Category Archives: HAJJ

✔️Hajj an analysis

৫১:৫৬-‘কে মর্যাদা দিলেই,
৩:৯৬ ও ২:২-হুদা’র বিষয়টা  সর্বাগ্রে সমাধানের চেষ্টাকরা উচিৎ ??
~~
#কুরআন_গবেষকগণদের মনোযোগ দেওয়া উচিৎ-৪৭:২৪⬇️
#বায়িত-৩:৯৬ অর্থ:⬇️
⬆️নিয়মাবলি/নির্দেশনা/ব্যবস্থাপনা/+++ ⬇️;
ঘর কীভাবে???
হুদা/পথপ্রদর্শক ??? ৩:৯৬,২:২
~~
মনোযোগ দিয়ে বুঝুন-১০৬:২-৩⬇️
➤➤➤➤➤
আসক্তি আছে তাহাদের শীত ও গ্রীষ্মে সফরের
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ
সূরা নম্বর: ১০৬ আয়াত নম্বর: ২
~~~
➡️শীত ও গ্রীষ্ম ⬅️এই পারিপার্শ্বিকতা/নিয়ম/ব্যবস্থাটাই
#বায়িত
➤➤➤➤
অতএব, উহারা ‘দাসত্ব  করুক ⬆️এই
️ব্যবস্থার/নিয়মের️ প্রতিপালকের,
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْ️بَيْتِ️
সূরা নম্বর: ১০৬ আয়াত নম্বর: ৩
____________
এটা শুধু কোরআনে বিশ্বাসীদের জন্য-
কোরআনের 32:2-3, 34:44, আয়াত অনুসারে মক্কা এবং তার আসে পাসের এলাকায় আল্লাহ কখনো নবি রাসুল প্রেরন করেন নি। সুতরং মক্কার কাবা আর নবি ইব্রাহিমের কাবা এক নয়।

ইব্রাহিম আঃ মানবজাতিকে হজের জন্য আহব্বান করেছিলেন কিন্তু নিম্ন লিখিত কোন নবিই মক্কায় হজ করতে যাননি –

জ্যাকব (ইয়াকুব) জন্ম: কেনান (আধুনিক ইসরায়েল/ফিলিস্তিন)

জোসেফ (ইউসুফ) জন্ম: কেনান (আধুনিক ইসরায়েল/ফিলিস্তিন)

মূসা (মুসা) জন্মগ্রহণ করেন: মিশর

হারুন (হারুন) জন্ম: মিশরে

ডেভিড (দাউদ) জন্ম: বেথলেহেম, জুডিয়া (আধুনিক ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন)

সলোমন (সুলাইমান) জন্ম: জেরুজালেম, জুডিয়া (আধুনিক ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন)

ইলিয়াস (ইলিয়াস) জন্মেছিলেন: তিশবে, গিলিয়েড (আধুনিক জর্ডান)

এলিশা (আলিয়াসা) জন্মেছিলেন: আবেল-মেহোলাহ, জর্ডান নদীর কাছে (আধুনিক জর্ডান/ইসরায়েল)

জোনাহ (ইউনুস) জন্মগ্রহণ করেছেন: নিনেভের কাছে, অ্যাসিরিয়া (আধুনিক ইরাক)

চাকরি (আইয়ুব) জন্ম: সম্ভবত হাওরান অঞ্চলে (আধুনিক সিরিয়া)

জাকারিয়া (জাকারিয়া) জন্ম: জেরুজালেম (আধুনিক ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন) জন ব্যাপ্টিস্ট (ইয়াহিয়া) জন্মে: জেরুজালেম (আধুনিক ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন)

যীশু (ঈসা) জন্মগ্রহণ করেছেন: বেথলেহেম, জুডিয়া (আধুনিক ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন)

কিন্তু কোরআনে হজ আছে এবং সকল নবিই হজ করেছেন; কিভাবে?

ইবরাহিম রসুলুল্লাহ কী করেছিলেন?

সুরা হজের ২৬-৩৪ পর্যন্ত পড়লে জানা যায়- আল্লাহর রসুল হজরত ইবরাহিম গোটা মানবজাতিকে তাঁর দিকে হজের জন্য ডেকেছিলেন। মুসলিম বা বিশ্বাসীদেরকে নয়!

সেই ডাকে সারা দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ‘তাঁর কাছে’ মানুষ এসেছিল। তিনি যেখানেই থাকবেন, তাঁর কাছে যাওয়াই ছিল লক্ষ্য, নির্ধারিত কোনো জায়গা নয়- ‘তাঁর কাছে’।

মানুষজন এলে তাদের জন্য পশু জবাই করেছিলেন ও খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন।

এরপর হলো মূল কাজ। তিনি তাদেরকে আল্লাহর বাণী বা রিসালা পৌঁছে দিয়েছিলেন।

মনে রাখতে হবে- তিনি ছিলেন আল্লাহর শক্তিশালী রসুল।

শেষ নবী মোহাম্মদ রসুলুল্লাহ কী করেছিলেন?

তিনি মক্কার অমুসলিমদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়া শুরু করেন। এই অভিযোগে তাঁকে জন্মস্থান থেকে বের করে দেওয়া হয়! অনেক সংগ্রামের পর তিনি ঘরে ফিরে আসেন। তারপর? যে মিশন তিনি শুরু করেছিলেন, সেই মিশন সম্পন্ন করলেন- অমুসলিমদের কাছে মহান আল্লাহর বাণী পৌঁছানোর কাজ সম্পন্ন করলেন। এটাই হজ।

তিনি অমুসলিমদের জন্য পশু জবেহ করলেন, খাবারের ব্যবস্থা করলেন (২:১৯৬) এবং তিনি চূড়ান্তভাবে তাদের কাছে কিতাব পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন।

রসুলুল্লাহর কাছে থাকা মহাজগতের পরাক্রমশালী প্রভুর বাণী অমুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। আপনার-আমার পূর্বপুরুষদের কাছেও তা পৌঁছে গিয়েছিল।

সে সময় হজ ছিল অবধারিতভাবে রসুল ও তাঁর বাণীর সঙ্গে জড়িত। হজের সঙ্গে কোনও বিশেষ স্থানের সম্পর্ক নাই। আল্লাহর রসুল থাকে যেদিকে, হজ হয় সেদিকে। ‘হজ’ মুসলিমদের জন্য নয়, বরং যারা আল্লাহর বাণীর নাগাল পায়নি, তাদের জন্য রসুলের পক্ষ থেকে আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌঁছানোর পদ্ধতি।

সকল নবি রাসুল মানবজাতিকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, শুধু মুসলিম দের নয়। যে যেভাবে পেরেছে নবি / রাসুলের কাছে এসেছেন ইসলাম জানতে, এখানে পোশাক / ইহরাম / করনীয় মুল বিষয় নয়
.
এত গুলা নবি যারা কখনো কাবা তাওয়াফ করল না অথচ আমরা পরহেজগারীর ঠেলায় ৩০৪৫ মাইল দূরে দৌড়াই। কেউ আল্লাহর নির্দেশনা গুলি গোপন করল আর কেউ প্রয়োজন মনে করল না আল্লাহর নির্দেশনা জানার, আর কেউ করল প্রতারনা।
.
Abdullah Al Mamun স্যার,
সয়তান কি ব্যর্থ হবে !!!! ১৭:+৬২++++
.
in comment:
#বিধান’কে-২:২,৩:৯৬ নাকি #ঘর’কে
হুদা/পথপ্রদর্শক???২:২,৩:৯৬
বলেছেন #আল্লাহ্ ???
>>>>
বায়িত অর্থ: নীতিমালা/নির্দেশনা:
~~~
#কুরআন_গবেষকগণদের মনোযোগ দিয়ে ভাবা উচিৎ-৪৭:২৪
~~~
#বায়িত-৩:৯৬-ঘর হয় কীভাবে?
ঘর কীভাবে #পথপ্রদর্শক/হুদা হবে?
-৩:৯৬,২:২?
হুদা অর্থ: পথপ্রদর্শক-২:২,৩:৯৬⬇️
➤➤➤➤➤➤➤➤
আর যখন আমরা ইবরাহীমের জন্য
➡️নীতিমালা/ব্যবস্থাপনার⬅️
সীমা নির্ধারণ করেছিলাম: “আমার সাথে কাউকে অংশীদার করো না এবং যারা আমার ব্যবস্থাপনায় প্রবেশ করে, যারা অবস্থান করে এবং যারা অবনতভাবে গ্রহণ করে ও মান্য করে তাদের জন্য আমার ➡️নীতিমালাকে⬅️ সচ্ছ-পরিস্কার কর।
وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْ⬅️بَيْتِ➡️ أَنْ لَا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ ⬅️بَيْتِيَ➡️ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
সূরা নম্বর: ২২ আয়াত নম্বর: ২৬
~~~~
বল, ‘আল্লাহ্ সত্য বলিয়াছেন। সুতরাং তোমরা একনিষ্ঠ ➡️ইবরাহীমের
#প্রতিষ্ঠীত_ব্যবস্থাপনা⬅️
অনুসরণ কর,
সে অংশীদারকারীগণের অন্তর্ভুক্ত নহে।’
قُلْ صَدَقَ اللَّهُ ۗ فَاتَّبِعُوا
⬅️مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا➡️ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
সূরা নম্বর: ৩ আয়াত নম্বর: ৯৫
~~~
নিশ্চয়ই মানব জাতির জন্য প্রথম যে ➡️নীতিমালা/নির্দেশনা/বিধান⬅️ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল তাহাই যথাযথ-সঠিক, উহা উদ্দীপনাময় ও বিশ্বজগতের
❤️পথপ্রদর্শক❤️।
إِنَّ أَوَّلَ ⬅️بَيْتٍ➡️ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا
وَ❤️هُدًى❤️ لِلْعَالَمِينَ
সূরা নম্বর: ৩ আয়াত নম্বর: ৯৬
~~~
ঐখানে অনেক দর্শনীয় নমুনা/নিদর্শন রয়েছে, যেমন ️ইব্রাহিমের বাসস্থান/আবাসস্থল️;
আর সেখানে সবায় নিরাপদ।
মানুষের মধ্যে যাহার অনুধাবনীয়-যোগ্যতা আছে,  ঐ
➡️নির্দেশনা/নীতিমালায়⬅️
আলোচনা/বিতর্ক করা তাহার কর্তব্যো। এবং কেহ অনীহা দেখালে সে জানিয়া রাখুক, নিশ্চয় আল্লাহ্ বিশ্বজগতে কারো মুখাপেক্ষী নন।
فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ
️مَقَامُ إِبْرَاهِيمَ️ ۖ وَمَنْ دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا ۗ وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْ⬅️بَيْتِ➡️ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا ۚ وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ
সূরা নম্বর: ৩ আয়াত নম্বর: ৯৭

https://www.facebook.com/share/B3EVeyGFky1vND5R/?mibextid=oFDknk
.

__________________________________________

কাবাঘর কি ইব্রাহীম (আঃ) নির্মিতি বাইত?

ইসলাম পূর্ব সমস্ত মুশরিক ও পৌত্তলিক আচার অনুষ্ঠানকে ইসলামে অভিযোজিত করার জন্য আল কোরআনের বেশ কিছু শব্দ যেমন ইলাহ, সালাত (صلاۃ), কিয়াম, রুকু, সিজদাহ, রসুল এবং বাইত (بیت) ইত্যাদি শব্দগুলির অপব্যবহার করা হয়েছে। কোরআনের প্রকৃত বার্তা বুঝতে হলে এই শব্দগুলোর সঠিক অর্থ ও ব্যবহার জানা অত্যন্ত জরুরী।

আরবি “بیت” শব্দটি আদি মূল “ب ت” (বা তা) থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ “একটি উপসংহারে পৌঁছানো (reach a conclusion)”, সিদ্ধান্ত (decision), সংকল্প (determination), স্থিরসঙ্কল্প (resolution), সনদ (charter), সংবিধান (constitution), নিষ্পত্তি (settlement), বিচ্ছিন্ন করা (cut off), সংস্থাপন (fixation), রায়/মীমাংসা (judgment), নিয়ম (regulation), স্ট্যান্ড ( যেমন বাস স্ট্যান্ড), মতবাদ (dogma) (عقیدہ) ইত্যাদি।

আপনি যখন একটি তাঁবুর ভিতরে ঠিক উপরের দিকে তাকান তখন আপনি যা দেখতে পান তাকে আরবীতে “بَيْت” বলা হয়, অর্থাৎ তাঁবুর ছাদ (ceiling) হল প্রকৃতপক্ষে একটি “بَيْت কিন্তু তাঁবুর ছাদ ধরে রাখা খুঁটি “بَيْت”-এর অন্তর্ভুক্ত নয়। “শামিয়ানা” হল “بَيْت” এর একটি উপযুক্ত উদাহরণ, যা কার্যকারিতার দিক দিয়ে প্রচলিত তাঁবুর ছাদের মতই। আমাদের মাথার উপর একটি শামিয়ানা বা ছাদ রাখার উদ্দেশ্য হল আমাদেরকে ছায়া প্রদান করা এবং নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা, যাকে আরবি সাহিত্যে সুরক্ষার পরিকল্পনা “امان” বলা হয়।

কুরআন “بَيْت” এর আক্ষরিক প্রতিশব্দ “امان” ব্যবহার করে যারা আল্লাহর শামিয়ানা বা আল্লাহর “بَيْت” এর অধীনে আসে তাদেরকে আল্লাহর নিরাপত্তার অধীনে থাকার নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু আল্লাহ তার অবতীর্ণ কিতাবে লিখিত সংবিধানের মাধ্যমে তার শামিয়ানা বা “بَيْت” ছড়িয়ে দেন।অতএব, আল্লাহর “بَيْت”-এর সাথে পার্থিব দালান বা এর নির্মাণ সামগ্রী, শামিয়ানা ও শামিয়ানা তৈরির কোন উপকরণ কিংবা প্রচলিত তাঁবু বা তাঁবুর ছাদকে ধরে রাখা খুঁটির কোন সম্পর্ক নেই।

তাই, কুরআনিক শব্দ “بَيْت” হল লিখিত সনদ, কর্মসূচি, বা পরিকল্পনা এবং একটি অপার্থিব কল্পিত শামিয়ানা, অথবা আল্লাহর একটি কল্পিত মঞ্চ (virtual platform), যা কাবা নামে পরিচিত মক্কায় অবস্থিত পাথরের তৈরি কথিত আল্লাহর ঘর নয়।

আরবরা তাদের ঘরকে “بَيْت” বলে না। ইসলাম পূর্ব আরব সভ্যতা থেকেই সমগ্র আরব বিশ্ব জুড়ে আরবি “منزل” শব্দটি ‘ঘর’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পার্সি (জরথুষ্ট্রিয়ান) সংস্কৃতিতে “بیت” এবং এর বহুবচন “بیوت” শব্দটি “বাড়ি (home)”, “ঘর (house)” এবং “কক্ষ (room)” বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই পার্সি (জরথুষ্ট্রিয়ান) শব্দ “بَيْت”-এর ব্যবহার “Parsi Wiki”-এর নিম্নলিখিত লিঙ্কে দেখতে পারেন।

http://www.parsi.wiki/fa/wiki/topicdetail/9c9fd2fcc7e740afb15431f07bcf291f

যদিও, আরবি শব্দ “بیت” এবং এর বহুবচন “بیوت” উচ্চারণগতভাবে পারসি (জরথুষ্ট্রিয়ান) শব্দ “بیت” এবং “بیوت” এর মতো কিন্তু অর্থগত দিক দিয়ে আরবি ভাষায় এগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বহুল পরিচিত “بیت الخلا”, “بیت الحکمہ”, “بیت المقدس” এবং “بیت المعمور” ইত্যাদি শব্দগুচ্ছ আরবি নয়, এমনকি আরবরা এগুলোর অর্থও জানে না কারণ এগুলো আরবীতে ব্যবহৃত হয় না। বাথরুম বা টয়লেটকে ফার্সি ভাষায় “بیت الخلا” বলা হয়, যা উর্দুতেও ব্যবহৃত হয় কিন্তু আরবি ভাষায় আরবরা তাদের বাথরুম বা টয়লেটকে “الحمام” বলে। আর কক্ষ (room)-কে আরবীতে “غرفة” এবং ঘরকে “منزل” বলা হয়।

আরবরা যদি তাদের নিজেদের ঘর বোঝাতে “بَيْت” শব্দটি ব্যবহার না করে তাহলে কেন মুসলিম পন্ডিতরা কুরআনের অনুবাদে ঘর বোঝাতে “بَيْت” শব্দটি ব্যবহার করেন? এবং তারা কীভাবে “بیت اللہ” অর্থ আল্লাহর ঘর বোঝাতে পারেন?

যখন পারসি (জরথুষ্ট্রিয়ান) মুশরিক এবং আরব পৌত্তলিকরা ক্ষমতায় আসে তখন তারা ইসলামের নামে আবারও পৌত্তলিকতা চর্চা শুরু করতে পার্সি (জরথুষ্ট্রিয়ান) শব্দ “بیت” ব্যবহার করে আল্লাহর ঘোষিত নিষিদ্ধ মসজিদ (الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ) কে “بیت الله” (আল্লাহর ঘর) ঘোষণা করে যা ছিল অন্ধকার যুগের পৌত্তলিক ধর্মের কেন্দ্র ও নিদর্শন। যারা বিশ্বাস করে যে পৃথিবীতে আল্লাহর ঘর আছে তারা তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসে হারিয়ে গেছে এবং তারা বুঝতে পারছে না যে সর্বশক্তিমান, সবকিছুর মালিক এবং অগণিত মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ কেন সামান্য একটি ছোট্ট ঘরে বাস করবেন?

আসলে আমাদের চিন্তাশক্তি বন্ধী হয়ে গেছে এবং এই আরবি শব্দ “بیت” এর ভুল অর্থ দ্বারা আমাদের মগজ ধোলাই হয়ে গেছে যার ফলে আমরা আমাদের মিথ্যা মতবাদ ত্যাগ করতে চাই না।

আপনি কি ৪:৮১(بَیَّتَ), ৪:১০৮ (یُبَیِّتُوۡنَ), ৭:৪ (بَیَاتًا), ৭:৯৭(بَیَاتًا), ১০:৫০(بَیَاتًا), ২৫:৬৪ (یَبِیۡتُوۡن) এবং ২৭:৪৯ (لَنُبَیِّتَنَّہ) আয়াতের প্রচলিত অনুবাদগুলি দেখেছেন যেখানে আমাদের পৌত্তলিক পণ্ডিতরা পারসি (জরথুষ্ট্রিয়ান) শব্দ بیت” এবং এর থেকে উৎপন্ন শব্দের সাথে মানানসই অর্থ করতে পারেননি এবং তাদের কাছে এই শব্দটিকে “রাত” অর্থে অনুবাদ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না?

১৬:৮০ আয়াতের অনুবাদটিও আমাদের পণ্ডিতদের “بیت” থেকে উৎপন্ন শব্দের অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির প্রমাণ। কেউ কেউ অনুবাদ করেছেন “তাঁবু” এবং কেউ কেউ এটিকে “আশ্রয়” অর্থে নিয়েছেন কিন্তু কিছু একগুঁয়ে পৌত্তলিক পণ্ডিত অনুবাদ করেছেন পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি “ঘর”। সম্ভবত তারা পশুর পেটে বাস করত অথবা কুরআনের বক্তব্যকে বিঘ্নিত করার গুরুতর অপরাধের কারণে তারা পশুর গর্ভে বসবাস করছে এবং তাদের পরবর্তী জীবনে পশু হিসাবে পুনর্জন্ম পাবে।

আল কোরআনে ব্যাবহৃত “الْبَيْتِ الْعَتِيقِ” বাক্যাংশটি ২২:২৯ এবং ২২:৩৩ আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে। সংক্ষেপে আমি এই আয়াতগুলোর প্রেক্ষাপটের দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেখানে জীবন ও মৃত্যু বর্ণনা করে তারপর মূর্তি পূজার আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রসঙ্গটি আল্লাহর আনুগত্য ও এর উপকারিতার দিকে চলে যায়, পাশাপাশি শয়তানের উপাসনা ও এর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তারপর পরবর্তী জীবনের (যাতে পৌত্তলিকরা বিশ্বাস করে না) প্রতিদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং মানুষকে “الْبَيْتِ الْعَتِيقِ” এর দিকে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে, অর্থাৎ আল্লাহর প্রাথমিক নির্ধারিত পথ (Allah’s initially fixed way), আল্লাহর চিরস্থায়ী আশ্রয়(Allah’s ever fixed shelter), আল্লাহর পারিবারিক মঞ্চ (Allah’s family platform), আল্লাহর চিরস্থায়ী সনদ/নিয়ম (Allah’s ever fixed charter/regulation), পরকালে আমাদের সাফল্যের জন্য মতবাদ (dogma for our success in the hereafter)।

২২:৩৪ নং আয়াতের “مَنسَكًا” শব্দটি আরবি শব্দ “بيت” এর একটি প্রকৃত প্রতিশব্দ, যা ২২:৩৪ এর পূর্বের আয়াতে ব্যবহৃত কুরআনের “بيت” শব্দের সঠিক অর্থ ব্যাখ্যা করে। এই কুরআনিক শব্দ “مَنسَكًا” (যা بيت-এর প্রতিশব্দ) অর্থ আশ্রম (hermitage), আশ্রয় (refuge), বন্দর/আশ্রয়স্থল (haven), অভয়ারণ্য (sanctum), আশ্রয়ের জায়গা/অনাথাশ্রম (asylum), নিরাপদ আশ্রয় (shelter), স্থান (place) (مقام) যা কোনো নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি স্থান নয় বরং এমন একটি স্থান বা জায়গা যা আমরা বিভিন্ন বাক্যে ব্যবহার করি যেমন “কেউ আমার বাবার জায়গা নিতে পারবে না”। আল্লাহ একইভাবে বলেছেন যে এটি নোংরা মূর্তিদের আনুগত্য বা উপাসনার স্থান নয় বরং আমার আনুগত্য কর কারণ এটি কেবলমাত্র আমার আনুগত্যের স্থান।

আরবি আইনি ব্যবস্থায় “البت” একটি আইনি শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয় যার অর্থ সম্পাদিত আইন (Accomplishment), এবং “يبت” অর্থ সিদ্ধান্ত (Decision), মীমাংসা করা (Decide) এবং নিষ্পত্তি (Settle)।

এখন আমরা ২:১২৭ আয়াতের সঠিক অনুবাদটি দেখব, যার ভুল অনুবাদে আমাদের পৌত্তলিক পন্ডিত এবং তাদের অনুসারীরা মিথ্যা দাবি করে যে কাবা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।

(2:127) “وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ”

এখানে إِذْ শব্দটি নির্দেশক বিশেষ্য হিসেবে “ওই/সেই (that)” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা ঠিক আগে উল্লেখকৃত কোন বিষয় বা কিছু দূরত্বে অবস্থিত কোন কিছুকে নির্দেশ করে। এই আয়াতে ওই/সেই দ্বারা ইব্রাহিম (আঃ) কে নির্দেশ করা হয়েছে যার আলোচনা ২:১২৪ থেকে শুরু হয়েছে। يَرْفَعُ অর্থ উন্নিত/প্রচার করা (promote), উত্থিত করা (raise), অগ্রগামী (forward), দৃষ্টিগোচর করা (highlight) ইত্যাদি।

নির্দিষ্টবাচক বিশেষ্য الْقَوَاعِدَ শব্দটি বহুল পরিচিত قَاعِدَة‎‎ শব্দের বহুবচন। যার অর্থ রীতি, নিয়ম, প্রথা, বিধি, আইন ইত্যাদি। এই শব্দটি বাংলায় ‘কায়দা’ হিসেবে বুদ্ধি, কৌশল, নিয়ম অর্থে সরাসরি ব্যাবহৃত হয়। আপনি ছোটবেলায় মক্তবে যে কায়দা পড়েছেন এটি সেই একই শব্দ। যা আরবি বর্ণমালার পরিচিতি ও আরবি লেখা পড়ার নিয়ম সম্বলিত বই। কিন্তু এই বহুল পরিচিত শব্দটির অর্থ জালিয়াতি করে অর্থ করা হয়েছে “ভিত্তি (foundation)” যা আমাদের অন্ধ আলেমদের চোখে পড়েনা।

পদান্বয়ী অব্যয় مِنَ অর্থ হইতে (from), এর (of)। الْبَيْتِ অর্থ আল্লাহর বিধান/আইন (regulation of Allah), আল্লাহর সনদ (charter of Allah)।

সুতরাং ২:১২৭ “وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ” এর সঠিক অনুবাদ হল

And that Ibrahim has promoted/highlighted the rules of the regulation of Allah (2:127) (word to word correct translation)

আর সেই ইব্রাহীম আল্লাহর বিধানের রীতিনীতি প্রচার করেছেন/ তুলে ধরেছেন। (২:১২৭)

অতএব, কাবা ঘর হযরত ইব্রাহিম (আঃ) নির্মাণ করেছিলেন এটি একটি মিথ। এমনকি বাইত শব্দটি দ্বারা কাবা ঘরকে বুঝায়না এবং এর অর্থ ঘরও নয় বরং বাইত অর্থ আল্লাহর বিধান/আইন/সনদ, আল্লাহর কল্পিত আশ্রয়/মঞ্চ।

সতর্কীকরণ ঃ এই পেইজটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা তাদের প্রচলিত বিশ্বাসের বিপরীত হলেও, আল কুরানে বর্নিত আল্লাহর প্রকৃত বিধানের আনুসরন করতে চায়।এবং তাদের অর্জিত বিশ্বাসকে সত্যের মানদণ্ডে যাচাই করার সাহস রাখে। আর যারা নিজেদের পুরনো বিশ্বাসে বা বাপ দাদার বিশ্বাসে থাকতে চায় তাদের জন্য এই পেইজ উপযুক্ত নয়।

শুভেচ্ছান্তে
আবদুল্লাহিল কাউছার

https://www.facebook.com/share/xZA45w9VyEoWMwhz/?mibextid=oFDknk

Hajj by Sajol Rason

হজ্ব (পর্ব ৪)

আমরা জানি মুসলমানদের জন্য হজ্জ একটা ফরজ ইবাদত!যদিও জানি না,এটাকে ফরজ করল কে?আমরা এটাও জানি হজ্জ করলে নাকি মানুষ নিস্পাপ হয়ে যায় !!যদিও কুরআনে আল্লাহ এমন কথা বলেন নি।হজ্জ করলে মানুষ যদি নিস্পাপ হয়ে যেত,তাহলে পুরো বিশ্বে এত পাপী বান্দা থাকত না।পাপ মুক্ত হওয়া কি এতো সহজ যে,মাত্র ৮/১০ লাখ টাকা খরচ করে হজ্জ করলেই নিষ্পাপ হওয়া যায়?

আর বিশ্বব্যাপি এই মিথ্যার প্রচারেই সৌদির ব্যবসা।তাই পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ তার জীবনের সমস্ত ইনকাম দিয়ে বা সকল সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও,জীবনে একবার হজ্জ করেই মৃত্যুবরন করতে চায়।সকল অপরাধীদেরও একই ইচ্ছা।কিন্তু আল্লাহর বিধান কি এমন?আল্লাহ কি এতো সহজে কাউকে পাপ মুক্ত করেন?আল্লাহ কি শুধু মক্কা মদিনায় থাকে?আমার ঘরে,আপনার ঘরে কি আল্লাহ নাই?

কোরআন বলে,আল্লাহ আমাদের কন্ঠ নালীর চেয়ে কাছে! তাহলে,কোন আল্লাহকে সিজদা করতে আমরা মক্কা, মদিনায় যাই?আরবের আল্লাহ কি আলাদা?শয়তান কি আপনার,আমার কাছে নাই?কোরআন বলে শয়তান আমাদের চারিদিক থেকে সবসময় ওসওয়াসা দিচ্ছে।তাহলে,আমরা কোন শয়তানকে পাথর মারতে মক্কা মদিনায় যাই?

আমরা আমাদের জ্ঞান বিবেক,আকল,না খাটিয়ে,ছুটে চলছি,অধিংকাশের দেখাদেখি মরিচিকার পিছনে।অথচ আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছেন সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ।কুরআন বর্হিভূত উপসনানির্ভর হজ্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে, কুরআনের বাক্কাকে বানানো হয়েছে মক্কা,করা হয়েছে অনেক শব্দের পরিবর্তন।

“নিশ্চয় মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল,তা বাক্কায় অবস্থিত।তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের জন্য পথের দিশারী।”(সুরা ৩/৯৬)

সুরা ২,আয়াত ২ তে স্পষ্ট যে বিশ্বজাহানের পথপ্রদর্শক/হুদা তো বিধানবাক্য মানে কুরআন।ঘর কীভাবে হুদা বা বিশ্বজাহানের পথপ্রদর্শক হবে?বায়িত-অর্থ বর্ণনা/বিধান/নীতি/নির্দেশনা নাকি ঘর?কোনটা সঠিক?

ঘরের মালিক তো মানুষ।তাই মানুষ সে ঘরের একসেস দেয়।হজ্ব ব্যাবসায়ীদের লাইসেন্স দেয় আর বিভিন্ন প্যাকেজে বিভিন্ন রেটে ওমরা,হজ্ব বিক্রি করে।কিন্তু এমন সুযোগ কি কুরআন দেয়?

বিশ্বব্যাপী হজ্ব ব্যাবসাকে বৈধতা দিতে অনুবাদ বিকৃত করা হয়েছে।মুমিনদের কিবলা/দিক/লক্ষ্য হল আল্লাহর দিকে আর সেই দিকে নিয়ে যাবে কুরআন যা আল্লাহর বই যেখানে আল্লাহ,উনার সাথে সংযোগ স্থাপনের নিয়ম বা বিধান বিস্তারিতভাবে দিয়েছেন।তাহলে সঠিক অনুবাদ হল

“নিশ্চয়ই মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম যে বিধানবাক্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল তাহাই যথাযথ-সঠিক,উহা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী।”

إِنَّ أَوَّلَ 🏵️بَيْتٍ🏵️ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ
সূরা নম্বর: ৩ আয়াত নম্বর: ৯৬

কুরআনের মক্কা অর্থ: উপত্যকা।(১৪:৩৭)কুরআনের আয়াতের সাথে মিলিয়ে চলমান ঐ এলাকার বিভিন্ন রকম এসব নাম রাখা হয়েছে যাতে হজ্বের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে, প্যাকেজের প্রাইস জাস্টিফাই করা যায়।এসকল স্থানে শুধু মুসলমান ছাড়া অন্যদের একসেস নিষিদ্ধ করা হয়েছে!এমনকি শর্তসাপেক্ষে শিয়া মুসলমানদের ও।অথচ কোরান বলছে হজ্জ সমগ্র মানবজাতির জন্য অথচ সেখানে শুধু মুসলিম দাবীদাররা যায়।ঐ জায়গায় কি নেয়ামত বরকত আছে যা আমরা দেখতে বা বুঝতে পারব?ঐ জায়গা কি নিরাপত্তা দিবে যা কুরআন বলে?

পাথর দিয়ে পাথর মাড়া,মাথা ন্যাড়া,সাদা কাপড় পড়া, পাহাড় দৌড়াদৌড়ি করা,একটি ঘরকে সাত পাক ঘোরা কোরানে নেই।এগুলো পূজার সামিল।আর বিধান দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহর।তাহলে এসবের বিধান কে দিল?

“অতএব,উহারা দাসত্ব করুক এই নীতিমালার প্রতিপালকের বা এই বিধানের স্রষ্টার।”
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ
সূরা নম্বর: ১০৬ আয়াত নম্বর: ৩

আমার উপলব্ধি হল,ঘর হলো আল্লাহর System এর ঘর।(৩:৯৬) সর্ব প্রথম System এর ঘর হলো নাজিলকৃত কুরআন যেহেতু আল্লাহর খলিফা পাঠাবে System এর মধ্যে থেকে সঠিক পথে যাতে চলতে পারে।কোনদিন কোন স্থান পবিত্র বা অপবিত্র হতে পারে না এবং বস্তু কখনো সঠিক পথ দেখাতে পারে না।আর যে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান নেই সেই বিষয়ের অনুসরণ করতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে আর উত্তম বিষয়ের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

https://www.facebook.com/groups/1237494316647904/permalink/2001480753582586/

নবী (সঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে কুরআন মাফিক ফয়সালাঃ

নবী (সঃ) এর বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে কুরআন মাফিক ফয়সালাঃ
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেকেই বলে, নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে রসূলের সুন্নাহে ( বিধান ১৭ঃ৭৭) তথা হাদীসকে দ্বীনের দলিল হিসাবে রেখে গেছেন। তাদের এই কথা ঠিক নহে। কারণ নবী (সঃ) দ্বীনের ক্ষেত্রে একটি কথাও নিজের তরফ থেকে বা মনগড়াভাবে বলেন নাই ৫৩ঃ৩। তাঁর প্রতি যা ওহী নাযিল হত দ্বীনের ক্ষেত্রে তিনি শুধু তাই ব্যক্ত করেন ৫৩ঃ৪। তিনি কোন কিছু আল্লাহর নামে বানিয়ে বলেন নাই ৬৯ঃ৪৪। যদি আল্লাহর নামে কোন কিছু বানিয়ে বলতেন তাহলে আল্লাহ তাঁর দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতেন ৬৯ঃ৪৫ এবং তাঁর জীবন ধমনী কাটিয়ে দিতেন ৬৯ঃ৪৬। তাছাড়া তিনি ওহী ব্যতিত দ্বীনের ক্ষেত্রে কাউকে সতর্ক করেন নাই ২১ঃ৪৫। আর নবী (সঃ) ওহী ব্যতিত কোনকিছু অনুসরণও করেন নাই ৬ঃ৫০/১০ঃ১৫ -১৬/৬১/৬ঃ১৯/৪২ঃ৭/ ২১ঃ৪৫/ ৬৯ঃ৪২-৪৯/ ৫৩ঃ২-৬/২৮ঃ৮৭-৮৮/ ৩৮ঃ৮৬/ ৩৩ঃ২/ ৭ঃ২’২০৩/ ৮৪ঃ২০-২৪/ ৪৬ঃ৯-১০/ ৬ঃ৫১/ ১১৫/ ১০৬/৫০ঃ৪৫/ ৪৩ঃ৪৩-৪৪/১৭ঃ৭৩-৭৫/৭২ঃ১৯-২৮/ ৭২ঃ২-৫।
আর আল্লাহ তো নবী (সা.)-এর জন্য এই কুআরনকে বিধান হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন ২৮ঃ৮৫। আর নবী (সঃ)-কে আল্লাহ বলেন, তুমি ওহিকে অবলম্বন কর ৪৩ঃ৪৩। আর তিনি তো প্রভুর স্পষ্ট প্রমাণের উপর অর্থাৎ ওহীর উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৬ঃ৫৭। কারণ দ্বীনের বিষয়ে কুরআনই পরিপূর্ণ দলিল ৫ঃ৩। কারণ সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে আল্লাহর কথাই পরিপূর্ণ ৬ঃ১১৫। অতএব, দ্বীনের বিষয়ে যারা কুরআন মাফিক বিধান দেয় না তারা যালিম, ফাসিক ও কাফির ৫ঃ৪৪, ৪৫, ৪৭)। কাজেই নবী (সঃ) কুরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

তবে এক শ্রেণীর লোক নবী (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণকে বিকৃতভাবে বর্ণনা করেছে। বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) সেই দুইটি বিষয়ের কথাই উল্লেখ করে বলেছেন, যে দুইটি বিষয় সূরা মায়েদার ৪৮ নং আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে জানিয়েদিয়েছেন।

“লিকুল্লী যাআলনা মিনকুম শির আতা ওয়া মিনহাজা” ৫ঃ৪৮ । এখানে উল্লেখ্য যে,” শির আতা” অর্থ ধর্মীয় আইন (আরবী অভি. পৃ. নং-১৫২০)।
“মিনহাজার ” আভিধানিক অর্থ হচ্ছে প্রকাশ্য রাস্তা (আরবী অভি. পৃ. নং- ২৩১২)। উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি ধর্মীয় আইন (কুরআন) এবং (আল্লাহ প্রাপ্তির) প্রকাশ্য রাস্তা। অর্থাৎ এই দুইটি বিষয় হচ্ছে (১) আল্লাহর বিধান যেটা কিতাবউল্লাহ, অর্থাৎ এই কুরআন। (২) অপরটি হচ্ছে মিনহাজা। অর্থাৎ আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ। যে পথটা বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান ভিত্তিক দর্শনের যুগেও মানুষের কাছে অজানা। আর আল্লাহ বলেন, অজানা বিষয়টি রসূল তোমাদেরকে শিক্ষা দিবেন ২ঃ১৫১। এই জন্য মুমিনদের মধ্য থেকেই মুমিনদের কাছে রসূল পাঠাই ৩ঃ১৬৪/ ২৪ঃ৫৫। এইজন্য প্রত্যেক নবীর কাছ থেকে এই মর্মে অঙ্গীর নিয়েছেন তোমার (শেষাংশে) কাছে একজন রসূল যাবে, তাকে তুমি রিশ্বাস করবে এবং (রিসালাত দিয়ে) সাহায্য করবে ৩ঃ৮১। এই অঙ্গিকার অনুসারে প্রত্যেক নবীর শেষাংশে বিশ্বস্তদের মধ্যথেকে একজনকে রেসালাতের ভার দিয়ে রসূল হিসাবে রেখে গেছেন। যার মধ্যে আল্লাহ প্রাপ্তির প্রকাশ্য পথ নিহিত আছে। অতএব বিদায় হজের ভাষণে নবী (সা.) দুটি বিষয় রেখে গেছেন (১) কিতাবুল্লাহ অর্থাৎ কুরআন (২) রসুল যেটা আল্লাহ প্রাপ্তির স্পষ্ট পথ যেটা মিনহাযা বলে উল্লেখ করা হযেছে অর্থাৎ আহলে বাইতের কথা বলা হয়েছে।এই আহলে বাইত হল নবীর আদর্শিক বংশধর। । অতএব বিদায় হজ্বের ভাষণে নবী (সঃ) কুরআনের বাইরে হাদীসকে বা সুন্নাকে দ্বীনের বিষয়ে দলিল হিসাবে রেখে গেছেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই।

মোঃ নজরুল ইসলাম = ২০–০৪–২০১৯ খ্রীঃ।

হজ বাতিলের ইতিহাস

By Abdullah Al Mamun fbfd

হজ বাতিলের ইতিহাস

প্রথমবার বাতিল হয়েছিল ৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে, আব্বাসীয়দের সময়, ইসমাঈল বিন ইউসুফের মক্কা আক্রমণের কারণে।

এরপর বন্ধ হয়েছিল ৯৩০ সালে। কট্টর শিয়া গ্রুপ কারমাতিদের আক্রমণে সে বছর ৩০,০০০ হাজি শহিদ হয়েছিল। তারা হাজিদেরকে হত্যা করে তাদের লাশ জমজম কুপে ফেলে দিয়েছিল। ফিরে যাওয়ার সময় তারা সাথে করে হাজরে আসওয়াদ বাহরাইনে নিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে হাজরে আসওয়াদ পুনরুদ্ধার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এক দশক হজ্ব বন্ধ ছিল।

৯৮৩ থেকে ৯৯০ সাল পর্যন্ত হজ্ব বাতিল হয়েছিল রাজনীতির কারণে। ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফত এবং মিসর ভিত্তিক ফাতেমীয় খিলাফতের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে সেবার ৮ বছর পর্যন্ত হজ্ব বন্ধ ছিল।

শুধু যুদ্ধ-বিগ্রহ না, মহামারীর কারণেও হজ্ব বাতিল হয়েছিল। প্রথমে ১৮১৪ সালে হেজাজ প্রদেশে প্লেগের কারণে ৮,০০০ মানুষ মারা যাওয়ায় হজ্ব বাতিল করা হয়।

এরপর ১৮৩১ সালে ভারত থেকে যাওয়া হজ্বযাত্রীদের মাধ্যমে মক্কায় প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং চারভাগের তিনভাগ হাজী মৃত্যুবরণ করে। ফলে সে বছর হজ্ব বাতিল করা হয়। এছাড়াও ১৮৩৭ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে প্লেগ এবং কলেরার কারণে তিন বারে মোট ৭ বছর হজ্ব বন্ধ ছিল।

ইসলাম অবাস্তব কোনো ধর্ম না, এলিয়েনদের জন্য আসা ধর্ম না। এটা মানুষের জন্য আসা ধর্ম। এবং মানুষের সাধ্যের বাইরে এখানে কিছু করতে বলা হয়নি।

তথ্যসূত্র: হারাম শরিফের ওয়েবসাইট, মিডল ইস্ট আই, টিআরটি, দ্য নিউ আরব।

1-hajj

The Hajj (Pilgrimage). The Quranic Way. Just like all other practices of Islam, all the rites of Hajj that are decreed by God Almighty are fully listed in the Quran.
The Duration of Hajj 2:197. The Hajj is during the known months, so whoever executes the Hajj in them shall refrain from sexual intercourse, wickedness and …
Stoning during Hajj. Question: Salaam alaykum, my question is related to the stoning ritual during Hajj. As this is a minor detail of Hajj could you explain why …
I have been content to follow the Quran alone in which I found all the answers, however, I was told that the Quran does not tell us which are the sacred months of …
http://www.quran-islam.org/…hajj/stoning_tragedies_(P1321).html
The Stoning Tragedies during Hajj. Too often, we hear about fatal accidents during Hajj at the site of the stoning that claim the lives of many pilgrims while they …
http://www.quran-islam.org/…/the_months_for_hajj_in_quran_%28P1375%29. html
Can you please clarify the correct months for Hajj, which God calls Hurum? I have been told that they are the 9th, 10th, 11th and 12th months of the Islamic …
Just like observing Hajj more than once, we can also observe a Salat, such as Salat Al-Fajr (for example), more than once. If we do so, it would indeed be a case …
Is there a minimum number of days in which we can observe the Hajj? The Imam at my masjid told me that it must not be less than 7 days, is that correct? Reply:.
Due to the fact that there is no legislation in the Quran for the stoning ritual which Muslims practice during their Hajj, the Quranic word “rajeem” (in the above …
I have been told that Hajj, and specifically the visit to mount Arafat, cannot be observed if one is on his/her own. They quote 2:198 where God says “and when  …