু পরিহাসের বিষয়গুলো হলো, ধর্ম-বাণিজ্যের ডামাডোলে আল্লাহর এই অসাধারণ অভীধাগুলো কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছিনতাই করে নিয়ে গেছে যেন তারা এর দ্বারা পার্থিব কিছু নগণ্যমূল্য হাসিল করতে পারে।

ধর্ম-ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্মান্ধতার ভিত্তিতে জিম্মি কুরআন বিমুখ আমজনতা এটা সেটার বিষয়ে যা কিছু জানতে চায়, আর তার মোকাবেলায় তাদেরকে সেই মোল্লাতন্ত্র যে বটিকা সেবন করিয়ে দেয়, সেগুলোকে ‘ফতোয়া’ বলে না।

আল্লাহর সকল সুন্নত, শরীয়াহ, হুকুমসহ পুরো কুরআন মাজীদই মানবজাতির জন্য পূর্ণ ফতোয়ার মহাগ্রন্থ। আমাদেরকে শুধু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সেখান থেকে যথার্থ বিধানাবলীগুলো চিহ্নিত করে, এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই সাপেক্ষে আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে হবে মাত্র।

ইসলামের নামে পাহাড় পরিমাণ ভেজাল ও মিথ্যার চাপে কুরআনের বিশুদ্ধ দীন চাপা পড়ে গেছে। সত্যকে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার কিছু নেই; কুরআনুল কারীমের মহাসত্য আমাদের সাথেই সম্পূর্ণ অবিকৃতভাবে বিদ্যমান আছে। সেই মহাসত্যের উপর যুগ যুগান্তরের যে কালিমা লেপন করা হয়েছে তা ভালভাবে ঝেড়ে ফেললেই সেই শাশ্বত সত্য স্বমহিমায় আমাদের সামনে আবার উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, ইনশা-আল্লাহ।


Sourse

No adhan for salat in Quran,but in Hajj

By Md Nazmul Biswas fbfd

দিনে ৫ বার মসজিদে সালাতের সময় আযান দিতে হবে
এই মর্মে কোন আয়াত পবিত্র কোরআনে নেইঃ

তোমরা সালাতের সময় হলে আযান দিবে এমন আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই। তবে আয়াত এসেছে, তোমরা মানুষের নিকট হজ্বের ঘোষণা দাও (২২ঃ২৭)। এই আয়াতে আযান শব্দ হয়েছে। আযান শব্দের আভিধানিক হচ্ছে ঘোষণা করা বা জ্ঞাত করা (আরবি অভিধান পৃ. নং-১৩০)। তাছাড়া আল্লাহ আরো বলেন, হজ্বের দিবসে আল্লাহ ও রসূলের পক্ষ থেকে ঘোষণা (৯ঃ৩)। এই আয়াতে আযান শব্দ এসেছে। কিন্তু পবিত্র কোরআনের সালাতের জন্য যে সমস্ত আয়াত এসেছে, সে সমস্ত আয়াতে সালাতের জন্য ঘোষণা কর এমন আয়াত আসে নাই। কিংবা সালাতের সময় আযান দাও, এই মর্মেও কোন আয়াত আসে নাই। তাছাড়া ৫ ওয়াক্ত সালাত কায়েম কর মর্মে কোন আয়াত পবিত্র কোরআনে আসে নাই, বিধায় ৫ ওয়াক্ত সালাতের সময় মসজিদে আযান দিতে হবে এই মর্মেও কোন আয়াত পবিত্র কোরআনে আসে নাই। তবে আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা সালাত কায়েম কর’ (২৪ঃ৫৬)। আর সালাত বলতে সেজদাকেই বুঝায় (৪ঃ১০২) আর সেই সেজদাই সালাত, যে সেজদা ইবলিশ করে নাই। আর সেটা হচ্ছে আদম কাবায় সেজদা। কারণ ইবলিশ আদম কাবায় না দিয়েই কাফের (২ঃ৩৪)। আর যখন কোন মানুষ আদম কাবায় সেজদা করে, তখন তার দেহ মন থেকে ইবলিশ দূরীভূত হয়। কারণ ইবলিশ কখনও আদম সেজদার শামিল হবে না (১৫ঃ৩৩)। আর যে কাজ করলে ইবলিশ দূরীভুত হয় সে কাজটিই সালাত (২৯ঃ৪৫)। আর আদম কাবায় সেজদা সিরাতুল মুস্তাকিম (১৫ঃ৪১)। ইবলিশ সব সময়ই এই সিরাতুল মুস্তাকিমেই ওত পাতিয়া বসিয়া থাকে (৭ঃ১৬)। আর ইবলিশতো মানুষকে এই সেজদা থেকে বিরত রাখে (২৭ঃ২৫) আর এই সেজদার দিকে মানুষকে ডাকাই সালাতের দিকে ডাকা। আর মানুষকে যখন এই (আদম কাবায়) সেজদার দিকে তথা সালাতের দিকে ডাকা হয় তখন ইবলিশের অনুসারীরা হাসি তামাশা করে (৫ঃ৫৮)। সম্মেলনের দিনে যখন তোমাদের সালাতের জন্য ডাকা হয় (৬২ঃ৯) এই আয়াতে ‘নিদাউ’ শব্দ এসেছে যার অর্থ হচ্ছে ডাকা বা সম্ভোধন করা (আরবি অভিধান পৃ. ২৩৮৯)। এখানে উল্লেখ্য যে, আযান এবং ‘নিদাউ’ উভয়ই আরবী শব্দ। হজ্বের ক্ষেত্রে আযান শব্দ এসেছে আর সালাতের ক্ষেত্রে ‘নিদাউ’ শব্দ এসেছে। এখানে দুইটি আয়াত দুইটি শব্দ। দুইটি আয়াতের উদ্ধেশ্যও ২টি। এখন যদি কেহ ‘নিদাউ’ শব্দ দিয়ে আযান অর্থ করে সেক্ষেত্রে ‘নিদাউ’ শব্দের আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আর আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করা যাবে না (২২ঃ৫১)। কাজেই ‘নিদাউ’ শব্দকে আযান অর্থে ব্যবহার করা যাবে না। এই আয়াতে ‘নিদাউ’ শব্দ দিয়ে গুরুর কাবায় তথা রসূল কাবায় সেজদার দিকে মানুষকে ডাকার কথা বলা হয়েছে, এইজন্য এখানে আযান শব্দ না এসে ‘নিদাউ’ শব্দ এসেছে। এই মর্মে সালাতের বিষয় ঘোষণা করতে বলা হয় নাই। কারণ আয়াতে আযান শব্দ আসে নাই। এখানে উল্লেখ্য যে, সূর্য হেলে পড়ার পর হতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করার নির্দ্ধারিত সময় (১৭ঃ৭৮)। অর্থাৎ দিনের শেষাংশ এবং রাত্রের প্রথমাংশ সালাত কায়েম করার নির্দ্ধারিত সময় (১১ঃ১১৪)। আল্লাহ বলেন তোমরা এই নির্দ্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা তোমাদের জন্য অবশ্য করণীয় কাজ (৪ঃ১০৩)। তাহলে দেখা গেল নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করার আয়াত পাওয়া গেল। কিন্তু সালাতের জন্য নির্ধারিত সময়ে তোমরা আযান দাও এই মর্মে কোন আয়াত পবিত্র কোরআনে নাই। অতএব আযান শুনে মসজিদে যাওয়া জরুরী নহে। প্রয়োজনে বাসগৃহেই সালাত আদায় করা যাবে (১০ঃ৮৭)। এতে প্রমাণিত হয় যে, দিনে পাঁচবার মসযিদে আযান দেওয়া জরুরী নহে। তবে সালাত কায়েম করা ফরজ, কিন্তু সালাতের সময় আযান দেওয়া ফরজ নহে। এখন যদি কেহ বলে অধিকাংশ লোকইত সালাতের পূর্বে আজান দেওয়া ফরজ মনে করে, তাদের জন্য বলতে হয়, যদি কেহ অধিকাংশ লোকের কথা মতো চলে সে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হবে (৬ঃ১১৬)। কারণ সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে আল্লাহর কথাই পরিপূর্ণ (৬ঃ১১৫)।

লেখক
মোঃ হাসিবুল হক চিশতী

হজ বাতিলের ইতিহাস

By Abdullah Al Mamun fbfd

হজ বাতিলের ইতিহাস

প্রথমবার বাতিল হয়েছিল ৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে, আব্বাসীয়দের সময়, ইসমাঈল বিন ইউসুফের মক্কা আক্রমণের কারণে।

এরপর বন্ধ হয়েছিল ৯৩০ সালে। কট্টর শিয়া গ্রুপ কারমাতিদের আক্রমণে সে বছর ৩০,০০০ হাজি শহিদ হয়েছিল। তারা হাজিদেরকে হত্যা করে তাদের লাশ জমজম কুপে ফেলে দিয়েছিল। ফিরে যাওয়ার সময় তারা সাথে করে হাজরে আসওয়াদ বাহরাইনে নিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে হাজরে আসওয়াদ পুনরুদ্ধার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এক দশক হজ্ব বন্ধ ছিল।

৯৮৩ থেকে ৯৯০ সাল পর্যন্ত হজ্ব বাতিল হয়েছিল রাজনীতির কারণে। ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফত এবং মিসর ভিত্তিক ফাতেমীয় খিলাফতের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে সেবার ৮ বছর পর্যন্ত হজ্ব বন্ধ ছিল।

শুধু যুদ্ধ-বিগ্রহ না, মহামারীর কারণেও হজ্ব বাতিল হয়েছিল। প্রথমে ১৮১৪ সালে হেজাজ প্রদেশে প্লেগের কারণে ৮,০০০ মানুষ মারা যাওয়ায় হজ্ব বাতিল করা হয়।

এরপর ১৮৩১ সালে ভারত থেকে যাওয়া হজ্বযাত্রীদের মাধ্যমে মক্কায় প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং চারভাগের তিনভাগ হাজী মৃত্যুবরণ করে। ফলে সে বছর হজ্ব বাতিল করা হয়। এছাড়াও ১৮৩৭ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে প্লেগ এবং কলেরার কারণে তিন বারে মোট ৭ বছর হজ্ব বন্ধ ছিল।

ইসলাম অবাস্তব কোনো ধর্ম না, এলিয়েনদের জন্য আসা ধর্ম না। এটা মানুষের জন্য আসা ধর্ম। এবং মানুষের সাধ্যের বাইরে এখানে কিছু করতে বলা হয়নি।

তথ্যসূত্র: হারাম শরিফের ওয়েবসাইট, মিডল ইস্ট আই, টিআরটি, দ্য নিউ আরব।

কোরআন অনুযায়ী তালাকের পদ্ধতি

By Tuhin Faruqi fbfd

♦️কোরআন অনুযায়ী তালাকের পদ্ধতি♦️
——————————-_————————
মাদ্রাসা থেকে ডিগ্রিধারী তথাকথিত আলেম মোল্লারা নাকি সমাজে পূজনীয়!!আল্লাহর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা যে কত হাজার হাজার ঘর ভাঙতেছে আর অবৈধ জীবন যাপনে বাধ্য করতেছে তার কোন ইয়ত্তা নাই!!!
মুখে একবার কেন শত কোটি বার তালাক তালাক বললেও তালাক হবে না, যদি না আল্লাহর নির্ধারিত স্তরগুলো অতিক্রম করা হয়!!
মুখে তালাক বললাম, আর তালাক হয়ে যাবে এমন ঠুনকো সিস্টেম আল্লাহ দেননি!!
তালাকের নিয়ম-
১/-স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে না থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়, তবে চার মাস অপেক্ষা করবে। এর মধ্যে যদি তারা মিলে যায় তাহলে তালাক হবে না।
আর যদি তালাক দেওয়ার সংকল্প বজায় থাকে, তাহলে প্রথম তালাক কার্যকর হবে।
( 2:226- 227)
২/-তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তিন রজঃস্রাব কাল বা তিন মাস অপেক্ষা করবে। যদি এর মধ্যে তারা আপোষ নিষ্পত্তিতে পুনরায় একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তারা আবার সংসার শুরু করতে পারবে। কোন তালাক হবে না।
কিন্তু যদি এই সময়সীমার মধ্যে পুনঃগ্রহণের কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে দ্বিতীয় বার তালাক হয়ে গেল। সংসার করতে না চাইলে এই সাত মাস পর তালাক পূর্ণরূপে কার্যকর হয়ে যাবে। যার কোন তৃতীয় নেই।(2:228- 229)

নারীরাও তালাক নেওয়ার অধিকারী…
“” যদি কোন নারী স্বীয় স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর এবং খোদাভীরু হও, তবে, আল্লাহ তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন। [ সুরা নিসা:128 ]

Source:-

https://www.facebook.com/groups/1805246912824708/permalink/3474791855870197/

Duas from Quran.bangla

By syed wali fbfd

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ যে সকল প্রার্থনা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন

ক. বিপদ-আপদ থেকে পরিত্রাণ (বর্তমান প্রেক্ষিত)
২. ১৫৫-১৫৬: আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করিব। তুমি শুভসংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে- যাহারা তাহারে উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে (দ্রষ্টব্য: আরাবী শব্দ কালু: বলা) :

‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’
২১. ৮৩-৮৪: এবং স্মরণ কর আইউবের কথা যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া বলিয়াছিল (দ্রষ্টব্য: আরাবী শব্দ নুদাআ: ক্রন্দন করে প্রার্থনা):
‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়িয়াছি, আর আপনি তো সর্বশেষ্ঠ দয়ালু!’

তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিলাম, তাহার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করিয়া দিলাম, তাহাকে তাহার পরিবার-পরিজন ফিরাইয়া দিলাম এবং তাহাদের সঙ্গে তাহাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতরূপে এবং ‘ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

২১. ৮৭-৮৮: এবং স্মরণ কর যুন-্ নূন (ইঊসুস আঃ) -এর কথা, যখন সে ক্রোধভারে বাহির হইয়া গিয়াছিল এবং মনে করিয়াছিল আমি তাহার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করিব না। অতঃপর সে অন্ধকার (মাছের পেট) হইতে আহ্বান করিয়াছিল (দ্রষ্টব্য: আরাবী শব্দ নুদাআ: ক্রন্দন করে প্রার্থনা):
‘আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; আপনি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী।’

তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে উদ্ধার করিয়াছিলাম দুশ্চিন্তা হইতে এবং এইভাবেই আমি মু’মিনদেরকে উদ্ধার করিয়া থাকি।

৬৮: ২৬-৩২: অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল (কয়েক ব্যক্তি তাদের সম্পদে দরিদ্র মানুষের যে হক তা থেকে দরিদ্রদেরকে বঞ্চণা করার কৌশল অবলম্বনের কারণে তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর) তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি। বরং আমরা তো বঞ্চিত।’
উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন?’
তখন উহারা বলিল:
‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’——–। — ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী। সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’

খ. বিস্তারিত (পবিত্র কুরআনে সুরার ক্রমানুসারে)

১. ১-৭: সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্রই, যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু, কর্মফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ‘ইবাদত করি, শুধু আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদিগকে সরল পথ প্রদর্শন করুন, তাহাদের পথ, যাহাদিগকে আপনি অনুগ্রহ দান করিয়াছেন, তাহাদের পথ নহে যাহারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।

২. ৫৮. স্মরণ কর, যখন আমি বলিলাম, ‘এই জনপদে প্রবেশ কর, যেথা ইচ্ছা স্বচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দ্বারা দিয়া এবং বল:
‘ক্ষমা চাই’।
আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিব এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করিব।’

২. ১২৬- ১২৯: স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! ইহাকে (এই শহরকে) নিরাপদ শহর করুন, আর ইহার অধিবাসীদের মধ্যে যাহারা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনে তাহাদেরকে ফলমূল হইতে জীবিকা প্রদান করুন।’
তিনি বলিলেন, ‘যে কেহ কুফরী করিবে তাহাকেও কিছুকালের জন্য জীবন উপভোগ করিতে দিব, অতঃপর তাহাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করিতে বাধ্য করিব এবং কত নিকৃষ্ট তাহাদের প্রত্যাবর্তনস্থল!’
স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কা’বাগৃহের প্রাচীর তুলিতেছিল তখন তাহারা বলিয়াছিল:
‘হে আমারে প্রতিপালক! আমাদের এই কাজ গ্রহণ করুন, নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হইতে আপনার এক অনুগত উম্মত করিবেন। আমাদেরকে ‘ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখাইয়া দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হোউন। আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের প্রতিপালক! তাহাদের মধ্য হইতে তাহাদের নিকট একজন রাসূল প্রেরণ করিবেন – যে আপনার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করিবে; তাহাদেরকে কিতাব ও হিক্মত শিক্ষা দিবে এবং তাহাদেরকে পবিত্র করিবে। আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’

২. ১৩৫-১৩৬ :—— ; বল, ‘ আমরা বরং একনিষ্ঠ হইয়া ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করিব এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।’
তোমরা বল:
‘আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি, এবং যাহা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়া’কূব ও তাহার বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে; এবং যাহা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে মূসা, ‘ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেওয়া হইয়াছে; আমরা তাহাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তঁহারই নিকট আত্মসমর্পণকারী।’

২. ১৩৮: ‘আমরা গ্রহণ করিলাম আল্লাহ্র রং, রঙে আল্লাহ্ অপেক্ষা কে অধিকতর সুন্দর? এবং আমরা তাঁহারই ‘ইবাদতকারী।’

২. ১৫৬: যাহারা তাহার উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে:
‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’

২. ২০০-২০২: অতঃপর যখন তোমরা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করিবে তখন আল্লাহ্কে এমনভাবে স্মরণ করিবে যেমন তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষগণকে স্মরণ করিতে, অথবা তদপেক্ষা অভিনিবেশ সহকারে। মানুষের মধ্যে যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেই দিন’
বস্তুত পরকালে তাহাদের জন্য কোন অংশ নাই। আর তাহাদের মধ্যে যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখিরাতে কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা করুন-’
তাহারা যাহা অর্জন করিয়াছে তাহার প্রাপ্য অংশ তাহাদেরই। বস্তুত আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।

২. ২৫০: তাহারা যখন যুদ্ধার্থে জালূত ও তাহার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হইল তখন তাহারা বলিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য্য দান কর, আমাদের পা অবিচলিত রাখ এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর।’

২. ২৮৫-২৮৬: রাসূল, তাহার প্রতি তাহার প্রতিপালকের পক্ষ হইতে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে ঈমান আনিয়াছে এবং মু‘মিনগণও। তাহাদের সকলে আল্লাহে, তাঁহার ফেরেশতাগণে, তাঁহার কিতাব সমূহে এবং তাঁহার রাসূলগণে ঈমান আনিয়াছে। তাহারা বলে:
‘আমরা তাঁহার রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না —— আমরা শুনিয়াছি এবং পালন করিয়াছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন আপনারই নিকট। আল্লাহ্ কাহারও উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অপর্ণ করেন না যাহা তাহার সাধ্যতীত। সে ভাল যাহা উপার্জন করে তাহার প্রতিফল তাহারই এবং সে মন্দ যাহা উপার্জন করে তাহার প্রতিফল তাহারই।
হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববতিগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করিয়া ছিলেন আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করিবেন না যাহা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।’

৩. ৮-৯: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনপ্রবণ করিবেন না এবং আপনার নিকট হইতে আমাদেরকে করুণা দান করুন, নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মানব জাতিকে একদিন একত্রে সমবেত করিবেন, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’

৩. ১৬: যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি; সুতরাং তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব হইতে রক্ষা করুন’;
তাহারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত, ব্যয়কারী এবং শেষ রাত্রে ক্ষমাপ্রার্থী।

৩. ২৬- ২৭: বল:
‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! আপনি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া নেন; যাহাকে ইচ্ছা আপনি ইজ্জত দান কর, আর যাহাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনার হাতেই। নিশ্চয়ই আপনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। আপনি রাত্রিকে দিবসে পরিণত এবং দিবসকে রাত্রিতে পরিণত করেন : আপনিই মৃত হইতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান, আবার জীবন্ত হইতে মৃতের আবির্ভাব ঘটান। আপনি যাহাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান করেন।’

৩. ৩৫: স্মরণ কর, যখন ইমরানের স্ত্রী বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমার গর্ভে যাহা আছে তাহা একান্ত আপনার জন্য আমি উৎসর্গ করিলাম। সুতরাং আপনি আমার নিকট হইতে উহা কবূল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’

৩. ৩৬: অতঃপর যখন সে উহাকে প্রসব করিল তখন সে বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমি কন্যা প্রসব করিয়াছি।’ —- ‘আর ছেলে তো এই মেয়ের মত নয়, আমি উহার নাম ‘র্মাইয়াম’ রাখিয়াছি এবং অভিশপ্ত শয়তান হইতে তাহার ও তাহার বংশধরদের জন্য আপনার শরণ লইতেছি।’

৩. ৩৮: সেখানেই যাকারিয়া তাহার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করিয়া বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আপনি আপনার নিকট হইতে সৎ বংশধর দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’

৩. ৫৩: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে আমরা ঈমান আনিয়াছি এবং আমরা এই রাসূলের অনুসরণ করিয়াছি। সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাাভুক্ত করুন।’ (ঈসা আঃ-এর অনুসারী হাওয়ারীগন এই প্রার্থনা করে)

৩. ১৪৬- ১৪৭: এবং কত নবী যুদ্ধ করিয়াছে, তাহাদের সঙ্গে বহু আল্লাহ্ওয়ালা ছিল। আল্লাহ্র পথে তাহাদের যে বিপর্যয় ঘটিয়াছিল তাহাতে তাহারা হীনবল হয় নাই, দুর্বল হয় নাই এবং নত হয় নাই। আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের ভালবাসেন।
এই কথা ব্যতীত তাহাদের আর কোন কথা ছিল না:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ এবং আমাদের কাজে সীমালংঘন আপনি ক্ষমা করুন, আমাদের পা সুদূঢ় রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।’

৩. ১৯১-১৯৪: যাহারা দাঁড়াইয়া, বসিয়া ও শুইয়া আল্লাহ্কে স্মরণ করে এবং আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে ও বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি ইহা নিরর্থক সৃষ্টি করেন নাই, আপনি পবিত্র, আপনি আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! কাহাকেও আপনি দোজখে নিক্ষেপ করিলে তাহাকে তো আপনি নিশ্চয়ই লাঞ্ছিত করিলেন এবং জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই; হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করিতে শুনিয়াছি, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন।’ সুতরাং আমরা ঈমান আনিয়াছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের পাপ ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলি দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্ম পরায়ণদের সহগামী করিয়া মৃত্যু দিন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যাহা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন তাহা আমাদেরকে দিন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করিবেন না। নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’

৪. ৭৫: তোমাদের কী হইল যে, তোমরা যুদ্ধ করিবে না আল্লাহ্র পথে এবং অসহায় নরনারী এবং শিশুগণের জন্য, যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই জনপদ- যাহার অধিবাসী জালিম, উহা হইতে আমাদেরকে অন্যত্র লইয়া যাও; তোমার নিকট হইতে কাহাকেও আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হইতে কাহাকেও আমাদের সহায় কর।’

৫. ৮৩-৮৫: রাসূলের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যখন তাহারা শ্রবণ করে তখন তাহারা যে সত্য উপলব্ধি করে তাহার জন্য তুমি তাহাদের চক্ষু অশ্রু-বিগলিত দেখিবে। তাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি; সুতরাং তুমি আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাভুক্ত কর। আল্লাহে ও আমাদের নিকট আগত সত্যে আমাদের ঈমান না আনার কী কারণ থাকিতে পারে যখন আমরা প্রত্যাশা করি, আল্লাহ্ আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভূক্ত করুন?’

এবং তাহাদের এই কথার জন্য আল্লাহ্ তাহাদের পুরস্কার নির্দিষ্ট করিয়াছেন জান্নাত- যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে। ইহা সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার।

৭. ২৩: তাহারা (নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করার পর আদম এবং তার সঙ্গীনি) বলিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করিয়াছি, যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইব।’

৭. ৪৭: যখন তাহাদের দৃষ্টি দোজখবাসীদের প্রতি ফিরাইয়া দেওয়া হইবে তখন তাহারা (আরাফবাসী) বলিবে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের সঙ্গী করিবেন না।’

৭. ৫৫-৫৬: তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক; তিনি সীমালংঘনকারীদেরকে পসন্দ করেন না। দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা উহাতে বিপর্যয় ঘটাইও না, তাঁহাকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।

৭. ৮৯: —–। —। ‘সব কিছুই আমাদের প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্ত, আমরা আল্লাহ্র প্রতি নির্ভর করি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ন্যায্যভাবে মীমাংসা করিয়া দিন এবং আপনিই শ্রেষ্ঠ মীমাংসাকারী।’ (রাসুল শু‘আয়ব আঃ-এর প্রার্থনা)

৭. ১৪৯: তাহারা (মূসা আঃ-এর সম্প্রদায়) যখন অনুতপ্ত হইল ও দেখিল যে, তাহারা বিপথগামী হইয়া গিয়াছে, তখন তাহারা বলিল (গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ পর নিজেদের ভুল বোঝার পর মূসা আঃ-এর সম্প্রদায়ের একাংশের প্রার্থণা) :
‘আমাদের প্রতিপালক যদি আমাদের প্রতি দয়া না করেন ও আমাদেরকে ক্ষমা না করেন তবে আমরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হইবই।’

৭. ১৫১: মূসা বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ও আমার ভ্রাতাকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আপনার রহমতের মধ্যে দাখিল করুন। আপনিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

৭. ১৫৫-১৫৬: মূসা স্বীয় সম্প্রদায় হইতে সত্তরজন লোককে আমার নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য মনোনীত করিল। তাহারা যখন ভূমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হইল, তখন মুসা বলিল:

‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি ইচ্ছা করিলে পূর্বেই তো ইহাদেরকে এবং আমাকেও ধ্বংস করিতে পারিতেন! আমাদের মধ্যে যাহারা নির্বোধ, তাহারা যাহা করিয়াছে সেইজন্য কি আপনি আমাদেরকে ধ্বংস করিবেন? ইহা তো শুধু আপনার পরীক্ষা, যদ্ধারা আপনি যাহাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। আপনিই তো আমাদের অভিভাবক; সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি দয়া করুন এবং ক্ষমাশীলদের মধ্যেই আপনিই তো শ্রেষ্ঠ। আমাদের জন্য নির্ধারিত করুন দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ, আমরা আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করিয়াছি।’

আল্লাহ বলিলেন, ‘আমার শাস্তি যাহাকে ইচ্ছা দিয়া থাকি আর আমার দয়া- তাহা তো প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত। সুতরাং আমি উহা তাহাদের জন্য নির্ধারিত করিব যাহারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমার আয়াতে বিশ্বাস করে।

৯. ১২৯: অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তুমি বলিও:
‘আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। আমি তাহারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহার্আশের অধিপতি।’

১০. ৮৪-৮৫: মূসা বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহ্তে ঈমান আনিয়া থাক, যদি তোমরা আত্মসমর্পণকারী হও তবে তোমরা তাঁহারই উপর নির্ভর কর।’ অতঃপর তাহারা বলিল:

‘আমরা আল্লার্হ উপর নির্ভর করিলাম। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিম সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র করিবেন না; এবং আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহে কাফির সম্প্রদায় হইতে রক্ষা করুন।’

১০. ৮৮-৮৯: মূসা বলিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গকে পার্থিব জীবনে শোভা ও সম্পদ দান করিয়াছেন যদ্দ¦ারা, হে আমাদের প্রতিপালক! উহারা মানুষকে আপনার পথ হইতে ভ্রষ্ট করে। হে আমাদের প্রতিপালক! উহাদের সম্পদ বিনষ্ট করুন, উহাদের হৃদয় কঠিন করিয়া দিন, উহারা তো মর্মন্তুদ শাস্তি প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত ঈমান আনিবে না।’

তিনি বলিলেন, ‘তোমাদের দুইজনের দু‘আ কবুল হইল, সুতরাং তোমরা দৃঢ় থাক এবং তোমরা কখনও অজ্ঞদের পথ অনুসরণ করিও না।

১১. ৪৭: সে (নূহ আঃ) বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে যাহাতে আপনাকে অনুরোধ না করি, এইজন্য আমি আপনার শরণ লইতেছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং আমাকে দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইব।’

১২. ১০১: (ইউসুফ আঃ-এর প্রার্থনা): ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে রাজ্য দান করিয়াছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়াছেন। হে আকাশম-লী ও পৃথিবীর স্রষ্টা ! আপনিই ইহলোক ও পরলোকে আমার অভিভাবক। আপনি আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দিন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন।’

১৪. ৩৫-৪১: স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! এই নগরীকে নিরাপদ করিবেন এবং আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পূজা হইতে দূরে রাখিবেন। হে আমার প্রতিপালক! এই সকল প্রতিমা তো বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করিয়াছে। সুতরাং যে আমার অনুসরণ করিবে সে-ই আমার দলভূক্ত, কিন্তু কেহ আমার অবাধ্য হইলে আপনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করাইলাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র গৃহের নিকট, হে আমাদের প্রতিপালক! এইজন্য যে, উহারা যেন সালাত কায়েম করে। অতএব আপনি কিছু লোকের অন্তর উহাদের প্রতি অনুরাগী করিয়া দিবেন এবং ফলাদি দ্বারা উহাদের রিযিকের ব্যবস্থা করিবেন, যাহাতে উহারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো জানেন যাহা আমরা গোপন করি ও যাহা আমরা প্রকাশ করি; আকাশম-লী ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহ্র নিকট গোপন থাকে না। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইস্মাঈল ও ইস্হাককে দান করিয়াছেন। আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনিয়া থাকেন।’
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হইতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! যেই দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হইবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করিবেন।’

১৭. ২৩-২৪: তোমরা প্রতিপালক আদেশ দিয়াছেন তিনি ব্যতীত অন্য কাহারও ‘ইবাদত না করিতে ও পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করিতে। তাহাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হইলে তাহাদেরকে ‘উফ্ বলিও না এবং তাহাদেরকে ধমক দিও না; তাহাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলিও। মমতাবশে তাহাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত করিও এবং বলিও:

‘হে আমার প্রতিপালক! তাহাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তাহারা আমাকে প্রতিপালন করিয়াছিলেন।’

১৭. ৮০: বল ’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সঙ্গে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত করাও কল্যাণের সঙ্গে এবং আপনার নিকট হইতে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি।’

১৮. ১০: যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় লইল তখন তাহারা বলিয়াছিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজ হইতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’

১৮. ১৩-১৫: আমি তোমার নিকট উহাদের (কাহাফবাসীদের) বৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করিতেছি: উহারা ছিল কয়েকজন যুবক, উহারা উহাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনিয়াছিল এবং আমি উহাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করিয়াছিলাম,
এবং আমি উহাদের চিত্ত দৃঢ় করিয়া দিলাম; উহারা যখন উঠিয়া দাঁড়াইল তখন বলিল:
‘আমাদের প্রতিপালক আকাশম-লী ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আমরা কখনই তাঁহার পরিবর্তে অন্য কোন ইলাহ্কে আহ্বান করিব না; যদি করিয়া বসি, তবে উহা অতিশয় গর্হিত হইবে। আমাদেরই এই স্বজাতিগণ, তাঁহার পরিবর্তে অনেক ইলাহ্ গ্রহণ করিয়াছে। ইহারা এই সমস্ত ইলাহ্ সন্বদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ্ সন্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে?

২০. ১১৪: আল্লাহ অতি মহান, প্রকৃত অধিপতি। তোমার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পূর্ণ হইবার পূর্বে কুরআন পাঠে তুমি ত্বরা করিও না এবং বল:
’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।’ (রাব্বি জিদনি ইলমা)

২১. ৮৩-৮৪: এবং স্মরণ কর আইউবের কথা যখন সে তাহার প্রতিপালককে ক্রন্দন করিয়া বলিয়াছিল:
‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়িয়াছি, আর আপনি তো সর্বশেষ্ঠ দয়ালু!’
তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিলাম, তাহার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করিয়া দিলাম, তাহাকে তাহার পরিবার-পরিজন ফিরাইয়া দিলাম এবং তাহাদের সঙ্গে তাহাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতরূপে এবং ‘ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

২১. ৮৭-৮৮: এবং স্মরণ কর যুন-্ নূন (ইঊসুস আঃ) -এর কথা, যখন সে ক্রোধভারে বাহির হইয়া গিয়াছিল এবং মনে করিয়াছিল আমি তাহার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করিব না। অতঃপর সে অন্ধকার (মাছের পেট) হইতে ক্রন্দন করিয়া আহবান করিয়াছিল:
‘আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; আপনি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী।’

তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে উদ্ধার করিয়াছিলাম দুশ্চিন্তা হইতে এবং এইভাবেই আমি মু’মিনদেরকে উদ্ধার করিয়া থাকি।

২১. ৮৯-৯০: এবং স্মরণ কর যাকারিয়ার কথা, যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা রাখিবেন না, আপনি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী।’

অতঃপর আমি তাহার আহ্বানে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে দান করিয়াছিলাম ইয়াহ্ইয়া এবং তাহার জন্য তাহার স্ত্রীকে যোগ্যতাসম্পন্ন করিয়াছিলাম। তাহারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করিত, তাহারা আমাকে ডাকিত আশা ও ভীতির সঙ্গে এবং তাহারা ছিল আমার নিকট বিনীত।

২৩. ২৮-২৯: যখন তুমি (নূহ আঃ) ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করিবে তখন বলিও:
‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আমাদেরকে উদ্ধার করিয়াছেন জালিম সম্প্রদায় হইতে।’
আরও বলিও:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করান যাহা হইবে কল্যাণকর’; আর আমিই শ্রেষ্ঠ অবতরণকারী।’

২৩. ৯৩-৯৪: বল:
‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইতেছে, আপনি যদি তাহা আমাকে দেখাইতে চান, তবে, হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে জালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত করিবেন না।’

২৩. ৯৭-৯৮: বল:
‘হে আমার প্রতিপালক ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হইতে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট উহাদের উপস্থিতি হইতে।’

২৩. ১০৯: আমার বান্দাগণের মধ্যে একদল ছিল যাহারা বলিত:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
(রাব্বানা আমান্না, ফাগফিরলানা ওয়ারাহামনা ওয়া আনতা খায়রুন রাহিমিন)

২৩. ১১৮: বল:
‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আপনিই তো সবশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

২৫. ৬৪- ৬৬: এবং তাহারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজ্দাবনত হইয়া ও দ-ায়মান থাকিয়া; এবং তাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত করুন, উহার শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ; নিশ্চয়ই উহা অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস হিসাবে নিকৃষ্ট।’

২৫. ৭৪-৭৫: এবং যাহারা প্রার্থনা করে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তানসন্ততি দান করুন যাহারা হইবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে করুন মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য।”

তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে।

২৬. ৮৩-৮৭: (ইবরাহীম আঃ এর প্রার্থণা):
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান করুন এবং সৎকমপরায়ণদের শামিল করুন। আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী করুন, এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন, আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন, —- এবং আমাকে লাঞ্ছিত করিবেন না পুনরুত্থান দিবসে”

২৬. ১৬৯-১৭০: (লুত আঃ-এর প্রার্থণা): ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এবং আমার পরিবার-পরিজনকে, উহারা যাহা করে, তাহা হইতে রক্ষা করুন।’

অতঃপর আমি তাহাকে এবং তাহার পরিবার-পরিজন সকলকে রক্ষা করিলাম।

২৭. ১৯: সুলায়মান উহার উক্তিতে মৃদু হাস্য করিল এবং বলিল:

‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাহাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করিয়াছেন তাহার জন্য এবং যাহাতে আমি সৎকার্য করিতে পারি যাহা আপনি পসন্দ করেন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন।’

২৭. ৯১-৯২: ‘আমি তো আদিষ্ট হইয়াছি এই নগরীর প্রভুর ‘ইবাদত করিতে, যিনি ইহাকে করিয়াছেন সম্মানিত। সমস্ত কিছু তাঁহারই। আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, যেন আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, কুরআন তিলাওয়াত করিতে’, অতএব যে ব্যক্তি সৎপথ অনুসরণ করে, সে সৎপথ অনুসরণ করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। ———।’

২৮. ১৬: সে (মুসা আঃ) বলিল: ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আমার নিজের প্রতি জুলুম করিয়াছি; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’
অতঃপর তিনি তাহাকে ক্ষমা করিলেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

২৮ ১৭: ১৭. সে (মূসা আঃ) আরও বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছ, আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হইব না।’

২৮. ২১: ভীত সতর্ক অবস্থায় সে (মূসা আঃ) সেখান হইতে বাহির হইয়া পড়িল এবং বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি জালিম সম্প্রদায় হইতে আমাকে রক্ষা করুন।’ (রুকু’ ৩)

২৮. ২৪: মূসা তখন উহাদের পক্ষে পশুগুলিকে পানি পান করাইল। তৎপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করিবেন আমি তো তাহার কাঙ্গাল।’

৩৯. ৪৬: বল: ‘হে আল্লাহ্! আকাশম-লী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, আপনার বান্দাগণ যে বিষয়ে মতবিরোধ করে, আপনি তাহাদের মধ্যে উহার ফয়সালা করিয়া দিবেন।’

৪৩. ১২-১৪: আর যিনি সকল প্রকারের জোড়া যুগল সৃষ্টি করেন এবং যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন এমন নৌযান ও আন‘আম, যাহাতে তোমরা আরোহন কর, যাহাতে তোমরা উহাদের পৃষ্ঠে স্থির হইয়া বসিতে পার। তারপর তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ কর যখন তোমরা উহার উপর স্থির হইয়া বস; এবং বল:

‘পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি ইহাদেরকে (উট, নৌকাসহ যানবাহন) আমাদের বশীভূত করিয়া দিয়াছেন, যদিও আমরা সমর্থ ছিলাম না ইহাদেরকে বশীভূত করিতে। আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করিব।’

৪৬. ১৫: আমি মানুষকে তাহার মাতা পিতার প্রতি সৎ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়াছি। তাহার জননী তাহাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সহিত এবং প্রসব করে কষ্টের সহিত, , তাহাকে গর্ভে ধারণ করিতে ও তাহার স্তন্য ছাড়াইতে লাগে ৩০ মাস, ক্রমে সে যখন পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং ৪০ বৎসরে উপনীত হয়, তখন বলে:

‘হে আমার প্রতিপালক। আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাহাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি। আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করিয়াছেন তাহার জন্য এবং যাহাতে আমি সৎকার্য করিতে পারি যাহা আপনি পছন্দ করেন; আমার জন্য আমার সন্তান-সন্তুতিদিগকে সৎকর্মপরায়ন করুন আমি আপনারই অভিমুখী হইলাম। এবং আমি অবশ্যয় সৎকর্মপরায়নদের অন্তর্ভূক্ত।’

৫৯. ১০: যাহারা উহাদের পরে (পরে ইসলাম গ্রহণ করিয়াছে) আসিয়াছে, তাহারা বলে:

‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন এবং মু’মিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।’

৬০. ৪-৫: তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তাহার অনুসারীদের মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। যখন তাহারা তাহাদের সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহার ইবাদত কর তাহার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হইল শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যদি না তোমরা এক আল্লাহ্তে ঈমান আন।’ তবে ব্যতিক্রম তাহার পিতার প্রতি ইব্রাহীমের উক্তি; ‘আমি নিশ্চয়ই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাা করিব; এবং তোমার ব্যাপারে আল্লাহ্র নিকট আমি কোন অধিকার রাখি না।’
ইব্রাহীম ও তাহার অনুসারিগণ বলিয়াছিল:

‘হে আমারদের প্রতিপালক! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করিয়াছি, আপনারই অভিমুখী হইয়াছি এবং প্রত্যাবর্তন তো আপনারই নিকট। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের কাফিরদের পীড়নের পাত্র করিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন; আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

৬৬. ১১: আল্লাহ্ মু’মিনদের জন্য দিতেছেন ফির‘আওন পত্নীর দৃষ্টান্ত, যে প্রার্থনা করিয়াছিল :
‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার সন্নিধানে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করিও এবং আমাকে উদ্ধার কর ফিরা‘আওন ও তাহার দুষ্কৃতি হইতে এবং আমাকে উদ্ধার কর জালিম সম্প্রদায় হইতে।’

৬৮: ২৬-৩২: অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল, তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি। বরং আমরা তো বঞ্চিত।’
উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন?’
তখন উহারা বলিল:
‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’——–। — ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী। সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’

৭১. ২৬-২৮: নূহ্ আরও বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! পৃথিবীতে কাফিরগণের মধ্যে হইতে কোন গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিও না। তুমি উহাদেরকে অব্যাহতি দিলে উহারা তোমার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করিবে এবং জন্ম দিতে থাকিবে কেবল দুষ্কৃতিকারী ও কাফির। হে আমার প্রতিপালক! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং যাহারা মু’মিন হইয়া আমার গৃহে প্রবেশ করে তাহাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে; আর জালিমদের শুধুধ্বংসই বৃদ্ধি কর।’

১১৩. ১-৪: বল: ‘আমি শরণ লইতেছি ঊষার স্রষ্টার, তিনি যাহা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহার অনিষ্ট হইতে, অনিষ্ট হইতে রাত্রির অন্ধকারের, যখন উহা গভীর হয় এবং অনিষ্ট হইতে সমস্ত নারীদের, যাহারা গ্রন্থিতে ফুৎকার দেয় এবং অনিষ্ট হইতে হিংসকের, যখন সে হিংসা করে।’

১১৪. ১-৬: বল, ‘আমি শরণ লইতেছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের নিকট-আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হইতে- যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্যে হইতে এবং মানুষের মধ্যে হইতে।’

(অনুবাদ: কুরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

নোট: আমি চেষ্টা করেছি পবিত্র কুরআনে প্রাথর্ণা সংক্রান্ত সকল আয়াত এখানে সংযুক্ত করার। তবে মানুষ হিসাবে আমার ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। কোন আয়াত বাদ পড়তে পারে। তেমন কিছু কারো নজরে পড়লে তিনি যদি এখানে কমেন্টে বাদ পড়া আয়াতসমূহ উল্লেখ করে আমার ত্রুটি সংশোধন করেন তবে কৃতজ্ঞ হব। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।