Category Archives: So-called Hadith etc

নিচের বিধানগুলো কার তৈরি?

Anamul Hoque bd

নিচের বিধানগুলো কার তৈরি? এগুলো কুরআনের কোন কোন আয়াতের ব্যাখা জানতে চাই??
নবী কি কুরআন না মেনে নিজের মত বিধান প্রতিষ্টা করেছেন?
250 বছর পর বুখারীরা এগুলো সংগ্রহ করলো? আজব!!!
১. ঈদ-ই মিলাদুন্নবী
২.সকল মিলাদ।
৩.শব-ই বরাত ও তার হালুয়া/রু‌টি ভোজন।।
৪. শব-ই মিরাজের সালাত বা সাওম বা এ উপলক্ষে কোন ইবাদাত।
৫. কুর’আন খানি/ফা‌তেহা খা‌নি।
৬. মৃত ব্যাক্তির জন্য- কুর’আন পড়া।
কুলখানি, চল্লিশা, দু’আর আয়োজন, সওয়াব বখশে দেয়া।
৭. জোরে জোরে চিল্লিয়ে জিকির করা।
৮. হাল্কায়ে জিকির,ইসকের জিকির লাফালাফি,নাচানাচি জিকির।
৯. পীর-মুরীদি মানা।
১০.মুখে মুখে উচ্চারণ করে নিয়্যাত পড়া।
১১. ঢিলা কুলুখ নিতে গিয়ে ৪০ কদম হাঁটা, কাঁশি দেয়া উঠা বসা
করা,লজ্জাস্থানে হাত দিয়ে হাটাহাটি ইত্যাদি।
১২. ফাজায়েলে আমল,ফাজায়েলে
সাদাকাত,ফাজায়েলে হজ্জ ইত্যাদি কিতাব তালিম করা বা পড়া।
১৩. জায়নামাজ এবং মৃত ব্যাক্তির জন্য দুআ পড়া।
১৪. সালাতের পদ্ধতি তৈরি করে সেগুলা পালন করা ৷
১৫.কবরে হাত তুলে সবাই একএে মৃত ব্যাক্তির জন্য দূ’আ করা।
১৬.খতমে ইউনুস,তাহলীল, খতমে কালিমা, বানানো দরুদ পড়া, এবং যত প্রকার তাজবীহ খতম আছে তাজবীহ দানা গননা করা।
১৭.১৩০ ফরজ মানা।
১৮. ইলমে তাসাউফ বা সুফীবাদ মানা।
১৯. জন্মদিন, মৃত্যুদিবস, পালন করা।
২০. অপরের কাছে তাওবা পড়া।
২১. অজুতে নকল নিয়ম তৈরি করা।
২২.আল্লাহকে “খোদা” বলা।
২৩. অতিরিক্ত এলেম বা তাওয়াজ্জুহ মানা।
২৪. বার্ষিক মাহফিলের আয়োজন করে রাতভর ওয়াজ করা সম্মিলিত মুনাজাত করা ।
২৫.অন্ধভাবে মাজহাব মানা।
২৬. ওরস পালন করা। কবর পাকা, কবর সাজানো, লাইটিং করা।
২৭. এমন দু’য়া বা দুরুদ পড়া যা কুরআনে নাই। এবং
দুরুদে হাজারী, দুরুদে লক্ষী, দুরুদে তাজ, ওজীফা,
দুরুদে জালালী, দুরু‌দে তুনাজ্জিনা, ইত্যা‌দি শিক্ষা দেয়া।
২৮. মালাকুল মাউতকে আজরাঈল বলে ডাকা।
২৯. ওয়াজে মিথ্যা বানোয়াট(নফল হি‌সে‌বে) হাসির গল্প বলে মানুষকে হাসানো
৩০.“যাকাতকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ৷
৩১. ৭০ হাজারবার কালিমা খতম করা।
৩২.শিয়া, সুন্নি নামে দলাদলি করা।
৩৩. দলের আমীরের হাতে বায়াত করা।
৩৪. দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রচলিত রাজনীতি করা।
৩৫. দ্বীনের হেফাজতের নামে হরতাল অবরোধ মারামারি করা জিহাদ, এ শিক্ষা দেয়া।
৩৬. সালামুন আলাইকুম এর পরিবর্তে বিকৃত আসসালামুন আলাইকুম বলা ৷
৩৭. কুরআন ছেড়ে হাদিস মানা ৷
৩৮. মৃত ব্যাক্তির কাজা নামাজের কাফফারা দেয়া বা আদায় করা।
৩৯. কুর’আনকে সবসময় চুমু খাওয়া
৪০. কুর’আন নীচে পড়ে
গেলে লবণ কাফফারা দেয়া,সালাম করা, কপালে লাগানো ইত্যাদি।
৪১. দুই হাতে মোসাফা করা, মোসাফা শেষে বুকে হাত লাগানো।
৪২.কারোর গায়ে পা লাগলে গাঁ ছুঁয়ে সালাম করা।
৪৩.ইছালেহ সোয়াব নামে ওয়াজ ও দোয়া করা
৪৪. আল্লাহ পাকের হাত নেই, পা নেই, চোখ নেই, চেহারা নেই, ইত্যাদি আলোচনা ৷
৪৫. রাসুল গায়েব জানতেন বলা।
৪৬. রাসুল জীবিত বলা।
৪৭. রাসুল(সাঃ)নুরের সৃস্টি।
এগুলো কুরআনের কোন কোন আয়াতের ব্যাখা জানতে চাই??

Source comments:-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3736839023005922&id=100000395832341

Quran and Bukhari Hadiths bn

Collected…

বোখারীর হাদিস সংগ্রহ ,হাদিসের সংখ্যা, সংকলন এবং অঙ্ক কষে হিসেব মিলেনা মর্মে আলোচনাঃ=
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦ অনেকেই সিহা সিত্তার মধ্যে ইসমাইল বোখারীর সংগৃহীত এবং সংকলিত হাদিস গ্রন্থটিকে বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করেন। আবার অনেকেই এই হাদিস গ্রন্থটিকে মহাগ্রন্থ কুরআনের পর দ্বিতীয় কুরআন হিসেবে মূল্যায়ন করে থাকেন। এমন কি বোখারীর হাদিস অস্বীকারকারিদের কে কাফের, নাস্তিক এবং মূর্তাদ বলে ফতোয়া দেওয়া হয়। প্রকৃত পক্ষ্যে মানব রচিত বিধান মান্যকারিরাই হাক্কানী কাফির। ২ঃ৭৯/১৭৬ মতে যারা নিজেরা কিতাব রচনা করে বিনিময় নেয়, ৪ঃ১৫০-১৫২ আয়াত মতে আল্লাহ ও রাসুলের মধ্যে ফারাক করে নিজেরা নিজেদের রচিত বিধান যেমন বুখারী, তিরমিজি, ফাজায়েল আমল, কিয়াস, ফেকাহ, নেয়ামুল কুরআন, মকসুদুল মুমিমিন, বেহেস্তের জেওর, ফতোয়া ইত্যাদি গ্রন্থ হতে এবং কুরআন হতে কিছু বিধান নিয়ে মধ্যম পন্থা তৈরি করে তারা হাক্কানি কাফির ৪ঃ১৫০-১৫২/ ১০ঃ১৫। বিশেষ করে বেখারী ও মুসলিমের সংগৃহীত হাদিসগুলির ওপরই ইসলামী আকায়েদ, মাসলা, মাসায়েল ও আইনের ভিত্তি রচিত হয়েছে।
এবার চলুন, আমরা বোখারীর হাদিস সংগ্রহ, সংকলন প্রসঙ্গে সামান্য আলোচনার সুত্রপাত করি। বোখারী হাদিস সংগ্রহের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হাদিস, ১. নির্ভরযোগ্য রাবীগণ ( বর্ননাকারি) একে অন্য হতে, ২. নির্বিরোধে, ৩. অবিচ্ছান্ন সুত্রে বর্ননা করেছেন এবং সে হাদিসের সনদ, ৪. শেষ ব্যক্তিরা, ৫. প্রসিদ্ধ সাহাবী হন এবং প্রত্যেক স্তরে অন্তত, ৬. তিনজন উক্তরুপ নির্ভরযোগ্য রাবী পাওয়া যায়, অথবা কোন স্তরে একজন রাবীর অভাব অন্যকোনো বিশেষ অবস্থার বিবেচনায়, ছ.যদি সে অভাবের ক্ষতিপূরণ হয়, তবেই সে হাদিস বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।নিম্নে এই পয়েন্ট গুলি আলোচনা করা হল।

১. নির্ভরযোগ্যঃ= তীক্ষ্ণ, প্রবল, স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ,জ্ঞানী, ধর্মপ্রাণ, সত্যবাদী হলে তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলে।
২. নির্বিরোধঃ= যারা হাদিস বর্নণা করেন তাদের মধ্যে হাদিসের মর্ম,বা শব্দ যোজনা, বা অন্যকোনো বিষয়ে মতভেদ না হলে তাকে নির্বিরোধ বলা হয়।
৩. অবিচ্ছন্ন সনদ বা সুত্রঃ= বর্ণনাকারীদের মধ্যে এমন কোন দোষ নেই যাতে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের শোনার কোন বাধা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন মনে করি, “ক”এবং “খ”, “প” এবং “ফ” থেকে হাদিস শুনেছেন। কিন্তু এ চার জনের জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায় যে, “ক” এব “খ” এর জন্মের আগেই “প” এবং “ফ” মারা গেছেন কিংবা তাদের মধ্যে দেখাশুনার কোনো সম্ভবনা ছিলনা।
অতএব, এ ক্ষেত্রে সনদ বা সুত্র ছিন্ন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বোখারী ও মুসলিমের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বোখারীর মতে “ক” এবং “খ” এর সাথে “প” এবং “ফ” এর দেখা হয়েছে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে আর মুসলিমের মতে “ক” এবং “খ” এর সাথে “প”এবং “ফ” এর দেখা হবার যথেষ্ট সুযোগ ছিল, কিন্তু দেখা যে হয় নাই তার সুস্পষ্ট কোন প্রমান নেই এভাবে তারা হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ বলে বিবেচনা করতেন।

৪. শেষ ব্যক্তিরা বলতে সে -সমস্ত সাহাবিদের বুঝানো হয়েছে, যারা নিজে কানে বা চোখে আঁ হজরত সাঃ থেকে তা শুনেছেন বা দেখেছেন।

৫.. প্রসিদ্ধ সাহাবী বলতে যে সে সাহাবী হলে চলবেনা। যিনি দীর্ঘকাল আঁ হজরত সাঃ এর সাহচার্যে থেকেছেন, তাঁকে অনুসরন করেছেন এবং সত্যবাদী, মেধাবী বলে বিখ্যাত এমন সাহাবী হতে হবে।

৬. তিনজন নির্ভরযোগ্য রাবী বলতে বুঝানো হয়েছে = যেমন ধরুন, “ক” এবং “খ” বলেন তারা “প” এবং “ফ” থেকে শুনেছেন, আবার “ক”এবং “খ” বলেন তারা “ত” এবং “থ” থেকে শুনেছেন। এখানে “ক” এবং “খ” একস্তর, “প”এবং “ফ” একস্তর এবং “ত” এবং “থ” আর একস্তর। প্রত্যেক স্তরে অন্তত ২ জন নির্ভরযোগ্য রাবী রয়েছেন। কিন্তু “ক এবং “খ” যদি বলেন তারা “প” এর নিকট হতে শুনেছেন আর “প” যদি বলেন তিনি “ত” এবং “থ” এর নিকট থেকে শুনেছেন তাহলে এ স্তরে মাত্র একজন রাবী “প” কে পাওয়া যাচ্ছে। “প” একজন রাবী হওয়ায় যদিও এখানে হাদিসের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে, তথাপি “প” যদি বিশেষ গুণে গুনাণ্বিত হন অর্থাৎ মহাজ্ঞানী, অপূর্বধীসম্পন্ন, নির্মল চরিত্র, ধর্মপ্রান ও চিরোসত্যবাদী বলে বিখ্যাত হন তাহলে তার বর্ণনা দুই ব্যক্তির সমতুল্য বলে গৃহীত হবে।

বোখারী বলেন, “আমি কোন দুঃশ্চরিত্রের মারফত প্রাপ্ত হাদিস গ্রহণ করি নাই। তিনি আরো বলেন, এইরুপ
( উপরোক্ত বর্ণনা মতে) যাচাই- বাছাই করে যে হাদিস টিকতো তা গ্রন্থে সন্নিবেশিত করার পূর্বে আমি ওজু ও গোসল করে নির্মল মনে পবিত্র শরীরে এস্তেখারা বা আল্লাহর ধ্যানে বসতাম। এস্তেখারাতে হাদিসের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত উপলব্ধির পরই কেবল তা আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে যথাস্থানে লিপিবদ্ধ করেছি। সর্বশুদ্ধ ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ হাদিস হতে যাচাই – বাছাই করে মাত্র ৭২৯৭ টি হাদিস এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছি। এটা হতে পুনঃ পুনঃ উল্লেখিত হাদিস বাদ দিলে ২৭০১ টি হাদিস থাকে ( সংখ্যা নিয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে) । অবশ্য আমি যে হাদিস গুলি ছেড়ে দিয়েছি তাতে সবই যে কৃত্রিম বা অশুদ্ধ এমন নহে, এর ভেতরও অনেক সহি হাদিস রয়েছে। সুত্রঃ= ইসলাম সোপান, ইব্রাহীম খাঁ, আহসান উল্লাহ বাংলা একাডেমি পৃ.৯৬–৯৮।

ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামীক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ উল্লেখ করে ” অতপর তিনি হাদিস অনুসন্ধানে মিশর গমন করেন। পরবর্তি ১৬ বছর তিনি উক্ত কাজে ব্যাপৃত থাকেন। এই ১৬ বছরের মধ্যে ১১ বছর তিনি এশিয়ায় পর্যটন করেন এবং ৫ বছর বসরায় অতিবাহিত করেন। কারো কারো মতে ৬০–৭০ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করতে তার ১৬ বছর সময় লেগেছিল। আবার কারো কারো মতে মতে এস্তেখারার মাধ্যমে হাদিসের সত্যতা নিশ্চিত উপলব্ধির পর তা যথাস্থানে লিপিবদ্ধ করে সংকলন করতে তার সময় লেগেছিল ১৬ বছর।
এইবার আসুন, থলের কালো বিড়াল বের করি এবং আমরা উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কিছু আলোচনার অবতারণা করি। যদি ধরে নিই যে, হাদিস সংগ্রহ করতে তার সময় লেগেছিল ১৬ বছর, তাহলে এইবার আমরা একটু হিসাব কষে দেখি যে, প্রতিটি হাদিস সংগ্রহ করতে তার কতটুকুন সময় লেগেছিল? ১৬ বছর * ৩৬৫ দিন = ৫৮৪০ দিন।( * এই তারকা চিহ্নটি গুন চিহ্নের প্রতীক) ২৪ ঘন্টার ১ দিন হলে সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ১২ ঘন্টা কর্মদিবস হিসেবে এবং বাঁকি ১২ ঘন্টা ( রাত্রীকালিন সময়) বিশ্রাম বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কার্যদি সম্পাদনের সময় হিসেব ধরে নিয়ে হিসেব করলে যা দাঁড়ায়= ৫৮৪০দিন * ১২ঘন্টা = ৭০০৮০ ঘন্টা= ৭০০৮০ঘন্টা * ৬০ মিনিট = ৪২০৪৮০০মিনিট * ৬০= ২৫২২৮৮০০০ সেকেনন্ড। এই সময়টুকুতে যদি ৭০ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে প্রতিটি হাদিস সংগ্রহ করতে তার সময় লেগেছিল =
২৫২২৮৮০০০সেকেন্ড ÷ ৭০,০০০০০টি হাদিস = ৩৬ সেকেন্ড প্রায়।

যদি ধরে নিই যে , ৭০ লক্ষ হাদিস এস্তেখারার মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত উপলব্ধি হবার পর তা যথাস্থানে সংকলন করতে তার সময় লেগেছিল ১৬ বছর। তাহলেও আমরা হিসেব কষে দেখতে পাইযে, ( উপরোক্ত হিসেব মোতাবেক অর্থাৎ১২ ঘন্টা কর্ম ও ১২ ঘন্টা বিশ্রাম, ব্যক্তিগত কার্যাদি সম্পাদনের সময়) প্রতিটি হাদিস এস্তেখারার মাধ্যমে সত্যতা যাচাইয়ের পর লিপিবদ্ধ করতে তার সময় লেগেছিল ঐ ৩৬ সেকেন্ড প্রায় ।
আবার যদি ধরে নিই যে, তিনি সারা জীবনভর তা সংগ্রহ করেছেন তবে সংকলন করতে সময় লেগেছিল ১৬ বছর, তাতেও হিসেব করে দেখা যায় যে, তার হায়াতে জিন্দেগানী ছিল ১৯৪ হিজরি –২৫৬ হিজরি সন পর্যন্ত( ১৩ দিন কম) প্রায় ৬২ বছর। তা থেকে যদি তিনি ১৬ বছর সংকলনের কাজে ব্যয় করেন তাহলে থাকে ৬২–১৬= ৪৬ বছর। বিভিন্ন তথ্যে দেখা যায় যে, তিনি ১৬ বছর বয়সে হাদিস সংগ্রহের কাজে ব্রত হন। তাহলে থাকে ৪৬ –১৬ = ৩০ বছর। ১২ ঘন্টা কর্মদিবস হিসেবে ( পুর্বে উল্লেখিত হিসেব মোতাবেক) ধরে নিলে প্রতিটি হাদিস সংগ্রহে তার সময় লেগেছিল = ৩০– ১৫= ১৫ বছর * ৩৬৫ দিন = ৫৪৭৫ দিন। ৫৪৭৫দিন * ২৪ ঘন্টা = ১৩১৪০০ ঘন্টা * ৬০মিনিট = ৭৮৮৪০০০ মিনিট ÷ ৭০০০০০০টি হাদিস = ১. ১২ মিনিট তথা ১মিনিট ১২ সেকেন্ডের মধ্যে তাকে প্রতিটি হাদিস সংগ্রহ করতে দূর- দূরান্তে দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। তাও আবার বর্তমান কনকর্ড বিমানে নয়, মোটরসাইকেল, বাস, প্রাইভেটকার নয়। বরং সেই কালের বাহন = উঁট, ঘোড়া, গাধা, খচ্ছর, নোকা কিংবা পদব্রজে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি কোন দুঃশ্চরিত্রের হাদিস সংগ্রহ করেননি এবং উল্লেখিত কঠোর নীতিমালা অনুসরন ও যাচাই- বাছাই করে।
প্রিয় বিজ্ঞ পাঠক, বিবেকের কাঠগড়ায়, মনের স্বচ্ছ আয়নায় একটু চিন্তা করে দেখুন, তা কীভাবে সম্ভব! আমি আর কত বলবো! সভ্য সহস্রাব্দে পদার্পন করার পরও আমাদের কে এরুপ গোঁজামিলের, অসামঞ্জস্য, অবিশ্বাস্য, অবাস্তব কথার তকমা জোর করে বিশ্বাস করানো হচ্ছে। আর এই তথাকথিত বোখারী শরীফে প্রিয় নবীজি সাঃ এর চরিত্রের অপমান, অবমূল্যায়ন, এবং অবাস্তব, অসম্ভব, অবৈজ্ঞানিক, অনৈতিক, অনেক আজগুবি কথা, কাজ, ও নির্দেশ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, যা পড়ে শত্রুরা মহানবী সাঃ এর চরিত্রে দোষ খুঁজছে এবং ইসলাম কে একটি অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব, গাঁজাখোরী,সন্ত্রাসী দর্শন, ধর্ম বলে প্রমান করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এমতবস্থায় নবীজি সাঃ এর হাদিস বলে যে হাদিস গুলা আমরা পেয়েছি তা মুহাদ্দিসের দ্বারা যতই যাচাই-বাছাই করে পেশ করা হউক না কেন, নবীজি সাঃ এর নির্দেশ মোতাবেক তা মহাগ্রন্থ কুরআনের আলোকে বিচার বিশ্লেষন করে গ্রহন করা ব্যতীত আমাদের কাছে বিকল্প কোন উপায় থাকেনা। শুধু ” কালা ” ” কালা ” বলেই বর্ণিত হাদিস নবীজি সাঃ এর হাদিস বলে গ্রহণ করা যাবেনা। মহাগ্রন্থ কুরআনের সাথে সামঞ্জস্যহীন বা কুরআনের সাথে মতনৈক্য হয় এমন হাদিস যতই সিহাসিত্তায় থাকুক না কেন উম্মতের বৃহত্তর স্বার্থে তা অপ্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অন্যথায় এক সময় বিশ্বব্যব্যপী নেতৃত্বদানকারি এই মুসলিম জাতিটি কখনো কুরআনের প্রকৃত অনুসারি তথা আহলে কুরআন হতে পারবেনা।উল্লেখ্য যে বোখারী শরীফ নামের হাদিস গ্রন্থ কে দ্বিতীয় কৃরআন হিসেবে যারা জানে, মানে সেই হাদিস গ্রন্থ সংকলের প্রেক্ষাপট যদি এমন আজগুবি ভিত্তিহীন হয়ে যায় তবে অন্যান্য হাদিস গ্রন্থগুলির কি হ-জ-ব-র-ল অবস্থা তা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্তমানে প্রায় ৪ শতাধিক হাদিস গ্রন্থ বাজারে রয়েছে। এগুলির সব বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত নবীজি সাঃ এর ঘোর শত্রুদের দ্বারা রচিত।

তাছাড়া ধান সার দিয়ে চিঁটা আবর্জনা পৃথক করার সময় ধানের মধে যেমন চিঁটা এবং চিঁটার মধ্যে যেমন ধান মিশ্রীত হওয়ার সমুহ আশংকা থাকে তেমনি বোখারী শরীফের ৬০–৭০ লক্ষ হাদিসের মধ্য হতে ৭২৯৭ টি হাদিস যাচাই- বাছাই করতে গিয়ে যে, জাল হাদিসের মধ্যে সহি হাদিস কিংবা সহি হাদিসের মধ্যে জাল হাদিসের সংমিশ্রণ বা অনুপ্রবেশ ঘটেনি তার মাপকাঠি বা নিশ্চয়তা কী? আবার অনেকে বলেন হাদিস গ্রন্থ নাকি কুরআনের ব্যাখ্যা, হাদিস ছাড়া কুরআন বুঝা যাবেনা। কিন্তু না, তাদের বুঝ ঠিক নয়।আমরা সবাই জানি কুরআনে ১১৪ টা সূরা রয়েছে, ইমাম বুখারী কিন্তু সকল সূরার সকল আয়াতের ব্যখ্যা দেন নি। ২৮ টি সুরার ব্যাখ্যা সম্বলিত কোন হাদীস সহি বুখারীতে নেই।

২ নং সূরা বাক্কারাহতে ২৮৬ টি আয়াত রয়েছে, বুখারীতে মাত্র ৫০ টির মতো আয়াতের ব্যাখ্যা সম্বলিত হাদীস পাওয়া যায়। এর অর্থ দাড়ায় ২০% আয়াতের ব্যাখ্যা রয়েছে, বাকি ৮০% এর ব্যাখ্যা নেই। বিধায় মনের আয়নায় প্রশ্ন জাগে তাহলে কেমনে বোখারী কুরআনের ব্যাখ্যাকারী গ্রন্থ হয়?
এখন দেখা যাক ব্যাখ্যার ধরন। ১০৮ নং সূরা আল-কাওসারে ৩টি আয়াত রয়েছে। একটি মাত্র শব্দের ব্যাখ্যার মধ্য দিয়েই পুরা সুরার ব্যাখ্যা সম্পন্ন করাকেই যথেষ্ট মনে করা হয়েছে। বুখারী বলেছেন – ‘কাওসার’ জান্নাতের একটি নদী।
বুখারী সম্ভবত ভালো আরবি জানতেন না তার একটা উদাহরন। কারন ‘কাওসার’ মানে পর্যাপ্ত পরিমানে ভালো কিছু। ‘কাথির’ মানে অনেক, পর্যাপ্ত।

এছাড়া কুরআন নিজেই নিজের ব্যাখ্যাকারি, বর্ণনাকারি, বর্ননা কারি, বিবৃতকারি, প্রত্যায়ন কারি, সত্যায়ন কারি, ফায়সালাকারি, সমাধানকারি,সহজ – সরল গ্রন্থঃ ৪ঃ১০৫/ ৬ঃ৩৮/ ৬৫/৮৯/১০৫/ ১১৪/ ১১৯/১২৬/৭ঃ৫২/৫৮/৯ঃ১১/১০ঃ৩৭/৬১/১১ঃ৬/১২ঃ১,১১১/১৩ঃ১/ ১৬ঃ৪৪/৫৮/৮৯/ ১৭ঃ৯/ ৮১/৪১/ ৮৯//১৮ঃ১-২/৫৪/১৯ঃ৯৭/২২ঃ৭২/২৪ঃ১৮,৪৬,৫৮, ৫৯, ৬১/২৫ঃ৩৩/ ২২ঃ৭২/২৭ঃ৭৫-৮৯/ ৩৪ঃ৩/৩৯ঃ২৭/ ৩৮ঃ২৯/৫৪ঃ১৭/২২/৩২/৮৬ঃ১৩।

এবং কুরআন নিজেই হাদিস গ্রন্থ। কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত গুলিতে হাদিসের কথা উল্লেখ রয়েছে।
১. কুরআন নিজেই আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩। ২. কুরআনে লাউয়াল হাদিসের কথা বা অসার বানির কথা উল্লেখ রয়েছে ৩১ঃ৬।কুরআন নিজেই রাসুলের হাদিস বা বানি ৬৯ঃ৪০/ ৮১ঃ১৯। কুরআন আল্লাহর বানি তার পক্ষে সমর্থিত আয়াত ৬৯ঃ৪২-৪৪/২৯ঃ৪৬-৪৯।।আরো দেখুন কুরআন রাসুলের / আল্লাহর হাদিস বা বানি তথা নিস্নের আয়াত গুলিতে হাদিস শব্দ দেখতে পাবেনঃ= ৪ঃ৪২/৪ঃ৭৮/৪ঃ৮৭/৪ঃ১৪০/৪৭ঃ৮/৬ঃ৬৮/৭ঃ১৮৫/১২ঃ১১১/১৮ঃ৬/২০ঃ৯/৩১ঃ৬/৩৩ঃ৫৩/৩৯ঃ২৩/৪৫ঃ৬/৫১ঃ২৪/৫২ঃ৩৪/৫৩ঃ৫৯/৫৬ঃ৮১/৬৬ঃ৩/৬৮ঃ৪৪/৬৮ঃ৫০/৭৮ঃ১৫/৭৯ঃ১৫/৮৫ঃ১৭/৮৮ঃ১।

বিধায় যেহেতু কুরআন পুর্নাংগ জীবন বিধান ৫ঃ৩ সেহেতু কুরআনের বাইরে মানব রচিত কোন হাদিস, ফতোয়া গ্রহনের সুযোগ নেই। কারন ফতোয়া দেয়ার মালিক তো আল্লাহ ৪ঃ১২৭/১৭৬।

মোঃ নজরুল ইসলাম। ০৫–০৮–২০২০ খ্রীঃ।

Hadith vs Quran

Sourse Link

হাদিস মানার আগে জানুন। কার হাদিস মানবেন? কারহাদিস বর্জন করবেন। মানব রচিত হাদিস মান্য কারিরা হাক্কানি কাফির।
দলিল লিংকে।
♦♦♦♦♦♦♦♣
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/116790780074747/

হাদিস মানার আগে জানুন কার হাদিস মানবেন?আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের হাদিস? হাদিস মানে কি?

((আল্লাহর স্মরনে সিজদাই সালাত
♦♦♦♦♦♦♦
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/138835881203570/ ))


♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
যারা হাদিসের নামে কুরআন বা কুরআনের সাথে সম্পর্কহীন বুখারীদের তৈরি কথাকে হাদিস মনে করে, আল্লাহর কথা বাদ দিয়ে- আলেমদের তথা মানব রচিত কথায় ইবাদত করেন, তারা আগে কুরআনের নিম্মলিখিত আয়াতগুলির অর্থ ঈমান নিয়ে পড়ে যাচাই করুন- আপনি কার হাদিস মানবেন? আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের তৈরি করা হাদিস? কুরআন মতে হাদিস দুই প্রকার। ১. কুরআন নিজেই আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩। ২. লাউয়াল হাদিস বা অসার বানি ৩১ঃ৬।কুরআন নিজেই নবীর হাদিস বা বানি ৬৯ঃ৪০/ ৮১ঃ১৯। কুরআন আল্লাহর বানি তার পক্ষে সমর্থিত আয়াত ৬৯ঃ৪২-৪৪/২৯ঃ৪৬-৪৯।।
আরো দেখুন কুরআন রাসুলের / আল্লাহর হাদিস বা বানি তথা নিস্নের আয়াত গুলিতে হাদিস শব্দ দেখতে পাবেনঃ= ৪ঃ৪২/৪ঃ৭৮/৪ঃ৮৭/৪ঃ১৪০/৪৭ঃ৮/৬ঃ৬৮/৭ঃ১৮৫/১২ঃ১১১/১৮ঃ৬/২০ঃ৯/৩১ঃ৬/৩৩ঃ৫৩/৩৯ঃ২৩/৪৫ঃ৬/৫১ঃ২৪/৫২ঃ৩৪/৫৩ঃ৫৯/৫৬ঃ৮১/৬৬ঃ৩/৬৮ঃ৪৪/৬৮ঃ৫০/৭৮ঃ১৫/৭৯ঃ১৫/৮৫ঃ১৭/৮৮ঃ১।

♦হাদিসঃ = হাদিস মানে বানি , কথা, মেসেজ, খবর, বার্তা, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, ট্রেডিশন, বিবৃতি, বর্ননা, বচন, কথন, । ফলে উল্লেখিত আয়াত সমুহ দ্বারা প্রমানিত হয় যে কুরআন নিজেই হাদিস বা আল্লাহর বানি।

কিছু ধর্মান্ধ পন্ডিতদের কথা, লিখা, কমেন্টে মনে হয় আরবি হাদিস শব্দটি শুধু নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর আমলে উৎপত্তি লাভ করেছে। তাদের মতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর কথা কাজ সম্মতি কে হাদিস বলে। তাদের এই সংজ্ঞা সার্বজনিন নয়, সার্বকালিন নয়। অর্থাৎ এই সংজ্ঞা যথার্থ নয়। কারন হাদিস শব্দটি আরবি ভাষা সৃষ্টির লগ্ন হতেই আরবি অভিধানে ছিল, আছে, থাকবে। কাজেই আরবি হাদিস শব্দটির অর্থ যেহেতু কথা, বানি, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, কালাম, যেহেতু শব্দটি নবীজির আবির্ভাবের আগে থেকেই ছিল সেহেতু কুরআন নিজেই হাদিস বা বানি। আর আল্লাহ + নবীর সেই বানিটিই হল কুরআন, যার দলিল উপরে দেয়া হয়েছে।

সুতরাং হাদিস মানে বুখারিদের কয়টা কথা শুধু নয়।দ্বীনের ক্ষেত্রে মানব রচিত যাবতীয় বিধান বর্জনীয়। কেননা দ্বীনের বিধান দিতে হবে কুরআন হতে মর্মে বহু আয়াত কুরআনে উল্লেখ আছে ২ঃ৭৮-৭৯/২৫৬/৬ঃ৫০-৫৫/৭০/৮৪/২১ঃ৮৩/৩৯ঃ২৭/৪৩ঃ৪৩/৫০ঃ৪৫/১৮ঃ২৭।দ্বীনের সকল ফায়সালা হবে কুরআন মাফিক ৮৬ঃ১৩। অনেকে বলেন বেশির ভাগ মানুষই তো মানব রচিত হাদিস অনুসরন করে।এই অধিকাংশ লোকের কথায়, মতে চলা লোকদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা অধিকাংশ লোকের কথা মত চলে তারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত হবে ৬ঃ১১৬। কেননা, সত্য ও ন্যায়ের দিক হতে আল্লাহর বিধানই পরিপুর্ন ৬ঃ১১৫।

যারা আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যান করে / যারা আল্লাহর আয়াত মানে না-
১. তারা নবী সাঃ এর শত্রু, শয়তান= ৬ঃ১১২।
২. তারা তাগূত- জাহান্নামী =২ঃ২৫৭।
৩. তাদের অবস্থা হাঁপানো কুকুরের মত= ৭ঃ১৭৬।
৪. তারা পুস্তকবহনকারী গাধার মত =৬২ঃ৫।
৫. তারা পশুর মত, বা তার থেকেও বিভ্রান্ত =৭ঃ১৭৯।
৬. তারা নিকৃষ্ট জীব / নির্বোধ জানোয়ার = ৮ঃ২২।
৭.তারা বধির ও মুক, অন্ধকারে রয়েছে =৬ঃ৩৯।
৮. তারা কাফির = ৫ঃ৪৪।
৯. তারা যালিম = ৫ঃ৪৫।
১০. তারা ফাসিক =৫ঃ৪৭।
১১. আল্লাহর আয়াত আসার পর যারা আল্লাহর আয়াত ভুলে থাকবে
তাদেরকে হাসরের মাঠে অন্ধ অবস্থায় উঠানো হবে = ২০ঃ১২৪–১২৭।

যারা কুরআন বর্জন করে বুখারি-মুসলিমদের কথামত সালাতুত তারাবি, সালাতুজ যোহর, সালাতুল আসর ও সালাতুল মাগরিব নামে সালাত পড়েন, তাদের অবস্থা কি একবার ভেবে দেখুন।

♦বিদায় হজের ভাষনে কুরআন + সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে হবে? নাকি কুরআন + মিনহাজা আঁকড়ে ধরতে হবে? এই মর্মে বিভ্রান্তি নিরসনের কুরআন মাফিক ফায়সালা দেখুন নিম্নের লিংকটিতে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=116687840085041&id=114147860339039

♦কুরআনই দ্বীনের একমাত্র দলিল। মানব রচিত হাদিস নামক বিধান, ইজমা, কিয়াস, ফেকাহ ইত্যাদি দ্বীনের কোন দলিল নয়। বিস্তারিত লিংকে
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/116092713477887/
==================================[
♦ ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেকে সুরা নিসার ৪ঃ৫৯/ ৮০ এবং সুরা ইমরানের ৩ঃ৩১আয়াত /সুরা হাসরের ৫৯ঃ৭ সহ ২ঃ১৪৩ /৩ঃ১৮/ ৪ঃ৬৫ / ৪ঃ১১৩ /৪ঃ১১৫ /৬ঃ৭ /৯ঃ১৭ /১০ঃ৮২ /১৫ঃ৯ /১৬ঃ৪৪ /২০ঃ৪৭/ ৩৩ঃ২১/ ৪২ঃ৫১/ ৫৭ঃ২৫/ ৭৫ঃ১৯ আয়াত দ্বারা বুঝাতে চান যে, রাসুলের আনুগত্য করা মানে বুখারিদের উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংগ্রহ কৃত ৬০/৭০ লক্ষ হাদিস হতে সহি নামক ৭২৭৫টি হাদিস মানা। যারা এই হাদিস মানে না তারা রাসুলকে মানেনা, ফলে কুরআন কে মানা হয়না, বিধায় আল্লাহ কেউ মানা হয়না। কিন্তু না, তাদের এই বুঝ ঠিক নয়,ভিত্তিহীন।মিথ্যা, মনগড়া। বিস্তারুত লিংকের ভিতর।
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/114843596936132/
♦===================================
৫৯ঃ৭ সুরা হাশরের ৭ নং আয়াত মতে বুখারি ভক্তরা হাদিস মানা বুঝায়। কিন্তু সে বুঝ ভিত্তিহিন। ৫৯ঃ৭ দ্বারা দান বা বস্তু গ্রহন কে বুঝায়। বিস্তারিত ব্যাখ্যা লিংকে দেখুন, বিভ্রান্তি মুক্ত হউন, সত্য জানুন।

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/122314026189089/

♦দ্বীনের ক্ষেত্রে যারা কুরআন ব্যতিত নিজেদের হাতে রচিত বিধান মানে তারা কুরআন মতে হাক্কানী কাফির। দলিল কুরআন হতেই নিম্নের লিংকটিতে দেখুন।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=118002923286866&id=114147860339039

♦ কুরআন যেমন সত্য, তেমনি মানব রচিত হাদিসও কি সত্য? ২ টি পরস্পর বিরোধী হাদিসের বিশ্লেষন সহ গুরুত্ব পুর্ন আলোচনা লিংকে

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/140729271014231/

♦বোখারীর হাদিস সংগ্রহ ,হাদিসের সংখ্যা, সংকলন এবং অঙ্ক কষে হিসেব মিলেনা মর্মে আলোচনাঃ=

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/141699300917228/

♦সত্য হবে সমহিমায় উদ্ভাসিত। মানব রচিত হাদিসের গোমর ফাঁস হবে পর্ব = ১+২। বিস্তারিত লিংকে

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/140977344322757/

♦ গবেষনার দৃষ্টিতে ৫ উয়াক্ত সালাত মিরাজ হতে আমদানি সংক্রান্ত বুখারিদের হাদিসটি মিথ্যা প্রমানিত হয়ঃ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117638529989972&id=114147860339039

♦ দাড়ি, টিকি, টুপি, জুব্বা, পাগড়ি, ধুতি, জুরির পোশাক ইত্যাদি নাকি সুন্নাত। অন্তত দাড়ি নামা ভিত্তিহিন মর্মে প্রমান দেখুন।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117635269990298&id=114147860339039

♦১০ই মহররম কারবালার শোককে আঁড়াল করার জন্য কতই না মিথ্যার আমদানি করেছে উমাইয়া – আব্বাসীয় রাজ বংশ, তার কিছু দালিলিক নমুনা দেখুন
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=118013109952514&id=114147860339039
♦===================================
যারা বলেন মানব রচিত হাদিসের অনুশীলন না করলে রুকু নিজদা করবো কিভাবে? তারা রুকু সিজদার প্রকৃত অর্থ, প্রক্রিয়া জেনে নিন। প্রচলিত রুকু সিজদা রুপক। https://www.facebook.com/114147860339039/posts/160680782352413/
♦==================================
শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম সমাজ মূর্তিপূজারিদের খেলাফত কর্তৃক ধর্মের বিধান মনের অজান্তে মেনে চলছি।বড়ই অজ্ঞতার গেঁড়াকলে পিষ্ট হচ্ছে মুসলিম জাতিটি। বিস্তারিত লিংকের ভিতর দেখুন।

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/119208683166290/

♦বুখারি—মুসলিম দিগর হাদিস”-এর অনুসারিরাই প্রকৃত হাদিস অস্বীকারকারী ও মুনাফিকঃ=
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/145143143906177/
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কুখ্যাত সাহাবীদের সমালোচনা কেন করা যাবেনা, মর্মে হাদিসটির বিশ্লেষন দেখনঃ

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/153609959726162/

♦ সিয়াসিত্তা নামে হাদীসের কিতাবগুলোয় হাদীসের নামে রাসুল (সা:)-এর অবমাননা কিভাবে করা হয়েছে একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♣
নিচে বোখারী শরীফে বর্ণিত হাদীসটি পাঠ করে গভীরভাবে চিন্তা করুন, হাদীসটি কতটুকু সহী? হাদীসটি নিচে তুলে ধরা হলো-

” মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহ:) আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা:) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারোজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রা:)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি এত শক্তি রাখতেন? আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে। সা’ইদ (রহ:) কাতাদা (রহ:) বর্ণনা করেন, আনাস (রা:) তাদের কাছে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারোজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন।” (বোখারী শরীফ গোসল অধ্যায়, ২৬৬নং হাদীস)

উপরে উল্লেখিত হাদীসটি রাসুল (সা:)-এর মুখ নিসৃত কোন বাণীই নয়। বরং রাসুল (সা:)-কে নিয়ে নিন্দুকেরা যেভাবে পিছনে সমালোচনা করে, সেইরূপ সমালোচনাই করা হয়েছে কথিত হাদীসটিতে।

কোন পুত্র কি কখনও এরূপ চিন্তা করে যে, তার পিতা কতজন স্ত্রীর সাথে মিলিত হতে সক্ষম? আর রাসুল (সা:) হলেন এমনই একজন, যাঁকে নিজের পিতা-মাতা, স্ত্রী সন্তান, ধন সম্পদ এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও যতক্ষণ কেউ বেশি ভাল না বাসবে, ততক্ষণ কেউ ঈমানদার হতে পারবে না। সেই রাসুল (সা:) কতজন স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার শক্তি রাখেন কোন ঈমানদার কি এমন চিন্তা করতে পারেন? বর্ণিত হাদীসটিতে তারা শুধু চিন্তাই করেনি, পরস্পর এই বিষয় নিয়ে আলোচনাও করত বলে হাদীসটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে যারা এমন আলোচনা করে তারা কি সত্যিই ঈমানদার ছিলো? নাকি রাসুল (সা:)-কে অবমাননা করার জন্য উল্লেখিত সাহাবীগণের নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে?

সাহাবীগণের নাম দিয়ে হাদীসের নামে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। রাসুল (সাঃ) কতজন স্ত্রীলোকের সাথে মিলিত হওয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমন আলোচনা করা কোন সাহাবীর পক্ষে সম্ভব নয়, এটা মোনাফেকদের কাজ। অথচ আমরা বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও তিরমিযী শরীফের হাদীস হলেই অন্ধের মত হাদীসকে সহী হিসাবে বিশ্বাস করি। আসলেই কি এই হাদীসটি বিশ্বাসযোগ্য?
মহানবীর চরিত্র কে খাটো করার ষড়ন্ত্রের অংশ হল হাদিস নামক কেচ্ছা কাহিনি গুলি। কোন পুত্র যেমন তার পিতা তার মায়ের সাথে কোতবার কি করেছে তা শুনতে চায়না, শুনলে লজ্জাবোধ করে, পিতার চরিত্রকে খাটো করা হয়, তেমনি নবী মুহাস্মাদ সাঃ হলেন সমগ্র জগতের নবী। সেই মহামানবের নামে এমন নোংরা গোপন কথা ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানানো ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।

হাদিসের নামে মহানবীর নামে জাল হাদীস তৈরি
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
প্রিয় নবী সাঃ জানতেন যে, তাঁর তিরোধানের পর তাঁর নামে জাল হাদীস প্রচার হবে, তাই তিনি বলে গেছেন,
“আমার নামে প্রচলিত হাদীস যদি কুরআনের ভাবধারার বিরোধী হয় তাহলে জানবে, তা আমার হাদীস নয়।”
[তফসিরে আহমদিয়ার মুকাদ্দামার ৪র্থ পৃ. দ্রষ্টব্য]

হাদীস সংকলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাসূল সা.-এর তিরোধানের দীর্ঘ আড়াই শত বৎসর যাবৎ হাদীস লিখিত আকারে সংকলিত হয়নি।

“হজরত আবু বকর রাঃ একবার হাদীস সংকলনের জন্য মনোনিবেশ করলেন। তিনি প্রায় তিন শত হাদীস সংগ্রহ করেছিলেন। অতঃপর কয়েকটি হাদীস সম্পর্কে তাঁর সন্দেহ হওয়াতে তিনি এ কাজ বন্ধ করে দেন। হজরত ওমর রা ও হাদীস সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ তাঁর মনে হলো, হাদীসসমূহ সংগৃহীত হলে লোকজন কুরআন ছেড়ে হাদীসের দিকেই বেশি আগ্রহান্বিত হবে। তাই তিনি সংগৃহীত হাদীসগুলো নষ্ট করে দেন। উমাইয়া বংশের খলিফা দ্বিতীয় ওমর রাঃ এর আমল থেকেই হাদীস সংকলনের প্রচেষ্টা আরম্ভ হয়। এত দীর্ঘকাল পরে হাদীস সংগ্রহ করায় বিশ্ব মুসলিমের যে ক্ষতির আশংকা ছিলো, সে সর্বনাশ এরই মধ্যে হয়ে গিয়েছিলো। এ মহাসর্বনাশের হোতা ছিলো :
১.তথাকথিত মূঢ় ইসলাম দরদীরা,
২.সাম্প্রদায়িক মাযহাবের নেতৃবৃন্দ,
৩.জালিম শাসকদের পদলেহনকারী আলিমবৃন্দ, আর
৪.ইসলামের শত্রুরা।
শামসুদ্দীন আদ্দাহরী রচিত ‘মিজান-আল-ইতিদাল-ফি নকদ আর রিজাল’ গ্রন্থে হাদীস জালকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে। আহমদ ইবনে হাম্বলের সমকালীন আবু দাউদ (হাদীস সংগ্রাহক আবু দাউদ ভিন্ন ব্যক্তি) অতি বড় আলিম ও কামিল ব্যক্তি ছিলেন…তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং সারারাত আল্লাহর এবাদত করে কাটাতেন। অনেক জাল হাদীস তাঁর নামে চালিয়ে দেওয়া হয় ।
মুহাম্মদ বিন-উক্কাসা এবং মুহাম্মদ বিন-তামিম ১০,০০০-এরও বেশি হাদীস জাল করেছেন (জালালউদ্দিন সুয়ুতি প্রণীত ‘তাদরিব আর-রাভি’)। ওহাব বিন-হাফস অত্যধিক পরহেজগার ছিলেন। কামালিয়াত হাসিলের জন্য তিনি ২০ বৎসর পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির সাথে বাক্যালাপ না করে ইবাদতে কাটান। তাঁর নামেও বহু জাল হাদীস চালানো হয় (ইবনে হাজার আসাকালানি : লিসান আল-মিযান)।

“মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাঃএর ওফাতের এক শতাব্দীর মধ্যেই মুসলমানরা ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। মাযহাবের নেতৃবৃন্দ বা আলিমবৃন্দ তাঁদের বিশ্বাস ও আকিদার সমর্থনে হাদীস জাল করতে থাকেন । মুহাম্মদ বিন-আল-হাসান সুন্নিদের সমর্থনে হাদীস জাল করেন (আল ইসতিয়াব প্রণেতা ইবনে আবদ আলবার)। খারিজিদের বিরুদ্ধবাদী আল-মুহাল্লাব খারিজিদের মতবাদ মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য হাদীস জাল করেন। উমাইয়াদের প্রচলিত রীতিনীতি সমর্থন করে হাদীস জাল করে আউয়ানা বিন-আউকাম (আবু আবদুল্লাহ ইয়াকুত প্রণীত মুজাম আল-আবাদা)। তেমনি আব্বাসীয়দের সমর্থনে জিয়াত বিন-ইব্রাহিম হাদীস জাল করেছে। আবু আল-আয়না মুহাম্মদ আল-কাসিম জাল করেছে শিয়াদের সমর্থনে। মুহাম্মদ-বিন-আল- হোসাইন করেছেন সুফিদের সমর্থনে। মুহাম্মদ-বিন-আল-কাসিম হাদীস জাল করেছে মুরজিয়াদের সমর্থনে।”
[ইসলামী প্রবন্ধমালা, সামশুল আলম, (ইঃ ফাঃ) পৃষ্ঠা ৫০৭-৫০৮]
এ হচ্ছে হাদীস জালের সংক্ষিপ্ত বিবরন ।

♦জাল হাদিসের দৃষ্টান্ত আরো দেখুন।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117704033316755&id=114147860339039♦

হাদিসের গোঁজামিলের / বিভ্রান্তির আর একটি দৃষ্টান্ত দেখুন।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117643929989432&id=114147860339039
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেকে বলেন মানব রচিত হাদিস না পড়লে নামাজ, রোজা ইত্যাদি করবো কিভাবে? তাদের কথায় প্রমানিত হয় কুরআন অসম্পুর্ন। কিন্তু না, কুরান সস্পুর্ন ৫ঃ৩। তাছাড়া মানব রচিত হাদিস ব্যতীত বাবা আদম আঃ হতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ পর্যন্ত মানব রচিত হাদিস সৃষ্টির পুর্বে মানুষ হাদিস ছাড়া এগুলি পালন করেছে নিশ্চিত। কারন পুর্ববর্তি নবী- রাসুলগনের প্রতিও কিতাব নাজীল করা হয়েছিল ১৬ঃ৬৪, পুর্ববর্তি নবী- রাসুলদেরকে সব বলা হয়েছিল ৪১ঃ৪৩, নবী – রাসুল গনের নফসের মৃত্যু পুর্বেওছিল ৩ঃ১৪৪, নবী মুহাম্মাদ সাঃ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করেছেন ৩৯ঃ৩০-৩১, সালাত ,জাকাত পুর্বেও, ছিল ৩ঃ৪৩/২ঃ৮৩/২ঃ১২৫।/ ১৪ঃ৪০, ইবাদত পুর্বেও ছিল ২ঃ৮৩/২১ঃ৭৩/২ঃ১২৫ , সিজদা পুর্বেও ছিল ৩ঃ৪৩, গুনাহ পুর্বেওছিল ৪০ঃ৫৫/৪৭ঃ১৯, দোয়া/ মুনাজাত পুর্বেও ছিল ১৪ঃ৪০/ ২ঃ১২৫/ রুকু + তোয়াফ + ইতিকাফ পুর্বেও ছিল ২ঃ১২৫ / কুরবানি পুর্বেও ছিল ২২ঃ৩৪-৩৫। বিবাহ পুর্বেও ছিল ৭ঃ১৮৯।জাকাত এবং জাকাত প্রদানের নিয়ম পুর্বেও ছিল ২ঃ৮৩/ ২১ঃ৭২-৭৩/১৯ঃ৫৪-৫৫, । মুসলিম বা ইসলাম ধর্ম পূর্বেও ছিল ২২ঃ৭৮ রোজা পুর্বেও ছিল, কারন মা মরিয়ম রোজা পালন করেছে ১৯ঃ২৬ । সালাম পুর্বেও ছিল ৩৭ঃ১৮১/ ১৯ঃ১৫/৩৩/ ৩৭ঃ১৩৭/৩৭ঃ১০৯/ ৩৭ঃ১২০ কাবা, হাজরে আসোয়াদ, মাকামে ইব্রাহীম, শয়তানের প্রতীকি পিলার পুর্বেও ছিল ২ঃ১২৫। কাবা পুর্বেও ছিল ২ঃ১২৫, কবর খনন, দাফন – কাফন প্রক্রিয়া পুর্বেওছিল ৫ঃ৩০-৩১, মিথ্যা- অবজ্ঞা পুর্বেওছিল ৬৭ঃ১৮, নবী- রাসুল – মুানুষকে শয়তানের ধোকা, দাগা, প্ররোচনা পুর্বেওছিল ২ঃ৩৬/৭ঃ২৩/২০ঃ১২১/ ১১ঃ৪৭/ ৭১ঃ২৬-২৮/ ১৪ঃ৩৫-৪১/২৮ঃ১৫-১৬/৩৮ঃ১৮-২৬/৩৮ঃ৩১-৩৬/ ৩৭ঃ১৩৯-১৪৪, কালিমা, সাওম, সবই পুর্বে ছিল এবং পুর্বের বিধান মতে মানুষ মেনে চলেছে। আর এই বিধানের কোন পরিবর্তনও নেই ১৭ঃ৭৭। এই গুলির ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে রাসুল তোমাদের কুরআনের অজানা বিষয় শেখাবেন এবং অন্তরাত্না পরিশুদ্ধ করাবেন ২ঃ১৫১/৩ঃ১৬৪।
বিধায় পুর্নাঙ্গ কুরআন থাকতে, চলমান রাসুল থাততে মানব রচিত বিধান অনুসরন করার কোন হেতু নেই। অনেকে বলেন রাসুল কে অনুসরন করা মানে রাসুলের নামে অসত্য হাদিস অনুসরন করতে হবে এবং যারা এই অসত্য হাদিস অনুসরন করবেনা তারা কাফির, রাসুলের অনুসারি নয়। কিন্তু না, এদের বুঝ কুরআনের বুঝ নয় নিশ্চিত । এদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হচ্ছে যে, নবী মুহাম্মাদ (স.) যা অনুসরণ করেছেন তা যারা অনুসরণ করেন তারাই নবী (স.)-এর অনুসারী। নবী মুহাম্মাদ (স.)-কে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, “হে নবী আপনার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হয় আপনি শুধু তারই অনুসরণ করুন, অন্যকিছু অনুসরণ করবেন না” সুরা আনআম আয়াত ৬ঃ-৫০। কারণ নবী (স.) ওহি ব্যতীত কাউকে সতর্ক করেন নি সুরা আম্বিয়া-২১ঃ ৪৫। আর দ্বীনের বিষয়ে নবী ওহি ব্যতীত কোন কথা বলেন নি ৫৩ঃ৩।তিনি আল্লাহর নামে কোন কিছু বানিয়ে বলেন নি ৬৯ঃ৪৪। যদি দ্বীনের ব্যাপারে কোন কিছু বানিয়ে বলতেন তাহলে আল্লাহ তাঁর দক্ষিন হস্ত ধরে ফেলতেন ৬৯ঃ ৪৫ এবং তাঁর জীবন ধমনী কাটিয়া ফেলতেন ৬৯ঃ৪৬। নবীকে আল্লাহ বলেন, আপনি ওহির অনুসরন করুন ৪৩ঃ৪৩।আর তিনি তো প্রভুর স্পষ্ট প্রমানের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৬ঃ৫৭।আর নবী সাঃ এর জন্য বিধান স্বরুপ এই কুরআনই ২৮ঃ৮৫ এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে বিধান দিতে হবে একমাত্র কুরআন হতে ২ঃ৭৮-৭৯/২৫৬/৬ঃ৫০-৫৫/৭০/৮৪/২১ঃ৮৩/৩৯ঃ২৭/৪৩ঃ৪৩/৫০ঃ৪৫/১৮ঃ২৭

=====================================
মোনাফেক মোয়াবিয়া কর্তৃক জাল হাদিস তৈরির গোমর ফাঁস করি।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦। মোনাফেক মোয়াবিয়া টাকার বিনিময়ে, খারিজিদের দিয়ে মাওলা আলী আঃ কে গুপ্ত হত্যা করিয়ে গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ক্ষমতায় এসে তার দাদা মূর্তি পূজারী উমাইয়ার নামে মুসলিম খিলাফত রাজতন্ত্র কায়েম করে। তা আজও উমাইয়া খিলাফত নামে পরিচিত। মোয়াবিয়ার ২০ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে তার অনুগত লোকদের দিয়ে নিজের প্রশংসার উপর প্রচুর জাল,মিথ্যা হাদিস তৈরি করে।

চতুর মোয়াবিয়ার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিজের পাপকর্ম ঢেকে রাখা। কারণ সে জানতো ইতিহাস কখনো ঢেকে রাখা যাবে না। তাই সে জঘন্যতম কালো ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য, স্বর্ণ মুদ্রার বিনিময়ে জাল হাদিস ও মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে। যাতে তার অন্ধ অনুসারীরা এইসব জাল হাদিস ও মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে তার পক্ষে আনুগত্য স্বীকার করাতে সক্ষম হয়। যুগের কালক্রমে আজও সমাজে সেটাই হয়ে আসছে।তার আর একটি উদ্দেশ্য ছিল খুনি মদ্যপ লম্পট পুত্র ইয়াজিদ কে উত্তর সুরি করে মোয়াবিয়া পরবর্তি সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানো।পরবর্তিতে সে সফল হয়। কারবালার প্রান্তরে নবী বংশ কে ধ্বংস করে খুনি ইয়াজিদ ক্ষমতার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে তার পোষা বেতন খোর মোল্লাহ আলেম দ্বারা মিথ্যা হাদিসের মহাস্তুপ রচনা করে নেয়। এই উদ্দেশ্য প্রনোদিত মানব রচিত হাদিস চাষিরাই হল আমাদের পাকপাঞ্জাতনের মহাদুশমন। এদেরকে চিহ্নিত করার এখন সময়। আর এদের অন্যতম হাতিয়ার হলো, যে মোয়াবিয়াকে কাফের বলবে তাকে সরাসরি শিয়া উপাধি দিয়ে দাও।

হাদিসের সংখ্যা ও সংগ্রহের হিসাব মিলেনাঃ=
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
মুহাম্মাদ (সাঃ) ২৩ বছর ভরে কুরআন প্রকাশ করলেন,১৫ বছর ধ্যান সাধনা করলেন,নামাজের জন্য সময় দিতে হয়েছিল,হজ্জের জন্য সময় দিতে হয়েছিল,গরীব দুঃস্থদের উপকার করতে সময় দিতে হয়েছিল,যুদ্ধে যাওয়াসহ যুদ্ধে সময় ব্যয় করতে হয়েছিল,তার বাল্যকাল ছিল,চাকরী ছিল,রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনায় বিভিন্ন কাজ করতে হয়েছিল, সংসার ছিল,আল্লার আদেশ প্রচার করার সময় দিতে হয়েছিল ইত্যাদি,মতান্তরে রাসুলের(সাঃ) ৬০/৭০ লাখ হাদিস সংগ্রহের কথা সোনা যায়,তাহলে ৬০/৭০ লক্ষ হাদিস কখন প্রকাশ করলেন,তিনি কি আর কোন কাজ করেননি,তিনি কি শুধু অনরগোল কথাই বলেছেন? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।এছাড়া যারা এই হাদিস সংগ্রহ করলেন তাদের জীবদ্দশায় ৬০-৬৫ বছরে কিভাবে ইরান থেকে ১২০০/ ১৫০০ মাইল দুরে গিয়ে সৌদি আরব হতে এতো হাদিস সংগ্রহ করলেন? হাদিস সংগ্রহকারী নিশ্চয়ই ঘরে বসে বসে হাদিস সংগ্রহ করেননি, সংগ্রহের জন্য যেতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়,বিভিন্ন রাবির কাছে, তাছাড়া তৎকালীন সময়ে যাতায়াতের জন্য উট ও ঘোড়া ব্যতিত দ্রুতগামী কোন যানবাহনও ছিলনা, আবার হাদিস সংগ্রহ করে সেটা গ্রহন যোগ্য কিনা সেটার জন্যও নিশ্চয়ই সত্যতা যাচাই করতে হয়েছে, এছাড়া হাদিস সংগ্রহ কারীদের কি বাল্যকাল ছিলনা? , কি সংসার ছিলনা,?আল্লাহ দাসত্ব করেননি,?নিজেদের ব্যক্তিগত কোন কাজ করেননি,?তাদের কি বয়স বেড়ে বৃদ্ধ হতে হয়নি? ইত্যাদি। ,যাই হোক জানার জন্য লিখা, যদি কোন স্ব হৃদয় ব্যক্তি যুক্তি দিয়ে আমার এই অজানা বিষয়ে জানাতেন তবে উপকৃত হতাম।

প্রশ্ন আরো রয়ে যায়, ৬০/৭০ লক্ষ হাদিসের মধ্যে কোন কষ্টি পাথর দিয়ে যাচাই করলেন যে মাত্র ৭২৯৭টি হাদিস সহি? বাঁকি সব জাল? ধানের মধ্যে যেমন চিঁটা, চিঁটার মধ্যে যেমন ধান মিশ্রীত হওয়ার আশংকা থাকে তদ্রুপ জাল হাদিসের মধ্যে সহি এবং সহির মধ্যে জাল মিশ্রিত হওয়ার আশংকা রয়ে যায়না কি?

কারবালার শোক কে অন্য খাতে নেয়ার জন্য ১০ই মহররম কতগুলি খুশির খবর আমদানি করেছে তার ইয়ত্তা নেই। নিম্নে কিছু মিথ্যা কাহিনির নমুনা দেখুন।
ইসলামের ইতিহাসে ১০ মহরম তারিখ কে ইয়াওমে আশুরা বলে নামকরণ করা হয়।
♦১. ১০ই মহররম তারিখে বিশ্ব- ধরিত্রীকে সৃষ্টির সূচনা শুরু করা হয়।
♦২. মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদমকে (আ.) এই ১০ মহরম তারিখে সৃষ্টি করা হয়।
♦৩. আদম ও হাওয়া আঃ ও ইবলিশ কে দুনিয়াতে নিক্ষেপের দিনটিও ছিল ১০ মহরম।
♦৪. আদম ও হাওয়া’র (আ.) সুদীর্ঘ সাড়ে তিনশ বছর পর এই দিনেই আরাফতের মাঠে প্রথম মিলন সংঘঠিত হয়।
♦৫. ১০ই মহরম শুক্রবার দিনে কেয়ামত বা মহাপ্রলয় অনুষ্ঠিত হবে।
♦৬. এই দিনেই সর্বপ্রথম দুনিয়াতে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ হয়।
♦৭.এক কথায় আল্লাহতা’লা জগতের সকল বস্তুসামগ্রী সৃষ্টি করে তাঁর আরশে আজিমে সমাসীন হয়ে প্রভু হিসেবে অভিসিক্ত হন ১০ মহরম তারিখে আশুরার দিনে।

♦৮.এ মাসের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলতও বহুগুণে বেশি। মাহে মহরমের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত পৃথিবীর সূচনাকাল থেকেই আছে এবং কেয়ামত বা মহাপ্রলয় কাল পর্যন্ত থাকবে। ইসলামের পূর্বাপরে এ মাসটি অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাশীল হিসেবে পরিগণিত হয়। আইয়ামে জাহেলিয়াতে আরববাসীরা এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা রক্ষার্থে কোনো প্রকার অন্যায়, অবিচার, জুলুম, অত্যাচার, যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না।
♦৯.মহান আল্লাহতা’লা যে ৪টি মাসকে সম্মানিত করেছেন তা হল জিলক্কদ, জিলহজ, মহরম ও সফর। সেই চারটি মাসের মধ্যে মাহে মহরম অন্যতম ফজিলতপূর্ণ বরকতময় মাস। যার বর্ণনা কুরআন ও হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
♦১০. মাহে মহরমের ১০ তারিখের কিছু ঘটনাবলি যেমন হজরত আদম (আ.) সৃষ্টি, আদম (আ.)-এর বেহেশত প্রবেশ, বাবা আদম ও মা হাওয়া নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণের ভুলের ফলে দুনিয়াতে নিক্ষিপ্ত হওয়া, ৩৫০ বছর পর বাবা আদম ও মা হাওয়ার (আ.) প্রথম মিলন,
♦১১. ১০ই মহররম আরাফাতের ময়দানে আদম-হাওয়ার দোয়া কবুল এবং মুক্তির সুসংবাদের দিন।
♦১২. হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্ম, নমরুদের অগ্নি থেকে মুক্তি, মূসা (আ.) আল্লাহর সাথে কথা বলার সৌভাগ্য অর্জন ও নবুওয়াতি এবং তাওরাত কিতাব লাভ।
♦১৩. নীলনদ পার হওয়া, ফেরাউন সদলবলে নীলনদে ডুবে মরা ১০ ই মহররমে।
♦১৪. আইয়ূব (আ.) ১৮ বছর রোগে ভোগার পর মুক্তি লাভ,
♦১৫. সোলেমান (আ.)-এর বাদশাহি লাভ, দাউদ (আ.)-এর তওবা কবুল, ইয়াকুব (আ.) ও ইউসুফ (আ.) পিতা-পুত্রের মিলন, নুহ (আ.) প্রবল বন্যায় নৌকাতে ৪০ দিন অবস্থানের পর জুদিপাহাড়ে নৌকা ভিড়ানো, ১০ই মহররম।
♦১৬. ইশা (আ.) সশরীরে ৪র্থ আকাশে গমণ, ইউনূস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভসহ যাবতীয় ঘটনা ১০ মহররম তথা আশুরার এই দিনে অনুষ্ঠিত হয়।

♦১৭. মহান আল্লাহতা’লা আশুরার দিন ২৫০০ নবী-রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠান। আবার এই দিনে ২৫০০ নবী-রাসূলের দোয়া কবুল করেন।
♦১৮. ইমাম হাসান- হোসাইনের শাহাদত বার্ষিকি এই দিন।
বাহ!

প্রিয় পাঠক, একটু গভীর ভাবে ভাবুন, মাত্র ১৪০০বছর পুর্বে নবী সাঃ এর জন্ম- ওফাৎ তারিখটি একটি নির্ধারন করতে পারলোনা যারা , একাধিক জন্ম- ওফাৎ তারিখ মতান্তর যোগ করে আবিস্কার করলো। অথচ যখন কোন ক্যালেন্ডার তথা সবচেয়ে পুরাতন গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার আবিস্কার হয়নি তখন এত গুলি খুশির খবরের দিন তারিখ ক্ষন তারা আবিস্কার করলো কিভাবে?

♥হাদিসটি যখনি পড়ি, তখনি চোখে অশ্রুর ফোটা টলমল করে।।।
♦একটি লাভজনক ব্যবসা !

♥মদীনার বাগানগুলোর মধ্যে এক ইয়াতীম ছেলের একটি বাগান ছিল। তার বাগানের সাথে লাগানো বাগানের মালিক ছিলেন আবু লুবাবা নামের এক লোক। সেই ইয়াতীম ছেলেটি নিজের বাগান বরাবর একটি প্রাচীর দিতে গিয়ে দেখল, প্রতিবেশীর একটি খেজুর গাছ সীমানার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। ছেলেটি তার প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলে সীমানার খেজুর গাছটি কিনতে চাইলো যাতে প্রাচীরটি সোজা হয়। কিন্তু প্রতিবেশী আবু লুবাবা কোনভাবেই রাজী হচ্ছিল না।
কোন উপায় না পেয়ে সেই ইয়াতীম রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এর কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা বুঝিয়ে বললো। আল্লাহর রাসুল ﷺ ডেকে পাঠালেন আবু লুবাবাকে। সে মসজিদে নববীতে আসলে নবী করীম ﷺ সেই খেজুর গাছটি অর্থের বিনিময়ে হলেও ইয়াতীম ছেলেটিকে দিয়ে দিতে অনুরোধ করলেন।
আবু লুবাবা যথারীতি রাজী হলো না। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এক পর্যায়ে তাকে বললেন, “তোমার ভাইকে ওই খেজুর গাছটি দিয়ে দাও। আমি তোমার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছের জিম্মাদার হব।”
বিস্ময়কর হলেও আবু লুবাবা তারপরেও সেই খেজুর গাছ দিতে রাজী হলো না। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এই পর্যায়ে চুপ হয়ে গেলেন। এর চেয়ে বেশী তিনি ﷺ তাকে আর কী বলতে পারেন!
উপস্থিত সাহাবীদের মধ্যে সাবিত (রাঃ)ও ছিলেন। তিনি আবু দাহদাহ নামে পরিচিত ছিলেন। মদীনায় তাঁর খুব সুন্দর একটি বাগান ছিল। প্রায় ৬০০ খেজুর গাছ ছাড়াও একটি মনোরম বাড়ি ও একটি পানির কুয়া ছিল সেখানে। মদীনার সব বড় ব্যবসায়ীদের কাছে আবু দাহদাহ (রাঃ) এর বাগানটি সুপরিচিত ছিল। তিনি স্বপরিবারে সেখানে বসবাসও করতেন।
আবু দাহদাহ (রাঃ) হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্ ﷺ -এর কাছে গিয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহ্’র রাসুল ﷺ ! আমি যদি আবু লুবাবার কাছ থেকে ঐ খেজুর গাছটি কিনে এই ইয়াতীমকে দিয়ে দেই, তাহলে আমিও কি জান্নাতে একটি খেজুর গাছের মালিক হবো?’ রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, “হ্যাঁ, তোমার জন্যও জান্নাতে খেজুর গাছ থাকবে।” আবু দাহদাহ (রাঃ) সাথে সাথে আবু লুবাবাকে বললেন, ‘আপনি আমার সেই সম্পূর্ণ বাগানটি গ্রহণ করে সেই খেজুর গাছটি আমাকে দিয়ে দিন।’
আবু লুবাবা ‘দুনিয়াবী’ এই বিনিময় বিশ্বাস করতে পারছিল না! হুঁশ ফিরলেই সে বলল, ‘হ্যাঁ আমি আপনার খেজুর গাছের বাগানটি গ্রহণ করলাম। বিনিময়ে আমার সেই খেজুর গাছটি আপনাকে দিয়ে দিলাম।’
হযরত আবু দাহদাহ (রাঃ) সেই মূহুর্তেই খেজুর গাছটি ইয়াতীম ছেলেটিকে উপহার হিসাবে দিয়ে দিলেন। তারপর রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘হে রাসুলুল্লাহ্ ﷺ ! এখন আমি কি জান্নাতে একটি খেজুর গাছের মালিক হলাম’? রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, “আবু দাহদাহ’র জন্য জান্নাতে এখন কত বিশাল বিশাল খেজুরের বাগান অপেক্ষা করছে।”
বর্ণনাকারী হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, এ কথাটি রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এক, দুই বা তিনবার বলেননি; বরং খুশী হয়ে বারবার বলেছেন।
শেষে আবু দাহদাহ (রাঃ) সেখান থেকে বের হয়ে সদ্য বিক্রি করে দেয়া সেই বাগানে ফিরে গেলেন। বাড়ির দরজায় এসে স্ত্রীকে ডাক দিলেন তিনি, ‘হে উম্মে দাহদাহ! বাচ্চাদেরকে নিয়ে এ বাগান থেকে বের হয়ে আসো। আমি দুনিয়ার এই বাগান বিক্রি করে দিয়েছি’। তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আপনি কার কাছে এটি বিক্রি করেছেন? কে কত দাম দিয়ে এটি কিনে নিয়েছে?’
আবু দাহদাহ (রাঃ) বললেন, ‘আমি জান্নাতে একটি খেজুর বাগানের বিনিময়ে তা বিক্রি করে দিয়েছি’। তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আল্লাহু আকবার! হে আবু দাহদাহ! আপনি অবশ্যই অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা করেছেন’।

[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৫০৪; ইবনে হীব্বান, হাদীস ৭১৫৯; , হাদীস ২৯৬৪; মুস্তাদরাকে হাকীম, হাদীস ২১৯৪]

১.যারা কাঁচ দিয়ে হীরা কাটতে চায়।
১যারা মোল্লাহ দিয়ে মুহাম্মাদ সাঃ কে মাপতে চায়।
৩.যারা ঠাকুর কে দিয়ে শ্রী কৃষ্ণ আঃ কে মাপতে চায়,
৪. যারা পাদ্রী দিয়ে ইসা আঃ কে মাপতে চায়।
৫. যারা খাদেম দিয়ে ওলিকে মাপতে চায়,
৬. যারা চায়ের কাপের চামুচ দিয়ে সমুদ্র সেঁচে শুকাতে চায়।
৭. যারা কুপি বাতিকে সুর্যের আলোর সাথে তুলনা করতে চায়,
৮. যারা কুঁয়ো দিয়ে সমুদ্র মাপাতে চায়।
৯. যারা টিলা দিয়ে হিমালয় মাপতে চায়,

১০. যারা মানব রচিত হাদিস নামক বিধান ২ঃ৭৯/১৭৬ দিয়ে আল্লাহর বানি ২৯ঃ৪৪-৪৯/৬৯ঃ৪০-৪৯+ রাসুলের বানি ৬৯ঃ৪০/৮১ঃ১৯ কুরআন কে খন্ডন করতে চায়, অপুর্নাঙ্গ প্রমান করতে চায় তারা কারা??? তারাই সত্য পথে আছে? নাকি কাফিরের দলে? ?

.♦মানব রচিত হাদিস কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
হাদিসওলা কিতাবিরা নিজেদের হাতে ২ঃ৭৯/১৭৪/১৭৬ মতে কিতাব রচনা করে মানুষকে কর্ম গুনে ৭২/৭৩ কাতারে বিভক্ত করে মাত্র ১ কাতারকে জান্নাতি বলে, এবং বাঁকি ৭১/৭২ কাতারকে জাহান্নামী বলে। এবং প্রতিটি ভাগ স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজেদের কে জান্নাতী দাবি করে, এবং বাঁকি ফেরকাদের জাহান্নামী বলে। কিন্তু কুরআন যদি মানি তাহলে উল্লেখিত ফেরকা কুরআনের সাথে মারাত্বক সাংঘর্ষিক হয়। কারন কুরআনের ৫৬ নং সুরা উয়াকিয়ার ৭-১১ নং আয়াতে তিনটি দলের কথা বলা হয়েছে। ১. ডানের দল= জান্নাতি+ ২. বামের দল = জাহান্নামী + ৩. সম্মক অগ্রবর্তি দল যারা রবের নৈকট্য লাভ করবে। প্রিয় পাঠক, বিচারের ভার আপনাদের উপর অর্পন করছি। কোন্টা মানবেন? মানব রচিত হাদিস মতে ৭২/৭৩ ফেরকাবাজি ? নাকি আল্লাহর কুরআন মতে তিনটি ভাগ ? দ্বীনকে খন্ড খন্ড করে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ” যারা দ্বীন কে খন্ড – বিখন্ড করে দেয় এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয় তাদের ব্যাপারে নবীর কোন সম্পর্ক নেই ৬ঃ১৫৯/৩০ঃ৩২। এই সমস্ত লোকের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি ৩ঃ১০৩-১০৫//৪৩ঃ৬৫।/ ১৫ঃ৯১-৯৩। তারা সত্য থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বহুদুর চলে গেছে ২ঃ১৭৬/২১৩।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
ইসলামের কোন বিশ্বাস, নিয়ম আরোপ (হালাল-হারাম) বা নিরেট সত্যতা প্রমান করতে কুরআনের স্বীকৃতি লাগে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
দুনিয়ায় সহি-জয়ীফ-জাল মিলে প্রায় ৬০ –৭০ লক্ষ হাদিস রয়েছে। মানুষ তার পছন্দনীয় পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই করে ৭২৯৭ টি হাদিস সহি বলে মনে করে। শিয়া ও সুন্নীদের রয়েছে আলাদা আলাদা সহি হাদিস ভান্ডার, যা একে অপরের কাছে সম্পুর্ণ বাতিল দাবি করে।

একেক মুহাদ্দিসের যাচাই পদ্ধতিরও পার্থক্য রয়েছে। যা আবার করা হয়েছে হাদিসের মুল বর্ননাকারির মৃত্যুর ২/১শ বছর পর। সেকারণে তা পরস্পর বিরোধিও রয়েছে, রয়েছে কুরআনের বিপরিত ও কুরআনের বাইরের আদেশও।

শিয়া, সুন্নি, হানাফি, মালেকি, শাফি ও হাম্বলিতে,সালাফি, অমুক, তমুক বিভাজনের কারনও হাদিসের যাচাই পদ্ধতি, হাদিসের সহিতার সীকৃতি, ব্যাখ্যা ও গ্রহনীয় নিয়ে মতপার্থক্যের কারনে।

যদিও হাদিস চাষিরা ইনিয়েবিনিয়ে সেগুলোকে সত্য প্রমানের চেষ্টা করেন। বলতে চেষ্টা করেন- পরস্পর বিরোধি নাকি বিরোধি নয়, বুঝের ভুল, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।

তথাকথিত আলেম ওলামারা অধিকাংশই ইসলামের বুনিয়াদ দাড়ি-গোফ, চাঁছা – রাখা, ছোটকরা, বড় রাখা, খাওয়া-দাওয়া, কপালে কালো দাগ, মাদ্রাসার শিক্ষা, হাগা-মুতা, ফরজ গোসল, ওজু, রুকু, সিজদা, তারাবির রাকাত ৮ না ২০, কুলুকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চান। কিন্তু এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদেশ কুরআনে রয়েছে, রয়েছে হাদিসেও, সেগুলো নিয়ে ভাবেন না, আমরা পালনে উদ্যোগীও হই না।অথচ হাদিস চাষি কুরআনের সত্য বিমুখ এই ভড়ং ভাড়ং এর ধারা আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। এরা কৃত্রিম অমুকে এতো ছোয়া – নেকি, তমুকে এত ছোয়াব – নেকি, ফজিলত ইত্যাদি বানিয়েছে। জান্নাতের লোভ, জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে রমরমা ধর্ম ব্যবসা করে যাচ্ছে। এই চকচকে ভড়ং ভাড়ং এর দল কারবালার প্রান্তরে নবী বংশ ধ্বংশ , উহুদ, বদর, সিফফিনের যুদ্ধে মানুষ হত্যা , তিন খলিফা হত্যা, পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরদের মত বেইমানদের বেইমানী , ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে নারী ধর্ষক, খুন, গুম, সুদ, ঘুষ, নারী পাচার, পাকিস্তানি সৈন্যদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে নারী,খাশি, মুরগি, গরু, মহিষ সরবরাহ, ধন – সম্পদ লুট, অগ্নিসংযোগ সহ এমন কোন নোংরা কাজ নেই যা করেনি।এরাই মানবতার ভাইরাস। ধর্মের আগাছা। শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি, ধর্মের চেয়ে দাড়ি, টুপি, টিকি, জুব্বা, তসবিহ, জপমালা, পৈতা আলখেল্লাহ বেশি।

ইসলামের বুনিয়াদকে শুধু কপালে কালো দাগ ফেলা আর দাড়ি-মোচে সীমাবদ্ধ না করে নিজেকে সৎকাজে নিয়োগ করি। আরতির থালা তসবির মালা, আসিবেনা কোন কাজে, মানুষ করিবে মানুষের সেবা, আর সব কিছু বাজে। যেথায় মানবতার পরাজয়, সেথায় কাজ হইবনা তর নামাজ পুজোয়, মানবতার ধ্বংস না করিয়া রোধ, ওরে বেআক্কল! প্রার্থনায় মত্ত, সে মহা নির্বোধ = সুফিকবি কাজী নজরুল ইসলাম রহঃ। ইমান ও সৎ কর্মেই এবং রাসুলের আনুগত্য সরাসরি জান্নাতে নিয়ে যাবে মর্মে কুরআন বুহুস্থানে ঘোষনা করেছে।

ইমান আনার পর সৎকাজই হলো জান্নাত লাভের উপায়, কিন্তু আমরা চেহারায় বিনয়ের ছাপ অর্জনের চেয়ে কপালে কালো দাগ অর্জনের মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ করেছে। যেমন সালাতের চেয়ে নবীর উপর দরুদ পাঠ বহুগুনে শক্তিশালী ৩৩ঃ৫৬ আয়াত। অথচ এই ফরজ কাজটিকে বিদআত বানিয়ে মানুষকে নবী প্রেম হতে বিমুখ করে।

বেশির ভাগ মানুষ বুখারিদের হাদিস মানে। আর এই বেশির ভাগ লোককে অনুসরনের ব্যাপারে কুরআনে কি বলা হয়েছে তা ” বেশির ভাগ মানুষ দ্বীনের কোন দলিল নয়, বরং মারাত্বক মর্মে নিচের লিংকটি দেখুন।

♦https://www.facebook.com/114147860339039/posts/115129153574243/

মোঃ নজরুল ইসলাম।
২২-৬-২০২০ খ্রীঃ।

Bukhari Hadith collection history

🔑ইতিহাসের পোস্টমডেম🗡

source: https://m.facebook.com/groups/633947737459954?view=permalink&id=670006617187399

ইমাম বুখারী ( রহঃ) কতৃক ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ ————–

part1💉

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী সবমোট ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করেছেন এটা আমরা আগেই জেনেছি । বুখারীর জন্ম ১৯৪ হি , ১৮ বছর পরযন্ত তিনি হাদিস পড়াশোনা করেন । ২১২ হি, হতে হাদিস সংগ্রহ ও সংকলন করেন এবং ২৫৬ হি, তে মৃত্যুবরন করেন। হাদিস সংগ্রহ বং মুখস্ত করতে ৫২ বছর ব্যয় করেন। মুখস্ত বাদ দিয়ে শুধুমাএ সংগ্রহ , যাচাই ও লিপিবদ্বের জন্য উক্ত ৫২ বছর ব্যয় করেছেন বলে ধরে নিতে পারি । শুধুমাএ একটি হাদিসের জন্য অনেক দূর অবধি যেতেন । এজন্য বেশীর ভাগ ক্ষেএে উট ব্যবহার করেছেন। অনেকক্ষেএে বণনাকারীর চরিএ , বিশ্বস্ততা যাচাই এর পর হাদিস গ্রহনযোগ্য না হওয়ায় তিনি খালি হাতে ফিরে এসেছেন ।
যাহোক গড়ে একটি হাদিস সংগ্রহের জন্য গমন , বণনাকারীর ও হাদিসের বিশ্বস্ততা নিরুপন , শোনা ও লিখতে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা লাগবে ( প্রকৃত বিবেচনায় কয়েক দিন লাগবে ) । আর একজন লোক নামাজ , খাওয়া , গোসল , সাক্ষাত , ঘুম ইত্যাদি সব কাজ বাদ দিয়ে ক্রমাগতভাবে ৫২ বছর ধরে দিনে গড়ে ১৬ ঘন্টার বেশী কাজ করতে পারেন না ।
সে ক্ষেএে বুখারী সাহেবের ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করতে মোট সময় লাগে
(৬০০,০০০X৩ ) ভাগ = ৩৫৫ = ৩১৭ বছর । আর ১টি হাদিসের জন্য ১দিন লাগলে সময় লাগবে ১৬৯০ বছর । যাহোক গানিতিক হিসেবে বুখারী সাহেব হাদি সংগ্রহ ও মুখস্ত করতে মোট সময় ব্যয় করেছেন ২১৩+৩১৭=৫৩০ বছর । , যদিও এ কাজে ব্যয় করার যোগ্যতা ছিলো মাএ ৫২ বছর । সম্ভবত বুখারী সাহেবসহ ইসলামের শত্রুরাও কখনও চিন্তা করেনি যে ওনাদের ভুল , মিথ্যা তথ্যগুলো গানিতিক ক্যালকুলেশনের সম্মুখীন হবে।
যেহেতু আমাদের ইসলাম ধরম অমূলক, অযৌক্তিক , অবাস্তব , অসত্য কোন তথ্য অনুমোদন করে না , তাই বুখারী সাহেবের ( আল কোরআনের পরেই ওনাকেই সবচেয়ে বেশী নিরভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থের সংগ্রাহককারী বলে বিবেচনা করা হয় ) এই ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ এবং ৩ লক্ষ মুখস্তের ব্যাপারটা শুধু নিম্নরুপেই সম্ভব , অন্য কোন ভাবে নয় ।
১) সংগ্রহ ও মুখস্ত করার জন্য ওনার ৫৩০ বছরের জীবন লাভ ।
২) নবীজীর সুন্নাহ ধ্বংসকারী কোন শুভাকাঙ্খী বা মহল ওনার বাড়ীতে হাদিসগুলো সরবরাহ করেছিলো। কারন কেহ মুখে বললেও বা বুখারী সাহেব নিজে ৬ লক্ষ লিখলেও প্রায় ৫৩ বছর লেগে যেতো । যাচাই বাছাইতো অনেক পরের ব্যাপার ।
বুখারী , ইসলামিক ফাউনডেশন প্রকাশিত হাদিসের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের বেশী নয়। কিনতু উনি ৬ লক্ষ সংগ্রহ করেন। তাকরার বা দিলে প্রকৃত হাদিসের সংখ্যা দাড়ায় ১লক্ষ ৬৬হাজার। নবীজীর নবুয়তি জীবন মাএ ২৩ বছর । সে হিসেবে প্রকৃত ১লক্ষ ৬৬ হাজার হাদিস বয়ান করতে হলে নবীজীর দিনে গড়ে ২০ টি করতে হবে । মক্কার জীবনে গড়ে ২টি , মদিনা জীবনে গড়ে ৪৪ টি হাদিস বয়ান করতে হয়েছে , যা পুরোপুরি অবাস্তব ।
অন্যভাবেও এ হিসাব করা যায় । তাকরার ব্যতীত মক্কী জীবনে গড়ে দিনে ১টি এবং মদিনা জীবনে গড়ে দিনে ৫ টির বেশী হাদিস থাকা কথা নয় , কারন দৈনন্দিন জীবনে বহু ঘটনা পনরাবৃত্তি হয়। সে হিসেবে মোট হাদিসের সংখ্যা দাড়ায় (১৩x ৩৫৫ =৪৬১৫ টি ) + ( ১০x ৩৫৫x ৫ = ১৭৭৫০) = ২২৩৬৫ টি । হাদিসের এই সংখ্যা দ্বিগুন হলেও ৪৫ হাজার হয়।
তাহলে বুখারী সাহেবর ৬লক্ষ হাদিসের উৎস নিয়ে যে কোন সচেতন ব্যক্তি প্রশ্ন করতেই পারেন ।

part2🔪

তিনি নিজের ব্যাপারে অনেক কিছুই বড়াই করে বলতেন তার মধ্যে একটা কথা হচ্ছে তিনি শিশু বয়সে ৭০ হাজার হাদিস মুখস্ত করে ফেলেছিলেন। আপনি হত এত বড় নাম্বার উপলব্ধি করতে পারবেন না আর তাই আসুন আমরা নম্বরটি সামনে রাখি

তার সবচেয়ে বিখ্যাত বইটি সহী আল বুখারি হচ্ছে একটি ৬ খণ্ডের বই। প্রায় ২ হাজার পাতা ৭০০০ হাদিস (৭২৭৫) তার মানে শিশুকালে
সে তার ২০০০ পাতার বইয়ের চেয়ে ১০ গুন্ বেশী হাদিস মুখস্ত করেছিলেন। (৭০০০ x ১০ = ৭০০০০)
অর্থাৎ ৬০ ভলিউমের ২০০০০ পাতা।
গড়পরতায় যদি একটি পাতায় ৪৫০ টি করে শব্দ থাকে তাহলে তিনি মুখস্ত করেছিলেন ৯০০০০০০ শব্দ
শুধু তাই নয় তিনি দাবি করেছিলেন তিনি মুখস্ত করেছিলেন সমস্ত হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম।
তাদের জন্মের তারিখ এবং মৃত্যুর তারিখ কোথায় তারা বাস করতেন।

আপনি হয়তো বলবেন হতে পারে সে তার ব্যক্তিগত মেধার কারণে তিনি মুখস্ত করতে পেরেছিলেন। আমি এখন আপনাদের প্রমাণ করতে চেষ্টা করব কেন এই দাবিটি মিথ্যা। এখানে প্রশ্ন থেকে যায় মরুভূমির মতো জায়গায় কিভাবে এত হাদিস খুঁজে পেয়েছিলেন। আসুন তর্কের খাতিরে এই প্রসঙ্গ বাদ দিলাম। ধরে নিলাম উনি পেয়েছিলেন।

একটি শিশু বলতে আমরা বুঝি সমান কেউ ৫ বছর থেকে ১২ বছর বয়সের ভেতরে। প্রতিদিন যদি সে দশটি করে হাদিস শুনে এবং তার বিশ্রাম নেবার কোন ফ্রী সময় নাই. – তার অর্থ হচ্ছে তার ৭০ হাজার হাদিস শুনতে সময় লাগবে ১৯ বছর। এক্ষেত্রে ধারণা করে নেয়া হচ্ছে যে তিনি প্রথম বার শুনেই হাদীস টি মুখস্ত করতে পারতেন। আসুন তর্কের খাতিরে ধরে নিয়ে পাঁচ বছর বয়স থেকে তিনি হাদিস শ্রবণ করা শুরু করলেন। তাহলে তার হাদিস শোনে শেষ করতে তার বয়স হবে ২৪ বছর। তাহলে সে কিভাবে দাবি করে যে শিশু বয়সে ৭০ হাজার হাদীস মুখস্ত করেছে।

part3🛠

প্রশ্ন আরো আছে ! সে নাকি প্রতিটি হাদিস লেখার সময় দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতো । অতগুলো হাদিস লিখতে কত রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়েছে ? কতবার অযু করতে হয়েছে ? গোসল না হয় মাঝে করতেই পারে । ভুল কিংবা সহি নিরুপুন করে লিখতে কত সময় লেগেছে ?
ইমাম বোখারি রঃ হাদিস সংগ্রহের সময় বিশ্লেষণঃ
৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহের জন্য গড়ে (১টির জন্য ৭ থেকে ১০০ রাবির সাক্ষাত) সেক্ষেত্রে গড়ে ১টি হাদিসের জন্য যদি ৫০ জন রাবির সাথে সাক্ষাত করতে হয় তবে মোট রাবির সংখ্যা দাড়ায় ৫০* ৬০০,০০০= ৩ কোটি।
যদি গড়ে ২৫ জন ধরি তাহলে ১.৫ কোটি রাবি।
যদি প্রতি রাবি ৫ টী করে বর্ননা করেন তবে ৩ কোটি /৫ = ১ লক্ষ ২০ হাজার রাবি।
১ জন রাবির সাথে সাক্ষাতের জন্য ঘোড়া আর উটে চড়ে যেতে ৫ দিন লাগে তবে ১.২০ লক্ষ * ৫ দিন = হাজার বছর প্রয়োজন।
সংক্ষেপ করলে রাবি প্রতি ৫০ টি হাদিস ধরলেও লাগে ১৬৫ বছর। কয়দিন ব্যায় হয়েছে তার হিসাবটা একটু চিন্তা করুন।
আরো সংক্ষেপ করে ইসনাদ বর্ননা করেছেন ১৮০০ জনের, সেক্ষেত্রে ১৮০০ জনের কাছে আরব সিরিয়া ইরান ইরাক ইয়েমেন যেতে যদি গড়ে ১০ দিন লাগে তবে হিসাবটা দাড়ায় ১৮০০*১০ দিন= ১৮০০০ দিন= ৪৯ বছর, ১৬ বছরে কি করে সম্ভব হলো?
— আমরা কি প্রকৃত সুন্নাহ অনুসরন করছি — এ, রহমান পৃ ১২৭,১২৮ , ১২৯ ।
🚫
সুপ্রিয় পাঠক , পৃথিবীতে বোধহয় একমাএ মুসলিম জাতিকেই বহু সময় ধরে বোকা বানিয়ে রাখা যায় !!

Hadith attack on Muhammad character

আমার মাথায় ধরে না এরা সম্মানিত রসূল চরিত্রের সাথে এতাটা অপমানকর ও লেম কথা গুলো কিভাবে বলতে পারে।এসব আগুনখোর চির অসভ্যই থেকে যাবে।রাসূল কি নিজের সহবাসের কথা সাহাবীদেরকে গিয়ে
বলত? না সাহাবী রসূলের ঘরে উকি দিয়ে জেনেছে?না তার স্ত্রীরা অন্য মেয়েদের এসব বলে বেড়াত?মাঝে মাঝে রক্ত গরম হয়ে যায় এসব দেখলে🤬🤬🤬
এরা রাসূলের আদের্শের অনুসারী নয় এরা# বেডরুমের #অনুসারী। বাংলা চটি বিক্রি কর আগুন খোরেরা,, আরও ভালো পয়সা পাবি।

রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)

  • ই,ফাঃ সহিহ বুখারি, ১/ ১৫৩ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২৬৬: আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুল (সা) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়কর্মে মিলিত হতেন । তাঁরা ছিলেন ১১ জন । বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনি কি এত শক্তি রাখতেন ? তিনি বললেন আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে তাঁকে ৩০ জনের শক্তি দেয়া হয়েছে । সাইড (রহ), কাতাদা (রহ) থেকে বর্ণনা করেন , আনাসের (রা) কাছে হাদিস বর্ণনার প্রসঙ্গে ১১ জনের স্থলে ৯ জন স্ত্রীর কথা বলেছেন ।
  • ই,ফাঃ সহিহ বুখারি ১/ ১৫৪ পৃষ্ঠাঃ হাদিস নং ২৬৮: আয়েশা (রা) বলেন রাসুল (সা) কে সুগন্ধি লাগিয়েছি তারপর তিনি পর্যায়কর্মে তাঁর স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহরাম অবস্থায় প্রভাত হয়েছে ।

আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূল সা. ইতেকাফকালীন আমার দিকে মস্তক এগিয়ে দিতেন, আমি তার কেশবিন্যাস করে দিতাম, মানবিক প্রয়োজন ব্যতীত তিনি গৃহে প্রবেশ করতেন না। (মুসলিম, হাদিস ২৯৭)

এক রেওয়ায়েতে এসেছে, আয়েশা রা. বলেন : রাসূল চুম্বনের জন্য আমার নিকট ঝুঁকে এলেন, আমি বললাম : আমি তো রোজাদার, তিনি বললেন, আমিও রোজাদার। আয়েশা বলেন : অত:পর তিনি ঝুঁকে এসে আমাকে চুম্বন করলেন। (আহমদ, হাদিস ২৫০২২)

আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিসে এসেছে, শেষ দশ দিনে রসূল স্ত্রী সহবাস বর্জন করতেন, রাত্রি জাগরণ করতেন, এবং জাগিয়ে দিতেন পরিবারকে। (বুখারি, হাদিস ২০২৪)

আয়েশা রা. বলেন : স্বপ্নদোষে নয়, (সহবাসের কারণে) রমজানে অপবিত্র অবস্থায় রাসূলের ফজর হয়ে যেত। অত:পর তিনি গোসল করে রোজা পালন করতেন। (মুসিলম, হাদিস ১১০৯)

মহানবী (সা.) তাঁর স্ত্রী মাইমুনা (রা.) ও আয়েশা (রা.) এর সঙ্গে একত্রে গোসল করেছেন। এটি সহিহ বুখারি ও মুসলিম দ্বারা প্রমাণিত। এ বিষয়ে কেউ কেউ মুসা (আ.) এর বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার ঘটনাও প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। (আরো দেখুন, বুখারি : ৩৪০৪)

Source :-

https://m.facebook.com/groups/1637342032970504?view=permalink&id=3132313923473300

How quranists do salat without Hadith?

সংক্ষিপ্ত পোস্ট

ইদানিং কালে এমন কথা শুনা যায় কুরআন মানি হাদিস মানি না, কিছু কিছু নামধারী মুসলিম দাবীদারদের মুখে, যারা আবার নিজেদের আহলে কুরআন বলে দাবী করে।
তারা দাবী করে রাসুল সাঃ এর নামে কোন হাদিস নেই সব মানুষের বানানো হাদিস, মুসলিমদের পথভ্রষ্ট করার জন্য রাসুল সাঃ নামে হাদিস চালিয়ে দেওয়া হইছে।।

শুধু কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের এই বিশ্বাস মতে তারা নিজেরকেি জাহান্নামী ফেরকা বানিয়ে নিয়েছে নিজেদের অজ্ঞতা বা পার্থিব লোভে। আর এটা প্রমান করবো কোন হাদিস দিয়ে নয় বরং আল কুরআনে বহুল আলোচিত সালাত নামক ইবাদত দ্বারাই।

যখন কুরআন মানি হাদিস মানিদের বলা হয় শুধু কুরআন অনুসরন করে কেমনে আপনারা সালাত আদায় করেন বা কায়েম করেন। তখন তারা সরাসরি উত্তর না দিয়ে নয় ছয় করে বা বলে সালাত আদায় কি সালাত কায়েম করা কি জিনিস আবার। অর্থাৎ তাদের কথায় বুঝা যায় সালাত কোন আমল (কায়িক ও পঠিত) বিষয় নয় শুধু বিশ্বাসের বিষয়। তাই আল কুরআনের আয়াত দিয়ে প্রমান করবো সালাত একটি দৈনিক গুরুত্বপুর্ন ও তারা কেমনে জাহান্নামি ফেরকা হয়ে গেছে।

১) সালাত দৈনিক আমল করা একটি ইবাদতঃ

আল কুরআন হতে যে সকল আয়াত দিবো সেগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেব যে সালাত শুধু বিশ্বাসের ব্যপার নয় দৈনিক আমল করা ইবাদত

ক) নিদৃষ্ট সময় সালাত আদায় ফরজ

আল্লাহ বলেন
অতঃপর যখন তোমরা সালাত সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন সালাত ঠিক করে পড়। নিশ্চয় সালাত মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

সুরা আন নিসা, আয়াত ১০৩

খ) দৈনিক কখন সালাত আদায় করতে হবে

আল্লাহ বলেন
আর সালাত কায়েম কর দিনের দু’ প্রান্তভাগে (অর্থাৎ ফজর ও মাগরেবের সময়) ও রাতের প্রথমাংশে (অর্থাৎ এশার সময়)।

সুরা হুদ, আয়াত ১১৪

আল্লাহ বলেন
সূর্য ঢলে যাওয়ার পর হতে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত (অর্থাৎ যোহ্‌র, আসর, মাগরেব ও এশার) সালাত কায়েম কর, আর কায়েম কর ফজরের নামায।

সুরা বানী ইসরায়ীল, আয়াত ৭৮

আল্লাহ বলেন
আর সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজরে) ও সূর্যাস্তের পূর্বে (আসরে) তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির কিছু সময়ে (এশায়) এবং দিনের প্রান্তভাগগুলিতে (ফজর, যোহ্‌র ও মাগরেবে), যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।

সুরা ত্বাহা, আয়াত ১৩০

আল্লাহ বলেন
(৯) মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন সালাত (আযান) দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
(১০) অতঃপর সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

সুরা আল জুমুআহ, আয়াত ৯-১০

গ) সালাত আদায় বিষয়ক অন্যান্য আয়াত

আল্লাহ বলেন
যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয় কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

সুরা আন নিসা, আয়াত ১৫৩

আল্লাহ বলেন
আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ।

সুরা ত্বােয়া হা, আয়াত ১৩২

আল্লাহ বলেন
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা সালাত আদায় কারী।

সূরা আল-মাআরিজ, আয়াত:২২

উল্লেখিত আয়াতগুলো হতে বুঝতে পারলাম সালাত শুধু বিশ্বাসের ব্যপার নয় এটা দৈনিক আমলের ব্যপার। আল কুআরনে দৈনিক সালাত আদায়ের কথা বললেও কিন্তু সালাতের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত কোন পদ্ধতিতে আদায় হবে তার বর্ননা করা হয় নাই।

২) কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের কথা বা বিশ্বাস তারা নিজেরাই কেন জাহান্নামি হয়ে যায়ঃ

আল্লাহ বলেন
(সালাতে) কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর।

সুরা আল মুযযাম্মিল, আয়াত ২০

আল্লাহ বলেন
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি সালাতে দন্ডায়মান হন,

সুরা আশ শোআরা, আয়াত ২১৮

আল্লাহ বলেন
হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সুরা আল হজ্জ, আয়াত ৭৭

আল কুরআনে সালাত আদায় পদ্ধতির এমন বর্ননাই পাওয়া যায়, মানে সালাতের জন্য দাড়াতে হবে রুকু করতে হবে সেজদা করতে হবে, আয়াত পাঠ করতে হবে। কিন্তু কুরআনে সালাত আদায় পদ্ধতি সম্পুর্ন বিবরন পাওয়া যায় না অর্থাৎ

ক) সালাতে কোনটার আগে কোনটা করতে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
খ) কোন অবস্থায় (দাড়ানো, রুকু, সেজদা) কি বলতে বা হবে না এর কোন বর্ননা পাওয়া যায় না
গ) সালাতে কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করতে বলা হইছে কিন্তু সালাতের কোন অবস্থায় পাঠ করতে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
ঘ) আয়াত গুলো উচ্চ স্বরে না মনে মনে পড়তে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
গ) কোন অবস্থা দিয়ে সালাত শুরু ও শেষ করতে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
ঘ) জামআতে সালাত কে কি করবে অর্থাৎ একজন ইমাম সালাত পড়াবে না সবাই একযোগে ইমাম ছাড়া পড়বে এর বর্ননা পাওয়া যায় না
ঙ) জামআতে সালাত আদায় করলে কেও সালাত শুরুর বেশ খানিক পর যোগ দিলে সে কি ভাবে বা কি অবস্থায় সালাত শুরু করবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না।
মোটা দাগে বিষয়গুলো বললাম, প্রচলিত সালাতে এমন অনেক বিষয় আছে যা সম্পাদনের পদ্ধতি আল কুরআন হতে বর্ননা পাওয়া যায় না।

যেহেতু কুরআন মানি, হাদিস মানি না দাবীদাররা শুধু কুরআন মানে সেহেতু তাদের ইবাদতের দলিলের একমাত্র উৎস আল কুরআন এবং যেহেতু সেই আল কুরআনে দৈনিক সালাত আদায়ের কথা বলা হইছে কিন্তু সেই সালাত আদায়ের সম্পুর্ন পদ্ধতি আল কুরআনে পাওয়া যায় না। সেহেতু তাদের কথা বা বিশ্বাস মতে তাদের পক্ষে আজিবন সালাত আদায় করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। যদি কেও সালাত আদায় করে দাবী করলেও নিজেদের মনগড়া নিয়মে সালাত আদায় করে, যা আল্লাহর নিকট মন গড়া নিয়মে আমল করা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয় সুরা কাসাস আয়াত ৫০ মতে।

যেহেতু তাদের কথা বা বিশ্বাস মতে কুরআনের দলিল দিয়ে সালাত আদায় করা আজিবন কোন ক্রমে সম্ভব নয় সেহেতু সুরা সুরা মুদাসসির আয়াত নং ৪১, ৪২,৪৩,৪৭ মতে তারা জাহান্নামী হয়ে যায়। এবার সুরা মুদাসসির এর আয়াত গুলো আবার একটু দেখে নেই

আল্লাহ বলেন
(৪১) অপরাধীদের সম্পর্কে
(৪২) বলবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে?
(৪৩) তারা বলবেঃ আমরা সালাত পড়তাম না,
(৪৪) অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না,
(৪৫) আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
(৪৬) এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
(৪৭) আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত।

সুরা মুদাসসির, আয়াত ৪১-৪৭

এই বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট লিং নিচে দেওয়া হলো, যেখানে এই সংক্রান্ত মনে যত ধরনের প্রশ্ন জাগবে তার উত্তর পাবেন আশা করি।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1015075008834891&id=100009972030385

……..

Source:-(see many comments)

https://m.facebook.com/groups/1637342032970504?view=permalink&id=2635409619830402

.

Commented by syedraf:- https://refquranistajm.wordpress.com/2020/04/26/in-quran-only-two-fard-salat-syedraf/

1-আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩/2-লাউয়াল হাদিস বা অসার বানি ৩১ঃ৬।

By Nazrul Islam fbfd

হাদিস মানার আগে জানুন কার হাদিস মানবেন?আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের হাদিস? হাদিস মানে কি?
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
যারা হাদিসের নামে কুরআন বা কুরআনের সাথে সম্পর্কহীন বুখারীদের তৈরি কথাকে হাদিস মনে করে, আল্লাহর কথা বাদ দিয়ে- আলেমদের তথা মানব রচিত কথায় ইবাদত করেন, তারা আগে কুরআনের নিম্মলিখিত আয়াতগুলির অর্থ ঈমান নিয়ে পড়ে যাচাই করুন- আপনি কার হাদিস মানবেন? আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের তৈরি করা হাদিস? কুরআন মতে হাদিস দুই প্রকার। ১. কুরআন নিজেই আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩।২. লাউয়াল হাদিস বা অসার বানি ৩১ঃ৬।কুরআন নিজেই নবীর হাদিস বা বানি ৬৯ঃ৪০/ ৮১ঃ১৯। কুরআন আল্লাহর বানি তার পক্ষে সমর্থিত আয়াত ৬৯ঃ৪২-৪৪/২৯ঃ৪৬-৪৯।।
আরো দেখুন কুরআন রাসুলের / আল্লাহর হাদিস বা বানি ৪ঃ৪২/৪ঃ৮৭/৪ঃ১৪০/৪৭ঃ৮/৬ঃ৬৮/৭ঃ২৮৫/১২ঃ১১১/১৮ঃ৬/২০ঃ৯/৩১ঃ৬/৩৩ঃ৫৩/৩৯ঃ২৩/৪৫ঃ৬/৫১ঃ২৪/৫২ঃ৩৪/৫৩ঃ৫৯/৫৬ঃ৮১/৬৬ঃ৩/৬৮ঃ৪৪/৬৮ঃ৫০/৭৯ঃ১৫/৮৫ঃ১৭/৮৮ঃ১।
হাদিসঃ = হাদিস মানে বানি , কথা, মেসেজ, খবর, বার্তা, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, ট্রেডিশন, বিবৃতি, বর্ননা, বচন, কথন, । ফলে উল্লেখিত আয়াত সমুহ দ্বারা প্রমানিত হয় যে কুরআন নিজেই হাদিস বা আল্লাহর বানি।

কিছু ধর্মান্ধ পন্ডিতদের কথা, লিখা, কমেন্টে মনে হয় আরবি হাদিস শব্দটি শুধু নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর আমলে উৎপত্তি লাভ করেছে। তাদের মতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর কথা কাজ সম্মতি কে হাদিস বলে। তাদের এই সংজ্ঞা সার্বজনিন নয়, সার্বকালিন নয়। অর্থাৎ এই সংজ্ঞা যথার্থ নয়। কারন হাদিস শব্দটি আরবি ভাষা সৃষ্টির লগ্ন হতেই আরবি অভিধানে ছিল, আছে, থাকবে। কাজেই আরবি হাদিস শব্দটির অর্থ যেহেতু কথা, বানি, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, কালাম, যেহেতু শব্দটি নবীজির আবির্ভাবের আগে থেকেই ছিল সেহেতু কুরআন নিজেই হাদিস বা বানি। আর আল্লাহ + নবীর সেই বানিটিই হল কুরআন, যার দলিল উপরে দেয়া হয়েছে।

সুতরাং হাদিস মানে বুখারিদের কয়টা কথা শুধু নয়।দ্বীনের ক্ষেত্রে মানব রচিত যাবতীয় বিধান বর্জনীয়। কেননা দ্বীনের বিধান দিতে হবে কুরআন হতে মর্মে বহু আয়াত কুরআনে উল্লেখ আছে ২ঃ৭৮-৭৯/২৫৬/৬ঃ৫০-৫৫/৭০/৮৪/২১ঃ৮৩/৩৯ঃ২৭/৪৩ঃ৪৩/৫০ঃ৪৫/১৮ঃ২৭।দ্বীনের সকল ফায়সালা হবে কুরআন মাফিক ৮৬ঃ১৩। অনেকে বলেন বেশির ভাগ মানুষই তো মানব রচিত হাদিস অনুসরন করে।এই অধিকাংশ লোকের কথায়, মতে চলা লোকদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা অধিকাংশ লোকের কথা মত চলে তারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত হবে ৬ঃ১১৬। কেননা, সত্য ও ন্যায়ের দিক হতে আল্লাহর বিধানই পরিপুর্ন ৬ঃ১১৫।

হাদিস কোনটা জাল কোনটা সহিহ

By Mahmood Hasan fbfd

ভুলে ভরা হাদিস কোনটা জাল কোনটা সহিহ, আপনি কি বলতে পারবেন? যেটা যার মতবাদের সাথে মিলে যায় সেটা সঠিক হিসেবে ধরে নেয়, বাকিগুলো জাল ৷

শিয়াদের পাচটা হাদিসের কিতাব, সুন্নিদের ছয়টা আলাদা হাদিসের কিতাব ৷
সুন্নি, শিয়াদের উপদলগুলোর মধ্যেও হাজার হাজার কিতাব ৷ তো ভাই, নবীর কথা কোন কিতাবে আছে??

নবী মৃত্যুর 250 বছর পর সৌদি থেকে 4236 মাইল দুরের একজন পারসিয়ান নবীর নামে একটা কিতাব লিখে বললো এগুলা নবীর বানী ৷ সেটা বিশ্বাস করতে হবে? আব্বাসীয় আমলে স্বেচ্ছাচারি শাষকের বিস্বস্ত সহযোগী বুখারী শাষকের অনুগত থেকে অতি আবেগে শাষকের আরও সান্নিধ্য পাবার মানসে সুন্নিদের জন্য একটা কিতাব লিখল, কারন তৎকালিন শিয়া সুন্নি বিরোধ ছিল ৷ আর শাষক সুন্নিদের আলাদা একটি কিতাবের অপেক্ষাতেই ছিলেন, যেখানে নবীর কর্মকান্ড লেখা থাকবে এবং সেগুলো সুন্নিদের পক্ষে থাকবে ৷ সুন্নিদের পক্ষে নবী ছিলেন, এবং নবীর সমস্ত কার্যকলাপ সুন্নিদের পক্ষে থাকলে, সিংহাসন থেকে আর নামায় কে?

শিয়ারাও নবীর নামে তাদের পক্ষে হাদিস লিখে নিল ৷ এবং আলীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে আলির বংশ হতে শাষক হবে এমন প্রমান পেশ করে হাদিস লিখলো ৷ এখন সেগুলাই হয়ে গেল ধর্মের বই ? নবীর বানী??

বুখারী পারসিয়ানদের প্রাচিন ধর্ম সাসানীয় যুগের জরুথুষ্টিয় ধর্ম থেকে কপি করে বুখারী লিখেছে ৷
প্রমান চাইলে, জরুথুষ্টিক ধর্ম সম্পর্কে জানুন ৷৷

আল্লাহ কুরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, কুরআন আহসানাল হাদীস(উত্তম বানী) সম্বলিত কিতাব (39:23)।
এর বাইরে সব লাহওয়াল হাদীস (অসার বানী, মানুষের মনগড়া বানী )-31:6
এবং জাসিয়াহ-৬

Fake hadiths destroyed the society.

Fm Imran Alam fbfd

.

->কেউ হাসতে চাইলে হাসতে পারেন।
কারো অনুভুতি টনুভুতিতে আঘাত লাগলে আমি দায়ি নই, রেফারেন্সকৃত গ্রন্থগুলো দায়ি। =D

১. মেয়েদের ব্যবহার
করতে হবে গন্ধবিহীন
পারফিউম (Abu Dawud
32:4037)

২. মুত্রত্যাগের পর
লিঙ্গাগ্রে ঢিলা-কুলুপ
(মাটির তৈরি) ব্যবহার
না করলে দোজখ (Sahih
Bukhari 1:4:215)

৩. যৌনকর্মের শুরু এবং শেষ
আল্লাহর নাম
নিয়ে করলে সন্তান শয়তান
থেকে দূরে থাকে (Sahih
Bukhari 1:4:143)

৪.শৌচকর্ম শেষে ব্যবহার্য
পাথরের
সংখ্যা হতে হবে বেজোড়
(Sahih Muslim 2:463
Sahih Bukhari 1:4:162)

৫.ভোরবেলা সূর্য
ওঠে শয়তানের মাথায় দুই
প্রান্তের মধ্য দিয়ে (Sahih
Bukhari 4:54:494)

৬.ভালো স্বপ্ন দেখায়
আল্লাহ আর খারাপ দেখায়
শয়তান (Sahih Bukhari
4:54:513)

৭.উকুন থেকে পরিত্রাণ
পেতে প্রয়োজন রোজা রাখা /
খাওয়ানো /
ছদকা দেওয়া (Sahih
Bukhari 7:71:604)

৮.কেয়ামত আসার লক্ষন
বোঝার উপায় নারীর
পশ্চাদ্দেশ (Sahih Bukhari
9:88:232)

৯.অবৈধ যৌন সম্পর্ক
করলে পাথর মেরে হত্যার
বিধান বানর প্রজাতিতেও
বিদ্যমান (Sahih Bukhari
5:58:188)

১০.জন্মের সময় সন্তান
কাঁদে শয়তানের
স্পর্শে (Sahih Bukhari
4:54:506)

১১.চন্দ্র-সূর্যের গ্রহন
ঘটে মানুষকে ভয় পাওয়ানোর
উদ্দেশ্যে (Sahih Bukhari
2:18:158)

১২.যৌনকর্মের সময়
‘আল্লাহর ইচ্ছা’ বললেই জন্ম
নেবে পুত্র সন্তান (Sahih
Bukhari 4:52:74i)

১৩. কোন
মহিলা পরচুলা ব্যবহার
করলে তার ওপর বর্ষীত
হবে অভিশাপ (Sahih
Bukhari 6:60:409 )

১৪. সবুজ বা সাদা রঙের জার
ব্যবহার হারাম (Sahih
Bukhari 7:69:501)

১৫.ঘোড়া এবং উটের
অধিকারীরা অহংকারী (Sah
ih Bukhari 4:54:520)

১৬. প্রার্থনার
সারি সোজা না রাখলে চেহা
রা পরিবর্তিত
হয়ে যাবে (Sahih Bukhari
1:11:685)

১৭.রৌপ্য পাত্রে পান
করা মানে নরকের আগুন
পেটে ঢুকানো (Sahih
Bukhari 7:69:538)

১৮. আল্লাহর পাঠানো খাবার
খেয়ে নবীর যৌন
শক্তি বৃদ্ধি (Ibn Sa’d’s
Kitab Tabaqat Al-Kubra,
Volume 8, Page 200)

১৯.খালি হাতে নবী কতৃক
শয়তানের
গলা টিপে ধরা (Sahih
Bukhari 2:22:301)

২০.পাথর কতৃক কাপড়
চুরি (Sahih Muslim
30:5850, 4:55:616)

২১.নবী কতৃক খেজুর গাছের
কান্না শোনা (Sahih
Bukhari 4:56:784)

২২.খাবার কতৃক আল্লাহর
প্রশংসা করা (Sahih
Bukhari 4:56:779)

২৩. গাছ কতৃক তথ্য প্রদান
(Sahih Bukhari 5:58:199)

২৪.পাথর কতৃক
নবীকে স্যালুট করা (Sahih
Muslim 30:5654)

২৫. দোজখের আগুন কতৃক
আল্লাহর কাছে অভিযোগ
প্রদান (Sahih Bukhari
4:54:482)

২৬. পেট কতৃক আল্লাহর
সাথে বিরোধিতা করা (Sahi
h Bukhari 7:71:614)

২৭. আল্লাহ হাচি পছন্দ
করেন, কিন্তু হাই
তোলা অপছন্দ করেন (Sahih
Bukhari 8:73:242)

২৮.দাড়ি রাখতে হবে মুর্তিপুজক
দের
থেকে আলাদা হতে (Sahih
Muslim 2:500-501)

২৯. কবিতা থেকে পুঁজ উত্তম
(Sahih Muslim 28:5611)

৩০. খারাপ স্বপ্ন
থেকে বাঁচতে বাম দিকে থু থু
ফেলা (Sahih Bukhari
9:87:115)

৩১.খাবার খাওয়ার পর হাত
চাটা বা অন্যের
দ্বারা চাটানো (Sahih
Bukhari 7:65:366)

৩২. প্রার্থনার সময় গ্যাস
ছাড়া আল্লাহর অপছন্দ (Abu
Dawud 1:205 Sahih
Bukhari 1:4:139,
9:86:86)

৩৩. ট্যাটু লাগানো মহিলার
প্রতি রয়েছে আল্লাহর
অভিশাপ (Sahih Bukhari
7:72:826)

৩৪. বিধর্মীদের
থেকে আলাদা হতে চুল
রং করা (Sahih Bukhari
7:72:786)

৩৫.বেজোড় সংখ্যা আল্লাহর
পছন্দের (Sahih Bukhari
8:75:419)

৩৬.লুকিয়ে উকি দেওয়ায়
তার চোখ
গেলে দিলে দোষের কিছু
নেই (Sahih Bukhari
9:83:38-39)

৩৭. বেহেস্তের বৃক্ষ অতিক্রম
করতে প্রয়োজন ১০০ বছর
(Sahih Bukhari
8:76:559t)

৩৮. নারীর নিকট স্বামীর
ভাই মরন সদৃশ (Sahih
Bukhari 7:62:159)

৩৯. জ্বিনের খাবার হাড়
এবং পশুর মল (Sahih
Bukhari 5:58:200)

৪০.রমজান মাসে শয়তান
বাধা থাকে (Sahih
Bukhari 4:54:497)

৪১. তৃষ্ণার্তকে পানি পান
করালেই পতিতার
মিলবে দোজখ
থেকে মুক্তি (Sahih
Bukhari 4:54:538)

৪২. বানর আর শুকর মানেই
যারা পূর্বে বাধ্যযন্ত্র
বাজাতো (Sahih Bukhari
7:69:494)

৪৩. পশুর সাথে যৌনতায় কোন
সমস্যা নেই (Abu Dawud
38:4450, 38:4448)

৪৪.গরুরাও মানুষের
সাথে কথা বলে (Sahih
Bukhari 4:56:677)

৪৫.হারিয়ে যাওয়া উট
বা ভেড়া নিয়ে নবীর
মন্তব্য (Sahih Bukhari
1:3:91)

৪৬.ইদুর
পারে কারো বাড়িতে আগুন
দিতে (Sahih Muslim
23:4994 Al-Muwatta 49
10.21)

৪৭.ইজরাইলের লোকেদের
ইদুর বনে যাওয়া (Sahih
Bukhari 4:54:524)

৪৮.শয়তান পারে না নবীড়
আকার ধারন করতে (Sahih
Bukhari 9:87:123,
9:87:124, 9:87:125,
9:87:126)

৪৯.শুক্রবারে মসজিদের
গেটে দাঁড়িয়ে থাকে ফেরেস্
তারা (Sahih Bukhari
4:54:433)

৫০.নগ্ন অবস্থাতেই সম্ভব
আল্লাহর সাথে মোলাকাত
(Sahih Bukhari 8:76:531,
8:76:532, 8:76:533,
8:76:533)

৫১.শয়তান কতৃক কানে মুত্র
ত্যাগ (Sahih Bukhari
2:21:245)

৫২. ঘুমানোর সময় শয়তান
কতৃক মাথার পেছনে তিন
গেড়ো (Sahih Bukhari
4:54:491)

৫৩.সন্তান জন্মানোর পর
শয়তানের স্পর্শ (Sahih
Bukhari 4:54:506)

৫৪.হাই তুললে তার
প্রতি শয়তান হাসে (Sahih
Bukhari 4:54:509)

৫৫.মল ত্যাগের
সাথে ক্ষতিকারক বা খারাপ
কিছুর সম্পৃক্ততা (Sahih
Bukhari 1:4:144)

৫৬.কিবলা মুখি হয়ে মল
ত্যাগ নিষেধ (Sahih
Bukhari 1:4:215)

৫৭.কালো কুকুর মানেই
শয়তান (Sahih Muslim
4:1032 )

৫৮. ঈমামের
সামনে মাথা তুললেই
সে পরিনত হবে গাধায়
(Sahih Bukhari 1:11:660)

৫৯. দাড়িয়ে পানি পান
করলে বমি করতে হবে (Sahi
h Muslim 23:5022)

৬০.প্রার্থনার সময় ওপর
দিকে তাকালে হারাবে দৃষ্ট
শক্তি (Sahih Muslim
4:862, 4:863)
copy from: Nazmul Haque

যা কুরআনে নাই, তা মানেন কার নির্দেশে?

FM fd fd

কুরআনের বেশিরভাগ আয়াতে আল্লাহ রাসুলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,
বলুন,
জানিয়ে দিন,
বলে দিন,
অবিশ্বাসিদের জানান দিন,
সংবাদ দিন,
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে,
তাদের কাছে পৌছায়ে দিন, ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ ডাইরেক্ট আল্লাহ রাসুলকে নির্দেশ দিচ্ছেন কুরআন প্রচারের ৷ তাহলে বুঝুন, রাসুলের মুল দায়িত্ব কি ছিলো? তিনি কি পৌছাতেন?

মিথ্যা হাদিসগুলো দেখুন…..
বোখারী সহ সকল মিথ্যা হাদিসে বলা হয় অনুমানের উপর ৷ অনেক জটলার মাধ্যমে ৷
অমুক তমুকের মুখ থেকে শুনেছেন, আবু হুরায়রা নবিজীকে বলতে শুনেছেন, নবী বলেছেন আল্লাহ এই নির্দেশ দিয়েছেন ৷
আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্নিত, আয়শা বর্নিত, রাসুল এটা করেছেন, ওটা করেছেন আবু হুরায়রা আয়েশা দেখেছেন, সুতরাং এগুলো বিধান ৷

কত মারপ্যাচ করে রাসুলের নামে মিথ্যা হাদিস বানানো ৷ যাতে মানুষ পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে সেজন্য সাহাবী, রাসুল, আল্লাহর নামে নানান দলিল প্রমান ৷

বোখারীর বুদ্ধির তারিফ করতে হয় কিন্তু ৷

যা কুরআনে নাই, তা মানেন কার নির্দেশে?

কোরআন নাড়ী জাতি কে যে সন্মান দিয়েছে সেই তুলায় হাদিস গুলি চরম অবমাননাকর

By abdul Al mamun fbfd

.

হাদিস হল নবী (সঃ) এর কথা-বার্তা, আচার-বিচার, ধ্যান-ধারণা, ব্যবহার-ব্যক্তিত্ব, মতামত-সিদ্ধান্ত, এ সবের বিস্তারিত রিপোর্ট, তাঁর সহচরেরা দিয়ে গেছেন। হাদিস ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, কোরানের পরেই এর স্থান। হাদিস বাদ দিলে ইসলামের সাংঘাতিক অঙ্গহানী হয়ে যায়। বিখ্যাত মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম তাঁর বিখ্যাত ‘‘হাদিস সংকলনের ইতিহাস’’ বইয়ের ৯৪ পৃষ্ঠায় বিভিন্ন বুলন্দ ইমামের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘‘হাদিস অমান্যকারী কাফির’। আমার সন্দেহ হয় যে সে কোনোদিন কোরআন পড়ে নি। কোরআন নাড়ী জাতি কে যে সন্মান দিয়েছে সেই তুলায় হাদিস গুলি চরম অবমাননাকর । এই হাদিস গুলি ইসলামের চেহারাই পালটে দিয়েছে।

সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া”।

প্রমাণ দেখাচ্ছি সুনান আবু দাউদ হাদিস থেকে; বই ১১ হাদিস নম্বর ২১৩৫:
কায়েস ইবনে সা’দ বলছেন, ‘‘নবী (দঃ) বললেন: “আমি যদি কাউকে কারো সামনে সেজদা করতে বলতাম, তবে মেয়েদের বলতাম তাদের স্বামীদের সেজদা করতে। কারণ আল্লাহ স্বামীদের বিশেষ অধিকার দিয়েছেন তাদের স্ত্রীদের ওপরে”।

সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৪২:
ওমর বিন খাত্তাব বলেছেন: নবী (দঃ) বলেছেন, “কোন স্বামীকে (পরকালে) প্রশ্ন করা হবে না কেন সে বৌকে পিটিয়েছিল”।

সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:
আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।

সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।

সহিহ্‌ বোখারি, ভলুম ১, হাদিস ৩০১:
আবু সাইদ আল খুদরী বলেছেন:- একদিন নবী (দঃ) ঈদের নামাজের জন্য মাসাল্লাতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু নারীদের সামনে দিয়ে যাবার সময় তিনি বললেন, “তোমরা সদকা দাও, কেননা আমি দোজখের আগুনে বেশীর ভাগ নারীদেরই পুড়তে দেখেছি”। তারা বলল:-“এর কারণ কি, ইয়া রসুলুল্লাহ?” তিনি বললেন:-“তোমরা অভিশাপ দাও এবং তোমাদের স্বামীদের প্রতি তোমরা অকৃতজ্ঞ। ধর্মে আর বুদ্ধিতে তোমাদের চেয়ে খাটো আমি আর কাউকে দেখিনি। একজন বুদ্ধিমান সংযমী পুরুষকে তোমাদের কেউ কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে”। তারা বলল:- “ইয়া রসুলুল্লাহ! ধর্মে আর বুদ্ধিতে আমরা খাটো কেন?” তিনি বললেন: “দু’জন নারীর সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সমান নয়?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন: “এটাই হল বুদ্ধির ঘাটতি। এটা কি সত্যি নয় যে মাসিক-এর সময় নারীরা নামাজ এবং রোজা করতে পারে না?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন: “এটাই হল ধর্মে ঘাটতি”।

সুনান আবু দাউদ ১১ খণ্ড, হাদিস ২১৫৫:
আবদুল্লা বিন আম’র বিন আ’স বলছেন: ‘নবী (দঃ) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ দাস-দাসী কিনলে বা বিয়ে করলে তাকে বলতে হবে- ও আল্লাহ! আমি এর স্বভাব চরিত্রে ভালো কিছুর জন্য তোমার কাছে প্রার্থনা করি। আর এর চরিত্রের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। কেউ উট কিনলেও তাকে উটের কুঁজো ধরে এ কথা বলতে হবে”’।

সহিহ্‌ বোখারী ভল্যুম ৫,৭০৯:
সাহাবী আবু বাক্‌রা বলছেন, নবী (দঃ) বলেছেন যে, যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে, সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না।

সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ৩২৪০:
জাবির বলেছেন: আল্লাহর নবী (দঃ) একদিন এক স্ত্রীলোক দেখে তাঁর স্ত্রী জয়নাবের কাছে এলেন, সে তখন একটা চামড়া পাকা করছিল। তিনি তার সাথে সহবাস করলেন। তারপর তিনি তাঁর সাহাবীদের কাছে গিয়ে বললেন, নারী শয়তানের রূপে আসে যায়। তাই তোমাদের মধ্যে কেউ কোন নারীকে দেখলে নিজের স্ত্রীর কাছে যাবে, তাতে তার মনের অনুভূতি দুর হবে।

এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ২ পৃষ্ঠা ৩৬৭:
শয়তান নারীকে বলে: তোমরা আমার সৈন্যদলের অর্ধেক। তোমরা আমার অব্যর্থ তীর। তোমরা আমার বিশ্বস্ত। আমি যা চাই তা তোমাদের মাধ্যমে হাসিল করি। আমার অর্ধেক সৈন্য হল কামনা, বাকি অর্ধেক হল ক্রোধ।
একই বই, ভলুম ২ পৃষ্ঠা ৩৭০-৩৭১ থেকে:
সাইদ ইবনে জুবায়ের বলেছেন, শুধুমাত্র দেখেই দাউদ (দঃ) এর মনে বাসনার উদ্রেক হয়েছিল। তাই তিনি তাঁর পুত্রকে (সুলায়মান দঃ) বললেন:- হে পুত্র! সিংহ বা কালো-কোবরা সাপের পেছনে হাঁটাও ভাল, তবু কোন নারীর পেছনে হাঁটবে না। নবী (দঃ) বলেছেন:-“নারীর প্রতি কামনার চেয়ে পুরুষের জন্য বেশী ক্ষতিকর কিছু আমি রেখে যাচ্ছি না”।
একই বই ভল্যুম ২,পৃষ্ঠা ৩৭৩:
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর চারটি বিষয় কম থাকতে হবে নতুবা সে তাকে অবজ্ঞা করবে: বয়স,শারীরিক উচ্চতা, ধন সম্পদ, এবং বংশগৌরব। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর চারটি বিষয় বেশী থাকতে হবে:- সৌন্দর্য, চরিত্র, আদব-কায়দা, এবং ধর্মে মতি।
সহিহ্‌ মুসলিম, বই ২৬, হাদিস ৫৫২৩:
আবদুল্লা বিন ওমর বর্ণনা করছেন:আল্লাহর নবী (দঃ) বলেছেন, দুর্ভাগ্য যদি কিছুতে থাকে, তবে তা হল বাড়ি, ঘোড়া আর নারী’’।
ইসলামী বিশ্বকোষ (ডিকশনারি অব ইসলাম) থেকে পৃষ্ঠা ৬৭৮-৬৭৯:
সমগ্র মানব জাতির জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছুই আমি রেখে যাচ্ছি না। দুনিয়া এবং নারী থেকে দূরে থাকবে। কারণ নারীর কারণেই ইসরাইলের পুত্ররা প্রথম পাপ করেছিল।
সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৩৬ হাদিস ৬৬০৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন: আল্লাহ’র নবী (দঃ) বলেছেন, আমার পরে পুরুষের জন্য নারীর কারণে ক্ষতির চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছুর সম্ভাবনা আমি রেখে যাচ্ছি না।
শাফী শরিয়া (রিলায়েন্স অফ দি ট্রাভেলার বা উমদাত আল সালিক), পৃষ্ঠা ৬৭২, নম্বর পি-২৮-১:
নবী (দঃ)বলেছেন: পুরুষরা ধ্বংস হয়ে গেছে যখনি তারা মেয়েদের অনুগত হয়েছে।
খুলে দেখা যাক খোদ সহিহ্‌ মুসলিম হাদিস থেকে, বই ৮ হাদিস ৩৪৭১:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, নবী (দঃ) বলেছেন, বিবি হাওয়া না হলে স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের প্রতি কখনো অবিশ্বাসের কাজ করত না। অর্থাৎ স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের প্রতি অবিশ্বাসের কাজ করে থাকে।
এবারে শুনুন ইসলামী বিশ্বকোষ তার ৬৭৫ পৃষ্ঠায় স্বামীদের কি বলছে:
১। কষ্মিন কালেও স্ত্রীকে বেশী পিরীত দেখাবে না হে, তা হলেই সে কিন্তু লাই পেয়ে মাথায় উঠে সর্বদিকে বিশৃঙ্খল করে দেবে। চিত্ত যদি অতি প্রেমে গদগদ হয়ে ওঠেই, তবে অন্তত: স্ত্রীর কাছে সেটা চেপে রেখো বাপু!
২। বিষয়-সম্পত্তির পরিমাণ তো স্ত্রীকে বলবেই না, অন্যান্য গোপন কথাও লুকিয়ে রেখো সযত্নে। তা না হলেই কিন্তু সে তার দুর্বুদ্ধির কারণে সর্বনাশ করে দেবে সবকিছু।
৩। ও হ্যাঁ, তাকে কখনো কোন বাদ্য-বাজনা করতে দেবে না, আর যেতে দেবে না বাইরেও। পুরুষদের কথা বার্তা তো কিছুতেই শুনতে দেবে না।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২০৪৫:
মাকিল ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নবীকে (দঃ) বলল “একটা উচ্চ বংশের সুন্দরী মেয়ে আছে, কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি?” নবী (দঃ) বললেন,”না”। সে তাঁর কাছে আবার এল। নবী (দঃ) আবার তাকে নিষেধ করলেন। সে তৃতীয়বার তাঁর কাছে এলে নবী (দঃ) বললেন:”সেই মেয়েদের বিয়ে কর যারা প্রেমময়ী এবং উৎপাদনশীল। কারণ আমি তোমাদের দিয়ে সংখ্যায় অন্যদের পরাস্ত করব”।
এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ১, পৃষ্ঠা ২২৮:
নবী (দঃ)বলেছেন, উর্বর এবং বাধ্য মেয়েদের বিয়ে কর। যদি সে অবিবাহিতা হয় এবং অন্যান্য অবস্থা জানা না থাকে, তবে তার স্বাস্থ্য এবং যৌবন খেয়াল করবে যাতে সে উর্বর হয়।
এহিয়া উলুম আল দীন, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২৬- ২২৮-এ। দেখুন, কাকে বিয়ে করতে হবে সে ব্যাপারে কি রকম উদ্ভট পরামর্শ দেয়া আছে:
তাকে অসুন্দরী হলে চলবে না, হতে হবে সুন্দরী। তার স্বভাবটাও হতে হবে সুন্দর। এবং আরও:- নবী বলেছেন: সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রী হল সে, যার দিকে তাকালে স্বামী তৃপ্ত হয়, স্বামীর যে বাধ্য, এবং স্বামীর অবর্তমানে যে নিজের এবং তার সম্পদ রক্ষা করে। যে সব মেয়েদের বিয়ে করা যাবে না তারা হল, বিবাহিতা, ধর্মত্যাগিনী, নাস্তিক, নারীবাদী, স্বাধীনচেতা, অগ্নিপূজক, মূর্তিপূজক, অশ্লীল যৌনাচারে অভিযুক্ত তা সে প্রমাণিত হোক বা না-ই হোক, এবং এ ছাড়া কোরানে যাদের নিষেধ করা হয়েছে আত্মীয়তার কারণে।

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ হাদিস ৮১:
উকবার বর্ণনামতে নবী (দঃ) বলেছেন: (বিয়ের) যে সব বিধানের মাধ্যমে তোমাদের অধিকার দেয়া হয়েছে (নারীদের) গোপন অঙ্গ উপভোগ করবার, সেগুলো মেনে চলতেই হবে।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১২৬:
বাসরাহ্‌ নামে এক আনসারি বর্ণনা করলেন:
আমি পর্দায় আবৃত থাকা এক কুমারীকে বিবাহ করলাম। আমি যখন তার নিকটে আসলাম তখন তাকে দেখলাম গর্ভবতী। (আমি ব্যাপারটা নবীকে জানালাম।) নবী (সাঃ) বললেন: ‘মেয়েটি মোহরানা পাবে। কেননা তুমি যখন তাকে মোহরানা দিলে তখন তার যোনি তোমার জন্য আইনসিদ্ধ হয়ে গেল। শিশুটি তোমার ক্রীতদাস হবে এবং শিশুর জন্মের পর মেয়েটিকে প্রহার করবে (এই মত ছিল হাসানের)।‘ ইবনে আবুস সারী বলেছেন: ‘তোমার লোকেরা তাকে প্রহার করবে—খুব কঠোর ভাবে।‘

সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১২১:
মোহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে সওবান নবীর (দঃ) এক সাহাবি থেকে বর্ণনা করলেন: আলী নবীর (দঃ) কন্যা ফাতেমাকে বিবাহ করে তাঁর সাথে সহবাস করতে চাইলেন। আল্লাহ্‌র নবী (দঃ) আলীকে নিষেধ করলেন তাঁর কন্যার সাথে সহবাস করতে যতক্ষণ না আলী ফাতেমাকে কিছু দিয়ে দেন। আলী বললেন: ‘আমার কাছে কিছুই নেই’। আল্লাহ্‌র রসুল (দঃ) বললেন: ‘তোমার যুদ্ধের পোশাক তাকে দিয়ে দাও।‘ আলী তাই করলেন এবং ফাতেমার সাথে সহবাস করলেন।
১। সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ৩৩৬৬:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী দঃ) বলেছেন, যে স্ত্রী স্বামীর বিছানা থেকে অন্যত্র রাত্রি যাপন করে, ফেরেশতারা তাকে সকাল পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে।
২। সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৮, হাদিস ৩৩৬৭:
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী দঃ) বলেছেন: যাঁর হাতে আমার জীবন (আল্লাহ) তাঁর নামে বলছি, যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে, আর সে স্ত্রী সাড়া না দেয়, তবে সে স্বামী খুশী না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।
৩। ইমাম গাজ্জালী, বই এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ১ পৃষ্ঠা ২৩৫:
নিজের সমস্ত আত্মীয়, এমন কি নিজের থেকেও স্বামীকে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে। যখনই স্বামীর ইচ্ছে হবে তখনই সে যাতে স্ত্রীকে উপভোগ করতে পারে সে জন্য স্ত্রী নিজেকে সর্বদা পরিষ্কার এবং তৈরি রাখবে।
৪। ইমাম শাফি শারিয়া আইন (উমদাত আল সালিক) থেকে, পৃষ্ঠা ৫২৫ আইন নম্বর এম-৫-১:
স্বামীর যৌন-আহ্বানে স্ত্রীকে অনতিবিলম্বে সাড়া দিতে হবে যখনই সে ডাকবে, যদি শারীরিকভাবে সে স্ত্রী সক্ষম হয়। স্বামীর আহ্বানকে স্ত্রী তিনদিনের বেশী দেরি করাতে পারবে না।
৫। শারিয়া আইন থেকে (উমদাত আল সালিক), পৃষ্ঠা ৫২৬ আইন নম্বর এম-৫-৬:
যৌন মিলনের জন্য শরীর পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে স্ত্রীকে চাপ দেবার অধিকার স্বামীর আছে।
৬। শারিয়া আইন থেকে, পৃষ্ঠা ৯৪ আইন নম্বর ই-১৩-৫:
স্ত্রী যদি বলে তার মাসিক হয়েছে আর স্বামী যদি তা বিশ্বাস না করে, তাহলে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা স্বামীর জন্য আইনত: সিদ্ধ।
৭। শারিয়া আইন ত্থেকে, পৃষ্ঠা ৫৩৮ আইন নম্বর এম-১০-৪:
নবী (দঃ) বলেছেন, আল্লাহ এবং কেয়ামতে যে স্ত্রী বিশ্বাস করে, সে স্বামীর অনিচ্ছায় কাউকে বাসায় ঢুকতে দিতে বা বাসার বাইরে যেতে পারবে না।
বাংলা কোরান, পৃষ্ঠা ৮৬৭, তফসির:
কুরতুবী বলেন: এ আমাদের আরও শিক্ষা দিয়েছে যে, স্ত্রীর যে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহন করা স্বামীর যিম্মায় ওয়াজিব (বাধ্য), তা চারটি বস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ: আহার,পানীয়, বস্ত্র ও বাসস্থান। স্বামী এর বেশী কিছু স্ত্রীকে দিলে অথবা ব্যয় করলে তা হবে অনুগ্রহ, অপরিহার্য নয়।
স্ত্রীর ভরণপোষণ
এই ব্যাপারে শারিয়া আইন একেবারে জলবৎতরলং। দেখুন:
শারিয়া আইন এম ১১.২ (ঐ বই পৃঃ ৫৪২)
স্বামীকে স্ত্রীর দৈনিক ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে হবে। স্বামী সচ্ছল হলে স্ত্রীকে প্রতিদিন এক লিটার শস্য দিতে হবে যা কিনা ঐ অঞ্চলের প্রধান খাদ্য। (O. এখানে প্রধান খাদ্য বলতে বুঝান হচ্ছে যা ঐ অঞ্চলের লোকেরা সর্বদা খায়, এমনকি তা যদি শক্ত, সাদা পনিরও হয়। স্ত্রী যদি তা গ্রহণ না করে অন্য কিছু খেতে চায়, তবে স্বামী তা সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না। স্বামী যদি প্রধান খাদ্য ছাড়াও স্ত্রীকে অন্য কিছু খেতে দেয় তা স্ত্রী গ্রহণ না করলেও করতে পারে।) অসচ্ছল স্বামী প্রতিদিন তার স্ত্রীকে ০.৫১ লিটার খাদ্যশস্য দিবে। আর যদি স্বামীর সামর্থ্য এর মাঝামাঝি হয় তবে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রতিদিন ০.৭৭ লিটার খাদ্যশস্য দিতে বাধ্য থাকবে।
এছাড়াও স্বামীকে শস্য পেষণের খরচ দিতে হবে যাতে ঐ শস্য আটা করে রুটি বানানো হয়। (O. স্ত্রী একাজ নিজে করলেও স্বামীকে খরচটা দিতে হবে স্ত্রীকে।) রুটি খাওয়ার জন্য অন্য যে সব সামগ্রী দরকার, যেমন, মাংস, তেল, লবণ, খেজুর, সির্কা, পনীর ইত্যাদি তা ও সরবরাহ করতে হবে। এসবের পরিমাণ নির্ভর করবে মরশুমের উপর। ফলের মরশুমে যে ফল পাওয়া যাবে তাই হবে প্রধান। ঐ শহরের লোকেরা যে পরিমাণ মাংস খায় স্ত্রীকেও সেই পরিমাণ মাংস দিতে হবে।
স্বামী স্ত্রী উভয়ে রাজী থাকলে স্ত্রীর দৈনিক খোরপোষের খরচ স্বামী টাকায় অথবা কাপড়ে দিতে পারবে।
শারিয়া আইন ১১.৩ (ঐ বই, পৃঃ ৫৪৩) স্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি বস্তু সমূহ:
স্ত্রী তার কেশবিন্যাসের জন্য তেল, শ্যাম্পু, সাবান, চিরুনি পাবে। (যা সেই সহরে সচরাচর ব্যবহার হয়।) স্বামীকে তার স্ত্রীর বগলের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যে সুগন্ধির প্রয়োজন তা দিতে হবে। যৌন সংগমের পূর্বে ও পরে স্ত্রীর গোসলের যে পানি দরকার তা স্বামীকে দিতে হবে। সন্তান প্রসবের পরে রক্ত ধৌত করার জন্য যে পানির প্রয়োজন তাও স্বামীকে দিতে হবে। এই দুটি কারণ ছাড়া স্বামী তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসল অথবা ধৌতের জন্যে যে পানির প্রয়োজন তার খরচ দিতে বাধ্য থাকবে না।

শারিয়া আইন এম ১১.৫ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪) কাপড় চোপড়ের খরচ:
স্ত্রী যে অঞ্চলে থাকবে ঐ অঞ্চলের যা প্রধান পোশাক স্ত্রী তা পাবে। (O. পোশাক নির্ভর করবে স্ত্রী লম্বা না বেঁটে, খর্ব না স্থূল এবং মরশুম গ্রীষ্ম না শীত কাল।) গ্রীষ্ম কালে স্বামী বাধ্য থাকবে স্ত্রীকে মাথা ঢাকার কাপড় দিতে। এছাড়া গায়ের লম্বা জামা, অন্তর্বাস, জুতা ও একটা গায়ের চাদর দিতে হবে, কেননা স্ত্রীকে হয়ত বাইরে যেতে হতে পারে। শীতের মরশুমে ঐ একই পোশাক দিতে হবে এবং অতিরিক্ত হিসাবে একটা লেপের মত সুতি বস্ত্রও দিতে হবে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য। শীতের সময় প্রয়োজন পড়লে গরম করার তেল অথবা লাকড়ি যা দরকার তাও দিতে হবে। এ ছাড়াও সামর্থ্য অনুযায়ী স্বামীকে দিতে হবে, কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ ইত্যাদি। (O. খাওয়াদাওয়া ও পান করার জন্য যেসব সামগ্রী দরকার তাও স্ত্রীকে দেওয়া দরকার।)

শারিয়া আইন এম ১১.৯ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৫): স্বামীর ভরণপোষণ শর্তযুক্ত:
স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামী সে পর্যন্তই বহন করবে যে পর্যন্ত চাহিবার মাত্র স্ত্রী তার স্বামীকে দেহদান করে অথবা দেহদানের প্রস্তুতি দেখায়। এর অর্থ হচ্ছে স্ত্রী স্বামীকে পূর্ণ যৌন উপভোগ করতে দিবে এবং কোন অবস্থাতেই স্বামীর যৌন চাহিদার প্রত্যাখ্যান করবে না। স্বামীর ভরণপোষণ স্ত্রী পাবেনা যখন:
স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হবে, তার মানে যখন স্ত্রী স্বামীর আদেশ অমান্য করবে এক মুহূর্তের জন্যে হলেও।
স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে ভ্রমণে যায় অথবা স্বামীর অনুমতি নেয়, কিন্তু ভ্রমণ করে নিজের প্রয়োজনে।
স্ত্রী হজ্জ অথবা ওমরা করার উদ্দেশ্যে এহরাম করে।
স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখে।

আইন এম ১১.৪ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪)
স্বামী তার স্ত্রীর প্রসাধন সামগ্রী, চিকিৎসকের খরচ, ঔষধের খরচ অথবা এই ধরনের অন্যান্য খরচ বহন করতে বাধ্য থাকবে না, যদিও স্বামী চাইলে তা করতে পারে। এটা শুধু সুপারিশ, বাধ্যবাধকতা নয়। কিন্তু শিশু জন্মের সাথে জড়িত খরচ স্বামীকে বহন করতে হবে।
আইন এম ১১.৬ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৪)
দৈনিক ভাতা শুরু হবে দিনের শুরুতে। স্বামী তার স্ত্রীকে দিনের প্রথমে স্ত্রীর দৈনিক ভাতা দিতে বাধ্য থাকবে। মরশুমের শুরুতেই স্বামী তার স্ত্রীকে পোশাকের কাপড় দিয়ে দিবে।
তালাক প্রাপ্ত ও গর্ভবতী স্ত্রীদের কি অবস্থা?
আইন এম ১১.১০ (ঐ বই পৃঃ ৫৪৬)
যে স্ত্রী ইদ্দতে থাকবে, সে তালাক (অস্থায়ী) অথবা বিধবার জন্যই হোক, তার অধিকার থাকবে স্বামীর গৃহে থাকার ইদ্দতের সময় পর্যন্ত। এরপর ভরণপোষণের ব্যাপারটা এই রকম:
১। তিন তালাক (স্থায়ী তালাক) হয়ে গেলে স্ত্রী ইদ্দতের সময় ভরণপোষণ অথবা ইদ্দতের পর কোন প্রকার ভরণপোষণ পাবে না। বিধবা নারীও কোন দৈনিক ভাতা পাবে না।
২। ভরণপোষণ হবে একমাত্র ইদ্দতের সময়, তাও যদি তালাক অস্থায়ী হয় যথা এক তালাক অথবা দুই তালাক, যেখানে সম্ভাবনা আছে যে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফেরত চাইবে।
৩। তিন তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকে সে দৈনিক ভাতা পাবে (A. শিশু ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত। এর পর শিশুর দেখা শোনা ও লালনপালনের জন্যে।)। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা না থাকলে সে কোন ভাতাই পাবে না।

শারিয়া আইন (উমদাত আল-সালিক) নম্বর এম ৫.৪ (পৃঃ ৫২৬):
স্ত্রীর দেহকে উপভোগ করার পূর্ণ অধিকার থাকবে স্বামীর। (A: আপাদমস্তক পর্যন্ত, তথা পায়ের পাতা পর্যন্ত। কিন্তু পায়ু পথে সঙ্গম করা যাবেনা—এটা বে-আইনি)। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যৌনসংগম কালে স্ত্রী যেন ব্যথা না পায়। স্বামী তার স্ত্রীকে যেখানে খুশী নিয়ে যেতে পারবে।

শারিয়া আইন (ঐ বই) নম্বর এম ৫.৬:
স্ত্রী তার যৌনাঙ্গকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বাধ্য থাকবে—এটা স্বামীর অন্যতম অধিকার। এই জন্য স্ত্রীকে মাসিক স্রাবের পর গোসল নিতে হবে এবং স্বামীর পূর্ণ যৌন উপভোগ করার জন্য যা যা দরকার তা তাকে করতে হবে। এর মাঝে থাকছে নিয়মিত যৌনাঙ্গের কেশ কামানো, এবং যৌনাঙ্গের ভিতরে জমে যাওয়া ময়লা দূর করা।

সহিহ মুসলিম বই ৮, নম্বর ৩৩৬৬:
আবু হুরায়রা বললেন: আল্লার রসুল (সঃ) বলেছেন যদি কোন রমণী তার স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাত্রি যাপন করে তবে ফেরেশতারা সেই নারীকে অভিশাপ দেয় ভোরবেলা পর্যন্ত। এই হাদিসটা অন্যের ভাষ্য দিয়েও বলা হয়েছে—যাতে বলা হয়েছে: যতক্ষণ না স্ত্রী স্বামীর বিছানায় ফিরে আসে।
এহিয়া উলুম আল-দীন, ভলুম ১ পৃঃ ২৩৫
স্ত্রী তার স্বামীকে নিজের এবং তার আত্মীয়ের চাইতেও বেশী ভালবাসবে। স্ত্রীকে সদা সর্বদা পরিষ্কার ছিমছাম থাকতে হবে যাতে করে স্বামী যখন খুশী তাকে উপভোগ করতে পারে।
ঐ বই, পৃঃ ২৩৬
স্ত্রীকে সর্বদা ন্যায়পরায়ণতা মেনে চলতে হবে। স্ত্রীকে স্বামীর অবর্তমানে দুঃখিত হতে হবে। যখন স্বামী ফিরে আসবে তখন স্ত্রীকে হাসিখুশি দেখাতে হবে এবং নিজের দেহকে প্রস্তুত রাখবে স্বামীর আনন্দের জন্যে।
শারিয়া আইন এম ১০.৪ (উমদাত আল-সালিক, পৃঃ ৫৩৮)
স্ত্রীর গৃহ ত্যাগ করা যাবে না। স্বামীর অধিকার থাকবে স্ত্রীকে গৃহের বাইরে না যেতে দেওয়া। (O. এটা এ কারণে যে বাইহাকী বলেছেন যে রসুলুল্লাহ বলেছেন: যে রমণী আল্লাহ ও কেয়ামতে বিশ্বাস করে সে কখনো তার স্বামীর অবর্তমানে কোন বেগানা লোককে তার গৃহে প্রকাশের অনুমতি দিবে না, অথবা সেই রমণী গৃহের বাইরে যাবে যখন তার স্বামী বিক্ষুব্ধ হবে।
কিন্তু স্ত্রীর কোন আত্মীয় মারা গেলে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে গৃহ ত্যাগের অনুমতি দিতে পারে।

শারিয়া আইন (হানাফি) ডবলু ৪৫.২ (ঐ বই পৃঃ ৯৪৯):
স্ত্রীর কর্তব্য হচ্ছে স্বামীর সেবা পরিচর্যা করা। এই কর্তব্য স্ত্রীর কাছে ধর্মের অঙ্গ। সেবা বলতে ধরা হচ্ছে রান্না করা, গৃহ পরিষ্কার করা, রুটি বানানো…ইত্যাদি। স্ত্রীর এসব কাজে বিমুখতা পাপ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু আদালত স্ত্রীকে জোরপূর্বক এই সব কাজ করতে হুকুম দিতে পারবে না।
শারিয়া আইন এম ৫.২ (উমদাত আল সালিক, পৃঃ ৫২৫, ইমাম গাজ্জালী হতে):
স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সংগম করবে চার রাতে এক বার। কেননা স্বামীর হয়ত চার বিবি থাকতে পারে। স্ত্রীকে এর জন্য এই দীর্ঘ অপেক্ষা করতেই হবে। যদি সম্ভব হয় তবে স্বামী এর চাইতে অধিক অথবা কম সঙ্গমও করতে পারে। এমন ভাবে স্ত্রীর সঙ্গমের চাহিদা মিটাতে হবে যেন স্ত্রী চরিত্রবতী থাকে, তার যৌন ক্ষুধা আর না জাগে। এর কারণ এই যে স্বামীর জন্য এটা বাধ্যতামূলক যে তার স্ত্রী যেন সর্বদা চরিত্রাবতী থাকে।

সহিহ মুসলিম, বই ৭ হাদিস ৩১০৫:
আবু হুরায়রা বললেন: “রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে নারী আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে কখনই তার মাহরাম ছাড়া এক দিনের ভ্রমণে যাবে না”।
মালিকের মুয়াত্তা, হাদিস ৫৪.১৪.৩৭:
মালিক—সাইদ ইবনে আবি সাইদ আল মাকবুরি—আবু হুরায়রা থেকে। মালিক বললেন: আল্লাহ্‌র রসুল (সাঃ) বলেছেন: যে নারী আল্লাহ ও আখেরতে বিশ্বাস করে তার জন্যে তার পুরুষ মাহরাম ছাড়া একদিনের রাস্তা ভ্রমণ করা হালাল নয়।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, এমন কি বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মহিলা শ্রমিক বিভিন্ন কল কারখানায় প্রতিদিন কাজ করতে যায়। এ না করলে তাদের সংসার চলবে না। আমরা ইসলামীদের প্রশ্ন করব কি হবে ঐ সব মহিলা শ্রমিকদের যদি তারা শারিয়া আইন বলবত করে? অনেক মহিলা শ্রমিক রাত্রের বেলাতেও ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। তাদের কি হবে–ইসলামী আইন চালু হলে?
নারীদের উপাসনা করা ও নিজের শ্রী বৃদ্ধির এবং শোক-বিলাপের কতটুকু অধিকার আছে?
পাশ্চাত্ত্যে অবস্থানরত, পাশ্চাত্ত্যে শিক্ষিত কিছু ইসলামী পণ্ডিত আমাদেরকে সর্বদা শোনাচ্ছেন যে মুসলিম নারীরা মসজিদে স্বাগতম। উপরে উপরে মনে হবে এ তো খুব চমৎকার—ইসলাম কতই না মহৎ নারীদের প্রতি। যে কথাটি এই সব পাশ্চাত্য শিক্ষিত ইসলামীরা চেপে যান তা হচ্ছে যে ইসলাম সব মুসলিম নারীকেই মসজিদে স্বাগতম জানায় না। এব্যাপারে কিছু শারিয়া আইন দেখা যাক।
শারিয়া আইন এফ ১২.৪ (ঐ বই, পৃঃ ১৭১):
…নারীদের জন্যে গৃহে উপাসনা (অর্থাৎ নামাজ) করাই উত্তম। (A. তারা তরুণীই অথবা বৃদ্ধাই হউক)। একজন তরুণী, সুন্দরী, আকর্ষণীয় মহিলার মসজিদে পা রাখা অপরাধমূলক।(O এমনকি তার স্বামী অনুমতি দিলেও)। যদি তরুণীটি আকর্ষণীয় না হয় তবে তার মসজিদে আসা অন্যায় হবে না। আসল কথা হল তরুণী যেন মসজিদের নামাযীদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে। এই জন্যেই আয়েশা (রঃ) বলেছেন: “নবী (সাঃ) যদি দেখে যেতেন আজকালকার মহিলারা কি সব কার্যকলাপ করে তবে উনি নিশ্চয়ই মহিলাদের মসজিদে আসা নিষিদ্ধ করে দিতেন; যেমন করা হয়েছিল বনী ইসরাইলের মহিলাদের।“ এই হাদিসটা বোখারী ও মুসলিম দিয়েছেন।
শারিয়া আইন এফ ২০.৩ (ঐ বই পৃঃ ২১৪):
গ্রহণের সময় নামায। এই সময় নামাযটা দলবদ্ধভাবে মসজিদে পড়া উচিত। যেসব মহিলাদের দেহ আকর্ষণীয় নয় অথবা যারা বৃদ্ধা সেইসব মহিলারাও মসজিদে এই নামায পড়তে পারে। আকর্ষণীয় দেহের মহিলাদের উচিত গৃহের ভিতরে নামায পড়া।
শারিয়া আইন পি ৪২.২ (৩) (ঐ বই পৃঃ ৬৮২):
আল্লাহ ঐ মহিলার প্রতি নযর দিবেন না।
নবী (সাঃ) বলেছেন যে মহিলার স্বামী গৃহে বর্তমান তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর উপবাস (রোজা) রাখা বে আইনি। স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী কোন ব্যক্তিকে গৃহে ঢুকতে দিতে পারবে না।
এই প্রসঙ্গে মাওলানা আজিজুল হক সাহেব আনুবাদিত বোখারী শরীফে যে মন্তব্য করেছেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উনি বাংলা বোখারী হাদিস নম্বর ৪৮৯ (খণ্ড ১) সম্পর্কে লিখেছেন:
ব্যাখাঃ এই হাদীছ দ্বারা ইমাম বোখারী (রঃ) ইহাও প্রমাণ করিয়াছেন যে, নারীদের জন্য মসজিদে যাইতেও স্বামীর অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক ছিল।
মাওলানা আজিজুল হক সাহেবের আরও একটি ব্যাখা হাদিস নম্বর ৪৯০ প্রসঙ্গে:
ব্যাখ্যাঃ এই হাদিছ দৃষ্টে বোখারী (রঃ) বলিয়াছেন, নারীদের জন্য মসজিদে অবস্থান সংক্ষিপ্ত করার এবং নামায হইতে দ্রুত বাড়ী প্রত্যাবর্তন করার আদেশ ছিল। এই হাদীছে ইহাও সুস্পষ্ট যে, শুধু মাত্র মসজিদ সংলগ্ন বাড়ী ঘরের নারীরাই মসজিদে আসিত।
সুন্দরী, তরুণীদের মসজিদে ঢোকা উচিত নয়—মেনে নিলাম এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অন্যান্য নামাযীদের মনোযোগ নষ্ট না করার জন্য। অন্যায়টা হচ্ছে–এই আইন কেন প্রযোজ্য হবে না সুদর্শন দেহের তরুণদের উপরে? এই সুদর্শন পুরুষদের প্রতি মহিলারাও যে আকর্ষিত হয়ে পড়তে পারে। এর কারণ কি এই নয় যে আল্লাহ্‌ সর্বদাই পুরুষ পছন্দ করেন—কারণ তিনিও যে পুরুষ!
সত্যি কথা হচ্ছে মোহাম্মদ নিজেই ছিলেন অত্যন্ত লিঙ্গ-কাতর মানুষ (sexist) যা হয়ত তখনকার আরব সমাজে বিদ্যমান ছিল। যদিও উনি চাইছিলেন তৎকালীন আরব মহিলাদের ভাগ্যের কিছুটা উন্নতি হউক, তথাপি খুব সতর্ক ছিলেন যাতে আরব সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতায় তেমন বিপ্লবাত্মক পরিবর্তন না আনেন। তাই উনি কোনক্রমেই পুরুষ ও মহিলাদের সমান অধিকারের পক্ষপাতী ছিলেন না। আল্লাহ্‌ পাকও এ ব্যাপারে তেমন কিছু বলেন নাই। যত বড় বড় কথাই নবীজি বলুন না কেন উনার মনের গভীরে বাস করত এক অশিক্ষিত, অমার্জিত, বর্বর বেদুঈন আরব। এবং উনি ভালভাবেই জানতেন বেদুঈন সমাজে মহিলাদের কি ভাবে দেখা হয়। বেদুঈনদের কাছে নারীরা হচ্ছে ‘মাল’ অথবা যৌন সম্ভোগের উপকরণ মাত্র। আমরা এই মনোভাবেরই প্রতিফলন দেখি শারিয়া আইনগুলিতে। নবীজি চাইলেও পারতেন না বেদুঈনদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে। আমরা বিভিন্ন হাদিসে দেখি যে যখনই পুরুষ এবং মহিলার ব্যাপারে নবীজিকে সিদ্ধান্ত দিতে হয়েছে—তিনি প্রায় সর্বদায় পুরুষের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটাই তাঁর বেদুঈন মনের পরিচয়। কারণ মরুভূমির বেদুঈনদের কাছে পুরুষই হচ্ছে সবার উপরে। নবীজি তার ব্যতিক্রম হলেন না।
এখানে আরও কিছু হাদিস উদ্ধৃতি দেওয়া হল যা থেকে আমরা দেখতে পাব একজন বেদুঈন পুরুষকে তৃপ্ত করতে একজন মহিলার কতদূর পর্যন্ত যেতে হবে।
সহিহ বোখারী, ভলুম ৭, বই ৬২, হাদিস ১৭৩:
জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন, নবী (সাঃ) বলেছেন—যদি তুমি রাত্রে বাড়ী পৌঁছ তবে তৎক্ষণাৎ স্ত্রীর নিকট চলে যাবে না। যাবত না সে যৌনাঙ্গের কেশে ক্ষুর ব্যাবহারে পরিচ্ছন্ন হয় এবং মাথার কেশ বিন্যাস করে নেয়। নবী (সাঃ) আরও বললেন: “হে জাবির সন্তান উৎপাদন কর, সন্তান উৎপাদন কর!”
মুসলিম নারীদের জন্য প্রসাধন সামগ্রী ব্যাবহার করা, তথা তাদের মুখমণ্ডল সুশ্রী করা একেবারেই হারাম। সত্যি বলতে যে সব মুসলিম মহিলাগণ নিজেদের সৌন্দর্য বিকাশে ব্যস্ত তাঁদেরকে মুসলিম নারী বলা যাবেনা। তাই বলা যায় যেসব মুসলিমাহ্‌ ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে, চক্ষুতে মাসকারা দিয়ে, গালে কুমকুম…ইত্যাদি লাগিয়ে গৃহের বাইরে যান তাঁদের উচিত হবে ঐ সব হারাম প্রসাধন সামগ্রী ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। তা না করলে এই সব মুসলিমরা যে ইসলামী নরকের আগুনে চিরকাল পুড়তে থাকবেন।
এই ব্যাপারে কিছু হাদিস দেখা যাক।
সহিহ মুসলিম, বই ১, হাদিস ১৮৭:
আবু বুরদা বলেছেন যে আবু মুসা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে আসলো ও উচ্চরবে বিলাপ আরম্ভ করল। যখন আবু মুসা ধাতস্থ হলেন তখন বললেন: তুমি কি জান না? আমি হলপ করে বলছি যে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে কেউ কারও অসুস্থতায় মস্তক মুণ্ডন করবে, উচ্চরবে কান্নাকাটি করবে ও পোশাক ছিঁড়ে ফেলবে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।“
সুনান আবু দাঊদ, বই ১, হাদিস ০১৮৮:
আবু হুরায়রা বর্ণনা করলেন:
আল্লাহর সৃষ্ট মহিলাদেরকে মসজিদ যেতে বাধা দিবে না। তবে তাদেরকে মসজিদে যেতে হবে সুগন্ধি না মেখে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে নবীজি পুরুষদেরকে সুপারিশ করেছেন তারা মসজিদে যাবার সময় যেন সুগন্ধি মেখে নেয়। দেখা যাচ্ছে একজন সুন্দরী তরুণী যার আছে আকর্ষণীয় দেহ সে ইসলামে এক বিষম বিড়ম্বনার পাত্র। তাকে নিয়ে কি করা? মহিলা যদি বৃদ্ধা, অসুন্দর, ও কুৎসিত দেহের অধিকারী হয় তবে ইসলামে তার স্থান অনেক উঁচুতে।
দেখা যাক আরও দুই একটি হাদিস।
মালিকের মুয়াত্তা, হাদিস ৫৩.১.২:
ইয়াহিয়া—মালিক—ওহাব ইবনে কায়সান থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
মোহাম্মদ ইবনে আমর বলেছেন: “আমি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের সাথে বসেছিলাম। এক ইয়ামানি ব্যক্তি এসে গেল। সে বলল: ‘ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু। এরপর ব্যক্তিটি আরও কিছু বলল। ইবনে আব্বাস (তখন তিনি অন্ধ ছিলেন) জিজ্ঞাসা করলেন: “ব্যক্তিটি কে?” উপস্থিত যারা ছিল তারা বলল: “এ হচ্ছে এক ইয়ামানি ব্যক্তি”। এরপর তারা তার পরিচয় জানিয়ে দিল। ইবনে আব্বাস বললেন: শুভেচ্ছার শেষ শব্দ হচ্ছে—আশীর্বাদ”।
ইয়াহিয়া তখন মালিককে জিজ্ঞাসা করলেন: “আমরা কি মহিলাদেরকে শুভেচ্ছা বা সম্ভাষণ জানাতে পারি?” তিনি উত্তর দিলেন: “এক বৃদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানাতে অসুবিধা নাই। তবে এক তরুণীকে আমি শুভেচ্ছা জানাই না।“

Bukharian not follow Quran .Saitya

যারা বুখারি-মুসলিমদের হাদিস মানেন তাদের কথা-
রাসূল কুরআন মানেন নি, তাই আমরাও কুরআন মানি না, মানব না।

প্রমাণ-
১. আর রাহমান, তিনিই (আল্লাহই) শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন (সূরা-৫৫, রাহমান, আয়াতঃ ২-৩।

উক্ত আয়াত অমান্য করে রাসূল মানুষকে কুরআন শিক্ষা না দিয়ে বুখারি-মুসলিমদের হাদিস শিক্ষা দিয়েছেন।

২.. ‘আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেই সকল নামেই ডাকবে; যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করবে; তাদের কৃতকর্মের ফল দেওয়া হবে (৭:১৮০); সূরা-৭, আ‘রাফ, আয়াত-১৮০।

বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ’ (নামে) ডাক বা ‘রাহমান’ (নামে) ডাক, তোমরা যে নামেই ডাক সকল সুন্দর নামই তো তাঁর (১৭:১১০); সূরা-১৭, বনী ইসলাঈল, আয়াত-১১০।

রাসূল আল্লাহর উক্ত নির্দেশ অমান্য করে ‘আল্লাহ’ (নামে) না ডেকে সম্রাট আকবারের নাম যুক্ত করে বলেন-
‘আল্লাহু আকবার’। আযানে ‘আল্লাহু আকবার’, সালাতে ‘আল্লাহু আকবার’ গরু-ছাগল যবেহ করার সময় ‘আল্লাহু আকবার’। আবার মানুষ হত্যা করে তাও ‘আল্লাহু আকবার’ বলে।

৩. কুরআন পাঠের আগে আল্লাহ বলতে বলেন (১৬:৯৮) বল,
‘রাব্বি আঊযূবিকা মিন হামাযাতিশ্ শাইয়াতীন, ওয়া আঊযূবিকা রাব্বি আয়ইয়াহ্ দূরূন।
(আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে, আমার রব! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতে) সূরা-২৩, মু‘মিনুন, আয়াতঃ ৯৭-৯৮।

রাসূল কুরআন পাঠের আগে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য বলেন-
‘আঊযূবিল্লাহি-মিনাশ্-শায়তানির- রাযীম।
(আমি আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই বিতাড়িত শয়তান হতে)-মেশকাত-৫/২৩০৬।

..

৪. যারা আমার (আল্লাহর) আয়াতসমূহে ঈমান আনে তারা যখন তোমার (রাসূলের) নিকট আসে তখন তুমি (মুহাম্মাদ) তাদেরকে বল,
‘সালামুন আলাইকুম (সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত-৫৪)।

রাসূল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে সালামের প্রত্যাশী ছিলেন-
‘রাসূলের কাছে কেউ আসলে তিনি তাকে বলতেন, চলে যাও এবং এসে বল, ‘আস্সালামু আলাইকুম’ (তিরমিযি ও আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৯/৪৪৬৬।

৫. সালাত পড়ার সময় আল্লাহ রাসূলকে বললেন-
‘তোমার সালাতের স্বর উচ্চ করও না এবং অতিশয় ক্ষীণও করও না; এ দুইয়ের মধ্যপথ অবলম্বণ কর (সূরা-১৭, বনী ইসরাঈল, আয়াত-১১০)।

রাসূল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা দিলেন-
তোমরা সালাতে স্বর উচ্চ কর, নিরব কর, মধ্যম কর। মহিলারা মনে মনে পড় (প্রমাণ- কাবাসহ বিশ্বের সকল মসজিদে বা অন্য স্থানে যারা সালাত পড়ে।]

৬. আল্লাহ বলেন, ‘অপর কতক লোকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকর্মের সাথে অপর অসৎকর্ম মিশ্রিত করেছে। … … … তাদের সম্পদ হতে সদকা গ্রহণ কর।
… … তাদের জন্য দু’আ কর। (সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-১০৩)।

রাসূল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে সদকা আদায়-বন্টন না করে দু‘আ শিক্ষা দিলেন-
রাত্রের শেষার্ধের মধ্য ভাগের দু’আ এবং ফরয সালাতের পরের দু’আ দ্রুত কবূল হয় (তিরমিযি);-৩/১১৬৩।

৭. আল্লাহ বলেন,
ক. ‘হে মু’মিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভূমি হতে তোমাদের জন্য উৎপাদন করে দেই তার মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় (যাকাত-সদকা) কর (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৬৭)।
খ. ফসল কর্তনের দিন তার হক (যাকাত-সদকা) প্রদান কর (সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত-১৪১)।

রাসূল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে বলে দিলেন-
যে ব্যক্তি কোন মাল লাভ করেছে তার সে মালে যাকাত দেয় হবে না যাবৎ না তার প্রতি বর্ষ গোজরিয়া যায় (তিরমিযি);-মেশকাত-৪/১৬৯৫।

৮. আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই সদ্কাসমূহ ১. ফকির, ২. মিসকিন, ৩. আমেল, ৪. মন জয়ে, ৫. দাস মুক্তি, ৬. ঋণ মুক্তি, ৭. আল্লাহর পথে ও ৮. পথিকদের জন্য। এ আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ (সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-৬০)।

রাসূল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে বলে দিলেন-
ক. আত্মীয়দের সদ্কা করার সম্পর্কে রাসূল বলেন, ‘তাদের জন্য দুইগুণ সওয়াব রয়েছে, আত্মীয়তার সওয়াব এবং সদ্কার সওয়াব (মেশকাত-৪/১৮৩৮)। ‘
খ. কোন সদ্কা শ্রেষ্ঠ তা জিজ্ঞাসা করায় রাসূল বলেন, গরীবের কষ্টের সদ্কা, এবং তুমি তোমার সদ্কা আরম্ভ করবে তোমাদের পোষ্যদের ধরে (আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৪/১৮৪২। ‘
গ. গরীবের প্রতি সদ্কা করা হলো শুধু সদ্কা আর আত্মীয়ের প্রতি সদ্কা করা হলো সদ্কা ও আত্মীয়তা রক্ষা উভয়ই (আহমদ, তিরমিযি, নাসাঈ, ইবনু মাযাহ ও দারেমী);-মেশকাত-৪/১৮৪৩।

আল্লাহর নির্দেশ অমান্য হাজার হাজার হাদিসের মধ্য থেকে ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থের সংকলন।

‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থে দেখানো হয়েছে বিশ্বের মুসলিমদের সকল বিশ্বাস ও ধর্মানুষ্ঠান কুরাআন বিরোধী।
বই¬টি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

.

Source

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1994321230822030&id=1649306628656827

The Burden of Hadith

By aryan khan fbfd

The Burden of Hadith
——————————

তারা বলে হাদিস ছাড়া কুরআন অচল ।

১ খন্ডের কুরআনকে বুঝতে তারা অক্ষম । তাদের কাছে কোরআন দুর্বোধ্য , কঠিন , অসাড় ।

তারা ডজন কে ডজন খন্ডের হাদিস কিতাব রচনা করেছে এই কুরআন কে বোঝার জন্য ।

তাতেও কি তাদের কুরআন বুঝা হয়েছে ?
তারা তাও অতৃপ্ত ।

তারা হাদিস ব্যাখ্যা করার জন্য হাজার হাজার পাতার শরহে কিতাব রচনা করেছে ।

ইসলাম কি এবার তারা জেনে গেছে ?

না ! এখনো তারা অতৃপ্ত ।

এই হাদিসের অনুসারীরা ইসলামকে দল , মারজা , ফিরকা , মাজহাবে শত শত ভাগে টুকরো করে ফেলেছে । একেক জনের কাছে ইসলাম একেক রঙের । হানাফি , শাফি , মালিকি , হাম্বলি , সালাফি , জাফরি , ইসমাইলি , জাইদি ….. এ যেন এক দাবার ছক । কে জিতবে আর কে হারবে – তাঁর রক্তক্ষয় যুদ্ধ হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস ।

অভাব , অশিক্ষা , দুর্নিতি , মারামারি , হানানহানি, অমানবতা, নারী নির্যাতন, মহামারী , অসুখ-বালা এই সমস্ত জাতির ভাগ্য । দাস দাসীর মতো তারা হিন্দু , খ্রিস্টান , ইহুদী এই সমস্ত অবিশ্বাসী জাতির কাছে নিষ্পেষিত , অত্যাচারিত ।

কোথায় তাদের আল্লাহ্‌ ?

আল্লাহ্‌ তো আল্লাহর জায়গাতেই আছেন , কিন্তু কেন আল্লাহ্‌ তাদের উপর নারাজ ?

ইহুদী নয় খ্রিষ্টান নয় বরং তারাই প্রথম আল্লহার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেয় । আল্লাহ্‌ মানব জাতির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেনঃ

“….অতএব, তারা যদি সত্যবাদী হয় তবে তার অনুরূপ হাদিস(بِحَدِيثٍ مِثْلِهِ) নিয়ে আসুক। ” (৫২:৩৪ )

মহান আল্লাহর দাবি যে কোরআনই হচ্ছে একমাত্র বিশুদ্ধ হাদিস (৪:৮৭, ৩৯:২৩, ১২:১১১ ) আর মানব রচিত হাদিসগুলো ভ্রান্ত (১২:১১১, ৪৫:৬, ৩১:০৬) ।

সুন্নিরা যারা পৃথিবীর ৯০% মুসলিম জনসংখ্যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তারা দাবি করে যে কুরআন ছাড়াও তাদের কাছে আরো ২ টি কিতাব আছে যা কুরআনের মতোই ১০০% বিশুদ্ধ – আর তা হলো সহিহ বুখারি আর সহিহ মুসলিম ।

মহান আল্লাহ্‌ বলেন = কুরানই একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিশুদ্ধ হাদিস । মানব রচিত যে কোন হাদিস পরিত্যাজ্য ।

সুন্নিরা বলে = বুখারি আর মুসলিম ১০০ % বিশুদ্ধ কিতাব । মানব রচিত হাদিস ছাড়া আল্লাহর কোরআন এর কোন দাম নেই । হাদিস ছাড়া কোরআন অর্থহীন , অসাড় ।

মহান আল্লাহ্‌ বনাম সুন্নি/শিয়া !!

কে জিতবে বলে আপনাদের মনে হয় ?

যেদিন থেকে এই সুন্নি শিয়ারা তাদের মানব রচিত হাদিসের কাছে ইসলামকে বেচে দিয়েছে সেই দিন থেকে মহান শাস্তি দাতা আল্লাহর রোষানলে তারা পতিত হয়েছে ।

তাদের সামনে তো মহান আল্লাহর এই ভয়ঙ্কর সাবধানবানী ছিল , তারা কেন তা দেখল না ?

“মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসাড় হাদিস (لَهْوَ الْحَدِيثِ) ক্রয় করে এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে, তাদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।

আর তার কাছে যখন আমার আয়াতসমূহ (آيَاتُنَا) পাঠ করা হয় তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে শুনতে পায়নি, তার দু’কানে যেন বধিরতা; সুতরাং তাকে যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।” (৩১:৬-৭)

মহান আল্লাহ্‌ তাঁর কোরআনের আয়াত কে অবজ্ঞা করে মানব রচিত হাদিসের দিকে যারা ছুটে যাবে তাদের জন্য শাস্তির ওয়াদা করেছেন । এই আয়াত তো দিবালোকের মতো স্পষ্ট , তাঁর পরেও কেন তারা বুঝেনা ??

মহান আল্লাহর ব্যাথাময় আকুতি দিয়ে এই পোষ্টের ইতি টানলামঃ

“আমিতো তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি কিতাব যাতে আছে তোমাদেরই স্মরণ রয়েছে , তবুও কি তোমরা বুঝবেনা ?” (২১:১০)

কথিত আহলে হাদীসের শিরকি আকিদাঃ আহলে হাদীস Vs আহলে কিতাব

By masum ali fbfd

কথিত আহলে হাদীসের শিরকি আকিদাঃ আহলে হাদীস Vs আহলে কিতাব:
——————————-
কথিত আহলে হাদীসগণ রাজতন্ত্রের পূঁজারী পক্ষান্তরে গণতন্ত্রের বিরোধী। গণতান্ত্রিক পন্থায় যারা ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করে তাগুতের প্রভুত্ব খতম করে সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর আইন কার্যকর করতে চায় তাদের ঘোর বিরোধী আহলে হাদীস। ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে গণতন্ত্রের বিরোধী হলেও তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত তাগুত সরকারের বিরোধীতা করে না, যদিও সেই সরকার আল্লাহর আইন পরিত্যাগ করে নিজের মনমত আইন তৈরি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। বরং তারা শাসকের আনুগত্য করাকে ফরজ বলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তাদের আনুগত্য করে, যারা হারাম কে হালাল এবং হালাল কে হারামে পরিণত করে। আর এটাই হলো তাদের শিরকি আকিদা।
.
কারণ কোন বাছ-বিচার না করে, নিঃশর্তে এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আনুগত্য- এটি একটি ইবাদত। আর এই আনুগত্য একমাত্র মহান আল্লাহরই নিমিত্ত। অন্য কাউকে এরূপ আনুগত্য করলে শিরক বলে গণ্য হবে। হযরত মূসা )আ( ও হারুন )আ( কে আল্লাহ তা’য়ালা ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের নিটক দাওয়াত দেওয়ার জন্য পাঠালে-
.
فَقَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ لِبَشَرَيْنِ مِثْلِنَا وَقَوْمُهُمَا لَنَا عَٰبِدُونَ
.
তারা বলল, ‘আমরা কি আমাদেরই মত দু’জন লোকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব? অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদের ইবাদতকারী )দাসত্বকারী(।
)সূরা মু’মিনীনঃ৪৭(
এখান عَٰبِدُونَ বলতে পূঁজা বা উপাসনাকে বুঝানো হয়নি বরং আনুগত্য করাকে বুঝানো হয়েছে। কেননা, মূসা )আ( এর সম্প্রদায়ের লোকজন ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের কোন বাছ-বিচার না করে, নিঃশর্তে এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আনুগত্য করতো, যে আনুগত্য ইবাদতে পরিণত হয়েছিল। যার কারণে আল্লাহ عَٰبِدُونَ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
.
হাদীসে ইরশাদ হয়েছে:
.
عَنْ أُمِّ حُصَيْنٍ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم لاَ طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ في مَعْصِيَةِ الخَالِقِ
.
“উম্মে হুসাইন )রা:( থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ )সা:( ইরশাদ করেছেন: স্রষ্টাকে অমান্য করে সৃষ্টিজগতের কারো আনুগত্য চলবে না”। )জামেউল আহাদীস: হা: ১৩৪০৫, মুয়াত্তা: হা: ১০, মু’জামূল কাবীর: হা: ৩৮১, মুসনাদে শিহাব: হা: ৮৭৩ আবি শাইবা: হা: ৩৩৭১৭, কানযুল উম্মাল: হা: ১৪৮৭৫।(
স্রষ্টাকে অমান্য করে কোন সৃষ্টির আনুগত্য করা হারাম। আর এই হারাম আনুগত্যকে কেউ যদি ফরজ বা আবশ্যিক তো দূরের কথা জায়েয হিসাবে পালন করে তাহলে সেই আনুগত্য হবে শিরক।
.
মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ
.
وَلَا تَأْكُلُوا۟ مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ ٱسْمُ ٱللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسْقٌۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوْلِيَآئِهِمْ لِيُجَٰدِلُوكُمْۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْإِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ
.
যাতে )যবহ করার সময়( আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তা তোমরা মোটেই খাবে না, তা হচ্ছে পাপাচার, শয়তান তার বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে বিবাদ করার জন্য প্ররোচিত করে; যদি তোমরা তাদের কথা মান্য করে চল তাহলে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হয়ে যাবে।
)সূরা আনআমঃ১২১(
এখানে কাফেরদের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আনুগত্য করাকে শিরক বলা হয়েছে। অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনঃ
.
ٱتَّخَذُوٓا۟ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَٰنَهُمْأَرْبَابًا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلْمَسِيحَ ٱبْنَ مَرْيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓا۟ إِلَّا لِيَعْبُدُوٓا۟ إِلَٰهًا وَٰحِدًاۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبْحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشْرِكُونَ
.
তারা )আহলে কিতাবরা( আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের পন্ডিত ও ধর্ম যাজকদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে এবং মারইয়ামের পুত্র মসীহকেও। অথচ তাদের প্রতি শুধু এই আদেশ করা হয়েছে যে, তারা শুধুমাত্র এক মা‘বূদের ইবাদাত )দাসত্ব( করবে যিনি ব্যতীত ইলাহ হওয়ার যোগ্য কেহই নয়। তিনি তাদের অংশী স্থির করা হতে পবিত্র।
)সূরা তওবাঃ৩১(ইহুদী-খ্রিষ্টানরা আল্লাহ কে পরিত্যাগ করে তাঁর বান্দাদেরকে রব হিসাবে গ্রহণ করায় আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ
.
قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ تَعَالَوْا۟ إِلَىٰ كَلِمَةٍ سَوَآءٍۭ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِۦ شَيْـًٔا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِّن دُونِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَقُولُوا۟ ٱشْهَدُوا۟ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ
.
)হে নবী( বলুন, হে আহলে কিতাব! এসো সে কথায় যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সুসাদৃশ্য রয়েছে। )তা হলো( আমরা যেন, আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদাত )দাসত্ব( না করি এবং তাঁর সাথে কোন অংশী স্থির না করি এবং আল্লাহকে পরিত্যাগ করে আমরা পরস্পর কেহকে রব রূপে গ্রহণ না করি। অতঃপর যদি তারা ফিরে যায় তাহলে বলঃ সাক্ষী থেকো যে, আমরা মুসলিম )আল্লাহর নিকট আত্মসমপর্নকারী(
)সূরা আলি ইমরানঃ৬৪(
.
আহলে কিতাবরা যেমন আনুগত্যের ব্যাপারে তাদের তাগুতপন্থী ধর্মযাজক ও সমাজপতিদের রব হিসােব গ্রহণ করত ঠিক তেমনি আহলে হাদীসরা তাদের তাগুতপন্থী শাসকের আনুগত্য করা ফরজ বলে মেনে নিয়ে তাদের রব হিসাবে গ্রহণ করেছে। আর রাসূলুল্লাহ )সা( এর ভাষায় فتلك عبادتهم. এই আনুগত্যই হলো তাদের ইবাদত, যা সুস্পষ্ট শিরক। এজন্য আল্লাহ তা’য়ালা আহলে কিতাবদের যা বলতে বলেছেন আমরা আহলে হাদীসদেরও সে কথায় বলব:
.
হে আহলে হাদীস! এসো সেই বিষয়ে যা আমাদের ও তোমার মধ্যে সুসাদৃশ্য রয়েছে। )তা হলো( আমরা যেন, আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদত না করি এবং তাঁর সাথে কোন অংশী স্থির না করি এবং আল্লাহকে পরিত্যাগ করে )আল্লাহর নাফরমানী মূলক কোন কাজে কারো আনুগত্য করা ফরজ বলে( আমরা পরস্পর কেহকে রব রূপে গ্রহণ না করি। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরাও তাহলে বলব: তোমরা সাক্ষী থেকো যে, আমরা মুসলিম, আল্লাহর নিকট আত্মসমপর্নকারী।)তাই আল্লাহর নাফরমানী মূলক কোন কাজে আনুগত্য করাকে আমরা ফরজ তো দূরের কথা জায়েয বা বৈধ বলে মনে করি না এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে রব হিসাবে গ্রহণ করি না।

.

Comment

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=436273733473927&id=100012739129179

Criticize to Bukhari

By AA MAMUN fbfd

(A) –

নবীর মৃত্যুর তিনশত বছর পর এত লক্ষ লক্ষ জাল হাদীসের ভীড়ে সত্য হাদীস বের করাটা প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। তবে ঈমাম বুখারী সত্য হাদীস নির্ণয় করার একটা উপায় বের করলেন। তিনি শুধু সত্যবাদী লোকদের কাছ থেকেই হাদীস সংগ্রহ করা শুরু করলেন যারা কিনা আবার পূর্ব বা বর্তমান প্রজন্মের অন্য কোন সত্যবাদী লোকের কাছ থেকেই হাদীসটি শুনেছিলেন। এমনি করে ঈমাম বুখারী প্রায় ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেছিলেন যেগুলো যাচাই বাছাই করে এক লক্ষ সহিহ হাদীসে নামিয়ে এনেছিলেন আর মুখস্থ করেছিলেন। এই এক লক্ষ সত্য হাদীসের মাঝে মাত্র ছয় হাজার হাদীস তিনি তার বুখারী হাদীস গ্রন্থে লিখেছিলেন। বাকিগুলো তিনি সময় স্বল্পতা বা অন্য কোন কারণে লিখে যেতে পারেননি। এই সেই বুখারী হাদীস গ্রন্থ যা প্রায় শতভাগ সহিহ বলে বর্তমান আলেম সমাজ প্রচারণা করে।
লক্ষ লক্ষ জাল হাদীসের জঞ্জাল থেকে ইমাম বুখারী যে সত্য হাদীস যাচাই করে সংকলণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা অবশ্যই প্রসংসার দাবীদার। ইমাম বুখারীর হাদীস যাচাই বাছাই এর পদ্ধতি নাকি এতটাই কঠোর ছিল যে একটি মাত্র জাল হাদীসও সেখানে ঢুকে পরার কোন সুযোগ ছিলনা। মোহাবিষ্ট মুসলিম এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি জানলে আসলেই আর বুখারী শরীফের হাদীস নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবেনা। তাই এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমরা সেই পদ্ধতির ফলাফল নিয়ে আলোচনা করলে মোহাবিষ্ট মুসলিমের মোহ কাটতে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। একজন সাধারণ মুসলিমকে যখন একটি হাদীস শুনানো হয় সে স্বাভাবিক ভাবেই সেটি ভক্তি সহকারে বিশ্বাস করে নেয়। তবে অনেকে আছেন যারা হাদীসটি শুনার পর জানতে চাইবে যে এটা বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কিনা। বুখারী/মুসলিম এর হাদীস হলে তারা সেটা বিশ্বাস করে নেয়, আর অন্য গ্রন্থের হাদীস হলে তারা কিছুটা হলেও সন্দেহ পোষণ করে বলে যে এটা শতভাগ সহিহ নাও হতে পারে। তারা মূলত আলেমদের প্রোপাগান্ডার কারণেই এমন কথা বলেন। কারণ আল্লাহ বা নবী কোথাও বলে দেননি যে শুধু বুখারী/মুসলিম হাদীস হলেই শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে। বুখারী/মুসলিম হাদীসগ্রন্থগুলো নিয়ে এই আলেমদের প্রচারণাগুলো নিম্নরুপঃ

১) ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম কখনো কোন দূর্বল বর্ণনাকারীর কাছ থেকে হাদীস সংগ্রহ করেন নাই।

২) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন বুখারী/মুসলিম শরীফের একটি হাদীসের প্রতিও কোন অভিযোগ করেন নাই।

৩) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন ইমাম বুখারী বা ইমাম মুসলিম এর ভুল হয়েছে এমন সমালোচনা করেন নাই।

মূলত উপরের একটি দাবীও সত্য নয়। ইমাম শাখাবি তার ফাথ-উল-মুঘিস গ্রন্থের ”ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম” অধ্যায়ে লিখেছেন যে বুখারী গ্রন্থের ৪৩৫ হাদীস বর্ণনাকারীর মাঝে ৮০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। আর মুসলিম শরীফের ৬২০ বর্ণনাকারীর মাঝে ১৬০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিরাট বড় এক হাদীস স্কলার ও আলেমের সাথে পরিচিত হওয়া যাক। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী। বুখারী শরীফের সবচেয়ে বড় ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাথ-উল-বারী এর রচয়িতা। আমরা বর্তমানে যে আধুনিক ১০ খন্ডের বুখারী শরীফ দেখি সেটি মূলত এই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থ থেকেই ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাগুলো বাদ দিয়ে সংকলণ করা হয়েছে। অর্থাত আধুনিক বুখারী শরীফের উতস হচ্ছে ইমাম আসকালানী। ফাথ-উল-বারী গ্রন্থটি এতই বিশালাকার যে এখনো এর ইংরেজী অনুবাদ করা হয়ে উঠেনি। তবে মুল আরবী গ্রন্থটি অনলাইনে পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইমাম আসকালানী নিজেই সেই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে ইমাম বুখারীর অনেক হাদীসের সমালোচনা করেছেন। ইমাম আসকালানী ছাড়াও অন্য অনেক প্রক্ষাত আলেম যেমন ইমাম গাজ্জালীও বুখারী শরীফের হাদীসের সমালোচনা করেছেন। তাই বুখারী/মুসলিম গ্রন্থ নিয়ে আলেমদের বর্তমান অসত্য দাবীগুলো যে আমাদের সাধারণ মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হবার সময় এসেছে।

.

(B)-

অনেকগুলো হাদীসের মধ্য থেকে উদাহরণ হিসেবে কিছু হাদীস তুলে ধরা প্রয়োজন যেখানে স্কলারগণ ইমাম বুখারী ও তার সংকলিত হাদীসের সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য ইমাম আসকালানীর মূল গ্রন্থ পড়লে এমন আরও অনেক জাল হাদীস পাওয়া যাবে বুখারী গ্রন্থে। এর বাইরে তো বৈজ্ঞানিক ও কমন সেন্সের ভিত্তিতে ভুল হাদীসের অভাব নেই বুখারী শরীফে। তবে এই পোস্টের উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীকে হেয় প্রতিপন্ন করা নয়, বরং এটাই বুঝানো যে ভুল সবারই হতে পারে, বুখারীর হাদীস বলেই চোখ বুজে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

১) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শারিক হযরত আনাস হতে রাসূলের মিরাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাযিল হবার পূর্বে রাসূল (সা) কাবা গৃহে নিদ্রারত ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখলেন তিনিজন ফেরেশতা তার নিকট এসে তার সম্মানের ব্যাপারে কথা বলে চলে গেলেন। দ্বিতীয় রাত্রিতেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু তৃতীয় রাত্রিতে স্বয়ং রাসূলকেই (সা) মিরাজে নিয়ে যাওয়া হল।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসের বক্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সকলেই জানে যে রাসূল (সা) মিরাজে গিয়েছিলেন নবুয়ত প্রাপ্তির পর এবং মদিনায় হিযরত এর পূর্বে।

২) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমানের মৃত্যুর পর বদর যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না। এবং হাররার যুদ্ধের পর হুদায়বিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না।

ইমামা আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন হাদীসটি মিথ্যা। হযরত আলী সহ অনেক বদর যোদ্ধাই উসমানের মৃত্যুর পর জীবিত ছিলেন। হাদীসটির ২য় অংশটাও ভুল।

৩) বুখারী শরীফের তাফসির অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শেষ বিচারের দিন যখন হযরত ইবরাহিম তার পিতাকে দেখবেন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করবেন, ” তুমি আমার কাছে ওয়াদা করেছিলে যে শেষ বিচারের দিন তুমি আমাকে দুঃখিত করবেনা।” আল্লাহ উত্তরে বলবেন, ” অবিশ্বাসীদের জন্য আমি জান্নাত নিষিদ্ধ করেছি।”

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি ভুল। কেননা এটি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে যখন হযরত ইবরাহিম জেনেছিলেন যে তার পিতা আল্লাহর শত্রু তখন থেকেই তিনি পিতার জন্য দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া এই হাদীস পড়লে মনে হয় যে আল্লাহ ওয়াদা করে সেই ওয়াদা রক্ষা করেন নাই।

৪) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বর্ণনা করেন যে নবী (সা) বলেছেন, বিচার দিবসে যখন আল্লাহ দোজখীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তখন জাহান্নাম বলবে আরও দাও। তখন আল্লাহ এক নতুন জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম আবারো বলবে আমি আরও চাই। তখন আল্লাহ আরও একটি জাতি সৃষ্টি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাতেও জাহান্নাম পূর্ণ হবেনা। তখন আল্লাহ নিজের পা জাহান্নামের উপর রাখলে জাহান্নাম পূর্ণ হবে।

ইমাম আসকালানী ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে এবং হাফিজ ইবনে কাইয়াম, আবুল হাসান কুছবি এবং অন্যান্য হাদীস পন্ডিতগণ বলেছেনঃ এই হাদীসটি জাল, কারণ উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে যে আল্লাহ নতুন এক জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন। এই হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী নতুন সৃষ্ট জাতি পাপ করার সুযোগই পাবেননা, তো আল্লাহ কিভাবে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরানে আরও ঘোষনা দেন যে তিনি কারও উপর অবিচার/জুলুম করবেননা? (সূরা কাহফ-৪৯)। এছাড়া আল্লাহ তায়ালা কোরানে নিজেই বলেছেন তিনি দোজখ পূর্ণ করবেন শয়তানের অনুসারী দ্বারা (সূরা ছোয়াদ-৮৫)।

৫) বুখারী শরীফের আম্বিয়া অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত আদম ষাট ফুট লম্বা ছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি বিশ্বাসযোগ্য না, হাদীসটি সত্য হলে পূর্বের জাতিগুলোর বাড়িঘর আমাদের চাইতে বড় হত কিন্তু বাস্তবে তেমনটি দেখা যায়না।

৬) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু মুসা বলেছেন যে আমাদের রাসূল খয়বরের দিকে যাচ্ছিলেন। তার পিছনের লোকেরা জোড়ে আল্লাহু আকবর বলে চিতকার করছিলেন। রাসূল তখন তাদেরকে চিতকার করতে নিষেধ করে স্বাভাবিক আওয়াজে আল্লাহু আকবর বলতে বলেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এটি সত্য হতে পারেনা। বুখারীরই অন্য হাদীসে আছে যে আবু মুসা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বর যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর।

৭) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত, খয়বরের যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে এক ব্যক্তি খুব সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিল, আমাদের রাসূল (সা) বলেছিলেন সে জাহান্নামে যাবে।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি পড়লে মনে হয় আবু হুরায়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আবু হুরায়রা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বরের যুদ্ধের পর। ইমাম বুখারী এই হাদীসটি লিখার সময় নিশ্চই পূর্ণ মনোযোগী ছিলেননা।

৮) বুখারী শরীফের মাযুকিরা ফিল আসওয়াক অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বলেছেন-”আমি আল্লাহর নবীর সাথে বনু কাইনুকার বাজারে গিয়েছিলাম এবং তিনি সেথায় ফাতিমার বাগানে বসেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসে বেশ কিছু শব্দ মিসিং হয়েছে। কারণ বনু কাইনুকায় ফাতিমার কোন বাড়ি/বাগান ছিলনা। মুসলিমের হাদীস থেকে সেই শব্দগুলো অবশ্য পাওয়া যায়। মুসলিমের হাদীসে আছে প্রথমে বনু কাইনুকায় গিয়ে পরবর্তীতে নবী ফাতিমার বাগানে গিয়েছিলেন। ফাতিমার বাড়িটি ছিল নবীর স্ত্রীদের বাড়িগুলোর মাঝামাঝি।

৯) বুখারী শরীফের যাকাত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেন যেঃ নবীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের মাঝে উম্মুল মুমীনিন সাওদা-ই সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে ইমাম বুখারী ভুল বলেছেন, কেননা সাওদা নয় উম্মুল মুমীনিন জয়নাব সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন। ইমাম ইবনে জাযি বলেছেন এটা খুব অবাক করা ব্যাপার যে ইমাম বুখারী এটা লিখেছেন, কারণ এই তথ্যটি ভুল। এছাড়া ইমাম নববী এই হাদীসটি ভুল বলেছেন।

১০) বুখারী শরীফের জানাইজ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ নবীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা শুনেছিলেন যে তার বাবা সিরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সকল স্কলারগণই একমত যে উম্মে হাবিবার পিতা মদিনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইমাম বুখারী ভুল করেছেন।

১১) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ খাবাইব বিন আদ্দি বদর যুদ্ধে হারিসকে হত্যা করেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন যে বেশীরভাগ স্কলার একমত যে খাবাইব বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণই করেন নাই।

১২) বুখারী শরীফের ফাযায়েল উল উসমান অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমান এক ব্যক্তিকে আশি বার চাবুক মেরেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই তথ্যটি সঠিক নয়

এভাবে উদাহরণ দেয়া চালিয়ে গেলে পোস্টে জায়গা সংকুলান হবেনা। এতো গেলো ঐতিহাসিক সত্যতার ভিত্তিতে ইমাম বুখারীর ভুল ধরা, কিন্তু আফসোসের বিষয় যে ইমাম আসকালানী অন্যান্য বিষয়ে তার ভুলগুলোর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। অথচ বৈজ্ঞানি, কমনসেন্স, নবীর প্রতি সম্মান ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই ইমাম বুখারীর ভুলের কোন শেষ ছিলনা। বুখারীর এমন অনেক হাদীস আছে যা পড়লে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। যাই হোক, এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা অন্তত এইটুকু জানলাম যে বুখারী শরীফ শতভাগ সত্য ও গ্রহণযোগ্য বলে আলেমরা যে কথা প্রচার করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি প্রচারণা। সাধারণ মুসলমানের মনের সরলতার সুযোগ নিয়েই আলেমগণ এমন প্রচারণা করে থাকেন। ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলন ও যাচাই বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রচারণার কারণে মোহাবিষ্ট মুসলিম বুঝতেই পারেনা যে এই পদ্ধতি কতটা ত্রুটিপূর্ণ ও ফাকি দেয়া, বরং মোহের কারণে এই পদ্ধতি দেখেই তারা ভেবে নেয় যে কত নিখুত এই বুখারী শরীফ। পরের পর্বে ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলনের পদ্ধতির মোহ ও ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বুখারী লেখা হল রাসুলের মৃত্যুর আড়াইশ বছর পরে ! এইটা কি করে সম্ভব

by tuhin faruqe fbfd 

কুরআনে লেখা আছে “আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলকে অনুসরণ কর” ; আর সেই অনুসরণের বই লেখা হল রাসুলের মৃত্যুর আড়াইশ বছর পরে ! এইটা কি করে সম্ভব,এমনটা কেমন করে হবে ? কুরআন থাকার পরেও,ঈমান থাকার পরেও রাসুলের অনুসরণের বই না থাকার কারণে সব মানুষ দোজখে চলে যাবে আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বই লেখা হবে রাসুলের মৃত্যুর আড়াইশ বছর পরে ? 
##এক জন মুসলমান হিসেবে এটা আমি কেমন করে মানি ? যে রাসুল দ্বায়ীত্ব-ই নিয়ে এসেছিলেন মানুষকে কি করতে হবে আর কি করতে হবে না তা পূর্ণাঙ্গ ভাবে জানিয়ে যাবার জন্য, সে ই রাসুল সে বই নিজে বা নিজের তত্ববধানে না লিখে চলে গেলেন আর তার মৃত্যুর আড়াইশ বছর পরে সে বই লেখা হল ; আর তাও লিখলো কোথাকার কে বা কারা !! 
##এ বই যদি আমি স্বীকার-ই করে নেই তবেতো প্রকারন্তরে এ কথাই স্বীকার করে নিলাম রাসুলের আগমন,কুরআন নাযীল সবই বৃথা,কারণ হাদিসের এই লেখকেরা হাদিসের বই না লিখলে কুরআন পড়েও মানুষ দোজখে চলে যেতো রাসুলকে যথাযথ ভাবে অনুসরণ কারতে না পারার কারণে।আমি আমার আল্লাহকে,আমার রাসুলকে এমন অদূরদর্শী ভাবি না।

বরং রাসুলের জীবিত দশায়,রাসুলের উপস্হিতিতে,রাসুলের তত্বাবধানে লেখা হয়েছে রাসুলের অনুসরণের বই “আল কুরআন” ! শুধু চোখে ছানি পরে আছে বলে দেখতে পাও না। চোখের ছানি কেটে ফেল,দেখবে সব দেখতে পাও এবং খুব পরিস্কার !

##কপি (Parvez Khasru)

.

Comments link :- 

https://m.facebook.com/groups/1805246912824708?view=permalink&id=1991675557515175

কুরআন ও কুরআনের সাথে যে সকল হাদিসের মিল আছে তা মানবেন

২. কুরআন ও মানব রচিত মুসলিমে ‘সকল সমস্যার সমাধান আছে কুরআনে

কুরআনে দেখুন, ‘কিতাবে কিছুই আমি বাদ দেইনি (৬:৩৮)। ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অণু পরিমাণও তোমার রবের অগোচর নয় এবং তা অপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহত্তর কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই (১০:৬১; ৩৪:৩)। ‘সুস্পষ্ট কিতাবে সব কিছুই আছে (১১:৬)। ‘আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন রহস্য নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই (২৭:৭৫)। ‘আমি তো মানুষের জন্য এ কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়েছি (১৭:৮৯; ১৮:৫৪; ৩৯:২৭)। [দীনের সকল বিষয়ই কুরআনে থাকলে দীন ইসলামকে বোঝার জন্য অন্য গ্রন্থের প্রয়োজন আছে কি?]
মুসলিমে দেখুন ‘‘কুরআন হলো তোমার পক্ষে বা বিপক্ষে প্রমাণ (মেশ্কাত-২/২৬২)। ‘কিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে কুরআন এবং তার পাঠকদের যারা কুরআন অনুযায়ী আমল করত (মেশকাত-৫/২০১৯)। ‘শীঘ্রই দুনিয়াতে ফ্যাসাদ আরম্ভ হবে। তা হতে বাঁচার উপায় আল্লাহর কিতাব, তাতে তোমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের খবর রয়েছে এবং তোমাদের মধ্যকার বিতর্কের মীমাংসা। এ সত্য মিথ্যার প্রভেদকারী এবং নিরর্থক নয়। যে অহংকারী তাকে ত্যাগ করবে আল্লাহ্ তার অহংকার চূর্ণ করবেন; যে এর বাইরে হেদায়াত তালাশ করবে আল্লাহ্ তাকে গোমরাহ্ করবেন। এ হলো আল্লাহর মজবুত রজ্জু, প্রজ্ঞাময় যিকির এবং সত্য সরল পথ। এর অবলম্বনে বিপথগামী হয় না প্রবৃত্তি, কষ্ট হয় না তাতে জবানের। বিতৃষ্ণ হয় না তা হতে জ্ঞানীগণ। পুরাতন হয় না তা বারবার পাঠে। অন্ত নেই তার বিস্ময়কর তথ্য সমূহের। তা শুনে স্থির থাকতে পারেনি জিনরা এমন কি বলে উঠেছে তারা; ‘শুনেছি আমরা এমন এক বিস্ময়কর কুরআন, যা সন্ধান দেয় সৎপথের। অতএব, ঈমান এনেছি আমরা তার ওপর।’ যে তা বলে – সত্য বলে, যে তার সাথে আমল করে – পুরস্কার প্রাপ্ত হয়, যে তার সাথে বিচার করে – ন্যায় করে এবং যে তার দিকে ডাকে – সত্য সরল পথের দিকে ডাকে (তিরমিযি ও দারেমী);-মেশ্কাত-৫/২০৩৫। [উক্ত হাদিস অনুসারে কুরআনই দীনের একমাত্র দলিল নয় কি?] 
কুরআন ও হাদিসের মধ্যে তুলনা করুন। কুরআন ও কুরআনের সাথে যে সকল হাদিসের মিল আছে তা মানবেন, না কুরআন বিরোধী হাদিস মানবেন, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিন। ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ বই¬টি পড়ুন এবং http://www.facebook.com/truthneverbehidden এই page এ like দিন, Share করুন।

Real and so-called Ahlae-Hadith 

আসল আহলে হাদিস তথা মুসলিম তারাই যারা নবীর মুখ নিসৃত বানী, ৬৯/৪০, ৮১/১৯,  যা আল্লাহ বলেদিয়েছেন, ৩৯/২৩ উত্তম হাদিস (কোরআন) অনুসরন করেন।

আর নামধারী লাহওয়াল হাদিস ৩১/৬, তারাই যারা ৬/১১২ নং আয়াতের নবীর শত্রুরা আল্লাহর ২/৭৯ নং আয়াতকে অস্বীকার করে,যে সমস্ত কিতাব বিভিন্ন ইমামের নাম দিয়ে লিখেছে, তার অনুসরনকারী।

কোরআনই বিশদ ব্যাখ্যা ১০/৩৭।

আধ্যাতিক মোঃ আমিনুল ইসলাম লিপু।

.

By md lipu fbfd