“হযরত ঈছা ও ইমাম মেহদীর আগমন”

source: https://www.facebook.com/groups/1805246912824708/permalink/3106832825999437/

“হযরত ঈছা ও ইমাম মেহদীর আগমন”
———————————————-
👇
আদিকাল থেকে শিয়া-সুন্নী ইত্যাদি দল উপ-দলগুলো বিশ্বাস করে আসছে যে ঈছার মৃত্যু হয়নি বরং আল্লাহ তাকে আকাশে তুলে নিয়েছেন! কেয়ামতের পূর্বক্ষণে ঈছা ও ইমাম মেহদীকে যথাক্রমে কাবা মসজিদ ও সিরিয়ার দামেস্কের অমুক মসজিদের ছাদে আল্লাহ অবতরণ করাবেন ৷ অতঃপর ছাদ থেকে মই ব্যতিরেকে মাটিতে অবতরণ করতে পারবেন না ৷ [মইটি অবশ্য কোনো আরবি রাজা-বাদশাগণ আজও তৈরি করে রাখেন নি] অতঃপর ইয়াজুজ-মাজুজ আসবেন; দাজ্জাল আসবেন! আম্মাবাদ (অতঃপর) অদ্ভুত কিম্বাকার একটি জন্তুও নাজিল হবেন ৷ কোরআন দেখুন: 👉সুরা২৭আয়াত৮২👈 ৷
অতঃপর মাত্র ঐ দুজনেই ইয়াজুজ-মাজুজ, দাজ্জালসহ অদ্ভুত কিম্ভাকার পশুটিও হত্যা করে সারা বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে আবার হঠাৎ গায়েব হয়ে যাবেন! অতঃপর সেই কথিত কেয়ামত সংগঠিত হবে ৷ এতদসম্বন্ধে ১৪ থেকে ৭৩টি হাদিছ বর্ণিত আছে ৷[দ্র: বোখারী, ৪র্থ খণ্ড. ৭ম সংস্করণ, আঃ হক, পৃ:২৮০; হামিদিয়া লাইব্রেরী] ৷ এমনকি সংক্ষিপ্ত ইসলামি বিশ্বকোষের “মাহদি” অধ্যায় প্রচুর বয়ান আছে ৷ [দ্র: সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ; ২য় খণ্ড. ২য় সংস্করণ, পৃ:১৮৪, ই. ফা.]
কথিত হয় সমস্ত নবির তুলনায় ইমাম মেহদির জ্ঞান, গুণ ও শক্তি সাহস অধিক থাকবে, কিন্তু নবি-রাছুল হবেন না! ইত্যাদি অবাস্তব কল্প-কাহিনী প্রচার করে সরলপ্রাণ জনসাধারণকে বিভ্রান্তের মায়াজালে বন্দি করে রেখেছেন ৷ এসমস্ত আরব্য ঔপন্যাসিক ধ্যান, ধারণা ও কাল্পনিক বিশ্বাসগুলো প্রত্যেকের দু’নম্বরী কিতাবের ওপর নির্ভরশীল, পবিত্র কোরআন বা মূলগ্রন্থের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বরং ঘোর বিরোধ ৷
কাল্পনিক ইমাম মেহদীকে সকল নবি-রাছুলদের চেয়েও বড় একটা কিছু স্বীকার করেও নবি-রাছুলদের মর্যাদা বা তাদের সর্দার আখ্যা দিতে শরিয়ত কেন রাজি নন! তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে শরিয়ত সম্পূর্ণ অসমর্থ ৷
“ইমাম মেহদি” অর্থ সত্যের নেতা, সত্যের সাধক, ধারক ও বাহক অর্থাৎ সংস্কারক ৷ কোরআনের পাতায় পাতায় সাক্ষি আছে যে, প্রত্যেক নবি-রাছুলগণই ইমাম, ইমাম মেহদি এবং কেউই আকাশ থেকে বজ্র-শিলার মত ধপাস করে পড়েননি! এমনকি ঈছা এবং নবিদের সরদার (?) মোহাম্মদকেও আল্লাহর সুন্নত বা বিধান মোতাবেক প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী মায়ের পেট থেকেই আসতে হয়েছে ৷
বিষয়টি বিশদ আলোচনায় না গিয়ে দু’টি কিশোর প্রশ্নে পাঠকদের ভাবিয়ে তুলতে পারে যে, ঈছা ও ইমাম মেহদি এসে প্রতিটি মানুষকে পাক-পবিত্র তথা খাঁটি মোসলমান তথা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার পর পরই সমূহ আপদ-বিপদ নিয়ে কিয়ামত ঘটার যুক্তি কী? তাদের সম্মিলিত কর্মফল নিষ্ফল করার আল্লাহর অভিপ্রায় কী?
ডারউইনের ইভলিউসন থিওরি এবং কোরআনের বিবর্তন বাদ প্রণালী ছাড়া সরাসরি মরা মানুষ দু’দশ দিন বা হাজার হাজার বৎসর পরে অবিকল সেই ব্যক্তিটিই পুনরায় ফিরে এসেছে অথবা আকাশ থেকে মানুষ বা জীব পতনের এমন কোনো ঘটনা আদমের পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত ঘটেনি আর ঘটবে বলেও কোথাও দলিল-প্রমাণ নেই ৷ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এমন একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বা ঘটবেই! অথচ কোরআনে তার তিলমাত্র ইঙ্গিত-ইসারা নেই ৷ সুতরাং বিষয়টি যে বা যারা রচনা করেছেন এবং এখনও যারা বিশ্বাস করছেন তারা সকলেই আমাদের দৃষ্টিতে জবরদস্ত আলেম এবং বেস-ভূষায় মুমীন-মুসলমান হলেও কোরআনের সাক্ষ্য-প্রমাণে এরা অন্ধ, কেকুফ বটে! যারা কোরআন-কেতাব বহির্ভূত গাঁজাখোরি গপ্প রচনা করেন তাদের স্থান কোথায় তা উল্লিখিত আয়াতে পুনঃ দেখে নিশ্চিত হওয়া জরুরি!
👉সুরা২আয়াত৭৮; সুরা৩আয়াত৭৮, ১৭১; সুরা৫আয়াত৪৪-৪৯; সুরা৬আয়াত১১৬👈
ঈছা যে মরেননি এই মতবাদের স্বপক্ষে নিম্ন প্রদত্ত আয়াতের একটি মাত্র খণ্ডিত অংশ উত্থাপন করা হয়, আর তা হল “রাফেয়া” বা (উপরে) তুলে নেয়া ৷

১) 👉সুরা৩আয়াত৫৫👈👉 অর্থ: স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, “হে ঈছা! আমি তোমার (আয়ু) কাল পূর্ণ করছি এবং আমার নিকট তোমাকে “তুলিয়ে” নিতেছি [আরবি “রাফায়া”র অর্থ: সুউচ্চ, উপস্থাপক, মামলা-মোকাদ্দমা উপস্থাপনকারী, তোলা৷] এবং যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করছে তাদের মধ্য থেকে তোমাকে “মুক্ত” [আরবি “তাওয়াফফি” অর্থ: পূর্ণ পাওয়ানা উসুল করে নেয়া, মৃত্যু দান করা৷] করছি ৷ আর তোমার অনুসারিগণকে কিয়ামত পর্যন্ত কাফিরদের ওপর প্রাধান্য দিতেছি, অতঃপর আমার কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন [আরবি “রাজউন” অর্থ: ফিরিয়ে দেয়া, প্রত্যাবর্তন] ৷ তার পর যে বিষয় তোমাদের মতান্তর ঘটছে আমি তা মীমাংসা করে দিব৷৷
পূর্ণ আয়াতটির প্রতিটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ এবং সমার্থবোধক বিধায় গভীরভাবে লক্ষণীয় ৷ যেমন: “কাল পূর্ণ বা সময় শেষ” অর্থই মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসা ৷ মুক্ত করছি মানে দেহ থেকে আত্মার মুক্তি বা মৃত্যুর লক্ষণ ৷ “তুলে নেয়া” ও “প্রত্যাবর্তন” সরাসরি সমার্থবোধক ৷ “প্রত্যাবর্তন” শব্দটি বহুবার কোরআনে উল্লেখ আছে যে, সকলেই আল্লাহ থেকে আসছে এবং আল্লাহতেই প্রত্যাবর্তন করছে/করবে ৷

পূর্বে আলোচিত হয়েছে যে, আকাশ থেকে ধপাস করে মানুষ পতনের ইতিহাস সৃষ্টি থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দলিল-প্রমাণ যেমন নেই! অনুরূপ দুনিয়া থেকে টপাস করে বা জ্যাতা-মরা মানুষকে আকাশে তুলে নেয়ারও কোনো আলামতও আয়াতটিতে নেই, দুনিয়ায় ঘটেনি কিন্তু উপগ্রন্থগুলোতে আছে ৷
আয়াতটিতে আর একটি গুরুতর বিষয় লক্ষণীয়, তা হল ঈছার অনুসারীগণকে কিয়ামত পর্যন্ত জয়যুক্ত করে রাখা আল্লাহর কসম! সুতরাং “খ্রস্টানগণকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করো না, বিশ্বাস করো না,” “যারা বলে ‘আমরা খৃস্টান’ তারাই মুসলিমদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু,” ইহুদিগণ শ্রেষ্ঠ জাতি, ‘ইহুদিগণ মুসলমানদের ঘোর শত্রু,’ ‘তাদের মধ্যেও জ্ঞানী-গুণী আছে,’ “তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি” ইত্যাদি আয়াতগুলোর প্রচলিত অনুবাদ উপেক্ষা করে, স্থান-কাল ও পাত্র ভেদে বাক্যগুলোর সারকথার সমন্বয় সাধন, নিরপেক্ষ জ্ঞানের আলোকে বিচার-বিবেচনা করলে যে তত্ত্ব উদ্ঘাটিত হবে তা নিঃসন্দেহে সমগ্র মানবকল্যাণের উপকার আসবেই ৷
আরও একটি আয়াত শরিয়তের পক্ষে উত্থাপন করেন:
২) 👉সুরা৪আয়াত১৫৭-১৫৯👈👉 অর্থ:- আর আমরা আল্লাহর রাছুল মারিয়ম-তনয় ঈছা মসীহকে হত্যা করেছি- অথচ তারা তাকে হত্যা করেনি, ক্রুশবিদ্ধও করেনি; কিন্তু তাদের এরূপ বিভ্রম হয়েছিল ৷ যারা তার সম্বন্ধে মতভেদ করেছিল তারা নিশ্চয় এই সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এই সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাদের কোনো জ্ঞানই ছিল না ৷ এটা নিশ্চিত যে, তাকে হত্যা করেনি ৷ না, আল্লাহ তাকে তার নিকট তুলে [রাফায়া] নিয়েছেন, এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়৷৷
উল্লিখিত আয়াতটিতে প্রচলিত বিশ্বাস সমর্থনের কোনোই লক্ষণ নেই তো বটেই বরং সাধারণ মৃত্যুর লক্ষণই স্পষ্ট ৷ কিন্তু তাকে “হত্যা করেনি, ক্রুশবিদ্ধও করেনি” সুতরাং গেল কোথায়! এই “গেল কোথায়” বাক্যটিই ঈছার আকাশে তোলার বিশ্বাসের ইন্ধন জুগিয়েছে! ইন্ধন যুগিয়েছে আদম-হাওয়া দুনিয়ায় নিক্ষিপ্ত হওয়ার রূপক অনুবাদে ৷ আরো ইন্ধন জুগিয়েছে খৃস্টানদের ভ্রান্ত ধ্যানধারণা যে, কতিপয় ভক্ত ক্রুসে মৃত ঈছাকে উড়ে যেতে দেখেছেন, দু’দিন পরে ফিরে এসে সাক্ষাতও করেছেন ইত্যাদি ৷ তবুও কল্প-কাহিনীগুলোতে কিয়ামতের আগে ঈছার ফিরে আসার কোনোই লক্ষণ নেই৷৷

👉 ইমাম মেহদি বিশ্বাসের সূচনা 👈
———————————————-

👇
মহানবির ওফাতের পর শিয়াগণ হযরত আলীকে নবির উত্তরাধিকারী ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেন এবং পরম্পরায় ঐ উত্তরাধিকার সুত্রে প্রধানত ইমামের বড় ছেলে ইমাম পদের অধিকারী নীতিতে বিশ্বাসী ৷ এভাবে ৬ষ্ঠ ইমাম পর্যন্ত অবিভক্ত শিয়া সম্প্রদায়ের “মেহদী” নামের পরবর্তী হবু ৭ম ইমাম কিশোর বয়সে হঠাৎ হারিয়ে যান বা গায়েব হয়ে যান ৷ বিশেষ করে ৬ষ্ঠ ইমাম বিশ্বাসী শিয়াদের উপদল আজও তার ফিরে আসার প্রতীক্ষায় আছেন ৷ কারণ তাদের বিশ্বাস “ইমাম” আল্লাহ প্রেরিত; তাকে অন্যায়ভাবে কেউ মারতে পারে না, অকাল মৃত্যু, খুন, গুম-গায়েবও করতে পারে না! সুতরাং আল্লাহই তাকে গায়েবি হেফাজতে রেখেছেন! কেয়ামতের পূর্বে তাকে প্রকাশ করাবেন! দলের ওপর জনসাধারণের বিশ্বাস অর্জনে কতিপয় নেতাদের ঐ কূট-কৌশলে ধীরে ধীরে প্রায় সমগ্র শিয়া-সুন্নীগণ প্রভাবিত হয়েছেন ৷
প্রকাশ যে, মুসলমান কাফেরদের হাতে শহীদ হওয়া হযরত আলীর লাশ মোবারক কোথায় গেল! কবর কোথায়! তা শিয়া-সুন্নী কেউই অকাট্য প্রমাণ দিয়ে বলতে পারেন না ৷ হিটলারের অন্তর্ধান, মাত্র সে দিনের নেতাজী সুভাস বোসের গায়েব আজও রহস্যময় ও বিত্কিত! উপরন্তু হযরত মুহাম্মদের বংশসহ শিয়াদের অধিকাংশ ইমামগণই মুসলমান কাফের-মোনাফেকদের হাতে খুন বা শহীদ হওয়া সত্ত্বেও ঐ শিশুটি জনাব মেহদী, অপ্রাপ্তবয়স্ক হবু ইমামের হারিয়ে যাওয়া, বাঘ-ভাল্লুকে খেয়ে ফেলে, ডুবে মরা বা খুন-গুম হয়ে যাওয়াটা তারা আজও অজ্ঞাত কারণে বিশ্বাস করতে পারছেন না ৷ বিশ্বাস করেন আল্লাহ গায়েবে হেফাযত করেছেন, সময়মতো কেয়ামতের পূর্বে ধপাস করে নাজিল করাবেন!
এখানেই বলে রাখা ভালো যে, হযরত আলীর লাশ ও কবর মোবারক সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন কথিত আছে যে, তার শাহদতের পরে লাশ কোথায় রাখা হবে এ নিয়ে শত্রু-মিত্রদের মধ্যে মহানবি ও হযরত ওসমানের লাশের মতোই ভয় ও ঘোর সংশয় ঘটে! অতঃপর সিদ্ধান্ত হয় যে, লাশটি উটের পিঠে চড়িয়ে দেয়া হবে এবং উটটি যেখানে থামবে ঠিক সেখানেই লাশ দাফন করা হবে ৷ সে মতে লাশ উঠিয়ে দেয়া হল উটের পিঠে; কথিত হয় উটটি অবিরাম হাঁটতে হাঁটতে আফগানিস্থানের কোনো এক স্থানে এসে থামকে দাড়ায় এবং তৎক্ষণাৎ সেখানেই মারা যায় ৷ অগত্যা সেখানেই তাকে কবর দেয়া হয় ৷
এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণার্থে আর একটি ঘটনা যুক্ত আছে যে, কোনো এক আফগান রাজা শিকার করতে গিয়ে একটি হরিণকে তীর বিদ্ধ করে; তীর বিদ্ধ হরিণটি দৌড়াতে দৌড়াতে কোনো এক অপরিচিত মাজারের পাশে আশ্রয় লয়, রাজা ঘোড়া হাঁকিয়ে হরিণটি ধরার জন্য অনুসরণ করে; কিন্তু প্রায় কাছে গিয়ে ঘোড়া আর সামনে অগ্রসর হয় না; বহু চেষ্টা করেও ঘোড়াকে এক পা’ও সামনে হটাতে পারেনি ৷ রাজা হতভম্ব! অতঃপর রাজা তার সহচরদের ডেকে হরিণটি উদ্ধার করতে নির্দেশ দেন কিন্তু তাদের ঘোড়াও অবিকল সম দূরত্বে সামনে আর অগ্রসর হয়ই না ৷ সকলেই হতভম্ব! রাজা ভাবলেন নিশ্চিয়ই কোনো বুজুর্গ লোকের মাজার হবে ৷ অতঃপর তিনি অজস্র অর্থ খরচে বিশাল এলাকা জুড়ে মাজারসংলগ্ন একটি দরগাহসহ মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ সেই মাজার শরিফের নামানুসারে আফগানিস্থানের ঐ জিলাটির নামকরণ করা হয় “মাজার শরিফ”; এটাই বিশেষ করে আফগানদের কাছে আলীর মাজার নামে খ্যাত; দৈনিক সেখানে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন হয় ৷[তথ্যসূত্র: ইউ এন ও’র অধীনে সেখানেই কর্মরত মেজর যুগভেরী (অব.) তথ্যটি পাঠিয়েছেন৷]
হযরত আলীর মাজার সম্পর্কে কট্রর সুন্নীদের অদ্ভুত বিশ্বাস যে, আলীর মাজার উটের পিঠে! ছোটবেলা হুজুরের কাছে উদ্ভট গল্প শোনো যে, দুই কুঁজোধারী উটের একটি কুজো আলীর গায়েবি মাজারের অলৌকিক নমুনা! ঘটনাটি শরিয়তী পুস্তকাদিতেও পাওয়া অসম্ভব নয় ৷ তবে সুন্নী ঐতিহাসিকদের মতে ফুরাত নদীর বাঁধের পার্শে সমাহিত করা হয়েছিল যা ফুরাত নদীতেই বিলীন হয়ে গেছে ৷
উপমহাদেশে ইরান কর্তৃক ধর্মপ্রচার ও প্রতিষ্ঠাকল্পে ইমামিয়াতে অবিশ্বাসী সুন্নীগণ নামাজ-রোজা, ফেরেস্তা, বেহেস্ত-দোযখ ইত্যাদি ফারসি শব্দের মতো শিয়াদের ইমাম মেহদী মতবাদে প্রভাবিত হয়েছেন ৷ প্রকৃতপক্ষে ঐ দু’টো বিশ্বাসই কোরআন-বহির্ভূত ভাবাবেগ, উদ্ভট কল্পনা বা প্রলাপও বলা যায় ৷
আহম্মদিয়াগণ বিশ্বাস করেন যে, ঈছা শূল থেকে পালিয়ে কাশ্মীরে আত্মগোপন করেন এবং সেখানেই তার প্রাকৃতিক মৃত্যু হয় ৷ তার কবর ও রক্তাক্ত জামা তারা দৃঢ়তার সঙ্গে সনাক্ত করেছেন বলেও দাবি করেন ৷ কিন্তু কথা হল: কোরআনে দেখুন: 👉সুরা৪আয়াত১৫৭-১৫৯👈 আয়াত মোতাবেক “হত্যাও করেনি, ক্রুশবিদ্ধও করেনি,” সুতরাং ঈছার রক্তমাখা জামার দলিল-প্রমাণ কোরআন-বিরুদ্ধ ও কাল্পনিক বলেই মনে হয় ৷
২ নং আয়াতের অনুসরণে ঈছার মৃত্যু কোথায়! কিভাবে! এ বিষয় অতীত কালে যেমন বিভ্রম, সংশয় ছিল তেমনই মির্জা গোলাম আহম্মদসহ সকল জাতি আজও সেই সংশয়, বিভ্রান্তিতে আছেন এবং থাকবেন!! কোরআন বলছে মীমাংসা হবে স্ব-স্ব মৃত্যুক্ষণে বা উত্থানের দিন ৷ তবে তার যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল তা নিম্ন আয়াতটি জ্বলন্ত সাক্ষি ৷ কিন্তু কোনো দল বা জাতিরই আয়াতটি ওপর ঈমান নেই, দেখুন:
৩) 👉সুরা৫আয়াত১১৭👈👉 অর্থ: কিন্তু যখন তুমি আমাকে (ঈছা) “তুলে” নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই সর্ব বিষয় সাক্ষি৷৷[ওফাত শব্দটির অর্থ “মৃত্যু” হিসেবেই সুঠাম প্রতিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও ঈছার ওফাত বা স্বাভাবিক মৃত্যু অবিশ্বাস বা অস্বীকার করার কোনোই যুক্তি নেই !]
৪) 👉সুরা৫আয়াত৭৫👈👉 অর্থ: মরিয়ম-তনয় মসিহ্ তো কেবল একজন রাছুল মাত্র; তার পূর্বে (তার মতোই) বহু রাছুল গত হয়েছেন (মারা গেছেন) এবং তার মাতা সত্যনিষ্ঠ ছিল ৷ তারা উভয়ে খাদ্যাহার করতেন (তারা মানুষ ছিলেন) দেখ, আয়াতগুলো কিরূপ বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ বর্ণনা করি; অথচ তারা সত্য-বিমুখ হয়৷৷
৫) 👉সুরা৩আয়াত১৪৪👈👉 অর্থ: মুহাম্মদ একজন রাছুল মাত্র; তার পূর্বে (তার মত) বহু রাছুল গত হয়েছে (ঈছাও তাদের মধ্যে একজন)৷ সুতরাং যদি সে মারা যায় বা সে নিহত হয় তবে তোমরা কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে-?৷৷
সর্বোপরি নিম্নবর্ণিত আয়াতের সকল অনুবাদে হযরত মুহাম্মদকে “তুলে নেয়া” অর্থে সাধারণ মৃত্যু এবং প্রকাশ্য মৃত্যুই সপ্রমাণিত; এমনকি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন “ওফাতের” অনুবাদ সরাসরি “মৃত্যু ঘটাই” করেছে ৷ লক্ষণীয় বিষয় যে, সেখানে আরবি শব্দটি “রাফায়া” বা “ওফাত” নেই আছে মাত্র “যাহাবা” যার সাধারণ অর্থ: “চলে যাওয়া” বুঝায় ৷ কয়েকটি অনুবাদ দেখুন:
ক) আমি যদি “তোমার মৃত্যু ঘটাই” তবু আমি তাদের শাস্তি দিব৷৷ 👉সুরা৪৩আয়াত৪১👈 ইসলামিক ফাউন্ডেশন৷
খ) আমি “তোমাকে সরিয়ে নিলেও” ওদের ওপর প্রতিশোধ নিব৷৷ 👉সুরা৪৩আয়াত৪১👈 মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ৷
উপরে দলিল-প্রমাণ সাপেক্ষে বিশদ আলোচনার পরেও যারা হাদিছের দোহাই দিয়ে প্রচলিত মতবাদে অটল আছেন! তারা শেষবারের মতো নিম্ন বর্ণিত আয়াতের আলোকে স্ব স্ব বিশ্বাস পরখ করে নিতে পারেন ৷
ক্বুল্লু নাফসীন জায়েকাতুল মাওতে= জীব মাত্রই মৃত্যুস্বাদ গ্রহণ করে/জীব মাত্রই মরণশীল= Every Soul Shall Have A Test Of Death. 👈👉সুরা৩আয়াত১৮৫👈

পবিত্র কোরআনের ৯৮ নির্দেশনাঃ খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

MD Hasan fbfdbd

পবিত্র কোরআনের ৯৮ নির্দেশনাঃ খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯)
০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।
০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)
০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)
০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)
০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)
০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)
০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)
০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)
১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)
১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)
১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন। (০২ঃ ২৮২)
১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। (০২ঃ ১৭০)
১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন। (২ঃ ২৮০)
১৫. কখনো সুদের সাথে জড়িত হবেন না। (০২ঃ ২৭৫)
১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবেন না। (০২ঃ১৮৮)
১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২.১৭৭)
১৮. আস্থা রাখুন (০২ঃ ২৮৩)
১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না। (২:৪২)
২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন। (০৪ঃ ৫৮)
২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান। (০৪: ১৩৫)
২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে বিতরণ করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার আদায় করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৪. এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না। (০৪.১০)
২৫. এতিমদের রক্ষা করুন। (০২.২২০)
২৬. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না। (০৪ঃ ২৯)
২৭. মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করুন। (৪৯ঃ ০৯)
২৮. সন্দেহ এড়িয়ে চলুন। (৪৯ঃ ১২)
২৯. গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না, কুৎসা রটাবেন না। (৪৯ঃ ১২)
৩০. আল্লাহর বিধানুসারে বিচার করুন। (০৫ঃ ৪৫)
৩১. সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন। (৫৭ঃ০৭)
৩২.দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান। (১০৭ঃ ০৩)
৩৩. অভাবীকে অভাব পূরুনের উপায় বাতলে দিন। (০২ঃ ২৭৩)
৩৪. অপব্যয় করবেন না। (১৭ঃ ২৯)
৩৫. খোঁটা দিয়ে দানকে নষ্ট করে দিবেন না। (০২ঃ ২৬৪)
৩৬. অতিথিকে সম্মান করুন। (৫১ঃ ২৬)
৩৭. কেবলমাত্র নিজে আমল করে তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যকে আমল করার আদেশ দিবেন। (০২ঃ৪৪)
৩৮. কাউকে গালাগালি করবেন না। (০২ঃ ৬০)
৩৯. লোকজনকে মসজিদে যেতে বাধা দিবেন না। (০২ঃ ১৪৪)
৪০. কেবল তাদের সাথেই লড়াই করুন, যারা আপনার সাথে লড়াই করে (০২ঃ ১৯০)
৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার মেনে চলুন। (০২ঃ ১৯১)
৪২. যুদ্ধেংদেহী হবেন না। (০৮ঃ১৫)
৪৩. দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। (০২ঃ ২৫৬)
৪৪. সকল নবির উপর ঈমান আনুন। (২: ২৮৫)
৪৫. স্ত্রীর মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন না। (০২ঃ ২২২)
৪৬. আপনার শিশুকে পূর্ণ দুবছর বুকের দুধ খাওয়ান। (০২ঃ ২৩৩)
৪৭. অননুমোদিত উপায়ে যৌন মিলন করবেন না। (১৭ঃ ৩২)
৪৮. যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন। (০২ঃ ২৪৭)
৪৯. কোনো ব্যক্তিকে সামর্থ্যের বাহিরে বেশি বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। (০২ঃ ২৮৬)
৫০. বিভক্তি উসকে দিবেন না। (০৩ঃ ১০৩)
৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন (৩: ১৯১)
৫২. আমল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের সমান পুরষ্কার পাবেন; তাই আমল করুন। (৩: ১৯৫)
৫৩. ‘মাহরাম’ আত্মীয়কে বিবাহ করবেন না। (০৪ঃ ২৩)
৫৪. পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন। (০৪ঃ ৩৪)
৫৫. কৃপণ হবেন না । (০৪ঃ ৩৭)
৫৬. অন্তরে পরশ্রীকাতরতা পুষে রাখবেন না। (০৪ঃ ৫৪)
৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না। (০৪ঃ ৯২)
৫৮. প্রতারণার পক্ষে ওকালতি করবেন না। (০৪ঃ ১০৫)
৫৯. পাপ কাজে এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না। (০৫ঃ০২)
৬০. সৎ কাজে সহযোগিতা করুন। (০৫ঃ ০২)
৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোনোকিছু সত্য বলে গ্রহণ করবেন না। ( ০৬ঃ ১১৬)
৬২. ন্যায়বিচার করুন। (০৫ঃ ০৮)
৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। (০৫ঃ ৩৮)
৬৪. পাপ ও বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন (০৫ঃ ৬৩)
৬৫. মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকরের মাংস ভক্ষণ থেকে দূরে থাকুন। (০৫ঃ ০৩)
৬৬. মাদক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (৫:৯০)
৬৭. জুয়া খেলবেন না। (০৫ঃ ৯০)
৬৮. অন্য ধর্মের দেবদেবীদের অবমাননা করবেন না। (০৬ঃ ১০৮)
৬৯. ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দ্যেশ্যে মাপে কম দিবেন না। (০৬ঃ ১৫২)
৭০. খান এবং পান করুন; তবে অপচয় করবেন না। (০৭ঃ ৩১)
৭১. নামাজের সময় ভালো পোশাক পরিধান করুন। (০৭ঃ ৩১)
৭২. আশ্রয়প্রার্থীকে সুরক্ষা দিন, সহযোগিতা করুন। (০৯ঃ ০৬)
৭৩. বিশুদ্ধতাকে আঁকড়ে ধরুন। (০৯ঃ ১০৮)
৭৪. আল্লাহর রহমতের আশা কখনই পরিত্যাগ করবেন না। (১২ঃ ৮৭)
৭৫. অজ্ঞতাবশত ভুল করলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করুন। ( ১৬ঃ ১১৯)
৭৬. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করুন হিকমা ও উত্তমভাবে। (১৬ঃ ১২৫)
৭৭. অন্যের পাপের বোঝা কাউকে বইতে হবে না, বিশ্বাস করুন। (১৭ঃ ১৫)
৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না। (১৭ঃ ৩১)
৭৯. যে বিষয়ে জ্ঞান আপনার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে কারও পিছু লাগবেন না। (১৭ঃ ৩৬)
৮০. নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন। (২৩ঃ ০৩)
৮১. অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ২৭)
৮২. যারা আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, এই বিশ্বাস রাখুন। (২৪:৫৫)
৮৩. জমিনে নম্রভাবে চলাফেরা করুন। (২৫ঃ ৬৩)
৮৪. পৃথিবীতে আপনার অংশকে অবহেলা করবেন না। (২৮ঃ ৭৭)
৮৫. আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকবেন না। (২৮ঃ ৮৮)
৮৬. সমকামিতার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন না। (২৯ঃ ২৯)
৮৭. সৎ কাজের আদেশ দিন, অসৎ কাজে বাধা দিন। (৩১ঃ ১৭)
৮৮. জমিনের উপর দম্ভভরে ঘুরে বেড়াবেন না। (৩১ঃ ১৮)
৮৯. মহিলারা তাদের জাকজমকপূর্ণ পোষাক প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (৩৩ঃ ৩৩)
৯০. আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, বিশ্বাস রাখুন। (৩৯ঃ ৫৩)
৯১. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না। (৩৯ঃ ৫৩)
৯২. ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন। (৪১ঃ ৩৪)
৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। (৪২ঃ ১৩)
৯৪. সর্বোত্তম মানুষ হওয়ার লড়াই করুন। (৪৯ঃ ১৩)
৯৫. বৈরাগ্যবাদী হবেন না। ( ৫৭ঃ ২৭)
৯৬. জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপৃত হোন। ( ৫৮ঃ ১১)
৯৭. অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন। (৬০ঃ ০৮)
৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান। (৬৪ঃ ১৬)

এইসকল প্রতিটা আইন নিজের মধ্যে ধারন করাই হলো সালাত!! আর সালাতী হতে পারলেই হবেন যাকাহ বা পরিশুদ্ধ!! এবং আপনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন ৷