Sourse:-https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2069828973253989&id=100006807181942
♦কুরআন ও হাদিস দুটোই মানা গুরুত্বপূর্নঃ
একজন সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে কুরআন কে বিশ্বাস করা যতটা গুরুত্বপুর্ন ঠিক ততটাই গুরুত্ব পুর্ন নবী সঃ এর হাদিস কে বিশ্বাস করা।
নবী সঃ এর হাদিসে বিশ্বাস ও মানা ব্যাতিত কেউ পরিপুর্ন মুসলিম হতে পারেনা।👳👳👳👳👳
.
অথচ বর্তমানে একদল মানুষ দেখা যায় নবী সঃ এর হাদিস মানেনা মানতে হবেনা বলে মুখে ফেনা তুলছে ফেলছে।
তাদের ভাষ্য মতে শুধুই কুরআন মানলেই হবে বা প্রকৃত মুসলিম হওয়া যাবে।
তাদের মতে
যারা নবী সঃএর হাদিস মানে তারা
মূর্খ; অজ্ঞ ;আল্লাহর সাথে মুহাম্মদ সাঃ কে বিধানদাতা মানছে এমন আর কতকি!!
.
তারা তাদের এই কুফরি মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তারা এই ভ্রান্ত মতবাদ বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার করে সাধারন মানুষদের কে ধোকা দিচ্ছে।
.
যদিও তারা সংখ্যায় অনেক কম তবু তাদের প্রচারের ফলে অনেক সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে।
.
যাই হোক মূল আলোচনায় আসি>
.
♦হাদিস কি ও কেন???
♦আমরা কেন হাদিস মানবো????
♦হাদিস মানার নির্দেশ কি কুরআনে আছে????
এই প্রশ্ন গুলোর জবাব পেলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে…….
.
♦হাদিস:
হাদিস বলতে সাধারনত আমরা বুঝি বানি/উপদেশ/বৃত্তান্ত/কথা।
আল্লাহ পবিত্র কুরআন কেউ হাদিস বলেছেন।(৩৯:২৩)
.
কুরআনে মোট ৬ ভাবে এই হাদিস শব্দটি প্রয়োগ হয়েছে।
কখনো কোন ঘটনাকে ;কখনো মুসার বৃত্তান্ত কে;কখনো মুহাম্মদ এর কথা কে
হাদিস বলে অভিহিত করা হয়েছে।
.
পক্ষান্তরে মুহাম্মদ যে সব বিষয়ে আদেশ/নিষেধ;মৌনতা(চুপ) থেকেছেন সে গুলোও হাদিসের অন্তরভুক্ত।।
৫৯:৭ মতে মুহাম্মদ সা: আমাদের যা দিবেন সেটা মেনে নেয়া প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।
.
.
♦#হাদিস_কেন_মানবো?????
.
আল্লাহ ৩৩:২১ এ বলেন মুহাম্মদ সঃ এর জীবনীতেই রয়েছে উত্তম আর্দশ।
এখন নবী সঃ এর হাদিস যদি না মানেন তবে তার ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে জানবেন কি করে????
কুরআনে তো তার পুরো জীবনী আসে নি!!
.
♦#হাদিস_মানার_নির্দেশ_কি_কুরআনে_আছে?????
উত্তর হচ্ছে অবশ্যই হাদিস মানার নির্দেশ কুরআনে আছে।
আল্লাহ ২:১৫১
২:২৩১
৪:১১৩ নং আয়াতে সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।.📢📢📢📢
.
.
♦অনেকে হয়তো ভিন্নমত পোষন করে বলবেন #হিকমা দ্বারা হাদিস কে না বরং জ্ঞান কে বুঝিয়েছে।
তাদের কে বলবো তাহলে আসুন হিকমা বলতে আল্লাহ কি বুঝিয়েছেন সেটা দেখা যাক….
.
#হিকমা
প্রথমে বলে নেই হিকমা শব্দ টা ব্যাপক অর্থ বহন করে।
এই হিকমা দ্বারা কখনো কখনো হাদিস কে বুঝায় আবার কখনো কখনো জ্ঞান/প্রজ্ঞা কেও বুঝায়।
এখন আমাদের প্রসংগের উপর নির্ভর করে অর্থ নির্বাচন করতে হবে।
যেমন ধরুন
কুরআনে সাল্লু দ্বারা কখনো সালাত কে বুঝাচ্ছে আবার এই সাল্লু দ্বারাই কখনো দুরুদ কে বুঝাচ্ছে।(৩৩:৫৬.)
আবার
মুনির=ধার করা আলো/প্রতিবিম্বিত আলো বুঝায়।
আল্লাহ কখনো চাঁদকে বুঝাতে মুনির শব্দ ব্যবহার করেছেন(২৫:৬১.)
আবার তার বর্ননা দিতেও মুনির শব্দ ব্যবহার করেছেন।(২৪:৩৫)
তাই একই শব্দ যে বারবার একই অর্থ প্রকাশ করবে সেটে ভাবা বোকামি।
.
.
এবার আসুন দেখি আল্লাহ হিকমা দ্বারা কি বুঝিয়েছেন.
.
আল্লাহ পবিত্র কুরআনের ২৮ নং সুরার ১৪ নং আয়াতে বলেন…..
.
যখন মূসা যৌবনে পদার্পন করলেন এবং পরিণত বয়স্ক হয়ে গেলেন, তখন আমি তাঁকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানদান করলাম। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি(২৮:১৪)
.
এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন হিকমা ও জ্ঞান দুইটি ভিন্ন বিষয়।
যদি একি অর্থ প্রকাশ করতো তবে আল্লাহ কেন ভিন্ন অর্থ প্রয়োগ করলেন???❗❗❗❗
.
.অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন….
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন #কিতাব ও #হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত। (৬২:২)
.
এই আয়াতে কিতাব(কুরআন) ও হিকমাত(হাদিস) কে বুঝিয়েছেন।
.
আবার আল্লাহ বলেন…
.
তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।(২:১৫১)
.এখানে তার জ্ঞানতত্ব মানে তার(মুহাম্মদ) হাদিস শিক্ষা দিবেন সেটা পরিষ্কার।
.
এর পরেও যারা ট্যাঁড়ামী করার জন্য বলবেন যে না না হিকমা মানে সব জায়গায় জ্ঞান /প্রজ্ঞাই বুঝাবে তাহলে বলবো জনাব..
হিকমা আই মিন জ্ঞান কি নাযিল করার জিনিস?/??
যেমন টা বলা হয়েছে
.
যে কিতাব ও জ্ঞানের কথা তোমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে যার দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সর্ববিষয়েই জ্ঞানময়(২:২৩১)
এ।
হিকমা যদি হাদিস ই না হতো তবে নাযিলে প্রশ্নই ওঠে না।🔒🔒🔒🔒
.
♦এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে মুহাম্মদ সা : এর সব কথাই কি ওহি????
.
এর জবাব হল মুহাম্মদ সা: এর জীবনী সাধারনত ভাগ হবে ২ টা ভাবে.
১.নবুওয়াতের আগে
২.নবুওয়াতের পরে
.
নবী সঃ নবুওয়াত পাবার পরে নবী সঃ এর সব কথাই ওহি ভিত্তিক ছিল।
তার মানে তিঁনি যে হাদিস গুলা বলেছেন সে গুলাও ওহি ভিত্তিক।
৫৩:৩-৪ নং সুরা সেটাই প্রমান করে।
.
নবী সঃ ওহি ব্যাতিত কোন হাদিস/কথা/বানী বলতেন না।
৬৯:৪৪-৪৮ আয়াত যার অকাট্য প্রমান।📖📖📖
.
.
#একটি_স্বংসয়_মুলক_প্রশ্ন_ও_তার_যৌক্তিক_জবাব….
.
.
যাদের আহলি কুরআন/সাবমিটার/প্রগ্রেসিভ মুসলিম এদের সম্পর্কে সামান্য ধারনা আছে তারা বিষয় টা লক্ষ্য করেছেন মনে হয়।
এরা মুলত নাস্তিকদের মত একটা স্বংসয়মুলক প্রশ্ন করে সাধারন মানুষ কে বিভ্রান্তিতে ফেলতে চায়।
আপনি যদি নাস্তিকদের মাত্র একটা প্রশ্ন করতে বলেন দেখবেন তারা প্রথমেই যে প্রশ্নটা করবে সেটা হল
স্রষ্ঠা কি এমন একটা জিনিস বানাতে পারবে যেটা সে নিজেই ওঠাতে পারবেনা….
এই প্রশ্নটা করে সাধারন মানুষের কাছে যেমন স্রষ্ঠা কে বির্তকিত করে ঠিক
তেমনি
.
আহলি কুরআন/সাবমিটাররা এমন একটা প্রশ্ন করে হাদিস কে বির্তকিত করে।
প্রশ্নটা হল….
কুরআন কি স্বয়ংসম্পূর্ন/বিস্তারিত /পুর্নাঙ্গ????
যদি বিস্তারিত/পুর্নাঙ্গ হয় তবে হাদিস মানার দরকার কি?????
মুলত এমন প্রশ্ন টা সাধারন কোন মানুষের কাছে বেশ যৌক্তিক মনে হতে পারে।
কিন্তু আদৌতে এটার পিছনে তেমন কোন লজিক নেই।
.
কুরআন বিস্তারিত আলহামদুলিল্লাহ সেটা আমরা মুসলিমরা কখনোই অস্বীকার করিনা।:🎤🎤🎤
তবে এর সঠিক ব্যাখা বুঝতে হলে নবী সঃ এর হাদিস মানতে হবে।
.
♦কুরআনের ব্যাখ্যা যদি নবী/রাসুল না করে থাকেন তবে কুরআন গ্রন্থ আকারে সেই কওমের লোকের কাছে নাযিল হলেই পারতো।
রাসুল আসার দরকার কি ছিল?????
.
রাসুল এ কারনেই এসেছে যে তিনি এ গুলার বিস্তারিত আলোচনা করে সেই কওমের লোকদের কাছে আল্লাহর বানি পৌঁছে দিবেন..
,
আল্লাহ ৯৩ নং সুরার ১১ নং আয়াতে বলেন…
.
আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা বিস্তারিত বর্ননা করুন।(৯৩:১১)
.
উক্ত আয়াত প্রমান করে নবী সঃ কুরআনের ব্যাখ্যাও করেছেন।📣📣📣
.
কি কিছু বুঝলেন নাতো???
আসুন একটা উদাহরন দেয়া যাক….
.
♦ধরুন একটা #ভাব_সম্প্রসারনের_বই আপনার কাছে আছে।
সেখানে ১০০ টা ভাব সম্প্রসারন আছে।
যেমন:
একতাই বল;
দুূজন বিদ্যান হলেও সর্বদা পরিত্যায্য;
ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ;
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড;
ইত্যাদি ইত্যাদি……
.
তো জনাব আপনার কাছে আমার জানার ছিল যে
এই সব বাক্যদ্বয়/ভাবসম্প্রসারন গুলি কি বিস্তারিত/পুর্নাঙ্গ বাক্য???????
যদি পুর্নাঙ্গ বাক্য হয় তবে কি পরীক্ষার হলে ছাত্ররা এর কোন ব্যাখ্যা করবেন না?????
নাকি শুধু উক্ত বাক্যদ্বয় ই লিখে রাখবেন???
আর যদি বলেন বাক্য গুলি পুর্নাঙ্গ /বিস্তারিত নয় তাহলে আমার আরেকটা প্রশ্ন থেকে যায় বাক্যের মাঝে ভুল কোথায়???
মানে এটা অসম্পূর্ন বাক্য হলো কি করে❔❔❔❔❔
.
.
.
আসলে ভাব সম্প্রসারনের বাক্য গুলা বিস্তারিত/পুর্নাঙ্গ হওয়া সত্বেও যেমন পরীক্ষা হলে ছাত্রের কর্তব্য হলো সেটার ব্যাখ্যা করা ঠিক তেমন কুরআন পুর্নাঙ্গ /বিস্তারিত হওয়া সত্বেও মুহাম্মদ সা: কে আল্লাহ পাঠিয়েছেন সেই ছাত্রের ন্যায় এটার ব্যাখ্যা করার জন্য।
.
♦শতশত সমস্যা/বিষয়/ব্যাপার/প্রশ্নের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নঃ
যদি কুরআনে ৮২/৮৩ বার নামাজ কায়েম /পড়তেই বলা হয় এবং এক রাকাত/নামাজের নিয়ম না বলা থাকে তবে হাদিস না মেনে কিভাবে নামাজ পড়বেন/কায়েম করবেন??
নাকি বলবেন নামাজ মানে কপাল ঠুকানো,উঠবস করা নয়??
নাকি নামাজই পড়বেন/কায়েম করবেন না??
.
অবশেষে বলতে চাই যারা হাদিস কে বাদ দিয়ে শুধু কুরআন অনুসরন করতে চান তারা কিছুতেই প্রকৃত মুসলিম হতে পারবেন না।
.
আল্লাহ আমাদের সবাই কে বুঝার তৌফিক দান করুন #আমিন
(মূল লিখা #প্রিন্স_শাকিল_খান এবং সকল প্রশ্নের জবাব দেবেন শাকিল সহ সকল আহলুল কুরআন ও হাদিসের অনুসারী মুসলীম গন)