By A Kabir fbfd
☆☆ আদৌ কি কবরে আযাব হয় ?? ☆☆
## তারাই কবরের হাদিস, রাসুল(সাঃ) ও সাহাবীদের(রাঃ) নামে প্রচার করেছে, যারা মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে অর্থ উপার্জনের ফন্দি খুঁজেছে।
তারাই সাধারন মৃতব্যক্তিদের পরিবারের নিকটে কবরের আযাবের ভয় দেখিয়ে মিলাদ পড়িয়ে, কুলখানি করে অর্থ উপার্জন করে।
আবার তারাই নেককার বান্দাদের কবরবাঁধিয়ে মাজার তৈরী করে, মানুষকে সমস্যাসমাধানের প্রলোভন দেখিয়ে হাদিয়া নিয়ে অর্থ উপার্জন করে।
আসুন আমরা কোরআন হতে দেখে নিই মৃত্যুর পর হতে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের রুহ অথবা শরীর কোথায় থাকে, এবং সেখানে কি হয়?
আল্লাহ বলছেন, (সুরা মু’মিনুন ২৩:৯৯+:১০০)– “” মৃত্যু হতে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত বারযাখ বা কবরের জীবন আছে।”””””
আসুন দেখে নিই বারযাখের জীবন শেষ হচ্ছে কখনঃ
[ সুরা মু’মিনুন ২৩:১০১) যখন শিংগায় ফুক দেওয়া হবে, তখনই হিসাব নিকিশ অর্থাৎ কিয়ামত শুরু আর বারযাখের জীবন শেষ।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে মৃত্যু হতে শিংগায় ফুঁক দেওয়া পর্যন্ত মানুষের দেহ অথবা রূহের বারযাখ জীবন।
এবার আসুন দেখে নিই, যখন শিংগায় ফুক দেওয়া হবে অর্থাৎ কিয়ামত শুরু হবে আর বারযাখ জীবন শেষ হবে , তখন বারযাখ বা কবর বাসীগন কি বলবে?।
আর কবর বা বারযাখ বাসী তাদের বারযাখের জীবন যেমন বর্ননা করবে সেটাই হবে বারযাখের জীবনে মানুষের দেহ অথবা রুহের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনা।
(সুরা ইয়া-সীন ৩৬:৫১ +৫২) , “”যখন শিংগায় ফুক দেয়া হবে, তখন কবরবাসীরা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে। তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদের কে নিদ্রাস্থল থেকে উত্থিত করলো ?””
## কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে অবকাশদানঃ
কিয়ামতের দিনেই মানুষের আমলনামা খোলা হবে।
জালেমরা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও বেখবর মনে করো না তাদেরকে তো ঐ দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হবে। [ সুরা ইবরাহীম ১৪:৪২ ]
আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবলগ্ন করে রেখেছি। কেয়ামতের দিন বের করে দেখাব তাকে একটি কিতাব, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। [ সুরা বনী-ইসরাঈল ১৭:১৩
পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট। [ সুরা বনী-ইসরাঈল ১৭:১৪ ]
# বারযাখ বাসীরা বলছে বারযাখে নিদ্রায় ছিলাম, আল্লাহ কিয়ামত দিন পর্যন্ত মানুষকে অবকাশ দিয়েছেন, কিয়ামতের দিনেই আমলনামা খোলা হবে তারপরেই শাস্তি অথবা পুরস্কার #
তবে আমরা কিভাবে জানলাম আযাবের কথা ???????,
অথচ, কিয়ামতের দিনেই আত্মাসমূহ(প্রাণকে) দেহে মিলানো হবে।(সুরা তাকভীর 81/7)।
তবে কিভাবে প্রাণহীন দেহে কবরে জিজ্ঞাসাবাদ হবে আর কিভাবে প্রাণহীন দেহ কবরে শাস্তি পাবে ??
অনেকেই কবরের আযাবের প্রমান স্বরুপ চারটি যুক্তি দিয়ে থাকেনঃ
(1) রাসুল দোয়া শিখিয়েছেন।
(2) ফেরাউন ও তার সঙ্গীদের সকাল সন্ধ্যা জাহান্নাম দেখান হয়।(40/46)
(3) আমি তাদের দুবার শাস্তি দিব তার পরে নিয়ে যাব মহান আযাবের দিকে।(9/101)
(4) কবরের আযাবের প্রমান স্বরুপ সুরা আনআম 6/93 আয়াতটি উদ্ধৃত করেন।
আসুন আলোচনা করিঃ–
(1) রাসুল দোয়া শিখিয়েছেন।
যেখানে আল্লাহ মানুষের সমস্ত বিপদ হতে উদ্ধারের জন্যে কোরআনে দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি, সন্তান লাভের দোয়া, ভালো সন্তান লাভের দোয়া, বিপদ থেকে উদ্ধারের দোয়া, কিয়ামত দিনে হিসাব সহজ করার জন্যে দোয়া, দুনিয়া ও আখেরাতে ভালো থাকার জন্যে দোয়া। এমন অসংখ্য দোয়া কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের শেখালেন। আর অতি গুরুত্ব পূর্ন কবরের আযাব হতে নিস্তার পাওয়ার জন্যে কোরআনের মাধ্যমে একটি দোয়াও আল্লাহ আমাদের শেখালেন না ? কবরের আযাব যদি আল্লাহ নির্ধারন করতেন, তবে তা থেকে নাযাত পাওয়ার দোয়াও আল্লাহ শেখাতেন।
(2) ফেরাউন ও তার সঙ্গীদের আল্লাহ সকাল সন্ধ্যা জাহান্নাম দেখায়।(40/46)
এ আয়াত হতে অনেকেই কবরের আযাব প্রমান করেন।
একটু চিন্তা করলেই আল্লাহর এ আয়াত পরিস্কার হয়ে যাবে, পৃথিবীতে ফেরাউন বাদে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে নিজেকে ইলাহ বলেছিল। তাই ফেরাউন ও তার সঙ্গীদের কিয়ামত পর্যন্ত জাহান্নাম দেখিয়ে ভয় দেখানো হবে, কিন্তু আয়াতটি লক্ষ্যকরুন কিয়ামত দিনেই তাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, কিয়ামতের আগে তাদেও দৈহীক শাস্তি দেওয়া হবে না। তাছাড়া ফিরাউনের দেহকে আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্যে নিদর্শন স্বরুপ রেখেছেন, তবে কিভাবে ফিরাউনকে কবরে দৈহীক আযাব দেওয়া হবে??
(3) কাফির ও মুনাফিকদের দুনিয়াতে ধন ও সন্তান সন্ততি দ্বারা আযাব দান।(9/55,85)
কাফিরদের প্রান হরনকালে ফেরেস্তাগন মারিবে ওদের মুখে ঘাড়ে বলিবে দোজখের শাস্তির কর আস্বাদন(8/50)
(4) সুরা আনআমের 6/93 আয়াত আপনি নিজেই দেখুন এটা কবরের আযাবের কথা বলা হচ্ছে, নাকি, মৃত্যু সময়ের কথা বলা হচ্ছে। নিচে ফটোকপি।
Links for source and comments:-
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1914234652238470&id=100009558620436