আলেম কে,কারা,fb

#আলেমকেকারা ???? ৮ঃ২৯

মাদ্রাসা কারা কেনো বানাইছে??? ১৯ঃ৫৯

অনেক অহঙ্কারি শিক্ষিতরায়ো কুশিক্ষার তাঁবেদারি করে !!!
~~~~
মুফতি-মুহাদ্দেস ও নিজেরা

আল্লাহ্সাজামাওলানা-২ঃ২৮৬ +++ ঐসবেের সিলেবাস কাহাদের কৌশলে বানানো???

আলেম কে/কারা??? #ঐশীবাণী_কুরআন হলো আলেম-৮ঃ২৯

~~
তারা কোন্ #ধর্মের #আলেমওলেমা?

কুরআন বুঝার চেষ্টাকরা হতে মানুষকে দূরে রেখে বুখারীগংদের বানানো হাদিসের ধর্ম প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার জন্যই
১৭৮১ সালে ইংরেজদের চাতুরীতে প্রথম তৈরি করা হয় #আলিয়া_মাদ্রাসা, কোলকাতা,
তারও পরে আবার

১৮৬৬ সালে খৃষ্টানইংরেজদের বানানো সিলেবাসে তৈরিহলো #দাকওয়ামি_মাদ্রাসা, দেওবন্দ,সাহারানপুর, উত্তরপ্রদেশ, বৃটিশইন্ডিয়া(ভারত)।
সেই তারা, যারা আল্লাহর ঐশীবাণী/কুরআনের বিরুদ্ধে বানানো ধর্মের প্রচারক !! আবার

সৌদির বানানো মদিনা’তেয়ো
১৯৬১ সালে
ঐ একি সিলেবাসে তৈরি করা হয়েছে

মদিনা_ইউনিভার্সিটি

মানুষকে কুরআন বুঝার চেষ্টাকরা হতে দূরে রেখে-৭/২-৩
বলেবলে বানানো হাদিসের-৩১/৬ ধর্ম পালনকারী মুশরিকদের সাথে নিতে-৪/১১৬, ৬/১১৬
~~
(কুরআনের সুরা ও আয়াত নং মিলিয়ে বুঝুন)আল্লাহু আকবার : বলার আয়াত দিয়ে বলেন ? আপনি সত্যবাদি ??? ৪৬ঃ১৩+

~~
যাহারা 🏵️আল্লাহ্‌র আয়াতে🏵️ বিশ্বাস করে না তাহারা তো কেবল মিথ্যা উদ্ভাবন করে এবং তাহারাই মিথ্যাবাদী।

اِنَّمَا يَفْتَرِى الْـكَذِبَ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ‌ۚ وَاُولٰۤٮِٕكَ هُمُ الْكٰذِبُوْنَ

সূরা নম্বরঃ ১৬, আয়াত নম্বরঃ ১০৫

নবী কাকে বলে? রাসূল কাকে বলে? নবীর কাজ কি? রাসূলের কাজ কি?

নবী কাকে বলে? রাসূল কাকে বলে? নবীর কাজ কি? রাসূলের কাজ কি? — সব পর্ব একসাথে
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦

[[যে কোন মুমিন নারী-পুরুষ যদি শুধু আল্লাহর কিতাব দ্বারা মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেয় তবে সে আল্লাহর রাসূল (৪৩:৪৫,৩৩:৩৯)।]]

♦ নবী শব্দটি আরবী نبا শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ সংবাদ (৭৮:২)।আল্লাহর সংবাদ জানানোর জন্য নির্বাচিত যে ব্যক্তির উপর কিতাব অবতীর্ণ করা হয় তাকে নবী বলে। নবীর কাজ হচ্ছে আল্লাহর সংবাদ মানুষকে জানানো। আল্লাহ্ প্রত্যেক নবীর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন (২:২১৩)। কিতাব অর্থ যাতে লিখিত বিষয় আছে।(৫২:২-৩,২:৭৯,৬:৫৯,১৭:১৩-১৪)।

وَعَلَّمَ ءَادَمَ ٱلْأَسْمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبِـُٔونِى بِأَسْمَآءِ هَٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ
আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲﴾
তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।
قَالَ يَٰٓـَٔادَمُ أَنۢبِئْهُم بِأَسْمَآئِهِمْۖ فَلَمَّآ أَنۢبَأَهُم بِأَسْمَآئِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّىٓ أَعْلَمُ غَيْبَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ
তিনি বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও’। অতঃপর যখন সে এগুলোর নাম তাদেরকে জানাল, তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েব জানি এবং জানি যা তোমরা প্রকাশ কর এবং যা তোমরা গোপন করতে’?(আল-বাকারাহ্ ২:৩১-৩৩)
قُلْنَا ٱهْبِطُوا۟ مِنْهَا جَمِيعًاۖ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّى هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَاىَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
আমি বললাম, “তোমরা সবাই জান্নাত থেকে (পৃথিবীতে) নেমে যাও। অতঃপর যখনই আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোন পথ নির্দেশনা যাবে তখন যারাই আমার নির্দেশনা মেনে চলবে তাদের কোন ভয় কিংবা দুঃখ থাকবে না।”
وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَآ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ
আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।(বাকারাহ ২:৩৮-৩৯)
وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱبْنَىْ ءَادَمَ بِٱلْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ ٱلْءَاخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَۖ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلْمُتَّقِينَ
আর তুমি (মুহাম্মদ) তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করল। অতঃপর তাদের একজন থেকে গ্রহণ করা হল, আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হল না। সে বলল, ‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব’। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের থেকে গ্রহণ করেন’।(আল-মা’য়েদা ৫:২৭)
وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱلَّذِىٓ ءَاتَيْنَٰهُ ءَايَٰتِنَا فَٱنسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ ٱلشَّيْطَٰنُ فَكَانَ مِنَ ٱلْغَاوِينَ
আর তুমি তাদের উপর সে ব্যক্তির সংবাদ পাঠ কর, যাকে আমি আমার আয়াতসমূহ দিয়েছিলাম। অতঃপর সে তা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং শয়তান তার পেছনে লেগেছিল। ফলে সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল।(আল-আরাফ ৭:১৭৫)
وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوحٍ
আর তাদেরকে নূহের সংবাদ পড়ে শুনাও।( ইউনুস ১০:৭১)
نَبِّئْ عِبَادِىٓ أَنِّىٓ أَنَا ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ
আমার বান্দাদের জানিয়ে দাও যে, আমি নিশ্চয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(আল-হিজর ১৫:৪৯)
قَالَ إِنِّى عَبْدُ ٱللَّهِ ءَاتَىٰنِىَ ٱلْكِتَٰبَ وَجَعَلَنِى نَبِيًّا
শিশুটি বলল, ‘আমি তো আল্লাহর বান্দা; তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়েছেন’।(মারিয়াম ১৯:৩০)

كَانَ ٱلنَّاسُ أُمَّةً وَٰحِدَةً فَبَعَثَ ٱللَّهُ ٱلنَّبِيِّۦنَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ ٱلنَّاسِ فِيمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِۚ وَمَا ٱخْتَلَفَ فِيهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ أُوتُوهُ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْۖ فَهَدَى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لِمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ مِنَ ٱلْحَقِّ بِإِذْنِهِۦۗ وَٱللَّهُ يَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ
মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদেরকে প্রেরণ করলেন এবং সত্যসহ তাদের সাথে কিতাব নাযিল করলেন, যাতে মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। আর তারাই তাতে মতবিরোধ করেছিল, যাদেরকে তা দেয়া হয়েছিল, তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত। অতঃপর আল্লাহ নিজ অনুমতিতে মুমিনদেরকে হিদায়াত দিলেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন।(আল-বাকারাহ ২:২১৩)

আল্লাহ্ আমাদেরকে বলেনি নবীদেরকে রব(উপাস্য ও বিধান দাতা) রূপে গ্রহণ কর।

مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤْتِيَهُ ٱللَّهُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحُكْمَ وَٱلنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا۟ عِبَادًا لِّى مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَٰكِن كُونُوا۟ رَبَّٰنِيِّۦنَ بِمَا كُنتُمْ تُعَلِّمُونَ ٱلْكِتَٰبَ وَبِمَا كُنتُمْ تَدْرُسُونَ
কোন মানুষের জন্য সংগত নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, হিকমাত ও নবুওয়াত দান করার পর সে মানুষকে বলবে, ‘তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার বান্দা হয়ে যাও’। বরং সে বলবে, ‘তোমরা রববানী হও। যেহেতু তোমরা কিতাব শিক্ষা দিতে এবং তা অধ্যয়ন করতে’।
وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُوا۟ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ وَٱلنَّبِيِّۦنَ أَرْبَابًاۗ أَيَأْمُرُكُم بِٱلْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ
আর তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ করেন না যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীদেরকে রব ( উপাস্য ও বিধান দাতা) রূপে গ্রহণ কর। তোমরা মুসলিম হওয়ার পর তিনি কি তোমাদেরকে কুফরীর নির্দেশ দিবেন?
وَمَا كَانَ لِنَبِىٍّ أَن يَغُلَّۚ وَمَن يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۚ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
আর কোন নবীর জন্য উচিত নয় যে, সে খিয়ানত করবে। আর যে খিয়ানত করবে, কিয়ামতের দিনে উপস্থিত হবে তা নিয়ে যা সে খিয়ানত করেছে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে পুরোপুরি দেয়া হবে যা সে উপার্জন করেছে এবং তাদেরকে যুলম করা হবে না।
(আলে-ইমরান ৩:৭৯-৮০,১৬১)

রাসুল মানে হচ্ছে যে অন্যের বার্তা বহন করে আরেক জনের কাছে পৌঁছায়। রাসূল মানে নিজের বার্তা অন্যের কাছে পৌঁছানো নয়। যেমন পোস্টম্যান যখন প্রেরকের চিঠি প্রাপকের কাছে পৌঁছান তখন সেই চিঠিতে পোষ্টম্যানের কোন কথা থাকেনা। আবার এই পোস্টম্যান যখন সকল মানুষের জন্য কল্যাণকর প্রেসিডেন্টের কোন উন্মুক্ত ঘোষণা পত্র কোন মন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর জন্য আদিষ্ট হন; তখন সে এই ঘোষণা পত্র পড়তে পারবে, বুঝতে পারবে, আমল করতে পারবে, অন্যকে বুঝাতে পারবে কিন্তু এই ঘোষণা পত্র যখন মন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবে তখন সে তাতে নিজে কোন কথা সংযোজন করতে পারবে না। রাসূল মানেই হচ্ছে অন্যের নির্দেশ হুবহু পৌঁছে দেয়া, তাতে সংযোজন বিয়োজন করে পৌঁছে দেয়া নয়। রাসূল মানে যে অন্যের কথা বহন করে আরেক জনের কাছে পৌঁছানো তার প্রমানে নিচের আয়াতটি দেখুন।

وَ قَالَ الۡمَلِکُ ائۡتُوۡنِیۡ بِہٖ ۚ فَلَمَّا جَآءَہُ الرَّسُوۡلُ قَالَ ارۡجِعۡ اِلٰی رَبِّکَ فَسۡـَٔلۡہُ مَا بَالُ النِّسۡوَۃِ الّٰتِیۡ قَطَّعۡنَ اَیۡدِیَہُنَّ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ بِکَیۡدِہِنَّ عَلِیۡمٌ ﴿۵۰﴾
আর বাদশাহ বলল, ‘তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আস’। অতঃপর যখন রাসূল (বার্তাবাহক/দূত) তার কাছে আসল তখন, সে বলল, তুমি তোমার মনিবের নিকট ফিরে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা কর, যে সব মহিলা নিজ নিজ হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কী? নিশ্চয় আমার রব তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত’।(ইউসুফ ১২:৫০)

রাসূল মানে অন্যের বার্তা বহনকারী ব্যক্তি। ফিরিস্তারা মানুষের কাছে আল্লাহর বার্তা বহন করে পৌঁছাতো এই জন্য ফিরিস্তাদেরকে রাসূল বলা হয়েছে। আবার নবীরা আল্লাহর বার্তা বহন করে মানুষের কাছে পৌঁছাতো এই জন্য নবীদের কে রাসূল বলা হয়েছে। আল্লাহ্ প্রত্যেক নবীর সাথে কিতাব পাঠিয়েছেন (২:২১৩) নবীনদের কাজই ছিল আল্লাহর কিতাবের বার্তা বহন করে মানুষের কাছে পৌঁছানো। ফলে প্রত্যেক নবী রাসূল ছিলেন।

اَللّٰہُ یَصۡطَفِیۡ مِنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ رُسُلًا وَّ مِنَ النَّاسِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌۢ بَصِیۡرٌ ﴿ۚ۷۵﴾
আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। অবশ্যই আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।(আল-হাজ্ব ২২:৭৫)
اِنَّہٗ لَقَوۡلُ رَسُوۡلٍ کَرِیۡمٍ ﴿ۙ۱۹﴾
নিশ্চয় এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের* আনিত বাণী।

  • এখানে রাসূল বলতে জিবরাইল ফিরিস্তাকে বুঝানো হয়েছে এর প্রমানে পরের আয়াত গুলি দেখুন।

ذِیۡ قُوَّۃٍ عِنۡدَ ذِی الۡعَرۡشِ مَکِیۡنٍ ﴿ۙ۲۰﴾
যে শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন।
مُّطَاعٍ ثَمَّ اَمِیۡنٍ ﴿ؕ۲۱﴾
মান্যবর, সেখানে সে বিশ্বস্ত।
وَ مَا صَاحِبُکُمۡ بِمَجۡنُوۡنٍ ﴿ۚ۲۲﴾
আর তোমাদের সাথী(মুহাম্মাদ) পাগল নয়।
وَ لَقَدۡ رَاٰہُ بِالۡاُفُقِ الۡمُبِیۡنِ ﴿ۚ۲۳﴾
আর সে (মুহাম্মদ) তাকে(জিবরাইল কে) সুস্পষ্ট দিগন্তে দেখেছে। (আত-তাকভীর ৮১:১৯-২৩)
قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُۥ نَزَّلَهُۥ عَلَىٰ قَلْبِكَ بِإِذْنِ ٱللَّهِ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُؤْمِنِينَ
বল, ‘যে জিবরীলের শত্রু হবে (সে অনুশোচনায় মরুক) কেননা নিশ্চয় জিবরীল তা আল্লাহর অনুমতিতে তোমার অন্তরে নাযিল করেছে, তার সামনে থাকা কিতাবের সমর্থক, হিদায়াত ও মুমিনদের জন্য সুসংবাদরূপে’।(আল-বাকারাহ ২:৯৭)
اِنَّہٗ لَقَوۡلُ رَسُوۡلٍ کَرِیۡمٍ ﴿ۙ۱۹﴾
নিশ্চয় এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের* আনিত বাণী।

  • এখানে রাসূল বলতে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সালামুন আলাল মুরছালিন) কে বুঝানো হয়েছে এর প্রমানে পরের আয়াত গুলি দেখুন।

وَّ مَا ہُوَ بِقَوۡلِ شَاعِرٍ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تُؤۡمِنُوۡنَ ﴿ۙ۴۱﴾
আর এটি কোন কবির কথা নয়। তোমরা কমই বিশ্বাস কর।
وَ لَا بِقَوۡلِ کَاہِنٍ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿ؕ۴۲﴾
আর কোন গণকের কথাও নয়। তোমরা কমই উপদেশ গ্রহণ কর।
تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ رَّبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۳﴾
এটি সৃষ্টিকুলের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।
وَ لَوۡ تَقَوَّلَ عَلَیۡنَا بَعۡضَ الۡاَقَاوِیۡلِ ﴿ۙ۴۴﴾
যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত,
لَاَخَذۡنَا مِنۡہُ بِالۡیَمِیۡنِ ﴿ۙ۴۵﴾
তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম।
ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡہُ الۡوَتِیۡنَ ﴿۫ۖ۴۶﴾
তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম।
فَمَا مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ عَنۡہُ حٰجِزِیۡنَ ﴿۴۷﴾
অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না।
وَ اِنَّہٗ لَتَذۡکِرَۃٌ لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۴۸﴾
আর এটিতো (কুরআন) মুত্তাকীদের জন্য এক নিশ্চিত উপদেশ।(আল-হাক্কাহ ৬৯:৪০-৪৮)

فَلَمَّا ٱعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَهَبْنَا لَهُۥٓ إِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَۖ وَكُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا
অতঃপর সে (ইবরাহীম) যখন তাদের থেকে এবং তারা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদাত করত সেই সব হতে পৃথক হয়ে গেল তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকূবকে এবং প্রত্যেককে নাবী করলাম
وَوَهَبْنَا لَهُم مِّن رَّحْمَتِنَا وَجَعَلْنَا لَهُمْ لِسَانَ صِدْقٍ عَلِيًّا
আর আমি তাদেরকে আমার অনুগ্রহ দান করলাম আর তাদের সুনাম সুখ্যাতিকে সমুচ্চ করলাম।
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ مُوسَىٰٓۚ إِنَّهُۥ كَانَ مُخْلَصًا وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا
আর স্মরণ কর এই কিতাবে মূসাকে। অবশ্যই সে ছিল মনোনীত এবং সে ছিল রাসূল, নবী।
وَنَٰدَيْنَٰهُ مِن جَانِبِ ٱلطُّورِ ٱلْأَيْمَنِ وَقَرَّبْنَٰهُ نَجِيًّا
আমি তাকে তূর পর্বতের ডান দিক থেকে ডেকেছিলাম এবং অন্তরঙ্গ আলাপের উদ্দেশ্যে তাকে আমার নিকটবর্তী করেছিলাম।
وَوَهَبْنَا لَهُۥ مِن رَّحْمَتِنَآ أَخَاهُ هَٰرُونَ نَبِيًّا
আর আমি স্বীয় অনুগ্রহে তার জন্য তার ভাই হারূনকে নবীরূপে দান করলাম।
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ إِسْمَٰعِيلَۚ إِنَّهُۥ كَانَ صَادِقَ ٱلْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا
আর স্মরণ কর এই কিতাবে ইসমাঈলকে। সে ছিল সত্যিকারের ওয়াদা পালনকারী এবং সে ছিল রাসূল, নবী।
وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُۥ بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱلزَّكَوٰةِ وَكَانَ عِندَ رَبِّهِۦ مَرْضِيًّا
আর সে তার পরিবার-পরিজনকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিত এবং সে ছিল তার রবের সন্তোষপ্রাপ্ত।
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ إِدْرِيسَۚ إِنَّهُۥ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا
আর স্মরণ কর এই কিতাবে ইদরীসকে। সে ছিল পরম সত্যনিষ্ঠ নবী।
وَرَفَعْنَٰهُ مَكَانًا عَلِيًّا
আর আমি তাকে উচ্চ মর্যাদায় সমুন্নত করেছিলাম।
أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّۦنَ مِن ذُرِّيَّةِ ءَادَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِن ذُرِّيَّةِ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْرَٰٓءِيلَ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَٱجْتَبَيْنَآۚ إِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُ ٱلرَّحْمَٰنِ خَرُّوا۟ سُجَّدًا وَبُكِيًّا۩
এরাই সে সব নবী, আদম সন্তানের মধ্য থেকে যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং যাদের আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম। আর ইবরাহীম ও ইসরাঈলের বংশোদ্ভূত এবং যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছিলাম ও মনোনীত করেছিলাম। যখন তাদের কাছে পরম করুণাময়ের আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তারা কাঁদতে কাঁদতে সিজদায় লুটিয়ে পড়ত।।(মারিয়াম ১৯:৪৯-৫৮)

আল্লাহ্ তাঁর প্রেরিত প্রান হরনকারী ফিরিস্তাদেরকেও রাসূল বলেছেন। কারন তারা আল্লাহর নির্দেশে মানুষের মৃত্যু ঘটায়। তাদের উপর আল্লাহ্ যে দায়িত্ব দেন তারা সে দায়িত্ব পালন করেন, তারা নিজ থেকে এই দায়িত্ব সৃষ্টি করেনি। ফলে আমরা বুঝতে পারছি রাসূলের কাজ হলো আল্লাহর নির্দেশ পালন।

وَهُوَ ٱلْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِۦۖ وَيُرْسِلُ عَلَيْكُمْ حَفَظَةً حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَ أَحَدَكُمُ ٱلْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَهُمْ لَا يُفَرِّطُونَ
আর তিনিই নিজ বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান এবং তোমাদের উপর প্রেরণ করেন হিফাযতকারীদেরকে। অবশেষে যখন তোমাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, আমার প্রেরিত রাসূলগন তার মৃত্যু ঘটায়। আর তারা কোন ত্রুটি করে না।(আল-আন’আম ৬:৬১)

সুস্পষ্টভাবে আল্লাহর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছানো ছাড়া রাসূলের আর কোন দায়িত্ব নেই। অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে বার্তা পৌঁছানোর দায় থেকে মুক্ত। এর পর সকল মুমিনের কর্তব্য হচ্ছে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর দ্বীন (বিধান) প্রতিষ্ঠা করা। আরবী رِسَٰلَٰت শব্দের অর্থ আল্লাহর বার্তা। এই رِسَٰلَٰت শব্দের মূল শব্দ হচ্ছে رسل অর্থাৎ আল্লাহর বার্তা বহন করে যিনি মানুষের কাছে পৌঁছান সে হচ্ছে রাসূল। রাসূলের অবাধ্য হওয়া মানে আল্লাহর বার্তার /নির্দেশের অবাধ্য হওয়া। এই কাজ যদি রাসূলও করতেন তবে তাকেও শান্তি পেতে হতো। ফলে রাসূলের আনুগত্য করার অর্থই হচ্ছে আল্লাহর বার্তার আনুগত্য করা যা রাসূল করতেন। অর্থাৎ কুরআনের অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য করতেন।

وَمَا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلْبَلَٰغُ ٱلْمُبِينُ
সুস্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছানো ছাড়া রাসূলের আর কোন দায়িত্ব নেই। (আল-আনকাবুত ২৯:১৮)
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلْهُدَىٰ وَدِينِ ٱلْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًا
তিনি তাঁর রাসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর একে জয়যুক্ত করার জন্য। সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।(আল-ফাতহ ৪৮:২৮)
أَنْ أَقِيمُوا۟ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا۟ فِيهِۚ
“তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে বিভেদ সৃষ্টি করো না।”(আশ-শুরা ৪২:১৩)
عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِۦٓ أَحَدًا
তিনি গায়েব (অদৃশ্যের খবর) জানেন এবং স্বীয় গায়েবের খবর কারো কাছে প্রকাশ করেন না,
إِلَّا مَنِ ٱرْتَضَىٰ مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُۥ يَسْلُكُ مِنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِۦ رَصَدًا
তাঁর মনোনীত কোন রসূল ব্যতীত। সে ক্ষেত্রে তিনি তার সামনে ও পেছনে প্রহরার ব্যবস্থা করেন,
لِّيَعْلَمَ أَن قَدْ أَبْلَغُوا۟ رِسَٰلَٰتِ رَبِّهِمْ وَأَحَاطَ بِمَا لَدَيْهِمْ وَأَحْصَىٰ كُلَّ شَىْءٍ عَدَدًۢا
যাতে তিনি এটা জানতে পারেন যে, তারা তাদের রবের রিসালাত পৌঁছিয়েছে কিনা। আর তাদের কাছে যা রয়েছে, তা তিনি পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং তিনি প্রতিটি বস্তু গুণে গুণে হিসাব করে রেখেছেন।(আল-জ্বীন ৭২:২৬-২৮)
لَقَدْ أَنزَلْنَآ إِلَيْكُمْ كِتَٰبًا فِيهِ ذِكْرُكُمْۖ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
আমি তো তোমাদের কাছে একটি কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তোমাদের (জন্য) উপদেশ রয়েছে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?(আল-আম্বিয়া ২১:১০)
ٱتَّبِعُوا۟ مَآ أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا۟ مِن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَۗ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ
তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না।(আল-আরাফ ৭:৩)
یٰۤاَیُّہَا الرَّسُوۡلُ بَلِّغۡ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ ؕ وَ اِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلۡ فَمَا بَلَّغۡتَ رِسَالَتَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡصِمُکَ مِنَ النَّاسِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۶۷﴾
হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও আর যদি তুমি না কর তবে তুমি তাঁর রিসালাত পৌঁছালে না। আর আল্লাহ তোমাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।(আল-মা’য়েদা ৫: ৬৭)
إِلَّا بَلَٰغًا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِسَٰلَٰتِهِۦۚ وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا
আমি কেবল আল্লাহর কাছ থেকে [আমি যা পাই] পৌঁছে দিই- শুধুমাত্র তাঁর রিসালাত।’ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অবাধ্য হবে তার স্থায়ী বাসস্থান হবে জাহান্নামের আগুন।(আল-জ্বীন ৭২:২৩)
وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَاتُنَا بَيِّنَٰتٍۙ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا ٱئْتِ بِقُرْءَانٍ غَيْرِ هَٰذَآ أَوْ بَدِّلْهُۚ قُلْ مَا يَكُونُ لِىٓ أَنْ أُبَدِّلَهُۥ مِن تِلْقَآئِ نَفْسِىٓۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَىَّۖ إِنِّىٓ أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّى عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
আর যখন তাদের সামনে আমার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টরূপে পাঠ করা হয়, তখন, যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না, তারা বলে, ‘এটি ছাড়া অন্য কুরআন নিয়ে এসো। অথবা একে বদলাও’। বল, ‘আমার নিজের পক্ষ থেকে এতে কোন পরিবর্তনের অধিকার নেই। আমিতো শুধু আমার প্রতি অবতীর্ণ ওহীর অনুসরণ করি। নিশ্চয় আমি যদি রবের অবাধ্য হই তবে ভয় করি কঠিন দিনের আযাবের’।(ইউনুস ১০:১৫)
مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।(আন-নিসা ৪:৮০)

মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সালামুন আলাল মুরছালিন) ছিলেন আল্লাহর রাসূল অর্থাৎ আল্লাহর বার্তাবাহক। আল্লাহর বার্তা আছে কুরআনে। রাসূল আল্লাহর বার্তা পৌঁছানোর জন্য আদিষ্ট ছিলেন,এমনকি যার কাছে এই বানী পৌঁছাবে তার দায়িত্ব হচ্ছে কুরআনের বানী মানুষের কাছে পৌঁছানো। বর্তমানে যেসমস্ত মুমিন নারী-পুরুষ শুধু কুরআনের বানী মানুষের কাছে পৌঁছাবেন তারা প্রত্যেকেই আল্লাহর রাসূল। এই রূপ কাজ পূর্ববর্তী নবীদের সত্যিকারের অনুসারীদের মধ্যে যারা করতো তাদেরকেও আল্লাহ্ রাসূল বলেছেন। (৪৩ :৪৫) ফলে নতুন করে ওহী পৌঁছানোর জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি নবী আর আসবেন না কিন্তু রাসূলের ধারা চলমান। এই জন্যই আল্লাহ্ শেষ নবী বলেছেন,শেষ রাসূল বলেননি। আর আল্লাহ্ শুধু পুরুষদের মধ্য থেকে নবী নির্বাচন করেছিলেন।

وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوحِىٓ إِلَيْهِم مِّنْ أَهْلِ ٱلْقُرَىٰٓۗ أَفَلَمْ يَسِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَيَنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۗ وَلَدَارُ ٱلْءَاخِرَةِ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
তোমার পূর্বে আমি জনপদবাসীদের মধ্য থেকে পুরুষদেরকেই (নবী) হিসেবে পাঠিয়েছি। আমি তাদের কাছে ওহী পাঠাতাম। তবে কি তারা (অবিশ্বাসীরা) পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি এবং দেখেনি যে, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণতি কেমন ছিল? পরকালের নিবাসই তো মোত্তাকীদের জন্য উত্তম। তবে কি তোমরা বোঝ না? (ইউসুফ ১২:১০৯)
وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوحِىٓ إِلَيْهِمْۚ فَسْـَٔلُوٓا۟ أَهْلَ ٱلذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
আর আমি তোমার পূর্বে পুরুষ ব্যতীত (নবী) প্রেরণ করিনি যাদের প্রতি আমি ওহী পাঠিয়েছি, সুতরাং তোমরা যদি না জানো তবে স্মরনিকার(পূর্ববর্তী কিতাবের) অনুসারীদেরকে জিজ্ঞেস কর।(আন-নাহল ১৬:৪৩)
مَا کَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنۡ رِّجَالِکُمۡ وَ لٰکِنۡ رَّسُوۡلَ اللّٰہِ وَ خَاتَمَ النَّبِیّٖنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا ﴿٪۴۰﴾
মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সূরা আহযাব ৩৪:৪০)
مُحَمَّدٌ رَّسُوۡلُ اللّٰہِ ؕ
মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল।(আল-ফাতহ ৪৮:২৯)
قُلْ أَىُّ شَىْءٍ أَكْبَرُ شَهَٰدَةًۖ قُلِ ٱللَّهُۖ شَهِيدٌۢ بَيْنِى وَبَيْنَكُمْۚ وَأُوحِىَ إِلَىَّ هَٰذَا ٱلْقُرْءَانُ لِأُنذِرَكُم بِهِۦ
বল, ‘সাক্ষ্য হিসেবে সবচেয়ে বড় বস্তু কী?’ বল, ‘আল্লাহ সাক্ষী আমার ও তোমাদের মধ্যে। আর এ কুরআন আমার কাছে ওহী করে পাঠানো হয়েছে যেন তোমাদেরকে ও যার কাছে এটা পৌঁছবে তাদেরকে এর মাধ্যমে আমি সতর্ক করি।(আল-আন’আম ৬:১৯)
وَسْـَٔلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رُّسُلِنَآ أَجَعَلْنَا مِن دُونِ ٱلرَّحْمَٰنِ ءَالِهَةً يُعْبَدُونَ
আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস কর (অর্থাৎ তাদের সত্যিকার অনুসারীদের নিকট যাচাই কর) আমি কি দয়াময় আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ স্থির করেছিলাম যাদের ‘ইবাদাত করতে হবে?(আয-যুখরুফ ৪৩:৪৫)
ٱلَّذِينَ يُبَلِّغُونَ رِسَٰلَٰتِ ٱللَّهِ وَيَخْشَوْنَهُۥ وَلَا يَخْشَوْنَ أَحَدًا إِلَّا ٱللَّهَۗ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ حَسِيبًا
তারা (মুমিগন) আল্লাহর রিসালাত পৌঁছিয়ে দেয় ও তাঁকে ভয় করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না, আর হিসাব গ্রহণকারীরূপে আল্লাহই যথেষ্ট।(আল-আহযাব ৩৩:৩৯)

(সমাপ্ত)

Source link: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0PymqTVrr6hVcF8La9N7iBws15cLfvLpwMqvPoMBcz9koBcAZsE2xp6CTtiCLjArUl&id=100003737428249