আমি যদি রুকু সিজদাহ না করি শুধু দাড়িয়ে সালাত আদায় করি সালাত হবেনা?

By Badsah Munsi fbfd

সালামুন আলাইকুম, অনেক ভাই আমার নিকট সালাতের রাকাত ও নিয়ম জানতে চায়, আবার অনেকে ফেসবুকে জানতে চায়, এ ব্যপারে আমি এক আলেমের কাছে প্রশ্ন করেছি,প্রশ্নঃহুজুর সালাতের নিয়মকি এক,
হুজুর, হ্যাঁ, এক নিয়ম, প্রশ্ন, হুজুর আমি যদি রুকু সিজদাহ না করি শুধু দাড়িয়ে সালাত আদায় করি সালাত হবেনা? হুজুরের উঃ মিয়া আপনি কি মুসলিম নাকি খৃস্টান, এটাতো খৃস্টানদের কালচার, ওকে হুজুর, মেনে নিলাম
হুজুর, জানাযার সালাত কাদের নিয়ম, ওখানে তো রুকু সিজদাহ দেওয়া হয়না,, আরে মিয়া ওটা তো মায়্যীয়াত বা মৃত্যু ব্যক্তির জন্য ওখানে কেন রুকু সিজদাহ হবে,। তখন আমি, বললাম হুজুর আল্লাহ রাসুলকে বলেছেন, হে রাসুল বলুন, আমার সালাত, আমার আত্বত্যাগ, আমার জীবন ও মরন বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর জন্য, ৬:১৬২) হুজুর কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন, কিছুদিন পরে হুজুর অন্য জানাযায় বলতেছেন, বলতেছেন, শুনুন সালাত আল্লাহর জন্য আর দোয়া মাইয়াতের জন্য,, সালাত শেষে আমি হুজুরকে বললাম, হুজুর আজগের কথা ঠিক আছে, তয় রুকু সিজদাহ, হুজুর বললেন, লাশ সামনে থাকেতো তাই সিজদাহ দেওয়া জায়না, তাহলে সিজদাহটা লাশকে দেওয়া হয়, আমি বললাম হুজুর আপনার কথায় বুজা গেলো লাশের ভয়ে আল্লাহ ওখান থেকে পালিয়ে গেছে, তাই আল্লাহ কে, কি ভাবে সিজদাহ, করবেন, এবার হুজুর বললেন হু মিয়া আপনি আহলে কুরআন হয়ে গেছেন, আপনি মুরতাদ হয়ে গেছেন, আপনি তাওবা করে কালেমা পড়েন, আমি ৬:১১৫) আয়াত দিয়ে বললাম হুজুর পুরা কুরআনই তো আল্লাহর কালেমা, আপনি ই তো কেবল আমাকে বললেন, হু মিয়া আপনি আল্লাহর কালেমার অনুসারী আবার তাওবা কিসের, আশ করি সালাতের নিয়ম পেয়ে গেছেন,

দৈনন্দিন সালাত দুইবার- সালাতিল ইশা, সালাতিল ফজর (24:58)

By Tuhin Faroki fbfd

بسم الله الرحمن الرحيم

##কুরআন বিধান সমূহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা (10:37)
##আল্লাহ্ কি তবে মিথ্যা বললেন???
সালাতের বিস্তারিত বর্ননা না দিয়েই কুরআন পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করলেন (6:115)!!!
##আল্লাহর বিধানের ক্ষেত্রে কোন যুক্তি প্রয়োগের কোন অবকাশ নাই, যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিধানও দীনের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।যদি সেটা কুরআনে না থাকে।

##দৈনন্দিন সালাত দুইবার- সালাতিল ইশা, সালাতিল ফজর (24:58)।
(24:58)আয়াতে দেখুন الظهيرة(যুহর) শব্দ আছে কিন্তু তার পূর্বে সালাত নেই ।নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সালাত শব্দটি বসাতে ভুলে যাননি!!

***’ আমার রব ভুল করেন না এবং বিস্মৃতও হন না’ (20:52)।

☆☆”—–নির্ধারিত সময়ে সালাত মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।”(4:103)

☆☆”সালাতে দাঁড়াও দিবসের দুই প্রান্তে এবং রাতের জুলাফায়(নিকটে)।(11:114)

^^^^^অর্থাত্ দুটো সালাতই দিবসের দুই প্রান্তে এবং সেটা হবে রাতের কাছাকাছি সময়ে ।

####আল্লাহ বলেন ‘দিবাভাগে তোমার জন্য রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা;”- (73:3)
‘এবং দিবসকে করেছি জীবিকা আহরণের সময়,-(78:11)

@@@@সুতরাং দিনে কোন সালাত নাই ।

“““`ফজর ও ইশা এই দুই সময়ে রাসুলের সংগীরা দু’য়া(প্রার্থনা) করতেন তার প্রমাণ(6:52; 18:28)
☆☆এই কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট দলিল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত ।”(45:20).

Criticize to Bukhari

By AA MAMUN fbfd

(A) –

নবীর মৃত্যুর তিনশত বছর পর এত লক্ষ লক্ষ জাল হাদীসের ভীড়ে সত্য হাদীস বের করাটা প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। তবে ঈমাম বুখারী সত্য হাদীস নির্ণয় করার একটা উপায় বের করলেন। তিনি শুধু সত্যবাদী লোকদের কাছ থেকেই হাদীস সংগ্রহ করা শুরু করলেন যারা কিনা আবার পূর্ব বা বর্তমান প্রজন্মের অন্য কোন সত্যবাদী লোকের কাছ থেকেই হাদীসটি শুনেছিলেন। এমনি করে ঈমাম বুখারী প্রায় ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেছিলেন যেগুলো যাচাই বাছাই করে এক লক্ষ সহিহ হাদীসে নামিয়ে এনেছিলেন আর মুখস্থ করেছিলেন। এই এক লক্ষ সত্য হাদীসের মাঝে মাত্র ছয় হাজার হাদীস তিনি তার বুখারী হাদীস গ্রন্থে লিখেছিলেন। বাকিগুলো তিনি সময় স্বল্পতা বা অন্য কোন কারণে লিখে যেতে পারেননি। এই সেই বুখারী হাদীস গ্রন্থ যা প্রায় শতভাগ সহিহ বলে বর্তমান আলেম সমাজ প্রচারণা করে।
লক্ষ লক্ষ জাল হাদীসের জঞ্জাল থেকে ইমাম বুখারী যে সত্য হাদীস যাচাই করে সংকলণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা অবশ্যই প্রসংসার দাবীদার। ইমাম বুখারীর হাদীস যাচাই বাছাই এর পদ্ধতি নাকি এতটাই কঠোর ছিল যে একটি মাত্র জাল হাদীসও সেখানে ঢুকে পরার কোন সুযোগ ছিলনা। মোহাবিষ্ট মুসলিম এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি জানলে আসলেই আর বুখারী শরীফের হাদীস নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবেনা। তাই এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমরা সেই পদ্ধতির ফলাফল নিয়ে আলোচনা করলে মোহাবিষ্ট মুসলিমের মোহ কাটতে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। একজন সাধারণ মুসলিমকে যখন একটি হাদীস শুনানো হয় সে স্বাভাবিক ভাবেই সেটি ভক্তি সহকারে বিশ্বাস করে নেয়। তবে অনেকে আছেন যারা হাদীসটি শুনার পর জানতে চাইবে যে এটা বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কিনা। বুখারী/মুসলিম এর হাদীস হলে তারা সেটা বিশ্বাস করে নেয়, আর অন্য গ্রন্থের হাদীস হলে তারা কিছুটা হলেও সন্দেহ পোষণ করে বলে যে এটা শতভাগ সহিহ নাও হতে পারে। তারা মূলত আলেমদের প্রোপাগান্ডার কারণেই এমন কথা বলেন। কারণ আল্লাহ বা নবী কোথাও বলে দেননি যে শুধু বুখারী/মুসলিম হাদীস হলেই শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে। বুখারী/মুসলিম হাদীসগ্রন্থগুলো নিয়ে এই আলেমদের প্রচারণাগুলো নিম্নরুপঃ

১) ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম কখনো কোন দূর্বল বর্ণনাকারীর কাছ থেকে হাদীস সংগ্রহ করেন নাই।

২) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন বুখারী/মুসলিম শরীফের একটি হাদীসের প্রতিও কোন অভিযোগ করেন নাই।

৩) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন ইমাম বুখারী বা ইমাম মুসলিম এর ভুল হয়েছে এমন সমালোচনা করেন নাই।

মূলত উপরের একটি দাবীও সত্য নয়। ইমাম শাখাবি তার ফাথ-উল-মুঘিস গ্রন্থের ”ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম” অধ্যায়ে লিখেছেন যে বুখারী গ্রন্থের ৪৩৫ হাদীস বর্ণনাকারীর মাঝে ৮০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। আর মুসলিম শরীফের ৬২০ বর্ণনাকারীর মাঝে ১৬০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিরাট বড় এক হাদীস স্কলার ও আলেমের সাথে পরিচিত হওয়া যাক। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী। বুখারী শরীফের সবচেয়ে বড় ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাথ-উল-বারী এর রচয়িতা। আমরা বর্তমানে যে আধুনিক ১০ খন্ডের বুখারী শরীফ দেখি সেটি মূলত এই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থ থেকেই ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাগুলো বাদ দিয়ে সংকলণ করা হয়েছে। অর্থাত আধুনিক বুখারী শরীফের উতস হচ্ছে ইমাম আসকালানী। ফাথ-উল-বারী গ্রন্থটি এতই বিশালাকার যে এখনো এর ইংরেজী অনুবাদ করা হয়ে উঠেনি। তবে মুল আরবী গ্রন্থটি অনলাইনে পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইমাম আসকালানী নিজেই সেই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে ইমাম বুখারীর অনেক হাদীসের সমালোচনা করেছেন। ইমাম আসকালানী ছাড়াও অন্য অনেক প্রক্ষাত আলেম যেমন ইমাম গাজ্জালীও বুখারী শরীফের হাদীসের সমালোচনা করেছেন। তাই বুখারী/মুসলিম গ্রন্থ নিয়ে আলেমদের বর্তমান অসত্য দাবীগুলো যে আমাদের সাধারণ মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হবার সময় এসেছে।

.

(B)-

অনেকগুলো হাদীসের মধ্য থেকে উদাহরণ হিসেবে কিছু হাদীস তুলে ধরা প্রয়োজন যেখানে স্কলারগণ ইমাম বুখারী ও তার সংকলিত হাদীসের সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য ইমাম আসকালানীর মূল গ্রন্থ পড়লে এমন আরও অনেক জাল হাদীস পাওয়া যাবে বুখারী গ্রন্থে। এর বাইরে তো বৈজ্ঞানিক ও কমন সেন্সের ভিত্তিতে ভুল হাদীসের অভাব নেই বুখারী শরীফে। তবে এই পোস্টের উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীকে হেয় প্রতিপন্ন করা নয়, বরং এটাই বুঝানো যে ভুল সবারই হতে পারে, বুখারীর হাদীস বলেই চোখ বুজে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

১) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শারিক হযরত আনাস হতে রাসূলের মিরাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাযিল হবার পূর্বে রাসূল (সা) কাবা গৃহে নিদ্রারত ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখলেন তিনিজন ফেরেশতা তার নিকট এসে তার সম্মানের ব্যাপারে কথা বলে চলে গেলেন। দ্বিতীয় রাত্রিতেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু তৃতীয় রাত্রিতে স্বয়ং রাসূলকেই (সা) মিরাজে নিয়ে যাওয়া হল।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসের বক্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সকলেই জানে যে রাসূল (সা) মিরাজে গিয়েছিলেন নবুয়ত প্রাপ্তির পর এবং মদিনায় হিযরত এর পূর্বে।

২) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমানের মৃত্যুর পর বদর যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না। এবং হাররার যুদ্ধের পর হুদায়বিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না।

ইমামা আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন হাদীসটি মিথ্যা। হযরত আলী সহ অনেক বদর যোদ্ধাই উসমানের মৃত্যুর পর জীবিত ছিলেন। হাদীসটির ২য় অংশটাও ভুল।

৩) বুখারী শরীফের তাফসির অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শেষ বিচারের দিন যখন হযরত ইবরাহিম তার পিতাকে দেখবেন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করবেন, ” তুমি আমার কাছে ওয়াদা করেছিলে যে শেষ বিচারের দিন তুমি আমাকে দুঃখিত করবেনা।” আল্লাহ উত্তরে বলবেন, ” অবিশ্বাসীদের জন্য আমি জান্নাত নিষিদ্ধ করেছি।”

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি ভুল। কেননা এটি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে যখন হযরত ইবরাহিম জেনেছিলেন যে তার পিতা আল্লাহর শত্রু তখন থেকেই তিনি পিতার জন্য দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া এই হাদীস পড়লে মনে হয় যে আল্লাহ ওয়াদা করে সেই ওয়াদা রক্ষা করেন নাই।

৪) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বর্ণনা করেন যে নবী (সা) বলেছেন, বিচার দিবসে যখন আল্লাহ দোজখীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তখন জাহান্নাম বলবে আরও দাও। তখন আল্লাহ এক নতুন জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম আবারো বলবে আমি আরও চাই। তখন আল্লাহ আরও একটি জাতি সৃষ্টি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাতেও জাহান্নাম পূর্ণ হবেনা। তখন আল্লাহ নিজের পা জাহান্নামের উপর রাখলে জাহান্নাম পূর্ণ হবে।

ইমাম আসকালানী ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে এবং হাফিজ ইবনে কাইয়াম, আবুল হাসান কুছবি এবং অন্যান্য হাদীস পন্ডিতগণ বলেছেনঃ এই হাদীসটি জাল, কারণ উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে যে আল্লাহ নতুন এক জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন। এই হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী নতুন সৃষ্ট জাতি পাপ করার সুযোগই পাবেননা, তো আল্লাহ কিভাবে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরানে আরও ঘোষনা দেন যে তিনি কারও উপর অবিচার/জুলুম করবেননা? (সূরা কাহফ-৪৯)। এছাড়া আল্লাহ তায়ালা কোরানে নিজেই বলেছেন তিনি দোজখ পূর্ণ করবেন শয়তানের অনুসারী দ্বারা (সূরা ছোয়াদ-৮৫)।

৫) বুখারী শরীফের আম্বিয়া অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত আদম ষাট ফুট লম্বা ছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি বিশ্বাসযোগ্য না, হাদীসটি সত্য হলে পূর্বের জাতিগুলোর বাড়িঘর আমাদের চাইতে বড় হত কিন্তু বাস্তবে তেমনটি দেখা যায়না।

৬) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু মুসা বলেছেন যে আমাদের রাসূল খয়বরের দিকে যাচ্ছিলেন। তার পিছনের লোকেরা জোড়ে আল্লাহু আকবর বলে চিতকার করছিলেন। রাসূল তখন তাদেরকে চিতকার করতে নিষেধ করে স্বাভাবিক আওয়াজে আল্লাহু আকবর বলতে বলেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এটি সত্য হতে পারেনা। বুখারীরই অন্য হাদীসে আছে যে আবু মুসা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বর যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর।

৭) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত, খয়বরের যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে এক ব্যক্তি খুব সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিল, আমাদের রাসূল (সা) বলেছিলেন সে জাহান্নামে যাবে।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি পড়লে মনে হয় আবু হুরায়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আবু হুরায়রা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বরের যুদ্ধের পর। ইমাম বুখারী এই হাদীসটি লিখার সময় নিশ্চই পূর্ণ মনোযোগী ছিলেননা।

৮) বুখারী শরীফের মাযুকিরা ফিল আসওয়াক অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বলেছেন-”আমি আল্লাহর নবীর সাথে বনু কাইনুকার বাজারে গিয়েছিলাম এবং তিনি সেথায় ফাতিমার বাগানে বসেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসে বেশ কিছু শব্দ মিসিং হয়েছে। কারণ বনু কাইনুকায় ফাতিমার কোন বাড়ি/বাগান ছিলনা। মুসলিমের হাদীস থেকে সেই শব্দগুলো অবশ্য পাওয়া যায়। মুসলিমের হাদীসে আছে প্রথমে বনু কাইনুকায় গিয়ে পরবর্তীতে নবী ফাতিমার বাগানে গিয়েছিলেন। ফাতিমার বাড়িটি ছিল নবীর স্ত্রীদের বাড়িগুলোর মাঝামাঝি।

৯) বুখারী শরীফের যাকাত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেন যেঃ নবীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের মাঝে উম্মুল মুমীনিন সাওদা-ই সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে ইমাম বুখারী ভুল বলেছেন, কেননা সাওদা নয় উম্মুল মুমীনিন জয়নাব সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন। ইমাম ইবনে জাযি বলেছেন এটা খুব অবাক করা ব্যাপার যে ইমাম বুখারী এটা লিখেছেন, কারণ এই তথ্যটি ভুল। এছাড়া ইমাম নববী এই হাদীসটি ভুল বলেছেন।

১০) বুখারী শরীফের জানাইজ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ নবীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা শুনেছিলেন যে তার বাবা সিরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সকল স্কলারগণই একমত যে উম্মে হাবিবার পিতা মদিনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইমাম বুখারী ভুল করেছেন।

১১) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ খাবাইব বিন আদ্দি বদর যুদ্ধে হারিসকে হত্যা করেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন যে বেশীরভাগ স্কলার একমত যে খাবাইব বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণই করেন নাই।

১২) বুখারী শরীফের ফাযায়েল উল উসমান অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমান এক ব্যক্তিকে আশি বার চাবুক মেরেছিলেন।

ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই তথ্যটি সঠিক নয়

এভাবে উদাহরণ দেয়া চালিয়ে গেলে পোস্টে জায়গা সংকুলান হবেনা। এতো গেলো ঐতিহাসিক সত্যতার ভিত্তিতে ইমাম বুখারীর ভুল ধরা, কিন্তু আফসোসের বিষয় যে ইমাম আসকালানী অন্যান্য বিষয়ে তার ভুলগুলোর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। অথচ বৈজ্ঞানি, কমনসেন্স, নবীর প্রতি সম্মান ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই ইমাম বুখারীর ভুলের কোন শেষ ছিলনা। বুখারীর এমন অনেক হাদীস আছে যা পড়লে বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। যাই হোক, এতক্ষনের আলোচনা থেকে আমরা অন্তত এইটুকু জানলাম যে বুখারী শরীফ শতভাগ সত্য ও গ্রহণযোগ্য বলে আলেমরা যে কথা প্রচার করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি প্রচারণা। সাধারণ মুসলমানের মনের সরলতার সুযোগ নিয়েই আলেমগণ এমন প্রচারণা করে থাকেন। ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলন ও যাচাই বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রচারণার কারণে মোহাবিষ্ট মুসলিম বুঝতেই পারেনা যে এই পদ্ধতি কতটা ত্রুটিপূর্ণ ও ফাকি দেয়া, বরং মোহের কারণে এই পদ্ধতি দেখেই তারা ভেবে নেয় যে কত নিখুত এই বুখারী শরীফ। পরের পর্বে ইমাম বুখারীর হাদীস সংকলনের পদ্ধতির মোহ ও ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

যাকাত ও জিযয়া এক-পঞ্চমাংশ, মুসলিদের জন্য অতিরিক্ত সদকা

যাকাত ও জিযয়া এক-পঞ্চমাংশ, মুসলিদের জন্য অতিরিক্ত সদকা।

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সালাত ও যাকাত (২:১০৯-১১০)। কেউ এই দু’টি কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করলে হিজরত, আর সামর্থ্য (৮:৬৫-৬৬) থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (৪:৭৭)। আর যুদ্ধ চলবে দীন (৯৮:৫) প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত (২:১৯০, ১৯৩)। দেখুন-

১. ‘অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে, তাদেরকে বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁত পেতে থাকবে। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ (সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-৫)।

উপরোক্ত আয়াতে সালাত ও যাকাত এ দুইটির জন্য যুদ্ধ। কিন্তু যারা মরে গেলেও দীনের অনুসরণ করবে না তাদের জন্য নিচের আয়াত।

২. ‘যাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহে ঈমান আনে না ও আখিরাত দিবসেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম গণ্য করে না; তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযয়া দেয় (সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-২৯)।

উপরোক্ত আয়াত দুইটি অনুসারে মুসলিমদের জন্য সালাত ও যাকাত; আর অমুসলিমদের জন্য জিযয়া।

যাকাত ও জিযয়ার পরিমাণ কত? আল্লাহ বলেন-

‘কিতাবে কিছুই আমি বাদ দেইনি (৬:৩৮; ১০:৬১; ৩৪:৩)। ‘সুস্পষ্ট কিতাবে সব কিছুই আছে (১১:৬; ২৭:৭৫)। ‘আমি তো মানুষের জন্য এ কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়েছি (১৭:৮৯; ১৮:৫৪; ৩৯:২৭)।

সুতরাং আল্লাহর কিতাবে নির্দিষ্ট ব্যয় (৭০:২৪) গণিমত (৮:৪১) নামে এক-পঞ্চমাংশ। ‘আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে যা কিছু দিয়েছেন তা- ১. আল্লাহর, ২. রাসূলের (ইমামের-২১:৭৩), ৩. স্বজনদের (দীনি ভাইদের-৯:১১), ৪. ইয়াতিমদের, ৫. মিসকিনদের ও ৬. পথচারীদের, যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান কেবল তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল (ইমাম) তোমাদের যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর (৫৯:৭)। [ইমামের নিকট এলাকার সবাই যাকাত / জিযয়া দিলেই সম্ভব অভাবীদের চেনা ও উক্ত ৬ খাতে ব্যয় করা]।

যারা আল্লাহর জান্নাতে যেতে চায় তারা সালাত পড়বে, ইমামের নিকট তাদের আয়ের এক-পঞ্চমাংশ যাকাত হিসাবে দিবেন এবং অতিরিক্ত সদকা (৯:১০২-১০৪) দিয়ে সৎকর্মপায়ণ হবেন (৯:৭৫; ৬৩:১০)। সদকা দিলেই হবেন সৎকর্মপায়ণ। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকার্য করে তারাই জান্নাতবাসী, তাহারা সেখানে স্থায়ী হবে (২:৮২)।

Fm fbfd

কুরআনে ‘মানুষের প্রশ্নের জবাব আল্লাহ্ দিয়েছেন, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূল দিয়েছেন!

১১. কুরআনে ‘মানুষের প্রশ্নের জবাব আল্লাহ্ দিয়েছেন, প্রচলিত হাদিসে ‘রাসূল দিয়েছেন!
কুরআনে দেখুন, ‘লোকে তোমাকে নূতন চাঁদ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘তা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময়-নির্দেশক … (২:১৮৯)। ‘লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে তারা কি ব্যয় করবে। বল, ‘যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন এবং মুসাফিরদের জন্য… (২:২১৫)। ‘লোকে তোমাকে রজঃস্র্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, তা অশুচি। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী-মিলন করবে না … (২:২২২)। ‘লোকে তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘এর জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে…. (৩৩:৬৩)। অন্যান্য বিষয় (২:২১৭; ২:২১৯; ১৭:৮৫; ১৮:৮৩; ২০:১০৫ আয়াত)। [আল্লাহ্ রাসূলকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, রাসূল তা মানুষের নিকট প্রচার করেছেন কি?]

প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘এক বেদুইন এসে বলল, ‘আমি চাঁদ দেখেছি। … রাসূল লোকদের মধ্যে ঘোষণা করে দিলেন তারা যেন সিয়াম সাধনা করে (আবূ দাঊদ, তিরমিযি, ইবনু মাযাহ ও দারেমী);-মেশকাত-৪/১৮৮১। ‘এক ব্যক্তি কিছু অর্থ ব্যয় সম্বন্ধে রাসূলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, ‘তা ব্যয় করবে নিজের জন্য, … তোমার সন্তানের জন্য, … তোমার পরিবারের জন্য, … তোমার খাদেমের জন্য … এবং এর পর তোমার যেখানে ইচ্ছা ব্যয় করবে (ইবনু মাযাহ ও নাসাঈ);-মেশকাত-৪/১৮৪৪। ‘যখন কোন ব্যক্তি রজঃস্রাব অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংগম করবে সে যেন অর্ধ দিনার দান করে (তিরমিযি);-মেশকাত-২/৫০৮। ‘অনেক বেদুইন জিজ্ঞাসা করত, ‘কিয়ামত কখন ঘটবে? তখন তিনি তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের দিকে তাকিয়ে বলতেন, এ বালকটি যদি জীবিত থাকে, তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই তোমাদের মধ্যে কিয়ামত নেমে আসবে (বুখারি-মুসলিম)-মেশকাত-১০/৫২৭৮। [হাদিস অনুসারে রাসূল আল্লাহর একটি নির্দেশও প্রচার করেন নি। আসলে কি তাই?]

.

Fm fbfd

রাসুল শুধু কুরআন অনুসরন করেছেন

রাসুল শুধু কুরআন অনুসরন করেছেন :-কুরআন দেখুন ৬/৫০,১০৬;৭/২০৩;১০/১৫;২১/৪৫;৩৩/২;৪৬/৯;৩/৩১-৩২।
রাসুল শুধু কুরআন প্রচার করেছেন :-কুরআন দেখুন ৩/২০;৫/৯২,৯৯;১৩/৪০;১৬/৩৫,৮২;২৪/৫৪;২৯/১৮;৩৬/১৭;৪২/৪৮;৬৪/১২।
রাসুল শুধু কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করেছেন :-কুরআন দেখেন ২/১২৯,১৫১;৩/১৬৪;২৭/৯২;২৯/৪৫;৬২/২;৬৪/১২;৬৬/১।
রাসুল কুরআন দ্বারা ফয়সালা করতেন :-কুরআন দেখুন ৪/১০৫;৫/৪৯;৫৭/২৫।
রাসুল কুরআনের বাহিরে গেলেই শাস্তি :-কুরআন দেখেন
১০/১৫;১৭/৭৩-৭৫,৮৬;৬৯/৪৩-৪৮;৭২/২৭-২৮
হিকমত শিক্ষা :-১৭/২২-৩৯
মুমিন কাকে বলে :-৮/২-৪
কাফের :-৪/১৫০-১৫১
যালিম:-৬/২১,৯৩

২৯/৫১;২/৮৫;৬/১১৬।
মন্দ কথার প্রচারণা মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না (৪/১৪৮ )।

.

Courtesy fbfd