Category Archives: Duas

Quranic Duas.bn article

আল কুরআন পড়ে জানতে পারি যে,সকল নবী ও রাসূলরা বিপদের সময় ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চেয়েছেন,তাই আমাদেরকেও বিপদের সময় ধৈর্যধারণ করে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাইতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা নিজের যতভুল ত্রুটি আছে,সেগুলো সংশোধন করে,অনুশোচনা করে,অনুতপ্ত হয়ে আল কুরানের রব্বানা (হে আমাদের রব) বা রব্বি (হে আমার রব) যুক্ত দোয়াগুলোর মাধ্যমে সাহায্য চাইতে পারি অথবা নিজের মাতৃভাষায় নির্জনে,নিরবে মনের কথাগুলো নিজের রবকে বা মালিককে অনুয়-বিনয় করে বলতে পারি। যেভাবে অনুতপ্ত হয়ে,অনুশোচনা করে,সকল প্রকার অনৈতিক ও অপকর্ম থেকে বিরত থেকে বিশ্বাসী ও আত্মসমর্পন কারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আমরা সর্বদা নিচের দুয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইবো!!!!

পরম করুণাময় অসীম দয়াল,আল্লাহর নামে শুরু করছি। (২৭:৩০) হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় লইতেছি এবং হে আমার রব! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকেও আপনার আশ্রয় লইতেছি।(২৩:৯৭,৯৮) আপনি পবিত্র মহান, আমি আপনার কাছে অনুতপ্ত হয়ে ,অনুশোচনা হয়ে করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি। (৭:১৪৩) নিশ্চয় আমি আপনার কাছে অনুতপ্ত হয়ে ,অনুশোচনা হয়ে করছি এবং আমি অবশ্যই আতœসর্মপণকারীদের অর্ন্তভুক্ত। (৪৬:১৫) হে আমার রব, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন।(২৮:১৬) হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি। আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করছি।(২৭:৪৪) আমি বিশ্বজগতের রবের নিকট আতœসর্মপণ করলাম। (২:১৩১) আমি আল্লাহর নিকট আতœসর্মপণ করলাম । (৩:২০) আমাদের রব আল্লাহ। (২২:৪০,৪১:৩০,৪৬:১৩) আমার রব তিনিই যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান।(২:২৫৮)

হে আমাদের রব,আপনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। আপনি পবিত্র মহান। সুতরাং আপনি আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর। হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি যাকে আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে আপনি অপমান করবেন। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব, নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তাই আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, হে আমাদের রব! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করুন ও আমাদের সকল দোষক্রটি দূর করুন এবং পুন্যবানদের সাথে আমাদের মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের রব, আর আপনি আমাদেরকে তা প্রদান করুন যার ওয়াদা আপনি আমাদেরকে দিয়েছেন আপনার বার্তাবাহকগণের মাধ্যমে। আর কিয়ামতের দিনে আপনি আমাদেরকে অপমান করবেন না। নিশ্চয় আপনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না।(৩:১৯১-১৯৪) আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি,আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ করা হয়েছে আমাদের উপর ও যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর, আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে অন্যান্য নবীগণকে। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁর কাছে আত্মসমর্পণকারী। (৩:৮৪)(২:১৩৬) আমরা শুনিয়াছি এবং পালন করিয়াছি, হে আমাদের রব! আমরা তোমার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন তোমারই নিকট। (০২:২৮৫)

আমরা বিশ্বজগতের রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।(৭:১২১) আমরাই আল্লাহর সাহায্যকারী,আমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং সাক্ষী থেকো যে,আমরা আত্মসমর্পণকারী। হে আমাদের রব! আমরা সে সকল বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রাসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাভুক্ত কর । (৩:৫২,৫৩)(৫:১১১) হে আমাদের রব,আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।(৫ঃ ৮৩) হে আমাদের রব, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর। (৩:১৬) হে আমাদের রব,আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন,আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (২৩:১০৯) হে আমাদের রব, আমাদেরকে ক্ষমা কর ও দয়া কর, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।(২৩:১১৮) হে আল্লাহ, আপনিই আমাদের রক্ষক। আপনি ক্ষমা করুন ও দয়া করুন। আপনিই শ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল। (৭:১৫৫)আপনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই,আপনি পবিত্র মহান। আমি তো সীমালংঘনকারী। (২১: ৮৭) হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি,যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (৭:২৩) সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন, আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করলে আমরা পথ পেতামনা(৭:৪৩)

হে আমাদের রব,আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহান দাতা। হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি মানুষকে সমবেত করবেন এমন একদিন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। (৩:৮,৯) হে আমাদের রব! আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন ।(১৮: ১০) হে আমার রব! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি,যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর। (২৭: ১৯) হে আমার রব! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি,যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং আমার জন্য আমার সন্তানদের সৎকর্ম পরায়ণ করে দিন। আমি অবশ্যই আপনার নিকট তাওবা করছি এবং নিশ্চয়ই আমি অনুগত বান্দাদের একজন। (৪৬:১৫) হে আমাদের রব, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের রব! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না , যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছেন, হে আমাদের রব,আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের উপর দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (২:২৮৬)হে আমাদের রব!দুনিয়াতে আমাদের কল্যাণ দাও এবং আখিরাতে ও আমাদের কল্যাণ দাও। আর আমাদের দোযখের আগুন হতে রক্ষা কর। (২:২০১) হে আমাদের রব, আপনি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব ফিরিয়ে নিন। নিশ্চয় এর আযাব হল অবিচ্ছিন্ন। নিশ্চয় তা আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে অতীব নিকৃষ্ট! (২৫:৬৫,৬৬)

হে আমাদের রব,আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তাননাদি দান করুন যারা আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন।(২৫:৭৪) হে আমার রব! আমাকে সন্তানহীন করে রেখ না, যদিও তুমি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।(২১:৮৯)হে আমাদের রব, আমাকে তুমি তোমার নিকট হতে সৎ বংশধর দান কর।নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।(৩:৩৮)হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে আপনি রক্ষা করুন। (২৬:১৬৯) হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। হে আমার রব! আমার প্রার্থনা কবুল করুন। হে আমার রব,যেদিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং বিশ্বাসী গণকে ক্ষমা করুন। (১৪:৪০, ৪১)হে আমার রব, আপনি ক্ষমা করুন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং যাহারা বিশ্বাসী হইয়া আমার গৃহে প্রবেশ করে তাহাদেরকে এবং বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদরেকে আর যালিমদের জন্য ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করো না।(৭১:২৮)হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন পালন করেছেন।(১৭:২৪) হে আমাদের রব! আমাদেরকে আর আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে কোন হিংসা বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের রব! তুমি বড়ই করুণাময়, অতি দয়ালু।(৫৯:১০)

হে আমার রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। হে আমার রব! আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিন। আমার কাজকে আমার জন্য সহজ করে দিন। আমার জিহ্ববার জড়তা দূর করে দিনÑ যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে। (২০:১১৪,২৫-২৮) হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের আন্তর্ভুক্ত করুন। এবং আমাকে পরর্বতীদের মধ্যে সত্যভাষী করুন। এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তভূক্ত করুন। (২৬:৮৩,৮৪,৮৫) হে আমাদের রব! আমাদের এ কাজকে তুমি কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে ও আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে ইবাদতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (২:১২৭-১২৮) হে আমার রব! আমাকে প্রবেশ করান সত্যতার সাথে এবং আমাকে বের করান সত্যতার সাথে এবং আপনার কাছ থেকে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি। (১৭:৮০)হে আমাদের রব, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (৬৬: ৮)

হে আমাদের রব! আমরা আপনারই উপর ভরসা করেছি , আপনারই দিকে মুখ করেছি এবং আপনারই নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তন । হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে অবিশ্বাসীদের পীড়নের পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।(৬০:৪,৫) আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ঠ,তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই। আমি তাহারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহা আরশের অধিপতি।(৯:১২৯)আমাদের জন্যেই আল্লাহ যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক। কত উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী। (৩:১৭৩ ও ৮:৪০)আমরা আল্লাহরই উপর ভরসা করলাম। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র করো না। আর আপনি আপনার নিজ করুণায় অবিশ্বাসী সম্প্রদায় হতে আমাদেরকে রক্ষা কর।’(১০:৮৫,৮৬) আল্লাহরই উপর আমরা তাওয়াক্কুল করি। হে আমাদের রব, আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথার্থ ফয়সালা করে দিন। আর আপনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।(৭:৮৯) হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন,যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন।কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (৩:২৬)

হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।(৪:৭৫) হে আমার রব! আপনি আমাকে যালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন না।(২৩:৯৪)হে আমাদের রব! আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গী করবেন না।(৭:৪৭)হে আমাদের রব! আমাদেরকে ধৈর্য দান কর, আমাদেরকে অবিচলিত রাখ এবং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (২:২৫০)হে আমাদের রব! আপনি আমাদের অপরাধগুলো এবং আমাদের কাজ-কর্মের বাড়াবাড়িগুলোকে ক্ষমা করুন,আমাদেরকে সুদৃঢ়পদে রাখুন এবং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।(৩:১৪৭) হে আমার রব! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন। (২৯:৩০) হে আমার রব! আপনি যালিম সম্প্রদায় থেকে আমাকে রক্ষা করুন। (২৮:২১) হে আমার রব, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করিবে আমি তাহার মুখাপেক্ষী।(২৮:২৪)আর আমাদেরকে রিযিক দান করুন এবং আপনিই তো শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।(৫ঃ ১১৪)হে আমার রব, আপনার কাছে আমার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরী করুন।(৬৬:১১) নিশ্চয় আমার সালাত, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগতসমূহের রব আল্লাহর জন্যেই। তাহার কোন শরীক নাই এবং আমি ইহার জন্যেই আদিষ্ট হইয়াছি এবং আমিই প্রথম আত্মসমর্পণকারী (৬:১৬২-১৬৩) হে আমাদের রব, আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন”।(৭:১২৬)হে আকাশ ও জমিনের মালিক! দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আপনি আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অর্ন্তভুক্ত করুন। (১২:১০১) নিশ্চয় আমি অসহায়, অতএব আপনি আমার প্রতিবিধান করুন।(৫৪:১০)আমি দুঃখ কষ্টে পতিত হয়েছি, আপনিতো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (২১:৮৩) সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। নিশ্চয় আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, মহাগুণগ্রাহী’। (৩৫:৩৪) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন। তিনিই আমাকে খাওয়ান এবং তিনিই আমাকে পান করানএবং রোগাক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন এবং তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আমাকে পুনর্জীবিত করবেন। এবং আশা করি, তিনি কিয়ামতের দিন আমার অপরাধসমূহ মার্জনা করে দেবেন।(২৬:৭৮-৮২)

আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের রবের, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দেওয়া জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।(১১৩:১-৫)আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের,তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আতœগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। (১১৪:১-৬)আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই।(২:৬৭)

তিনিই আল্লাহ একক অদ্বিতীয়। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।(১১২:১-৪) তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা, তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ,যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ,মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত,নিরাপত্তাদানকারী,রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা,আকৃতিদানকারী, তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ, আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৫৯:২২-২৪)

আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে, আধিপত্য তারই এবং প্রশংসা তারই; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।(৬৪:১) বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।(৬৭:১)আর তিনি বরকতময়,যার কর্তৃত্বে রয়েছে আসমানসমূহ,যমীন ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু।(৪৩:৮৫) সকল প্রশংসা আল্লাহর,যিনি আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। আর আখিরাতে ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রজ্ঞাময়,সম্যক অবগত। (৩৪:১) অতএব আল্লাহরই জন্য সকল প্রশংসা, যিনি আসমানসমূহের রব, যমীনের রব ও সকল সৃষ্টির রব।(৪৫:৩৬) সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীন এবং সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো।(৬:১)

আমি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি যিনি আকাশমন্ডলী আর পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন।আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।(৬:৭৯) নিশ্চয় আমি বিশ্বজগতের রব আল্লাহকে ভয় করি’। (৫:২৮)(৫৯:১৬) তিনিই আল্লাহ, আমার রব। আর আমি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক করি না’।(১৮:৩৮) আল্লাহ মহান, পবিত্র এবং যারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে আমি তাদের অন্তভুর্ক্ত নই। (১২:১০৮) তারা যা আরোপ করে, আসমানসমূহ ও যমীনের রব এবং আরশের রব তা থেকে পবিত্র-মহান।(৪৩:৮২) তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ অতিপবিত্র, মহামহান।(২১:২২) তারা যা বলে, আল্লাহ সে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র,পবিত্র।(৩৭:১৫৯) (২৩:৯১) তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বিবরণ দেয় তা থেকে ঊর্ধ্বে।(৬:১০০) আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ পবিত্র ও মহিমান্বিত! (২৭:৮) তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তারা যাকে শরীক করে, তিনি তারঊর্ধ্বে।(২৩:৯২) তিনি মহান পবিত্র, তারা যাকে শরীক সাব্যস্ত করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।(১৬:১)(১০:১৮)(৩০:৪০)(৩৯:৬৭) আল্লাহ পবিত্র, মহান । তারা যাকে শরীক সাব্যস্ত করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।(২৮:৬৮)তারা যা শরীক স্থির করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান। (৫৯:২৩)(৫২:৪৩) তারা যে শরীক করে তিনি তা থেকে পবিত্র।(৯:৩১) তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বলে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।(১৭:৪৩) অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়।(২৩:১৪) সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়। (৭:৫৪)(৪০:৬৪) আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ পবিত্র ও মহিমান্বিত! (২৭:৮)আমাদের রব,পবিত্র ও মহান। (১৭:১০৮) (৬৮:২৯) আমার রব, পবিত্র মহান । (১৭:৯৩) হে আল্লাহ!আপনি পবিত্র মহান । (১০:১০)

যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের রব আল্লাহরই জন্য। যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকটেই সাহায্য চাই। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।(১:১-৭) তারা যা আরোপ করে, তা থেকে পবিত্র ও মহান আপনার রব, সকল ক্ষমতার অধিকারী।আর শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলদের প্রতি। আর সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের রব আল্লাহর জন্য।(৩৭:১৮০-১৮২) হে আমাদের রব, আর আমার দোআ কবূল করুন। (১৪:৪০)

By AnamulHoquehttps://www.facebook.com/100000395832341/posts/pfbid02LPxAcDWjwFkwVDeGMUUfZVj6yxEVzGydbF4xnxjJmQ6qJ2xxBYoDfkDspAaF3BAbl/?mibextid=9R9pXO

Quranic Duas(মুরাদ বিন আমজাদ)

কবুলকৃত দোয়া সমূহ (কোরআন থেকে)🤲
🤲 রবের নিকট আত্নসমর্পণ
🤲 রব এর নিকট ক্ষমা/চাওয়ার দোয়া
🤲 মাতা-পিতার জন্য দোয়া
🤲 সন্তানদের জন্য দোয়া
🤲 পরিবারের জন্য দোয়া
🤲 জ্ঞান অর্জনের জন্য দোয়া
🤲 সাহস সঞ্চার করার দোয়া
🤲 রিজিকের বৃদ্ধির জন্য দোয়া
🤲 যানবাহনে আরোহন ও অবতারনের দোয়া
🤲 নেককারদের সাথে অন্তর্ভুক্তির দোয়া
🤲 কেহ মিথ্যাবাদী দোষারোপ করলে দোয়া
🤲 অত্যাচারী কাফের/দুশমনের বিরুদ্ধে দোয়া
🤲 জাহান্নাম থেকে বাঁচার দোয়া
🤲 জাহান্নামি/কাফেরদের আর্তনাদ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।।।
🤲 রবের নিকট আত্নসমর্পণঃ
◾‘আমি সকল সৃষ্টির রবের কাছে নিজকে সমর্পণ করলাম’। (২ঃ১৩১)
◾‘নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব’। (৬ঃ১৬২)
◾নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। (২ঃ১৫৬)
◾‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’। আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’(২৩ঃ৯৭-৯৮)
◾হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে। (৬০ঃ৪, ইব্রাহীম আঃ)
◾‘হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী’। (২৮ঃ২৪, মূসা আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’। (২ঃ১২৭, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। (২ঃ১২৮, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের উপর ও যা নাযিল করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে নবীগণকে। আমরা তাদের কারো মধ্যে তারতম্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত’। (২ঃ১৩৬)
◾‘আমাদের রব! আল্লাহর কসম! আমরা মুশরিক ছিলাম না’। (৬ঃ২৩)
◾‘নিশ্চয় আমি নিবিষ্ট করেছি আমার চেহারা একনিষ্ঠভাবে তাঁর জন্য, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’। (৬ঃ৭৯)
◾‘আমি আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং আমার অনুসারীরাও’। (৩ঃ২০)
◾হে আমাদের রব, আমাদেরকে পরিপূর্ণ ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন।’ (৭ঃ১২৬)
◾‘আপনি পবিত্র মহান, আমি আপনার নিকট তাওবা করলাম এবং আমি মুমিনদের মধ্যে প্রথম।’ (৭ঃ১৪৩)
◾হে আমার রব, আমি তাড়াতাড়ি করে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হন’। (২০ঃ৮৪)
◾‘আমার রব, ক্ষমা করুন আমাকে ও আমার ভাইকে এবং আপনার রহমতে আমাদের প্রবেশ করান। আর আপনিই রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। (৭ঃ১৫১)
◾‘হে আমার রব, যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই তা চাওয়া থেকে আমি অবশ্যই আপনার আশ্রয় চাই। আর যদি আপনি আমাকে মাফ না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’। (১১ঃ৪৭)
◾‘অবশ্যই আমরা তো আমাদের রবের দিকেই ফিরে যাব।’(২৬ঃ৫০)
◾আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’ (২৬ঃ১২৭)
◾‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি। আমি সুলাইমানের সাথে সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম’। (২৭ঃ৪৪, রানী বিলকিস)
◾‘হে আমার রব, আপনি চাইলে ইতঃপূর্বে এদের ধ্বংস করতে পারতেন এবং আমাকেও। আমাদের মধ্যে নির্বোধরা যা করেছে তার কারণে কি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন? এটাতো আপনার পরীক্ষা ছাড়া কিছু না। এর মাধ্যমে যাকে চান আপনি পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হিদায়াত দান করেন। আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আপনি উত্তম ক্ষমাশীল। (৭ঃ১৫৫)
◾‘হে আমার রব, আপনার নিকট দো‘আ করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি’। (১৯ঃ৪)
◾‘যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনিই আমাকে হিদায়াত দিয়েছেন।’ ‘আর যিনি আমাকে খাওয়ান এবং পান করান’। ‘আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন যিনি আমাকে আরোগ্য করেন’। ‘আর যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন তারপর আমাকে জীবিত করবেন’। ‘আর যিনি আশা করি, বিচার দিবসে আমার ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দেবেন’। (২৬ঃ৭৮-৮২, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘তোমরা যা কর, নিশ্চয় আমি তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত’। (২৬ঃ২১৬)
◾‘আমার কর্ম আমার, আর তোমাদের কর্ম তোমাদের। আমি যা আমল করি তোমরা তা থেকে মুক্ত এবং তোমরা যা আমল কর আমি তা থেকে মুক্ত’। (১০ঃ৪১)
◾হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি জানেন, যা আমরা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি, আর কোন কিছু আল্লাহর নিকট গোপন নেই, না যমীনে না আসমানে। (১৪ঃ৩৮)
◾তিনিই আল্লাহ, আমার রব। আর আমি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক করি না’। (১৮ঃ৩৮)
◾‘নিশ্চয় আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি অবশ্যই তা থেকে মুক্ত যাকে তোমরা শরীক কর, (১১ঃ৫৪)
◾‘আমি অবশ্যই তাওয়াক্কুল করেছি আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর, প্রতিটি বিচরণশীল প্রাণীরই তিনি নিয়ন্ত্রণকারী। নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন’। (১১ঃ৫৬)
◾আমি আমার সাধ্যমত সংশোধন চাই। আল্লাহর সহায়তা ছাড়া আমার কোন তওফীক নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাই’। (১১ঃ৮৮)
◾আল্লাহ সে সব থেকে অতিপবিত্র ও মহান, যা তারা আরোপ করে, (৩৭ঃ১৫৯)
◾তারা যা আরোপ করে, আসমানসমূহ ও যমীনের রব এবং আরশের রব তা থেকে পবিত্র-মহান। (৪৩ঃ৮২)
◾অতএব আল্লাহরই জন্য সকল প্রশংসা, যিনি আসমানসমূহের রব, যমীনের রব ও সকল সৃষ্টির রব। (৪৫ঃ৩৬)
◾যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে, সবই আল্লাহর জন্য পবিত্রতা ঘোষণা করে। বাদশাহী তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৬৪ঃ১)
◾‘পবিত্র মহান আমার রব! (১৭ঃ৯৩)
◾‘পবিত্র মহান আমাদের রব! আমাদের রবের ওয়াদা অবশ্যই কার্যকর হয়ে থাকে’। (১৭ঃ১০৮)
◾আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই। (১ঃ৫)
◾অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’ (৪১ঃ৩৩)
◾সৃষ্টিকুলের রবের নিকট আত্মসমর্পণ করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি’। (৪০ঃ৬৬)
◾‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, (৯ঃ৫৯)
◾‘আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক’! (৩ঃ১৭৩)
◾‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’। (৯ঃ১২৯)
◾সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ মহাপবিত্র, মহিমান্বিত’। (২৭ঃ৮)
◾আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব। (৭ঃ৫৪)
🤲 রব এর নিকট ক্ষমা/চাওয়ার দোয়াঃ
◾হে আমাদের রব! আমরা আপনারই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। (২ঃ২৮৫)
◾হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। (২ঃ২৮৬)
◾হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। (২ঃ২৮৬)
◾হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। (২ঃ২৮৬)
◾হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (৩ঃ৮)
◾‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন’। (৩ঃ১৬)
◾‘হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’। (৩ঃ২৬)
◾হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (২ঃ২০১)
◾‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’। (৪০ঃ৭)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙঘন ক্ষমা করুন এবং অবিচল রাখুন আমাদের পাসমূহকে, আর কাফির কওমের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন’। (৩ঃ১৪৭)
◾‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব’। (৭ঃ২৩)
◾হে আসমানসমূহ ও যমীনের সষ্টা! আপনিই দুনিয়া ও আখিরাতে আমার অভিভাবক। আপনি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দিন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন (১২ঃ১০১, ইউসুফ আঃ)
◾‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয়ই আপনি বড়ই দানশীল। (৩৮ঃ১০, সুলাইমান আঃ)
◾‘আর এর উপর আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না; আমার প্রতিদান কেবল সৃষ্টিকুলের রবের নিকট’। (২৬ঃ১২৭)
◾‘আপনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই’। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম’ । (২১ঃ৮৭, ইউনুস আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (২৩ঃ১০৯)
◾‘হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (২৩ঃ১১৮, মূসা আঃ)
◾‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। নিশ্চয় আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, মহাগুণগ্রাহী’। (৩৫ঃ৩৪)
◾‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’। (৪০ঃ৭)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।’ (৬৬ঃ৮)
◾‘আমরা আশা করি যে, আমাদের রব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন, কারণ আমরা মুমিনদের মধ্যে প্রথম।’ (২৬ঃ৫১)
◾‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফসের প্রতি যুলম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন’। অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ‘হে আমার রব, আপনি যেহেতু আমার প্রতি নিআমত দান করেন, তাই আমি কখনো আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না। (২৮ঃ১৬-১৭, মূসা আঃ)
◾হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৬০ঃ৪-৫, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের প্রতি আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’। (২ঃ১২৯, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’। (২১ঃ৮৩, আয়্যুব আঃ)
◾‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। (১১৩ঃ১-৫)
◾‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, মানুষের অধিপতি, মানুষের ইলাহ-এর কাছে, কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। জিন ও মানুষ থেকে। (১১৪ঃ১-৬)
◾‘আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন যিনি আমাকে আরোগ্য করেন’। (২৬ঃ৮০)
◾আল্লাহর আশ্রয় চাই (মা’আযাল্লা-হ) (১২ঃ২৩,৭৯)
◾আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। আর তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু’। (১২ঃ৯২)
◾ নিশ্চয় আমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। (১২ঃ৫৩)
◾নিশ্চয় আমার রব পরম দয়ালু, অতীব ভালবাসা পোষণকারী’। (১১ঃ৯০)
◾আমাদেরকে সরল পথ দেখান/পথের হিদায়াত দিন। (১ঃ৬)
🤲 মাতা-পিতার জন্য দোয়াঃ
◾‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’। (১৭ঃ২৪)
◾আমার পিতাকে ক্ষমা করুন; (২৬ঃ৮৬-ঈব্রহীম আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন’। (১৪ঃ৪১)
◾‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (৭১ঃ২৮- নূহ আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আর আপনি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন। আর তাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নি ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করেছে তাদেরকেও। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।’ (৪০ঃ৮)
◾‘হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’। (২৭ঃ১৯- সোলাইমান আঃ)
◾‘হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিআমত দান করেছ, তোমার সে নিআমতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’। (৪৬ঃ১৫)
🤲 সন্তানদের জন্য দোয়াঃ
◾‘হে আমার রব, আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন’। (৩৭ঃ১০০- ইব্রাহীম আঃ)
◾‘হে আমর রব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’। (৩ঃ৩৮, জাকারিয়া আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’। (২৫ঃ৭৪)
◾‘হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দো‘আ কবূল করুন’। (১৪ঃ৪০- ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমার রব, আপনি এ শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন’। (১৪ঃ৩৫- ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কিছু বংশধরদেরকে ফসলহীন উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং কিছু মানুষের হৃদয় আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদেরকে রিয্ক প্রদান করুন ফল-ফলাদি থেকে, আশা করা যায় তারা শুকরিয়া আদায় করবে’। (১৪ঃ৩৭- ইব্রাহিম আঃ)
◾‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ঈসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দো‘আ শ্রবণকারী’। (১৪ঃ৩৯- ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমার রব! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে এবং বার্ধক্যবশতঃ আমার মাথার চুলগুলো সাদা হয়ে গেছে। হে আমার রব, আপনার নিকট দো‘আ করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি’। (১৯ঃ৪)
◾‘হে আমার রব, আমার গর্ভে যা আছে, নিশ্চয় আমি তা খালেসভাবে আপনার জন্য মানত করলাম। অতএব, আপনি আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ’। (৩ঃ৩৫- ইমরান আঃ এর স্ত্রী)
◾‘হে আমার রব! আমাকে একা রেখো না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী’। (২১ঃ৮৯, জাকারিয়া আঃ)
◾আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন’। ‘যে আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং ইয়াকূবের বংশের উত্তরাধিকারী হবে। হে আমার রব, আপনি তাকে পছন্দনীয় বানিয়ে দিন’। (১৯ঃ৫-৬, জাকারিয়া আঃ)
🤲 পরিবারের জন্য দোয়াঃ
◾‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’। (২৫ঃ৭৪)
◾‘হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তুমি রক্ষা কর’। (২৬ঃ১৬৯- লূত আঃ)
🤲 জ্ঞান অর্জনের জন্য দোয়াঃ
◾‘হে আমার রব! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ করুন। (২০ঃ১১৪)
◾‘হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং সৎকর্মশীলদের সাথে মিলিয়ে দিন। (২৬ঃ৮৩, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন’‘এবং আমার কাজ সহজ করে দিন, ‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন-যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’। ২০ঃ২৫-২৮)
◾‘আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি’। (২ঃ৬৭)
🤲 সাহস সঞ্চার করার দোয়াঃ
◾‘হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর’। ১৭ঃ৮০, মুহাম্মদ সঃ)
◾‘হে আমার রব! আমার বক্ষ সম্প্রসারিত করে দিন, এবং আমার কাজ সহজ করে দিন, ‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে, ‘আর আমার জন্য করে দিন একজন সাহায্যকারী আমার সজনদের মধ্য থেকে, ‘আমার ভাই হারুনকে; ‘তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন, ‘এবং তাকে আমার কাজে অংশীদার করুন। ‘যাতে আমরা আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে পারি প্রচুর, ‘এবং আমরা আপনাকে স্মরণ করতে পারি বেশি পরিমাণ। ‘আপনি তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা।’ (২০ঃ২৫-৩৫, মূসা আঃ)।
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন’। (১৮ঃ১০)
🤲 রিজিকের বৃদ্ধির জন্য দোয়াঃ
◾‘হে আল্লাহ্‌ আমাদের রব! আমাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা পাঠান; এটা আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তি সবার জন্য হবে আনন্দোৎসব স্বরুপ এবং আপনার কাছ থেকে নিদর্শন।আর আমাদের জীবিকা দান করুন; আপনিই তো শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।’ (৫ঃ১১৪, ঈসা আঃ)
◾’হে আমার রব ! এটাকে নিরাপদ শহর করুন এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান আনে তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান করুন’। (২ঃ১২৬, ইব্রাহিম আঃ)
◾হে আমাদের রব! আমি আমার বংশধরদের কিছু সংখ্যককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের কাছে, হে আমাদের রব! এ জন্য যে, তারা যেন সালাত কায়েম করে। অতএব আপনি কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের রিযকের ব্যবস্থা করুন, যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। (১৪ঃ৩৭, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘আর যাকে চান বিনা হিসাবে রিয্ক দান করেন’। (৩ঃ২৭)
🤲 যানবাহনে আরোহন ও অবতারনের দোয়াঃ
◾আল্লাহরই নামে এর গতি ও স্থিতি নিয়ে আরোহন করছি, নিশ্চয় আমার প্রতিপালক চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়াবান।’ (১১ঃ৪১, নূহ আঃ)
◾‘পবিত্র-মহান সেই সত্তা যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না’। (৪৩ঃ১৩)
◾‘তোমরা তাতে প্রবেশ কর শান্তিতে, নিরাপদ হয়ে’। (১৫ঃ৪৬)
◾আল্লাহ উত্তম হেফাযতকারী এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’। (১২ঃ৬৪)
◾‘হে আমার রব! আমাকে নামিয়ে দিন কল্যাণকরভাবে; আর আপনিই শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী।’ (২৩ঃ২৯, নূহ আঃ)
🤲 নেককারদের সাথে অন্তর্ভুক্তির দোয়াঃ
◾‘হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং সৎকর্মশীলদের সাথে মিলিয়ে দিন। এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন’, ‘আর আপনি আমাকে সুখময় জান্নাতের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত করুন’। (২৬ঃ৮৩-৮৫, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু। (৫৯ঃ১০)
◾‘আমরাই আল্লাহর পথে সাহায্যকারী হব। আমরা আল্লাহতে বিশ্বাস করেছি। আর আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)। (৩ঃ৫২, ঈসা আঃ এর হাওয়ারীগন)
◾‘হে আমার রব! আপনি যা নাযিল করেছেন তার প্রতি আমরা ঈমান এনেছি এবং আমরা এ রাসূলের অনুসরণ করেছি। কাজেই আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাভুক্ত করে নিন। ’(৩ঃ৫৩, ঈসা আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্‌বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্‌বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি।
হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন (৩ঃ১৯৩)
◾হে আসমানসমূহ ও যমীনের সষ্টা! আপনিই দুনিয়া ও আখিরাতে আমার অভিভাবক। আপনি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দিন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন (১২ঃ১০১, ইউসুফ আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিবেন’। (১৪ঃ৪১)
◾‘হে আমার রব, আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর’। (২৭ঃ১৯- সোলাইমান আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
◾‘হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের প্রতি আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’। ২ঃ১২৮-১২৯, ইব্রাহিম আঃ)
◾সকল প্রশংসাই আল্লাহর নিমিত্তে। আর শান্তি তাঁর বান্দাদের প্রতি যাদের তিনি মনোনীত করেছেন। (২৭ঃ৫৯)
🤲 কেহ মিথ্যাবাদী দোষারোপ করলে দোয়াঃ
◾‘হে আমার রব! আমি আশংকা করছি যে, তারা আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, (২৬ঃ১২, মূসা আঃ)
◾‘হে আমার রব! আমার সম্প্রদায় তো আমার উপর মিথ্যারোপ করেছে। (২৬ঃ১১৭, নূহ আঃ)
◾‘হে আমার রব! আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করেছে ২৩ঃ২৬/৩৯, নূহ আঃ)
◾‘হে আমার রব, আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করে দিন’। আর আমাদের রব তো পরম করুণাময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল। (২১ঃ১১২)
🤲 অত্যাচারী কাফের/দুশমনের বিরুদ্ধে দোয়াঃ
◾আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (২ঃ২৮৬)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করুন’। (২ঃ২৫০, তালূত আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদের পাপ ও আমাদের কর্মে আমাদের সীমালঙঘন ক্ষমা করুন এবং অবিচল রাখুন আমাদের পাসমূহকে, আর কাফির কওমের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন’। (৩ঃ১৪৭)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।’ (৪ঃ৭৫)
◾‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন। (৫ঃ২৫, মূসা আঃ)
◾হে আমাদের রব, আমাদের ও আমাদের কওমের মধ্যে যথার্থ ফয়সালা করে দিন। আর আপনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী। (৭ঃ৮৯)
◾হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে যালিম কওমের ফিতনার পাত্র বানাবেন না’। (১০ঃ৮৫, মূসা আঃ)
◾হে আমাদের রব, তাদের ধন-সম্পদ নিশ্চি‎হ্ন করে দিন, তাদের অন্তরসমূহকে কঠোর করে দিন। ফলে তারা ঈমান আনবে না, যতক্ষণ না যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেখে’। (১০ঃ৮৮, মূসা আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমরা তো আশংকা করছি যে, সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা সীমালঙ্ঘন করবে’। (২০ঃ৪৫, মূসা আঃ)
◾‘হে আমার রব, আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।’ (২৩ঃ৯৪, মূসা আঃ)
◾‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে। (২৫ঃ৩০)
◾‘হে আমার রব, আপনি যালিম কওম থেকে আমাকে রক্ষা করুন’। (২৮ঃ২১, মূসা আঃ)
◾‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন ফাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের বিরুদ্ধে’। (২৯ঃ৩০, লূত আঃ)
◾হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না। (৬০ঃ৫, ইব্রাহিম আঃ)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে যালিম কওমের অন্তর্ভুক্ত করবেন না’। (৭ঃ৪৭)
◾‘হে আমার রব! যমীনের উপর কোন কাফিরকে অবশিষ্ট রাখবেন না’। (৭১ঃ২৬, নূহ আঃ)
◾‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (৭১ঃ২৮, নূহ আঃ)
◾তোমাদের প্রস্তরাঘাত থেকে আমি আমার রব ও তোমাদের রবের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। (৪৪ঃ২০)
◾‘আমার সাথে আমার রব রয়েছেন। নিশ্চয় অচিরেই তিনি আমাকে পথনির্দেশ দেবেন’। (২৬ঃ৬২, মূসা আঃ)
◾‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন ফাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের বিরুদ্ধে’। (২৯ঃ৩০)
◾‘নিশ্চয় আমি পরাজিত, অতএব তুমিই প্রতিশোধ গ্রহণ কর’। (৫৪ঃ১০, নূহ আঃ)
◾ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়। (৬১ঃ১৩)
🤲 জাহান্নাম থেকে বাঁচার দোয়াঃ
◾হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। (২ঃ২০১)
◾‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন’। (৩ঃ১৬)
◾‘হে আমাদের রব, তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র মহান। সুতরাং তুমি আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর’। (৩ঃ১৯১)
◾‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় তুমি যাকে আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে তুমি অপমান করবে। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই’। (৩ঃ১৯২)
◾‘হে আমাদের রব, আর আপনি আমাদেরকে তা প্রদান করুন যার ওয়াদা আপনি আমাদেরকে দিয়েছেন আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে। আর কিয়ামতের দিনে আপনি আমাদেরকে অপমান করবেন না। নিশ্চয় আপনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না’। (৩ঃ১৯৪)
◾‘হে আমাদের রব, আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে রয়েছেন। অতএব যারা তাওবা করে এবং আপনার পথ অনুসরণ করে আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আপনি তাদেরকে রক্ষা করুন’। (৪০ঃ৭)
◾আর আপনি তাদের অপরাধের আযাব হতে রক্ষা করুন এবং সেদিন আপনি যাকে অপরাধের আযাব থেকে রক্ষা করবেন, অবশ্যই তাকে অনুগ্রহ করবেন। আর এটিই মহাসাফল্য।’ (৪০ঃ৯)
◾‘হে আমার রব, আপনার কাছে আমার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে নাজাত দিন, আর আমাকে নাজাত দিন যালিম সম্প্রদায় হতে। (৬৬ঃ১১, ফেরাউনের স্ত্রী)
◾হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি মানুষকে সমবেত করবেন এমন একদিন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। (৩ঃ৯)
🤲 জাহান্নামি/কাফেরদের আর্তনাদঃ
◾‘হে আমাদের রব, তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব ফিরিয়ে নাও। নিশ্চয় এর আযাব হল অবিচ্ছিন্ন’। (২৫ঃ৬৫)
◾‘হে আমাদের রব, আমরা দেখেছি ও শুনেছি, কাজেই আমাদেরকে পুনরায় পাঠিয়ে দিন, আমরা সৎকর্ম করব। নিশ্চয় আমরা দৃঢ় বিশ্বাসী’। (৩২ঃ১২)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করে দিন, আমরা পূর্বে যে আমল করতাম, তার পরিবর্তে আমরা নেক আমল করব’। (৩৫ঃ৩৭)
◾‘হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আযাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।’ (৪৪ঃ১২)
◾‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে আমরা আপনার আয়াতসমূহ অনুসরণ করতাম আর আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুর্ক্ত হতাম’। (২৮ঃ৪৭)
◾‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট’। ‘হে আমাদের রব, এ থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা আবার তা করি তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’ (২৩ঃ১০৬-১০৭)
◾‘হে আমাদের রব, ওরা তো তারা যাদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম। তাদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম যেমন আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আমরা আপনার কাছে দায় মুক্তি চাচ্ছি। তারা তো আমাদের ইবাদাত করত না’। (২৮ঃ৬৩)
◾‘হে আমাদের রব, যে আমাদের জন্য এ বিপদ এনেছে, জাহান্নামে তুমি তার আযাবকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দাও।’ (৩৮ঃ৬১)
◾‘হে আমাদের রব, আমরা আমাদের নেতৃবর্গ ও বিশিষ্ট লোকদের আনুগত্য করেছিলাম, তখন তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল’। ‘হে আমাদের রব, আপনি তাদেরকে দ্বিগুণ আযাব দিন এবং তাদেরকে বেশী করে লা‘নত করুন’। (৩৩ঃ৬৭-৬৮)
◾‘হে আমাদের রব, জিন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের উভয়কে আমাদের পায়ের নীচে রাখব, যাতে তারা নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হয়। (৪১ঃ২৯)
◾‘হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই যমীনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয় তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব’। (১৫ঃ৩৯, ইবলিশ)
◾‘হে আমার রব, নিশ্চয় এসব মূর্তি অনেক মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে, সুতরাং যে আমার অনুসরণ করেছে, নিশ্চয় সে আমার দলভুক্ত, আর যে আমার অবাধ্য হয়েছে, তবে নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। ১৪ঃ৩৬)
◾‘হে আমাদের ‘রব’, আমি তাকে বিদ্রোহী করে তুলিনি, বরং সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রষ্টতার মধ্যে’। (৫০ঃ২৭)
◾‘হায়, আমাদের দুর্ভোগ! আমরা তো এ বিষয়ে উদাসীন ছিলাম বরং আমরা ছিলাম যালিম’ । (২১ঃ৯৭)

কোৰআনৰ দোৱা, বাংলা

কুরআনুল কারীম থেকে প্রার্থনামূলক আয়াত:
কুরআন থেকে দোয়া: ১

اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ. صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।'[কুরআন ১:৬-৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ২

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।'[কুরআন ২ :১২৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে তোমার অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের ইবাদাতের নিয়ম-কানুন বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু।'[কুরআন ২ : ১২৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান করো এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করো এবং আমাদিগকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করো।'[কুরআন ২ : ২০১]
কুরআন থেকে দোয়া: ৫

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ, আর কাফির জাতির বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর।'[কুরআন ২ : ২৫০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৬

رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।’
[কুরআন ২ : ২৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ৭

رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছিলে।’
[কুরআন ২ : ২৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ৮

رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমিই আমাদের প্রতিপালক। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে করো।’
[কুরআন ২ : ২৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ৯

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।'[কুরআন ৩ : ৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ১০

رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।’ [কুরআন ৩ : ৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ১১

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।’
[কুরআন ৩ : ১৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ১২

رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও।’ [কুরআন ৩ : ৫৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৩

ربَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফিরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর।'[কুরআন ৩ : ১৪৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৪

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও।'[কুরআন ৩ : ১৯১]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৫

رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করবে, তাকে অবশ্যই তুমি অপমান করবে; আর জালিমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই।'[কুরআন ৩ : ১৯২]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৬

رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি।'[কুরআন ৩ : ১৯৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৭

رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।'[কুরআন ৩ : ১৯৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৮

رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা ভঙ্গ করো না। ৩ : ১৯৪
কুরআন থেকে দোয়া: ১৯

رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনলাম, অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও।'[কুরআন ৫ : ৮৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ২০

رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা।'[কুরআন ৫ : ১১৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ২১

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।'[কুরআন৭:২৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ২২

رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ জালিমদের সাথী করো না।'[কুরআন ৭ : ৪৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৩

رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আর আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করে দাও। আপনিই শ্রেষ্টতম ফয়সালাকারী।'[কুরআন ৭ : ৮৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৪

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান কর।'[কুরআন ৭ : ১২৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৫

رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের নির্যাতনের পাত্র করোনা। আর তোমার অনুগ্রহে আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো।'[কুরআন ১০ : ৮৫-৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৬

رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপন করি এবং যা কিছু প্রকাশ করি। আসমান ও জমীনের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন নয়।'[কুরআন ১৪ : ৩৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৭

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও।’ ১৪:৪০
কুরআন থেকে দোয়া: ২৮
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।'[কুরআন ১৪ : ৪০]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৯

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিনে আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করে দিও।'[কুরআন ১৪ : ৪১]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩০

رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।'[কুরআন ১৮: ১০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩১

رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে।[কুরআন ২০ : ৪৫]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩২

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।'[কুরআন ২৩ : ১০৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৩

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কাছ থেকে জাহান্নামের শাস্তি দূর কর। নিশ্চয় এর শাস্তি ভয়াবহ বিপদ।'[কুরআন ২৫ : ৬৫]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৪

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।'[কুরআন ২৫ : ৭৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৫
رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ
‘আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় পরম ক্ষমাশীল, বড়ই মর্যাদাদানকারী।'[কুরআন ৩৫: ৩৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৬

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছু বেষ্টন করে রেখেছেন। কাজেই যারা তাওবাহ করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।'[কুরআন ৪০ : ৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৭

رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُم وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَن تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য।'[কুরআন ৪০ : ৮-৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৮

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এবং আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না।’৫৯ : ১০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৯
رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আপনি অতি দয়ালু, পরম করুণাময়।'[কুরআন ৫৯ : ১০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪০
ربَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন।'[কুরআন ৬০ : ৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪১

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে কাফিরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।'[কুরআন ৬০ : ৫]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪২

رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।'[কুরআন ৬৬ : ৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪৩
ربِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, এবং হে আমাদের প্রতিপালক! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।'[কুরআন২৩ : ৯৭-৯৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪৪
رَّبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرًا
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে যেখানেই তুমি প্রবেশ করাও সত্য ও সম্মানের সাথে প্রবেশ করাও এবং যেখান থেকেই বের কর সত্য ও সম্মানের সাথে বের করো; আর তোমার নিকট হতে এক সাহায্যকারী শক্তি দান কর।'[কুরআন ১৭ : ৮০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪৫

رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلاَّ تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, আমার প্রতি দয়া না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব।'[কুরআন ১১ : ৪৭]

টাইপে ভুল হতে পারে । রেফারেন্স ফলো করা যেতে পারে।

Source fb:

Duas from Quran.bangla

By syed wali fbfd

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ যে সকল প্রার্থনা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন

ক. বিপদ-আপদ থেকে পরিত্রাণ (বর্তমান প্রেক্ষিত)
২. ১৫৫-১৫৬: আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করিব। তুমি শুভসংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে- যাহারা তাহারে উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে (দ্রষ্টব্য: আরাবী শব্দ কালু: বলা) :

‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’
২১. ৮৩-৮৪: এবং স্মরণ কর আইউবের কথা যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া বলিয়াছিল (দ্রষ্টব্য: আরাবী শব্দ নুদাআ: ক্রন্দন করে প্রার্থনা):
‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়িয়াছি, আর আপনি তো সর্বশেষ্ঠ দয়ালু!’

তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিলাম, তাহার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করিয়া দিলাম, তাহাকে তাহার পরিবার-পরিজন ফিরাইয়া দিলাম এবং তাহাদের সঙ্গে তাহাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতরূপে এবং ‘ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

২১. ৮৭-৮৮: এবং স্মরণ কর যুন-্ নূন (ইঊসুস আঃ) -এর কথা, যখন সে ক্রোধভারে বাহির হইয়া গিয়াছিল এবং মনে করিয়াছিল আমি তাহার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করিব না। অতঃপর সে অন্ধকার (মাছের পেট) হইতে আহ্বান করিয়াছিল (দ্রষ্টব্য: আরাবী শব্দ নুদাআ: ক্রন্দন করে প্রার্থনা):
‘আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; আপনি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী।’

তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে উদ্ধার করিয়াছিলাম দুশ্চিন্তা হইতে এবং এইভাবেই আমি মু’মিনদেরকে উদ্ধার করিয়া থাকি।

৬৮: ২৬-৩২: অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল (কয়েক ব্যক্তি তাদের সম্পদে দরিদ্র মানুষের যে হক তা থেকে দরিদ্রদেরকে বঞ্চণা করার কৌশল অবলম্বনের কারণে তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর) তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি। বরং আমরা তো বঞ্চিত।’
উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন?’
তখন উহারা বলিল:
‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’——–। — ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী। সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’

খ. বিস্তারিত (পবিত্র কুরআনে সুরার ক্রমানুসারে)

১. ১-৭: সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্রই, যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু, কর্মফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ‘ইবাদত করি, শুধু আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদিগকে সরল পথ প্রদর্শন করুন, তাহাদের পথ, যাহাদিগকে আপনি অনুগ্রহ দান করিয়াছেন, তাহাদের পথ নহে যাহারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।

২. ৫৮. স্মরণ কর, যখন আমি বলিলাম, ‘এই জনপদে প্রবেশ কর, যেথা ইচ্ছা স্বচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দ্বারা দিয়া এবং বল:
‘ক্ষমা চাই’।
আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিব এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করিব।’

২. ১২৬- ১২৯: স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! ইহাকে (এই শহরকে) নিরাপদ শহর করুন, আর ইহার অধিবাসীদের মধ্যে যাহারা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনে তাহাদেরকে ফলমূল হইতে জীবিকা প্রদান করুন।’
তিনি বলিলেন, ‘যে কেহ কুফরী করিবে তাহাকেও কিছুকালের জন্য জীবন উপভোগ করিতে দিব, অতঃপর তাহাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করিতে বাধ্য করিব এবং কত নিকৃষ্ট তাহাদের প্রত্যাবর্তনস্থল!’
স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল কা’বাগৃহের প্রাচীর তুলিতেছিল তখন তাহারা বলিয়াছিল:
‘হে আমারে প্রতিপালক! আমাদের এই কাজ গ্রহণ করুন, নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হইতে আপনার এক অনুগত উম্মত করিবেন। আমাদেরকে ‘ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখাইয়া দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হোউন। আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের প্রতিপালক! তাহাদের মধ্য হইতে তাহাদের নিকট একজন রাসূল প্রেরণ করিবেন – যে আপনার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করিবে; তাহাদেরকে কিতাব ও হিক্মত শিক্ষা দিবে এবং তাহাদেরকে পবিত্র করিবে। আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’

২. ১৩৫-১৩৬ :—— ; বল, ‘ আমরা বরং একনিষ্ঠ হইয়া ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করিব এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।’
তোমরা বল:
‘আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি, এবং যাহা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়া’কূব ও তাহার বংশধরগণের প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে; এবং যাহা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে মূসা, ‘ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেওয়া হইয়াছে; আমরা তাহাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তঁহারই নিকট আত্মসমর্পণকারী।’

২. ১৩৮: ‘আমরা গ্রহণ করিলাম আল্লাহ্র রং, রঙে আল্লাহ্ অপেক্ষা কে অধিকতর সুন্দর? এবং আমরা তাঁহারই ‘ইবাদতকারী।’

২. ১৫৬: যাহারা তাহার উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে:
‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’

২. ২০০-২০২: অতঃপর যখন তোমরা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করিবে তখন আল্লাহ্কে এমনভাবে স্মরণ করিবে যেমন তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষগণকে স্মরণ করিতে, অথবা তদপেক্ষা অভিনিবেশ সহকারে। মানুষের মধ্যে যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেই দিন’
বস্তুত পরকালে তাহাদের জন্য কোন অংশ নাই। আর তাহাদের মধ্যে যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং আখিরাতে কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা করুন-’
তাহারা যাহা অর্জন করিয়াছে তাহার প্রাপ্য অংশ তাহাদেরই। বস্তুত আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।

২. ২৫০: তাহারা যখন যুদ্ধার্থে জালূত ও তাহার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হইল তখন তাহারা বলিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য্য দান কর, আমাদের পা অবিচলিত রাখ এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর।’

২. ২৮৫-২৮৬: রাসূল, তাহার প্রতি তাহার প্রতিপালকের পক্ষ হইতে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে ঈমান আনিয়াছে এবং মু‘মিনগণও। তাহাদের সকলে আল্লাহে, তাঁহার ফেরেশতাগণে, তাঁহার কিতাব সমূহে এবং তাঁহার রাসূলগণে ঈমান আনিয়াছে। তাহারা বলে:
‘আমরা তাঁহার রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না —— আমরা শুনিয়াছি এবং পালন করিয়াছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন আপনারই নিকট। আল্লাহ্ কাহারও উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অপর্ণ করেন না যাহা তাহার সাধ্যতীত। সে ভাল যাহা উপার্জন করে তাহার প্রতিফল তাহারই এবং সে মন্দ যাহা উপার্জন করে তাহার প্রতিফল তাহারই।
হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববতিগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করিয়া ছিলেন আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করিবেন না যাহা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।’

৩. ৮-৯: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনপ্রবণ করিবেন না এবং আপনার নিকট হইতে আমাদেরকে করুণা দান করুন, নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মানব জাতিকে একদিন একত্রে সমবেত করিবেন, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’

৩. ১৬: যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি; সুতরাং তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব হইতে রক্ষা করুন’;
তাহারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত, ব্যয়কারী এবং শেষ রাত্রে ক্ষমাপ্রার্থী।

৩. ২৬- ২৭: বল:
‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! আপনি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া নেন; যাহাকে ইচ্ছা আপনি ইজ্জত দান কর, আর যাহাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনার হাতেই। নিশ্চয়ই আপনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। আপনি রাত্রিকে দিবসে পরিণত এবং দিবসকে রাত্রিতে পরিণত করেন : আপনিই মৃত হইতে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটান, আবার জীবন্ত হইতে মৃতের আবির্ভাব ঘটান। আপনি যাহাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান করেন।’

৩. ৩৫: স্মরণ কর, যখন ইমরানের স্ত্রী বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমার গর্ভে যাহা আছে তাহা একান্ত আপনার জন্য আমি উৎসর্গ করিলাম। সুতরাং আপনি আমার নিকট হইতে উহা কবূল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’

৩. ৩৬: অতঃপর যখন সে উহাকে প্রসব করিল তখন সে বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমি কন্যা প্রসব করিয়াছি।’ —- ‘আর ছেলে তো এই মেয়ের মত নয়, আমি উহার নাম ‘র্মাইয়াম’ রাখিয়াছি এবং অভিশপ্ত শয়তান হইতে তাহার ও তাহার বংশধরদের জন্য আপনার শরণ লইতেছি।’

৩. ৩৮: সেখানেই যাকারিয়া তাহার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করিয়া বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আপনি আপনার নিকট হইতে সৎ বংশধর দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’

৩. ৫৩: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে আমরা ঈমান আনিয়াছি এবং আমরা এই রাসূলের অনুসরণ করিয়াছি। সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাাভুক্ত করুন।’ (ঈসা আঃ-এর অনুসারী হাওয়ারীগন এই প্রার্থনা করে)

৩. ১৪৬- ১৪৭: এবং কত নবী যুদ্ধ করিয়াছে, তাহাদের সঙ্গে বহু আল্লাহ্ওয়ালা ছিল। আল্লাহ্র পথে তাহাদের যে বিপর্যয় ঘটিয়াছিল তাহাতে তাহারা হীনবল হয় নাই, দুর্বল হয় নাই এবং নত হয় নাই। আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের ভালবাসেন।
এই কথা ব্যতীত তাহাদের আর কোন কথা ছিল না:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ এবং আমাদের কাজে সীমালংঘন আপনি ক্ষমা করুন, আমাদের পা সুদূঢ় রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।’

৩. ১৯১-১৯৪: যাহারা দাঁড়াইয়া, বসিয়া ও শুইয়া আল্লাহ্কে স্মরণ করে এবং আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে ও বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি ইহা নিরর্থক সৃষ্টি করেন নাই, আপনি পবিত্র, আপনি আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! কাহাকেও আপনি দোজখে নিক্ষেপ করিলে তাহাকে তো আপনি নিশ্চয়ই লাঞ্ছিত করিলেন এবং জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই; হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করিতে শুনিয়াছি, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন।’ সুতরাং আমরা ঈমান আনিয়াছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের পাপ ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলি দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্ম পরায়ণদের সহগামী করিয়া মৃত্যু দিন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যাহা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন তাহা আমাদেরকে দিন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করিবেন না। নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’

৪. ৭৫: তোমাদের কী হইল যে, তোমরা যুদ্ধ করিবে না আল্লাহ্র পথে এবং অসহায় নরনারী এবং শিশুগণের জন্য, যাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই জনপদ- যাহার অধিবাসী জালিম, উহা হইতে আমাদেরকে অন্যত্র লইয়া যাও; তোমার নিকট হইতে কাহাকেও আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হইতে কাহাকেও আমাদের সহায় কর।’

৫. ৮৩-৮৫: রাসূলের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যখন তাহারা শ্রবণ করে তখন তাহারা যে সত্য উপলব্ধি করে তাহার জন্য তুমি তাহাদের চক্ষু অশ্রু-বিগলিত দেখিবে। তাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি; সুতরাং তুমি আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাভুক্ত কর। আল্লাহে ও আমাদের নিকট আগত সত্যে আমাদের ঈমান না আনার কী কারণ থাকিতে পারে যখন আমরা প্রত্যাশা করি, আল্লাহ্ আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভূক্ত করুন?’

এবং তাহাদের এই কথার জন্য আল্লাহ্ তাহাদের পুরস্কার নির্দিষ্ট করিয়াছেন জান্নাত- যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে। ইহা সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার।

৭. ২৩: তাহারা (নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করার পর আদম এবং তার সঙ্গীনি) বলিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করিয়াছি, যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইব।’

৭. ৪৭: যখন তাহাদের দৃষ্টি দোজখবাসীদের প্রতি ফিরাইয়া দেওয়া হইবে তখন তাহারা (আরাফবাসী) বলিবে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের সঙ্গী করিবেন না।’

৭. ৫৫-৫৬: তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক; তিনি সীমালংঘনকারীদেরকে পসন্দ করেন না। দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তোমরা উহাতে বিপর্যয় ঘটাইও না, তাঁহাকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী।

৭. ৮৯: —–। —। ‘সব কিছুই আমাদের প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্ত, আমরা আল্লাহ্র প্রতি নির্ভর করি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ন্যায্যভাবে মীমাংসা করিয়া দিন এবং আপনিই শ্রেষ্ঠ মীমাংসাকারী।’ (রাসুল শু‘আয়ব আঃ-এর প্রার্থনা)

৭. ১৪৯: তাহারা (মূসা আঃ-এর সম্প্রদায়) যখন অনুতপ্ত হইল ও দেখিল যে, তাহারা বিপথগামী হইয়া গিয়াছে, তখন তাহারা বলিল (গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ পর নিজেদের ভুল বোঝার পর মূসা আঃ-এর সম্প্রদায়ের একাংশের প্রার্থণা) :
‘আমাদের প্রতিপালক যদি আমাদের প্রতি দয়া না করেন ও আমাদেরকে ক্ষমা না করেন তবে আমরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হইবই।’

৭. ১৫১: মূসা বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ও আমার ভ্রাতাকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আপনার রহমতের মধ্যে দাখিল করুন। আপনিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

৭. ১৫৫-১৫৬: মূসা স্বীয় সম্প্রদায় হইতে সত্তরজন লোককে আমার নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য মনোনীত করিল। তাহারা যখন ভূমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হইল, তখন মুসা বলিল:

‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি ইচ্ছা করিলে পূর্বেই তো ইহাদেরকে এবং আমাকেও ধ্বংস করিতে পারিতেন! আমাদের মধ্যে যাহারা নির্বোধ, তাহারা যাহা করিয়াছে সেইজন্য কি আপনি আমাদেরকে ধ্বংস করিবেন? ইহা তো শুধু আপনার পরীক্ষা, যদ্ধারা আপনি যাহাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। আপনিই তো আমাদের অভিভাবক; সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি দয়া করুন এবং ক্ষমাশীলদের মধ্যেই আপনিই তো শ্রেষ্ঠ। আমাদের জন্য নির্ধারিত করুন দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ, আমরা আপনারই নিকট প্রত্যাবর্তন করিয়াছি।’

আল্লাহ বলিলেন, ‘আমার শাস্তি যাহাকে ইচ্ছা দিয়া থাকি আর আমার দয়া- তাহা তো প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত। সুতরাং আমি উহা তাহাদের জন্য নির্ধারিত করিব যাহারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমার আয়াতে বিশ্বাস করে।

৯. ১২৯: অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তুমি বলিও:
‘আমার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। আমি তাহারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহার্আশের অধিপতি।’

১০. ৮৪-৮৫: মূসা বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহ্তে ঈমান আনিয়া থাক, যদি তোমরা আত্মসমর্পণকারী হও তবে তোমরা তাঁহারই উপর নির্ভর কর।’ অতঃপর তাহারা বলিল:

‘আমরা আল্লার্হ উপর নির্ভর করিলাম। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিম সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র করিবেন না; এবং আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহে কাফির সম্প্রদায় হইতে রক্ষা করুন।’

১০. ৮৮-৮৯: মূসা বলিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গকে পার্থিব জীবনে শোভা ও সম্পদ দান করিয়াছেন যদ্দ¦ারা, হে আমাদের প্রতিপালক! উহারা মানুষকে আপনার পথ হইতে ভ্রষ্ট করে। হে আমাদের প্রতিপালক! উহাদের সম্পদ বিনষ্ট করুন, উহাদের হৃদয় কঠিন করিয়া দিন, উহারা তো মর্মন্তুদ শাস্তি প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত ঈমান আনিবে না।’

তিনি বলিলেন, ‘তোমাদের দুইজনের দু‘আ কবুল হইল, সুতরাং তোমরা দৃঢ় থাক এবং তোমরা কখনও অজ্ঞদের পথ অনুসরণ করিও না।

১১. ৪৭: সে (নূহ আঃ) বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে যাহাতে আপনাকে অনুরোধ না করি, এইজন্য আমি আপনার শরণ লইতেছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং আমাকে দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইব।’

১২. ১০১: (ইউসুফ আঃ-এর প্রার্থনা): ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে রাজ্য দান করিয়াছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়াছেন। হে আকাশম-লী ও পৃথিবীর স্রষ্টা ! আপনিই ইহলোক ও পরলোকে আমার অভিভাবক। আপনি আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দিন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন।’

১৪. ৩৫-৪১: স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! এই নগরীকে নিরাপদ করিবেন এবং আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পূজা হইতে দূরে রাখিবেন। হে আমার প্রতিপালক! এই সকল প্রতিমা তো বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করিয়াছে। সুতরাং যে আমার অনুসরণ করিবে সে-ই আমার দলভূক্ত, কিন্তু কেহ আমার অবাধ্য হইলে আপনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করাইলাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র গৃহের নিকট, হে আমাদের প্রতিপালক! এইজন্য যে, উহারা যেন সালাত কায়েম করে। অতএব আপনি কিছু লোকের অন্তর উহাদের প্রতি অনুরাগী করিয়া দিবেন এবং ফলাদি দ্বারা উহাদের রিযিকের ব্যবস্থা করিবেন, যাহাতে উহারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো জানেন যাহা আমরা গোপন করি ও যাহা আমরা প্রকাশ করি; আকাশম-লী ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহ্র নিকট গোপন থাকে না। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইস্মাঈল ও ইস্হাককে দান করিয়াছেন। আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনিয়া থাকেন।’
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হইতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! যেই দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হইবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করিবেন।’

১৭. ২৩-২৪: তোমরা প্রতিপালক আদেশ দিয়াছেন তিনি ব্যতীত অন্য কাহারও ‘ইবাদত না করিতে ও পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করিতে। তাহাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হইলে তাহাদেরকে ‘উফ্ বলিও না এবং তাহাদেরকে ধমক দিও না; তাহাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলিও। মমতাবশে তাহাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত করিও এবং বলিও:

‘হে আমার প্রতিপালক! তাহাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তাহারা আমাকে প্রতিপালন করিয়াছিলেন।’

১৭. ৮০: বল ’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সঙ্গে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত করাও কল্যাণের সঙ্গে এবং আপনার নিকট হইতে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি।’

১৮. ১০: যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় লইল তখন তাহারা বলিয়াছিল:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজ হইতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’

১৮. ১৩-১৫: আমি তোমার নিকট উহাদের (কাহাফবাসীদের) বৃত্তান্ত সঠিকভাবে বর্ণনা করিতেছি: উহারা ছিল কয়েকজন যুবক, উহারা উহাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনিয়াছিল এবং আমি উহাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করিয়াছিলাম,
এবং আমি উহাদের চিত্ত দৃঢ় করিয়া দিলাম; উহারা যখন উঠিয়া দাঁড়াইল তখন বলিল:
‘আমাদের প্রতিপালক আকাশম-লী ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আমরা কখনই তাঁহার পরিবর্তে অন্য কোন ইলাহ্কে আহ্বান করিব না; যদি করিয়া বসি, তবে উহা অতিশয় গর্হিত হইবে। আমাদেরই এই স্বজাতিগণ, তাঁহার পরিবর্তে অনেক ইলাহ্ গ্রহণ করিয়াছে। ইহারা এই সমস্ত ইলাহ্ সন্বদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না কেন? যে আল্লাহ্ সন্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে?

২০. ১১৪: আল্লাহ অতি মহান, প্রকৃত অধিপতি। তোমার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পূর্ণ হইবার পূর্বে কুরআন পাঠে তুমি ত্বরা করিও না এবং বল:
’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।’ (রাব্বি জিদনি ইলমা)

২১. ৮৩-৮৪: এবং স্মরণ কর আইউবের কথা যখন সে তাহার প্রতিপালককে ক্রন্দন করিয়া বলিয়াছিল:
‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়িয়াছি, আর আপনি তো সর্বশেষ্ঠ দয়ালু!’
তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিলাম, তাহার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করিয়া দিলাম, তাহাকে তাহার পরিবার-পরিজন ফিরাইয়া দিলাম এবং তাহাদের সঙ্গে তাহাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতরূপে এবং ‘ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

২১. ৮৭-৮৮: এবং স্মরণ কর যুন-্ নূন (ইঊসুস আঃ) -এর কথা, যখন সে ক্রোধভারে বাহির হইয়া গিয়াছিল এবং মনে করিয়াছিল আমি তাহার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করিব না। অতঃপর সে অন্ধকার (মাছের পেট) হইতে ক্রন্দন করিয়া আহবান করিয়াছিল:
‘আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; আপনি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী।’

তখন আমি তাহার ডাকে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে উদ্ধার করিয়াছিলাম দুশ্চিন্তা হইতে এবং এইভাবেই আমি মু’মিনদেরকে উদ্ধার করিয়া থাকি।

২১. ৮৯-৯০: এবং স্মরণ কর যাকারিয়ার কথা, যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা রাখিবেন না, আপনি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী।’

অতঃপর আমি তাহার আহ্বানে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে দান করিয়াছিলাম ইয়াহ্ইয়া এবং তাহার জন্য তাহার স্ত্রীকে যোগ্যতাসম্পন্ন করিয়াছিলাম। তাহারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করিত, তাহারা আমাকে ডাকিত আশা ও ভীতির সঙ্গে এবং তাহারা ছিল আমার নিকট বিনীত।

২৩. ২৮-২৯: যখন তুমি (নূহ আঃ) ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করিবে তখন বলিও:
‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আমাদেরকে উদ্ধার করিয়াছেন জালিম সম্প্রদায় হইতে।’
আরও বলিও:
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করান যাহা হইবে কল্যাণকর’; আর আমিই শ্রেষ্ঠ অবতরণকারী।’

২৩. ৯৩-৯৪: বল:
‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইতেছে, আপনি যদি তাহা আমাকে দেখাইতে চান, তবে, হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে জালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত করিবেন না।’

২৩. ৯৭-৯৮: বল:
‘হে আমার প্রতিপালক ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হইতে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট উহাদের উপস্থিতি হইতে।’

২৩. ১০৯: আমার বান্দাগণের মধ্যে একদল ছিল যাহারা বলিত:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
(রাব্বানা আমান্না, ফাগফিরলানা ওয়ারাহামনা ওয়া আনতা খায়রুন রাহিমিন)

২৩. ১১৮: বল:
‘হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আপনিই তো সবশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

২৫. ৬৪- ৬৬: এবং তাহারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজ্দাবনত হইয়া ও দ-ায়মান থাকিয়া; এবং তাহারা বলে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত করুন, উহার শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ; নিশ্চয়ই উহা অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস হিসাবে নিকৃষ্ট।’

২৫. ৭৪-৭৫: এবং যাহারা প্রার্থনা করে:
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তানসন্ততি দান করুন যাহারা হইবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে করুন মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য।”

তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে।

২৬. ৮৩-৮৭: (ইবরাহীম আঃ এর প্রার্থণা):
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান করুন এবং সৎকমপরায়ণদের শামিল করুন। আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী করুন, এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন, আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন, —- এবং আমাকে লাঞ্ছিত করিবেন না পুনরুত্থান দিবসে”

২৬. ১৬৯-১৭০: (লুত আঃ-এর প্রার্থণা): ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এবং আমার পরিবার-পরিজনকে, উহারা যাহা করে, তাহা হইতে রক্ষা করুন।’

অতঃপর আমি তাহাকে এবং তাহার পরিবার-পরিজন সকলকে রক্ষা করিলাম।

২৭. ১৯: সুলায়মান উহার উক্তিতে মৃদু হাস্য করিল এবং বলিল:

‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাহাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করিয়াছেন তাহার জন্য এবং যাহাতে আমি সৎকার্য করিতে পারি যাহা আপনি পসন্দ করেন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন।’

২৭. ৯১-৯২: ‘আমি তো আদিষ্ট হইয়াছি এই নগরীর প্রভুর ‘ইবাদত করিতে, যিনি ইহাকে করিয়াছেন সম্মানিত। সমস্ত কিছু তাঁহারই। আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, যেন আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, কুরআন তিলাওয়াত করিতে’, অতএব যে ব্যক্তি সৎপথ অনুসরণ করে, সে সৎপথ অনুসরণ করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। ———।’

২৮. ১৬: সে (মুসা আঃ) বলিল: ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আমার নিজের প্রতি জুলুম করিয়াছি; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’
অতঃপর তিনি তাহাকে ক্ষমা করিলেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

২৮ ১৭: ১৭. সে (মূসা আঃ) আরও বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছ, আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হইব না।’

২৮. ২১: ভীত সতর্ক অবস্থায় সে (মূসা আঃ) সেখান হইতে বাহির হইয়া পড়িল এবং বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি জালিম সম্প্রদায় হইতে আমাকে রক্ষা করুন।’ (রুকু’ ৩)

২৮. ২৪: মূসা তখন উহাদের পক্ষে পশুগুলিকে পানি পান করাইল। তৎপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া বলিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করিবেন আমি তো তাহার কাঙ্গাল।’

৩৯. ৪৬: বল: ‘হে আল্লাহ্! আকাশম-লী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, আপনার বান্দাগণ যে বিষয়ে মতবিরোধ করে, আপনি তাহাদের মধ্যে উহার ফয়সালা করিয়া দিবেন।’

৪৩. ১২-১৪: আর যিনি সকল প্রকারের জোড়া যুগল সৃষ্টি করেন এবং যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন এমন নৌযান ও আন‘আম, যাহাতে তোমরা আরোহন কর, যাহাতে তোমরা উহাদের পৃষ্ঠে স্থির হইয়া বসিতে পার। তারপর তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ কর যখন তোমরা উহার উপর স্থির হইয়া বস; এবং বল:

‘পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি ইহাদেরকে (উট, নৌকাসহ যানবাহন) আমাদের বশীভূত করিয়া দিয়াছেন, যদিও আমরা সমর্থ ছিলাম না ইহাদেরকে বশীভূত করিতে। আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করিব।’

৪৬. ১৫: আমি মানুষকে তাহার মাতা পিতার প্রতি সৎ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়াছি। তাহার জননী তাহাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সহিত এবং প্রসব করে কষ্টের সহিত, , তাহাকে গর্ভে ধারণ করিতে ও তাহার স্তন্য ছাড়াইতে লাগে ৩০ মাস, ক্রমে সে যখন পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং ৪০ বৎসরে উপনীত হয়, তখন বলে:

‘হে আমার প্রতিপালক। আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাহাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি। আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করিয়াছেন তাহার জন্য এবং যাহাতে আমি সৎকার্য করিতে পারি যাহা আপনি পছন্দ করেন; আমার জন্য আমার সন্তান-সন্তুতিদিগকে সৎকর্মপরায়ন করুন আমি আপনারই অভিমুখী হইলাম। এবং আমি অবশ্যয় সৎকর্মপরায়নদের অন্তর্ভূক্ত।’

৫৯. ১০: যাহারা উহাদের পরে (পরে ইসলাম গ্রহণ করিয়াছে) আসিয়াছে, তাহারা বলে:

‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন এবং মু’মিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।’

৬০. ৪-৫: তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তাহার অনুসারীদের মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। যখন তাহারা তাহাদের সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহার ইবাদত কর তাহার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হইল শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যদি না তোমরা এক আল্লাহ্তে ঈমান আন।’ তবে ব্যতিক্রম তাহার পিতার প্রতি ইব্রাহীমের উক্তি; ‘আমি নিশ্চয়ই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাা করিব; এবং তোমার ব্যাপারে আল্লাহ্র নিকট আমি কোন অধিকার রাখি না।’
ইব্রাহীম ও তাহার অনুসারিগণ বলিয়াছিল:

‘হে আমারদের প্রতিপালক! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করিয়াছি, আপনারই অভিমুখী হইয়াছি এবং প্রত্যাবর্তন তো আপনারই নিকট। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের কাফিরদের পীড়নের পাত্র করিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন; আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

৬৬. ১১: আল্লাহ্ মু’মিনদের জন্য দিতেছেন ফির‘আওন পত্নীর দৃষ্টান্ত, যে প্রার্থনা করিয়াছিল :
‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার সন্নিধানে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করিও এবং আমাকে উদ্ধার কর ফিরা‘আওন ও তাহার দুষ্কৃতি হইতে এবং আমাকে উদ্ধার কর জালিম সম্প্রদায় হইতে।’

৬৮: ২৬-৩২: অতঃপর উহারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করিল, তখন বলিল, ‘আমরা তো দিশা হারাইয়া ফেলিয়াছি। বরং আমরা তো বঞ্চিত।’
উহাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলিল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই? এখনও তোমরা আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছ না কেন?’
তখন উহারা বলিল:
‘আমরা আমাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতেছি, আমরা তো সীমালংঘনকারী ছিলাম।’——–। — ‘হায়, দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম সীমালংঘনকারী। সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক ইহা হইতে আমাদেরকে উৎকৃষ্টতর বিনিময় দিবেন, আমরা আমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হইলাম।’

৭১. ২৬-২৮: নূহ্ আরও বলিয়াছিল:
‘হে আমার প্রতিপালক! পৃথিবীতে কাফিরগণের মধ্যে হইতে কোন গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিও না। তুমি উহাদেরকে অব্যাহতি দিলে উহারা তোমার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করিবে এবং জন্ম দিতে থাকিবে কেবল দুষ্কৃতিকারী ও কাফির। হে আমার প্রতিপালক! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং যাহারা মু’মিন হইয়া আমার গৃহে প্রবেশ করে তাহাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে; আর জালিমদের শুধুধ্বংসই বৃদ্ধি কর।’

১১৩. ১-৪: বল: ‘আমি শরণ লইতেছি ঊষার স্রষ্টার, তিনি যাহা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহার অনিষ্ট হইতে, অনিষ্ট হইতে রাত্রির অন্ধকারের, যখন উহা গভীর হয় এবং অনিষ্ট হইতে সমস্ত নারীদের, যাহারা গ্রন্থিতে ফুৎকার দেয় এবং অনিষ্ট হইতে হিংসকের, যখন সে হিংসা করে।’

১১৪. ১-৬: বল, ‘আমি শরণ লইতেছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের নিকট-আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হইতে- যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্যে হইতে এবং মানুষের মধ্যে হইতে।’

(অনুবাদ: কুরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

নোট: আমি চেষ্টা করেছি পবিত্র কুরআনে প্রাথর্ণা সংক্রান্ত সকল আয়াত এখানে সংযুক্ত করার। তবে মানুষ হিসাবে আমার ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। কোন আয়াত বাদ পড়তে পারে। তেমন কিছু কারো নজরে পড়লে তিনি যদি এখানে কমেন্টে বাদ পড়া আয়াতসমূহ উল্লেখ করে আমার ত্রুটি সংশোধন করেন তবে কৃতজ্ঞ হব। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।

যখন কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহ্র শরণ নিবে

Amirul Islam

৪৮. কুরআনে ‘কুরআন পাঠে প্রার্থনা, বুখারি-মুসলিমে ‘রাগ বিতাড়নের দু’আ!

.

কুরআনে দেখুন, ‘যখন কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহ্র শরণ নিবে, নিশ্চয়ই তার কোন আধিপত্য নেই তাদের ওপর যারা ঈমান আনে ও তাদের রবের ওপর নির্ভর করে। তার আধিপত্য তো কেবল তাদেরই ওপর যারা তাকে আঊলিয়ারূপে গ্রহণ করে এবং যারা আল্লাহ্র শরিক করে (১৬:৯৮-১০০)। [কুরআন পাঠের আগে আল্লাহ্ বলেন,] বল, ‘রাব্বি আঊযূবিকা মিন হামাযাতিশ্ শাইয়াতীন, ওয়া আঊযূবিকা রাব্বি আয়ইয়াহ্ দূরূন (আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে, আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতে);-২৩:৯৭-৯৮। [কুরআন পাঠের আগে মানব রচিত প্রার্থনা আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে কি?]

(Seek Refuge From Satan

 “When you read the Qur’an, you shall seek refuge with God from Satan the outcast. He has no authority over those who believe, and who put their trust in their Lord. His authority is over those who follow him, and set him up as a partner.” (16:98-100)

Before moving on to the next step in the Salat (reciting from the Scripture), it is advisable to seek God’s help against the interferences of the devil. Such imploring may take the form of a general call for assistance, or, by reciting from the words and verses in the Scripture which implore God’s help against the whispers of the devil (see 114:1-6).-FREE MIND)

.

বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘আমি (রাসূল) এমন একটি বাক্য জানি যদি সে তা বলে তবে তার রাগ চলে যাবে, তা এ-ই ‘আঊযূবিল্লাহি-মিনাশ্-শায়তানির- রাযীম (আমি আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই বিতাড়িত শয়তান হতে (মেশকাত-৫/২৩০৬)। [শয়তানের আধিপত্য মুশরিকদের (১৬:১০০) ওপর। আল্লাহ্র কোন শরিক (৬:১৬৩) নেই। তাহলে বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম কুরআন পাঠের আগে যা বলে তাতে তারা মুশরিক নয় কী?]

.

‘যারা কুরআন বিরোধী হাদিস মানেন দয়া করে তারা কোন মন্তব্য করবেন না। যদি মন্তব্য করতেই হয় তবে  ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থে ২৫২ টি কুরআন বিরোধী বিষয়ের হাদিস পড়ার পর মন্তব্য করুন। বই¬টি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

‘আমিন’ শব্দের ব্যবহার কি আমরা জানি?

➡[প্রার্থনা শেষে আমাদের বলা উচিত, ‘রাব্বানা! ওয়াতাকাব্বাল দু-য়ায়ি (আমাদের রব! আমার প্রার্থনা কবূল করুন)]🔙

By kamrul islam fbfd

‘আমিন’ শব্দের ব্যবহার কি আমরা জানি?
কুরআনে দেখুন, ‘আমি আমার রবের বাণী তোমাদের নিকট পৌঁছাচ্ছি এবং আমি তোমাদের একজন নসিয়তকারী, আমিন (বিশ্বস্ত);-৭:৬৮। ‘আমি তোমাদের জন্য এক রাসূলুন আমিন (বিশ্বস্ত রাসূল);-২৬:১০৭, ১২৫, ১৪৩, ১৬২, ১৭৮। [সোলাইমানের প্রশ্নের জবাবে একজন জিন বলল] এ (সিংহাসন আনার) ব্যাপারে আমি অবশ্যই ক্ষমতাবান, আমিন (বিশ্বস্ত);-২৭:৩৯। ‘তাদের একজন বলল, ‘হে পিতা! তুমি একে (মূসাকে) মজুর নিযুক্ত কর, কারণ তোমার মজুর হিসেবে উত্তম হবে সে ব্যক্তি. যে শক্তিশালী, আমিন (বিশ্বস্ত);-২৮:২৬। ‘মূসা বলল, ‘আল্লাহর বান্দাদের আমার নিকট ফিরিয়ে দাও। আমি তোমাদের একজন রাসূল, আমিন (বিশ্বস্ত);-৪৪:১৮।

প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘ইমাম যখন ‘আমিন’ বলবে তোমরাও ‘আমিন’ বলবে (বুখারি-মুসলিম);-মেশকাত-৩/১০৭০। ‘ইমাম যখন ‘গায়রিল্ মাগদুবি আলাইহিম্ ওয়ালাদ দোয়াল্লীন’ বলবেন তোমরা বলবে ‘আমিন’ (মুসলিম);-মেশকাত-২/৭৬৯। ‘রাসূলও…. উচ্চ স্বরে ‘আমিন’ বলেছেন (তিরমিযি, আবূ দাঊদ, ইবনূ মাযাহ ও দারেমী);-মেশকাত-২/৭৮৭। ‘ইমাম যখন ‘আমিন’ বলবে তোমরাও ‘আমিন’ বলবে। কেননা, যার ‘আমিন’ বলা হয় ফিরিশ্তাদের ‘আমিন’ বলার সাথে সাথে তার পূর্বেকার পাপসমূহ মাফ করা হবে। .. যখন পাঠক (ইমাম) ‘আমিন’ বলবে, তখন তোমরাও ‘আমিন’ বলবে..;-মেশকাত-২/৭৬৮; ৩/১২১৭; ৫/২১২৪। [আমিন অর্থ বিশ্বস্ত;-৭:৬৮; ১২:৫৪; ২৬:১০৭, ১২৫, ১৪৩, ১৬২, ১৭৮; ২৭:৩৯; ২৮:২৬, ৩১; ৪৪:১৮; ৮১:২১ আয়াত। আল্লাহর নির্দেশ, নবী ইব্রাহীমের অনুসরণ কর (২:১৩০; ১৬:১২৩)। আমরা অনুসরণ করি কার?]

ইঞ্জিলে দেখুন, ‘ভাইয়েরা, আমাদের খোদাবন্দ ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে এবং পাক-রূহের দেয়া মহব্বতের মধ্য দিয়ে আমি তোমাদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করচ্ছি, তোমরা আমার জন্য মুনাজাত দ্বারা আমার সংগে যুদ্ধ চালাতে থাক। তোমরা মুনাজাত কর, এহুদিয়াতে যারা খোদাকে অমান্য করে তাদের হাত হতে যেন রক্ষা পাই, …. আমিন;-৬ষ্ঠ খন্ড : রোমীয়-১৫:৩০-৩৩, পৃ: ৪৩৩। ইঞ্জিলের-৪২৫, ৪৩৬, ৪৬৪, ৫১৯, ৬৪২, ৬৫১, ৬৭২, ৬৭৭ ও ৭১৮ পৃষ্ঠায় মুনাজাত শেষে আমিন বলাহয়েছে।

তৌরাতে দেখুন, ‘মাবুদ তোমাকে রহমত দান করুন ও রক্ষা করুন; মাবুদের দয়া নূরের মত তোমার উপর পড়ুক, তাঁর মেহেরবানী তোমার উপর থাকুক। মাবুদ তাঁর মুখ তোমার দিকে ফিরান এবং তোমাকে শান্তি দিন, এভাবে তারা বনি-ইসরাইলদের উপর আমার নাম উচ্চারণ করবে, তাতে আমিই তাদের রহমত দান করব;-শূমারী ৭, আয়াত ২৪-২৭, পৃ: ৩৬৮। ‘সে লোকের উপর বদদোয়া দেয়া হয়েছে, যে ছাঁচে ফেলে কিংবা কাঠ বা পাথর খোদাই করে কোন মূর্তি তৈরি করে …. এ সমস্ত মূর্তি মাবুদের ঘৃনার জিনিস, কারিগরের হাতের কাজ মাত্র।’ তখন সকলে বলবে, ‘আমিন’;-দ্বিতীয় বিবরণ ২৭, আয়াত ১৫, পৃ:৫৩৭। তৌরাতের-৫৩৭-৫৩৯ পৃষ্ঠায় (দ্বিতীয় বিবরণ ২৭) এর ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ আয়াতে মুনাজাত শেষে আমিন বলা হয়েছে।

জবুরে দেখুন, ‘প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর যিনি ইসরাইলীয়দের মাবুদ, তাঁর প্রশংসা হোক। আমিন, আমিন;-জবুর শরীফ ৪১:১৩, পৃঃ ৭৫। ‘চিরকাল তাঁর মহিমাপূর্ণ নামের প্রশংসা হোক; সারা দুনিয়া তাঁর মহিমায় পূর্ণ হোক। আমিন, আমিন;-জবুর শরীফ ৭২:২০, পৃ: ১২৮। ‘চিরকাল আলহামদুলিল্লাহ্! আমিন, আমিন;-জবুর শরীফ ৮৯:৫২, পৃ: ১৬৪। [বি.দ্র.: শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে মুসলিমগণ। উক্ত সৌধগুলি ‘কারিগরের হাতের তৈরি’ এবং তাতে ফুল/ ফুলের মালা বা ফুলের তোড়া দ্বারা সম্মান করে ‘দীন ইসলামের’ নামধারী আলেমগণের নিকট থেকে দু‘আ শেষে ‘আমিন, বা আমিন, আমিন’ বলতে শুনা যায়। উক্ত আমিন বা আমিন! আমিন! বলাতে মনে হয় মুসলিমগণ কুরআন শিক্ষা ভুলেই গেছে।]

‘বিশ্ব চলছে ইঞ্জিলের বিকৃত আইনে! কুরআনে আছে কি‘ গ্রন্থের সর্বশেষ সংস্করণ থেকে সংকলিত।

কুরআনে দেখুন, [‘ইব্রাহীম প্রার্থনা করলেন এবং প্রার্থনা শেষে বললেন,] ‘আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। ‘রাব্বানা ওয়া তা ক্বাববাল্ দুয়া-য়ি’ (আমাদের রব! আমার প্রার্থনা কবুল করুন);-১৪:৪০।

কুরআনে দেখুন, ‘যে নিজেকে নির্বোধ করেছে সে ব্যতীত ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ হতে আর কে বিমুখ হবে!;-২:১৩০। ‘নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে তারা ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এ নবী ও যারা ঈমান এনেছে;-৩:৬৮। ‘তার অপেক্ষা দীনে কে উত্তম যে সৎকর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে;-৪:১২৫।

বল, ‘আমার রব তো আমাকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন; তাই সুপ্রতিষ্ঠিত দীন, ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ, সে ছিল একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না;-৬:১৬১। ‘এখন আমি তোমার প্রতি ওহী করলাম, ‘তুমি একনিষ্ঠ ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর; এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না;-১৬:১২৩। [উপরোক্ত আয়াতগুলো অনুসারে প্রার্থনা শেষে আমাদের বলা উচিত, ‘রাব্বানা! ওয়াতাকাব্বাল দু-য়ায়ি (আমাদের রব! আমার প্রার্থনা কবূল করুন)]