Category Archives: Book-SAITYA

খতনা, পোশাক

Fm zahir wapp

[4/22, 12:39 AM] ‪+91 97077 58106‬: ৩৮. কুরআনে ‘খৎনার উল্লেখ নেই, ইঞ্জিল ও তৌরাতে ‘পুরুষের খৎনা

কুরআনে দেখুন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, যারা ইহুদী হয়েছে এবং নাসারা ও সাবিঈন যারাই আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য পুরুস্কার আছে তাদের রবের নিকট। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না;-২:৬২; ৫:৬৯। ‘আর যারা ঈমান আনে ও সৎকার্য করে তারাই জান্নাতবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে;-২:৮২।

ইঞ্জিলে দেখুন, ‘অ-ইহুদিদের খৎনা করান দরকার এবং তারা যে মূসার শরীয়ত পালন করে, সেজন্য তাদের হুকুম দেওয়া দরকার;-৫ম খন্ড : প্রেরিত, ১৫:৫, পৃ: ৩৪৬। ‘তুমি যদি মূসার শরীয়ত মেনে চল, তবে খৎনা করাবার মূল্য আছে; … কেবল বাইরের দিক হতে যে ইহুদি সে আসল ইহুদি নয়। দেহের বাইরের খৎনা করান হলেই যে সে আসল খৎনা করান হলো, তাও নয়। কিন্তু অন্তরে যে ইহুদি, সে-ই আসল ইহুদি। আসল খৎনা করাবার কাজ অন্তরের মধ্যেই হয়; ৬ষ্ঠ খ- ঃ রোমীয়, ২:২৫-২৯, পৃ: ৪০১। ‘খৎনা করালেই বা কি আর না করালেই বা কি, খোদার হুকুম পালন করাই হলো আসল কথা;-৭ম খ- : ১ করিস্থীয়, ৭:১৯, পৃ: ৪৫০। ‘যার খৎনা করান হয় সে মূসার গোটা শরীয়ত পালন করতে বাধ্য;-৯ম খ- : গালাতীয়, ৫:৩, পৃ: ৫০৯। ‘এটা ছাড়া, তোমরা মসীহের সংগে যুক্ত হয়েছ বলে তোমাদের খৎনা করা হয়েছে। এ খৎনা কোন মানুষের হাতে করান হয়নি, মসীহ নিজেই তা করেছেন;-১২শ খ- : কলসীয়, ২:১১, পৃ: ৫৪১। ‘এ অবস্থায় অ-ইহুদি বা ইহুদির মধ্যে, খৎনা-করান বা না খৎনা-না-করান লোকের মধ্যে, অশিক্ষিত, নীচজাতি, গোলাম বা স্বাধীন লোকের মধ্যে কোন তফাৎ নেই;-১২শ খন্ড : কলসীয়, ৩:১১, পৃ: ৫৪৩। উপরোক্ত আয়াতগুলো ছাড়াও ইঞ্জিল শরীফের ১৪৩, ১৪৬, ২৫১, ৩১৭, ৩৪৫, ৩৪৯, ৩৬৯, ৪০৪, ৪০৫, ৫০১, ৫০২, ৫০৯, ৫৩৩ ও ৫৮২ পৃষ্ঠায় খৎনার কথা উল্লেখ আছে।

তৌরাতে দেখুন, [আল্লাহ্ ইবরাহীমকে বললেন,] আমার এ যে ব্যবস্থা, যার নিশানা হিসেবে তোমাদের প্রত্যেকটি পুরুষের খৎনা করাতে হবে, তা তোমার ও তোমার বংশের লোকদের মেনে চলতে হবে। … পুরুষ-সন্তানের আট দিনের দিন এ খৎনা করাতে হবে, …. যে লোকের পুরুষাংগের সামনের চামড়া কাটা নয়, তাকে তার জাতির মধ্য হতে মুছে ফেলা হবে, কারণ সে আমার ব্যবস্থা অমান্য করেছে;-পদাষেশ ১৭:১০-১৪, পৃ: ৪৬। ‘ইবরাহীমের নিজের যখন খৎনা করান হল তখন তাঁর বয়স ছিল ৯৯ বৎসর, আর তাঁর ছেলে ইসমাইলের বয়স ছিল ১৩। একই দিনে ইবরাহীম ও তাঁর ছেলে ইসমাইলের খৎনা করান হয়েছিল;-পদাষেশ ১৭:১০-১৪, পৃ: ৪৭। আল্লহর হুকুম অনুসারে ইবরাহীম আট দিনের দিন তাঁর ছেলে ইসহাকের খৎনা করালেন। ইবরাহীমের বয়স যখন ১০০ বছর তখন তাঁর ছেলে ইসহাকের জন্ম হয়েছিল;-পদায়েশ-২১:৪-৫, পৃ: ৫৭। উপরোক্ত আয়াতগুলো ছাড়াও তৌরাতের-১০৩, ১০৪, ১৬৭, ১৮৯, ২৯৭, ৪৯৭ ও ৫৪৯ পৃষ্ঠায় খৎনার কথা উল্লেখ আছে।

[অপরিচিত কোন মুসলিম, ইহুদী ও শিখ বা বৌদ্ধ পুরুষের মৃতদেহ এবং হিন্দু-মুসলিম, ইহুদী-নাসরা এবং নাস্তিক, বৌদ্ধ বা শিখ ধর্মের মেয়েদের মৃতদেহ থেকে কোন প্রকারেই মুসলিম নারী-পুরুষের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব নয়। আল্লাহর কিতাব কুরআনে পুরুষাংগের সামনের চামড়া কাটলে ‘মুসলিম হয় এমন আয়াত পাওয়া যায় না।]
[4/22, 12:44 AM] ‪+91 97077 58106‬: ৩৫. কুরআনে ‘পোষাক স্থান-কাল-পাত্র ভেদে, ইঞ্জিল ও তৌরাতে দাড়ি, টুপি, পাগড়ী ও কোর্তা-জুব্বা
কুরআনে দেখুন, ‘হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশ-ভূষার জন্য আমি তোমাদের লেবাস (পোষাক) দিয়েছি এবং তাকওয়ার লেবাস, এ-ই সর্বোৎকৃষ্ট। এ আল্লাহর আয়াতসমূহের অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে;-৭:২৬।

ইঞ্জিল শরীফে দেখুন, ‘তিনি তাঁদের (ঈসা তাঁর বার জন সাহাবীকে) জুতা পরতে বললেন বটে, কিন্তু একটার বেশি দুইটা কোর্তা পরতে নিষেধ করলেন;-২য় খ- ঃ মার্ক, ৬ : ১০, পৃ: ৯৯। ইঞ্জিলের ২৮৯ পৃষ্ঠায় কোর্তা এবং ৭৯, ১৯৬, ৬৮৮ ও ৬৯০ পৃষ্ঠায় জুব্বার উল্লেখ আছে।

তৌরাত শরীফে দেখুন, ‘তৌরাতে দেখুন-২৩০, ২৩২, ২৩৩, ২৩৪, ২৬৪, ২৬৬, ২৮১ ও ২৮৬ পৃষ্ঠায় কোর্তা, ২৮৬, ২৯১ ও ৩১০ পৃষ্ঠায় আলখাল্লা এবং ২৩৩, ২৩৪, ২৬৪, ২৮৬ পৃষ্ঠায় মাথায় টুপি পরা ও ২৩০, ২৩৪ ও ২৬৪ পৃষ্ঠায় পাগড়ি পরিধান করার উল্লেখ আছে। ‘ইউসুফ দাঁড়ি কামিয়ে কাপড়-চোপড় বদলিয়ে ফেরাউনের নিকটে গিয়ে উপস্থিত হলেন;-পদায়েশ ৪১:১৪। ‘ইমামদের মাথা কামানো, দাড়ির আগা ছাঁটা কিংবা শরীরের কোন জায়গা ক্ষত করা চলবে না;- লেবীয় ২১:৫। [তৌরাত অনুসারে মুসল্লিরা দাড়ি কামান। কুরআনে সাহায্যকারী নবী হারুণের দাড়ির (২০:৯৪) উল্লেখ আছে। সুতরাং দাড়ি, টুপি, পাগড়ি ও লম্বা জামা নিয়ে বাড়াবাড়ি নয় বরং পোষাক হবে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে।

বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে ‘ইসলামের ইতিহাস .saitya

By saitya gupon thakana fb

.

৪. বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে ‘ইসলামের ইতিহাস
দাসের হাট থেকে আব্দুল্লহ্ পনের-ষোল বছর বয়সের ‘বারাকাহ্’ নামের এক হাব্শী বালিকা ক্রয় করে। আব্দুল্লাহ্ ‘আমিনাকে বিয়ের দু‘সপ্তাহ্ পরে তাকে বারাকাহর তত্ত্বাবধানে রেখে বাবা আব্দুল মুত্তালিবের নির্দেশে সিরিয়ায় ব্যবসার জন্য চলে যান। আমিনার কাছে রেখে যান ৫টি উট, কিছু ছাগল ও ভেড়া এবং বারাকাহ্কে। এর মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখির বিষাক্ত পাথর কুচি নিক্ষেপের ফলে কা’বা ঘর ভাংতে আসা বাদশা আবরাহা ও তার হাতির বাহিনী নির্মূল হল। কিছু দিন পর সংবাদ এলো মদিনায় এসে আব্দুল্লাহ্ মারা গেছে। বারাকাহ্ ছাড়া আমিনার পাশে দ্বিতীয় কোন প্রাণী নেই। একদিন শেষ রাতে মুহাম্মাদের জন্ম হয়। বারাকাহ্ মুহাম্মাদকে দু’হাতে তুলে আমিনার পাশে দেয়। ভোরে আব্দুল মুত্তালিব এসে শিশুকে কোলে নিয়ে কা’বায় গিয়ে ঘোষণা দেয়, এ হল ‘মুহাম্মাদ’। মরুবাসী ধাত্রীরা পালনের জন্য শিশুদের নিতে এসে হালিমা অন্য কোন শিশু না পেয়ে বাধ্য হয়ে মুহাম্মাদকে নিল। মুহাম্মাদকে নিয়ে হালিমার আর্থিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হল। মুহাম্মাদের ছয় বছর বয়সে আমিনা বারাকাহ্ ও মুহাম্মাদকে নিয়ে তার স্বামী আব্দুল্লাহ্র কবর যিয়ারত করতে মদিনায় গেল। মুহাম্মাদ বারাকাহর গলা ধরে দশ দিন পর মদিনায় পৌঁছাল। আমিনা ও বারাকাহ্ আব্দুল্লাহর কবরস্থলে চল্লিশ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা কেঁদে কেঁদে কাটাল। তারপর মক্কার পথে আমিনা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আব্ওয়া নামক এক গ্রামের কাছে অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়। বরাকাহ্ মুহাম্মাদকে কোলে-পিঠে করে মরূভূমির বালির মধ্যে নিজ হাতে আমিনাকে কবরস্থ করে আব্দুল মুত্তালিবের ঘরে ওঠে। দু’বছর পর আব্দুল মুত্তালিবের মৃত্যু হয়। তখন মুহাম্মাদ ও বারাকাহ্ আবু তালিবের ঘরে ওঠে। অভাবের সংসারে মুহাম্মাদ মেষ-বকরি চরিয়ে বৃদ্ধ চাচার সংসারে কিছু আয়ের সংস্থান করত। পঁচিশ বছর বয়সে মক্কার সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য মহিলা খাদিজাকে বিয়ে করে মুহাম্মাদ তাঁর পালক মাতা বাবাকাহকে নিয়ে খাদিজার ঘরে ওঠে। মুহাম্মাদ বারাকাহ্কে ‘ইয়া আম্মাহ’ বলে ডাকতো। মুহাম্মাদ ও খাদিজা বারাকাহ্কে বুঝিয়ে মদিনার ‘উবাইদ্ ইব্ন যায়দ আল খাযরাজীর’ সাথে বিয়ে দেন। ‘আইমান’ নামে একটি সন্তান হওয়ার পর তিনি মারা যান। বারাকাহ্ আইমানকে কোলে নিয়ে আবার মুহাম্মাদ ও খাদিজার সংসারে এল। তখন ঐ পরিবারে ছিল চাচার দারিদ্র -পীড়িত সংসার থেকে প্রতিদান স্বরূপ আলী এবং পনের-ষোল বছর বয়সের খাদিজার কৃতদাস যায়দ বিন হারীসা। যায়েদ তার পিতার নিকট না যাওয়ায় মুহাম্মাদ তাকে স্বাধীন করে দেন এবং কা’বায় গিয়ে নিজের পুত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। বারাকাহ্ এখন গৃহের একমাত্র বয়োবৃদ্ধা হিসেবে মুহাম্মাদ, খাদিজা, যায়দ, আলী এবং আইমানের দেখাশুনা করে। মুহাম্মাদ বারাকাহর মত মা, খাদিজার মত স্ত্রী এবং যায়েদের মত পুত্র পেয়ে বিশ্ব-মানুষের মুক্তির সন্ধ্যানে হেরা গুহায় নিশ্চিত মনে ধ্যান মগ্ন হন। আল্লাহ্ মুহাম্মাদকে চারটি ছেলে দিয়ে একটিও জীবিত রাখেন নি। ফলে বারাকাহ্ মায়ের সম্মানে, যায়েদ সন্তানের অধিকার ও মর্যাদায় মুহাম্মাদ ও খাদিজার সংসারে প্রতিষ্ঠিত হয়। হেরা গুহায় মুহাম্মাদ সপ্তাহভোর কাটাতে লাগল তখন যায়দ সেখানে খাদ্য ও পানীয পৌঁছাত। এভাবে প্রায় এক যুগ পর মুহাম্মাদ ওহী প্রাপ্ত হন। আর যায়দ সর্বপ্রথম তাঁর উপর ঈমান আনে, তারপর খাদিজা বা বারাকাহ্। রাসূলের বয়স যখন ৫০ তখন খাদিজা ও পাঁচ সপ্তাহ পরে চাচা আবু তালেব মৃত্যু হয়। তখন কোরেশদের অত্যাচারে রাসূল যায়দকে সংগে করে তায়েফে হিজরত করেন। তায়েফবাসী রাসূলকে পাথর মেরে জর্জরিত করে। ফলে তিনি আবার মক্কায় আসতে বাধ্য হন। রাসূল তিন বছর সমাজচ্যুত হয়ে ‘দারুল আরকাম’ নামক এক ঘরে লুকিয়ে লুকিয়ে দীনের দাওয়াত দিতেন। তখন তাদের সংবাদ সরবরাহ্ করত বারাকাহ্ ও যায়দ। রাসূলের পালক পুত্র যায়দকে তাঁর ফুফাতো বোন যাইনাবের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু যাইনাব যায়দকে পছন্দ না করায় আল্লাহর নির্দেশে রাসূল নিজেই যাইনাবকে বিবাহ করেন। রিসালাত প্রাপ্তির সপ্তম বছরে রাসূল তিন তিন বার ঘোষণা দেন ‘কে আছো যে জান্নাত বিবাহ্ করবে?’ প্রত্যেকবারই যায়দ বলে ওঠে ‘আনা, ইয়া রাসূলাল্লাহ্।’ রাসূল বারাকাহ্কে বলতেন ‘উম্মি (আমার মা) এবং যায়দকে বলতেন ‘হিব্ব্ (ভালোবাসা)। রাসূল ষাটের কাছাকাছি বয়সের বারাকাহ্কে ত্রিশোর্ধ যায়দের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করালেন। তাদের মিলনের ফসল এক অসাধারণ শিশু। রাসূল তার নাম রাখলেন ‘উসামা। ধরার মাটিতে রাসূলের একমাত্র মরমী সংগী যায়দ। হিজরতের পর রাসূল ও তাঁর অনুসারী মুসলিমগণ ইহুদী, নাসারা ও মুশরিকদের নিকট মজুরীর বিনিময়ে শ্রম বিক্রি করতেন। ওহুদের যুদ্ধে ওসমানসহ বহু খান্দানী রাসূলকে ফেলে ময়দান ছেড়ে পালিয়েছিল। আহযাবের পর হুদাইবিয়ায় মক্কাবাসীদের সাথে সমঝোতার জন্য তাঁর দূতরূপে যেতে ওমরকে আদেশ করেন কিন্তু ওমর ভয়ে যান নি। ওসমানও উপস্থিত ছিলেন না। হুদাইবিয়ার সন্ধির পর খাইবার অভিযানে রাসূল দুর্গ বিজয়ের জন্য আবু বকর ও পরে ওমরকে পাঠালে তারা দুইজনই ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসে কিন্তু আলী সফল হন। স্ত্রী অসুস্থ বলে ওসমান বদরের যুদ্ধে শরীক হন নি। পরিখার যুদ্ধে প্রাপ্ত বয়স্ক না হলেও রাসূল খুশি হয়ে উসামার কোমরে তলোয়ার ঝুলিয়ে দেন। রাসূল স্বয়ং ২৭ টি যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং অন্যান্য যুদ্ধে যায়দকে সেনাপতি করে পাঠান। সেসকল যুদ্ধে আবু বকর ও ওমর থেকে আরম্ভ করে সকল কোরেশীরা সাধারণ সৈনিক। যায়দ প্রত্যেকটি যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। কিন্তু বুসরার যুদ্ধে রাসূল একাধিক সেনাপতি নিয়োগ করেন এবং কয়েক মাইল পায়ে হেঁটে যায়দকে বিদায় দেন। যুদ্ধে যায়দ শহীদ হন। আর খালেদ ও আবু হোরায়রারা ফুররার (পলাতক) বলে তিরস্কৃত হয়। বদর যুদ্ধে পর বন্দীদের দশজন মুসলিম শিশুকে লিখন ও ব্যাকরণ শিক্ষাদানের শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। ঐ সময় মদিনায় নয়টি মসজিদ-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পুরুষের সাথে নারীদের শিক্ষা দেওয়া হয়। শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রত্যেক মহল্লায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বেদুঈনদের শিক্ষার জন্য মুয়াল্লীম নিযুক্ত করা হয়। মদিনাকে রাজধানী করে মুহাম্মাদ খাইবার, মক্কা, তায়িফ, তায়াম, সানা, ইয়েমেন, বাহ্রাইন, উমান ও হাযরামাউথে প্রাদেশিক শাসন কর্তা নিয়োগ করেন। মুহাম্মাদ ছিলেন সালাতের ইমাম, প্রধান সেনাপতি, বিচারক ও প্রশাসক। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অর্জিত সম্পদের, জিযিয়ার খুমুশ (এক-পঞ্চমাংশ), সদকা (স্বেচ্ছামূলক দান) ইত্যাদি আদায়-বণ্টন করতেন। প্রতিটি মুহুর্তেই তাকে তার অনুসারিদের সংগঠিত রাখার এবং যুদ্ধের প্রস্তিুতিতে থাকতে হত। তায়েফ অভিযানে রাসূলের সাথে আবু বকর ও ওমরসহ পনের হাজার সৈন্যের বহর ছিল। রাসূলের সংগে বারাকাহ্, তাঁর দু’টি সন্তান আইমান ও উসামাহ। যুদ্ধ শুরু হতেই শত্রুর অতর্কিত আক্রমনে রাসূলকে ফেলে অন্যরা পলায়ণ করে। হিজরতের আট বছর পরে হুনাইনের যুদ্ধে (৯:২৫) রাসূলকে ফেলে আবু বকর ও ওমর পালিয়েছিলেন, কিন্তু বারাকাহ্র পুত্র আইমান শহীদ হয়। সুরাহ হুজারাত নাযিল হলে আবু বকর ও ওমর সংযত হয়। আবু কবরের কন্যা মা আয়শা ও ওমরের কন্যা মা হাফসা একের পর এক অঘটন ঘটায়। ফলে তাদের জন্য নুহ ও লূতের স্ত্রীদের দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নাযিল হয় সূরা তাহরীম। রাসুল মক্কা বিজয়ের যাত্রায় বারাকাহ্দের সংগে আনেন এবং বেলাল ও উসামাকে নিয়ে কা’বায় প্রবেশ করেন। ওহুদের যুদ্ধে শোকবিহ্বল স্তব্ধ পরিবেশে রাসূলের চাচা নিহত হামযার বক্ষ চিরে যে হিন্দা কলিজা চর্বন করেছিল তার স্বামী দীর্ঘ দিনের শত্রু আবু সুফিয়ানসহ মক্কাবাসীদের অন্যায় ও অত্যাচার ভুলে গিয়ে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। বিদায় হজ্জে রাসূল ঘাষণা দিলেন, ‘কোন আরবের উপর অনারবের যেমন প্রাধান্য নেই, তেমনি অনারবদের উপর আরবেরও কোন প্রাধান্য নেই। কোন শ্বেতাঙ্গের উপর যেমন কৃষ্ণাঙ্গের কোন প্রাধান্য নেই, তেমনি কৃষ্ণাঙ্গের উপর শ্বেতাঙ্গের কোন প্রাধান্য নেই। পরস্পরের মাপকাঠি হচ্ছে একমাত্র আল্লাহভীতি। মু’মিনগণ পরষ্পর ভাই ভাই। আমি তোমাদের মধ্যে একটি জিনিস রেখে যাচ্ছি তা হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন)। যতদিন তোমরা একে অনুশীলন করবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। (মুসলিম থেকে) রাসূল আকাশের দিকে মুখ করে বলেন, ‘আমার রব! আমি কী আপনার বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি?’ সমবেত কণ্ঠে জনগণ জবাব দিয়েছিল, ‘হ্যাঁ, আপনি আমাদের নিকট তা পৌঁছে দিয়েছেন। বিদায় হজ্জের দুইমাস পরে রাসূল যেখানে একজন মুসলিম দূতকে হত্যা করা হয়, সেখানে হত্যাকান্ডের সমুচিত শাস্তিদেওয়ার জন্য সিরিয়া অভিযানের নির্দেশ দেন। রাসূলের পালক পুত্র যায়েদ ও পালক মাতা বারাকাহ্র পুত্র উসামার উপর সে দায়িত্ব অর্পিত হয়। বিশ্বের মানুষের জন্য একজাতির পতাকা উত্তোলন করে রাসূলের ইন্তেকালের পূর্বে ত্রিশ হাজার সৈনিক একত্র করে মাত্র আঠারো বয়সের সমর নায়ক উসামার হাতে দিয়ে আবুবকর, উমর, উসমান, আলী, তালহা, যুবাইরর, আব্দুর রহমান, ইবন আউফ, সাআদ্ ইবন আবি ওয়াক্কাস, আবু উবাইদাসহ খান্দানী ও বয়োবৃদ্ধদের উপর সেনাপতি বানান এবং বলে যান, ‘উসামার পতাকা তলে যারা থাকবে না, তাদের উপর লা’নত।’ রাসূলের উক্ত বাণী দ্বারা বুঝা যায় রাসূলের পরবর্তী ইমাম হবে উসামা। কারণ উসামা শুধু সালাতের ইমামই নয় ত্রিশ হাজার সৈন্যেরও যুদ্ধের ইমাম। রাসূলের মৃত্যু সাংবাদ শুনে ওমর তা বিশ্বাস করেন নি। আবু বকর তখন মদিনার নিকটবর্তী ‘সানাহ’ নামক স্থানে। ইমাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে চারটি দলের উদ্ভব হল। ওমর আবু বকরের হাতে তার আনুগত্যের শপথ নিল। রাসূলের লাশ ঘিরে বসে আলী, তালহা, যুবায়র ও আব্বাস। রাসূল সোমরার দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার দিন-রাত গেল, মঙ্গলবার দিন-রাত গেল। বুধবার দিন গেল, রাতে উসামাহ্, বিলাল ও শাকরান পানি আনে। আলী নিজ হাতে গোসল করায়। উসামাহ্ ও বিলাল পানি ঢালে। আব্বাস, ফজল ইবন আববাস ও কুসম ইবন আব্বাসও সহায়তা করে। রাতের অন্ধকারে জানাযা ছাড়া রাসূলের মৃত লাশের দাফন হলো। কিন্তু আবু বকর সিদ্দীকে আকবর, ওমর ফারুকে আযম ও ওসমান গনীর কোন সংবাদ ছিল না। ঈসা নবীর ১২ জন সংগীর মধ্যে জুডাস ত্রিশটি রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে তাঁকে ঘাতকের হাতে বিক্রি করেছিল। তখন কেউ ঈসা নবীকে সাহায্য করে নি। ঠিক একই রকম ভাবে রাসূলের মৃত্যুর পর তাঁর লাশ মাটির উপর রেখেই আবু বকর ঘোষণা দিয়েছিল, ‘আল, আইম্মাতু মিন্ কোরেশ’। এ কালেমার উপর ভিত্তি করেই আবু বকর খলিফা হয়ে ফাতেমার পিতার স্থান দখন করল। সকল মানুষ আল্লাহর খলিফা। ইমাম না হয়ে মিথ্যার বেড়াজালে আবু বকর হলো কোরেশদের খলিফা। আবু বকর ও ওমর কোরেশী খিলাফতের পত্তন করলে আলী শুধু বলেছিলেন, ‘তোমরা যে কথা বলে মদিনাবাসী আনসারদের বঞ্চিত করলে, তা যদি সত্য হয়, তা’হলে আমিই তার বড় হকদার। কারণ, আমি একদিকে কোরেশী, হাশেমী, আবু তালেবের পুত্র এবং রাসূলের প্রিয়তম কন্যার স্বামী। রাসূলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই মক্কার কোরেশ ও তাদের অনুসারীরা আনন্দে ফেটে পড়েছিল যে তাদের ভয়ে রাসূলের নিয়োজিত গভর্ণর ও নায়েব ইবন উসাইদ প্রাণ রক্ষার্থে পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং সপ্তাহ ধরে আযান ও সালাত বন্ধ থাকে। আলী ও ফাতিমা আবু বকরকে সমর্থ না দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। ওমর ফাতিমার ঘরের চার দিকে লাকড়ি জমা করে আগুন লাগাতে চেষ্টা করেন। ওমরের ধাক্কাধাক্কিতে দরজা ভেঙ্গে তার আঘাতে ফাতিমা মাটিতে পড়ে গেলে তার গর্ভপাত ঘটে। তার ছয় মাস পরে তিনি মারা যান। ওমর আলীকে জোর করে মসজিদের নববীতে নিয়ে গেলেও আবু বকরের হাতে বায়আত হন নি। ফাতিমা অসিয়ত করে যান আবু বকর ও ওমর যেন তার জানাযা না পড়ে। বিশ্বে একই সময়ে একাধিক নবী-রাসূলের কোন আত্ম কলহ হয় নি কিন্তু কথিত চার খালিফার তিন খলিফা এবং আশারায়ে মুবাশ্বারা মধ্যে পাঁচ জন আত্ম কলহে মারা যান। রাসূলের মৃত্যুর পর ‘রব উঠল, উসামাকে বদলাও, তার যুদ্ধ বাতিল কর, অথবা স্থগিত কর। আবু বকর ওমরসহ অন্যান্যদের কথা উপেক্ষা করে রাসূলের নির্দেশ ও কঠোর হুশিয়ারী অনুযায়ী উসামাহর বাহিনী প্রেরণ করেন। আবু বকর তখন বলেছিলেন, ‘আমি কে যে, আল্লাহর রাসূল নিজে যে অভিযানে প্রেরণের আদেশ দিয়ে গিয়েছেন তা বন্ধ করব?’ উসামার বাহিনীর আগমনের বার্তা শুনে বুসরার রাজা রাজ্য ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। উসামা বিনা যুদ্ধে সম্পূর্ণ সমৃদ্ধ এলাকা দখল করে এবং চল্লিশ হাজার উটসহ বিরাট পরিমাণ গণিমতের মাল নিয়ে ফিরে আসে। ক্ষমতালোভী আবু বকর উসামার সেনাপতির পদ খতম করলেন। শতকরা প্রায় আশি জন মোর্তাদ হয়ে ভ-নবীদের অনুসারী হল। মুউতার যুদ্ধে পলায়ণকারীদের নেতা খালিদ্ ইবন ওয়ালিদকে সেনাপতি করা হলো। কোরেশ রাজত্বে যাকাত দিতে অস্বীকার করায় আবু বকরের নির্দেশে হাজার হাজার মুসলিম নিধন হল। যুদ্ধবন্দী ছেলে-মেয়েদের দাস-দাসী বানানো হল। খালেদ সালাতরত অবস্থায় মালিক বিন নুওয়াইরাকে হত্যা করে রাতে তার পরমা সুন্দরী স্ত্রী লায়লাকে ভোগ করল। মালিকের ভাই ওমর, আলী, সাআদ ও আবু উবাইদাদের সংগে আবু বকরের কাছে বিচার চাইল কিন্তু আবু বকর সাইফুল্লাহ্র বিচার না করে কৈফিয়ত তলব করল। আবু বকর যা করেছে, ওমর তা করে নি। যারা যাকাত দিতে অস্বীকার করেছিল আবু বকর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজিত করে পুরুষদের দাস ও নারীদের দাসীরূপে বন্টন করে। আবু বকর সোয়া দু’বছর শাসন চালায়। ইয়ামামার যুদ্ধে কোরেশ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আবু বকরের নির্দেশে দুই হাজার মুসলিম সৈন্য নিহত হয়, যা রাসূলের ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনেও হয় নি। আবু বকর তার মৃত্যু আসন্ন মনে করে ওসমানকে ডেকে তার জীবদ্দশায় লিখিতভাবে ওমরকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। আবু বকর নিজেকে রাসূলের খলিফা (খলীফাতু রাসূলিল্লাহ্) বলে স্থাপিত করেন। আর ওমর ক্ষমতায় বসে নিজেকে রাসূলের খালিফার খলিফা (খলীফাতু খলীফাতু রাসূলিল্লাহ্) নামে চালান। কিছু দিন পর আমর অথবা মুগীরা এসে ‘সালামুন আলাইকা’ ইয়া আমিরাল মু’মিনীন’ বলে ওমরের পদবী খলিফা থেকে আমীরুল মু’মিনীন বানাল। ওমর রোমান ও পারস্য সাম্রাজ্যের পেশাদার সেনাবাহিনীর আদলে বেতন ভুক্ত মুসলিম সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন এবং বহু ইয়াহুদী ও নাসারাকে সৈনিক হিসেবে নিয়োগ দেন। ফলে হিয্বুল্লাহর (আল্লাহর) সেনাবাহিনীর বিলুপ্তি ঘটে। আবু বকর কোরেশী মুহাজির রূপে ক্ষমতায় বসলেও সম্পদ বন্টনে রাসূলের আচরিত নিয়ম পালন করে কিন্তু ওমর তাতে আমূল পরিবর্তন আনে। ওমর পারস্য জাতির পরাজিত সম্রাটের দু’কন্যাকে দাস বিক্রয়ের হাটে বিক্রয়ের জন্য পাঠান। আলী তাকে প্রশ্ন করেছেন, ‘আল্লাহ্ কি তাঁর শেষ নবীকে প্রেরণ করেছিলেন আমাদের দ্বারা জাতিসমূহকে পরাজিত করে তাদের হাটে-বাজারে বিক্রয় করে আমাদের দাস-দাসীতে পরিণত করতে? ওমর কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। ওমর মানুষের ইচ্ছা মত কুরআনের বিরুদ্ধে তিন মাসের স্থলে একসাথে তিন তালাকের বৈধতা দিলেন। সাধারণ ক্ষমায় মুগীরা মদিনায় থাকার অনুমতি পায়। ওমরের আমলে মুগীরা ব্যভিচাররত অবস্থায় ধরা পড়ে। পরাজিত এক ইরানী প্রকৌশলী আবু লুলু ধৃত হয়ে মদিনায় আসে। তাকে মুগীরার দাসত্বে দেয়া হয়। সে বাতাসে চালিত আটাকল তৈরি করতে জানত। মুগীরা তাকে মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে বাধ্য করত। লুলুর পক্ষে তা দেয়া অসম্ভব হলে ওমরের নিকট নালিশ করে। কিন্তু ওমর মুগীরার পক্ষে রায় দেন। লুলু অসন্তুষ্ট হয়ে ওমরকে সালাতরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টায় আহত করে। তাতেই ওমরের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে ওমর পরবর্তী নির্বাচনের জন্য ছয় জন কোরেশ ব্যক্তির এক প্যানেল করে যান। ওমরের পুত্র উবাইদুল্লাহ্ কুরআনের আইন অমান্য করে পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে আবু লুলু, তার স্ত্রী, এক ইরানী রাজকুমার হরমুযান, তার স্ত্রী ও তার শিশু কন্যাসহ মোট সাত জনকে নিজ হাতে হত্যা করে। ওমরের শাসনকাল ছিল দশ বছর। ওমর মুসলিম ব্যবসায়ী ও বিদেশীদের নিকট থেকে শতকরা দশভাগ শুল্ক আদায় করতেন। ফসলেরও দশমাংশ যাকাত হিসেবে আদায় করতেন। ওসমান খলিফা হওয়ার পর আলীসহ সকল মদিনাবাসী সর্বপ্রথম উবাইদুল্লাহ্ ইবন ওমরের কুরআন অনুসারে বিচারের পরামর্শ ও তাগিদ দেন। ওসমান লোকভয়ে ওমরের ছেলের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন নি। ওসমান রাসূল কর্তৃক অভিশপ্ত ও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধী মারওয়ানের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে প্রধান মন্ত্রী, হাকামকে বনী কোযাআর সদকার তহসীলদার, ইবন সারাকে মিশরের গভর্নর, ওয়ালিদ ইবন উকবাকে ইরাকের গর্ভনর নিযুক্ত করেন। আবু যারকে সত্য বলার জন্য নির্বাসনে পাঠান। ওয়ালিদ বাইতুল মালের অর্থে ইরাকে মদ্যপান ও নর্তকীদের আড্ডা জমাতো। মা আয়শা এর প্রতিবাদ করলে ওসমান তাকে নূহ্ ও লূতের স্ত্রীর সাথে তুলনার আয়াত (৬৬:১০) পড়ে অপদস্থ করেন। আল্লাহ্ (৪৭:৩৮) গনী (ধনী), কিন্তু যারা ওসমানকে সামনে রেখে বিজিত রাজ্য থেকে আসা বাইতুল মালকে লুটেছে তারাই বলত ওসমান গনী। ওসমান, আব্দুর রহমান ও ইবন আউফ গনী (ধনী) হয়েছিল। তালহা ও যুবাইর এতো ধনী হয়েছিল যে, তাদের দৈনিক আয় শত শত দিনার ছাড়িয়ে যায়। আব্দুর রহমান ইবন আউফ মোট ষাটটি বিবাহ করে। যারা খুব কম বিবাহ করেছে তাদের বিয়ের সংখ্যাও ডজনের কম ছিল না। আলীর ছেলে হাসান তার একচল্লিশ বছর জীবনে এক হাজারটি বিবাহ করে। যারা সবচেয়ে কম বলে, তাদের মতেও তার বিবাহ একশটি। রাসূল বলেছেন, ‘আমার পর তোমরা ইবন মাসউদের নিকট থেকে কুরআন গ্রহণ করবে। কিন্তু ওসমান নিজে তার উপর হাত তোলেন এবং অন্ডকোষে লাথি মারেন। সন্ত্রাসীদের তার উপর লেলিয়ে দেন, ফলে সে গণপিটুনীতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে মসজিদে নববীর বাইরে মৃত অবস্থায় ফেলা হয়। ওসমান বাইতুল মাল থেকে তার প্রাপ্য এবং পরিবারের ভাতাও বন্ধ করে দেন। অথচ ওসমান তার শাসনামলে মদিনায় তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের জন্য সাতটি প্রাসাদ নির্মান করেন। হাকামের কবরের উপর ওসমানই সর্বপ্রথম মদিনায় স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেন। প্রতিবাদী ন্যায়বিচার প্রার্থীরা প্রায় দু’মাস ওসমানকে গৃহে অবরুদ্ধ রাখে। তারপর দুই মিসরবাসী ৮২ বছর বয়স্ক ওসমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শেষ পর্যন্ত তিন দিন পর ওসমানের পচা লাশ জানাযা ছাড়াই আলীর নির্দেশে ইয়াহুদীদের গোরস্থানে রাতের অন্ধকারে মাটিচাপা দেয়া হলো। ওসমানের মৃত্যুর ছয় দিন পর আল্লাহর কিতাব অনুসারে শাসনকার্য পরিচানার জন্য আলীর কোরেশী ও হাসেমী ইমামাত আরম্ভ হয়। আবদুল্লাহ্ ইবন আউফের শর্ত ছিল ‘আল্লাহ্ ও রাসূলের আনুগত্যের পর আবু বকর ও ওমরের সুন্নাত অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। উত্তরে আলী বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের নিয়ম অনুসারে শফথ নিতে পারি কিন্তু আবু বকর ও ওমরের কোন সুন্নাত নেই। রাসূলের নিয়োগকৃত সেনাপতি উসামাহকে ধরে আনা হয় আলীর পক্ষ নেওয়ার জন্য। তিনি আগের মতই নিরপেক্ষ থাকতে চাইলে তাকে গণ পিটুনি দেওয়া হয়। নির্যাতিত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে জুরুফে চলে যান (এখানে রাসূল যুদ্ধের জন্য তার হতে পতাকা তুলে দিয়ে ছিলেন)। আলীকে আশারায়ে মুবাশশারার তালহা, যুবাইর ও সা’আদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস এবং মা আয়শা খলিফা হিসেবে গ্রহণ করেন নি। মা আয়শা আলীর বিরুদ্ধে সাত দিনের যুদ্ধের নেতৃত্ত্ব দেন। তাতে দু’বোনকে বিধবা করে দশ হাজার পিতামাতার নিবেদিত প্রাণ সন্তানকে হত্যা করে তাদের লাশ বানিয়ে ঘরে ফিরেন। উষ্ট্রের ঐ যুদ্ধে আলী বিজয়ী হলে গনিমতের মাল যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন হবে না বলে নির্দেশ দিলে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তখন আলী সর্বপ্রথম মা আয়শাকে বণ্টন করতে চান এবং বলেন, ‘তোমরা কে তাকে দাসী রূপে নিবে বল?’ পরে রমযান মাসের মসজিদের সালাত কায়েম করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় আততায়ীর রহমান ইবনে মুলজাম খারিজীর তরবারির আঘাতে আলী নিহত হয়। আর আলীর লাশ বস্তায় ভরে উটের পিঠে রেখে মরুভুমির মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হলে। তাই বলা হয় ‘উটের পিঠে আলীর কবর। আলীর মৃত্যুর পর মুয়াবিয়া ধীরমস্তিষ্ক, হিসেবী, নাস্তিক আরব ইসলামী এলাকার উপর রাজত্ব করেছিলেন। মুয়াবিয়া রাজা হয়ে মা আয়শার জন্য মোটা অঙ্কের ভাতা প্রদান করে। মারওয়ান অথবা তার মুয়াযযিন আবু হুরায়রা (বিড়ালের বাবা) মা আয়শার যানাযা পড়ে। মুয়াবিয়া ক্ষমতায় বসে প্রতিটি মসজিদে জুমা, ঈদে ও হাজ্জে আলীকে অভিশাপ করে খুৎবা চালু করে। আলীর কাছে বর্শার মাথায় ঝুলানো মুয়াবিয়ার সে দিনের কুরআন আজও মানব জাতির বুকে বর্শা হয়ে বিধছে। কারণ কুরআনের কথা বলা হয় কিন্তু কুরআনে কি আছে, কি করতে হবে তার দিক নির্দেশনা খলিফাদের আমল থেকে তেমন কিছু দেখা যায় না। রাসূলের মৃত্যুর পর আবু বকর, ওমর ও ওসমান নিজেদের মৃত্যু এড়াতে কেউ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে নি। মুয়াবিয়া মুসলিম রাষ্ট্রকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পরিণত এবং রাজতন্ত্রের সূচনা করে। খলিফাদের চাটুকারগণই তাদের নামের শেষে সিদ্দিকে আকবর, ফারুকে আযম, ওসমান গনী, মাওলা আলী, আয়শা সিদ্দিকা, খালিদ সাইফুল্লাহ্ ইত্যাদি নাম দিয়ে রাসূলের নামে অসংখ্য হাদিস তৈরি করেছিল। রাসূল আবু বকরের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ্। অথচ তিনি (বানানের ভুল হলে) আবু বকর (গরুর বাবা) হিসেবেই বিশ্বে অমরত্ব লাভ করেন। মুয়াবিয়া কতৃক মাইসুন ধর্ষিত হওয়ার ফলে ইয়াজিদের জন্ম হলে পরে ইয়াজিদের ছেলের নাম রাখা হয় দ্বিতীয় মুয়াবিয়া। আলীর ছেলে হাসান খোজেস্তানের রাজস্বের বিনিময়ে মুয়াবিয়ার হাতে বায়আত হয়ে তার নানার ইমামত খতম করে। রাসূলের অভিশপ্ত মনজুর ইবন যিব্বানের (সৎ মা-ছেলের দাম্পত্যে) সুন্দরী মেয়েকেও হাসান বিয়ে করে। ইয়াজিদ বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৩১৩ জনের মধ্যে জীবিতদের মধ্য থেকে বেছে বেছে প্রায় ৫০ জনকে হত্যা করে। মুসলিমদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও অন্যান্য ইমারত ধ্বংস করে। দশ হাজার মদিনাবাসীকে হত্যা করে, তিন থেকে পাঁচ দিন এবাহা (ধ্বংস যজ্ঞ চালানোর) ঘোষণা করে মদিনার আনসার ও মুহাজিরদের হাজার হাজার কুমারী মেয়েদের উপর রোমান ও খৃস্টানদের সাহায্য পুষ্ট সিরিয়ান সৈন্যদের দ্বারা ব্যভিচার ও গণধর্ষণ চালায়, যার ফলে ন্যূনপক্ষে এক হাজার কুমারী গর্ভবতী হয় এবং এক সপ্তাহের জন্য মসজিদে নববী ঘোড়ার আস্তাবলে পরিণত হয়। আবু সুফয়ানের পুত্র মুয়াবিয়া ও তার পুত্র ইয়াজিদ মক্কা ও মদিনার কেন্দ্রীয় গুরুত্বকে উৎখাত করে দামেস্কে রাজধানী স্থাপন করে। মদিনা ধ্বংসের পর দুইমাস মক্কা অবরোধ করে রাখে এবং তারা কা’বাতে অগ্নিসংযোগ করে। ফলে কা’বার কৃষ্ণপাথর ত্রিখন্ডিত হয়। আবু সুফয়ানের জারজ সন্তান যিয়াদের পুত্র ইবন যিয়াদই ইয়াজিদের প্রথম বছরে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায়, ইয়াজিদের নেতৃত্ত্বে দ্বিতীয় বছরে মদিনার ধ্বংস সাধন করা হয় এবং তার সৈন্যদের দ্বারা তৃতীয় বছরে কা’বা বিধ্বস্ত করে। সিরিয়ার সৈন্যবাহিনী মক্কা বিধ্বস্ত করার সময় মদ্যপ ও ব্যভিচারী ইয়াযীদ বাঁদর নিয়ে খেলতে খেলতে ঘোড়ার উপর থেকে পড়ে ঘাড় ভেঙ্গে মারা যায়। তখন শিয়া এবং সুন্নি সম্প্রদায়ের জন্ম হয়। আর ৮:৪১ আয়াতের গনিমাত বা গনিমার অর্থাৎ অর্জিত বা বৈধভাবে উপার্জিত অর্থের এক-পঞ্চমাংশ নিয়মিত রাষ্ট্রীয় তহবিলে জমা না দিয়ে সুন্নিরা ৬ খাতের প্রথম ৩ খাত বাদ দেয়, ফলে ৫ এর অর্ধেক আড়াই হয়। পরে বছর শেষে ২.৫% যাকাত দেওয়ার প্রচলন করে। অন্য দিকে শিয়ারা তাদের উপার্জিত অর্থের এক-পঞ্চমাংশ যাকাত হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দেয় তবে তা বছর শেষে। মুসলিম জাতি বিভক্ত হয়ে তাদের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা ধ্বংস করে। সু-প্রিয় পাঠক! উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যার জন্য ‘লিসান আল আরব’ গ্রন্থ দেখতে পারেন। আবু বকর থেকে আরম্ভ করে মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের চাটুকাররা রাসূলের নামে কোরেশী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যত প্রকার মিথ্যা হাদিস তৈরি করেছিল সেসব মিথ্যা আর কিছু সত্য বুখারী-মুসলিমরা সংগ্রহ করে। মুসলিমরা কুরআন বর্জন করে রাজাবাদশাদের তৈরি ফতুয়া আর মিথ্যাবাদী কোরেশদের তৈরি মিথ্যা হাদিসের অনুসরণ করে। ধর্ম নিরপেক্ষ শাসক আব্দুল মালিক জেরুজালেমে ‘কুব্বাতুল সাখরা বা প্রস্তর গম্বুজ মসজিদ তৈরি করে সেখান হজ্জ অনুষ্ঠানের আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি ৮৬ হিজরীতে মৃত্যুবরন করেন। শিয়া-সুন্নীদের মত আরও বহু দলে বিভক্ত হলে মুসলিমদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা শুরুহয়। সপ্তম শতাব্দির প্রথম নাস্তিক খলিফা উমাইয়া বিভিন্ন কারণে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। প্রথম ওয়ালিদ খলিফা হলে মক্কা, মদিনা, কুফা ও বসরা কুরআন-হাদিস চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়। তিনি দামেশ্কে কেন্দ্রীয় মসজিদ, মদিনয়া নবীর মসজিদ ও জেরুজালেমের আকসা মসজিদ পুননির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। ওমর বিন আব্দুল আযীয (দ্বিতীয় ওমর) (৭১৭-৭২০) ক্ষমতায় বসে মুয়াবিয়া প্রবর্তিত শুক্রবারের সালাতের খুৎবায় আলীর পরিবারের প্রতি অভিশাপ দেওয়ার প্রথা বাতিল করেন। ছিনিয়ে নেওয়া ‘ফিদাক’ ফলের বাগান নবী পরিবারকে ফেরত দেন। তিনি কর প্রথা রহিত করে যাকাত প্রথার প্রচলন করা শুরু করেন এবং আরব-অনারব, শিয়া-সুন্নীসহ সকল ভিন্নমতাবলম্মীদের মধ্যকার বিরোধ ও বিভ্রান্তি দূর করেছিলেন।
‘বিশ্ব চলছে ইঞ্জিলের বিকৃত আইনে!কুরআনে আছে কি?’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।

কুরআনে ‘নবীদের নামের আগে ‘সালামুন আলা’

কুরআনে ‘নবীদের নামের আগে ‘সালামুন আলা, প্রচলিত রয়েছে আগে ইঞ্জিল ও পরে তৌরাতের অনুসরণ (হযরত ও আঃ)!

কুরআনে দেখুন, ‘সালামুন আলা নূহীন ফিল আলামীন (সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নূহের উপর শান্তি বর্ষিত হোক);-৩৭:৭৯। একই ভাবে ‘সালামুন আলা ইব্রাহীম;-৩৭:১০৯। ‘সালামুন আলা মূসা ওয়া হারুণ;-৩৭:১২০। ‘সালামুন আলা ইল্য়াসীন;-৩৭:১৩০। ‘সালামুন আলাল্ মুরসালিন;-৩৭:১৮১। [‘দীন ইসলামের অধিকাংশ বিভ্রান্ত আলেমগণ ইঞ্জিল ও তৌরাতের বিকৃত আইন অনুসারে বলেন,] ‘হযরত ইব্রাহীম বা হযরত ইব্রাহীম (আঃ), হযরাত মূসা বা হযরত মূসা (আঃ), হযরত হারুণ বা হযরত হারুণ (আঃ), হযরত নূহ বা হযরত নূহ (আঃ), হযরত ইলয়াসীন বা হযরত ইলয়াসীন (আঃ) ইত্যাদি।]

কুরআনে দেখুন, ‘এ অবশ্যই এক মহিমময় কিতাব কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না- অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়;-৪১:৪১, ৪২। [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে কোন নবী বা রাসূলের নামের আগে হযরত বা নামের পরে (আঃ) যোগ করা যাবে না। আল্লাহ্ আরও বলেন,] ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না;-২:৪২। ‘তোমরা কেন সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত কর এবং সত্য গোপন কর, যখন তোমরা জান?;-৩:৭১।

ইঞ্জিলে দেখুন, ‘নবী-রাসূলদের নামের আগে হযরত লেখা হয়েছে। যেমন- হযরত আদম-৪০৭ পৃ:, হযরত ইব্রাহিম-৪৯৮, ৭২৭, ৭২৯, ৭৩০, ৭৩৫, ৭৩৮ পৃ:, হযরত ঈসা-৭৩৫ পৃ:, হযরত-মরিয়ম-১৩৮, ৭২৮ পৃ:, হযরত আইয়ুব-৭২৬ পৃ:, হযরত ইসমাইল-৭২৯ পৃ:, হযরত জাকারিয়া-১৩৮, ১৪৩ পৃ:, হযরত ইস্হাক-৭২৭, ৭২৯, ৭৩০ পৃ: হযরত ইয়াকুব-৫২, ১১৬, ৫৯০, ৬২২, ৬৬৮, ৭২৭, ৭২৯, ৭৩০ পৃ:, হযরত ইয়াহিয়া-১০, ২৬, ৮৪, ১৬৫, ১৬৪, ২৩১, ২৩৭, ৭৩৭ পৃষ্ঠায় দেখুন।

তৌরাতে দেখুন, ‘নবী-রাসূলদের নামের আগে হযরত ও পরে (আঃ) লেখা হয়েছে। যেমন – হযরত আদম (আঃ)-১০, ২১, ৫৮৭ পৃ:, হযরত নূহ (আঃ)-১০, ২৪, ৩০, ৫৭২ পৃ:, হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-১০, ২২, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৪০, ৪১, ৪৩, ৪৭, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭১, ৪০, ৫৭, ৫৭৩, ৫৭৪, ৫৮০, ৫৮৩, ৫৮৪ পৃ:, হযরত ইস্হাক (আঃ)-১০, ৪৬, ৬৪, ৬৫, ৫৭৪ পৃ:, হযরত ইদ্রিস (আঃ)- ৫ পৃ:, হযরত-যুলফিকল (আঃ)-৫৮৭ পৃ:, হযরত শু’আইব (আঃ)-২০৪ পৃ:, হযরত মূসা (আঃ)-৫, ৯, ১০, ১৫৭, ১৫৯, ১৬০, ১৬২, ১৬৪, ১৬৬, ১৬৭, ১৭১, ১৭২, ১৯৫, ২০৪, ২০৫, ২২২, ২৪৩, ২৫১, ৩৯১, ৩৯৮, ৪৩৭, ৪৬৫, ৪৭৬, ৪৭৭, ৪৮৪, ৪৯৫, ৫৫৪, ৫৬১, ৫৬১, ৪৬৬ পৃ:, হযরত হারুন (আঃ)-১৬৭, ১৭১, ১৭৩, ২৪২, ৩৫৫, ৪০২, ৪১২, ৫৭৩, ৫৮৭ পৃ:, হযরত লুত (আঃ)-১২, ৩৭, ৫১, ৫২, ৫৪, ৫৭১, ৫৮৫, ৫৮৬ পৃ:, হযরত ইয়াকুব (আঃ)-১০, ৭১, ৮১, ৮২, ৮৪, ৯১, ৯৩, ৯৫, ৯৭, ৯৯, ১০০, ১০১, ১০২, ১০৫, ১৩৫, ১৪১, ১৪৩, ১৪৬, ১৫৩, ৫৭৪ পৃ: হযরত ইউসুফ (আঃ)-১০, ১১৩, ১১৪, ১১৮, ১২০, ১২৩, ১২৪, ১২৫, ১২৭, ১২৮, ১৩৮, ১৪৩, ১৪৬, ১৫৫, ১৫৭, ৫৮৩ পৃষ্ঠায়।

[কুরআনে হযরত বা আঃ শব্দ দেখা যায় না। দীন ইসলামের বিভ্রান্ত আলেমগণ কুরআনে উল্লেখিত ‘সালামুন আলা ইবরাহীম (৩৭:১০৯) বা, ‘সালামুন আলা মূসা (৩৭:১২০) অথবা ‘সালামুন আলা ইলয়াসীন (৩৭:১৩০) না বলে ইঞ্জিল ও তৌরাত অনুসারে বলেন, ‘হযরত ইবরাহীম (আঃ) বা, হযরত মূসা (আঃ) অথবা হযরত ইলয়াসীন (আঃ) বলেন।]

কুরআনে ‘মানুষের প্রশ্নের জবাব আল্লাহ্ দিয়েছেন, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূল দিয়েছেন!

১১. কুরআনে ‘মানুষের প্রশ্নের জবাব আল্লাহ্ দিয়েছেন, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূল দিয়েছেন!
কুরআনে দেখুন, ‘লোকে তোমাকে নূতন চাঁদ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময়-নির্দেশক … (২:১৮৯)। ‘লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে তারা কি ব্যয় করবে। বল, ‘যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন এবং মুসাফিরদের জন্য… (২:২১৫)। ‘লোকে তোমাকে রজঃস্র্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, তা অশুচি। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী-মিলন করবে না … (২:২২২)। ‘লোকে তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘এর জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে…. (৩৩:৬৩)। অন্যান্য বিষয় (২:২১৭; ২:২১৯; ১৭:৮৫; ১৮:৮৩; ২০:১০৫ আয়াত)। [আল্লাহ্ রাসূলকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, রাসূল তা মানুষের নিকট প্রচার করেছেন কি?]

প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘এক বেদুইন এসে বলল, ‘আমি চাঁদ দেখেছি। … রাসূল লোকদের মধ্যে ঘোষণা করে দিলেন তারা যেন সিয়াম সাধনা করে (আবূ দাঊদ, তিরমিযি, ইবনু মাযাহ ও দারেমী);-মেশকাত-৪/১৮৮১। ‘এক ব্যক্তি কিছু অর্থ ব্যয় সম্বন্ধে রাসূলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘তা ব্যয় করবে নিজের জন্য, … তোমার সন্তানের জন্য, … তোমার পরিবারের জন্য, … তোমার খাদেমের জন্য … এবং এর পর তোমার যেখানে ইচ্ছা ব্যয় করবে (ইবনু মাযাহ ও নাসাঈ);-মেশকাত-৪/১৮৪৪। ‘যখন কোন ব্যক্তি রজঃস্রাব অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংগম করবে সে যেন অর্ধ দিনার দান করে (তিরমিযি);-মেশকাত-২/৫০৮। ‘অনেক বেদুইন জিজ্ঞাসা করত, ‘কিয়ামত কখন ঘটবে? তখন তিনি তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের দিকে তাকিয়ে বলতেন, এ বালকটি যদি জীবিত থাকে, তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই তোমাদের মধ্যে কিয়ামত নেমে আসবে (বুখারি-মুসলিম)-মেশকাত-১০/৫২৭৮। [হাদিস অনুসারে রাসূল আল্লাহর একটি নির্দেশও প্রচার করেন নি। আসলে কি তাই?]

.

Fm fbfd

কুরআন ও কুরআনের সাথে যে সকল হাদিসের মিল আছে তা মানবেন

২. কুরআন ও মানব রচিত মুসলিমে ‘সকল সমস্যার সমাধান আছে কুরআনে

কুরআনে দেখুন, ‘কিতাবে কিছুই আমি বাদ দেইনি (৬:৩৮)। ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অণু পরিমাণও তোমার রবের অগোচর নয় এবং তা অপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহত্তর কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই (১০:৬১; ৩৪:৩)। ‘সুস্পষ্ট কিতাবে সব কিছুই আছে (১১:৬)। ‘আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন রহস্য নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই (২৭:৭৫)। ‘আমি তো মানুষের জন্য এ কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়েছি (১৭:৮৯; ১৮:৫৪; ৩৯:২৭)। [দীনের সকল বিষয়ই কুরআনে থাকলে দীন ইসলামকে বোঝার জন্য অন্য গ্রন্থের প্রয়োজন আছে কি?]
মুসলিমে দেখুন ‘‘কুরআন হলো তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে প্রমাণ (মেশ্কাত-২/২৬২)। ‘কিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে কুরআন এবং তার পাঠকদের যারা কুরআন অনুযায়ী আমল করত (মেশকাত-৫/২০১৯)। ‘শীঘ্রই দুনিয়াতে ফ্যাসাদ আরম্ভ হবে। তা হতে বাঁচার উপায় আল্লাহর কিতাব, তাতে তোমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের খবর রয়েছে এবং তোমাদের মধ্যকার বিতর্কের মীমাংসা। এ সত্য মিথ্যার প্রভেদকারী এবং নিরর্থক নয়। যে অহংকারী তাকে ত্যাগ করবে আল্লাহ্ তার অহংকার চূর্ণ করবেন; যে এর বাইরে হেদায়াত তালাশ করবে আল্লাহ্ তাকে গোমরাহ্ করবেন। এ হলো আল্লাহর মজবুত রজ্জু, প্রজ্ঞাময় যিকির এবং সত্য সরল পথ। এর অবলম্বনে বিপথগামী হয় না প্রবৃত্তি, কষ্ট হয় না তাতে জবানের। বিতৃষ্ণ হয় না তা হতে জ্ঞানীগণ। পুরাতন হয় না তা বারবার পাঠে। অন্ত নেই তার বিস্ময়কর তথ্য সমূহের। তা শুনে স্থির থাকতে পারেনি জিনরা এমন কি বলে উঠেছে তারা; ‘শুনেছি আমরা এমন এক বিস্ময়কর কুরআন, যা সন্ধান দেয় সৎপথের। অতএব, ঈমান এনেছি আমরা তার ওপর।’ যে তা বলে – সত্য বলে, যে তার সাথে আমল করে – পুরস্কার প্রাপ্ত হয়, যে তার সাথে বিচার করে – ন্যায় করে এবং যে তার দিকে ডাকে – সত্য সরল পথের দিকে ডাকে (তিরমিযি ও দারেমী);-মেশ্কাত-৫/২০৩৫। [উক্ত হাদিস অনুসারে কুরআনই দীনের একমাত্র দলিল নয় কি?] 
কুরআন ও হাদিসের মধ্যে তুলনা করুন। কুরআন ও কুরআনের সাথে যে সকল হাদিসের মিল আছে তা মানবেন, না কুরআন বিরোধী হাদিস মানবেন, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিন। ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ বই¬টি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

যখন কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহ্র শরণ নিবে

Amirul Islam

৪৮. কুরআনে ‘কুরআন পাঠে প্রার্থনা, বুখারি-মুসলিমে ‘রাগ বিতাড়নের দু’আ!

.

কুরআনে দেখুন, ‘যখন কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহ্র শরণ নিবে, নিশ্চয়ই তার কোন আধিপত্য নেই তাদের ওপর যারা ঈমান আনে ও তাদের রবের ওপর নির্ভর করে। তার আধিপত্য তো কেবল তাদেরই ওপর যারা তাকে আঊলিয়ারূপে গ্রহণ করে এবং যারা আল্লাহ্র শরিক করে (১৬:৯৮-১০০)। [কুরআন পাঠের আগে আল্লাহ্ বলেন,] বল, ‘রাব্বি আঊযূবিকা মিন হামাযাতিশ্ শাইয়াতীন, ওয়া আঊযূবিকা রাব্বি আয়ইয়াহ্ দূরূন (আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে, আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতে);-২৩:৯৭-৯৮। [কুরআন পাঠের আগে মানব রচিত প্রার্থনা আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে কি?]

(Seek Refuge From Satan

 “When you read the Qur’an, you shall seek refuge with God from Satan the outcast. He has no authority over those who believe, and who put their trust in their Lord. His authority is over those who follow him, and set him up as a partner.” (16:98-100)

Before moving on to the next step in the Salat (reciting from the Scripture), it is advisable to seek God’s help against the interferences of the devil. Such imploring may take the form of a general call for assistance, or, by reciting from the words and verses in the Scripture which implore God’s help against the whispers of the devil (see 114:1-6).-FREE MIND)

.

বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘আমি (রাসূল) এমন একটি বাক্য জানি যদি সে তা বলে তবে তার রাগ চলে যাবে, তা এ-ই ‘আঊযূবিল্লাহি-মিনাশ্-শায়তানির- রাযীম (আমি আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই বিতাড়িত শয়তান হতে (মেশকাত-৫/২৩০৬)। [শয়তানের আধিপত্য মুশরিকদের (১৬:১০০) ওপর। আল্লাহ্র কোন শরিক (৬:১৬৩) নেই। তাহলে বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম কুরআন পাঠের আগে যা বলে তাতে তারা মুশরিক নয় কী?]

.

‘যারা কুরআন বিরোধী হাদিস মানেন দয়া করে তারা কোন মন্তব্য করবেন না। যদি মন্তব্য করতেই হয় তবে  ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থে ২৫২ টি কুরআন বিরোধী বিষয়ের হাদিস পড়ার পর মন্তব্য করুন। বই¬টি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

Miraj in Bukhari Play

Saitya Amirul Islam

কুরআনে ‘মূসা নবীর রজনীতে ভ্রমণ একবার, বুখারি-মুসলিমে ‘মুহাম্মাদের উর্ধ্ব গমন (মিরাজ) তিনবার!

কুরআনে দেখুন, ‘পবিত্র ও মহিমময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীযোগে ভ্রমন করায়েছিলেন মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম ও তাকে করেছিলাম বনী ইসরাঈলের জন্য পথ-নির্দেশক (১৭:১-২) সূরা-১৭, বনী ইসরাঈল, আয়াত: ১-২ ।
 [উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ্ মূসা নবীর রজনীযোগে ভ্রমণের এবং একটি স্থানের বরকতময় পরিবেশের উল্লেখ করেছেন।]
স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন মূসা তার পরিবারবর্গকে বলেছিল, ‘আমি আগুন দেখেছি, … … অতঃপর সে যখন তার নিকট আসল, তখন ঘষিত হলো, ‘ধন্য, যারা আছে এই আলোর মধ্যে এবং যারা আছে এর চতুষ্পার্শ্বে, জগতসূহের রব আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত! (২৭:৭-৮); সূরা-২৭, নামল, আয়াতঃ ৭-৮।
উপরো্ক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ নবি ‘মুহাম্মাদের উর্ধ্ব গমন (মিরাজ) এবং পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত থেকে কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করার কথা বলেছেন কি?

 

বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল তিন বার মে’রাজে গিয়েছেন। 

    ১. ‘(রাসূল) নিকটতম আসমানে আদম, দ্বিতীয় আসমানে ইয়াহ্ইয়াহ ও ঈসা, তৃতীয় আসমানে ইউসূফ, চতুর্থ আসমানে ইদ্রীস, পঞ্চম আসমানে হারূন, ষষ্ঠ আসমানে মূসা এবং সপ্তম আসমানে পিতা ইব্রাহীমের সাথে সাক্ষাত করেন। সেখানে ‘সিদরাতুল মুনতাহার (বরই গাছের) নিকট (মিশরের) নীল এবং (ইরাকের) ফোরাত নদী দেখতে পান। ফিরে আসার সময় মূসা নবির নির্দেশে আল্লাহর নির্ধারিত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত হতে চার বারে চল্লিশ ওয়াক্ত এবং পঞ্চম বারে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কমিয়ে আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আদেশ করেছেন (মেশকাত-১১/৫৬১২)। [প্রশ্ন সাত আসমানের ওপর সিদ্রাতুল মুনতাহার (বরই গাছের) নিকট নীল নদ ও ফোরাত নদী থাকে কিভাবে?]

   ২. ‘মূসা নবীর পরামর্শে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত থেকে পাঁচ ওয়াক্ত করে নয় বার আলøাহ্র নিকট থেকে পঁয়তালিøশ ওয়াক্ত সালাত কমিয়ে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে (মেশকাত-১১/৫৬১৩)। ‘আলøাহ্র কথার রদবদল হয় না (৫০:২৯ আয়াত)। [ উক্ত আয়াত  অনুসারে আলøাহ্ মূসা নবীর নির্দেশমত নয়বার কথার রদবদল করতে পারেন কি?]

 

   ৩. ‘রাসূল মক্কায় থাকাকালীন এক রাত্রে তার ঘরের ছাদ বিদীর্ণ(?) করা হলো এবং জিবরিল অবতরণ করলেন। …‘রাসূল মূসা নবীর পরামর্শে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত থেকে কিছু কিছু করে মাফ করায়ে শেষে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আমাদের জন্য ফরয করেছেন (মেশকাত-১১/৫৬১৪)। [ওপরের বর্ণনায় রাসূলের মেরাজ তিন বার নয় কি?]
   [১১/৫৬১৬ নং হাদিসে দেখা যায় নবী মুহাম্মদ ঈসা, মূসা ও ইব্রাহীমসহ সকল নবীর ইমামতি করেছেন। ১১/৫৬১২ নং হাদিসে দেখুন, মুহাম্মাদের আগেই দ্বিতীয় আসমানে ঈসা, ষষ্ঠ আসমানে মূসা ও সপ্তম আসমানে ইব্রাহীম চলে গেছেন। রাসূল সালাতের ইমামতি করলেন; অথচ দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম আসমানে অবতরণ করলে মূসা, ঈসা ও ইব্রাহীম মুহাম্মাদকে না চেনার কারণ কি? মুহাম্মাদের উপরোক্ত আসমানে যাওয়ার আগেই মূসা, ঈসা ও ইব্রাহীম কোন বাহনে চড়ে দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম আসমানে গিয়েছিলেন? ]
আবূ দাঊদে দেখুন, ‘সালাত ছিল পঞ্চাশ ওয়াক্ত, নাপাকির গোসল ছিল সাতবার এবং কাপড় হতে পেশাব ধোয়াছিল সাতবার। আল্লাহরর দরবারে বারংবার অনুরোধ করতে থাকেন, ফলে সালাত করা হয় পাঁচ ওয়াক্ত, নাপাকির  গোসল করা হয় একবার এবং পেশাব হতে কাপড় ধোয়া করা হয় একবার (মেশকাত-২/৪১৪)।[ হাদিসে বর্ণিত বিষয় কুরআনে এসব আছে কি?]

‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থে দেখানো হয়েছে বিশ্বের মুসলিমদের সকল বিশ্বাস ও ধর্মানুষ্ঠান কুরাআন  বিরোধী। 

বই¬টি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

All about “Allahu-Akbar”

যারা আল্লাহ-কে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাদেরকে বর্জন করুন!

এরা আল্লাহর শত্রু, রাসূলের শত্রু, জাতির শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু!
‘আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেই সকল নামেই ডাকবে; যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করবে; তাদের কৃতকর্মের ফল দেওয়া হবে (৭:১৮০); সূরা-৭, আ‘রাফ, আয়াত-১৮০।
আল্লাহ বলেন-

১. বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ’ (নামে) ডাক বা ‘রাহমান’ (নামে) ডাক, তোমরা যে নামেই ডাক সকল সুন্দর নামই তো তাঁর (১৭:১১০); সূরা-১৭, বনী ইসলাঈল, আয়াত-১১০। 

[আল্লাহ নিজে যে সকল নাম বলেছেন দুনিয়ার সকল মানুষ আল্লাহর একটি নাম দিলে সে নাম কখনই আল্লাহর রাখা নাম থেকে সুন্দর হতে পারে না।]

আল্লাহ বলেন-

২. বল, ‘হাসবিইয়াল্লাহু (৯:১২৯; ৩৯:৩৮); সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-১২৯। সূরা-৩৯, যুমার, আয়াত-৩৮।

৩. বল, ‘… ‘আল্লাহুছ সামাদ (১১২:২); সূরা-১১২, ইখলাস, আয়াত-২।

৪. তারা বলত, ‘হাসবুনাল্লাহু (৯:৫৯); সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-১২৯।
আল-কুরআনুল করীম- ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এ ‘আকবার’ শব্দের অর্থ দেখুন- ইবরাহীম বলল, ‘হাযা আকবার [ইহা (সূর্য)  সর্ববৃহৎ) [(৬:৭৮); সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত-৭৮], ফাযাউল আকবার (মহাভীতি) [(২১:১০৩); সূরা-২১, আম্বিয়া, আয়াত-১০৩] 
আকবার শব্দের অর্থ দেখুন-

১. সর্ববৃহৎ (৬:৭৮); 

২. মহা (২১:১০৩);

৩. অধিক (২:২১৭, ২১৯; ৪০:১০); 

৪. শ্রেষ্ঠ (১৬:৪১; ৪৮); 

৫. সর্বশ্রেষ্ঠ (৬:১৯; ৯:৭২; ২৯:৪৫); 

৬. গুরুতর (২:২১৭; ৩:১১৮); 

৭. শ্রেষ্ঠতর (১৭:২১); 

৮. মহত্তর (১৭:২১); 

৯. কঠিনতর (৩৯:২৬; ৪০:৫৭; ৬৮:৩৩)। উক্ত অর্থানুসারে ‘আল্লাহু আকবার’ এর ৯টি ভিন্ন অর্থ হতে পারে। 
‘আল্লাহু আকবার’ যে আল্লাহর বিকৃত নাম তা কুরআন খুলে সূরা ও আয়াত নং মিলিয়ে দেখুন- ‘রিদ ওয়ানুম মিনাল্লাহি আকবার ( ৯:৭২), ‘ওয়ালি যিকরিল্লাহি আকবার (২৯:৪৫) ও ‘লামাকতুল্লাহি আকরব (৪০:১০)। এসব ক্ষেত্রে আল্লাহ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ডাকতেও বলেন নি।
আপনি কি পুরস্কার চান? 

তাহলে মুহসেনিন হোন আর বলুন- রাব্বুনাল্লাহু!

১.  ‘… … মুহসেনিনদের সুসংবাদ দাও। যারা বলে, ‘রাব্বুনাল্লাহু’ অতঃপর অবিচলিত থাকে, তাদের কোন ভয় নাই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে, তারা যা করত তার পুরস্কার স্বরূপ (৪৬:১২-১৪); সূরা-৪৬, আহকাফ, আয়াতঃ ১২-১৪। [মুহসেনিন তারাই যারা সালাত পড়ে এবং ইমামের নিকট (১৭:৭১) আয়ের ৫ ভাগের ১ ভাগ যাকাত (৩১:২-৫)।] 
আপনি কি পুরস্কার চান? 

তাহলে মুসলেমিন হোন আর বলুন- রাব্বুনাল্লাহু!

২. যারা বলে, ‘রাব্বুনাল্লাহু’ অতঃপর অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় মালাইকা (ফিরিস্তা) এবং বলে, ‘তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার জন্য আনন্দিত হও। ‘আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে। সেথায় তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেথায় তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমরা ফরমায়েশ কর।’ এ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন। কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা যে আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, ‘আমি তো মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত (৪১:৩০-৩৩); সূরা-৪১, হাম-মীম আস-সাজদা, আয়াতঃ ৩০-৩৩। [মুসলেমিন তারাই যারা সালাত পড়ে এবং ইমামের নিকট (১৭:৭১; ২১:৭৩) তাদের আয়ের ৫ ভাগের ১ ভাগ যাকাত হিসাবে প্রতিমাসেই জমা দেয়। দেখুন-২২:৭৮। মুসলিমরা কুরআনের সকল আয়াত বিশ্বাস করে (২৭:৮১; ৩০:৫৩ আয়াত)। `যারা আমেলূ সালেহ (সৎকর্ম) করে তারাই জান্নাতে যাবে (২:২৫, ৮২; ৪:৫৭, ১২২; ১৪:২৩;  ১৮:৩০-৩১; ২২:২৩; ২৯:৫৮; ৪৭:১২; ৬৪:৯; ৯৮:৭-৮ আয়াত)।]
আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার আয়াতসমূহকে বিকৃত করে তারা আমার অগোচর নয়। শ্রেষ্ঠ কে— যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে, না যে কিয়ামতের দিন নিরাপদে থাকবে সে? তোমাদের যা ইচ্ছা কর (৪১:৪০): সূরা-৪১, হা-মীম আস-সাজদা, আয়াত-৪০।
মুত্তাকীন, মুসলেমিন, মহসেনিন, সালেহিন- একই চরিত্রের তবে বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়েছে।

মুত্তাকীন ও মুহসেনিন একই চরিত্রের (৩৯:৩৩-৩৪ / ৩৯:৫৭-৫৮ / ৭৭:৪১-৪৪)।

সালাতের সাথে ইনফাক বা যাকাত নামে ব্যয় (২:২-৫ এবং ৩১:২-৫)।
মুত্তাকীন ও মুসলেমিন একই চরিত্রের (৪৩:৬৭-৬৯)।

যাকাত ছাড়াও অতিরিক্ত ব্যয় (২:১৭৭ এবং ২২:৭৮।।
সালেহীন ও মুহসেনিন একই চরিত্রের (৫:৮৪-৮৫)।

মুহসেনিন ইনফাক ও যাকাত নামে ব্যয়ে (৩:১৩৪ এবং ৩১:২-৫)।

আল্লাহ মুহসেনিনদের দু‘নিয়া ও আখিরাতে পুরস্কার দেন (৩:১৪৮)। 
সালেহুন- ‘যারা সদকা দেয় তারাই সালেহুন (৯:৭৫ ও ৬৩:১০)। যাকাতের অতিরিক্ত সদকা এবং সদকা স্বেচ্ছাধীন (৫৮:১২-১৩)। অবৈধ সকল সম্পদ (৯:১০২-১০৩)। ব্যয় হবে ৮ খাতে (৯:৬০)। সালেহুনদের প্রার্থনা আল্লাহ কবূল করেন (৫:৮৩-৮৫; ৩:১৪৭-১৪৮; ২৫:৭০, ৭৪-৭৬; ৪৬:১৩-১৬)।
আল্লাহ বলবেন, ‘আমি তো তোমাদের নিকট সত্য পৌঁছেছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিল সত্যবিমুখ (৪৩:৭৮); সূরা-৪৩, যুখরুফ, আয়াত-৭৮।

‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থের সর্বশেষ সংস্করণ থেকে সংকলিত।

এ গ্রন্থে দেখানো হয়েছে বিশ্বের মুসলিমদের সকল বিশ্বাস ও ধর্মানুষ্ঠান কুরআন বিরোধী।

বইটি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

.

source comments:-

https://m.facebook.com/groups/1805246912824708?view=permalink&id=1958257137523684

PART-I-✴Bangla book-blogspot  – সত্য কখনো গোপন থাকেনা✒contened by Aliahmed✒

PART-I-✴Bangla book-blogspot  – সত্য কখনো গোপন থাকেনা✴

(N. B- In every group linkis given below as ☑🔜)-✒contened by Aliahmed✒.

Saitya.. 

.

🌕1)- ১১৭. জিব্রাঈল (আঃ) এর সাথে মুহাম্মদ (দঃ) এর সাক্ষাত (শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজ)

🌕2)-১১৮. গান-বাদ্য.

☑🔜

http://sourcebd.blogspot.in/search?updated-max=2014-01-07T13:15:00%2B06:00&max-results=20&start=208&by-date=false&m=0
🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝

🌕3)- 107. Quran verses in Chronological Order. 

🌕4)- ১০৮. রিযিক.

🌕5)- ১১০. মসজিদ.

🌕6)- ১১২ কোরআনই অন্তর্দৃষ্টি বা বাছায়ের.

🌕7)-১১৩. প্রবৃত্তিকে আল্লাহর শরীক করা (শিরক).

🌕8)- ১১৪. রিযিক আসে আসমান থেকে.

🌕9)- ১১৫. মৃত্যুর পর প্রশ্ন.

🌕10)- ১১৬. ঈমান.

☑🔜

http://sourcebd.blogspot.in/search?updated-max=2014-01-22T16:57:00%2B06:00&max-results=20&reverse-paginate=true&m=0
🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝

🌕11)- ৮৭. মানুষ কে?

🌕12)- ৮৮. না বুঝে কোরআন পড়া.

🌕13)- ৮৯. দ্বীনের (জীবন পদ্ধতি) ব্যাপারে জোর জবরদস্তি.

🌕14)- ৯০. যারা কোরআন মেনে সৎকাজ করেছে.

🌕15)- ৯১. যারা দুনিয়ার জীবনের দ্বারা প্রতারিত এবং আখেরাত ও আল্লাহর আয়াতের অস্বীকারকারী.

🌕16)- ৯২. আল কোরআনে সবকিছু বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা আছে (কোরআনের তাফসীর বা ব্যাখ্যা).

🌕17)- ৯৩. ইলম, হুদা ও রহমত হচ্ছে আল কোরআন.

🌕18)➡৯৪. মুনাজাত বা দোয়া বা প্রার্থনা.

🌕19)- ৯৫. বিতর্কের ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমান হতে হবে কোরআনের (দলিল আল্লাহর নাজিল করা কিতাব).

🌕20)- ৯৬. যেমন কর্ম তেমন ফল.

🌕21)- ৯৭. যাদের সকল কাজ ব্যর্থ.

🌕22)- ৯৮. রাসূলের আনুগত্য.

🌕23)- ৯৯. মূসা (আঃ) এর সংগীদের অবস্থা.

🌕24)- ১০০. আল্লাহর আয়াত অনুসরন না করা জালেমদের অবস্থা.

🌕25)- ১০১. রাসূলদের এবং তাঁদের অনুসারীদের আল্লাহর আয়াত পৌছিয়ে দেবার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে.

🌕26)- ১০২. কোরআন অস্বীকারকারীরা জালেম আর তাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে.

🌕27)- ১০৩. খুব কম লোকই কোরআন মানবে.

🌕28)- ১০৪. অনুসরন করতে হবে একমাত্র কোরআনের.

🌕29)- ১০৫. রাসূলের দায়িত্ব কোরআন দিয়ে মানুষকে সতর্ক করা, যিকির হচ্ছে কোরআন.

🌕30)- ১০৬. ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা, হুজুর, বুজুর্গ, আলেম, ওলামা, দরবেশ, পীর-ফকির, রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে.

☑🔜 http://sourcebd.blogspot.in/search?updated-max=2014-01-23T12:20:00%2B06:00&max-results=20&reverse-paginate=true&m=0

🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝

🌕31)- ৭৮. হেদায়াত বা হুদা, আল্লাহ কর্তৃক সংরক্ষিত, সীরাতুল মুস্তাকীম, সর্বোত্তম জিহাদ, আল্লাহর রজ্জু.

🌕32)- ৮০. মানবজাতির অধিকাংশ লোকই ফাসেক.

🌕33)- ৮১. আলহামদুলিল্লাহ (প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য), সূরা ফাতিহা/২.

🌕34)- ৮২. দুনিয়ার আকর্ষন.

🌕35)- ৮৩. নামায কায়েম করা.

🌕36)➡84. Names and Attributes of the Quran. Not should be use for any other.

(A list of 54 names and attributes of the Quran).

🌕37)- ৮৫. পর্দা.

🌕38)- ৮৬. ইসলামের নামে পৃথক দল বানানো বা দলাদলি করা.

☑🔜 http://sourcebd.blogspot.in/search?updated-max=2014-02-13T13:12:00%2B06:00&max-results=20&reverse-paginate=true&m=0

🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝

🌖39)- ৫৭. কোরআনের বক্তব্য পরিবর্তন করার অধিকার কারো নেই (নবী (দঃ) কে শাস্তির হুমকি).

🌖40)- ৫৮. রাসূল (দঃ) এর সাথে কি আচরন করা হবে তিনি তা জানেন না.

🌖41)- ৫৯. কোরআন ছাড়া অন্য কথা আল্লাহর বলে চালিয়ে দেয়া (ঘাঁড়ের রগ কেঁটে দেয়ার হুমকী).

🌖42)- ৬০. রূহ.

🌖43)- ৬২. আল্লাহর করা কিছু বিধি-নিষেধ (হারাম).

🌖44)- ৬৩. হাশরের ময়দানে আল্লাহর একমাত্র জিজ্ঞাসা.

🌖45)- ৬৪. রাসূল (দঃ) কি জীবিত না মৃত?.

🌖46)- ৬৫. রাসূল (দঃ) কি গায়েব বা অদৃশ্যের খবর জানতেন?

🌖47)- ৬৬. রাসূল (দঃ) নূরের তৈরী নাকি মাটির তৈরী.

🌖48)- ৬৭. সালাত মাঝামাঝি স্বরে পড়া আবশ্যক.

🌖49)- ৬৮. রাসূলগণ যদি উম্মতের মনের খবর না জানেন তাইলে সুপারিশ করবেন কিভাবে?

🌖50)- ৬৯. নিজে বাঁচলে বাপের নাম.

🌖51)- ৭০. মূর্খদের তথা যাদের কোরআনের জ্ঞান নেই তাদের সাথে বিতর্ক.

🌖52)- ৭১. ইলম তথা কোরআন ছাড়া অন্য কারো দ্বারস্থ না হওয়া.

🌖53)- ৭২. একমাত্র অহীর অনুসরন করতে হবে.

🌖54)- ৭৩. কোরআন ছাড়া রসূল (দঃ) এর আর কোনো মোজেযা বা অলৌকিক নিদর্শন ছিল না.

🌖55)- ৭৪. যারা দুনিয়াকে অধিক ভালবাসে তারাই ফাসেক (দুনিয়ার আকর্ষন বা প্রেম বা ভালোবাসা).

🌖56)- ৭৫. দুনিয়ার জীবনের মূল্য.

🌖57)- ৭৬. বেশীরভাগ আলেমদের অবস্থা, সম্পদ জমা করা.

🌖58)- ৭৭. কোরআন কেন হৃদয় মনে বদ্ধমূল হয় না?

☑🔜 http://sourcebd.blogspot.in/search?updated-max=2014-02-16T13:04:00%2B06:00&max-results=20&reverse-paginate=true&m=0

🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝

🔶59)- ৩৬. হাদীস.

🔶60)- ৩৭. সাফায়াত বা সুপারিশ.

🔶61)- ৩৮. কিতাব.

🔶62)- ৩৯. বর্তমান ইসলামী আন্দোলনের যেন বাস্তব চিত্র.

🔶63)- ৪০. রাসূল (দঃ) এর পরিচয়.

🔶64)- ৪১. কবি ও কবিতা.

🔶65)- ৪২. দুনিয়াপুজারী ব্যক্তির উদাহরন কুকুরের মতো যে কোরআনের অনুসরন করতে সক্ষম হবে না.

🔶66)- ৪৩. শয়তান তোমাদের দারিদ্রের ভয় দেখায়.

🔶67)- ৪৪. অজু, গোসল, তায়াম্মুম.

🔶68)➡৪৫. সালাত বা প্রার্থনা

(প্রার্থনা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য).

🔶69)- ৪৬. অধিকাংশ লোকই খারাপ.

🔶70)- ৪৭. পবিত্র কোরআনে নবী রসূলগণের গল্প বলার উদ্দেশ্য.

🔶71)- ৪৮. হক্ব বা সত্য হচ্ছে কোরআন.

🔶72)- ৫০. আল্লাহর নাজিল করা আয়াত ছাড়া কোনো কিছু হারাম বা হালাল করা যাবে না.

🔶73)- ৫১. বিপদ আপদ.

🔶74)- ৫২. পবিত্র কোরআনে বর্নিত মুমিনদের ৩০টি গুন.

🔶75)- ৫৩. কোরআনের জ্ঞান আসার পর তা না মানা ও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট থাকার ফল.

🔶76)- ৫৪. আল্লাহর আয়াত মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া ফরজ.

🔶77)- ৫৫. আল্লাহর নাজিল করা আইন ছাড়া বিচার/ফায়সালা করা যাবে না.

🔶78)- ৫৬. রাসূল (দঃ) কে তার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে.

☑🔜 http://sourcebd.blogspot.in/search?updated-max=2014-02-19T17:44:00%2B06:00&max-results=20&reverse-paginate=true&m=0

🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝

Contd.. PART-II-ALIA. 

🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝🔝