No grave punishment

By nazmul biswas

কোরানে কোথাও কবরের আজাবের কথা আছে কিঃ


মৃত্যুর পরের জগৎটা আখেরাত তথা গায়েব জগত। আর এই গায়েব জগত সম্পর্কে বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। (সূরা-বাকারা, আয়াত-১)। প্রভুর সকল গায়েব বিষয়ে ভয় করতে বলা হয়েছে। (সূরা-ইয়াছিন, আয়াত-১১)। আল্লাহ ছাড়া এই গায়েব জগতের জ্ঞান কারো নেই। (সূরা-নামল, আয়াত-৬৫)। (সূরা-ইউনুস, আয়াত-২০)। আল্লাহর কথা একমাত্র কোরআন, আর কোরআন থেকেই গায়েব জগতের বিষয়গুলো আমাদের জানতে হবে। নবী (স.) গায়েব সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না (সূরা আনআম : ৫০) (সূরা-আরাফ, আয়াত-১৮৮)। বিধায় নবী (স.) ওহী ব্যতীত (দ্বীনের কোনো বিষয়ে তথা গায়েব বিষয়ে) কাউকে সতর্ক করেন নি (সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৪৫)। কাজেই গায়েব জগত সম্পর্কে আমাদের একমাত্র কোরআন মোতাবেক ই জানতে হবে ও বিশ্বাস করতে হবে।পবিত্র কোরআনে নেই এমন কথা যদি কেউ হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে গায়েব জগতের সম্বন্ধে বলে থাকেন তাহলে সেটা অবশ্যই পরিহারযোগ্য। যেমন হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে অনেকেই বলেন কবরে ইমান পরীক্ষা করার জন্য নিন্মলিখিত প্রশ্নগুলি করা হবেঃ (১) মান রাব্বুকা- অর্থাৎ তোমার প্রভু কে? (২) মান দ্বীনুকা- অর্থাৎ তোমার দ্বীন কি? (৩) মান হাযা রাজুলুন অর্থাৎ এই ব্যক্তি কে? কিন্তু দুখের বিষয় এই ৩টি প্রশ্ন করে কবরে ইমান পরীক্ষা করা হবে এমন কথা পবিত্র কোরআনে কোনো আয়াতে উল্লেখ নেই। তাছাড়াও উক্ত তিনটি প্রশ্ন দিয়ে কবরে ইমান পরীক্ষা করা হলে ইবলিস এবং ইবলিসের অনুসারীরা ইমান পরীক্ষায় পাশ করে পরিত্রাণযোগ্য বলে গণ হয়ে যায়। কারণ ইবলিসের অনুসারীগণও উক্ত ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। কারণ যখন কবরে তাদের প্রশ্ন করা হবে- মান রাব্বুকা, তখন ইবলিসের অনুসারীগণ বলবে আমার প্রভুত আল্লাহ, কারণ ইবলিস ত আল্লাহকে প্রভু বলে স্বীকার করে। (সূরা-হিযর, আয়াত-৩৬)। যখন বলা হবে তোমার দ্বীন কি? তখন তারা বলবে- আমার দ্বীন ইসলাম। কারণ (আসমান যমিনের সকলেই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে)। (সূরা-ইমরান, আয়াত-৮৩)। যখন (নবী (স.) কে দেখিয়ে) প্রশ্ন করা হবে মান হাজা রাযুলুন – এই লোকটি কে? তখন তারা বলবে উনি নবী মোহাম্মদ (স.)। কারণ তৎকালীন সময়ের ইবলিসের অনুসারী কাফেররা নবী (স.) কে দেখেছে ও চিনেছে। তাহলে দেখা গেল উক্ত তিনটি প্রশ্নের উত্তর ইবলিস ও ইবলিসের অনুসারীরা দিতে সক্ষম হয়ে যায় বিধায় তারা পরিত্রাণযোগ্য বলে গণ্য হয়। কিন্তু না, ইবলিস ও ইবলিসের অনুসারীরা পরিত্রাণ পাবে না। বিধায় উপরিউক্ত ৩টি প্রশ্ন দিয়ে মৃত্যুর পর ইমান পরীক্ষা করা হবে না, এটা নিশ্চিত।
তাছাড়াও আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য যে, কবরের আযাব সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কোনো আয়াতে উল্লেখ নেই। তারপরও যদি কেউ বলে সকল অপরাধীদের জন্যই কবরের আযাব হবে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, ধরুন, প্রথম শিংগায় ফুৎকার দেওয়র পর একজন ব্যক্তির মৃত্যু হলো (সূরা-জুমার, আয়াত-৬৮)। তার পরে ২য় শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নির্জীব কবরস্থ রহিল। ২য় শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার পর সে দন্ডায়মান হইল। (সূরা-জুমার, আয়াত-৬৮)। অর্থাৎ ২য় শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার পর তার দেহে আত্মা সংযোজন করা হলো। (সূরা-তাকভীর, আয়াত-৭)। এইভাবে তাকে কবর থেকে পুনরুজ্জীবিত করা হইল। (সূরা-আবাসা, আয়াত-২২)। তখন তার কবর উন্মোচিত করা হইল। (সূরা-ইনফিতর, আয়াত-৪)। (সূরা-হজ, আয়াত-৭)। (সূরা-আদিয়াত, আয়াত-৯)। এবং তখন কবর থেকে উঠিয়া সকলে প্রভুর দিকে দৌড়াইতে থাকিবে। (সূরা-ইয়াছিন, আয়াত-৫১)। (সূরা-মাআরিজ, আয়াত-৪৩)। যেন তারা পঙ্গপালের মত কবর থেকে বাহির হতেছে। (সূরা-ক্বামার, আয়াত-৭)। তারপর শেষ বিচার শুরু হবে, এই বর্ণনা মোতাবেক রোজ কেয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে যারা মারা গেল তাদের তো কবরে কোনো আযাবের বর্ণনা এখানে আসে নি। কারণ কবর থেকে জীবিত হওয়ার পরওতো বিচারের জন্য চলে গেল। তাদের জন্যতো কবরে জীবিত করে উক্ত ৩টি প্রশ্ন করা হইল না কিংবা তাদের কবরে কোনো শাস্তির বিষয়ে উল্লেখ নেই। তাহলে দেখা গেল ১ম শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে যিনি মারা গেলেন তাকে আর কবরের আযাব ভোগ করা লাগল না। পক্ষান্তরে (প্রচলিত ধর্ম দর্শন মোতাবেক) যখন আদম (আ.) এর একজন সন্তান সে সময় সে মারা গেল এবং কবরস্থ হলো, এবং তাকে কবর থেকে পুনজ্জীবিত করে উক্ত ৩টি প্রশ্নের মাধ্যমে ইমান পরীক্ষা করতঃ সে যথার্থ উত্তর দিতে না পারায় তার কবরের আযাব শুরু হয়ে গেল এবং ১ম শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার দিন পর্যন্ত আযাব ভোগ করল, তাহলে আল্লাহ পাকের নিয়মের বৈষম্যের কারণে একজন দীর্ঘদিন কবরের আযাব দ্বারা আক্রান্ত হইল আর একজন রোজ কিয়ামতের দিন মারা গেল, তিনি কবরের আযাব ছাড়াই সেদিন প্রভুর কাছে দন্ডয়মান হইল। সেক্ষেত্রে আল্লাহর নিয়মের বৈষম্যতা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু না আল্লাহ পাকের নিয়মের কোনো পরিবর্তন নেই। (সূরা-বণি ইসরাইল, আয়াত-৭৭)। কারণ সকল বনি আদমের যাত্রা একই সময় থেকে শুরু এই মর্মে আল্লাহ বলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রভু নহি’? তখন সকলেই স্বীকার করল, হ্যাঁ, আপনিই আমাদের প্রভু।(সূরা-আরাফ, আয়াত-১৭২)। আর সেই থেকেই জীব জগৎ শুরু। যিনি প্রথম শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার মুহূর্তে মারা গেল, তার যাত্রাও শুরু হয়েছিল ১ম থেকেই। সে জন্ম জন্মান্তরে বিভিন্ন জনমে শাস্তি ভোগ করে সেই দিন পর্যন্ত পৌঁছেছে বিধায় সকলের জন্য একই নিয়ম বা পদ্ধতি। আর সেটাই হচ্ছে জন্মান্তরবাদ পদ্ধতিতে আলমে বরযখে শাস্তি প্রদান। আসলে কবর বলতে মৃত্যুর পর হতে পুনর্জীবিত হওয়া পর্যন্ত এই নির্জীব অবস্থাকে বলে। অর্থাৎ মৃত্যুর পরের অবস্থা কবর। (সূরা-আবাসা, আয়াত-২১)। এর পর আল্লাহ যখন ইচ্ছা তাকে পুনরুজীবিত করেন। (সূরা-আবাসা, আয়াত-২২)। তাহলে বুঝা গেল মৃত্যুর পর কিছুটা সময় নির্জীব অবস্থায় থাকছে। আর এটাকেই কবর বলা হচ্ছে যেহেতু নির্জীব অবস্থায় কোনো কিছু ইমান পরীক্ষা করা বা শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। বিধায় কবরে ইমান পরীক্ষা করা ও আযাবের ঘটনা ভিত্তিহীন। কারণ যেহেতু মৃত্যুর পরে কবর থেকে পুনঃজীবিত করা হচ্ছে, তাহলে পুনঃজীবিত করার পরে সে আর কবরে থাকছে না। কারণ পুনঃজীবিত করে তাকে প্রভুর কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (সূরা-আনাম, আয়াত-৩৬)। সেখানে ইমান পরীক্ষা করার পরে পুনরায় তাকে কবরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না বিধায় এতে প্রমাণিত হয় যে, কবরে কোনো ইমান পরীক্ষা করা ও আযাব দেওয়া কোনটাই হচ্ছে না। এখানে উল্লেখ্য যে, মৃত্যুর পর পরই তাকে পুনঃজীবিত করে প্রভুর কাছে প্রত্যান্যিত করা হচ্ছে, তখন তার ইমান ও পূর্বকর্ম পরীক্ষা করার পর তার কর্মের প্রতিদান প্রদান করা হবে। (সূরা-হুদ, আয়াত-১১১)। এই লক্ষ্যে তাকে নতুন ভাবে সৃষ্টি করে পুনরায় সৃষ্টিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। (সূরা-আরাফ, আয়াত-২৯)। (বিঃ দ্রঃ- এর পরবর্তি পোষ্টে জন্মান্তরবাদ নিয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন) এই ভাবে পুনঃ সৃষ্টির মাধ্যমে তাকে পূর্ব জনম থেকে আড়াল করা হবে, যাতে সে পূর্ব জনমের কোনো স্মৃতি স্মরণ করতে না পারে। এই জন্য আল্লাহ বলেন, ‘তাদের সম্মুখে বরযখ থাকিবে পুনঃজীবিত হওয়ার দিন পর্যন্ত’ (সূরা-মমিনুন, আয়াত-১০০)। এই আয়াতে বরযখ শব্দ এসেছে, বরযখ শব্দের অর্থ দুই বস্তুর মধ্যস্থিত প্রতিবন্ধকতা। অর্থাৎ পূর্ব জনম ও পরবর্তী জনম এর মধ্যে একটি প্রতিবন্ধকতা। (আরবি অভিধান পৃ. ৬৭১)। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকের ধারণা বরযখ বলতে কবরকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু না, কবর শব্দ এবং বরযখ শব্দ দুইটিই আরবি শব্দ। আর এই দুইটি শব্দই পবিত্র কুরআনে এসেছে। কবর শব্দ এসেছে সূরা তওবার ৮৪ নং আয়াত থেকে, আর বরযখ শব্দ এসেছে সূরা মমিনুন আয়াত-১০০ থেকে (সুরা রহমান-১৯)। দুইটি শব্দ, দুইটি আয়াত, আর দুইটি আয়াতের দুইটি উদ্দেশ্য, অর্থও দুইটি। কবর শব্দের অর্থ হচ্ছে নীচু ভূমি বা সমাধি (আরবি অভিধান পৃ. ১৯১৯ )। তাহলে দেখা গেল কবর ও বরযখ শব্দের অর্থ এক নয়। সে ক্ষেত্রে যদি কেউ বরযখ শব্দ দিয়ে কবরকে বুঝায় তাহলে বরযখ শব্দের যে আয়াত সেই আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। সূরা মমিনুন আয়াত-১০০ এর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আল্লাহর কোনো আয়াতকে ব্যর্থ করা যাবে না। (সূরা-হজ, আয়াত-৫১)। কাজেই বরযখ শব্দ দিয়ে কবরকে বুঝানো যাবে না। এখানে উল্লেখ্য যে, ইমান পরীক্ষার পরে তার প্রতিদান প্রদান করার লক্ষ্যে আলমে বরযখে পাঠানো হচ্ছে, (সূরা মমিনুন আয়াত-১০০) এখানে উল্লেখ্য যে, যেহেতু এই আয়াতে কবরের কথা উল্লেখ নেই, তাতে প্রমান হয় যে, কবর থেকে পুনঃজিবীত করে প্রভুর কাছে নিয়ে গিয়ে ঈমাণ পরীক্ষার পর তাকে আর কবরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না, যদি কবরে ফেরত পাঠানো হতো তাহলে উক্ত আয়াতে ‘তোমাকে বরযখে রাখা হবে’ এ কথাটি না বলে ‘তোমাকে কবরে রাখা হবে, পরবর্তী পুনঃজীবিত হওয়ার দিন পর্যন্ত’ কিন্তু এমনটি বলা হয় নি বিধায় প্রমাণিত হয় যে, তাকে আর কবরে পাঠানো হয় নি। তাই কবরে কোনো আযাব বা শাস্তি কিছুই হচ্ছেনা, বরং কবর একটি নির্জীব অবস্থা। তা ছাড়া যখনই পুনঃজীবিত করা হচ্ছে, তখন সে আর কবরে থাকছে না। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকেই বলবে মৃতুর পরে পুনঃজীবিত করে যখন আল্লাহর কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন কোনো শরীরে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রত্যেকের দুইটি দেহ, একটি শারিরীক ও অপরটি হচ্ছে আত্মীক দেহ বা জতিষ্ময় দেহ। মৃত্যুর পর প্রভুর কাছে শারিরীক দেহ তথা ঢ়যুংরপধষ নড়ফু যাচ্ছে না এটা ধ্বংসশীল। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে এটা ধ্বংস হয়ে যায়। কতটা পানিতে কতটাবা মাটিতে, কতেকটা বাষ্পীয়ভাবে ধবংস হয়। মৃত্যুর পরে পুনঃজীতিব করে ধংঃৎধষ নড়ফু বা আত্মিক দেহে তাকে প্রভুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যেমনটি আমরা নিদ্রা নামে মৃত্যুর সময় কিছুটা বুঝতে পারি। কারণ নিদ্্রাটাও এক প্রকার মৃত্যু। (সূরা-জুমার, আয়াত-৪২)। (সূরা-আনআম, আয়াত-৬০)। নিদ্রার সময় রুহুটা শারিরীক দেহে বিছানায় থেকে যায়, আর নফসটা আত্মিক দেহ ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় বিচরণ করে। ইসলামি ফাউন্ডেশন টিকা নং- ১৫০১। ঠিক মৃত্যুর পরে মানুষের শারিরীক দেহটা ধ্বংস হয়ে যায় আর তাকে পুনঃজীবিত করে তার আত্মিক দেহটা প্রভুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।( সূরা-আনআম, আয়াত-৩৬)। এখন আমরা জানব কিভাবে মানুষের ইমান পরীক্ষা করা হয়। প্রত্যেক জীবের মৃত্যুর পর পুনঃজীবিত করে তাকে প্রভুর কাছে প্রত্যানিত করা হবে। সূরা-আনআম, আয়াত-৩৬)। (সূরা-সেজদা, আয়াত-১১)। সূরা-(আনআম, আয়াত-৬২)। তখন তার সম্মুখ থেকে সকল পর্দা উন্মোচিত হবে এবং তার দৃষ্টি প্রখর করা হবে (সূরা-কাফ, আয়াত-২২)। তখন প্রভুর দিকে সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে (সূরা-কিয়াম, আয়াত-২৩)। সেদিন কাফিররাও স্পষ্টভাবে আল্লাহকে দেখতে পাবে। (সূরা-মরিয়ম, আয়াত-৩৮)। তখন বলা হবে মৃত্যুর পুর্বে তোমরা যা কিছু (দেখিতে) কামনা করতে আজ সব দেখলেতো? (সূরা-ইমরান, আয়াত-১৪৩)। তখন তারা বলবে আমরা সব দেখলাম এবং শুনলাম এবং প্রভুকে বিশ্বাসও করলাম। (সূরা-(সেজদা, আয়াত-১২)। তখন বলা হবে তোমাদের আজকের বিশ্বাস কবুল করা হবে না (সূরা-সেজদা, আয়াত-২৯)। তবে যারা পূর্ব থেকে (এহেন দেখে) বিশ্বাসী ছিল তাদেরটা বিশ্বাস কবুল করা হবে। (সূরা-আনআম, আয়াত-১৫৮)। তখন তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি প্রদর্শন করবে। (সূরা-নাহল, আয়াত-১১১)। এবং বলবে হে প্রভু আমরাতো পূর্ব থেকেই বিশ্বাসী ছিলাম। (সূরা-সেজদা, আয়াত-১২)। তখন বলা হবে, তোমরা বিশ্বাসী ছিলে বললেই তোমাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে না ইমান পরীক্ষা না করে। (সূরা-আনকাবুত, আয়াত-২)। শুধু মৌখিক ইমান পরীক্ষা করবে না, বরং ইমান অনুসারে পূর্ব কর্ম পরীক্ষা করা হবে। (সূরা-ইউনুস, আয়াত-৩০)। আর এমন একটি কঠিন পরীক্ষা করা হবে, যে পরীক্ষায় কারা প্রকৃতপক্ষে ইবলিসের অনুসারী ছিল, তারা ধরা পড়বে। (সূরা-কালাম, আয়াত-৬)। আর সেই পরীক্ষাটি এমন ্একটি কঠিন পরীক্ষা হবে যে, সেথায় শুধু যালিমরাই আক্রান্ত হবেনা (বরং নামধারী, লেবাসধারী মমিনরাও আক্রান্ত হবে।) (সূরা-আনফাল, আয়াত-২৫)। তখন আকৃতি বিশিষ্ট আল্লাহর পায়ে সেজদা দিতে বলা হবে, তখন তারা সেজদা দিতে সক্ষম হবে না।(সূরা-কালাম, আয়াত-৪২)। কারণ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তাদেরকে আহ্বান করা হয়েছিল ঐ সেজদা করতে, (অর্থাৎ আকৃতি বিশিষ্ট আল্লাহর পায়ে) তখন তারা ঐ সেজদা করে নি। (সূরা-কালাম, আয়াত-৪৩)। এইভাবে আল্লাহর পায়ে সেজদার মাধ্যমেই তার পরীক্ষা করেই ইবলিস এবং ইবলিসের অনুসারীদেরকে প্রতিহত করা হবে। কারণ ইবলিসতো আদম কাবায় সেজদা না দিয়েই কাফের। (সূরা-বারাকা, আয়াত-৩৪)। তখন তাদেরকে কর্মফল অনুসারে প্রতিদান দেওয়া হবে। (সূরা-হুদ, আয়াত-১১১)। এই লক্ষে তাদেরকে পুনরায় সৃষ্টিতে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রথম বার যেভাবে সৃষ্টি করা হয়েছিল। (সূরা-আরাফ আয়াত-২৯)। এভাবে জন্ম জন্মান্তরে চলতে থাকবে। (এই বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন, এই পরবর্তী পোষ্টে।) এইভাবে সৃষ্টিতে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে তাদের কর্মের প্রতিদান দেওয়া হবে। বিনাদোষে কেউ শাস্তি পেতে পারে না। তবে পুনঃসৃষ্টির এই জীবনটায় পূর্ব জন্ম থেকে অন্তরালে। আর এই জগৎটাকে আলমে বরযোখ বলা হয়। আর তাই আযাবটা কবরে নয় বরং আলমে বরযোখে।
অতএব, সেই দিবস আসার পূর্বেই অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বেই প্রভুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আদম কাবায় সেজদা দিয়ে মৃত্যু বরণ করতে হবে। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, সেই দিবস আসার পূর্বেই তোমরা প্রভুর আহ্বানে সাড়া দাও। (সূরা-শুরা, আয়াত-৪৭)। কাজেই কোরআন মোতাবেক যারা আখেরাত বিশ্বাস করেনা, বরং হাদিস অনুসারে বিশ্বাসী ছিল, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ যারা কোরআন মাফিক আখেরাত বিশ্বাস করে না তারা মমিন ছিলনা। বিধায় তারা ক্ষতির ভিতর নিমজ্জিত। (সূরা-আছর, আয়াত-১)।৤৤




সালামুন আলাইকুম সবাইকে

Ulil Amar(উলিল আমর) vs Rasool

By nazamul biswas

রসুলের বিকল্প মান্যকর কিছু আছে কি?



এখানে উল্লেখ্য যে, দ্বীনের ক্ষেত্রে উলামাগণকে কিংবা উলিল আমরগণকে কিংবা তাবলীগের আমিরগণকে কিংবা পীরগণকে আনুগত্য করলে সেই আনুগত্য রসূলের হবে এমন কোনো আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই। তাছাড়া উলামা, উলিল আমর, আমির, পীর এই নামগুলো রসূলের গুণবাচক নাম এমন উল্লেখ পবিত্র কোরআনে নেই। এজন্য কোনো অবস্থায় ঐ উলামাগণ কিংবা উলিল আমরগণ কিংবা তাবলীগের আমিরগণ কিংবা পীরগণ রসূলের বিকল্প নয়। কারণ দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূল ব্যতীত ৩য় কোন ব্যক্তির আনুগত্য করার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, তোমার আল্লাহ বিশ্বাস কর ও রসূল বিশ্বাস কর, বলো না তিন। (সূরা নেছা-১৭১)। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তোমরা রসূলের আনুগত্য করবে, এজন্য আমি রসূলই পাঠাই (নেছা, ৬৪ আয়াত)। এই আয়াতে প্রমাণ হয় যে, রসূলের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয় নি।
আল্লাহ বলেন, দ্বীনের বিষয় সকল কিছু একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য। (সূরা যুমার : ৩) রসূলের আনুগত্য করলে সে আনুগত্য আল্লাহর হয়। (সূরা নেসা : ৮০) তাই রসূলের আনুগত্য করলে সে আনুগত্য দ্বীনের আনুগত্যে গণ্য হয়। রসূল ব্যতীত দ্বীনের ক্ষেত্রে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির আনুগত্য করলে শেরেক হবে। এই জন্য যে, রসূল ব্যতীত তৃতীয় কোনো ব্যক্তির আনুগত্য করলে সে আনুগত্য রসূলের হবে এমন কোনো আয়াত কোরআনে নেই। এই জন্য আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহ বিশ্বাস কর ও রসূল বিশ্বাস কর। বলিও না তিন। (সূরা নেসা : ১৭১)
যারা তিন পন্থী তারা বলে, আল্লাহ তো তিনের মধ্যে একজন। (সূরা মায়েদা: ৭৩) অতএব দ্বীনের ক্ষেত্রে একমাত্র রসূল ব্যতীত তৃতীয় কোনো ব্যক্তির আনুগত্য করলে সেটা শেরেকে গণ্য হবে এটা নিশ্চিত। অনেকেই দ্বীনের ক্ষেত্রে তাদের দলের আমিরগণের আনুগত্য করে থাকে। যেহেতু আমিরগণকে তারা রসূল জ্ঞান করে না। তাহলে দ্বীনের ক্ষেত্রে তাদের আমিরগণের আনুগত্য করলে সেটা শেরেকে গণ্য হবে। আবার যারা উলামাগণকে দ্বীনের ক্ষেত্রে আনুগত্য করে থাকে। যেহেতু তারা উলামাগণকে রসূল জ্ঞান করে না। সেহেতু একই যুক্তিতে উলামাগণকে বা আলেমগণকে বা দলের আমিরগণকে দ্বীনের ক্ষেত্রে আনুগত্য করে তারাও শেরেকে গণ্য। আবার যারা মসজিদের বেতনভুক্ত ইমামগণকে দ্বীনের ক্ষেত্রে আনুগত্য করে। যেহেতু মসজিদের ইমামগণকে তারা রসূল জ্ঞান করে না সেহেতু সেই একই যুক্তিতে ঐসকল ইমামগণের দ্বীনের ক্ষেত্রে আনুগত্য করাও শেরেকে গণ্য। আবার যারা দ্বীনের ক্ষেত্রে পীরগণকে আনুগত্য করে থাকে। যেহেতু তাদের পীরগণকে তারা রসূল হিসেবে বিশ্বাস করে না বিধায় সেই সকল তিনপন্থী পীরপন্থীগণও শেরেকে গণ্য। (বি.দ্র. তিনপন্থী পীরপন্থী শেরেকে গণ্য অধ্যায়ে বিস্তারিত দেখুন)। আবার যারা আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা কল্পনা বা অনুমান করে সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা, কল্পনা ও অনুমান মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। (সূরা ইউনুস : ৩৬) এটা এই জন্য গ্রহণযোগ্য নয় যে, আপনি আল্লাহকে যেমনটি ধারণা করেন কিংবা যেমনটি অনুমান করেন আল্লাহ তো তেমনটি নহেন বিধায় আল্লাহ সম্পর্কে আপনার মস্তিষ্কের এই কাল্পনিক মূর্তিটি আল্লাহ সম্পর্কে একটি মেসেলে গণ্য হয়। আর আল্লাহ সম্পর্কে কোনো মেসেল দেওয়া যাবে না। (সূরা নহল : ৭৪) ফলে যারা আল্লাহর কাল্পনিক মূর্তি মস্তিষ্কে রেখে আল্লাহকে সেজদা করে সেটাও কোরআন মাফিক নয়। আবার যারা আল্লাহকে অনুমানের উপর বিশ্বাস করে কাবা ঘরে হজ করতে যান তাদের মস্তিষ্কে কাবা ঘরের ছবি সেজদার সময় স্থির হয়ে যায় কিংবা যারা কাবা ঘরের ছবিকে কল্পনায় এনে সেখানে সেজদা করে তাদের সেজদাও শেরেক হয়। কারণ আল্লাহ ছাড়া সেজদা হারাম। (সূরা জিন : ১৮) এই জন্য ওয়াসজুদুলি হেরেম শরিফ কিংবা ওয়াসজুদুলি মাকামে ইবরাহিম কিংবা ওয়াসজুদুলি বায়তুল্লাহ। অর্থাৎ তোমরা কাবা ঘরকে সেজদা কর কিংবা তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে সেজদা কর, কিংবা তোমরা আল্লাহর ঘরকে সেজদা কর এমন আয়াত কোরআনে আসেনি। তবে আয়াতে এসেছে আত্তাখাযু মিন মাকামে ইবরাহিম মু-উছাল্লি। (সূরা বাকারা : ১২৫) তোমরা মাকামে ইবরাহিমকে উছাল্লি আদায় করার স্থান হিসেবে সাব্যস্ত কর। এখানে উল্লেখ্য যে, উছাল্লি আর সেজদা একশব্দ নয়। কারণ সেজদা হচ্ছে উপাসনামূলক শব্দ। আর উছাল্লি হচ্ছে প্রশংসামূলক শব্দ। কারণ আল্লাহ বান্দার জন্য উছাল্লি কামনা করে। (সূরা যুখরুফ : ৪৩) [বি.দ্র. এই পুস্তকের ২৪ নং অধ্যায়টি বিস্তারিত দেখুন] এই আয়াত অনুসারে মাকামে ইবরাহিমকে প্রভুর প্রশংসা গুণকীর্তন করার স্থান হিসেবে সাব্যস্ত করতে বলা হয়েছে। তবে সেটা সেজদার লক্ষ্যবস্তু নয়। এ জন্য যারা কাবা ঘরের ছবিকে সেজদার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে অন্তরে স্থির করে সেজদা করে তারাও শেরেকে গণ্য। আর এই ধরনের শেরেকযুক্ত মুশরিকদেরকে কাবা ঘরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ আল্লাহ ঘোষণা করেন যে, মুশরিক (হাজী)দের দায় আল্লাহ নেবেন না কিংবা রসূলও তাদের দায়ভার নেবেন না। (সূরা তওবা : ৩) আবার যারা আল্লাহর সাথে অন্যদের নাম ডাকে তারাও শেরেকে গণ্য। কারণ আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে ডেক না। (সূরা জিন : ১৮) বর্তমানে এক শ্রেণীর লোক আছে, যারা কোনো মূর্তিপূজা করে না আবার কোনো দেবদেবীর উপাসনাও করে না। উহারা কেবল আল্লাহকেই প্রভু বলে বিশ্বাস করে। কিন্তু উহারা আল্লাহর সাথে মূসা (আ.) কিংবা ঈসা (আ.) কিংবা বিগত রসূলগণের নাম জপনা করে। সূরা জিনের ১৮ নং আয়াত অনুসারে তারাও শেরেকে গণ্য। যখন তাদের বলা হলো, তোমরা (শেরেক পথ পরিহার করে) পরিপূর্ণভাবে আল্লাহতে আত্মসমর্পণ কর। (সূরা বাকারা : ২০৮) কারণ আল্লাহতে আত্মসমর্পণ করাই আল্লাহর মনোনীত দ্বীন। (সূরা ইমরান : ৮৫) তখন তারা বলল, আমরা তো আমাদের দ্বীনেই আছি। তখন তাদেরকে বলা হল, তোমরা যে আল্লাহর সাথে তোমাদের রসূল ঈসা আ. ও মূসা (আ.) কিংবা বিগত রসূলগণের নাম জপনা করছ। ফলে তোমরা আল্লাহর সাথে তোমাদের রসূলের নাম জপনা করে শেরেকে গণ্য হচ্ছ। কিন্তু আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেক না। (সূরা জিন : ১৮) তখন তারা বলল, এই যুক্তিতে আল্লাহর সাথে আমাদের রসূলের নাম জপনা করলে যদি শেরেক হয় তাহলে তোমরা যখন আল্লাহর সাথে তোমাদের রসূলের নাম ডাক তাহলে তো তোমরাও আমাদের মতো শেরেকে গণ্য। তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, কুল ইন্নানী বারিউন মিম্মা তুশরিকা। বল, তোমাদের মতো শেরেক থেকে আমি মুক্ত। (সূরা আনাম : ১৯) তখন তারা বলল, তোমাদেরটা কিভাবে শেরেক মুক্ত হয়? আমরা রসূল থেকে আল্লাহকে ংবঢ়ধৎবঃব না করে আল্লাহ ও রসূলকে একাকার ও অবিচ্ছিন্নভাবে বিশ্বাস করে অর্থাৎ সূরা আল-ফাতহ-এর ১০নং আয়াত অনুসারে রসূলের হাতই আল্লাহর হাত বিশ্বাস করি এ জন্য আমাদেরটা শেরেকমুক্ত। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আল্লাযিনা ইয়াকফুরুনা বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি ওয়া উরিদুনা আইয়ু র্ফারিকু বায়নাল্লাহা ওয়া রুসুলিহি (অর্থাৎ উহারাই আল্লাহ ও রসুল অস্বীকারকারী যাহারা ইচ্ছাকৃতভাবে রসুল থেকে আল্লাহকে ফারাক করে অর্থাৎ রসুল থেকে আল্লাহকে ংবঢ়ধৎবঃব করে বা ফবংঃবহপব করে অর্থাৎ পৃথক করে বা দূরত্ব করে (সূরা নেসা : ১৫০) অর্থাৎ এই আয়াত অনুসারে যারা রসূল থেকে আল্লাহকে ংবঢ়ধৎবঃব করে উহারাই আল্লাহ ও রসূল অস্বীকারকারী কাফের। পক্ষান্তরে যারা রসূল থেকে আল্লাহকে ংবঢ়ধৎবঃব করে না উহারাই মোমিন। এই মর্মে আল্লা আরো বলেন, ওয়া য়াল্লাজিনা আমানুবিল্লাহি ওয়া রসুলিহি ওয়া লাম উফারিরকু বায় আহাদা মিনহুম, উলাইকা সাওফা উতিহিম উযুরাহুম-বরং যারা আল্লার রসুল বিশ্বাস করে এবং উহাদের মধ্যে কোনো ফারাক করে না। অর্থাৎ রসুল থেকে আল্লাহকে ংবঢ়ধৎবঃব করে না বা ফবংঃবহপব) করে না অর্থাৎ পৃথক করে না বা দূরত্ব করে না। উহাদের জন্য রহিয়াছে পুরস্কার (সুরা নেসা আয়াত-১৫২)। এখানে উল্লেখ যে, এই আয়াত দিয়েই অনেকেই প্রমাণ করতে চায় যে, আল্লাহর রসুলের মধ্যে কোন ফরভবৎবহঃ বা পার্থক্য নেই। কিন্তু তাদের কথা ঠিক নহে কারণ আল্লাহ ও রসূলের মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। রসুল হচ্ছে সৃষ্ট আল্লাহ হচ্ছে শ্রষ্ঠা। রসুলের জন্ম-মৃত্যু আছে পক্ষান্তরে আল্লাহর জন্ম-মৃত্যু নেই। রসুলের সাথে আল্লাহ আছে। অর্থাৎ রসূল হচ্ছে আল্লাহর সংশ্লিষ্ট। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া রসূল চলতে পারে না পক্ষান্তরে আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নহে আল্লাহ একক। তবে এই আয়াতের উদ্দেশ্য হবে রসুলের সাথে আল্লাহ আছে বিধায় রসুল থেকে আল্লাহকে পৃথক না করে অর্থাৎ ংবঢ়ধৎবঃব না করে আল্লাহ ও রসুল বিশ্বাস করা। আল্লাহ ও রসূলকে একাকার ও অবিচ্ছিন্নভাবে বিশ্বাস করা। রসূলের হাতই আল্লাহর হাত (সূরা আল-ফাতহ-১০) অর্থাৎ রসূল সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করে সেজদা দিলে রসূল সুরতে, স্বপ্নে আল্লাহর দর্শন হয়। কারণ ইবলিশ যেহেতু আদম সেজদার সামিল হয় না (সূরা হিজর-৩৩) সেহেতু স্বপ্নে আদম সেজদাকারীর চেহারায় ইবলিশ আসে না। তখন কিন্তু রসূল সুরতে স্বপ্নে, রসূলও আসে নাই ইবলিশও আসে নাই। রসূল সুরতে স্বপ্নে স্বয়ং আল্লাহই আসে। এ মর্মে লালন সাইজি তাঁর গানের ভাষায় বলেছে-যিনি মুর্শিদ/গুরু তিনি রসুল, ইহাতে নাই কোনো ভুল। খোদাও সে হয়, এ কথা বলে না লালন কোরানে কয়। এবার এই মর্মে আল্লাহ বলেন তোমরা যখন রসূলের কাছে যাবে তখন তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমনটি থাকবে যে আমরা তো আল্লাহর কাছেই গেলাম। যখন তোমরা রসূলের কাছে বায়াত গ্রহণ করবে তখন তো আল্লাহর কাছেই বায়াত গ্রহণ করলে। (সূরা ফাতহ : ১০) কারণ তাদের হাতের উপরই আল্লাহর হাত। (সূরা ফাতহ : ১০) আর এই মর্মে আল্লাহ বলেন, তোমরা যেখানেই থাক না কেন আমি তোমাদের সাথে আছি। (সূরা হাদিদ : ৪)। আল্লাহ তো রসূলের ভেতরই সক্রিয় আছেন। (সূরা আনফাল : ১৭) আল্লাহ মানুষের গর্দানের শাহ রগ অপেক্ষাও নিকটে। (সূরা কাফ : ১৬) (বি. দ্র. একত্ববাদের দ্বীন অধ্যায় ও আল্লাহর অবস্থান সর্বত্রই অধ্যায় বিস্তারিত দেখুন) আল্লাহ মানুষের অতি নিকটে (সুরা বাকারা-১৮৫) যিনি মুর্শিদ/গুরু তিনি রসুল। (বি.দ্র.এই মর্মে সম্যকগুরুই রসুল অধ্যায় বিস্তারিত দেখুন।) অতএব রসূল থেকে আল্লাহকে ফারাক না করে রসূল সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করাই একত্মবাদে দ্বীন। এখানে উল্লেখ্য যে, ফারাক শব্দ অর্থ পৃথক করা। (আরবী অভিধান পৃ. নং ১৮৭৯) আর পৃথক শব্দের ইংরেজি হচ্ছে ঝবঢ়ধৎধঃব। (ইংরেজি অভিধান পৃ. নং ৭০৩) যেটার অর্থ উরংঃধহপব বা দূরত্ব করা বুঝায়। অর্থাৎ সূরা নেসার ১৫০ নং আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে রসূল থেকে আল্লাহ ঝবঢ়ধৎধঃব বা উরংঃধহপব না করে বিশ্বাস করা। বরং রসূলের হাত আল্লাহর হাত বিশ্বাস করে রসূলের মধ্যে ব্যক্তি রসূলকে বিলীন করে সেই সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করে সেখানে আল্লাহকে বর্তমান জেনে সেজদা করা হয়। এটাই হচ্ছে রসূলের মাধ্যমে ঈমান পরীক্ষা করা। (সূরা ফুরকান : ২০) উপরোক্ত আলোচনায় দেখা গেলো যারা রসুল থেকে আল্লাহকে ফারাক করে বা ঝবঢ়ধৎধঃব (পৃথক) করে উহারা সুরা নেসার ১৫০নং আয়াত অনুসারে আল্লাহ ও রসুলকে অস্বীকারকারী বলে গণ্য। তাই উহারা যখনই রসুল থেকে আল্লাহকে ঝবঢ়ধৎধঃব বা পৃথক করে তখনই উহারা আল্লাহর সাথে রসুলের নাম জপনা করে। ফলে উহারা সুরা জিনের ১৮নং আয়াত অমান্যকারী বলে গণ্য হয়। (কারণ এই আয়াতে বলা হয়েছে তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে ডেকো না।) রসূলের সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করা এটাই ঈমানের একটা পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় লেবাসধারী মোমিনগণও আক্রান্ত হয়। এই পরীক্ষা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, এমন একটি কঠিন পরীক্ষা করা হবে যে পরীক্ষায় শুধু জালেমরাই আক্রান্ত হবে না। (সূরা আনফাল : ২৫) এইভাবে আমরা রসূল সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করছি বিধায় আমাদেরটা শেরেকমুক্ত। কারণ রসূলের মধ্যে রসূলকে বিলীন করে সেখানে যে আল্লাহর অবস্থান আছে। রসূল সুরতে সেই আল্লাহকেই সেজদা করছি। রসূলকে করছি না। বা আল্লাহর সাথে রসূলকে ডাকছি না। আর এটা আমাদের পক্ষে এইজন্য সম্ভব হচ্ছে যে, সম্যকগুরুই আমাদের রসূল। কাজেই আমাদের রসূল তো বর্তমান বা উপস্থিত আছে। যেহেতু তোমরা তো মুসা (আ.)কে কিংবা ঈসা (আ.)কে কিংবা অনুপস্থিত রসূলগণকে রসূল হিসাবে বিশ্বাস কর। কিন্তু বর্তমান সম্যক গুরুকে রসূল হিসাবে বিশ্বাস কর না। আর তোমাদের রসূল তো বর্তমানে নেই। তাহারা অনুপস্থিত। এইজন্য তোমরা রসূলের হাতের স্পর্শ লাভ করতে পারছ না বিধায় তোমাদের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে রসূলের নাম ডাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ফলে তোমরা আল্লাহর সাথে রসূলের নাম জপনা করে সূরা জিনের ১৮ নং আয়াতের পরিপন্থী গণ্য। তাই সম্যকগুরুকে রসূল বিশ্বাস করেই সেখানে বায়আত গ্রহণের মাধ্যমে একত্মবাদের দ্বীনের পৌঁছানোই একমাত্র উপায়। তাই এই রসূলের কোনো বিকল্প নেই। এইজন্য সম্যকগুরুকে রসূল বিশ্বাস করে সেই রসূল সুরতে আল্লাহকে সেজদা করা শেরেক মুক্তির একমাত্র পথ। এই পথে না এসে যারা ঈসা (আ.)কে কিংবা মুসা (আ.)কে কিংবা অনুপস্থিত রসূলগণকে রসূল হিসাবে বিশ্বাস করে আল্লাহর সাথে ঈসা (আ.) ও মুসা (আ.) কিংবা অনুপস্থিত রসূলের নাম জপনা করে তারা শেরেকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, শেরেক করলে কর্ম নিষ্ফল হয়। (সূরা যুমার : ৬৫) শেরেক সবচেয়ে বড় জুলুম। (সূরা লোকমান : ১৩) শেরেক করলে ঈমান কলুষিত হয়। তাই আল্লাহ বলেন, তোমাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করো না। (সূরা আনাম : ৮২) শেরেকের অপরাধ কখনোই ক্ষমা করা হবে না। (সূরা নেসা : ৪৮)
আর যারা সম্যকগুরুকে রসূল বিশ্বাস করে তার সঙ্গ ধারণ করে একত্মবাদের দ্বীনে পৌঁছলো তারা শেরেক থেকে মুক্তি পাবে এই জন্য যে, সম্যকগুরুই রসূল। [বি.দ্র. সম্যকগুরু রসূল অধ্যায় বিস্তারিত দেখুন] আর রসূলের আনুগত্য করলে সে আনুগত্য আল্লাহর হয়। (সূরা নেসা : ৮০) এজন্য সম্যকগুরুকে রসূল বিশ্বাস করে তার আনুগত্যকারীগণ শেরেকমুক্ত। আর যারা সম্যকগুরুকে রসূল বিশ্বাস না করে অনুপস্থিত রসূলগণকে বিশ্বাস করে সম্যকগুরুকে তথা এই রসূলের সঙ্গ ধারণ না করে মারা গেল তখন তারা আফসোস করে বলবে, হায় আমরা যদি রসূলের সঙ্গ ধারণ করতাম! (সূরা ফুরকান : ২৭) দ্বীনের ক্ষেত্রে রসূলের কোনো বিকল্প নেই। অর্থাৎ রসূর ব্যতীত শেরেক মুক্তির কোন উপায় নেই।

Usalli & Salat is not same.

By nazmul biswas

উসাল্লি ও সালাত কি এক? এই দুইয়ের ভিতর পার্থক্য কি?



আল্লাহ ও তার ফেরেস্তাগণ নবী (সা.) এর উত্তম প্রশংসা করেন (আহযাব, ৫৬ আয়াত)। হে নবী তোমাকে কাউসার দান করা হয়েছে, অতঃপর তুমি তোমার প্রভুর উত্তম প্রশংসা কর (কাউসার, ২ আয়াত)। আল্লাহ ও ফেরেস্তাগণ মানুষের উত্তম প্রশংসা করেন, (আহযাব, ৪৩ আয়াত)। আল্লাহ বলেন হে মানুষ, তোমার প্রভুর উত্তম প্রশংসা কর (আলা, ১৫ আয়াত)। আল্লাহ বলেন, তুমি তাদের জন্য উত্তম প্রশংসা কর (তওবা, ১০৩ আয়াত)। তোমরা মাকামে ইব্রাহিমে প্রভুর উত্তম প্রশংসার স্থান নির্ধারণ কর। (বাকারা ১২৫ আয়াত)। এই সকল আয়াতে উসাল্লি শব্দ এসেছে, উসাল্লি শব্দের অর্থ উত্তম প্রশংসা করা। (আরবি অভিধান পৃ. ১৬০৭)। অনেকেই বলেন এই সকল আয়াতের উসাল্লি শব্দ দিয়ে ছালাত বুঝানো হয়েছে, কিন্তু না, উসাল্লি শব্দ সালাত অর্থে ব্যবহার করা যাবে না, কারণ হচ্ছে উসাল্লি ও সালাত দুইটিই আরবি শব্দ। দুইটি শব্দ দুইটি আয়াত। দুইটি শব্দের অর্থ দুইটি, উদ্দেশ্যও দুইটি। যদি দুইটি শব্দ একই অর্থে ব্যবহার করা হয়, তাহলে একটি আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। যদি কেউ উসাল্লি শব্দ দিয়ে সালাত অর্থ করে তাহলে উসাল্লি শব্দ যুক্ত আয়াতের যে উদ্দেশ্য ছিল উহা ব্যর্থ হবে। কিন্তু না, আল্লাহর উদ্দেশ্যকে কেউ ব্যর্থ করতে পারবে না (হুদ, ২০ আয়াত)। আর যদি কেউ আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তার জন্য কঠিন শাস্তি জাহান্নাম (হজ, ৫১ আয়াত)। কাজেই উসাল্লি ও সালাত এক নয় এখানে উল্লেখ্য যে, উসাল্লি ও সালাতের মধ্যে কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন, সালাত হচ্ছে উপাসনামূলক শব্দ। পক্ষান্তরে উসাল্লি উপাসনামূলক শব্দ নয়, উহা প্রশংসামূলক শব্দ। উসাল্লি উপাসনার পর্যায়ে পড়ে না, কারণ এই যে, আল্লাহ তার বান্দার প্রতি উসাল্লি আদায় করে (আহযাব, ৪৩ আয়াত)। সেক্ষেত্রে উসাল্লি দিয়ে যদি উপাসনা বা প্রার্থনা বা সালাত অর্থে ব্যবহার করা হয় তাহলে আল্লাহ তার বান্দার প্রতি উপাসনা করে বা বান্দার কাছে প্রার্থনা করে বা বান্দার উদ্দেশ্যে সালাত বা নামাজ আদায় করে এমনটি বুঝায়। কিন্তু না, আল্লাহর পক্ষে এমনটি সম্ভব নয়। বরং আল্লাহ তার বান্দার প্রতি উত্তম প্রশংসা করতে পারে এটা সম্ভব বিধায় উসাল্লি শব্দ কখনো উপাসনামূলক বা প্রার্থনামূলক হবে না বরং উসাল্লি শব্দ প্রশংসামূলক।
উসাল্লি এবং সালাতের ভিতরে আরেকটি সুক্ষ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, যেমন সালাতের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে (নেছা, ১০৩ আয়াত) (বনি ইসরাইল, ৭৮ আয়াত)। কিন্তু উসাল্লি আদায় করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা উল্লেখ করা হয় নি। যে কোনো সময় উসাল্লি আদায় করা যাবে। তাছাড়াও সালাতের পূর্বে তাহীর হওয়া বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া বা পবিত্র হওয়া শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে (মায়েদা, ৬ আয়াত)। পক্ষান্তরে উসাল্লি আদায় করার জন্য তাহীর হওয়া শর্ত উল্লেখ করা হয় নি। পবিত্র অপবিত্র যে কোনো অবস্থায় উসাল্লি আদায় করা যাবে, কাজেই উসাল্লি এবং সালাত ভিন্ন বিষয় বিধায় যে সকল আয়াতে উসাল্লি শব্দ এসেছে সে সকল আয়াতগুলি সালাত অর্থে ব্যবহার করা যাবে না। এখানে উল্লেখ্য যে, অনেকেই বলে সালাত বা নামাজ পড়া ফরজ, কিন্তু না, সালাত বা নামাজ পড়ার কথা পবিত্র কোরআনে কোথাও উল্লেখ করা হয় নি। ইকরা অর্থ পাঠ করা, ইকরাবুস সালাত মর্মে পবিত্র কোরআনে কোনো আয়াত আসে নি বিধায় সালাত বা নামাজ পড়ার বিষয় নয়। বরং পবিত্র কোরআনে আসছে, সালাত কায়েম কর (নূর, ৫৬ আয়াত

Rasool for all the time

By Nazrul biswas fb.

রাসুল ব্যবস্থা সার্বক্ষনিকঃ

আল্লাহ বলেন, আমি প্রত্যেক জনপদের কেন্দ্রে আমার আয়াত আবৃতি করার জন্য রসূল প্রেরণ না করে কোনো জনপদ ধ্বংস করি না। (কাছাস, ৫৯ আয়াত)। আল্লাহ প্রত্যেক উম্মতের কাছে রসূল পাঠিয়ে থাকেন (ইউনুস, ৪৭ আয়াত)। এই ভাবে প্রত্যেকের কাছে রসূল না পাঠিয়ে আল্লাহ কাউকে শাস্তি দেন না। (বনি ইসরাইল, ১৫ আয়াত) রসূল না পাঠিয়ে কোনো জনপদ আল্লাহ ধ্বংস করলে বা আল্লাহ কাউকে শাস্তি দিলে তারা বলত, আমাদের কাছে রসূল প্রেরণ করলে না কেন? করলে আমরা মুমিন হতাম। (কাছাস, ৪৭ আয়াত)। মমিনদের মধ্য থেকেই মমিনদের কাছে রসূল পাঠায়। যারা মমিনদেরকে পবিত্র করে। (ইমরান, ১৬৪ আয়াত)। যারা রসূলগণকে অস্বীকার করেছিল তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমরা কি ভাবে কাফের হলে? তোমাদের মধ্যে রসূল থাকা সত্ত্বেও (ইমরান, ১০১ আয়াত)। সেদিন কাফেরদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে কি রসূল এসেছিল না? তারা বলিবে হ্যাঁ, এসেছিল, আমরা রসূলকে মানি নি (জুমার, ৭১ আয়াত)। এই মর্মে সাক্ষ্য দেয়া হবে যে, তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে রসূল এসেছিল, কিন্তু তারা রসূলকে অস্বীকার করেছিল (নহল, ১১৩ আয়াত)। তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে রসূল পাঠাই, যিনি তোমাকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেন, অজানা বিষয় শিক্ষা দেন (বাকারা, ১৫১ আয়াত)। এখানে উল্লেখ্য যে, তোমাদের মধ্য থেকে বলতে তোমাদের মধ্যে বর্তমান উপস্থিত রসূলকে বুঝানো হয়েছে। এই জন্য বলা হয়েছে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে রসূল পাঠানো হয়েছে। নিজেদের মধ্য থেকে বসূল বলতে নিজেদের বংশগত অবস্থা বুঝানো হয় নি, কারণ জিন সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এ যাবৎ পর্যন্ত কোনো রসূল আসে নি, তারপরও জিনদেরকে সেদিন জিজ্ঞাসা করা হবে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে কি রসূল এসেছিল না? (আনামের ১৩০ আয়াত) এতে প্রমাণ হয় যে, তোমাদের মধ্য থেকেই রসূল পাঠিয়েছি কথা দিয়ে বংশগত বুঝানো হয় নি, বরং স্বয়ং রসূল উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। রসূলের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই মর্মে সকল নবীর কাছ থেকে আল্লাহ অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, তোমাদিগকে কিতাব ও হিকমত যা কিছু দিয়াছি অতঃপর তোমাদের কাছে যা কিছু আছে তার সমর্থক রূপে যখন রসূল তোমাদের কাছে আসবে তখন তোমরা অবশ্যই তাকে বিশ্বাস করবে এবং (রিসালাত দিয়ে) তাকে সাহায্য করবে। এই সম্পর্কে আমার অঙ্গিকার তোমরা কী গ্রহণ করলে? তারা বলিল আমরা স্বীকার করলাম। (ইমরান, ৮১ আয়াত)। তাই প্রত্যেক নবী তার শেষাংশে একজনকে রিসালাতের ভার অর্পণ করার মাধ্যমে রসূল পদে একজন রসূল রেখে গেছেন যাতে পরবর্তী নবী আসা পর্যন্ত রসূলের ধারা অব্যাহত থাকে। যেমনÑ মূসা (আ.)-এর পরবর্তীতে হারুনকে স্থলাভিষিক্ত করল (আরাফ, ১৪২ আয়াত)। তার পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে পর্যায়ক্রমে রসূল এসেছে (বাকারা, ৮৭ আয়াত)। এভাবে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক রসূল পাঠিয়ে রসূলের ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে (মমিন, ৪৪আয়াত)। এইভাবে নবীর শেষাংশে রিসালাতের ভার অর্পনের মাধ্যমে পরবর্তী নবী আসা পর্যন্ত রিসালাত প্রাপ্ত রসূলগণ দায়িত্ব পালন করেন। এই মর্মে আল্লাহ বলেন “নবী প্রেরণের বিরতির পর অর্থাৎ দুই নবীর মধ্যবর্তী ফাতারাতি পিরিয়ডে আমি রসূল পাঠাই, যাতে তারা না বলতে পারে, আমরাতো কোনো সতর্ককারী রসূল পাইনি। (মায়েদা, ১৯ আয়াত)। এই আয়াতে ফাতারাতি শব্দ এসেছে, ফাতারাতি অর্থ দুই নবীর মধ্যবর্তী সময়কাল (আরবি অভিধান, পৃ. ১৮৬২)। যেমন নবী ঈসা (আ.) এবং নবী মোহাম্মদ (স.) এর মাঝখানে ৫০০ বছর এই পিরিয়ডটা ফাতারাতি পিরিয়ড, যেখানে কোনো নবী ছিল না। এই পিরিয়ডে রিসালাতপ্রাপ্ত রসূলগণই দ্বীন প্রচার করছে। পূর্ববর্তী নবীর কিতাব অনুসারে দ্বীন প্রচার করাই একমাত্র রিসালাত প্রাপ্ত রসূলের দায়িত্ব (মায়েদা, ৯৯ আয়াত)। এইভাবে ফাতারাতি পিরিয়ডে নবী অনুপস্থিত থাকে আর অনুপস্থিত ব্যক্তির আনুগত্য করা সম্ভব নয় বিধায় পবিত্র কোরআনে নবীর আনুগত্য কর মর্মে কোনো আয়াত আসে নি। নবী সার্বক্ষণিক নয় বরং রসূল সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকে বিধায় কোরআনে বার বার রসূলের আনুগত্য কর কথা বলা হয়েছে। ফাতারাতি পিরিয়ডের রসূলগণ কিন্তু নবী নয় এরা শুধু রসূল

Is Navi and Rasool same?

By MD Nazrul Biswas

নবী ও রসুল কি? এদের ভিতর পার্থক্য করা যাবে কিঃ

অনেকেই বলে ওহীর সাথে রসুলের সম্পর্ক। প্রত্যেক রসূলের উপর ওহী নাযিল হয়েছে। ওহী যখন শেষ রসূলও শেষ, তাদের এই কথা ঠিক নহে, কারণ প্রত্যেক রসূল ওহী প্রাপ্ত নহে। বরং প্রত্যেক নবী ওহী প্রাপ্ত। কারণ প্রত্যেক নবীই কিতাব প্রাপ্ত (ইমরান ঃ ৮১) আর ওহী ব্যতিত কোন কিতাব হতে পারে না বিধায় প্রত্যেক নবীই ওহী প্রাপ্ত এটা নিশ্চিত। আল্লাহ বলেন, আমি নবীদের উপরে ওহী নাযিল করি (সূরা নেসাঃ ১৬৩)। কারণ আল্লাহ নবীদের নবুয়ত দিয়েছেন বিধায় তারা নবী। আর নবীদের কে নবুয়ত দান করেছেন (ইমরান-৭৯)। তাহলে দেখা গেল প্রত্যেক নবীই নবুয়ত প্রাপ্ত ওহী প্রাপ্ত ও কিতাব প্রাপ্ত। আর নবীদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুয়ত, ওহী এবং কিতাব পৌছানের পরে তাকে আবার রিসালাত দেওয়া হইল (সূরা জ্বীন- ২৩)। যাকে নবুয়ত দেওয়া হয় তিনি নবী। তাহলে দেখা গেল ওহীর সাথে নবীর সম্পর্ক। ওহী শেষ বিধায় নবীও শেষ (আহয়াব-৪০)। ওহীর সাথে সকল রসূলের সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। রসূলের কাজ হচ্ছে ওহী প্রচার করা (মায়েদা-৯৯)। প্রচার কাজ শেষ হবে না বিধায় রসূল শেষ এমন আয়াত আসে নাই। কাজেই ওহী শেষ রসূল শেষ এমন কথার কোন ভিত্তি নেই। এখানে উল্লেখ যে, আর যাকে রিসালাত দেওয়া হয় তিনি রসূল প্রত্যেক নবীই রিসালত প্রাপ্ত (৭২ঃ২৩)। তাহলে দেখা গেল প্রত্যেক নবীই রসূল। কারণ প্রত্যেক নবীই ওহী প্রাপ্ত রিসালত প্রাপ্ত। আর তাই নবীদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। (বাকারা- ১৩৬) তাহলে দেখা গেল নবীদের উপর দুইটি পদ, একটি হচ্ছে নবী পদ, অপরটি হচ্ছে রসূল পদ। তবে নবী পদটা হস্তান্তযোগ্য নহে। পক্ষান্তরে রসূল পদটা হস্তান্তরযাগ্য (সূরা আনআম- ১২৪)। তাই প্রত্যেক নবীই তার শেষাংশে তাঁর বিশ্বস্থ এবং ঘনিষ্ট একজনকে রিসালত দিয়ে রসূল হিসাবে রেখে যাবেন। এই মর্মে নবীদের কাছ থেকে আল্লাহ অঙ্গীকার নিয়েছিলেন তোমার কাছে যখন একজন রসূল আসবে তখন তুমি তাদেরকে বিশ্বাস করবে ও সাহায্য করবে (ইমরান-৮১)। এই আয়াত অনুসারে নবীর পরেই একজন রসূল থেকে যাচ্ছে। অর্থাৎ নবীর কাছে যে রসূল পদটা সংরক্ষিত ছিল এটা তিনি হস্তান্তর করে রসূল রেখে গেলেন। এই রসূল কিন্তু নবী নহেন। কারণ নবী পদটি হস্তান্তরযোগ্য নহে বিধায় যাকে রিসালত দিয়ে সাহায্য করে রসূল হিসাবে রেখে গেলেন তার উপর নবুয়ত পদ নেই। এই রসূলগণ পরবর্তী নবী আসা পর্যন্ত অর্থাৎ দুই নবীর মধ্যবর্তী ফাতারাতি পিরিয়তে দায়িত্ব পালন করেন (মায়েদা-১৯)। কিংবা নবী যখন শেষ তখনও ঐ রসূলগণ দায়িত্ব পালন করবেন। এইভাবে পর্যায়ক্রমে রসূলের ধারা অব্যাহত আছে। (বাকারা-৮৭) এবং এইভাবে একের পর এক বিরতিহীন ভাবে রসূল চলবে। (মমিন-৪৪)। এখানে উল্লেখ্য যে, নবীগণ রসূল, এই রসূলগণ ওহী প্রাপ্ত (মায়েদা-৬৭)। কারণ এই রসূলগণ আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য প্রাপ্ত অর্থাৎ রিসালত প্রাপ্ত (সূরা জ্বীন- ২৩)। পক্ষান্তরে আর এক শ্রেণির রসূল আছেন, যে সকল রসূলগণ নবীর কাছ থেকে রিসালত প্রাপ্ত অর্থাৎ সাহায্য প্রাপ্ত (ইমরান-৮১)। এরা কিন্তু ওহী প্রাপ্ত রসূল নহেন। এরা নবী নহে। এই মর্মে আল্লাহ বলেন আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে এমন অনেক রসূল যারা নবী নহে (হজ্ব-৫২)? কারণ ইহাদের প্রতি ছিল না কোন ওহী। যেহেতু প্রত্যেক নবীই কিতাব প্রাপ্ত (ইমরান ৮১)। যেহেতু এই রসূলগণের প্রতি কোন ওহী ছিল না বিধায় এরা নবী নহে। এরা ছিল ওহী ব্যতীত রসূল। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, ওয়া মা আর সালনা মিন কাবলিকা মিনার রাসূলি ইল্লা ‘নু’ ‘ওহী’ ইলাইহি, আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লা আনা ফা তাবুদুনা। অর্থ ঃ আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে এমন অনেক রসূল যাদের প্রতি ছিল না কোন ওহী। নিশ্চয় উহারা শুধু এই কথায় প্রচার করিত যে, “আমি ছাড়া কোন ইলাহা নেই। অতএব তোমরা আমারই ইবাদত কর” (২১ ঃ ২৫)। আল্লাহ বলেন, ওয়া মা আরছালনা মিন কাবলিকা মিনার রসুলি ইল্লা-নু ওহীই ইলাইহি আন্নাহু লা-ইলাহা ইল্লা আনা ফা তাবুদুনা (২১ ঃ ২৫)। এখানে মা শব্দের অর্থ না সূচক অথবা প্রশ্নবোধক (আ ঃ অভিঃ পৃঃ নং ২১৯৩) আরছালনা অর্থ আমি পাঠিয়েছি (আ ঃ অভিঃ পৃঃ নং ১৫২) কাবলিকা অর্থ তোমার পূর্বে (আ ঃ অভিঃ পৃঃ নং ১৯১৮) মিনার রসুলি – রসূলদের মধ্য হইতে। আন্না অর্থ নিশ্চয়তাবোধক অব্যয়, যাহা দুই বাক্যের মাঝখানে বসে, তার পরবর্তী খবরকে পেশ দেয়। (আ ঃ অভিঃ পৃঃ নং ৫১৬)। হু একটি সর্বনাম, যার অর্থ তিনি বা সে (আঃ দিশারী অভিঃ ১৯৪)। আর এই আয়াতে পূর্বের বাক্যে উল্লেখিত রসুলকে বোঝানো হইয়াছে। অর্থাৎ আন্নাহু শব্দটা দুই বাক্যের মাঝখানে বসে দুটি বাক্যকে আলাদা রেখে অর্থ করে, যেমন সুরা বাকারার ২৬ নং আয়াত এবং ৬৮ ও ৬৯ নং আয়াত আন্না শব্দ এই ভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে। সেই অনুসারে এখানে এই আয়াতের আন্না শব্দ দিয়ে আয়াতের প্রথম অংশ, (আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে এমন অনেক রসূল, যাদের প্রতি ছিলনা কোন ওহী।) এই অংশটিকে ২য় অংশ থেকে (আমি ছাড়া কোন ইলাহা নেই। অতএব তোমরা আমার ইবাদত কর) আলাদা করা হয়েছে। অনেকেই এই আয়াতটিকে প্রত্যেক নবীর উপর একটি কমন ওহী এসেছে এই অর্থে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য ঠিক নহে। কারণ প্রত্যেক নবীর উপর একটি কমন ওহী এসেছে এটা প্রকাশ করাই যদি এই আয়াতের উদ্দেশ্য হইত তাহলে আয়াতটিতে রসূল শব্দ না এসে নবী শব্দ আসতো। কারণ প্রত্যেক নবীই কিতাবপ্রাপ্ত (ইমরান ৮১)। আর নীবদের উপরতো ওহী নাযিল হয়েছে (সুরা নেসা ১৬৩)। যেহেতু সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতে নবী শব্দ না এসে রসূল এসেছে বিধায় প্রমাণিত হয় যে, উক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য কমন ওহী ব্যক্ত করা নহে এটা নিশ্চিত। উক্ত আয়াতটিকে কমন ওহীর আয়াত হিসেবে অর্থ না করার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এই যে, যদি আয়াতটিকে কমন ওহীর দিকে অর্থ করা হয়, তাহলে প্রমাণ হয় যে, ওহী ব্যতীত কোন রসূল নেই। সে ক্ষেত্রে উক্ত আয়াতটি, সূরা মায়েদার ১৯নং আয়াতের পরিপন্থি হয়। কারণ এই আয়াতের বলা হয়েছে দুই নবীর মধ্যবর্তী ফাতারাতি পিরিয়ডে যখন ওহী বিরতি ছিল তখনও রসূল ছিল। এরা ছিল ওহী ব্যতীত রসূল। কারণ ঈসা (আ.) এর পর থেকেই মোহাম্মদ (সা.) এর পূর্ব পর্যন্ত এই পাঁচশত বৎসর কোন ওহী ছিল না। অথচ এখানে রসূল ছিল। এটাই সূরা মায়েদার ১৯নং আয়াতে ইঙ্গিত আসছে। কাজেই যদি কেহ সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতটি এমনভাবে অর্থ করে যে, ওহী ব্যতীত কোন রসূল ছিল না। সেক্ষেত্রে উক্ত আয়াতের সাথে সূরা মায়েদার ১৯নং আয়াতের বিরোধ হবে বিধায় সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতটিকে কমন ওহীর দিকে অর্থ না করে বরং আয়াতের প্রকৃত যে উদ্দেশ্য, তোমার পূর্বে এমন অনেক রসূল পাঠিয়েছি যারা ওহী ব্যতীত রসূল। তাহলে উক্ত আয়াতটি পবিত্র কোরানের কোন আয়াতের সাথে পরস্পর বিরোধী হবে না এটা নিশ্চিত। তাছাড়াও উক্ত আয়াতটি কমন ওহীর দিকে অর্থ না করার তৃতীয় কারণ হচ্ছে এই যে, পূর্বে নাযিলকৃত ওহীকে বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে (সূরা বাকারায় আয়াত নং-৪)। বিধায় একই ওহী বারবার কিংবা প্রত্যেক নবীর কাছে নাযিল হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বরং একই ওহী প্রত্যেক রসূল প্রচার করতে পারবে এতে কোন সন্দেহ নেই বিধায় সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতে যে সকল রসূলের কাছে কোন ওহী নাযিল হয়নি তাহারা পূর্বে নাযিলকৃত ওহীগুলিকে বিশ্বাস করে বারবার প্রচার করেছে তাহাই বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পূর্বে নাযিলকৃত ওহী, ‘আমি ছাড়া কোন ইলাহা নেই অতএব তোমরা আমার ইবাদত করো’ সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতের অর্থ এটাই। তার পরেও সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতটিকে কমন ওহির দিকে অর্থ না করার প্রকৃত কারণ হচ্ছে এই যে, আরবী ব্যাকরণ থেকে জানা যায় বিশেষ্যের আগে ما (মা) শব্দ আসলে অর্থ হয় কী? যেমন مااسمك তোমার নাম কী? আর যখন একই বাক্যে ما (মা) এবং الا )ইল্লা) শব্দ আসে তখন সেটা না সূচক প্রশ্নবোধক হয়। এই ধরণের م (মা) কে م وصله মা-মাওচুলা বলে। যেমন ওয়া মা মুহাম্মাদিন ইল্লা রাসুলান। অর্থ মুহাম্মদ কী রসূল ব্যতীত নহে? (সুরা ইমরান ১৪৪) ওয়া মা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন। অর্থ আমি কি তোমাকে পাঠাইনি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ অন্যকে ব্যতিত? (আম্বিয়া-১০৭)। এই আয়াতে মা এবং ইল্লা শব্দ এসেছে বিধায় বাক্যের প্রথম অংশে না সূচক প্রশ্নবোধক অর্থ ব্যবহৃত হবে এবং পরের অংশে ইল্লা শব্দের অর্থ বহাল রেখে যে অর্থ আসে সে অর্থে আয়াতটিকে অর্থ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আয়াতটির সরল অর্থ হয় আমি একমাত্র তোমাকে পাঠিয়েছি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ। যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আমি কি তোমার কাছে পাঠাইনি ছাত্রদের মধ্য থেকে এমন অনেক ছাত্র যারা ছিল কিতাব ব্যতিত? এক্ষেত্রে যেভাবেই অর্থ করি না কেন, এর প্রকৃত অর্থটা হবে এরকম-তোমার কাছে কিতাব ব্যতিত কিছু ছাত্র পাঠিয়েছি, এর বাইরে অর্থ করলে বাক্যের অর্থ বিপরীত হবে। সেক্ষেত্রে যদি কেহ প্রথম অংশের প্রশ্নবোধকটা উঠিয়ে দিয়ে অর্থ করে তখন অর্থ কিন্তু পরিবর্তন হয়ে বিপরীত দিকে চলে যায়। যেমন আমি তোমার কাছে কিতাব ব্যতিত কোন ছাত্র পাঠাইনি। বা আমি পাঠাইনি কোন ছাত্র কিতাব ব্যতিত। এখানে প্রশ্নবোধক শব্দ উঠিয়ে দেওয়ায় বাক্যের অর্থ বিপরীত হয়ে গেল। যেহেতু চিঠিতে প্রশ্নবোধক এসেছে আর সেক্ষেত্রে প্রশ্নবোধক বাদ দিলে যদি প্রকৃত অর্থ বিপরীত দিকে হয় তাহলে কোন অবস্থায় উক্ত বাক্যে প্রশ্নবোধক শব্দ বাদ দেওয়া যাবে না। ঠিক তদ্রুপ সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতে এসেছে ‘ওযা মা আরসালনা মিন কাবলিকা মিনার রাসুলি ইল্লা নু ওহি ইলাইহি। অর্থ আমি কি পাঠাইনি, তোমার পূর্বে রসূলদের মধ্য থেকে এমন অনেক রসূলকে, যারা ছিল ওহি ব্যতিত? এখন যদি কেহ প্রশ্নবোধকটা উঠিয়ে দেয় তাহলে অর্থটা এর বিপরীত হবে। যেমন আমি পাঠাইনি তোমার পূর্বে রসূলদের মধ্য থেকে এমন রসূল যারা ছিল ওহি ব্যতিত। তাহলে কিন্তু আল্লার কথার বিপরীত অর্থ হবে। আর সেক্ষেত্রে আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হলে তার জন্য কঠিন শাস্তি (সূরা হজ্ব-৫১)। কাজেই সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতটিকে প্রশ্নবোধক রেখেই অর্থ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে না। তাই আয়াতটির প্রকৃত অর্থ হবে ‘আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে রসূলদের মধ্য থেকে এমন অনেক রসূলকে যারা ছিল ওহি ব্যতিত’। অর্থাৎ ওহি ব্যতিতও অনেক রসূল ছিল। আরেকটি আয়াত যেমন সূরা হজ্বের ৫২ নং আয়াতে এসেছেÑওমা আরসালনা মিন কাবলিকা মিনার রাসুলি লা নাবি ইল্লা ইজা তামান্নাই। …অর্থ আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে রসূলদের মধ্য থেকে এমন অনেক রসূল যারা নবী নহে। উক্ত দুই আয়াতে প্রশ্নবোধক শব্দ বাদ দিয়ে কোন অর্থ গ্রহণযোগ্য নহে। কারণ ওমা আরসালনা মিন কাবলিকা মিনার রাসুলি শব্দ দিয়ে রসূলদের মধ্যে দুই ধরণের রসূলের কথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ রসূলদের মধ্যে পার্থক্য আছে (সুরা বাকারা-২৫৩)। পবিত্র কোরআনে এমন কোন আয়াত নেই যে, মা আরসালনা মিন কাবলিকা মিনান নাবীই। অর্থাৎ আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে নবীদের মধ্য থেকে এমন অনেক নবী? নবীদের মধ্য থেকে এমন অনেক নবী আছে, এমন কথা কোরআনে আসে নাই। কারণ নবীদের ভিতরে কোন পার্থক্য নাই (বাকারা-১৩৬)। সকল নবীই ওহি প্রাপ্ত বা কিতাব প্রাপ্ত। (ইমরান-৮১) (নেসা-১৬৩)। পক্ষান্তরে রসূলদের মধ্য থেকে এমন অনেক রসূল কথা কোরআনে আসছে। এতে প্রমাণ হয় রসূল দুই ধরনের। এক ধরনের রসূল ওহি প্রাপ্ত (মায়েদা-৬৭) আর অপর রসূল ওহি ব্যতীত (আম্বিয়া-২৫)। আর এই দুই ধরনের রসূলের মধ্য থেকে ওহি প্রাপ্ত রসুলের নাম কোরআনে এসেছে, আর ওহি ব্যতিত রসুলের নাম কোরআনে আসে নাই। (নেসা-১৬৪)। কাজেই উপরোক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে, সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতটিকে কমন ওহির আয়াত হিসাবে অর্থ করা যাবে না কিংবা ওহি ব্যতিত কোন রসূল নেই এমন ভাবে অর্থ করা যাবে না। করলে সেটা অন্য আয়াতের সাথে পরস্পর বিরোধী হবে বিধায় উক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। তাছাড়া যদি কেহ উক্ত আয়াতের অর্থ অন্যভাবে করে আয়াতের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তি হল জাহান্নাম (সূরা হজ্ব ৫১)। কাজেই সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতটিকে কমন ওহী নাযিলের দিকে অর্থ করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কাজেই সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতটির প্রকৃত উদ্দেশ্য ওহী ব্যতীত অনেক রসূল ছিল। আর সম্যকগুরুগণই হচ্ছে ওহী ব্যতীত রসূল। অনেকে আছে যারা ওহীপ্রাপ্ত রসূলগণকে বিশ্বাস করে আর ওহী ব্যতীত রসূলগণকে অস্বীকার করে। এদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন উহারা কতক রসূলকে বিশ্বাস করে আর কতক রসূলকে অস্বীকার করেন। উহারা এই বিষয়ের মধ্যে একটা মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করতে চায় (সূরা নেসা ১৫০)। মূলত উহারাও কাফের বলে গণ্য হয় (সূরা নেসা ১৫১)। উপরোক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে, রসূল হচ্ছে দুই প্রকার। একটা হচ্ছে ওহীপ্রাপ্ত রসূল আর অপরটি হচ্ছে ওহী ব্যতীত রসূল। এইজন্য রসূলের মধ্যে পার্থক্য আছে (বাকারা- ২৫৩)। আর সেই পার্থক্যটা হচ্ছে এই যে, একটি হচ্ছে ওহীপ্রাপ্ত রসূল (মায়েদা-৬৭) অপরটি হচ্ছে ওহী ব্যতিত রসূল (ইমরান-৮১) (সূরা আম্বিয়া-২৫)। যে রসূলটা নবীর কাছ থেকে রেসালতের মাধ্যমে আসছে। (ইমরান-৮১)। তিনি ওহী ব্যতীত রসূল। এখানে উল্লেখ্য যে, আল্লাহ যখন সরাসরি নবীর কাছে ওহী নাযিল করেন তখন তিনি শয়তান থেকে ওহীকে নিজে হেফাজত করে থাকেন (সূরা হিযর-১৭)। কিন্তু যে সকল রসূল, নবী নহেন, নবীর কাছ থেকে রিসালত প্রাপ্ত। সেই সকল রসূলগণ, সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াত অনুসারে পূর্বের নবী এবং রসূলগণের কিতাবের আয়াত প্রচার করতে গেলে তখন শয়তান তাদের অন্তরে কিছু প্রক্ষিপ্ত করে আল্লাহর আয়াতকে ব্যর্থ করার জন্য কিন্তু আল্লাহ নিজেই তখন তাদের অন্তর থেকে তাহা বিদুরিত করে দিয়ে আল্লাহর আয়াতকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আমি কি পাঠাইনি তোমার পূর্বে এমন অনেক রসূল, যারা নবী নহে, উহারা যখন (পুর্বে নবীদের কিতাব থেকে আয়াত প্রচারের) আকাঙ্খা করিত, তখন শয়তান তাদের অন্তরে কিছু প্রক্ষিপ্ত করিত, তখন শয়তান তাদের অন্তরে যাহা প্রক্ষিপ্ত করিয়াছিল, আল্লাহ তাহা বিদুরিত করিয়া আল্লাহর আয়াতকে সু-প্রতিষ্ঠিত রাখে। আল্লাহ প্রজ্ঞাময় এবং সর্বজ্ঞ। (হজ্ব-৫২)। এখানে উল্লেখ্য যে, যারা রসূল নহে এমনসব লোক যখন কোরআন প্রচার করতে যায়, তখনই তাদের অন্তরে শয়তান কিছু প্রক্ষিপ্ত করে মানুষের মধ্যে আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরী করে। তখনই কুরআনের এক আয়াতের অনুবাদ অন্য আয়াতের অনুবাদের সহিত পরিপন্থী হয়ে যায়। কিন্তু জেনে রাখবেন, কুরআনের মধ্যে পরস্পর বিরোধী কোন আয়াত নেই। এই জন্য কুরআন শিক্ষার জন্য আল্লাহ বলেন, রাসূল তোমাদিগকে কুরআন শিক্ষা দিবেন। (সূরা বাকারা-১৫১) (সূরা ইমরান-১৬৪)। এজন্য আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক গ্রামে বা জনপদে আমার আয়াত আবৃত্তি করার জন্য রসূল পাঠাই (কাসাস-৫৯)। অনেকেই বলেন, প্রত্যেক রাসূলই কিতাবপ্রাপ্ত। যাহা উপরোক্ত আলোচনার পরিপন্থী কথা। এই মর্মে তারা পবিত্র কুরআনের সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতটি এই ভাবে অর্থ করে যে, তোমার পূর্বে যে সকল রাসূল পাঠিয়েছি তারা সকলেই ওহীপ্রাপ্ত। কিন্তু না, এই আয়াতে এ কথা বলা হয় নাই (বি: দ্র: পূর্বে এই আয়াতের শব্দ বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেখানে বিস্তারিত কেধুন) প্রত্যেক রাসূল ওহী প্রাপ্ত নহে। প্রত্যেক রসূল ওহীপ্রাপ্ত, এই আয়াতে এটা বলা হয়নি, কারণ এমনটি বললে এই আয়াতটি অর্থাৎ (২১ : ২৫) আয়াতটি সূরা ইমরানের ৮১নং আয়াতের এবং সূরা হজ্বের ৫২নং আয়াতের সাথে পরস্পর বিরোধি বলে গণ্য হয়। কারণ প্রত্যেক রসূল ওহী প্রাপ্ত হলে প্রত্যেক রসূল কিতাব প্রাপ্ত হতো। কিন্তু আয়াতে বলেছে, প্রত্যেক নবী কিতাব প্রাপ্ত। (সুরা ইমরান ৮১) আর ওহী কিতাবের অংশ, ওহী ব্যতিত কোন কিতাব নেই। বিধায় এই আয়াত অনুসারে প্রত্যেক নবী ওহী প্রাপ্ত। যারা ওহী প্রাপ্ত তাদের কথা বলাই যদি সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতে উদ্দেশ্য হতো, তাহলে আয়াতটিতে বলা হতো, তোমার পূর্বে আমি ওহী ব্যতীত কোন নবী প্রেরণ করি নাই। কিংবা তোমার পূর্বে আমি যেসকল নবী পাঠিয়েছি তারা সকলে ওহী প্রাপ্ত। তাহলে সূরা ইমরানের ৮১নং আয়াতের সাথে সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতটি পরস্পর বিরোধী হইত না। যেহেতু সূরা আম্বিয়ার ২৫ নং আয়াতে নবীর কথা আসে নাই। বরং রাসূল শব্দ এসেছে, তাহলে উক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমার পূর্বে ওহী ব্যতীত অনেক রসূল ছিল এই কথা ব্যক্ত করেন। এখানে উল্লেখ যে, নবী মোহাম্মদ (স:) এর পূর্বে এবং ঈসা (আ:)-এর পরে অর্থাৎ ঈসা (আ:) এর পরে মোহাম্মদ (স:) এর পূর্বে মাঝখানে এই ৫০০ বৎসর এখানে কোন ওহী ছিল না। অথচ এখানে রসুল ছিল (সূরা মায়েদা-১৯)। আর সেই রসুলগণ ছিল ওহী ব্যতিত রসুল। আর এই ধরনের রসূলগণের নাম কিতাবে উল্লেখ আসে নাই (সুরা নেসা-১৬৪)। আর এই রসূলদের কথায় সূরা আম্বিয়ার ২৫নং আয়াতে বলা হয়েছে। নবীর কাজ ওহী প্রচার করা এমন আয়াত আসে নাই, বরং আয়াতে আসছে রসূলের কাজ হচ্ছে ওহী প্রচার করা। (মায়েদা-৯৯), (মায়েদা-৬৭)। তারপরও যদি কেহ মায়েদার ৬৭ আয়াত দিয়ে প্রমান করতে চায় যে, প্রত্যেক নবীর উপর যেমন ওহী নাযিল হয়েছে তেমনই প্রত্যেক রসূলের উপরও ওহী নাযিল হয়েছে। অর্থাৎ যদি তারা এমনটি বলে যে, প্রত্যেক নবীই ওহী প্রাপ্ত এবং প্রত্যেক রসূল ওহী প্রাপ্ত। অর্থাৎ নবী ও রসূল শব্দটি শুধু ওহীর সাথে সম্পৃক্ত। তাদের কথায় প্রমাণ হয় যে, নবী এবং রসূলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। নবী ও রসূল একই ব্যক্তি এক পদ, যেটা ওহীর সাথে সর্ম্পক্যযুক্ত। তাদের কথা ঠিক নহে এই জন্য যে, নবী ও রসূল এক পদ নয়। প্রত্যেক নবীই কিতাবপ্রাপ্ত বা অহীপ্রাপ্ত (সূরা ইমরান-৮১)। কিন্তু প্রত্যেক রসুল কিতাবপ্রাপ্ত নহে বিধায় প্রত্যেক রসূল নবী নহে। এই মর্মে আল্লাহ বলেন তোমার পূর্বে আমি কি এমন অনেক রসুল পাঠাইনি যারা নবী নহে (সূরা হজ্জ্ব-৫২)? অর্থাৎ যাহাদের উপর অহী নাযিল হয়নি তাহারা নবী নহে বিধায় প্রত্যেক রসুল অহীপ্রাপ্ত নহে এটা নিশ্চিত। আবার নবী ও রসূলের মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। কারণ নবী ও রসূল একই ব্যক্তি নাও হতে পারে। এটাই বড় পার্থক্য। মর্যাদাগত বা গুণগত পার্থক্যের বিষয়টি এই পুস্তকের ‘নবী ও রসূল এর মধ্যে পার্থক্য’ অধ্যায়ে বিস্তারিত দেখুন। এখানে আমি একটা বিষয়ে বলতে চাই, নবী ও রসূল যখন আলাদা ব্যক্তি তখন নবী ও রসূল এর ভিতরে পার্থক্য আছে প্রমাণিত হয়। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, হে নবী তোমার কাছে যখন একজন রসূল আসবে (ইমরান-৮১) এই আয়াতে অবশ্যই প্রমাণিত হয় যে, নবীর কাছে যে রসূল আসবেন তিনি নিশ্চয়ই নবী নহে, তিনি শুধু রসূল। আবার আল্লাহ বলেন, তোমরা রসূলের আনুগত্য করলে নবীর সঙ্গী হবে (নেসা-৬৯)। এই আয়াতের উল্লেখিত রসূল নিশ্চয়ই নবী নহে, ভিন্ন ব্যক্তি। আবার সুরা হজ্বের ৫২ নং আয়াতে বলা হয়েছে অনেক রসূল আছে যারা নবী নহে। অতএব, নবী এবং রসূলের মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে, আর সেই পার্থক্যটাই হচ্ছে প্রত্যেক নবীর উপরেই কিতাব বা ওহী নাযিল হয়েছে (ইমরান-৮১), (নেসা-১৬৩) এবং প্রত্যেক নবীকেই নবুয়ত দেওয়া হয়েছে। (ইমরান-৭৯)। প্রত্যেক নবীর উপর নবুয়ত, ওহী, কিতাব নাযিল হওয়ার পরে তাকে রেসালত দেওয়া হয়েছে। (জ্বীন-২৩) এজন্য প্রত্যেক নবীই রসূল। কিন্তু প্রত্যেক রসূলই নবী নহে। (হজ্ব-৫২)। নবী এক সময় শেষ হবে (আহযাব-৪০)। কিন্তু ইবলিশকে প্রতিহত করার জন্য রসূল (সূরা নাহল-৩৬) কাজেই ইবলিশ যত দিন জীবিত থাকবে ততোদিন রসূল থাকবে এটা নিশ্চিত। এইজন্য রসূল বিরতিহীন একের পর এক আসবে (মমিন-৪৪)। কাজেই সম্যক গুরুগণই রসূল। তারা কোন বিনিময় গ্রহণ করে না। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, যারা কোন বিনিময় গ্রহণ করে না, এবং সঠিক পথে আছে, তুমি তাদের অনুসরণ কর (ইয়াসিন-২১)। বিধায় সম্যক গুরু তথা রসুলগণকেই অনুসরণ ও আনুগত্য করতে হবে। মনে রাখবেন এটাই হচ্ছে পবিত্র কোরআনের বুঝ। আল্লাহ বলেন কোরানের বুঝ যারা অপছন্দ করেন তাদের কর্মফল বিনষ্ট হবে (সূরা মোহাম্মদ-৯)

Babs 28 verses interpretation

Clear interpretation of 28 item(verses) Videos from Quran by Shuail Abdullahi (babs):-
.
16:44= https://youtu.be/ofnlt9XzrTo
53:3-4= https://youtu.be/_Zdaqx3BCzk
33:56= https://youtu.be/DmCELGeL-Yk
4:59= https://youtu.be/dRwdDbKc_JY
4:65= https://youtu.be/2ykYsLC6BE8
59:7= https://youtu.be/sjmY7l_Cp9w
33:38= https://youtu.be/tWxg5tK1jFA
29:48,62:2= https://youtu.be/hdJOCS8uM7Q
31:6-7= https://youtu.be/zrN8Tt09xIg
2:151= https://youtu.be/kgcRzocCMS8
4:34= https://youtu.be/nrj_mK4S6PA
2:106= https://youtu.be/iIzVM3zEXmo
2:144= https://youtu.be/EAHsjDQG5GM
2:219= https://youtu.be/MlnaOda3-e0
2:187= https://youtu.be/XswF56fnNKs
74:30= https://youtu.be/fLp_Hb-13ho
3:7= https://youtu.be/nN0-NlycBJk
9:84=✔ https://youtu.be/f4EgDhW4wQA
24:54= https://youtu.be/AJgLMZqutC0
4:43= https://youtu.be/1bw1UIPoQiU
62:9= https://youtu.be/rsCnR6hiFZ4
72:18= https://youtu.be/YTbkeoFjYZQ
9:84=✔https://youtu.be/pWksZ8eKkUE
2:238= https://youtu.be/iqnfaIJwhTk
11:114, 17:78-79= https://youtu.be/gXhtoMlK0h8
9:36= https://youtu.be/2siv8IKKhcY
97:1= https://youtu.be/70cmdjSUcP0
9:97= https://youtu.be/ZGrdvF3LoaY
.
Arranged by raf. 08.06.2019

নাসেখ ও মানসূখ – একটি মিথ্যা প্রচারনা » স দা লা প

https://shodalap.org/faruk/12400/

.

« 

 »

MAY২৯

নাসেখ ও মানসূখ – একটি মিথ্যা প্রচারনা

N.B- মুক্তমনায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি পোস্টের জবাবে।

নাসেখ মানসূখের এই কোরান বিরোধী মিথ্যা প্রথমে চালু হয় ৪০০ হিঃ বা ১০০০সনের শেষের দিকে তখনকার কিছু আলেম ওলামা কতৃক , যাদের অন্যতম আহমেদ বিন ইশাক আল দিনারি(মৃঃ ৩১৮ হিঃ), মোহাম্মদ বিন বাহার আল-আসবাহানি (মৃঃ ৩২২হিঃ) , হেবাতাল্লাহ বিন সালামাহ (মৃঃ ৪১০হিঃ) এবং মুহাম্মাদ মূসা আল-হাজমি (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ)। তাদের দাবী , কোরানের কিছু আয়াত বাতিল বা প্রতিস্থাপিত হয়েছে কোরানের অন্য আয়াত দ্বারা। যে আয়াত অন্য আয়াতকে বাতিল করেছে , তাকে বলা হয় ‘নাসেখ’ এবং বাতিলকৃত আয়াত – ‘মানসূখ’।

আসলেই কোরানের কোন আয়াত মানসূখ বা বাতিল হয়নি এবং কোরানের দুটি আয়াতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। অমুসলিমরা ও কোরানস্কেপ্টিকরা এই আয়াতগুলি ব্যবহার করে দুটি আয়াতের ভিতরে বিরোধ দেখিয়ে এটা প্রমান করতে যে , কোরান পারফেক্ট নয় ।

যে দুটি আয়াতের উপর ভিত্তি করে আলেমরা নাসেখ মানসুখের দাবী করেন , চলুন সেই আয়াত দুটি বিশ্লেষন করা যাক –

প্রথম আয়াত ২:১০৬
“আমি কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?”

আলেমদের দাবী এই আয়াত প্রমান করে যে কোরানের কিছু আয়াত অন্য আয়াত দিয়ে বাতিল করা হয়েছে। তারা ‘আয়াত’ এর শব্দগত মানে করেছে কোরানের আয়াত , যদিও কোরানে আমরা ‘আয়াত’ এর ৪ রকমের শব্দগত মানে পাই।

১) ‘আয়াত’ = অলৌকিক ঘটনা (miracle)
“১৭:১০১ আপনি বণী-ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করুন, আমি মূসাকে নয়টি প্রকাশ্য নিদর্শন( آيَاتٍ ) দান করেছি।”

২) ‘আয়াত’ = উদাহরন (example)
“২৫:৩৭ নূহের সম্প্রদায় যখন রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করল, তখন আমি তাদেরকে নিমজ্জত করলাম এবং তাদেরকে মানবমন্ডলীর জন্যে নিদর্শন(آيَةً) করে দিলাম।”

৩) ‘আয়াত’ = চিহ্ন (sighn)
“১৯:১০ সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন(آيَةً) দিন। তিনি বললেন তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন মানুষের সাথে কথাবার্তা বলবে না।”

৪) ‘আয়াত’ = কোরানের আয়াত।
“৩৮:২৯ এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ(آيَاتِهِ) লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।”

এখন

২:১০৬ “আমি কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?”

আয়াতটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে প্রতীয়মান হয় যে , এই আয়াতে ‘আয়াত’ এর মানে কোরানের আয়াত না হয়ে বাকি ৩ টি মানেই বেশি যুক্তিযুক্ত। কারন – এই আয়াতেরি কয়েকটি শব্দের দিকে খেয়াল করুন –

১) “বিস্মৃত করিয়ে দিলে”- কোরানের আয়াত বিস্মৃত হয়ে যাওয়া কিভাবে সম্ভব? বেশিরভাগ হাফেজ ভুলে গেলেও কারো না কারো তো মনে থাকার কথা , তদুপরি কোরান একবার লেখা হয়ে গেলে তো আর ভোলা সম্ভব নয়। যদি মেনেও নেই আয়াতটি বাতিল হয়ে গেছে , তবুও সেটা কোরানেই লেখা থাকবে এবং সেটা ভুলে যাওয়া কখনৈ সম্ভব নয়। অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন ভুলে যাওয়া সম্ভব।

২) “সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন” – একটি কোরানের আয়াত বাতিল করে তারি মতো সমপর্যায়ের আরেকটি আয়াত আনয়নের মধ্যে কোন যুক্তি আছে কি? আল্লাহ কি খেলা করছেন? (আল্লাহ মাফ করুন)। বরং মূসা বা অন্য রসূলের কাছে এমন কোন অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন দেয়া হয়েছিল যা মানুষ ভুলে গেলে উত্তম বা সমপর্যায়ের অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন আনয়ন বেশি অর্থবহ।

৩) আপনি যদি এই আয়াতের কন্টেক্সট দেখেন অর্থাৎ আগে পিছের আয়াত পড়েন , তাহলে বুঝবেন , ২:১০৬ নং আয়াতে ‘আয়াত’ এর মানে কোরানের আয়াত নয়। এখানে ‘আয়াত’ শব্দটি দিয়ে আল্লাহর কুদরতের কথা বলা হয়েছে যা অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরনের সমার্থক।

আল্লাহ মানুষকে বোঝানোর জন্য যখনি কোন (আয়াতের) অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরনের আনয়ন করেন , তখন তা পূর্ববর্তী আয়াতের সমান বা বৃহৎ হয়ে থাকে।

“৪৩:৪৬-৪৮ আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী (بِآيَاتِنَا) দিয়ে ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর সে বলেছিল, আমি বিশ্ব পালনকর্তার রসূল। অতঃপর সে যখন তাদের কাছে আমার নিদর্শনাবলী (بِآيَاتِنَا) উপস্থাপন করল, তখন তারা হাস্যবিদ্রুপ করতে লাগল। আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই (آيَةٍ) দেখাতাম, তাই হত পূর্ববর্তী নিদর্শন অপেক্ষা বৃহৎ এবং আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম, যাতে তারা ফিরে আসে।”

২য় আয়াত ১৬:১০১
“এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।”

এখানে কোন আয়াতের প্রতিস্থাপনের কথা বলা হচ্ছে , তা বুঝতে হলে , এই আয়াতেরি শেষের অংশটি খেয়াল করুন – “তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।” এখানে এই ‘তারা’ টা কারা? যারা রসূলকে মনগড়া বা বানিয়ে কথা বলার দায়ে অভিযুক্ত করছে? এরা নিশ্চয় রসূলের অনুসারীরা না। এমন কথা মূসলমানেরা তাদের রসূলকে বলতে পারে না।

এরা হলো তারাই , যারা রসূলকে বিশ্বাস করে না এবং রসূলের কাছে নাযিলকৃত কোরানের আয়াত তাদের কাছে রক্ষিত আল্লাহর আয়াত থেকে ভিন্ন। ফলে তারা রসূলকে মনগড়া উক্তি করার দায়ে অভিযুক্ত করছে। বোঝা গেল এরা হলো আহলে কিতাবের অনুসারীরা (ইহুদী ও খৃষ্টানরা)। শুধু এই আয়াতের মাধ্যমেই নয় , অন্য আয়াতের মাধ্যমেও আল্লাহ জানিয়েছেন যে , কোরান অনুসারীদের জন্য পূর্বের রসূলগনের জন্য নাযিলকৃত কিছু কিছু আয়াত বা আইনের পরিবর্তন করেছেন। আল্লাহ কোরানে একটি আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করলেন কিনা তা ইহুদী ও খৃষ্টানদের যেমন জানার কথা নয় , তেমনি তাদের জন্য কোন মাথা ব্যাথার কারন হতে পারেনা বা তার জন্য ক্ষেপে যেয়ে রসূলকে মনগড়া উক্তি করার দায়ে অভিযুক্ত করতে পারেনা। সর্বশক্তিমান আল্লাহ “আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন” এই বাক্য দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে , এই আয়াতে কোরানের আয়াত প্রতিস্থাপনের কথা বলা হয় নি । বরং আহলে কিতাবদের গ্রন্থে যে আয়াত আছে , তার স্থলে নুতন বা উত্তম আয়াত রসূলের কাছে নাযিলের কথা বলা হয়েছে।

২৬ comments

Skip to comment form ↓

  1. 1
    আব্দুল হক

    আপনি যে ব্যখ্যা দিলেন তা সে সঠিক তার নিশ্চয়তা কি? তা ছাড়া মুক্তমনার সেই লোক তো অনেকগুলো হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছে, আপনি তো সে হাদিস গুলো সম্পর্কে কিছু বললেন না। শান্তির আয়াত ও জিহাদের আয়াত গুলো পরষ্পর রাখলে কোন আয়াতের কার্যকারিতা আছে বলে মানুষ জানবে যেখানে জিহাদের আয়াত গুলি শান্তির আয়াতের অনেক পরে নাজিল হয়েছে? চিরন্তন পদ্ধতি তো এটাই পরবর্তী বিধান কার্যকর হবে। তাই না ?

    1. 1.1
      ফারুক

      আপনি যে ব্যখ্যা দিলেন তা সে সঠিক তার নিশ্চয়তা কি?

      আল্লাহ আপনাকে ব্রেণ দিয়েছেন , সেটা ব্যাবহারের জন্য। সেটা খাটিয়ে নিজেই স্বীদ্ধান্তে আসুন।
      ৭:১৭৯ আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।

      হাদিসগুলো সব বানানো এবং এই বানানো কথার উপরে ভিত্তি করেই কোরান ও রসূলকে অবমাননা করা হচ্ছে। যেটা মিথ্যা , তাকে কিভাবে খন্ডন করব?

      1. 1.1.1
        আব্দুল হক

        তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না
        মুক্ত মনার উক্ত ভবঘুরে তো তার বিবেচনা দিয়েই নিবন্ধটি লিখেছে , প্রমান হিসাবে তুলে ধরেছে কোরানের আয়াত ও সহি হাদিস বুখারী ও মুসলিম। আপনি জাকির নায়েকের ভক্ত মনে হয় কারন আপনি হুবহু তার যুক্তি তুলে ধরছেন। মদ্যপান আগে চালু ছিল পরে তা বাতিল হয়, মহানবীকে আল্লাহ যত খুশী বিয়ে আদেশ দেয়ার পর তা রদ করেন বিয়ে করতে নিষেধ করেন, নারীর  ব্যভিচারের শাস্তি ঘরের মধ্যে অনির্দিষ্ট কাল আটকে রাখার পরিবর্তে ১০০ দোররা নির্ধারিত হয়- এসব বিষয়ে আপনার কি মন্তব্য , এগুলো কি নাসেক মানসুকের উদাহরণ নয়? এগুলো তো কোরানের পূর্ববর্তী আয়াত সমূহের কার্যকারীতাই রদ করেছে। সে ক্ষেত্রে ইহুদি খৃষ্টানদের সাথে সহাবস্থান বিষয়ে আগের শান্তি পূর্ন আয়াতের পরিবর্তে মদিনাতে যে ভিন্ন আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে যাতে ইহুদি খৃষ্টানদের সাথে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে, তাদেরকে উচ্ছেদ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, এমন কি হত্যা করতেও বলেছে।  পূর্বোক্ত বিষয়ের ঘটনাগুলো মেনে নিতে আপনার কোন অসুবিধা নেই , শুধুমাত্র সহাবস্থান বিষয়ক ঘটনা গুলোর আয়াত মানতে অসুবিধা হচ্ছে, এটা কি সুবিধাবাদিতা নয়? একই তত্ত্ব মোতাবেক কিছু ঘটনা মানবেন আর কিছু মানবেন না , তা তো হয় না।
        হাদিসগুলো সব বানানো এবং এই বানানো কথার উপরে ভিত্তি করেই কোরান ও রসূলকে অবমাননা করা হচ্ছে। যেটা মিথ্যা , তাকে কিভাবে খন্ডন করব?

        এক ফুতকারে আপনি হাদিস গুলোকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন । আপনি যে এভাবে উড়িয়ে দিলেন এর যুক্তি টা কি ? গত ১২০০ বছর ধরে এসব হাদিস সহি হিসাবে মুসলিম জগতে বিশ্বাস করা হয়েছে আর আপনি তুড়ি মেরে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন, আপনি উড়িয়ে দেয়ার কে ? আর ভিত্তিটাই বা কি ? হাদিস বাদ দিলে তো মহানবী(স:)কেও বাদ দিতে হয়। কারন মহানবীর (স:)  জীবনী ও তার আদর্শ আমরা হাদিস থেকেই পাই। হাদিস বাদ দেয়ার মানে হলো মহানবীর(স:)অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। আমাদের মহানবী(স:)  যে একজন ঐতিহাসিক ব্যাক্তি ছিলেন, তা আপনি জানেন কোথা থেকে? নিশ্চয়ই ইতিহাসবিদ থেকে, তাদের বক্তব্য যে সঠিক তার নিশ্চয়তা কি ? ঠিক এভাবেই হাদিস সংগ্রহকারীরা মহানবী(স:) এর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের হাদিস সংকলন করেছেন। বহু হাদিসই বিচ্ছিন্নভাবে লিখিত আকারে তৎকালীন মানুষের কাছে লিখিত আকারে ছিল, শুধুমাত্র মৌখিক কাহিনী থেকে হাদিস সংগ্রহ করা হয় নি। হাদিস ঠিক সেভাবেই সংকলন হয় যেভাবে কোরান সংকলন হয়। তফাৎ হলো কোরানের অনেক পরে প্রায় পৌনে দুশ বছর পর হাদিস সংকলন হয়। কিন্তু তাতে কি , বহু লিখিত হাদিস ছিল, সেগুলো কিভাবে পাল্টাতে পারে ?  এভাবে হাদিস যদি পাল্টে গিয়ে থাকে তাহলে কোরান সংকলনের সময়েও তো সে ঘটনা ঘটতে পারে ও ঠিক ভাবে কোরান সংকলিত নাও হতে পারে। অথচ সেটা তো আপনি স্বীকার করছেন না। কোরান সংকলনের ঘটনা ও পদ্ধতি আপনি কোথা থেকে জানবেন? নিশ্চয়ই হাদিস থেকে, তাই না ? আল্লাহ তো আর আস্ত একটা কোরান জিব্রাইলের মাধ্যমে মহানবী(স:) এর কাছে পাঠিয়ে দেন নি। কোরান সংকলনের যে হাদিস পাওয়া যায় , আপনি যদি স্বীকার করেন তাহলে স্বীকার করতে হবে কোরান সংকলনে বেশ ত্রুটি ছিল, অস্বীকার করলে আপনাকে প্রমান করতে হবে কিভাবে কোরান সঠিক ভাবে সংকলিত হয়েছিল।   তা ছাড়া সবচাইতে গুরুতর অভিযোগ যা আপনি করেছেন তা হলো ইমাম বুখারী বা মুসলিম এদের মত বিখ্যাত পন্ডিতদেরকে আপনি  অস্বীকার করতে চাইছেন। এভাবে আত্ম নিবেদিত বড় বড় আলেম দেরকে আপনি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবার কে ? তাদের হাদিস যে বানান ও মিথ্যা তার যুক্তিটা কোথায় ? আপনি বললেই তো আর তা বানান বা মিথ্যা হয়ে যাবে না , তাই না ?

        1. 1.1.1.1
          ফারুক

           

          মুক্ত মনার উক্ত ভবঘুরে তো তার বিবেচনা দিয়েই নিবন্ধটি লিখেছে , প্রমান হিসাবে তুলে ধরেছে কোরানের আয়াত ও সহি হাদিস বুখারী ও মুসলিম।

          ঠিক কথা। আপনিও আপনার বিবেচনা দিয়ে সেটা বিচার করুন এবং নিজের স্বীদ্ধান্ত নিজেই নিন। আমি জাকির নায়েকের ভক্ত নই , তবে কারো বক্তব্য এমনকি আপনার কথাও যদি আমার বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য মনে হয় , তাহলে সেটা মেনে নিতে আমি দ্বীধা করি না।

          কোরানের যে দুটি আয়াতের উপরে ভিত্তি করে ভবঘুরে  নাসেখ-মানসুখের পক্ষে তার বক্তব্য সাজিয়েছেন , আমি কোরান থেকেই তার বক্তব্য যে ভুল ছিল , তা দেখিয়েছি। এখন আপনার বিবেচনাবোধ প্রয়োগ করুন।  পরবর্তি পোস্টে তার উদ্ধৃত বাকি আয়াতগুলো নিয়ে আলোচনার আশা রাখি।

          এক ফুতকারে আপনি হাদিস গুলোকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন ।

          এক ফুতকারে উড়িয়ে দেই নি। এ নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করেছি এবং আমার কিছু পোস্ট ও আছে । আমার লেখা হাদীস ও সুন্নাহ সিরিজ পড়ে দেখতে পারেন।
          http://faruk55kw.blogspot.com/2011/10/blog-post_01.html

    2. 1.2
      এম_আহমদ

      শান্তির আয়াত ও জিহাদের আয়াত গুলো পরষ্পর রাখলে কোন আয়াতের কার্যকারিতা আছে বলে মানুষ জানবে যেখানে জিহাদের আয়াত গুলি শান্তির আয়াতের অনেক পরে নাজিল হয়েছে?

      যেহেতু আলোচনা এখানে হচ্ছে এবং এখানেই আপনি মন্তব্য করছেন, তাই আপনার উপরের মন্তব্যে কি বলতে চাচ্ছেন, তা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?

      1. 1.2.1
        আব্দুল হক

        তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
        দ্বীন নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি নাই। সূরা-বাকারা, ০২: ২৫৬ ( মদিনায় অবতীর্ণ)
        উক্ত ১০৯: ০৬ (কাফিরুন) ও ০২: ২৫৬(বাক্কারা)  আয়াত গুলোর অনেক পরে নিচের আয়াত গুলো মদিনাতে নাজিল হয়। খেয়াল রাখতে হবে বাক্কারা সূরার বড় অংশ মক্কাতে নাজিল হয়েছিল বাকী অংশ নাজিল হয়েছিল মদিনাতে তখনও মহানবী ( সা:) মদিনায় নবাগত ও ক্ষমতা হীন। আর নীচের আল ০৩: ৮৯ বাক্কারার পরে নাজিল হয় ও তাতে তেমন জিহাদী ভাব নেই। কিন্তু পরের ৯:০৫ ও ৯: ২৯ আয়াত সমূহ অর্থাৎ সূরা আত- তাওবা মদিনার জীবনের  একেবারে শেষে নাজিল হয় যখন মহানবী মদিনাতে একটা ইসলামী রাজ্য গঠন করে ফেলেছেন ও ক্ষমতা সুসংহত।
        যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। সূরা আল ইমরান, ০৩: ৮৫ মদিনায় অবতীর্ণ
        অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আ ত-তাওবা, ০৯: ০৫মদিনায় অবতীর্ণ
        তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। আত তাওবা, ০৯: ২৯মদিনায় অবতীর্ণ
        উপরিউক্ত আয়াত সমূহ মুসলমান ও অমুসলমান দের সহাবস্থান সম্পর্কে নাজিল হয়েছিল। এক্ষেত্রে কোন আয়াত গুলোর বিধান আমাদের অনুসরণ করা উচিত?

        1. 1.2.1.1
          এম_আহমদ

          @আব্দুল হক:
          ১। আপনি বলেছিলেন, “শান্তির আয়াত ও জিহাদের আয়াত গুলো পরস্পর রাখলে কোন আয়াতের কার্যকারিতা আছে বলে মানুষ জানবে যেখানে জিহাদের আয়াত গুলি শান্তির আয়াতের অনেক পরে নাজিল হয়েছে?” আপনার এই কথাটি “অস্পষ্ট” ছিল। হয়ত বাক্যের গঠনের কারণে। তাই প্রশ্ন করেছিলাম, “যেহেতু আলোচনা এখানে হচ্ছে এবং এখানেই আপনি মন্তব্য করছেন, তাই আপনার উপরের মন্তব্যে কি বলতে চাচ্ছেন, তা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?”  আমি মনে করেছিলাম জিহাদের কথা ও “আয়াতের কার্যকারিতা আছে বলে ‘মানুষ’ জানবে” এই জাতীয় বিষয় ব্যাখ্যা করবেন। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে অন্য দিকে গিয়েছেন।
          যদিও মূল কথায় যাননি, তবুও যতটুকু বুঝেছি তার আলোকে আপনার জিহাদী কথায় মন্তব্য করি। জিহাদ রাষ্ট্রের ব্যাপার। রাষ্ট্র প্রধানই বিজ্ঞ-ওলামাদের শূরায় জিহাদের স্থান আছে কি না তা নির্ধারণ করবেন। এটাই ইসলামের অবস্থান। ইসলাম বিদ্বেষী অপপ্রচারক মুর্খরা মনে করে প্রত্যেক ব্যক্তি কোরান পড়ে সে arbitrarily যা বুঝবে তার আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গিয়ে তা execute করে ফেলবে। এই অপপ্রচারক বিদেষীরা মানবজাতির দুশমন। তারা জাতি জাতিতে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে, নিজেদেরকে মানব-দরদী ভাবে। কোরান বলছে, “ওদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা জগতে ফেতনা-সৃষ্টি কর না, তখন তারা বলে আমরা তো শান্তিকামী।”  আপনার উল্লেখিত ‘মানুষ’ যদি মুসলমান হয়, তবে সে জানবে যে এটা তার বিবেচনা ও execute করার কিছু নয়। আর যদি সে বিদ্বেষী হয়, তবে এর কথাতে যাওয়ার দরকার নেই। তারা যা ইচ্ছা তাই বলুক, লিখুক, প্রচার করুক, who cares?  রাস্তায় কত মন্দ লোক কত কিছু বলে। কিন্তু আমরা তাদের কথাকে ignore করলেই চলে।
          ২। তারপর আমার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যা কিছু উদ্ধৃত করেছেন তার ভাষা ও বাক্যের বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে এখানে মুক্তমনার যে ব্লগটি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তারই মত, যেটি false premises and frail argument এর প্রতিষ্ঠিত। আপনি সেই লেখক হলে সরাসরি সেই মূল আলোচনায় যাওয়া যেত। কিন্তু ধরে নিচ্ছি এটা আলাদা, কারণ এক জাগার কথা অন্য জাগায় আলোচনা করার তেমন কোন মানি হয় না। আপনি যা বলেছেন তা অসংখ্য প্রশ্নের অবতারণা করে। অনেক ভুল তথ্য ও ধারণার প্রেক্ষিতে সাজানো। কিছু কথা অস্পষ্ট। তবুও একটা উত্তর দিচ্ছি। আপনার কথাকে সামনে রেখে স্কয়ার বন্ধনীর ভিতরে আমার কথা দেয়া হবে।
          ৩। তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬ ( মক্কায় অবতীর্ণ) দ্বীন নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি নাই। সূরা-বাকারা, ০২: ২৫৬ ( মদিনায় অবতীর্ণ)। উক্ত ১০৯: ০৬ (কাফিরুন) ও ০২: ২৫৬(বাক্কারা)  আয়াত গুলোর অনেক পরে নিচের আয়াত গুলো মদিনাতে নাজিল হয়। [মক্কায় নাজিল হলে কি হয় আর মদিনায় হলে কি?]
          ৪। খেয়াল রাখতে হবে বাক্কারা সূরার বড় অংশ মক্কাতে নাজিল হয়েছিল  [১। এটা ভুল তথ্য। কে আপনাকে বলল যে সূরা বাকারার বড় অংশ’ মক্কাতে নাজিল হয়েছিলআপনার কথা শুদ্ধ হলে প্রমাণ দেন। ভুল তথ্যের উপর কিছু ভিত্তি করতে নেই। ২৮৬ আয়াত সম্বলিত সূরা বাকারার সম্পূর্ণই মাদানী,  অর্থাৎ মদিনায় অবতীর্ণ তবে বলা হয় কেবলমাত্র একটি আয়াত অর্থাৎ ২৮১ নম্বর আয়াত যেটি মক্কায় হজ্জের সময় অবতীর্ণ হয়েছিল এই যা।] বাকী অংশ নাজিল হয়েছিল মদিনাতে তখনও মহানবী ( সা:) মদিনায় নবাগত ও ক্ষমতা হীন, [২।ক্ষমতাহীন’ কে বললএ সব কী কথাবার্তাএই evaluation –এর basis কিসুরা বাকারা যখন নাজিল হয়তখন কি তিনি ক্ষমতাহীন কিভাবেহিজরতের পর পরই অবস্থানগত পার্থক্য সূচিত হয়। মুহাম্মদ সেখানে মদিনার নেতা। অমুসলমানরা তার সাথে মদিনা রক্ষার্থে ও শান্তি রক্ষার্থে চুক্তিতে আবদ্ধ। তাঁর অবস্থান মক্কার মত ক্ষমতাহীন নয়।] আর নীচের আল ০৩: ৮৯ বাক্কারার পরে নাজিল হয় ও তাতে তেমন জিহাদী ভাব নেই।[৩। বাকারায় জিহাদী ভাব আছে আর আলে-ইমরানে জিহাদী ভাব নেইবা কমএই ধরনের তুলনা কোন প্রেক্ষিতটা কী এবং কিভাবে এসব তুলনায় উপনীত হওয়া হল? Am I in presence of literary criticism here?  এগুলোর কি কোন basis  থাকতে হবেনা বাকারায় কেন জিহাদী ভাবধারা থাকল এবং আলে ইমরানে কেন থাকল না?] কিন্তু পরের ৯:০৫ ও ৯: ২৯ আয়াত সমূহ অর্থাৎ সূরা আত- তাওবা মদিনার জীবনের  একেবারে শেষে নাজিল হয় যখন মহানবী মদিনাতে একটা ইসলামী রাজ্য গঠন করে ফেলেছেন ও ক্ষমতা সুসংহত। [৪। এখানে কিন্তু” দিয়ে কোন analogy  খুঁজা হচ্ছেমদিনার প্রথম বর্ষ থেকেই তো তাঁর হাতে ক্ষমতা। দ্বিতীয় বর্ষে বদর যুদ্ধ করছেন। এখানে কি মুক্তমনার সেই আগড়া-বাগড়া আসছে যে মক্কাতে ক্ষমতা নেইমদিনাতে আছেসুতরাং তিনি এখন তিনি ইচ্ছামত নাসেক/মনসূখ করছেনএইই কি যুক্তিযদি তাই হয়, then that is in fact very telling, you need not say anything more, its all known now. 
          ৫। ৩:৮৫ আয়াতের দীন বলতে আপনি কি বুঝেছেন এবং সেই ইসলামই বা কিআল্লাহর কাছে ইসলাম একমাত্র দীন হলে এটা কোন যুক্তি বহন করেজোরাজুরিরএগুলো খোঁড়া যুক্তি।  অজ্ঞতা থেকে উৎসারিত এবং আপনি হয়ত cut and paste করছেন। ৩:৮৫ কি নির্দেশ বাক্য (imperative), না simply informative বাক্য?  আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষিত তৈরি করার জন্য  যে analytical process mounting করতে চাচ্ছেনতার মধ্যে কোরানের তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রকাশ পাচ্ছে না। 3:852:256,109  ইত্যাদি একে অন্যকে negate করছে না। এই দেখুন আমি দেখাচ্ছি। আল্লাহর কাছে একমাত্র দীন হচ্ছে ইসলাম(কোরান)। কিন্তু দীনে কোন বাড়াবাড়ি নেই (কোরান)। (হে মুহাম্মদ) ওরা বিশ্বাস করলো না বলে আপনি তাতে আফসোস করে নিজেকে বিদগ্ধ করবেন না (কোরান)। কেবল আল্লাহই যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়েত দেন। আমি আপনাকে পুলিশ করে পাঠাই নি (কোরান)। আল্লাহ ইচ্ছে করলে গোটা বিশ্ববাসীকে বিশ্বাসী করতে পারতেন (কোরান)। আমি মানুষকে উভয় পথ দেখিয়েছি।(কোরান)। তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে (কোরান) যে ব্যক্তি ঈমান আনবে এবং ভাল করবে তার জন্য তার পুরষ্কার রয়েছে (কোরান)। এভাবে অসংখ্য সন্নিবেশ করা যেতে পারে। আলেম-ওলামারা কোরানের আয়াত এভাবেই দেখেন। মক্কা থেকে মদিনা যাওয়ার পর সেখানে যে আয়াত নাজিল হয় তা মক্কার সব আয়াতকে নস্যাৎ করে দেয়নি। নাসেখ/মানসূখের অর্থ এটা নয়। আপনি আপনি মূর্খদের পণ্ডিতি কথায় না যাওয়াই ভাল। ওদের আদ্য-পাদ্য ভুলপ্রোপাগান্ডামুর্খামি। ওদের থেকে সরে থাকার জন্য কোরানে নির্দেশ রয়েছে। এতে সময় বাঁচে, কুতর্কে যাওয়া আর রাস্তার পাগলদের সাথে ঝগড়া করা সমান। 
          ৬। ৯:০৫ এ আয়াত স্থান/কাল কেন্দ্রিক। আপনি ৯:০৫ পড়ে মুশরিক মারার জিহাদে নামার অধিকার নেই এটাই যদি আপনার শেষ প্রশ্ন হয়ে থাকেতবে এটাই আমার উত্তর। যুদ্ধজিহাদ ইত্যাদি আইনি বিষয়। চুরি করলে হাত কাটা/না কাটাব্যভিচারীকে রজম করা/না করা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় আইনি। এগুলো রাষ্ট্রআদালতরাষ্ট্র প্রধান এবং রাষ্ট্রকে কোরানি interpretation দেয়ার দায়িত্ব বিজ্ঞ ওলামা পরিষদেরআপনার নয়কোন একক আলেমের ও নয়। মুশরিক জাতিকে যেখানে পাও সেখানে মারযুদ্ধ করএসব বেকুবদের কথা। তাদের নিজেদের বিদ্বেষী interpretation কোরানের উপর চাপিয়ে দেয়া কথা। ইসলাম একটি দীনএকটি সভ্যতা। এটা যদি এত মামুলি হততাহলে ১৪০০ টিকে থাকত না।]

          ৮। উপরে যা লিখলাম তা হল আপনার মন্তব্য ও প্রশ্নের প্রেক্ষিতে। যদিও আমি উত্তর দিয়েছি, কিন্তু যে ধারায় আলোচনা শুরু হয়েছে সে ধারায় উত্তর দেয়া ছিল আপনার role । আমিই  ব্যাখ্যা চেয়েছি। এবারে আপনার বলার কিছু থাকলে, যে প্রেক্ষিতগত setting তৈরি হয়েছে, তার বাইরে না গিয়ে করতে অনুরোধ করব।  আমি অনেক সময় ব্যয় করে আপনার এই উত্তর তৈরি করেছি। মূল জিহাদী প্রসঙ্গে থাকলে এতকিছুতে যাওয়ার দরকার হত না।

  2. 2
    orbachin

    ai sob khora jukti die kaj hobe na…..shahos thakle mukto mona er oi lekha tay gie apnar cmt koren

    1. 2.1
      ফারুক

      সাহস ঠিকই আছে এবং মুক্তমনায় গিয়ে ঐ পোস্টে কমেন্ট ও করেছিলাম। কিন্তু মুক্তমনার মডারেটর ও অভিভাবকদের সাহসে কুলায়নি সেটা প্রকাশ করার।

      1. 2.1.1
        সাগর

        বিরক্তি কর যুক্তি …।।এসব ছাই লেখা বাদ দেন…।ধারমিকদের ভন্দামি অসহ্য

    2. 2.2
      এম_আহমদ

      @orbachin:
      যেহেতু আলোচনা এখানে হচ্ছে এবং এখানেই আপনি মন্তব্য করছেন, তাই আলোচ্য বিষয়ে আপনার সাহসটা এখানে একটু দেখালে কি হয়? কিছু আলোচনা করুন তো।

  3. 3
    শাহবাজ নজরুল

    ১) “বিস্মৃত করিয়ে দিলে”- কোরানের আয়াত বিস্মৃত হয়ে যাওয়া কিভাবে সম্ভব? বেশিরভাগ হাফেজ ভুলে গেলেও কারো না কারো তো মনে থাকার কথা , তদুপরি কোরান একবার লেখা হয়ে গেলে তো আর ভোলা সম্ভব নয়।

    এখানে হাফেজ পর্যন্ত না গিয়ে কেবল রাসুল (স:) পর্যন্ত ভাবা যায়না কি? হতে কি পারেনা পুরোপুরি আত্মস্থ করার আগেই রাসুল (স:) কে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা আয়াতটা ভুলিয়ে দিলেন? সুরা আলা’তে (৬,৭) কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাই বলছেন।
    We will make you recite, [O Muhammad], and you will not forget. Except what Allah should will. (Sura A’la 6,7)

    1. 3.1
      ফারুক

      এখানে হাফেজ পর্যন্ত না গিয়ে কেবল রাসুল (স:) পর্যন্ত ভাবা যায়না কি? হতে কি পারেনা পুরোপুরি আত্মস্থ করার আগেই রাসুল (স:) কে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা আয়াতটা ভুলিয়ে দিলেন?

      আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং তিনি অবশ্যই পারেন — পুরোপুরি আত্মস্থ করার আগেই রাসুল  কে আয়াতটা ভুলিয়ে দিতে। তবে একটা সমস্যা থেকে যায়। সেটা হলো — যে আয়াত এখনো সাহাবিরা/ মুসলমানরা/আহলে কিতাবরা জানল না , তাহলে তারা কেমনে জানবে যে ,  এখন যে আয়াতটি শুনছে সেটি না জানা আয়াতের পরিবর্তে এসেছে? বা ১৬:১০১ আয়াত অনুযায়ী “আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন” এমন কথা বলার ও কোন যুক্তি থাকে না।

      সুরা আলা’তে (৬,৭) কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাই বলছেন।
      We will make you recite, [O Muhammad], and you will not forget. Except what Allah should will. (Sura A’la 6,7)

      আয়াতটিতে দেখুন ‘মা শাল্লাহ’ বলা হয়েছে , ‘ইন শাল্লাহ’ নয়।। কোন কিছু ঘটে গেলেই বা আল্লাহ সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেই ‘মা শাল্লাহ’ বলা হয়।  সুতরাং সম্ভবত সঠিক অনুবাদ হবে —
      Shabbir Ahmed
      87:7 And God wills that you should never forget. Certainly, He knows all that is open to human perception as well as all that is hidden

      1. 3.1.1
        করতোয়া

        এই “সাব্বির আহমেদ” এর পরিচয়টা কি দিবেন? আমি একজনকে চিনি এই নামে আমেরিকার ফ্লোরিডা’র বাসিন্দা পাকিস্থানী নাগরিক যিনি “মোহাম্মদের সুন্নাহ  নয় শুধু-ই কোরআন-ই ইসলামের সোর্স” প্রচার করছেন। আমেরিকায় অনেকে বলে এই সাব্বির আহমেদ-ই কোরানিষ্ট মুসলিম বা কোরআন অনলি মুসলিম গ্রুপের মূল ধারক ও বাহক।

        1. 3.1.1.1
          ফারুক

          যতদুর জানি , ইনিই তিনি। তবে আমার সাথে পরিচয় নেই।
          কোরানিষ্ট মুসলিম বা কোরআন অনলি মুসলিম গ্রুপের মূল ধারক ও বাহক বলে কেউ নেই। সকলেই নিজের বিচার বিবেচনার উপরে ভর করে চলে। সত্যিকারের কোরানিষ্ট মুসলিম সম্পর্কে জানতে চাইলে http://free-minds.org/forum/index.php এখানে যেতে পারেন। শুধুমাত্র কোরানে বিশ্বাসী মুসলমান , খৃষ্টান ইহুদি এবং আরো অনেককেই পাবেন।

  4. 4
    শাহবাজ নজরুল

    নাসেখ মানসূখের এই কোরান বিরোধী মিথ্যা প্রথমে চালু হয় ৪০০ হিঃ বা ১০০০সনের শেষের দিকে তখনকার কিছু আলেম ওলামা কতৃক , যাদের অন্যতম আহমেদ বিন ইশাক আল দিনারি(মৃঃ ৩১৮ হিঃ), মোহাম্মদ বিন বাহার আল-আসবাহানি (মৃঃ ৩২২হিঃ) , হেবাতাল্লাহ বিন সালামাহ (মৃঃ ৪১০হিঃ) এবং মুহাম্মাদ মূসা আল-হাজমি (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ)। তাদের দাবী , কোরানের কিছু আয়াত বাতিল বা প্রতিস্থাপিত হয়েছে কোরানের অন্য আয়াত দ্বারা। যে আয়াত অন্য আয়াতকে বাতিল করেছে , তাকে বলা হয় ‘নাসেখ’ এবং বাতিলকৃত আয়াত – ‘মানসূখ’।

    আপনার বক্তব্য সঠিক নয় … আমার জানা মতে ইমাম আহমাদ (মৃত্যু ২৪১ হিজরী) এর অনেক আগেই নাসেখ আর মনসুখ নিয়ে পুরো বই লিখে গেছেন …

    http://aboutislamichistory.blogspot.com/2012/01/imam-ahmad-ibn-hanbal.html
    Amongst his publications, the more famous are Kitab ul Musnad (based upon 30,000 ahadith), Kitab ul Tafseer, Kitab us Salaah, Kitab us Sunnah, Kitab un Nasikh and Mansukh and others.

    1. 4.1
      ফারুক

      আপনার বক্তব্য সঠিক নয় … আমার জানা মতে ইমাম আহমাদ (মৃত্যু ২৪১ হিজরী) এর অনেক আগেই নাসেখ আর মনসুখ নিয়ে পুরো বই লিখে গেছেন …

      হতে পারে। ইসলামের ইতিহাসের সত্যতা নিয়ে আমার নিজেরি সন্দেহ আছে।

  5. 5
    এম_আহমদ

    নাসেখ মানসূখের এই কোরান বিরোধী মিথ্যা প্রথমে চালু হয় ৪০০ হিঃ বা ১০০০সনের শেষের দিকে তখনকার কিছু আলেম ওলামা কতৃক , যাদের অন্যতম আহমেদ বিন ইশাক আল দিনারি(মৃঃ ৩১৮ হিঃ), মোহাম্মদ বিন বাহার আল-আসবাহানি (মৃঃ ৩২২হিঃ) , হেবাতাল্লাহ বিন সালামাহ (মৃঃ ৪১০হিঃ) এবং মুহাম্মাদ মূসা আল-হাজমি (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ)।

    এখানকার সব কথাই তো ইতিহাসের কথা। ইতিহাস কি তাহলে এবারে মানা হয়ে গিয়েছে? এই ইতিহাসটি যে ‘সত্য’ তা কোন নিরিখে এবং কোন কোন বিবেচনায় সত্য হয়? তারপর যে সৌর্স থেকে এই বিবরণ উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেই সৌর্সটি কি এখন গ্রহণীয়? যদি হয়, তবে সেই সৌর্সে বর্ণিত হাদিস ও ঐতিহাসিক বাকি তথ্যাদিও কি গ্রহণীয়?

    :১০৬ “আমি কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?”
    ১) “বিস্মৃত করিয়ে দিলে”- কোরানের আয়াত বিস্মৃত হয়ে যাওয়া কিভাবে সম্ভব? বেশিরভাগ হাফেজ ভুলে গেলেও কারো না কারো তো মনে থাকার কথা , তদুপরি কোরান একবার লেখা হয়ে গেলে তো আর ভোলা সম্ভব নয়। যদি মেনেও নেই আয়াতটি বাতিল হয়ে গেছে , তবুও সেটা কোরানেই লেখা থাকবে এবং সেটা ভুলে যাওয়া কখনৈ সম্ভব নয়। অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন ভুলে যাওয়া সম্ভব।

    কোথাকার কথা কোথায় আনছেন?  ২:১০৬ আয়াতটি কার উপর নাজিল হচ্ছিল? কোরান হাফিজদের উপর, না নবী মোহাম্মদের উপর নাজিল হচ্ছিল? হাফিজদের উপর হলে, “বেশিরভাগ হাফেজ ভুলে গেলেও কারো না কারো তো মনে থাকার কথা” –এই কথা যুক্তি সংগত হত। এখানে যুক্তি ধরেনি। তবে হ্যাঁ, এসব ব্যাপারে আপনার আর আমাদের অবস্থান এক স্থানে নয় কেননা আমরা বিশ্বাস করি মুহাম্মদের উপর কোরনা নাজিল হচ্ছিল, পক্ষান্তরে কোরানকে আপনি আপনার নিজ ঘরে পেয়েছেন এবং নবী মুহাম্মাদও আপনার কাছে কেউ নন, সুতরাং আপনার ইস্যু আর আমাদের ইস্যু ভিন্নই হতে পারে।
    তাছাড়া অলৌকিক ঘটনা আবার কীভাবে বিস্মৃত করা হবে? ইয়াহুদী/নাসারারা কোন অলৌকিক ঘটনা ভুলে গেল যে এখন মুহাম্মদকে (সাঃ) দিয়ে তা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে? প্রথম অর্থ ত্যাগ করে এই যুক্তি কিভাবে বেহতর হয়? ১৪ শো বছর ধরে কি নাসেখ/মানসূখ ‘বেখেয়াল’ বশত ঠিকে আছে?
    এখানে মনে হয় ব্যাপারটা হচ্ছে এই যে আপনারা যেহেতু আমাদের মত ক্বিবওয়ালা নন, আমাদের মত নামাজ নেই, তাই আমাদের ব্যাখ্যা অনুযাইয়ী জেরুজালেম থেকে মক্কার দিকে মুখ ফেরানোর আয়াত, এবং আল্লাহ যেহেতু আল্লাহ তালা ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করতে এবং ইয়াদীদের ক্বিবলা থেকে সরিয়ে নিয়ে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মাত্রা সংযোগ করতে যাচ্ছিলেন, এবং এরই প্রেক্ষিতে আগের ক্বিবলা সংক্রান্ত আয়াতের কার্যকারিতা রহিত করেন, তাই এই প্রেক্ষিত এবং ব্যাখ্যা আপনাদের কাছে অচল। ঘটনা এখানে।
    নাসেখ/মানসূখের বিষয় ইয়াহুদীদের কাছে বেখাপ্পা লেগেছিল। আজও এক পক্ষের কাছে তা সমস্যার ব্যাপার। কিন্তু দ্রত পরিবর্তনমুখী সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটা স্বাভাবিক এবং এক ধরনের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। আদমের (আঃ) জীবদ্দদশায় তাঁর সন্তানদের মধ্যে ভাইবোনের বিবাহ জায়জ হয়, তারপর সেটা পরিবর্তন করে সম্পর্কের দ্বিতীয়স্তরে নামানো হয়। ইব্রাহীমকে (আঃ) তাঁর পুত্র জবাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়, তারপর তা তুলে নেয়া হয়। মুসার (আঃ) যেসব অনুসারীরা বাছূর পূজার শিরক করেছিল, তাদেরকে প্রথমে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়, তারপর তা উঠিয়ে নেয়া হয়। এভাবে নবীদের জীবদ্দশায় একটি অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যাওয়া হয়। এগুলো ঐশী ইতিহাসে আছে এবং সামাজিক দ্রত পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রয়ওজনীয়ও হয়। ‘আমাদের নবী’ (সাঃ) বলেছেন, অর্থাৎ এটা ‘হাদিসের’ কথা, (আপনি তো মানবেন না) لم تكن نبوّة قطّ إلا تناسخت  ‘কোন নব্যুয়াৎ এমন ছিল না, যাতে অনুবর্তন/নাসখ হয়নি।’ একটি সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের তুলপাড়ের মুহুর্ত্তে এগুলো হতেই হয়। এতে সমস্যার কিছু নেই।

    1. 5.1
      ফারুক

      এখানকার সব কথাই তো ইতিহাসের কথা। ইতিহাস কি তাহলে এবারে মানা হয়ে গিয়েছে?

      ইতিহাসকে মানা হয়নি বা এই ইতিহাস যে সত্য তেমন দাবী ও করিনি বা এই ইতিহাসের নিরিখে আমার যুক্তিগুলো ও দাড় করাই নি।

      ইতিহাসের কথাটুকু এসেছে পোস্টের ভূমিকা হিসাবে এবং যারা ইতিহাস ও হাদীসের উপরে ভিত্তি করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করছেন , তাদেরকে তাদেরি ইতিহাস স্মরন করিয়ে দেয়ার জন্য। পোস্টে আমার যুক্তির ভিত্তি হলো কোরান , ইতিহাস নয়।

      কোথাকার কথা কোথায় আনছেন? ২:১০৬ আয়াতটি কার উপর নাজিল হচ্ছিল? কোরান হাফিজদের উপর, না নবী মোহাম্মদের উপর নাজিল হচ্ছিল? হাফিজদের উপর হলে, “বেশিরভাগ হাফেজ ভুলে গেলেও কারো না কারো তো মনে থাকার কথা” –এই কথা যুক্তি সংগত হত।

      আপনি মনে হয় আমার পোস্টটি ভাল করে পড়েন নি। যে দুটি আয়াতের উপর ভিত্তি করে আলেমরা নাসেখ মানসুখের দাবী করেন , চলুন সেই আয়াত দুটি বিশ্লেষন করা যাক — আয়াত দুটো হলো — ২:১০৬ এবং ১৬:১০১।  ২:১০৬ আয়াতটির কনটেক্সট ও যদি দেখেন , তাহলে ও নিশ্চিত হবেন যে , আয়াতটিতে কোরানের আয়াত নয় বরং আহলে কিতাবদের কাছে আসা আয়াত রহিত বা বিস্মৃত করার কথা বলা হয়েছে।  সেটা তাদের কাছে আসা ঐশীগ্রন্থের আয়াত ও হতে পারে বা তাদের কাছে পাঠানো নিদর্শন ও হতে পারে।

      আপনি নামাজ , ক্কিবলা , ইব্রাহীমকে (আঃ) তাঁর পুত্র জবাইয়ের নির্দেশ , আদমের (আঃ) জীবদ্দদশায় তাঁর সন্তানদের মধ্যে ভাইবোনের বিবাহ জায়জ হয়, তারপর সেটা পরিবর্তন করে সম্পর্কের দ্বিতীয়স্তরে নামানো হয় , তাদেরকে প্রথমে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়, তারপর তা উঠিয়ে নেয়া হয় , এমনি অনেক কথায় বলেছেন , যেগুলো হাদীস ও ইহুদী খৃষ্টানদের মধ্যে প্রচলিত মন গড়া কাল্পনিক ইতিহাস মাত্র। শুধুমাত্র কোরান থেকে এর উত্তর খুজেন , তাহলে সম্পুর্ণ ভিন্ন চিত্র পাবেন। জানতে চাইলে একটি একটি করে প্রশ্ন করুন , ইনশাল্লাহ কোরান থেকে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

      1. 5.1.1
        এম_আহমদ

        ইতিহাসকে মানা হয়নি বা এই ইতিহাস যে সত্য তেমন দাবীও করিনি বা এই ইতিহাসের নিরিখে আমার যুক্তিগুলো ও দাড় করাই নি। ইতিহাসের কথাটুকু এসেছে পোস্টের ভূমিকা হিসাবে এবং যারা ইতিহাস ও হাদীসের উপরে ভিত্তি করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করছেন , তাদেরকে তাদেরি ইতিহাস স্মরন করিয়ে দেয়ার জন্য। পোস্টে আমার যুক্তির ভিত্তি হলো কোরান , ইতিহাস নয়।

        ১। (ক) তাহলে বুঝা গেল যে আপনি আগের মতই ইতিহাস মানেন না এবং এই সূত্রে যে কথাগুলো বলেছেন সেই ঐতিহাসিকতার অসত্যতাতে আপনি বিশ্বাসীও নন। অর্থাৎ যাদের নাম উচ্চারণ করে ৪০০ হিজরিতে নাসেখ মানসূখের ধারণা শুরু হয়েছিল বলেছিল সেই কথাতে আপনি এখন আর নেই।

        তাহলে, কোরানে নাসখ আছে কী নাই তা কোরানকেই প্রমাণ করে দিতে হবে –যুক্তির দিক দিয়ে এটাই হতে পারে আপনার কথা। আপনি হাদিস মানবেন না, সাহাবীদের কথা মানবেন না,  এই দুই উৎস এবং তৎকালীন সময়ের ভাষার ব্যবহারিক অর্থ ও সামাজিক বাস্তবতায় দেখানো প্রাসঙ্গিক অর্থ (socio-contextual meaning) যা তফসীরকাররা বিপুল আকারে দেখিয়েছেন –তাও মানবেন না। আপনার শুধু একটি কথা ‘কোরান’ অনলি। ঠিক আছে।

        কোরানের প্রমাণ
        ২। (ক) কোরান তার মধ্যে ‘নাসখ’ (অনুবর্তন/রহিত করণ) আছে বলে স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে। কোরান বলে, ‘আমরা কোন আয়াতকে ‘নাসখ’ (রহিত) করলে  অথবা মন থেকে ভুলিয়ে দিলে (বিস্মৃতি ঘটালে) তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি।’ এখানে কোরান নিজেই প্রমাণ করে যে তার মধ্যে ‘নাসখের’ (বা রহিত করণের) বিষয় আছে (২/১০৬)।

        (খ) কোরান আবার বলছে, ‘আমরা যখন এক আয়াত রহিত (বা অনুবর্তন) করে তার স্থলে অন্য আয়াত আনি, এবং আল্লাহই ভাল জানেন তিনি কি নাজিল করেন, তখন তারা [মুশরিকরা] বলে, আপনি [মুহাম্মদ] তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং এদের অধিকাংশ (ওহী সংক্রান্ত নসখ/বদল বিষয়ে) জ্ঞান রাখে না (১৬/১০১)। এখানেও কোরান তার নিজের মধ্যে ‘রহিত’ করণের বিষয় রয়েছে বলে প্রমাণ করে।

        (গ) শুধু এখানেই নয় আরও আছে। কোরান বলেছে, ‘আমরা আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু ‘তামান্না’ (কল্পনা/ অহীর মুহূর্তীক textual reading intent ) করতেন,  তখনই শয়তান তাদের সেই কল্পনায় কিছু প্রক্ষেপ করত। অতঃপর আল্লাহ শয়তানের সেই প্রক্ষেপকে ‘নাসখ’ করে দেন এবং আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়, (22/52)। এখানেও কোরান নসখের কথা উল্লেখ করেছে। সুতরাং কোরানে নসখ নেই এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আপনার উচিৎ হবে ব্লগের শিরোনাম বদলানো।

        ৩। নসখ আছে –এটা প্রমাণিত। এটাও প্রমাণিত যে ‘আয়াতকে’ নসখ করা হয়। (২/১০৬, ১৬/১০১, ২২/৫২) এখন আয়াত কি –তাই হবে কথা।

        ৪। (ক) প্রসঙ্গগত ‘আয়াত’ হচ্ছে টেক্সট। কন-টেক্সট তাই প্রমাণ করে। আল্লাহর কাছ থেকে যা আসত তা টেক্সট। গোটা কোরানটাই টেক্সট। অহীর সব আদেশ, নির্দেশ ও যাবতীয় বর্ণনা টেক্সচুয়্যাল (textual)। শব্দ ও বাক্যে গড়া। ২২/৫২ আয়াতের ‘তামান্না’ হচ্ছে কিরাআত, অর্থাৎ পাঠ (আল-ক্বুরতুবী/এবং অন্যান্য মুফাসসীরগণ)। সুতরাং নসখের বিষয় হচ্ছে টেক্সট, পাঠ্য বস্তু। শয়তানের দুষ্কর্ম ছিল টেক্সট বিষয়ে। এই টেক্সটকেই আল্লাহ নিরাপদ করেছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।

        (খ) মুসলমানদের কাছে নাসেখ/মানসূখ জরুরি বিষয়। আল্লাহর আইনকে জানা, বুঝা এবং প্রয়োগ করার ব্যাপারে বিষয়টি জরুরি। ইবাদত থেকে শুরু করে অনেক অনেক প্রসঙ্গে নাসেখ/মানসূখের অবস্থান এসেছে। অসিয়্যাতের ব্যাপারে, রমজানের রাতে স্ত্রী-সহবাসের ব্যাপারে, মর্যাদার মাস (শাহরুল হারাম) ব্যাপারে,  ইদ্দতের ব্যাপারে এবং আরও অনেক কিছুতে। পূর্বের অবস্থান এবং পরের অবস্থান –উভয়ই টেক্সুয়্যাল (textual), যে আলোচনায় যাওয়া হবে সেটাই হবে টেক্সটকে কেন্দ্র করে। তাছাড়া আল্লাহর আইনের পূর্বেকার অবস্থান এবং পরের অবস্থান দেখে নীতিগত ইস্তেম্বাতের ক্ষেত্রে এই বিষয়ের জ্ঞান জরুরি এবং তার ক্ষেত্র হচ্ছে টেক্সট।

        ৫। মসজিদে হারামের দিকে ক্বিবলা করার কথা কোরানের, ইব্রাহীমকে (আঃ) তাঁর পুত্র জবাইয়ের নির্দেশও করানের, মুসার (আঃ) যেসব অনুসারীরা বাছূর পূজার শিরক করেছিল, তাদেরকে প্রথমে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয় তারপর তা উঠিয়ে নেয়া হয় -এসব কোরানের কথা, নসখ সংক্রান্ত কথা। এগুলো কী ইয়াদীরা কোরানে ঢুকিয়ে দিয়েছে? ইয়াহুদীদের কথা হবে কীভাবে?

        ৬। আপনারা এবং মুক্তমনার কাফেরদের মধ্যে ‘মৌলিক’ কোন পার্থক্য নেই। তারাও modernist paradigm এর যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানবাদী, আপনারাও in principle the same। ওহী, আল্লাহ, ফেরেশতা, বেহেস্ত, দোজখ –এগুলো ‘তাদের’ যুক্তি ও বিজ্ঞানে ঠিকে নাই বলেই তারা নাস্তিক। কিছু হাদিস এবং কিছু ঐতিহাসিক তথ্যে আপনাদের দ্বিমত –তাই গোটা হাদিস সম্ভার এবং ঐতিহাসিক তথ্যাদি আপনাদের কাছে বর্জিত, এটা unscientific approach. বিজ্ঞান আর যুক্তির নামে তারাও যেমন ক্ষেত্র বিশেষে অযৌক্তিক থাকে যায়, আপনারাও তাই। যুক্তির ধোপে যা ঠিকে থাকবে, আপনারা তা’ই বিশ্বাস করবেন। এখানে আপনারা modernist কাফেরদের মত যুক্তিবাদের পুজারী। কোরানের যেখানে যেখানে যুক্তি ও বিজ্ঞানবাদের সাথে সাংঘর্ষিক হবে, সেখানে কাচু-মাচু করে সারা মুসলমানদের উপর দোষ চাপিয়ে কাফিরদের modernist principle –এর সাথে সহমত দেখাতেই আপনাদের এত কসরত। আপনি মুক্তমনায় নাসেখ/মানসূখ নিয়ে নিজ স্থানে দাড়িয়ে আলোচনা করতে পারেননি। তাই নাসেখ/মানসূখ নেই বলে যুক্তির অবতারণা করছেন। যে modernist যুক্তিবাদে গোটা কোরানই অমূলক, সেখানে নাসেখ/মানসূখ নেই বলে কী প্রমাণিত হবে? আপনি কোরান অনলি হয়ে কী তাদের কাছে “যুক্তিসম্মত ও বিজ্ঞান সম্মত ধর্মের লোক” বলে গ্রহণীয়তা পেয়েছেন? যুক্তি আর objectivism (these two are again of the modernist features) এর দোহাই দিয়ে এবং নিজ ধর্ম থেকে অনেক দূরে গিয়েও তাদের হাতে গদাম খাচ্ছেন। ব্যর্থ হয়ে কখনো আমুতে, কখন এখানে নিজের ব্যর্থ নিঃশ্বাস ফেলছেন।

        আপনি মানবেন না, তবুও বলতে ইচ্ছে করছে। আপনি যে পথে আছেন, বলি –তা একটু পূনর্বিবেচনা করুন। হাদিসের গোটা ভাণ্ডারে সমস্যা নেই, ঐতিহাসিক তথ্যে এখানে সেখানে কিছু সমস্যা থাকলেও গোটা edifice-এ সমস্যা নেই। যেখানে সমস্যা আছে বলে মনে করেন, সেখানে নিয়মতান্ত্রিক ও পদ্ধতিগতভাবে এনালিসিসে যান। একাডেমিয়ায় কোনখান থেকে শুরু করে আসা হয় তা দেখুন। আপনাকে মুক্তমনায় ও আমুতে কাফিরদের সাথে অনেক ফাইট করতে দেখেছি। আপনার energy আছে। কিন্তু যে principle ও paradigm এর উপর তারা অবস্থিত, সেখানে থেকে কোন ফাইট কাজে আসবে না। বরং এই যুদ্ধে paradigm-ই বিজিত হবে, বাছতে বাছতে কম্বল খালি হয়ে এক সময় হয়ত deist হতে হবে, the road will dictate the end । আমার কথাগুলো কতটুকু বুঝাতে পারলাম- জানি না। তবে মনে হয়েছে, তাই বললাম। এটা আমার ঈমানী অনুভূতি থেকে আসা একটি কথা। কোন শ্লেষ্মা বা ব্যাঙ্গ মনোবৃত্তিতে নয়।
        ভাল থাকুন।

  6. 6
    ফারুক

    @এম_আহমদ:
    Peace be on you.

    সুতরাং কোরানে নসখ নেই এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আপনার উচিৎ হবে ব্লগের শিরোনাম বদলানো।

    আবারো বলছি , আপনি ভুল লাইনে তর্ক করছেন। কোরানে নসখ আছে কি নেই তা নিয়ে তর্ক হচ্ছে না , তর্ক হচ্ছে কোরানের কোন আয়াত নসখ — মানসুখ হয়েছে কি না। কোরান থেকে যে প্রমাণ আপনি দেখালেন , সেই আয়াতদুটির উপরে ভিত্তি করেই আমার এই পোস্ট। আপনি আমার যুক্তি কতটুকু খন্ডন করতে পেরেছেন তা পাঠকদের বিবেচনা। তবে আমার স্বীদ্ধান্তে আমি এখনো অটল এবং সেকারনে ব্লগের শিরোনাম বদলানোর প্রয়োজন দেখি না।

    ২২:৫২ আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=190&Itemid=83

    নবী রসূলদের কল্পনা /আকাঙ্খা/‘তামান্না’ কোরানের আয়াত নয়। এবং এই সকল কল্পনা /আকাঙ্খা/‘তামান্না’থেকে মুক্ত করেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সুতরাং এরপরে ও যদি কোরানে সু-প্রতিষ্ঠিত আয়াতকে কেউ নসখ বলে , তাহলে সেটার জন্য সেই দায়ী।

    এমন কোন আয়াত কি দেখাতে পারেন , যেখানে পরিস্কার বলা হয়েছে কোরানের অমুক আয়াত এই আয়াত দিয়ে রহিত করা হয়েছে? পারবেন না। নাসখ — মানসুখ আলেম মোল্লাদের কল্পনা।

    ৪ ও ৫ এ আপনি কি বলেছেন , কিছুই বুঝলাম না। কিসের সাথে কি মিলালেন , তা আপনিই জানেন।

    আপনি মানবেন না, তবুও বলতে ইচ্ছে করছে। আপনি যে পথে আছেন, বলি –তা একটু পূনর্বিবেচনা করুন।

    দেখুন আমি কোন কিছুতেই অটল হয়ে বসে নেই। তা যদি হতাম , তাহলে এখনো বাপ দাদার পালিত ধর্ম আকড়ে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে চলতাম। পরকাল আমার কাছে অতীব গুরূত্বপূর্ণ । সে কারনে প্রতিদিন আমার অবসর সময়ের একটি অংশই কাটে কোরান চর্চা ও নুতন জ্ঞানের অণ্বেষনে। নুতন নুতন জ্ঞান প্রাপ্তির সাথে সাথে আমার অবস্থানের পরিবর্তন হয়েই চলেছে।

    আপনি ও ভাল থাকুন।

    1. 6.1
      এম_আহমদ

      আবারো বলছি , আপনি ভুল লাইনে তর্ক করছেন। কোরানে নাসখ আছে কি নেই তা নিয়ে তর্ক হচ্ছে না , তর্ক হচ্ছে কোরানের কোন আয়াত নসখ — মানসুখ হয়েছে কি না।

      কোরানে নাসেখ/মানসূখ আছে, আপনি বলছেন কোন আয়াতে নাসেখ মানসূখ নেই। আপনি ‘আয়াত’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু উক্ত দুটি আয়াতে সেই ভিন্ন অর্থাদির কোন অর্থ নিহিত? আপনি এটা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি যা বলছেন পক্ষান্তরে তার অর্থ হয়, “আমি যেটি ‘পছন্দ’ করব সেটি”। আপনার পছন্দ করা ‘নিদর্শন’ কেন নেয়া হবে? আপনার ‘যুক্তিই’ কি কোরানের প্রকৃত অর্থ বহন করবে? বক্ষ্যমাণ আলোচনার প্রথম শব্দ ‘নাসখ’। কিন্তু নাসখের কি অর্থ সেটা দেখাতে যাননি। নাসখের অর্থের ভিন্নতা দেখাতে যাননি। পারিভাষিক কোন কোন অর্থ প্রকাশ করে -তা দেখাতে যান নি।  কেন? এটাই তো প্রথম কথা। আপনার পরের ব্লগে যেসব আয়াত দিয়েছেন –সেগুলিতে ‘নাসখ’ রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয়, আপনি ‘নাসখ’ বুঝেননি। সেই বৃত্তর অর্থের ফিল্ডে ঢুকলে হয়ত ‘কোরান অনলি’ অন্তঃসারশুন্য হ্যে পড়বে। সেগুলো বুঝতে গেলে হয়ত কোরানের বাইরে যেতে হবে, ‘অভিধানে’ যেতে হবে, ক্লাসিক্যাল ব্যবহার (historical use) দেখতে হবে, তাদের ব্যবহারের প্রকারভেদ দেখতে হবে, তাই সে পথে না গিয়ে ‘নিজ ব্যক্তি-যুক্তি’ হয়ে পড়েছে মূল নির্ভরস্থল। স্বেচ্ছাচারী ব্যাখ্যার পথ। অর্থাৎ আপনার ‘যুক্তি’ই কোরানের ‘অর্থ’। এই অর্থ গ্রহণ ভুল। আপনার ব্লগটি ভুলের উপর। নাসখের অর্থ শুধু রহিত-করণ নয়। নাসখ শব্দ calibration অর্থে হতে পারে,  moderation অর্থে পারে, ঈষৎ পরিবর্তন অর্থে হতে পারে এবং আরও অর্থাদিতে আসতে পারে এবং এর সবগুলো অর্থই কোরানে আছে। আরব জগতের প্রাচীন থেকে মডার্ন অভিধানগুলোতে রয়েছে –সেগুলো থেকে শুরু করে আসে -দেখি আপনার আপনার দুটি আয়াত কীভাবে ব্যাখ্যা লাভ করে। তবে প্রাচীন আরবী অভিধানগুলোও যদি মুসলমানদের হাতে corrupted হয়ে পড়ে, তাহলে তো ব্যাক টু স্কয়ার –হাদিসের যে দশা, ইতিহাসের যে দশা, আরবী অভিধানের হবে সেই দশা। কোন সমঝোতার স্থান পাওয়া যাবে না। প্রত্যেকে যার যার কথা বলবে।
      শেষ কথা হল আপনি ব্লগ প্রকাশ করেছেন, আপনারটা আপনি বলেছেন, তাই আমারটাও আমি বলে গেলাম।

      1. 6.1.1
        ফারুক

        6:164

        আপনি বলুনঃ আমি কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য প্রতিপালক খোঁজব, অথচ তিনিই সবকিছুর প্রতিপালক? যে ব্যক্তি কোন গোনাহ করে, তা তারই দায়িত্বে থাকে। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমাদেরকে সবাইকে প্রতিপালকের কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অনন্তর তিনি তোমাদেরকে বলে দিবেন, যেসব বিষয়ে তোমরা বিরোধ করতে।
         

         

  7. 7
    Rafid

    bhalo….chaliye jan….@faruq

  8. 8
    পারভেজ

    অসাধারন, ফারুক ভাই।
    আমি অনেক শিখতে চাই,
    প্রয়োজনে আমাকে হেল্প করবেন?

  9. 9
    manurul

    এক লোক একদিন খেয়াল করল একটা ছেলে তার মেয়েকে বলছে “আমি তোমায় ভালবাসি।”

    সেই লোক ত মহা খ্যাপা ।

    সেই ছেলেকে তো পারলে খুন করে।

    মেয়ে যতই বলে ছেলেটা তাr বন্ধু আর সে মুলত গান গাচ্ছিল

    “আমার সোনার বাংলা

    আমি তোমায় ভালবাসি”

    নিজের মেয়ের কথা সে বিশ্বাস করে না । করতে চায় না। streo type mentality.

    এই নিয়ে তুমুল হট্টগোল মারামারি।

    streo type mentality লোকদের বোঝানো যায় না।

    তাদের মনকে সীল্গালা করে দেয়া হয়েছে।

    its total weast of time .

Comments have been disabled.