আবদুল ওহাব নজদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়।

😡ওহাবীদের চিন্তাধারা কতটা নোংরা এবং রাসূল পাক সঃ এর বিদ্বেষী একবার পড়ে দেখুন।
আবদুল ওহাব নজদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়।😡

🚫আব্দুল ওয়াহাব নজদীর মতবাদে যারা বিশ্বাস করে,,তারাই হলো ওয়াহাবী।।
🚫কিন্তু কে এই ওয়াহাব নজদী??
🚫কিই বা তাহার মতবাদ?
☕আসুন সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।।
🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝🏝
বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত আছে, আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্নিত,,রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আমার
ওফাতের পর নজদ হতে শয়তানের তীক্ষ্ণধারার দুটি শিং বের হবে।।
উক্ত দুটি শিংয়ের মধ্যে ওয়াহাব নজদীকে
শয়তানের দ্বিতীয় শিং হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়।এই ঘৃণিত ব্যক্তিটি আবু বকর সিদ্দিক(রাঃ)খেলাফতের এগারশত বছর পর আবির্ভূত হয়।বহু কালের প্রতিষ্ঠিত ইসলামের মুল কাঠামোতে এই ব্যক্তি প্রবল ঝাকুনি দেয়। সে সমগ্র
আরব ভূখণ্ডে
তোলপাড় ও ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে।।
তার মতবাদগুলো ছিলঃ
১ / প্রিয় নবীজী (সঃ) এর রওজা শরীফ জিয়ারত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি এই নিষেধ অমান্য করবে, তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তার হুকুম অমান্য করায় লোক মারফত জিয়ারতকারীর মাথা ও দাড়ি
মুড়ায়ে দেয়।।
২/ আযানের মধ্যে মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্য উচ্চারণ করা যেনার অপেক্ষা বড় অপরাধ। তার বাসস্থান সংলগ্ন এক মসজিদ থেকে আযানের সময়
উক্ত বাক্য উচ্চারণের কারনে মুয়াজ্জীনকে ধরে এনে প্রকাশ্যে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়।
৩/ কোরআন বুঝার জন্য কোন তাফসীর কিতাবের প্রয়োজন নাই,, যে যার মতো কুরআনের ব্যাখ্যা করতে পারবে। উক্ত ঘোষণার পর তার নেতৃত্বে
ফিকাহ্ তাফসীর ও হাদীস গ্রন্থসমূহ পুড়িয়ে দেয়া হয়।
৪/ রাসূলুল্লাহ (সঃ) মরে মাটির সাথে মিশে
গেছে, কাজেই তাকে কেউ দরূদ ও সালাম প্রেরণ করবে না, ইহা সকলের জন্য নিষিদ্ধ।
৫/ চার ইমাম কিছুই নয়। তাদের মাজহাব বাতিল। কেননা তাঁরা দিশেহারা ছিলেন।
৬/ হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন ডাক পিয়নের মত।
৭/ হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর হাতে যত মুশরিক বিভিন্ন যুদ্ধে শহীদ হয়েছে, আল্লাহ বিশ্বাসী হওয়ার কারনে তারা সবাই জান্নাতে যাবে।
৮/ যারা ওয়াহাবী আকিদায় বিশ্বাসী হবে না, তাদের মাল সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া ও তাদের হত্যা করা জায়েজ হবে।
৯/ ওয়াহাবী আকিদায় অনুপ্রবেশের ধারা ছিল এইঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
আমি এতদিন কাফের ছিলাম এবং আমার মাতা পিতা /দাদা দাদী সকলে কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।
১০/ আজ হতে আর কেউ আজান ও নামাজের শেষে দোয়া করবে না।
১১/ আওলিয়া কেরামের মাজার গুলো ভেঙে তদস্থলে পায়খানা নির্মাণ করা উত্তম। নজদীরা উক্ত আকিদার বাস্তবায়নের জন্য এহসা প্রদেশের পবিত্র মাজারগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেয় এবং এবং তারই মেয়ের জামাতা সৌদি প্রথম ওহাবী সরকার হযরত মা ফাতেমা রাঃ সহ সকল বিখ্যাত সাহাবীদের রওজা মোবারক বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। যা আজও বিদ্যমান রয়ে গেছে। ( নাউজুবিল্লাহ )।
ফতওয়ায়ে “শামী, ইশয়াতে হক্ব,ওহাবীদের ইতিহাস, ওহাবীদের উৎপত্তি, সাইফুল মাযহাব, মাযহাব কি ও কেন, সাইফুল জাব্বার” ইত্যাদি কিতাবে মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় সম্পর্কে এইভাবে বর্ণিত আছে। সংগৃহীত

https://www.facebook.com/100024127759217/posts/pfbid076Dbk2ALUyeXs1g38Pi8CtSwZ7QdGZrM2Kg9GStLya6D1qAxfw9FgEF4MPZjDTGFl/SourceFbLink

কোৰআনৰ দোৱা, বাংলা

কুরআনুল কারীম থেকে প্রার্থনামূলক আয়াত:
কুরআন থেকে দোয়া: ১

اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ. صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।'[কুরআন ১:৬-৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ২

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।'[কুরআন ২ :১২৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে তোমার অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর, আমাদের ইবাদাতের নিয়ম-কানুন বলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু।'[কুরআন ২ : ১২৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান করো এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করো এবং আমাদিগকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করো।'[কুরআন ২ : ২০১]
কুরআন থেকে দোয়া: ৫

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ, আর কাফির জাতির বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর।'[কুরআন ২ : ২৫০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৬

رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।’
[কুরআন ২ : ২৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ৭

رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছিলে।’
[কুরআন ২ : ২৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ৮

رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমিই আমাদের প্রতিপালক। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে করো।’
[কুরআন ২ : ২৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ৯

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।'[কুরআন ৩ : ৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ১০

رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।’ [কুরআন ৩ : ৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ১১

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।’
[কুরআন ৩ : ১৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ১২

رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা সে বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও।’ [কুরআন ৩ : ৫৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৩

ربَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফিরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর।'[কুরআন ৩ : ১৪৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৪

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও।'[কুরআন ৩ : ১৯১]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৫

رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করবে, তাকে অবশ্যই তুমি অপমান করবে; আর জালিমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই।'[কুরআন ৩ : ১৯২]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৬

رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি।'[কুরআন ৩ : ১৯৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৭

رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।'[কুরআন ৩ : ১৯৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ১৮

رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসূলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা ভঙ্গ করো না। ৩ : ১৯৪
কুরআন থেকে দোয়া: ১৯

رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনলাম, অতএব, আমাদেরকেও মান্যকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও।'[কুরআন ৫ : ৮৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ২০

رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আকাশ থেকে খাদ্যভর্তি খাঞ্চা অবতরণ করুন। তা আমাদের প্রথম ও পরবর্তী সবার জন্যে আনন্দোৎসব হবে এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন হবে। আপনি আমাদের রুযী দিন। আপনিই শ্রেষ্ট রুযীদাতা।'[কুরআন ৫ : ১১৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ২১

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।'[কুরআন৭:২৩]
কুরআন থেকে দোয়া: ২২

رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ জালিমদের সাথী করো না।'[কুরআন ৭ : ৪৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৩

رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আর আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করে দাও। আপনিই শ্রেষ্টতম ফয়সালাকারী।'[কুরআন ৭ : ৮৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৪

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দান কর।'[কুরআন ৭ : ১২৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৫

رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জালিমদের নির্যাতনের পাত্র করোনা। আর তোমার অনুগ্রহে আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো।'[কুরআন ১০ : ৮৫-৮৬]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৬

رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপন করি এবং যা কিছু প্রকাশ করি। আসমান ও জমীনের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন নয়।'[কুরআন ১৪ : ৩৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৭

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও।’ ১৪:৪০
কুরআন থেকে দোয়া: ২৮
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।'[কুরআন ১৪ : ৪০]
কুরআন থেকে দোয়া: ২৯

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিনে আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করে দিও।'[কুরআন ১৪ : ৪১]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩০

رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।'[কুরআন ১৮: ১০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩১

رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে।[কুরআন ২০ : ৪৫]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩২

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।'[কুরআন ২৩ : ১০৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৩

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কাছ থেকে জাহান্নামের শাস্তি দূর কর। নিশ্চয় এর শাস্তি ভয়াবহ বিপদ।'[কুরআন ২৫ : ৬৫]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৪

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।'[কুরআন ২৫ : ৭৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৫
رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ
‘আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় পরম ক্ষমাশীল, বড়ই মর্যাদাদানকারী।'[কুরআন ৩৫: ৩৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৬

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছু বেষ্টন করে রেখেছেন। কাজেই যারা তাওবাহ করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।'[কুরআন ৪০ : ৭]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৭

رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُم وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَن تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য।'[কুরআন ৪০ : ৮-৯]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৮

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এবং আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না।’৫৯ : ১০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৩৯
رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আপনি অতি দয়ালু, পরম করুণাময়।'[কুরআন ৫৯ : ১০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪০
ربَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন।'[কুরআন ৬০ : ৪]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪১

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে কাফিরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।'[কুরআন ৬০ : ৫]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪২

رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।'[কুরআন ৬৬ : ৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪৩
ربِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ
‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, এবং হে আমাদের প্রতিপালক! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।'[কুরআন২৩ : ৯৭-৯৮]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪৪
رَّبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرًا
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে যেখানেই তুমি প্রবেশ করাও সত্য ও সম্মানের সাথে প্রবেশ করাও এবং যেখান থেকেই বের কর সত্য ও সম্মানের সাথে বের করো; আর তোমার নিকট হতে এক সাহায্যকারী শক্তি দান কর।'[কুরআন ১৭ : ৮০]
কুরআন থেকে দোয়া: ৪৫

رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلاَّ تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি আপনার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন, আমার প্রতি দয়া না করেন, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব।'[কুরআন ১১ : ৪৭]

টাইপে ভুল হতে পারে । রেফারেন্স ফলো করা যেতে পারে।

Source fb:

Salat,ruku,sazdah etc bn.fb

সালামুন আলাইকুম,
মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে মহান আল্লাহ ১১৪ টি সূরা নাযিল করেছেন, যার আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি মতান্তরে আরও বেশি। তারমধ্যে ٱلصَّلَوٰةَ সালাত শব্দটি ৮৩ বার পাওয়া যায় মুল শব্দ  صَلُّو সোয়াদ লাম ওয়াও।ٱلصَّلَوٰةَবা صَلُّو মোট ৯৯ বার পাওয়া যায়।
১৩ বার পাওয়া যায় رْكَعُو রুকু,
সিজদা ٱلسُّجُودِ ৬৪ বার পাওয়া যায়, সিজদার বহুবচনمَسَٰجِدَ মসজিদ এটা পাওয়া যায় ২৮ বার, মোট ৯২ বার পাওয়া যায়। যদি সালাত রুকু সিজদা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হত তাহলে।
সালামুন আলা মুসা مُّوسَىٰ নবীর নাম পাওয়া যায় ১৩৬ বার।
সালামুন আলা মুসাকে নিয়ে অনেক লম্বা চওড়া ইতিহাস কুরআনের দেখা যায়, যদি প্রচলিত নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক হত তাহলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অবশ্যই মানবজাতিকে বলতেন হে মানুষ আমার শেষ পয়গম্বর সালামুন আলা মোহাম্মদ এর সাথে আমি দিদার করেছি সাক্ষাৎ করেছি এবং তোমাদের জন্য উপহার স্বরূপ দৈনিক 50 ওয়াক্ত নামাজ দিয়েছিলাম , কিন্তু সালামুন আলা মুসার অনুরোধে আমি পঞ্চাশ ওয়াক্তের জায়গায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ করে দিয়েছি অতএব তোমরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে।
নামাজের নিয়ম।
তোমরা সূরা মায়েদার ৬ নং আয়াত অনুযায়ী ওযু বা গোসল করবে,
অতঃপর নামাজে দাঁড়িয়ে বলবে আল্লাহু আকবার ,আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ ২ বার, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ,২ বার, হাইয়া আলাসসালাহ ২ বার
হাইয়া আলাল ফালাহ ২ বার,
কদকমাতিচ্ছ সালাহ ২ বার,
অতঃপর কান পর্যন্ত হাত উঠাবে এবং বলবে আল্লাহু আকবার,
অতঃপর সুরা ফাতেহা পাঠ করবে এবং সাথে যে কোন একটি ছোট সূরা অথবা যেকোনো একটি সূরার আয়াত এর অংশ বিশেষ পাঠ করবে, তারপর আল্লাহু আকবার বলে কুজা হয়ে দুই হাঁটুর পরে দুই হাত রাখবে তারপর বলবে সুবাহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আজিম,
আবার সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং বলবে আল্লাহু আকবার তারপর আবার আল্লাহু আকবার বলে মাটিতে কপাল  ঠেকাবে তারপর বলবে সুবাহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আলা, এইভাবে দুই রাকাত তিন রাকাত চার রাকাত পাঁচ রাকাত সাত রাকাত দশ রাকাত ১১ রাকাত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে যদি তাই না করো তোমরা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না।
————————-
এই কথাগুলো বলার জন্য বড়জোর একটি আয়াতই যথেষ্ট ছিল অথবা সালাত নামের একটি সূরা নাযিল করেই সেই সূরার মধ্যে নিয়ম গুলো বলতে পারতেন, কিন্তু মহান আল্লাহ এত বড় গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তিনি এর নিয়ম কানুন কোন কিছুই বলেননি।
অথচ মহান আল্লাহ মানুষকে উদ্দেশ্য করে এভাবে বলেছেন ,
Al-Baqarah 2:21)
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রভুর দাসত্ব করো, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা (অকল্যাণ থেকে) বেঁচে থাকতে পার।

Al-Baqarah 2:168)
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ كُلُوا۟ مِمَّا فِى ٱلْأَرْضِ حَلَٰلًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا۟ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيْطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে মানুষ! পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র জিনিসসমূহ খাও; আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে কিন্তু তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

এভাবে মহান আল্লাহ অসংখ্যবার ডাক দিযে মানুষকে বলেছেন হে মানুষ এটা করো ওটা করো এটা করো না ওটা করো না,
অথচ প্রচলিত নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যদি এত বড় গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হত তাহলে অবশ্যই অবশ্যই মহান আল্লাহ একটি সূরার মাধ্যমে অথবা কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে নিয়ম-কানুন গুলো বলে দিতেন।
————————-
আসল ব্যাপার হলো  সালাত সিজদা রুকু এগুলো বাধ্যতামূলক পালন করতেই হবে।
আর সেটা হল সালাত অর্থ মহান আল্লাহর কুরআনে বর্ণিত সকল আদেশ নির্দ্বিধায় রুকু অর্থ বিনয়ের সাথে সিজদা মান্য করতে হবে মেনে নিয়ে পালন করতে হবে এবং নিজের পরিবার এবং মানুষের কাছে প্রচারের মাধ্যমে কায়েম করতে হবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, এটাই হলো প্রকৃত সালাত।
———————
প্রকৃত ঘটনা হলো এই ইসলামের শত্রুরা মুসলিমদের শত্রুরা মহান আল্লাহকে বিতর্ক করার জন্য মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে বিতর্কিত করার জন্য সালামুন আলা মুহাম্মদের রেফারেন্স দিয়ে নিজেদের মনের মত অসংখ্য অসংখ্য কথা লিখে ইসলামের নামে মুসলিমদের বিধান হিসাবে রচনা করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে,
যেহেতু সালামুন আলা মোহাম্মাদের রেফারেন্স দিয়েছে সেহেতু অন্ধবিশ্বাসীরা সেটাকেই আল্লাহর বিধান হিসেবে একনিষ্ঠভাবে মেনে নিয়েছে,
আর এখন তাদেরকে যতই কুরআনের কথা শুনানো হোক না কেন বলা হোক না কেন তারা সেটা কখনো বিশ্বাস করবে না কখনো মানবেনা এমনকি যারা কোরআনের কথা বলবে তাদেরকে অমুসলিম ইহুদী খ্রিস্টানদের দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করবে।
Fb source comments:
https://www.facebook.com/100009539034214/posts/pfbid037ZRjTZpAyGRiF4kiZ4ALm73JyBd6m2oAhhRdFMK9QZPiZaL7ycxVUGMu2wvoTJol/