Salat as Quran.Bn

সালাত বিষয়ক আলোচনা (পর্ব ১)

Link bottom.

  • শওকত জাওহার
    হাদীসপন্থীরা সাধারণত বলে থাকে যে, আল কুরআনে সালাত সম্পর্কে বিস্তারিত নেই। তাদের কথাটি আল কুরআনবিরুদ্ধ এবং তা যে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় তা বিবেকবুদ্ধি কাজে লাগালে যে কেউ অত্যন্ত সহজেই বুঝতে পারবে। আল কুরআন অনুযায়ী আল কুরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ ও যথেষ্ট। সুতরাং সালাত বিষয়েও আল কুরআনে যা-ই তথ্য আছে তা-ই হচ্ছে সম্পূর্ণ ও যথেষ্ট। সালাত বিষয়ে যে তথ্যটি কুরআনভিত্তিক নয়, সেটিকে এর একটি তথ্য সাব্যস্ত করে পরে তা কুরআনে নেই, সুতরাং কুরআনে সালাতের তথ্য অসম্পূর্ণ- এ কথা বলা যেতে পারে না। বরং যে তথ্য কুরআনভিত্তিক নয়, তা গ্রহণযোগ্য তথ্যই নয়।
    সালাত বিষয়ে আল কুরআনে থাকা তথ্যসমূহ উপলব্ধির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, আমরা যারা শুধুমাত্র আল কুরআনকে দ্বীনের দলীল হিসেবে সাব্যস্ত করে মু’মিন মুসলিম হতে পেরেছি, আমাদের মধ্যেও উপলব্ধির বিভিন্নতা রয়েছে। অথচ একই পয়েন্টে দুটি ভিন্নধর্মী উপলব্ধি সঠিক হতে পারে না। সুতরাং আমাদের উচিত হচ্ছে সালাত বিষয়ক আমাদের আপাত উপলব্ধি শেয়ার করা যাতে আমরা আলোচনাক্রমে আল কুরআনের আয়াতসমূহের বক্তব্যকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হতে পারে। বিভিন্ন উপলব্ধিকে কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পরিশীলিত করে নিয়ে ক্রমে ক্রমে সকল আয়াতের সমন্বিত অধ্যয়নভিত্তিক যথার্থ উপলব্ধিতে উপনীত হতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
    আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং তিনি যা বলেছেন তা যথাযথভাবে জানার ও মানার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের কোন উপলব্ধি উপস্থাপনা যদি পরবর্তীতে কোন আয়াতের সাথে সামঞ্জস্যশীল নয় হিসেবে প্রমাণিত হয়, তবে আমরা নিজেদের উপস্থাপন করা ঐ আপাত উপলব্ধিকে সংশোধন করে নিতে হবে। এ পোস্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল কুরআনের আয়াতসমূহের সমন্বিত অধ্যয়নের মাধ্যমে সালাতের বিষয়ে একটি যথাযথ উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার প্রয়াসে এ বিষয়ে আমার উপলব্ধি শেয়ার করা।
    ইতোপূর্বে সালাত শব্দ ধারণকারী আয়াতসমূহের অনুবাদ নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টটির লিংক : https://www.facebook.com/groups/quranstudyforum/permalink/1053883698347237/
    আল কুরআনে সালাত শব্দের অর্থ ও সংজ্ঞা :
    আল কুরআনে দেখা যায়, সালাত করা, সালাত কায়েম করা, সালাত কায়েমের জন্য পরিচ্ছন্ন হওয়া, সালাত হেফাযত করা, সালাতের উপর দায়েম (প্রতিষ্ঠিত) থাকা, সালাতের আমর ও নাহি (আদেশ ও নিষেধ), কিয়ামের (দাঁড়ানোর) মাধ্যমে সালাত শুরু ও সিজদার (প্রণিপাতের) মাধ্যমে শেষ করা, ইয়াওমুল জুমআতে (জমায়েতের দিনে) সালাতের জন্য নিদা/ আহবান করা, সালাতে খাশিয়ূন (বিনীত) হওয়া, সালাতের ব্যাপারে ছাহূন (উদাসীন) না হওয়া, সালাতে যা বলা হয় তা বুঝার মত মানসিক স্তরে না থাকা অবস্থায় সালাতের কাছে না যাওয়া, সালাতে মধ্যম স্বর অবলম্বন করা, ভয়ের অবস্থায় সফরে সালাতে কসর (সংক্ষিপ্ত/ অদীর্ঘায়িত) করা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়সহ রসূলের ব্যাপারে আল্লাহর ও ফেরেশতাদের সালাত, মু’মিনদের ব্যাপারে আল্লাহর ও ফেরেশতাদের সালাত, রসূলের ব্যাপারে মু’মিনদের সালাত, মু’মিনদের ব্যাপারে রসূলের সালাত, মু’মিনের মৃত্যুর পর তার ব্যাপারে অন্য মু’মিনদের সালাত ইত্যাদি প্রসঙ্গ উল্লেখিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫:৩১-৩২ আয়াতে সালাত শব্দের কুরআনিক প্রায়োগিক অর্থ নির্ণয়ের সূত্র পাওয়া যায়।
    আর (যখন) এক পায়ের গোছা আরেক পায়ের গোছার সাথে জড়িয়ে যাবে।তোমার রবের দিকেই সেদিন চালিয়ে নেয়া হবে। অথচ সে সত্যতা প্রতিপাদন করেনি এবং সালাত করেনি। কিন্তু সে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে এবং বিপরীতক্রমে বা বিমুখ হয়ে ফিরে গেছে। (৭৫:২৯-৩২)
    ৭৫:৩১-৩২ আয়াতে সদ্দাক্বা ও সল্লা শব্দদ্বয়ের বিপরীত শব্দ হিসাবে যথাক্রমে কাযযাবা ও তাওয়াল্লা শব্দদ্বয় ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ সদ্দাক্বা শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে কাযযাবা এবং সল্লা শব্দের বিপরীত শব্দ হচ্ছে তাওয়াল্লা। সদ্দাকা অর্থ সত্যতা প্রতিপাদন করা,কাযযাবা অর্থ মিথ্যা সাব্যস্ত করা। তাওয়াল্লা অর্থ বিপরীতক্রমে বা বিমুখ হয়ে ফিরে যাওয়া,সুতরাং সল্লা হচ্ছে অভিমুখী হয়ে এগিয়ে আসা।অন্য কথায় বলা যায়,তাওয়াল্লা হচ্ছে প্রতিকূলতা এবং সল্লা হচ্ছে অনুকূলতা বা আনুকূল্য করা।
    প্রশ্ন হচ্ছে আয়াত দুটিতে সদ্দাকা, কাযযাবা, সল্লা ও তাওয়াল্লা বলতে কার বা কিসের প্রতি সত্যতা প্রতিপাদন করা বা মিথ্যা সাব্যস্ত করা,আনুকূল্য করা বা প্রতিকূলে যাওয়ার কথা বুঝানো হয়েছে? বর্ণনাভঙ্গি থেকে স্পষ্ট যে, এখানে গ্রহণীয় জীবনব্যবস্থার প্রতি সত্যতা প্রতিপাদন করা বা মিথ্যা সাব্যস্ত করা, আনুকূল্য করা বা প্রতিকূলে যাওয়ার কথা বুঝানো হয়েছে, কারণ কোন ব্যক্তিসত্তার প্রতি সালাতের ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিসত্তার কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
    তবে কুরআনে যেভাবে সালাতের শর্ত,সময়,পদ্ধতি ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে তাতে এ কথা পরিস্কার যে, ইহা একটি নিয়মিত আনুষ্ঠানিক ও প্রতীকী কর্মসূচী রূপে সম্পাদিতব্য। সালাতের দুটি স্তর রয়েছে, যথাঃ আনুষ্ঠানিক সালাত ও বাস্তবে সালাতের শিক্ষা বাস্তবায়ন। সুতরাং সালাত হচ্ছে গ্রহণীয় জীবনব্যবস্থার প্রতি আনুষ্ঠানিক ও বাস্তব আনুকূল্যমূলক কর্মসূচী সম্পাদন করা।
    উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, সালাত হচ্ছে কারো দিকে বা কোন ব্যবস্থার দিকে ইতিবাচকভাবে অগ্রসর হওয়া। আর তাওয়াল্লা হচ্ছে কারো থেকে বা কোন ব্যবস্থার থেকে নেতিবাচকভাবে মুখ ফিরানো বা মুখ ফিরিয়ে নেয়া। এভাবে একটি কর্মসূচি হিসাবে সালাত হচ্ছে অনুকূলতামূলক কর্মসূচী, কারো বা কোন ব্যবস্থার অনুকূলে সাড়া দেয়ার ও কর্মকান্ড সম্পাদনের (রোল প্লে/ ভূমিকা পালন করার) প্রতীকী উপস্থাপন ধরনের কর্মসূচী এবং বাস্তবেও তার দাবি পূরণ করা। যখন আলা শব্দ যোগে সালাত করার কথা বলা হয় তখন এর অর্থ হচ্ছে কারো প্রতি আনুকূল্য প্রদর্শন করা, কারো অনুকূলে অবস্থান নেয়া, কারো প্রতি সংযোগ রক্ষামূলক কর্ম সম্পাদন করা।
    ২০:১৪ আয়াত অনুযায়ী আল্লাহর যিকিরের বা স্মরণের জন্য সালাত কায়েম করতে হবে এবং ৬২:১০ আয়াত অনুযায়ী সালাত কাযা বা যথানিয়মে সম্পাদনের পরে জমিনে ছড়িয়ে পড়তে হবে,আল্লাহর ফযল বা অনুগ্রহ তালাশ করতে হবে এবং তাতে বেশি বেশি করে আল্লাহর যিকির বা স্মরণ করতে হবে। সুতরাং সালাত হচ্ছে ইসলামী জীবনব্যবস্থা অনুসরণের রোল প্লে ধরনের কর্মসূচী, তথা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে ইসলামী জীবনব্যবস্থার প্রতি আনুকূল্যমূলক আনুষ্ঠানিক বা প্রতীকীকর্মসূচী। এটি দুইভাবে হতে পারে (১) একাকী একটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেকে সঠিক জীবন ব্যবস্থার ভিত্তিতে পরিচালনার রোল প্লে করা। (২) অনেকে একত্রে একটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদেরকে সঠিক জীবন ব্যবস্থার ভিত্তিতে পরিচালনার রোল প্লে করা। এ কারণেই সালাত মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে নিষেধ করে (২৯:৪৫),এবং এ কারণেই রসূলুল্লাহশোয়ায়েবের সালাত তাকে আদেশ দেয় আল্লাহ ছাড়া অন্যদের ইবাদাত না করতে এবং স্বীয় সম্পদের ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতা না করতে (১১:৮৭)। যারা সালাতের মধ্যে খাশিয়ূন থাকে (২৩:২) এ হচ্ছে তাদের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। পক্ষান্তরে যারা সঠিকভাবে সালাত সম্পাদন করে না সেরূপ সালাতকারীদের সম্পর্কে ১০৭:৪-৭ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর যারা সালাতের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন করতে সক্ষম হয় তাদের সম্পর্কে ৭০:১৯-৩৫ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
    অনেকে সালাত ও আমলে সালেহ এক ও অভিন্ন মনে করে থাকেন যার কোন ভিত্তি আল কুরআনে নেই। ২২:৭৭-৭৮ আয়াতে ‘খায়ের’ বা ‘কল্যাণকর কাজ’ ও ‘সালাত কায়েম’ পৃথকভাবে উল্লেখিত হয়েছে। ২:১৭৭ আয়াত থেকেও বিষয়টি বুঝা যায়। যারা ভাবেন যে, সালাত বলতে ‘সঠিক জীবনব্যবস্থাকে নিবিড়ভাবে অনুসরণ’ বুঝায়,তাদের চিন্তাও সালাত সম্পর্কিত আয়াতসমূহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
    সালাত একটি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচী হওয়ার প্রমাণঃ
    কেউ কেউ বলেন যে, সালাত হচ্ছে আল্লাহর প্রতি অঙ্গিকার। আবার কেউ কেউ বলেন যে,সালাত হচ্ছে ভাল কাজ করা।
    (ক) আল্লাহর প্রতি অঙ্গিকার বা ভাল কাজ বা সঠিক জীবন ব্যবস্থাকে নিবিড়ভাবে অনুসরণের জন্য কি নির্ধারিত সময়সীমার প্রয়োজন হয়? (৪:১০৩)
    (খ) এজন্য কি ইয়াওমুল জুমআতে আহবান করার প্রয়োজন হয়? (৬২:৯)
    (গ) এর পূর্বশর্ত হিসাবে ওজু, গোসল বা তায়াম্মুমের প্রাসঙ্গিকতা আছে কি? (৫:৬) ওজু শুধুমাত্র সাধারণ পরিচ্ছন্নতা নয়। কারণ, ওজুকে সালাতের পূর্বশর্ত করা হয়েছে এবং ওজুর জন্য কয়েকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। (৫:৬)
    (ঘ) ইহা কিয়ামের মাধ্যমে শুরু ও সিজদার মাধ্যমে শেষ করার কোন অর্থ থাকতে পারে কি? (৪:১০২)
    (ঙ) ইহার সাথে কথা বলা বা মধ্যম মাত্রার স্বর অবলম্বনের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে কি? (৪:৪৩, ১৭:১১০)
    (চ) ইহাকে কসর বা সংক্ষিপ্ত করার অর্থ কী? (৪:১০১)
    (ছ) ৪:১০২ ‘যারা এখনো সালাত করেনি’ কথাটির অর্থ কি হবে?
    (জ) জুমআর সালাতের জন্য কেনাবেচা বন্ধ করে আসতে হবে।সালাত শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়তে হবে।সালাত আল্লাহর স্মরণের জন্য এবং সালাতের পর বেশি করে আল্লাহর স্মরণ করতে হবে। আনুষ্ঠানিক সালাত আমাদেরকে গুরুত্বক্রম অনুসারে আগে পরে কাজ করার এবং যখন যে কাজ করা উচিত তখন তা করার শিক্ষা দেয় (৬২:৯)
    (ঝ) নির্ধারিত সময়ে আনুষ্ঠানিক সালাত হচ্ছে একটি শৃংখলা/ ডিসিপ্লিন যা অন্য সব কাজে শৃংখলা রক্ষা করার যোগ্যতা তৈরি করে। এছাড়া এর মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদাত আনুষ্ঠানিক উপাসনা এবং ব্যাপক কর্মকান্ডে একমাত্র আল্লাহর আদেশ ও অনুমোদনকে মূল নিয়ামক হিসাবে গ্রহণ এ দুটি স্তরে বিভক্ত হয়। মানুষের জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মাথানত করার ব্যবস্থা না থাকলে সে সম্পূর্ণ অহংকারমুক্ত হয়ে সত্যিকারার্থে একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব করার যোগ্য হয় না। কারণ, মানুষ অন্যান্য সৃষ্টির মত স্বয়ংক্রিয়ভাবে আল্লাহর সামনে আত্মসমর্পণকারী নয়, বরং তার মধ্যে ইচ্ছার স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত এরূপ মানসিকতা রয়েছে যা তাকে সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপাসনা বা দাসত্ব করতে অথবাঅন্য মানুষের উপর নিজেই প্রভুত্ব করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আনুষ্ঠানিক সালাত একমাত্র আল্লাহর উপাসনা ও দাসত্ব করার মানসিক প্রস্তুতি তৈরি করে এবং এরূপ মানসিক প্রস্তুতির পরীক্ষাস্বরূপ হয়।
    (ঞ) এটি কল্যাণমূলক কাজ থেকে ভিন্ন (২২:৭৭-৭৮, ২:১৭৭)। এটি শূরা (পরামর্শ) থেকেও ভিন্ন (৪২:৩৮)। এটি দোয়া (প্রার্থনা) থেকেও ভিন্ন (৭:৫৫, ১৭:১১০)। সালাত ও যিকির দুটি ভিন্ন বিষয় (৫:৯১)।
    বিশেষ করে ৪:৪৩, ৫:৬ এবং ৪:১০১-১০২, ৫:৫৮, ৬২:৯-১১ আয়াতসমূহ অনুযায়ী সালাত একটি আনুষ্ঠানিক কাজ হওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়।
    আনুষ্ঠানিক বিষয়ের গুরুত্ব, নিছক আনুষ্ঠানিকতা মূল্যহীনতা এবং আনুষ্ঠানিক কাজ প্রতিষ্ঠার অর্থ :
    মানুষের জীবনে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। আনুষ্ঠানিক বিষয় শৃংখলা, প্রশিক্ষণ, কর্মতৎপরতার ক্ষেত্রে সম্পূরক মনস্তাত্ত্বিক উদ্দীপনা সৃষ্টি ইত্যাদির জন্য উপযোগী হয়ে থাকে। কিন্তু নিছক আনুষ্ঠানিকতা একটি মূল্যহীন বিষয়। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক বিষয় যদি অনুষ্ঠানসর্বস্বতা হয়ে পড়ে তবে তার কোন গুরুত্ব নেই। আর আনুষ্ঠানিক কাজ প্রতিষ্ঠার অর্থ কোন আনুষ্ঠানিক কাজ যথাযথভাবে করে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সে শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করা। সালাত প্রতিষ্ঠা করার অর্থও অনুরূপ। অর্থাৎ যথাযথভাবে সালাত সম্পাদন করে সালাতের শিক্ষা অনুযায়ী জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর স্মরণ অব্যাহত রেখে তদনুযায়ী কর্ম সম্পাদন করলেই সালাত কায়েম করা হয়। সালাতের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে সালাত কায়েম করা যায় না, আবার সালাতের অনুষ্ঠান করলে কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান পালনের অনুশীলন না করলে সে মুসল্লিদের জন্য দুর্ভোগ (সূরা মাউন)।
  • .

Sourse: https://m.facebook.com/groups/747667572302186?view=permalink&id=1055214684880805
.
The above link:-
The salat word found 90 times in Quran: https://m.facebook.com/groups/747667572302186?view=permalink&id=1053883698347237