Category Archives: Dawah

কোরআনে বর্ণিত তাওহীদের দাওয়া প্রসঙ্গে ৯ জন নবীর ভাষণ-

কোরআনে বর্ণিত তাওহীদের দাওয়া প্রসঙ্গে ৯ জন নবীর ভাষণ-👇

🥀১] 👉 নবী নূহ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉 আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়’ই আমি নূহকে তার সম্প্রাদায়ের প্রতি প্রেরণ করেছি, সে বললো, হে আমার সম্প্রাদায় তোমরা এক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ব্যতিত তোমাদের আর অন্য কোনো উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্য এক মহা দিবসের শাস্তির আশংকা করি।(সূরা আরাফ ৫৯) তার সম্প্রাদায়ের লোকেরা তাকে (নূহকে) বললো, আমরা তোমাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় দেখছি।(সূরা আরাফ৬০)

🥀২] 👉নবী হুদ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- আদ সম্প্রাদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম তার ভাই হুদ’কে, সে বললো হে আমার সম্প্রাদায়, তোমরা কেবল মাত্র এক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোনো উপাস্য নেই।(সূরা আরাফ৬৫) তার সম্প্রাদায়ের লোকেরা বলতে লাগলো, আমরা তোমাকে নির্বোধ দেখতে পাচ্ছি, এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদি মনে করি, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যই এসেছ যে আমরা এক ইলাহের ইবাদত করি আর আমাদের বাপ দাদারা যাদের পূজা করতো তাদের ছেড়ে দেই?এত’এব নিয়ে আসো থাকে, যার দ্বারা তুমি আমাদের ভয় দেখাচ্ছো?
(সূরা আরাফ৬৬-৭০)

🥀৩] 👉নবী সালেহ আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছি তার ভাই সালেহ’কে। সে বললো, হে আমার সম্প্রাদায় তোমরা একক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের আর অন্য কোনো উপাস্য নেই। তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। এটি হল আল্লাহর উটনী, তোমাদের জন্য নিদর্শন, তাকে আল্লাহর যমীনে চরে খেতে দাও, মন্দ উদ্দেশে একে স্পর্শ করবে না, করলে পীড়াদায়ক শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে।(সূরা আরাফ৭৩) তার জাতির গর্বিত প্রধানগণ ঐসব লোকদেরকে বলেছিল যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, যারা তাদের মধ্যে ঈমান এনেছিল- ‘‘তোমরা কি জান যে সালিহ তার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত? বলেছিল, ‘তিনি যে বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তাতে আমরা বিশ্বাসী’।”যারা অহঙ্কার করেছিল তারা বলেছিল, ‘তোমরা যাতে বিশ্বাস করেছ আমরা তা অস্বীকার করছি।’”অতঃপর তারা উষ্ট্রীটিকে মেরে ফেলল এবং তাদের প্রতিপালকের স্পষ্ট বিরোধিতা করে চলল আর বলল, ‘হে সালিহ! তুমি যদি রসূল হয়েই থাক তাহলে তা নিয়ে এসো আমাদেরকে যার ওয়াদা করছ (ভয় দেখাচ্ছ)।”অতঃপর ভূমিকম্প তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করল আর তারা তাদের ঘরগুলোতে মুখ থুবড়ে পড়ে রইল।”
(সূরা আরাফ৭৫-৭৮)

🥀৪]👉 নবী ইব্রাহীম আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিল সত্যবাদি নবী, সে তার পিতা আযরকে বললো, হে আমার পিতা আপনি ও আপনার জাতি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর পূজা করছে যা তাদের কল্যায়ণ ও অকল্যায়ণ করার ক্ষমতা রাখে না,নিশ্চয়ই আপনি ও আপনার জাতিকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত দেখছি। তখন তার পিতা বললো, হে ইব্রাহিম, তুমি কি আমাদের উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে আমি অবস্যই প্রাস্তর আঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করবো।(সূরা মারিয়াম৪৬)

🥀৫] 👉 নবী শুয়াইব আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন-“আমি মাদইয়ানবাসীদের কাছে তাদের ভাই শুয়াইবকে পাঠিয়েছিলাম। (সে বলেছিল) ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের কাছে তো স্পষ্ট নিদর্শন এসে গেছে, কাজেই মাপ ও ওজন সঠিকভাবে কর, লোকেদেরকে তাদের প্রাপ্য বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করো না, পৃথিবীর সংশোধনের পর তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি কর না, এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা সত্যিই মু’মিন হয়ে থাক।’”(সূরা আরাফ৮৫)

🥀৬] 👉নবী ইয়াকুব আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- যখন ইয়াকুবের মৃত্যু এসে পৌঁছেছিল? তখন সে তার পুত্রদেরকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আমার পরে তোমরা কার উপাসনা করবে’? পুত্রগণ উত্তর দিয়েছিল, ‘আমরা আপনার এবং আপনার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের উপাসনা করব, যিনি অদ্বিতীয় উপাস্য এবং আমরা তাঁরই প্রতি আত্মসমর্পিত।”(সূরা বাক্বারা১৩৩)

🥀৭] 👉 নবী ইউসুফ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- হে কারা’গারের সঙ্গীদ্বয়? পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল? নাকি পরাক্রমশালী এক আল্লাহ্?(সূরা ইউসুফ৩৯)

🥀৮] 👉নবী ঈষা (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- তিনি ঈষা আরো বলেন, নিশ্চয়’ই আল্লাহ আমার ও পালনকর্তা, তোমাদেরও পালনকর্তা।
এত’এব তোমরা কেবল মাত্র তার ইবাদত করো, এটাই সরল সঠিক পথ।(সূরা মারইয়াম৩৬)

🥀৯] 👉নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- বলুন! তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, তিনি ছাড়া মহা দয়ালু কেউ নেই।(সূরা বাক্বারা১৬৩) বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার কাছে ওহী করা হয়,তোমাদের ইলাহ একক ইলাহ, সুতরাং যে তার পালনকর্তার সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।(সূরা কাহফ১১০)
বলুন! আমাকে তো এই আদেশ’ই দেওয়া হয়েছে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, সুতরাং তোমরা কি (এক ইলাহের কাছে) আত্মসমর্পণ’কারি(বান্দা) হবে না?(সূরা আম্বিয়া১০৮) (কাফিররা এর জবাব দিয়ে বলেছিলো) সে(মুহাম্মদ) কি আমাদের বহু ইলাহের পরিবর্তে একক ইলাহে সাব্যস্ত করে দিয়েছে? নিশ্চয়’ই এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার।(সূরা সাদ ৫)

Courtesy Anamul Hoque Anamul fbfd

Bukhari Hadith collection history

🔑ইতিহাসের পোস্টমডেম🗡

source: https://m.facebook.com/groups/633947737459954?view=permalink&id=670006617187399

ইমাম বুখারী ( রহঃ) কতৃক ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ ————–

part1💉

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী সবমোট ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করেছেন এটা আমরা আগেই জেনেছি । বুখারীর জন্ম ১৯৪ হি , ১৮ বছর পরযন্ত তিনি হাদিস পড়াশোনা করেন । ২১২ হি, হতে হাদিস সংগ্রহ ও সংকলন করেন এবং ২৫৬ হি, তে মৃত্যুবরন করেন। হাদিস সংগ্রহ বং মুখস্ত করতে ৫২ বছর ব্যয় করেন। মুখস্ত বাদ দিয়ে শুধুমাএ সংগ্রহ , যাচাই ও লিপিবদ্বের জন্য উক্ত ৫২ বছর ব্যয় করেছেন বলে ধরে নিতে পারি । শুধুমাএ একটি হাদিসের জন্য অনেক দূর অবধি যেতেন । এজন্য বেশীর ভাগ ক্ষেএে উট ব্যবহার করেছেন। অনেকক্ষেএে বণনাকারীর চরিএ , বিশ্বস্ততা যাচাই এর পর হাদিস গ্রহনযোগ্য না হওয়ায় তিনি খালি হাতে ফিরে এসেছেন ।
যাহোক গড়ে একটি হাদিস সংগ্রহের জন্য গমন , বণনাকারীর ও হাদিসের বিশ্বস্ততা নিরুপন , শোনা ও লিখতে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা লাগবে ( প্রকৃত বিবেচনায় কয়েক দিন লাগবে ) । আর একজন লোক নামাজ , খাওয়া , গোসল , সাক্ষাত , ঘুম ইত্যাদি সব কাজ বাদ দিয়ে ক্রমাগতভাবে ৫২ বছর ধরে দিনে গড়ে ১৬ ঘন্টার বেশী কাজ করতে পারেন না ।
সে ক্ষেএে বুখারী সাহেবের ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করতে মোট সময় লাগে
(৬০০,০০০X৩ ) ভাগ = ৩৫৫ = ৩১৭ বছর । আর ১টি হাদিসের জন্য ১দিন লাগলে সময় লাগবে ১৬৯০ বছর । যাহোক গানিতিক হিসেবে বুখারী সাহেব হাদি সংগ্রহ ও মুখস্ত করতে মোট সময় ব্যয় করেছেন ২১৩+৩১৭=৫৩০ বছর । , যদিও এ কাজে ব্যয় করার যোগ্যতা ছিলো মাএ ৫২ বছর । সম্ভবত বুখারী সাহেবসহ ইসলামের শত্রুরাও কখনও চিন্তা করেনি যে ওনাদের ভুল , মিথ্যা তথ্যগুলো গানিতিক ক্যালকুলেশনের সম্মুখীন হবে।
যেহেতু আমাদের ইসলাম ধরম অমূলক, অযৌক্তিক , অবাস্তব , অসত্য কোন তথ্য অনুমোদন করে না , তাই বুখারী সাহেবের ( আল কোরআনের পরেই ওনাকেই সবচেয়ে বেশী নিরভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থের সংগ্রাহককারী বলে বিবেচনা করা হয় ) এই ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ এবং ৩ লক্ষ মুখস্তের ব্যাপারটা শুধু নিম্নরুপেই সম্ভব , অন্য কোন ভাবে নয় ।
১) সংগ্রহ ও মুখস্ত করার জন্য ওনার ৫৩০ বছরের জীবন লাভ ।
২) নবীজীর সুন্নাহ ধ্বংসকারী কোন শুভাকাঙ্খী বা মহল ওনার বাড়ীতে হাদিসগুলো সরবরাহ করেছিলো। কারন কেহ মুখে বললেও বা বুখারী সাহেব নিজে ৬ লক্ষ লিখলেও প্রায় ৫৩ বছর লেগে যেতো । যাচাই বাছাইতো অনেক পরের ব্যাপার ।
বুখারী , ইসলামিক ফাউনডেশন প্রকাশিত হাদিসের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের বেশী নয়। কিনতু উনি ৬ লক্ষ সংগ্রহ করেন। তাকরার বা দিলে প্রকৃত হাদিসের সংখ্যা দাড়ায় ১লক্ষ ৬৬হাজার। নবীজীর নবুয়তি জীবন মাএ ২৩ বছর । সে হিসেবে প্রকৃত ১লক্ষ ৬৬ হাজার হাদিস বয়ান করতে হলে নবীজীর দিনে গড়ে ২০ টি করতে হবে । মক্কার জীবনে গড়ে ২টি , মদিনা জীবনে গড়ে ৪৪ টি হাদিস বয়ান করতে হয়েছে , যা পুরোপুরি অবাস্তব ।
অন্যভাবেও এ হিসাব করা যায় । তাকরার ব্যতীত মক্কী জীবনে গড়ে দিনে ১টি এবং মদিনা জীবনে গড়ে দিনে ৫ টির বেশী হাদিস থাকা কথা নয় , কারন দৈনন্দিন জীবনে বহু ঘটনা পনরাবৃত্তি হয়। সে হিসেবে মোট হাদিসের সংখ্যা দাড়ায় (১৩x ৩৫৫ =৪৬১৫ টি ) + ( ১০x ৩৫৫x ৫ = ১৭৭৫০) = ২২৩৬৫ টি । হাদিসের এই সংখ্যা দ্বিগুন হলেও ৪৫ হাজার হয়।
তাহলে বুখারী সাহেবর ৬লক্ষ হাদিসের উৎস নিয়ে যে কোন সচেতন ব্যক্তি প্রশ্ন করতেই পারেন ।

part2🔪

তিনি নিজের ব্যাপারে অনেক কিছুই বড়াই করে বলতেন তার মধ্যে একটা কথা হচ্ছে তিনি শিশু বয়সে ৭০ হাজার হাদিস মুখস্ত করে ফেলেছিলেন। আপনি হত এত বড় নাম্বার উপলব্ধি করতে পারবেন না আর তাই আসুন আমরা নম্বরটি সামনে রাখি

তার সবচেয়ে বিখ্যাত বইটি সহী আল বুখারি হচ্ছে একটি ৬ খণ্ডের বই। প্রায় ২ হাজার পাতা ৭০০০ হাদিস (৭২৭৫) তার মানে শিশুকালে
সে তার ২০০০ পাতার বইয়ের চেয়ে ১০ গুন্ বেশী হাদিস মুখস্ত করেছিলেন। (৭০০০ x ১০ = ৭০০০০)
অর্থাৎ ৬০ ভলিউমের ২০০০০ পাতা।
গড়পরতায় যদি একটি পাতায় ৪৫০ টি করে শব্দ থাকে তাহলে তিনি মুখস্ত করেছিলেন ৯০০০০০০ শব্দ
শুধু তাই নয় তিনি দাবি করেছিলেন তিনি মুখস্ত করেছিলেন সমস্ত হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম।
তাদের জন্মের তারিখ এবং মৃত্যুর তারিখ কোথায় তারা বাস করতেন।

আপনি হয়তো বলবেন হতে পারে সে তার ব্যক্তিগত মেধার কারণে তিনি মুখস্ত করতে পেরেছিলেন। আমি এখন আপনাদের প্রমাণ করতে চেষ্টা করব কেন এই দাবিটি মিথ্যা। এখানে প্রশ্ন থেকে যায় মরুভূমির মতো জায়গায় কিভাবে এত হাদিস খুঁজে পেয়েছিলেন। আসুন তর্কের খাতিরে এই প্রসঙ্গ বাদ দিলাম। ধরে নিলাম উনি পেয়েছিলেন।

একটি শিশু বলতে আমরা বুঝি সমান কেউ ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়সের ভেতরে। প্রতিদিন যদি সে দশটি করে হাদিস শুনে এবং তার বিশ্রাম নেবার কোন ফ্রী সময় নাই. – তার অর্থ হচ্ছে তার ৭০ হাজার হাদিস শুনতে সময় লাগবে ১৯ বছর। এক্ষেত্রে ধারণা করে নেয়া হচ্ছে যে তিনি প্রথম বার শুনেই হাদীস টি মুখস্ত করতে পারতেন। আসুন তর্কের খাতিরে ধরে নিয়ে পাঁচ বছর বয়স থেকে তিনি হাদিস শ্রবণ করা শুরু করলেন। তাহলে তার হাদিস শোনে শেষ করতে তার বয়স হবে ২৪ বছর। তাহলে সে কিভাবে দাবি করে যে শিশু বয়সে ৭০ হাজার হাদীস মুখস্ত করেছে।

part3🛠

প্রশ্ন আরো আছে ! সে নাকি প্রতিটি হাদিস লেখার সময় দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতো । অতগুলো হাদিস লিখতে কত রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়েছে ? কতবার অযু করতে হয়েছে ? গোসল না হয় মাঝে করতেই পারে । ভুল কিংবা সহি নিরুপুন করে লিখতে কত সময় লেগেছে ?
ইমাম বোখারি রঃ হাদিস সংগ্রহের সময় বিশ্লেষণঃ
৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহের জন্য গড়ে (১টির জন্য ৭ থেকে ১০০ রাবির সাক্ষাত) সেক্ষেত্রে গড়ে ১টি হাদিসের জন্য যদি ৫০ জন রাবির সাথে সাক্ষাত করতে হয় তবে মোট রাবির সংখ্যা দাড়ায় ৫০* ৬০০,০০০= ৩ কোটি।
যদি গড়ে ২৫ জন ধরি তাহলে ১.৫ কোটি রাবি।
যদি প্রতি রাবি ৫ টী করে বর্ননা করেন তবে ৩ কোটি /৫ = ১ লক্ষ ২০ হাজার রাবি।
১ জন রাবির সাথে সাক্ষাতের জন্য ঘোড়া আর উটে চড়ে যেতে ৫ দিন লাগে তবে ১.২০ লক্ষ * ৫ দিন = হাজার বছর প্রয়োজন।
সংক্ষেপ করলে রাবি প্রতি ৫০ টি হাদিস ধরলেও লাগে ১৬৫ বছর। কয়দিন ব্যায় হয়েছে তার হিসাবটা একটু চিন্তা করুন।
আরো সংক্ষেপ করে ইসনাদ বর্ননা করেছেন ১৮০০ জনের, সেক্ষেত্রে ১৮০০ জনের কাছে আরব সিরিয়া ইরান ইরাক ইয়েমেন যেতে যদি গড়ে ১০ দিন লাগে তবে হিসাবটা দাড়ায় ১৮০০*১০ দিন= ১৮০০০ দিন= ৪৯ বছর, ১৬ বছরে কি করে সম্ভব হলো?
— আমরা কি প্রকৃত সুন্নাহ অনুসরন করছি — এ, রহমান পৃ ১২৭,১২৮ , ১২৯ ।
🚫
সুপ্রিয় পাঠক , পৃথিবীতে বোধহয় একমাএ মুসলিম জাতিকেই বহু সময় ধরে বোকা বানিয়ে রাখা যায় !!

Path of Rosul

By tuhin farique fbfd

আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

##যালিম ব্যক্তি সেদিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম! [25:27]

^^^^^^^ রাসুলের পথ কোনটা????
মানবরচিত হাদীস/ আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী কুরআন??

#তুমি বল,এটাই আমার পথ; প্রতিটি মানুষকে আমি আহবান করি সজ্ঞানে, আমি এবং আমার অনুসারীগণও; আল্লাহ মহিমান্বিত এবং যারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে আমি তাদের অন্তভুর্ক্ত নই।[12:108]

^^^^^^^আল্লাহর আয়াত অনুযায়ী রাসুলের পথ ছিল কুরআন,রাসুল কে অনুসরণ করতে চাইলে এই পথই অনুসরণ করতে হবে।

যা কুরআনে নাই, তা মানেন কার নির্দেশে?

FM fd fd

কুরআনের বেশিরভাগ আয়াতে আল্লাহ রাসুলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,
বলুন,
জানিয়ে দিন,
বলে দিন,
অবিশ্বাসিদের জানান দিন,
সংবাদ দিন,
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে,
তাদের কাছে পৌছায়ে দিন, ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ ডাইরেক্ট আল্লাহ রাসুলকে নির্দেশ দিচ্ছেন কুরআন প্রচারের ৷ তাহলে বুঝুন, রাসুলের মুল দায়িত্ব কি ছিলো? তিনি কি পৌছাতেন?

মিথ্যা হাদিসগুলো দেখুন…..
বোখারী সহ সকল মিথ্যা হাদিসে বলা হয় অনুমানের উপর ৷ অনেক জটলার মাধ্যমে ৷
অমুক তমুকের মুখ থেকে শুনেছেন, আবু হুরায়রা নবিজীকে বলতে শুনেছেন, নবী বলেছেন আল্লাহ এই নির্দেশ দিয়েছেন ৷
আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্নিত, আয়শা বর্নিত, রাসুল এটা করেছেন, ওটা করেছেন আবু হুরায়রা আয়েশা দেখেছেন, সুতরাং এগুলো বিধান ৷

কত মারপ্যাচ করে রাসুলের নামে মিথ্যা হাদিস বানানো ৷ যাতে মানুষ পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে সেজন্য সাহাবী, রাসুল, আল্লাহর নামে নানান দলিল প্রমান ৷

বোখারীর বুদ্ধির তারিফ করতে হয় কিন্তু ৷

যা কুরআনে নাই, তা মানেন কার নির্দেশে?

কোরআন শুধু দাড়ি, টুপি, যুব্বা পরিহিত মুসোলমানদের জন্য নয়।

By MD. Lipu fbfd

মুসলিম হলে আয়াত প্রচার করুন? ৫/৬৭। আহলে হাদিস

কি? আর হানাফি মাঝহাবী কি?

কোরআন পুরো না জানলে,কোন পথেই নেই,৫/৬৮।

কোরআন মানলেই মুসলিম, ২৭/৮১।

কোরআন মুখস্ত করে, সোওয়াবের আশায় না বুঝে

তেলোয়াত করা মানেই, ৬২/৫ পুস্তকবহনকারী গাঁধা।

কোরআন শুধু দাড়ি, টুপি, যুব্বা পরিহিত মুসোলমানদের

জন্য নয়।

কোরআন হলো সারাবিশ্বের সকল মানুষের জন্য পথ

প্রদর্শক। সুতরাং যারা কোরআন মেনে চলবে অর্থাৎ আল্লাহর বানীর কাছে আত্ম সসমর্পণ করবে তারাই মুসলিম।কোরআন মানলেই রাসুলকে মানা হয়, ২০/১৩৪।

যারা আল্লাহ, রাসুলদের মধ্যে পার্থক্য তৈরী করে,

তারাই প্রকৃত কাফের।

কুরআনে ‘হিকমত’ দ্বারা কি হাদিস শিক্ষা বুঝায়?

কুরআনে ‘হিকমত’ দ্বারা কি হাদিস শিক্ষা বুঝায়??

১. তিনি (আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা হিকমত দান করেন এবং যাকে হিকমত প্রদান করা হয় তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয় (২:২৬৯)। [উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ রাসূলের হাদিস না কুরআনের প্রয়োগ জ্ঞানকে বুঝিয়েছেন?]

২. আল্লাহর আয়াত ও হিকমত যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয়, তা তোমরা স্মরণ রাখবে (৩৩:৩৪)। [উক্ত আয়াতে আল্লাহ নবীর স্ত্রীদের হিকমত দ্বারা হাদিস না কুরআনের প্রয়োগ জ্ঞান স্মরণ রাখতে বলেছেন?]

৩. তুমি (রাসূল) মানুষকে তোমার রবের পথে আহবান কর হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা (১৬:১২৫)। উক্ত আয়াতে রাসূল হিকমত দ্বারা নিজের হাদিস (কথা) শিক্ষা দিতেন না কুরআনের প্রয়োগ জ্ঞান শিক্ষা দিতেন?]

৪. ইবরাহীম প্রার্থনা করলেন, ‘আমার রব! আমাকে হিকমত দান করুন এবং সালেহিনদের শামিল করুন (২৬:৮৩) [উক্ত আয়াতে হিকমত দ্বারা ইবরাহীম রাসূলের হাদিস শিখতে চেয়েছিলেন, না আল্লাহর কিতাবের প্রয়োগ জ্ঞান শিখতে চেয়েছিলেন?]

৫. আমি লুকমানকে হিকমত দান করেছিলাম (৩১:১২)। [উক্ত আয়াতে লুকমানকে হিকমত দ্বারা কোন কিছুর প্রয়োগ জ্ঞান দান করেছিলেন না হাদিস শিক্ষা দিতে বলেছেলেন?]

৬. আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও হিকমত দান করেছিলেন (২:২৫১)। [উক্ত আয়াতে হিকমত দ্বারা আল্লাহ দাঊদকে যবুর কিতাবের প্রয়োগ জ্ঞান দান করেছিলেন না হাদিস শিক্ষা দিয়েছিলেন?]

.

Source and comments:-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1891783671075787&id=1649306628656827

Take guide only from Allah swt, otherwise  astrey

fbfd হে আমার প্রতিপালক! যারা তোমার বাণী প্রচার করা থেকে আমাকে বিরত রাখতে চায়, তাদেরকে তুমি ক্ষমা করো, তাদের প্রতি দয়া করো কারণ যারাই তোমার বাণী প্রচারে মানুষকে বাধা দিয়েছে তারাই বাস্তব জীবনে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং  লাঞ্চিত হয়েছে দুনিয়াতে ও আখেরাতে।পূর্ববর্তী যত সম্প্রদায়কে আল্লাহ ধ্বংস করেছেন তাদের অপরাধ ছিল, তারা আল্লাহর বাণী প্রচারে মানুষকে বাধা দিত এবং তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে আগত সত্যকে জানার পরও তা তাদের পিছনে ফেলে রেখেছিল এবং অস্বীকার করেছিল সুস্পষ্ট  বার্তাবাহককে।

You should have a group for Dawah

fbfd যে আল্লাহর  পথে চলার চেষ্টা করে সে কখনো আপনাকে  মিথ্যার আশ্রয় নিতে বলবে না, কুপ্রবৃত্তি করতে বলবে না, মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলবে না, পশ্চাতে নিন্দা  করতে বলবে না,অন্যায় কাজ করতে বলবে না, সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে বলবে না, কারো বিষয়ে সমালোচনা করতে বলবে না বরং সে আপনাকে উপদেশ দিবে ভালো কাজ করতে, মন্দ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে, ন্যায় বিচার করতে, সত্য সাক্ষী দিতে, মিথ্যার আশ্রয় না নিতে, সবার সাথে ভাল ব্যবহার করতে  অর্থাৎ  সে যথাসাধ্য  চেষ্টা করবে আপনাকে ভাল কাজের উপদেশ দিতে।তাই সবাইকে আল্লাহর কাছে সর্বদা প্রার্থনা করা উচিত যে,  তিনি যেন  সৎকাজে উৎসাহ দানকারীদের সাথে আমাদের সম্পৃক্ত রাখেন যাতে আমরা এদের সংস্পর্শে থেকে ভালগুণ গুলো অর্জন করতে পারি।

Dawah with hiqmah

Fb fd

সূরা কাহাফ

১৮:২৭-২৮

হে নবী, তোমার প্রতিপালকের প্রেরিত কিতাব থেকে ওদের পাঠ করে শোনাও। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার কেউ নেই। আর তোমারও তিনি ছাড়া কোনো আশ্রয় নেই। তোমার প্রতিপালকের সন্তুষ্টিলাভের জন্যে যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকে, তুমি সবসময় তাদের সাথে একাত্ম থেকো। পার্থিব জীবনের জাঁকজমকের খেয়াল যেন তোমার দৃষ্টিকে তাদের থেকে দূরে সরিয়ে না নেয়। আর আমাকে স্মরণ করার ব্যাপারে যাদের হৃদয়কে আমি অমনোযোগী দেখছি, যারা তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে সত্য ও ন্যায়ের সীমা লঙ্ঘন করে, তুমি কখনো তাদের কথা শুনো না।


🌐The word “Al-Hikmah”/wisdom in Quran(It is not Hadith & Sunna)🌐
.
🔜The Quran did not contain any mention of the words ‘Sunna’t Muhammad’, the ardent Sunni’s found it necessary to manipulate the meaning of some Quranic words so as to create a Quranic reference to their cherished ‘hadith’ and ‘Sunna’. The word on which they base their claim is that of (Al-Hekmah) as found in a number of verses as:
.
🔜[Quran 2:231] Remember God’s blessings upon you, and what He sent down to you of the ‘Al-Ketab’ and ‘Al-Hekmah’ to enlighten you with it.
.
🚫Literally speaking, the meaning of ‘Al-Ketab’ is the book (the Quran), and ‘Al-Hekmah’ is wisdom. Nevertheless they interpret ‘Al-Hekmah’ here to mean the Sunna of Muhammad. However, with a close inspection of the Quranic verses, it can be shown that this interpretation is a total corruption.
.

Alia

.

http://submission.org/AlHikmah_Wisdom.html