Collected…
বোখারীর হাদিস সংগ্রহ ,হাদিসের সংখ্যা, সংকলন এবং অঙ্ক কষে হিসেব মিলেনা মর্মে আলোচনাঃ=
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦ অনেকেই সিহা সিত্তার মধ্যে ইসমাইল বোখারীর সংগৃহীত এবং সংকলিত হাদিস গ্রন্থটিকে বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করেন। আবার অনেকেই এই হাদিস গ্রন্থটিকে মহাগ্রন্থ কুরআনের পর দ্বিতীয় কুরআন হিসেবে মূল্যায়ন করে থাকেন। এমন কি বোখারীর হাদিস অস্বীকারকারিদের কে কাফের, নাস্তিক এবং মূর্তাদ বলে ফতোয়া দেওয়া হয়। প্রকৃত পক্ষ্যে মানব রচিত বিধান মান্যকারিরাই হাক্কানী কাফির। ২ঃ৭৯/১৭৬ মতে যারা নিজেরা কিতাব রচনা করে বিনিময় নেয়, ৪ঃ১৫০-১৫২ আয়াত মতে আল্লাহ ও রাসুলের মধ্যে ফারাক করে নিজেরা নিজেদের রচিত বিধান যেমন বুখারী, তিরমিজি, ফাজায়েল আমল, কিয়াস, ফেকাহ, নেয়ামুল কুরআন, মকসুদুল মুমিমিন, বেহেস্তের জেওর, ফতোয়া ইত্যাদি গ্রন্থ হতে এবং কুরআন হতে কিছু বিধান নিয়ে মধ্যম পন্থা তৈরি করে তারা হাক্কানি কাফির ৪ঃ১৫০-১৫২/ ১০ঃ১৫। বিশেষ করে বেখারী ও মুসলিমের সংগৃহীত হাদিসগুলির ওপরই ইসলামী আকায়েদ, মাসলা, মাসায়েল ও আইনের ভিত্তি রচিত হয়েছে।
এবার চলুন, আমরা বোখারীর হাদিস সংগ্রহ, সংকলন প্রসঙ্গে সামান্য আলোচনার সুত্রপাত করি। বোখারী হাদিস সংগ্রহের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হাদিস, ১. নির্ভরযোগ্য রাবীগণ ( বর্ননাকারি) একে অন্য হতে, ২. নির্বিরোধে, ৩. অবিচ্ছান্ন সুত্রে বর্ননা করেছেন এবং সে হাদিসের সনদ, ৪. শেষ ব্যক্তিরা, ৫. প্রসিদ্ধ সাহাবী হন এবং প্রত্যেক স্তরে অন্তত, ৬. তিনজন উক্তরুপ নির্ভরযোগ্য রাবী পাওয়া যায়, অথবা কোন স্তরে একজন রাবীর অভাব অন্যকোনো বিশেষ অবস্থার বিবেচনায়, ছ.যদি সে অভাবের ক্ষতিপূরণ হয়, তবেই সে হাদিস বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।নিম্নে এই পয়েন্ট গুলি আলোচনা করা হল।
১. নির্ভরযোগ্যঃ= তীক্ষ্ণ, প্রবল, স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ,জ্ঞানী, ধর্মপ্রাণ, সত্যবাদী হলে তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলে।
২. নির্বিরোধঃ= যারা হাদিস বর্নণা করেন তাদের মধ্যে হাদিসের মর্ম,বা শব্দ যোজনা, বা অন্যকোনো বিষয়ে মতভেদ না হলে তাকে নির্বিরোধ বলা হয়।
৩. অবিচ্ছন্ন সনদ বা সুত্রঃ= বর্ণনাকারীদের মধ্যে এমন কোন দোষ নেই যাতে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের শোনার কোন বাধা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন মনে করি, “ক”এবং “খ”, “প” এবং “ফ” থেকে হাদিস শুনেছেন। কিন্তু এ চার জনের জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায় যে, “ক” এব “খ” এর জন্মের আগেই “প” এবং “ফ” মারা গেছেন কিংবা তাদের মধ্যে দেখাশুনার কোনো সম্ভবনা ছিলনা।
অতএব, এ ক্ষেত্রে সনদ বা সুত্র ছিন্ন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বোখারী ও মুসলিমের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বোখারীর মতে “ক” এবং “খ” এর সাথে “প” এবং “ফ” এর দেখা হয়েছে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে আর মুসলিমের মতে “ক” এবং “খ” এর সাথে “প”এবং “ফ” এর দেখা হবার যথেষ্ট সুযোগ ছিল, কিন্তু দেখা যে হয় নাই তার সুস্পষ্ট কোন প্রমান নেই এভাবে তারা হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ বলে বিবেচনা করতেন।
৪. শেষ ব্যক্তিরা বলতে সে -সমস্ত সাহাবিদের বুঝানো হয়েছে, যারা নিজে কানে বা চোখে আঁ হজরত সাঃ থেকে তা শুনেছেন বা দেখেছেন।
৫.. প্রসিদ্ধ সাহাবী বলতে যে সে সাহাবী হলে চলবেনা। যিনি দীর্ঘকাল আঁ হজরত সাঃ এর সাহচার্যে থেকেছেন, তাঁকে অনুসরন করেছেন এবং সত্যবাদী, মেধাবী বলে বিখ্যাত এমন সাহাবী হতে হবে।
৬. তিনজন নির্ভরযোগ্য রাবী বলতে বুঝানো হয়েছে = যেমন ধরুন, “ক” এবং “খ” বলেন তারা “প” এবং “ফ” থেকে শুনেছেন, আবার “ক”এবং “খ” বলেন তারা “ত” এবং “থ” থেকে শুনেছেন। এখানে “ক” এবং “খ” একস্তর, “প”এবং “ফ” একস্তর এবং “ত” এবং “থ” আর একস্তর। প্রত্যেক স্তরে অন্তত ২ জন নির্ভরযোগ্য রাবী রয়েছেন। কিন্তু “ক এবং “খ” যদি বলেন তারা “প” এর নিকট হতে শুনেছেন আর “প” যদি বলেন তিনি “ত” এবং “থ” এর নিকট থেকে শুনেছেন তাহলে এ স্তরে মাত্র একজন রাবী “প” কে পাওয়া যাচ্ছে। “প” একজন রাবী হওয়ায় যদিও এখানে হাদিসের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে, তথাপি “প” যদি বিশেষ গুণে গুনাণ্বিত হন অর্থাৎ মহাজ্ঞানী, অপূর্বধীসম্পন্ন, নির্মল চরিত্র, ধর্মপ্রান ও চিরোসত্যবাদী বলে বিখ্যাত হন তাহলে তার বর্ণনা দুই ব্যক্তির সমতুল্য বলে গৃহীত হবে।
বোখারী বলেন, “আমি কোন দুঃশ্চরিত্রের মারফত প্রাপ্ত হাদিস গ্রহণ করি নাই। তিনি আরো বলেন, এইরুপ
( উপরোক্ত বর্ণনা মতে) যাচাই- বাছাই করে যে হাদিস টিকতো তা গ্রন্থে সন্নিবেশিত করার পূর্বে আমি ওজু ও গোসল করে নির্মল মনে পবিত্র শরীরে এস্তেখারা বা আল্লাহর ধ্যানে বসতাম। এস্তেখারাতে হাদিসের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত উপলব্ধির পরই কেবল তা আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে যথাস্থানে লিপিবদ্ধ করেছি। সর্বশুদ্ধ ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ হাদিস হতে যাচাই – বাছাই করে মাত্র ৭২৯৭ টি হাদিস এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছি। এটা হতে পুনঃ পুনঃ উল্লেখিত হাদিস বাদ দিলে ২৭০১ টি হাদিস থাকে ( সংখ্যা নিয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে) । অবশ্য আমি যে হাদিস গুলি ছেড়ে দিয়েছি তাতে সবই যে কৃত্রিম বা অশুদ্ধ এমন নহে, এর ভেতরও অনেক সহি হাদিস রয়েছে। সুত্রঃ= ইসলাম সোপান, ইব্রাহীম খাঁ, আহসান উল্লাহ বাংলা একাডেমি পৃ.৯৬–৯৮।
ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামীক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ উল্লেখ করে ” অতপর তিনি হাদিস অনুসন্ধানে মিশর গমন করেন। পরবর্তি ১৬ বছর তিনি উক্ত কাজে ব্যাপৃত থাকেন। এই ১৬ বছরের মধ্যে ১১ বছর তিনি এশিয়ায় পর্যটন করেন এবং ৫ বছর বসরায় অতিবাহিত করেন। কারো কারো মতে ৬০–৭০ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করতে তার ১৬ বছর সময় লেগেছিল। আবার কারো কারো মতে মতে এস্তেখারার মাধ্যমে হাদিসের সত্যতা নিশ্চিত উপলব্ধির পর তা যথাস্থানে লিপিবদ্ধ করে সংকলন করতে তার সময় লেগেছিল ১৬ বছর।
এইবার আসুন, থলের কালো বিড়াল বের করি এবং আমরা উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কিছু আলোচনার অবতারণা করি। যদি ধরে নিই যে, হাদিস সংগ্রহ করতে তার সময় লেগেছিল ১৬ বছর, তাহলে এইবার আমরা একটু হিসাব কষে দেখি যে, প্রতিটি হাদিস সংগ্রহ করতে তার কতটুকুন সময় লেগেছিল? ১৬ বছর * ৩৬৫ দিন = ৫৮৪০ দিন।( * এই তারকা চিহ্নটি গুন চিহ্নের প্রতীক) ২৪ ঘন্টার ১ দিন হলে সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ১২ ঘন্টা কর্মদিবস হিসেবে এবং বাঁকি ১২ ঘন্টা ( রাত্রীকালিন সময়) বিশ্রাম বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কার্যদি সম্পাদনের সময় হিসেব ধরে নিয়ে হিসেব করলে যা দাঁড়ায়= ৫৮৪০দিন * ১২ঘন্টা = ৭০০৮০ ঘন্টা= ৭০০৮০ঘন্টা * ৬০ মিনিট = ৪২০৪৮০০মিনিট * ৬০= ২৫২২৮৮০০০ সেকেনন্ড। এই সময়টুকুতে যদি ৭০ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে প্রতিটি হাদিস সংগ্রহ করতে তার সময় লেগেছিল =
২৫২২৮৮০০০সেকেন্ড ÷ ৭০,০০০০০টি হাদিস = ৩৬ সেকেন্ড প্রায়।
যদি ধরে নিই যে , ৭০ লক্ষ হাদিস এস্তেখারার মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত উপলব্ধি হবার পর তা যথাস্থানে সংকলন করতে তার সময় লেগেছিল ১৬ বছর। তাহলেও আমরা হিসেব কষে দেখতে পাইযে, ( উপরোক্ত হিসেব মোতাবেক অর্থাৎ১২ ঘন্টা কর্ম ও ১২ ঘন্টা বিশ্রাম, ব্যক্তিগত কার্যাদি সম্পাদনের সময়) প্রতিটি হাদিস এস্তেখারার মাধ্যমে সত্যতা যাচাইয়ের পর লিপিবদ্ধ করতে তার সময় লেগেছিল ঐ ৩৬ সেকেন্ড প্রায় ।
আবার যদি ধরে নিই যে, তিনি সারা জীবনভর তা সংগ্রহ করেছেন তবে সংকলন করতে সময় লেগেছিল ১৬ বছর, তাতেও হিসেব করে দেখা যায় যে, তার হায়াতে জিন্দেগানী ছিল ১৯৪ হিজরি –২৫৬ হিজরি সন পর্যন্ত( ১৩ দিন কম) প্রায় ৬২ বছর। তা থেকে যদি তিনি ১৬ বছর সংকলনের কাজে ব্যয় করেন তাহলে থাকে ৬২–১৬= ৪৬ বছর। বিভিন্ন তথ্যে দেখা যায় যে, তিনি ১৬ বছর বয়সে হাদিস সংগ্রহের কাজে ব্রত হন। তাহলে থাকে ৪৬ –১৬ = ৩০ বছর। ১২ ঘন্টা কর্মদিবস হিসেবে ( পুর্বে উল্লেখিত হিসেব মোতাবেক) ধরে নিলে প্রতিটি হাদিস সংগ্রহে তার সময় লেগেছিল = ৩০– ১৫= ১৫ বছর * ৩৬৫ দিন = ৫৪৭৫ দিন। ৫৪৭৫দিন * ২৪ ঘন্টা = ১৩১৪০০ ঘন্টা * ৬০মিনিট = ৭৮৮৪০০০ মিনিট ÷ ৭০০০০০০টি হাদিস = ১. ১২ মিনিট তথা ১মিনিট ১২ সেকেন্ডের মধ্যে তাকে প্রতিটি হাদিস সংগ্রহ করতে দূর- দূরান্তে দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। তাও আবার বর্তমান কনকর্ড বিমানে নয়, মোটরসাইকেল, বাস, প্রাইভেটকার নয়। বরং সেই কালের বাহন = উঁট, ঘোড়া, গাধা, খচ্ছর, নোকা কিংবা পদব্রজে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি কোন দুঃশ্চরিত্রের হাদিস সংগ্রহ করেননি এবং উল্লেখিত কঠোর নীতিমালা অনুসরন ও যাচাই- বাছাই করে।
প্রিয় বিজ্ঞ পাঠক, বিবেকের কাঠগড়ায়, মনের স্বচ্ছ আয়নায় একটু চিন্তা করে দেখুন, তা কীভাবে সম্ভব! আমি আর কত বলবো! সভ্য সহস্রাব্দে পদার্পন করার পরও আমাদের কে এরুপ গোঁজামিলের, অসামঞ্জস্য, অবিশ্বাস্য, অবাস্তব কথার তকমা জোর করে বিশ্বাস করানো হচ্ছে। আর এই তথাকথিত বোখারী শরীফে প্রিয় নবীজি সাঃ এর চরিত্রের অপমান, অবমূল্যায়ন, এবং অবাস্তব, অসম্ভব, অবৈজ্ঞানিক, অনৈতিক, অনেক আজগুবি কথা, কাজ, ও নির্দেশ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, যা পড়ে শত্রুরা মহানবী সাঃ এর চরিত্রে দোষ খুঁজছে এবং ইসলাম কে একটি অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব, গাঁজাখোরী,সন্ত্রাসী দর্শন, ধর্ম বলে প্রমান করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এমতবস্থায় নবীজি সাঃ এর হাদিস বলে যে হাদিস গুলা আমরা পেয়েছি তা মুহাদ্দিসের দ্বারা যতই যাচাই-বাছাই করে পেশ করা হউক না কেন, নবীজি সাঃ এর নির্দেশ মোতাবেক তা মহাগ্রন্থ কুরআনের আলোকে বিচার বিশ্লেষন করে গ্রহন করা ব্যতীত আমাদের কাছে বিকল্প কোন উপায় থাকেনা। শুধু ” কালা ” ” কালা ” বলেই বর্ণিত হাদিস নবীজি সাঃ এর হাদিস বলে গ্রহণ করা যাবেনা। মহাগ্রন্থ কুরআনের সাথে সামঞ্জস্যহীন বা কুরআনের সাথে মতনৈক্য হয় এমন হাদিস যতই সিহাসিত্তায় থাকুক না কেন উম্মতের বৃহত্তর স্বার্থে তা অপ্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় এক সময় বিশ্বব্যব্যপী নেতৃত্বদানকারি এই মুসলিম জাতিটি কখনো কুরআনের প্রকৃত অনুসারি তথা আহলে কুরআন হতে পারবেনা।উল্লেখ্য যে বোখারী শরীফ নামের হাদিস গ্রন্থ কে দ্বিতীয় কৃরআন হিসেবে যারা জানে, মানে সেই হাদিস গ্রন্থ সংকলের প্রেক্ষাপট যদি এমন আজগুবি ভিত্তিহীন হয়ে যায় তবে অন্যান্য হাদিস গ্রন্থগুলির কি হ-জ-ব-র-ল অবস্থা তা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্তমানে প্রায় ৪ শতাধিক হাদিস গ্রন্থ বাজারে রয়েছে। এগুলির সব বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত নবীজি সাঃ এর ঘোর শত্রুদের দ্বারা রচিত।
তাছাড়া ধান সার দিয়ে চিঁটা আবর্জনা পৃথক করার সময় ধানের মধে যেমন চিঁটা এবং চিঁটার মধ্যে যেমন ধান মিশ্রীত হওয়ার সমুহ আশংকা থাকে তেমনি বোখারী শরীফের ৬০–৭০ লক্ষ হাদিসের মধ্য হতে ৭২৯৭ টি হাদিস যাচাই- বাছাই করতে গিয়ে যে, জাল হাদিসের মধ্যে সহি হাদিস কিংবা সহি হাদিসের মধ্যে জাল হাদিসের সংমিশ্রণ বা অনুপ্রবেশ ঘটেনি তার মাপকাঠি বা নিশ্চয়তা কী? আবার অনেকে বলেন হাদিস গ্রন্থ নাকি কুরআনের ব্যাখ্যা, হাদিস ছাড়া কুরআন বুঝা যাবেনা। কিন্তু না, তাদের বুঝ ঠিক নয়।আমরা সবাই জানি কুরআনে ১১৪ টা সূরা রয়েছে, ইমাম বুখারী কিন্তু সকল সূরার সকল আয়াতের ব্যখ্যা দেন নি। ২৮ টি সুরার ব্যাখ্যা সম্বলিত কোন হাদীস সহি বুখারীতে নেই।
২ নং সূরা বাক্কারাহতে ২৮৬ টি আয়াত রয়েছে, বুখারীতে মাত্র ৫০ টির মতো আয়াতের ব্যাখ্যা সম্বলিত হাদীস পাওয়া যায়। এর অর্থ দাড়ায় ২০% আয়াতের ব্যাখ্যা রয়েছে, বাকি ৮০% এর ব্যাখ্যা নেই। বিধায় মনের আয়নায় প্রশ্ন জাগে তাহলে কেমনে বোখারী কুরআনের ব্যাখ্যাকারী গ্রন্থ হয়?
এখন দেখা যাক ব্যাখ্যার ধরন। ১০৮ নং সূরা আল-কাওসারে ৩টি আয়াত রয়েছে। একটি মাত্র শব্দের ব্যাখ্যার মধ্য দিয়েই পুরা সুরার ব্যাখ্যা সম্পন্ন করাকেই যথেষ্ট মনে করা হয়েছে। বুখারী বলেছেন – ‘কাওসার’ জান্নাতের একটি নদী।
বুখারী সম্ভবত ভালো আরবি জানতেন না তার একটা উদাহরন। কারন ‘কাওসার’ মানে পর্যাপ্ত পরিমানে ভালো কিছু। ‘কাথির’ মানে অনেক, পর্যাপ্ত।
এছাড়া কুরআন নিজেই নিজের ব্যাখ্যাকারি, বর্ণনাকারি, বর্ননা কারি, বিবৃতকারি, প্রত্যায়ন কারি, সত্যায়ন কারি, ফায়সালাকারি, সমাধানকারি,সহজ – সরল গ্রন্থঃ ৪ঃ১০৫/ ৬ঃ৩৮/ ৬৫/৮৯/১০৫/ ১১৪/ ১১৯/১২৬/৭ঃ৫২/৫৮/৯ঃ১১/১০ঃ৩৭/৬১/১১ঃ৬/১২ঃ১,১১১/১৩ঃ১/ ১৬ঃ৪৪/৫৮/৮৯/ ১৭ঃ৯/ ৮১/৪১/ ৮৯//১৮ঃ১-২/৫৪/১৯ঃ৯৭/২২ঃ৭২/২৪ঃ১৮,৪৬,৫৮, ৫৯, ৬১/২৫ঃ৩৩/ ২২ঃ৭২/২৭ঃ৭৫-৮৯/ ৩৪ঃ৩/৩৯ঃ২৭/ ৩৮ঃ২৯/৫৪ঃ১৭/২২/৩২/৮৬ঃ১৩।
এবং কুরআন নিজেই হাদিস গ্রন্থ। কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত গুলিতে হাদিসের কথা উল্লেখ রয়েছে।
১. কুরআন নিজেই আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩। ২. কুরআনে লাউয়াল হাদিসের কথা বা অসার বানির কথা উল্লেখ রয়েছে ৩১ঃ৬।কুরআন নিজেই রাসুলের হাদিস বা বানি ৬৯ঃ৪০/ ৮১ঃ১৯। কুরআন আল্লাহর বানি তার পক্ষে সমর্থিত আয়াত ৬৯ঃ৪২-৪৪/২৯ঃ৪৬-৪৯।।আরো দেখুন কুরআন রাসুলের / আল্লাহর হাদিস বা বানি তথা নিস্নের আয়াত গুলিতে হাদিস শব্দ দেখতে পাবেনঃ= ৪ঃ৪২/৪ঃ৭৮/৪ঃ৮৭/৪ঃ১৪০/৪৭ঃ৮/৬ঃ৬৮/৭ঃ১৮৫/১২ঃ১১১/১৮ঃ৬/২০ঃ৯/৩১ঃ৬/৩৩ঃ৫৩/৩৯ঃ২৩/৪৫ঃ৬/৫১ঃ২৪/৫২ঃ৩৪/৫৩ঃ৫৯/৫৬ঃ৮১/৬৬ঃ৩/৬৮ঃ৪৪/৬৮ঃ৫০/৭৮ঃ১৫/৭৯ঃ১৫/৮৫ঃ১৭/৮৮ঃ১।
বিধায় যেহেতু কুরআন পুর্নাংগ জীবন বিধান ৫ঃ৩ সেহেতু কুরআনের বাইরে মানব রচিত কোন হাদিস, ফতোয়া গ্রহনের সুযোগ নেই। কারন ফতোয়া দেয়ার মালিক তো আল্লাহ ৪ঃ১২৭/১৭৬।
মোঃ নজরুল ইসলাম। ০৫–০৮–২০২০ খ্রীঃ।