Salat bn

“সালাহ” অর্থ আল্লাহর বিধি-বিধান, আদেশ, নিষেধ;
“আকিমুস সালাহ” অর্থ আল্লাহর সেই বিধি-বিধান, আদেশ, নিষেধকে ব্যক্তি থেকে বৈশ্বিক সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করা;
“যাকাহ” অর্থ পরিশুদ্ধতা অর্জন;
“আকিমুস সালাহ ওয়া আতুজ যাকাহ” অর্থ আল্লাহর বিধি-বিধান, আদেশ, নিষেধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিশুদ্ধতা অর্জন করা;
“মুসল্লী” অর্থ যিনি আল্লাহর বিধি-বিধান, আদেশ, নিষেধ প্রতিষ্ঠা করেন!

1.প্রত্যেকের জন্যই একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে, সেদিকেই সে মুখ করে। অতএব তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন আল্লাহ্‌ তোমাদের সবাইকে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।(2:148)
2.হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সৎকাজ ও আত্মসংযমে পরস্পর সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে একে অন্যের সাহায্য করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে অতি কঠোর।(5:2)
3.অতএব সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগিতা কর, আল্লাহর দিকেই সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।(5:48)
4.আর তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না। আর তোমরা সৎকর্ম কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন। (2:195)
5.তারা আল্লাহ এবং শেষ দিনে বিশ্বাস করে, সৎকাজের নির্দেশ দেয়, অসৎকাজে নিষেধ করে এবং তারা কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগিতা করে। আর তারাই পূণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত।(3:114)
5.পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোই সৎকর্ম নয়, কিন্তু সৎকর্ম হলো যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতসমূহ ও নবীগণের প্রতি বিশ্বাস করলে আর সম্পদ দান করবে তাঁর ভালবাসায় আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত প্রদান করবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করবে, অর্থ-সংকটে, দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করবে। এরাই তারা, যারা সত্যপরায়ণ এবং ধর্মভীরু।(2:177)

6.আর তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর ও তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্থ, নিকট প্রতিবেশী, দুর-প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করো নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক, অহংকারীকে।(4:36)
7.এবং আমি তাদেরকে দু’টি পথ দেখিয়েছি।কিন্তু সে তো বন্ধুর গিরিপথে প্রবেশ করেনি। আর তুমি কি জান,বন্ধুর গিরিপথটি কি? তা হচ্ছে, দাস মুক্তকরণ। অথবা খাদ্য দান করা দুর্ভিক্ষের দিনে। ইয়াতীম আত্মীয়-স্বজনকে। অথবা দারিদ্র-নিষ্পেষিত নিঃস্বকে, অতঃপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে ধৈর্য ধারণের, ও দয়া দাক্ষিণ্যের। তারাই সৌভাগ্যবান। (90:10-18)

8.না, কখনই নয়। বরং তোমরা ইয়াতীমকে সম্মান কর না, এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। আর তোমরা উত্তরাধিকারের সম্পদ সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেল, আর তোমরা ধন-সম্পদ খুবই ভালবাস, এটা মোটেই ঠিক নয়, যখন পৃথিবীকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়া হবে।(89:17-21)
9.তুমি কি তাকে দেখেছ, যে কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করে? সে তো সেই ব্যক্তি, যে ইয়াতীমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়।এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ প্রদান করে না। যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে, এবং গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোটখাট সাহায্য দানে বিরত থাকে।(107:1,2,3,6,7)
10.অপরাধীদের সম্পর্কে, কিসে তোমাদেরকে এ সাকার নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, ‘আমরা gyQjøx‡bi(mvnq¨Kvix‡`i) অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না’।আর আমরা অভাবগ্রস্থকে খাদ্য দান করতাম না,এবং আমরা অনর্থক আলাপকারীদের সাথে বেহুদা আলাপে মগ্ন থাকতাম।‘আর আমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করতাম’। আমাদের নিকট মৃত্যুর আগমন পর্যন্ত। (74:41-47)

11.তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেদিনের ভয় করে, যেদিন বিপত্তি হবে ব্যাপক। তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে। তারা বলে,‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদেরকে খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও নয়। নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের পক্ষ থেকে এক ভয়ংকর ভীতিপ্রদ দিবসের ভয় করি। পরিণামে আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবেন সে দিনের অনিষ্ট হতে এবং তাদেরকে প্ৰদান করবেন হাস্যোজ্জ্বলতা ও উৎফুল্লতা।(76:7-11)
12.আর তা থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে, যে তার সম্পদ দান করে আত্ম-শুদ্ধির উদ্দেশ্যে, এবং তার প্রতি কারো কোন অনুগ্রহের প্রতিদানে নয়। কেবল তার মহান রবের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়। সেতো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে।(92:17-21)
13.অতএব আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক দিয়ে দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও। এটি উত্তম তাদের জন্য, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায় এবং তারাই সফলকাম। (30:38)
14.আর আত্মীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরকেও, আর অপব্যয়ে অপচয় করো না।(17:26)
15.হে নবী, যখন মুমিন নারীরা তোমার কাছে এসে এই মর্মে বাইআত করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, তারা জেনে শুনে কোন অপবাদ রচনা করে রটাবে না এবং সৎকাজে তারা তোমার অবাধ্য হবে না। তখন তুমি তাদের বাইআত গ্রহণ কর এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (60:12)
16.বল, নিশ্চয় আমার রব নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা। আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালংঘন এবং কোন কিছুকে আল্লাহ্‌র শরীক করা- যার কোন সনদ তিনি নাযিল করেননি। আর আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না।(7:33)

17.বল, আস তোমাদের রব তোমাদের উপর যা নিষিদ্ধ করেছেন তোমাদেরকে তা পড়ে শোনাই, তা হচ্ছে- তোমরা তাঁর সাথে কোন শরীক করবে না, পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে, দারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদেরকে ও তাদেরকে রিযক দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক, অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যাবে না। আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তোমরা তাকে হত্যা করবে না। তিনি তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা অনুধাবন করতে পার। আর ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ছাড়া তোমরা তার সম্পত্তির ধারে-কাছেও যাবে না এবং পরিমাপ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে। আমি কাউকেও তার সাধ্যের চেয়ে বেশী ভার অর্পণ করি না। আর যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে, স্বজনের সম্পর্কে হলেও এবং আল্লাহকে দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে এভাবে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। নিশ্চয়ই এটি আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ কর এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তোমরা সাবধান হও।(6:151-153)

18.নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকার্য ও সীমালংঘন করা হতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন; যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। আর তোমরা যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর, তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূরণ করো এবং আল্লাহকে তোমাদের যামিন করে শপথ দৃঢ় করবার পর তোমরা তা ভঙ্গ করো না;তোমরা যা কর, অবশ্যই আল্লাহ তা জানেন।(16:90,91)
19.আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’। (17:23,24)
20.আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সাথে এবং প্রসব করে কষ্টের সাথে, তাকে গৰ্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস, অবশেষে যখন সে পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং চল্লিশ বছরে উপনীত হয়, তখন সে বলে, হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন, যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন, তার জন্য এবং যাতে আমি এমন সৎকাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন, আর আমার জন্য আমার সন্তান-সন্ততিদেরকে সংশোধন করে দিন, নিশ্চয় আমি আপনারই অভিমুখী হলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।(46:15)

21.আর আমি তো মানুষকে তাঁর পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করে, আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে। কাজেই আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আর প্রত্যাবর্তনতো আমারই কাছে। আর তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে শির্ক করার জন্য পীড়াপীড়ি করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মেনো না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে আর যে আমার অভিমুখী হয়েছে তার পথ অনুসরণ কর। তারপর তোমাদের ফিরে আসা আমারই কাছে, তখন তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে অবিহিত করব।(31:14,15)
22.আর আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তবে তারা যদি তোমার উপর বল প্রয়োগ করে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করতে যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদেরকে মেনো না, আমারই কাছে তোমাদের ফিরে আসা। অতঃপর তোমরা কি করছিলে তা আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব।(29:8)

  1. আর তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্ৰ-ভয়ে হত্যা করো না। তাদেরকেও আমিই রিযক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। আর যিনার ধারে-কাছেও যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। আর আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না! কেউ অন্যায়ভাবে নিহত হলে তার উত্তরাধিকারীকে তো আমরা তার প্ৰতিকারের অধিকার দিয়েছি; কিন্তু হত্যা ব্যাপারে সে যেন বাড়াবাড়ি না করে, সে তো সাহায্যপ্ৰাপ্ত হয়েছেই। আর ইয়াতীম বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সদুপায়ে ছাড়া তার সম্পত্তির ধারে-কাছেও যেও না এবং প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।(17:31-34)
    24.তোমরা প্রকাশ্য এবং গোপন পাপ বর্জন কর। যারা পাপ করে, তাদের পাপের সমুচিত শাস্তি তাদেরকে দেওয়া হবে।(6:120)
    25.তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই, তবে কল্যাণ আছে যে নির্দেশ দেয় দান খয়রাত, সৎকাজ ও মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের।আর আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের আশায় কেউ তা করলে তাকে অবশ্যই আমরা মহা পুরস্কার দেব।(4:114)
    26.আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন। যাতে তোমরা সীমালঙ্ঘন না কর দাঁড়িপাল্লায়।আর তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে ওযন প্রতিষ্ঠা কর এবং ওযনকৃত বস্তু কম দিও না।(55:7-9)
    27.ধ্বংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের নিকট হতে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ করে। আর যখন তাদেরকে মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করেনা যে, তারা পুনরুত্থিত হবে।(83:1-4)
    28.আর মেপে দেয়ার সময় পূর্ণ মাপে দাও এবং ওজন কর সঠিক দাঁড়িপাল্লায়, এটাই উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্ট।(17:35)
    29.হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা মাপে পূর্ণ মাত্রায় দেবে,আর যারা মাপে কম দেয় তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে না। আর ওজন করবে সঠিক দাড়িপাল্লায়। আর লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না। আর তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের আগে যারা গত হয়েছে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন।(26:181-184)
    30.আর মাদইয়ানবাসীদের কাছে আমি তাদের ভাই শু‘আয়বকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন সত্য ইলাহ নেই, আর মাপে ও ওজনে কম দিও না, আমি তোমাদেরকে ভাল অবস্থাতেই দেখছি। কিন্তু আমি তোমাদের জন্য শাস্তির আশঙ্কা করছি সে দিনের যেদিন তোমাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরবে।হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে মাপো ও ওজন করো, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিও না এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না।(11:84,85)
    31.আর মাদয়ানবাসীদের নিকট তাদের ভাই শু’আইবকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই; তোমাদের রবের কাছ থেকে তোমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। কাজেই তোমরা মাপ ও ওজন ঠিকভাবে দেবে, লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দেবে না এবং দুনিয়ার শান্তি স্থাপনের পর বিপর্যয় ঘটাবে না; তোমরা মুমিন হলে তোমাদের জন্য এটাই কল্যানকর।(7:85)
    32.আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না, এবং মানুষের ধন-সম্পত্তির কিছু অংশ জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বিচারকগণকে ঘুষ দিও না।(2:188)
    33.আর ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন সম্পত্তি বুঝিয়ে দাও এবং ভালোর সাথে মন্দ বদল করো না,আর তোমাদের সম্পদের সাথে তাদের সম্পদ মিশিয়ে গ্রাস করো না; নিশ্চয় এটা মহাপাপ। নিশ্চয় যারা ইয়াতীমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে তারা তো তাদের পেটে আগুনই খাচ্ছে, আর অচিরেই তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।(4:2,10)
    34.পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষের অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীরও অংশ আছে, সেটা অল্পই হোক বা বেশীই হোক, এক নির্ধারিত অংশ।(4:7)
    35.পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির প্রত্যেকটির জন্য আমি উত্তরাধিকারী করেছি এবং যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ তাদেরকে তাদের অংশ দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বকিছুর সম্যক দ্রষ্টা।(4:33)
    হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। আর যে কেউ সীমালংঘন করে অন্যায়ভাবে তা করবে, তাকে অবশ্যই আমি অগ্নিদগ্ধ করব এবং তা আল্লাহর পক্ষে সহজসাধ্য।। (4:29,30)
    36.নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে। আর যখন তোমরা মানুষের মধ্যে বিচার-কার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন, তা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।(4:58)
    37.অবশ্যই আমি সত্য সহকারে তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যেন তুমি যা আল্লাহ তোমাকে জানিয়েছেন, সে অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর এবং খিয়ানতকারীদের পক্ষে তর্ক করো না।(4:105)
    38.হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর সাক্ষীস্বরূপ; যদিও তা তোমাদের নিজেদের বা পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়; সে বিত্তবান হোক বা বিত্তহীন হোক আল্লাহ্‌ উভয়েরই ঘনিষ্টতর। কাজেই তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুগামী হয়ে না। যদি তোমরা পেঁচালো কথা বল বা পাশ কাটিয়ে যাও তবে তোমরা যা কর আল্লাহ তো তার সম্যক খবর রাখেন।(4:135)
    39.হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহর ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।(3:130)
    40.যারা সুদ খায় তারা তার ন্যায় দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, ‘ক্রয়-বিক্রয় তো সুদেরই মত। অথচ আল্লাহ্‌ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন। অতএব যার নিকট তার রব-এর পক্ষ হতে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, তাহলে অতীতে যা হয়েছে তা তারই; এবং তার ব্যাপার আল্লাহর ইখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় আরম্ভ করবে তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।আল্লাহ সূদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বৃদ্ধি দেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালবাসেন না।হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সূদের যা বকেয়া আছে তা বর্জন কর; যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। অতঃপর যদি তোমরা না কর তবে আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও। আর যদি তোমরা তাওবা কর তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। তোমরা যুলুম করবে না এবং তোমাদের উপরও যুলুম করা হবে না। (2:275,276,278,279)
    41.মানুষের ধন সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এ আশায় সুদে যা কিছু তোমরা দিয়ে থাক, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা বৃদ্ধি পায়না। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তোমরা যা দান কর তার পরিবর্তে তোমরা বহুগুণ প্রাপ্ত হবে। (30:39)
    42.যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে, যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল; আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন(3:134)
    43.আর অন্যায়ভাবে কোন বস্তু গোপন করবে এটা নবীর পক্ষে অসম্ভব। এবং কেউ অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করলে, যা সে অন্যায়ভাবে গোপন করবে কেয়ামতের দিন সে তা সাথে নিয়ে আসবে। তারপর প্রত্যেককে, যা সে অর্জন করেছে তা পূর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে। তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না।(3:161)
    44.ভূ-পৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না, তুমি তো কখনোই পদভারে ভূ-পৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বত-প্রমাণ হতে পারবে না।(17:34)
    45.হে বৎস! সালাত কায়েম করো, সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অসৎ কাজে নিষেধ কর, আর তোমার উপর যা আপতিত হয় তাতে ধৈৰ্য ধারণ করা। নিশ্চয় এটা অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ। ‘আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না’। আর তুমি তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং তোমার কণ্ঠস্বর নীচু করো, নিশ্চয় স্বরের মধ্যে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ ।(31:17-19)

46.আর রাহমান-এর বান্দা তারাই,
1.যারা যমীনে অত্যন্ত বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন জাহেল ব্যক্তিরা তাদেরকে সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, সালাম।
2.আর যারা রাত অতিবাহিত করে তাদের রব-এর উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে থেকে এবং তারা বলে, হে আমাদের রব! আপনি আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে নিন, জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক। নিশ্চয় সেটা বসবাস ও অবস্থানস্থল হিসেবে খুব নিকৃষ্ট।
3.এবং যারা ব্যয় করলে অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না,বরং তারা এ দুয়ের মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করে।
4.এবং তারা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না।
5.আর আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না।
6.আর তারা ব্যভিচার করে না, যে এগুলো করে, সে শাস্তি ভোগ করবে।
7.আর যারা মিথ্যার সাক্ষ্য দেয় না ।
8.এবং অসার কার্যকলাপের সম্মুখীন হলে আপন মর্যাদা রক্ষার্থে তা পরিহার করে চলে।
9.এবং যারা তাদের রবের আয়াত স্মরণ করিয়ে দিলে অন্ধ এবং বধির সদৃশ আচরণ করে না। (25:63-73)

  1. আল-কোরআন অনুসারে মুসল্লীনদের পরিচয় অর্থাৎমুসল্লীনদের বৈশিষ্ট্য
    (তারা বলবে,হে জাহান্নামের অধিবাসীরা,) তোমাদের আজ কিসে এ ভয়াবহ আযাবে উপনীত করেছে?
    1.তারা বলবে, আমরা মুসল্লীনদের (সাহায্যকারীদের , সৎ কর্মশীলদের, দায়িত্ব-কর্তব্য পালনকারীদের, দায়িত্বশীলদের, রবের বিধান পালনকারীদের, রবের বিধান বাস্তবায়নকারীদের) অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।
    2.অভাবগ্রস্থকে আহার্য দিতাম না।
    3.অহেতুক কাজে মগ্ন থাকতাম।
    4.কর্মফল দিবস অস্বীকার করতাম।
    5.এমনকি আমাদের নিকট নিশ্চিত বিশ্বাস (অর্থাৎ মৃত্যু) না আসা পর্যন্ত। (74:42—46)

48.তুমি কি দেখেছ তাকে, যে কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করে থাকে?
1.সে তো ঐ ব্যক্তি, যে ইয়াতীমকে (পিতৃহীনকে) রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়।
2.এবং সে মিসকীনকে(অভাবগ্রস্তকে) খাদ্যদানে উৎসাহ প্রদান করে না।
3.অতএব দুর্ভোগ সে সব মুসল্লীনদের (সাহায্যকারীদের , সৎকর্মশীলদের, দায়িত্ব-কর্তব্য পালনকারীদের, দায়িত্বশীলদের, রবের বিধান পালনকারীদের, রবের বিধান বাস্তবায়নকারীদের) ।
4.যারা নিজেদের সালাতের (দায়িত্ব-কর্তব্য, রবের বিধান পালনে, রবের বিধান বাস্তবায়নে)ব্যাপারে উদাসীন।

  1. যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।
    6.এবং গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় ছোটখাট সাহায্য দানে বিরত থাকে। (107:1-7)

49.জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে, যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ,আর সম্পদ জমা করেছিল, অতঃপর তা সংরক্ষণ করে রেখেছিল। নিশ্চয় মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অতিশয় অস্থিরচিত্তরূপে।যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে হয় হা-হুতাশকারী।আর যখন তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে, তখন সে হয় অতি কৃপণ।
1.তবে মুসল্লীনরা (সাহায্যকারীরা, সৎকর্মশীলরা, দায়িত্ব-কর্তব্য পালনকারীরা ,দায়িত্বশীলরা, রবের বিধান পালনকারীরা, রবের বিধান বাস্তবায়নকারীরা) ব্যতীত।

  1. যারা তাদের সালাতে (দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে, রবের বিধান পালনে, রবের বিধান বাস্তবায়নে) সর্বদা দন্ডায়মান থাকে ।
  2. আর যাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রয়েছে। প্রার্থী এবং বঞ্চিতদের
  3. আর যারা কর্মফল দিবসকে সত্য বলে জানে।
  4. আর যারা তাদের রবের শাস্তি সম্পর্কে ভীত সন্ত্রস্ত ।
    6.নিশ্চয়ই তাদের রবের শাস্তি হতে নিঃশঙ্ক থাকা যায়না ।
  5. আর যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে সংযত রাখে। তাদের স্ত্রী অথবা(مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُمۡ) শপথ বা অঙ্গীকারভুক্তদের ক্ষেত্র ব্যতীত,এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। তবে কেউ এ ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালংঘনকারী।
  6. আর যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।
  7. আর যারা তাদের সত্য সাক্ষ্য দানে অটল।
  8. আর যারা নিজদের সালাতের(দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে, রবের বিধান পালনে, রবের বিধান বাস্তবায়নে) যত্নবান।
    তারাই সম্মানিত হবে জান্নাতে।(70:17-35)

50.অবশ্যই বিশ্বাসীগণ সফলকাম হয়েছে।
1.যারা নিজদের সালাতের(দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে, রবের বিধান পালনে, রবের বিধান বাস্তবায়নে) বিনয়ী – নম্রতা – ভদ্রতা অবলম্বন করে।

  1. আর যারা অসার ক্রিয়া-কলাপ হতে বিরত থাকে।
  2. আর যারা যাকাত( পরিশুদ্ধতা ) অর্জনে সক্রিয় তাকে থাকে ।
  3. আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তাদের স্ত্রী অথবা (مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُهُمۡ) শপথ বা
    অঙ্গীকারভুক্তদের ক্ষেত্র ব্যতীত,এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। তবে কেউ এদের ছাড়া অন্যকে কামনা
    করলে, তারা হবে সীমালংঘনকারী।
  4. আর যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।
  5. আর যারা নিজদের সালাতের(দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে, রবের বিধান পালনে, রবের বিধান বাস্তবায়নে) যত্নবান।
    তারাই হবে অধিকারী,উত্তরাধিকারী হবে ফিরদাউসের; যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। (23:1-11)

আল-কোরআন অনুসারে মুসল্লীনদের পরিচয়অর্থাৎমুসল্লীনদের বৈশিষ্ট্য

51.দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে। যে সম্পদ জমা করে এবং বার বার গণনা করে। সে মনে করে তার সম্পদ তাকে চিরজীবি করবে। কখনো নয়, অবশ্যই সে নিক্ষিপ্ত হবে হুতামা’য়। আর কিসে তোমাকে জানাবে হুতামা কি? তা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত আগুন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে। (104:1-7)