Category Archives: Zakat

আল্লাহ কোন পথে ব্যয় করতে বলছেন?

আল্লাহর পুরুষ্কার লাভের আশায় আমরা কত জিকির, নফল নামাজ,কত বই বা বক্তার থেকে আমল করে থাকি কিন্তু আল্লাহর বই খুলে দেখি না আল্লাহ কোন কাজের জন্য কাকে পুরুষ্কার দিবেন।

খোটা না দিয়ে আল্লাহর বলা পথে ব্যয়কারীকে আল্লাহ পুরুষ্কার দিবেন।(সুরা বাকারা,আয়ত ২৬২)আল্লাহ কোন পথে ব্যয় করতে বলছেন?

আল্লাহ ব্যক্তিকে দান করতে বলছেন,কোন মাধ্যমকে নয়।এই লিস্টের প্রথমে হল পিতা-মাতা,দ্বিতীয় হল আত্মীয়- স্বজন,তৃতীয় এতিম,এরপর অভাবগ্রস্ত ও শেষ মুসাফির দের জন্য।(সুরা বাকারা আয়াত ২১৫)ঋণগ্রস্থ ব্যাক্তি ও দাসমুক্তির জন্য।(সুরা ৯ আয়াত ৬০)এর বাইরের অন্য কোন কোন পথে ব্যয় করাকে কেউ যদি আল্লাহর পথে ব্যয় বলে তা কি আল্লাহর পথে হবে?

আপনার পিতা মাতা ও আত্নীয় স্বজনই অভাবগ্রস্থ ও এতিম হতে পারে মানে প্রথম ও দ্বীতিয় লিষ্টের ব্যক্তিরাই ৩য় ও ৪র্থ লিষ্ট কাভার করে।জিবনে কখোন কোন ঋণগ্রস্থ ব্যাক্তির ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছেন?কোথাও লোন না পেয়ে সুদে ঋণনেয়া মানুষগুলো যে দাসত্বের জীবনে যাপন করছে,কখোন তাদের তাদের এ দাসমুক্তির চেষ্টা করেছেন?নাকি শুধু মসজিদ -মাদ্রাসায় দান করে নিজের গুনাহ মাফের চিন্তা করে চোখ ভিজিয়েছেন?কখনো কি ভেবে দেখেছেন এ পথ ব্যায়ে আল্লাহ গুনাহ মাফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিনা?

পিতা-মাতা,আত্নীয়-স্বজন,এতিম,অভাবী,ঋণগ্রস্থ,
দাসমুক্তি,মুসাফির উনাদের জন্য ব্যয় করতে হবে খোটা দেয়া ছাড়া।জ্বি এটাই আল্লাহর পথে ব্যয়।মসজিদ, মাদ্রাসায় দানের কথা কুরআনে কোথাও বলা নেই।এর বাইরে আল্লাহর নামে কেউ টাকা উত্তলন করলে আল্লাহ নিজেই বলেছেন তিনি অভাবমুক্ত।(সুরা বাকারা আয়াত ২৬৩)

এই পথে যারা ব্যয় করে আল্লাহ তাদের প্রাচুর্য বাড়িয়ে দেন।কিন্তু আমরা এগুলো না শুনে শুনেছি মসজিদ মাদ্রাসায় দান করলে ৭০ গুন সোওয়াব।ধর্ম ব্যবসায়ীরাও মাদ্রাসার ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে মসজিদ মাদ্রাসার নামে হ্যান্ড মাইক দিয়ে ওয়াজের সুরে দলে দলে এসে টাকা তুলে এবং এমনভাবে দানের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা করে,মানুষ দিতে বাধ্য হয়,যেহেতু জীবনের গুনাহ মাপ, কবরের আজাব মাফ,চৌদ্দগুষ্টির জান্নাতের গ্যারান্টি ইত্যাদি।সমস্ত জীবন এসব রাস্তায় ব্যয় করে দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব দূর করতে পেরেছেন?হয়নি কেননা এটা আল্লাহর বলা পথ নয়।

তো কেমন বা কি পরিমান ব্যয় করতে হবে?কখন ব্যয় করতে হবে?

আপনার প্রয়োজনের অতিরিক্ত আল্লাহ ব্যয় করতে বলে ছেন,বছরের কোন নিদিষ্ট সময়ে ব্যয় করতে বলেননি, সবসময় ই বলছেন।(সুরা বাকারা আয়াত ২১৯)কিন্তু আমরা বছরের একটা নিদিষ্ট সময়,নিদিষ্ট পরিমান ব্যয় করি বাকিটা সঞ্চয় করি।

আর আল্লাহ বলেন,জাহান্নাম তাদের ডাকছে যারা সম্পদ পুঞ্জিভূত করে রাখে।আর আমরা চিন্তা করি বৃদ্ধ অবস্থায় বা ভবিষৎতে কি হবে।আর আল্লাহ বলেন তাদের কোন ভয় নেই,চিন্তা ও নেই যারা দিনে রাতে প্রকাশ্যে ও গোপনে তাদের সম্পদ ব্যয় করে।আল্লাহ তাদের পুরুষ্কার দিবেন।(সুরা বাকারা আয়াত ২৭৪)আল্লাহর এ পুরুষ্কার মোল্লারা নিজেদের স্বার্থে ঢেকে দিয়ে শয়তানি পথে ব্যয় করিয়ে আমাদের জাহান্নামী করছে,আমাদের অজ্ঞতার কারণে।

আল্লাহ বারবার আত্নীয় স্বজনে,অভাবী ও মুসাফিরকে তার হক দান করতে বলেছেন আর অপব্যায় করতে নিষেধ করছেন।(সুরা বনী ইসরাঈল আয়াত ২৬)এতিমদেরকে তাদের সম্পদ দাও।(সুরা ৪,আয়াত ২)কঠোরভাবে হুশিয়ারি দেয়া তোমরা এতিমের সম্পদের নিকট যেয়ো না।আমরা আমাদের কৃত কর্মের বা অন্যের প্রাপ্য না দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করে মসজিদ,মাদ্রাসায় দান করে কাঁদি অথবা হজ্ব,নামাজ পড়ে মুক্তির পথ খুজি।এতে যেই ব্যক্তিকে ঠকানো হয়েছে সে নিরবে কাঁদে।

যে জাতি কোরান নিজ মাতৃভাষায় অর্থ বুঝে পাঠ করে না এবং তা নিয়ে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করে না,তারা এভাবেই মানব রচিত ধর্মের অনুসারী হয়ে আল্লাহর রাস্তা বাদ দিয়ে শয়তানের রাস্তায় অর্থ ব্যয় করবে।কেননা মোল্লারা কোরআন থেকে কোন বিচার ফায়সালা করে না, তারা শুধু মুখুস্থ পড়ে টাকা ইনকাম করে।আল্লাহ বলেন কোরআন অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না,তারাই কাফির।

আল্লাহ বলছেন আমি রাসূলকে এই কোরআন দ্বারা কবিতা রচনা বা কারিয়ানা শিখাইনি,বরং এ কুরআন তো মানুষের জন্যে পথ-নির্দেশ বা দিকনির্দেশনা।(সূরা ইয়াসীন – আয়াত ৬৯)

Fb-sourse:

Zakat fbfd fm Quran

বিষয়ঃ- যাকাত by ss Jaman

যাকাত শব্দটি মূল য্বা, ক্বা, ফ থেকে উৎপত্তি, যাক্কা এবং যাক্কি শব্দ থেকে আগত।

যাকাত শব্দের অর্থ পরিশুদ্ধ বা Purification হওয়া, অর্থাৎ আমার সম্পদের উপর গরীব দের যে হক রয়েছে, তা আল্লাহর নির্দেশিত খাতে বন্টনের মাধ্যমে সম্পদ কে হালাল করে নেওয়াই হচ্ছে যাকাত।

কোরআন এ শুধু যাকাত শব্দটি ৫৯ বার এসেছে, সালাত এসেছে ৯৯ বার, এরমধ্যে সালাত ও যাকাত এর গুরুত্ব বুঝাতে এটি একসাথে এসেছে ২৪ বার, যেখানে বলা হয়েছে,

“তোমরা সালাত কায়েম কর, এবং যাকাত পরিশোধ কর”
(২ঃ৪৩/৮৩/১১০/১১৭/২৭৭) (৪ঃ৭৭/১৬২) (৫ঃ১২/৫৫) (৯ঃ৫/১১/১৮/৭১) (২১ঃ৭৩) (২২ঃ৪১/৭৮) (২৪ঃ৩৭/৫৬) (২৭ঃ৩) (৩১ঃ৪) (৩৩ঃ৩৩) (৫৮ঃ১৩) (৭৩ঃ২০) (৯৮ঃ৫)।

যাকাতের প্রতিশব্দ হিসেবে ২ টি শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে,
১. সদাকা ২. দান বা ব্যয় ‘ইয়ুনফিকু’।

কেন যাকাত দিবো?
(৯২ঃ১৮) যে আত্মশুদ্ধির জন্য তার ধন-সম্পদ দান করে।
(৩৩ঃ৩৩) আল্লাহ তো কেবল তোমাদের মধ্য থেকে অপবিত্রতা দূর করতে চান এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে চান।
(৯ঃ১০৩) আপনি তাদের সম্পদ থেকে ‘সদকা’ গ্রহন করুন, এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন।
(৫৯ঃ৭) যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান শুধু তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে।
আরো দেখুনঃ (৯ঃ১০৪) (৭৬ঃ৮-৯)(৯৮ঃ৫)(২৪ঃ৫৬)(১৬ঃ৯০)(২৮ঃ৭৮).

দান করলে সম্পদ বাড়েঃ-
(৩০ঃ৩৯) আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি লাভের জন্য যে যাকাত তোমরা দাও (তা-ই বৃদ্ধি পায়) সুতরাং তারাই সমৃদ্ধশালী।
(২ঃ২৬১) যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস্য-বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মে।
(৬৪ঃ১৭) যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণ বৃদ্ধি করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন।
আরো দেখুনঃ (২৮ঃ৫৪)(২ঃ১১০)(৫৭ঃ৭)(৫৭ঃ১৮).

দানের প্রতিফলন বা রেজাল্টঃ
(৩৪ঃ৩৯) তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন।
(৮ঃ৬০) আল্লাহর পথে যা কিছু ব্যয় করবে, তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে।
(৯ঃ১২১) তারা ছোট বা বড় যা কিছুই ব্যয় করে তা তাদের অনুকূলে (আমলনামায়) লিপিবদ্ধ হয়।
আরো দেখুনঃ (১৩ঃ২২)(২ঃ২৭২)(২৪ঃ৫৬)(৭৩ঃ২০).

দানের ব্যাপারে যাদের অনুসরণ করবোঃ
(৭ঃ১৫৬) যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমাদের অয়াতসমূহে ঈমান আনে।
(২২ঃ৪১) তারা এমন লোক যাদেরকে আমরা যমীনের বুকে প্রতিষ্ঠিত করলে সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে;
(৯৮ঃ৫) তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে তাঁরই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে এবং সালাত কায়েম করে ও যাকাত প্ৰদান করে। আর এটাই সঠিক দ্বীন।
আরো দেখুনঃ (২ঃ৪৩)(৫ঃ৫৫)(৪ঃ১৬২)(৯ঃ১১)(৯ঃ১৮)(৯ঃ৭১)(২৪ঃ৩৭)(২৩ঃ৪)(৪২ঃ৩৮)(৩২ঃ১৬)(২৮ঃ৫৪)(২২ঃ৩৫)(১৯ঃ৩১)(৬৪ঃ১৬)

দান করার সামর্থ্য আল্লাহর থেকেই পাইঃ
(৪ঃ৩৯) আল্লাহ তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করলে তাদের কি ক্ষতি হত?
(২৩ঃ৩৫) আমরা তাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সহযোগিতা করেছি,
(৩ঃ২৭) আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিয্‌ক দান করেন। ’
আরো দেখুনঃ (৮ঃ৩)(৯ঃ৫৯)(৩ঃ১৭০)(১৬ঃ৫৫)(১৬ঃ৫৬)(১০ঃ৮৮)(১০ঃ১০৭)(৯ঃ৭৫)।

কি ব্যয় করবো?
(২ঃ২১৯) তারা আপনাকে জিজ্জেস করে কি তারা ব্যায় করবে ? বলুন, যা উদ্বৃত্ত (Surplus).

কিভাবে দান করবো?
(৬৫ঃ৭) বিত্তবান নিজ সমৰ্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবনোপকরণ সীমিত সে আল্লাহ যা দান করেছেন তা থেকে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে সামথ্য দিয়েছেন তার চেয়ে গুরুতর বোঝা তিনি তার উপর চাপান না।
(১৭ঃ২৯) তুমি তোমার হাত গলায় বেঁধে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণরূপে মেলেও দিও না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও আফসোসকৃত হয়ে বসে পড়বে।
(২ঃ২৭৪) যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের প্রতিদান তাদের রব-এর নিকট রয়েছে।
(২৫ঃ৬৭) যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কৃপনতাও করে না, আর তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী।
(৩ঃ১৩৪) যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে।
আরো দেখুনঃ (১৩ঃ২২)(৩৫ঃ২৯)(৪ঃ১১৪)(২ঃ২৭১)(৩ঃ১৩৪)(১৬ঃ৭৫)(৫৭ঃ১০).

কোন বস্তুটি দান করবো?
(৩ঃ৯২) তোমরা যা ভালবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো সওয়াব অর্জন করবে না। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবগত।
(৮ঃ৩) আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তা থেকে দান করে।

দান কেমন হওয়া উচিৎঃ
(২ঃ২৬৭) হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি জমি হতে তোমাদের জন্য যা উৎপাদন করে থাকি, তা থেকে যা উৎকৃষ্ট, তা দান কর। এমন মন্দ জিনিস দান করার সংকল্প করো না, যা তোমরা মুদিত চক্ষু ব্যতীত গ্রহণ কর না।

দানের ক্ষেত্রে ৩ টি উদাহরণঃ
(২ঃ২৬৪) দান হচ্ছে পাথরের মত একটি বড় ধন ভান্ডার, যা মাটি দিয়ে ঢাকা থাকে, কেউ যদি খোটা দেয় তবে বৃষ্টির মাধ্যমে মাটি সরে গিয়ে ধনভাণ্ডারটি উন্মুক্ত হয়ে যায়।
(২ঃ২৬৫) কোন উঁচু ভূমিতে অবস্থিত একটি বাগান, যাতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়, ফলে তার ফল-মূল দ্বিগুণ জন্মে। যদি মুষলধারে বৃষ্টি নাও হয়, তবে হাল্কা বৃষ্টিই বা এর শিশির বিন্দুই যথেষ্ট।
অর্থাৎ দানের প্রতিদান দ্বিগুণ যা কোন ভাবেই আল্লাহ নষ্ট করবেন না।
(২ঃ২৬৬) এমন দান যেখানে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়ে গেছে কিন্তু ফল পাওয়ার আগেই তা স্বমূলে বিনাশ হয়ে গেছে, এমনো কোন উপায় নেই যে পূনঃরায় মেশিন চালু করা যায়।
অর্থাৎ আমি দান করেছি কিন্তু প্রতিদান পেলাম না।

কার্পণ্য করা যাবে নাঃ
(৪৭ঃ৩৮) তোমরাই তো তারা যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে বলা হচ্ছে অথচ তোমাদের অনেকে কৃপণতা করছে; যারা কার্পণ্য করে, তারা তো কার্পণ্য করে নিজেদের প্রতি। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত।
(৩ঃ১৮০) আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তাদের জন্য তা মঙ্গল, যেটাতে তারা কৃপণতা করবে কেয়ামতের দিন সেটাই তাদের গলায় বেড়ী হবে।
(৪ঃ৩৭) যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তা গোপন করে। আর আমরা কাফেরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
আরো দেখুনঃ (৯ঃ৭৬)

যে দান বাতিল হয়ঃ
(৪ঃ৩৮) আর যারা মানুষকে দেখাবার জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনে না। আর শয়তান কারো সঙ্গী হলে সে সঙ্গী কত মন্দ!
(১৭ঃ২৭) অপব্যয় কারী শয়তানের ভাই।
(৯ঃ৫৩) ‘তোমার ইচ্ছাকৃত ব্যয় কর অথবা অনিচ্ছাকৃত, তোমাদের কাছে থেকে তা কিছুতেই গ্রহণ করা হবে না; নিশ্চয় তোমরা হচ্ছ ফাসিক সম্প্রদায়।’
আরো দেখুনঃ (৭৪ঃ৬)(৩ঃ১১৭)(৯ঃ৫৪)

অসামর্থ্য ব্যাক্তি দান না করলেও হবেঃ
(৯ঃ৯১) যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং যারা অর্থ সাহায্যে অসমর্থ, তাদের কোন অপরাধ নেই, যদি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের হিতাকাঙ্খী হয়। মুহসিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ নেই; আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(২ঃ২৮০) আর যদি সে অভাবগ্রস্থ হয় তবে সচ্ছলতা পর্যন্ত তা অবকাশ। আর যদি তোমরা সাদকা কর তবে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে।
আরো দেখুনঃ (৯ঃ৭৯)

দান না করেও দানের সওয়াব পাওয়াঃ
(৯ঃ৯২) আর ঐ লোকদেরও (বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন পথ)… তারা এমন অবস্থায় ফিরে গেল যে, তাদের চক্ষু হতে অশ্রু বইতে লাগল এ দুঃখে যে, তাদের কাছে ব্যয় করার মত কোন কিছুই নেই।

কাকে দান করবো?
(২ঃ২৭৩) অভাবগ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য; যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, জীবিকার সন্ধানে ভূপৃষ্ঠে ঘোরা-ফেরা করতে পারে না। তারা কিছু চায় না বলে, অবিবেচক লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে; তারা লোকেদের কাছে নাছোড়বান্দা হয়ে যাচ্ঞা করে না।

কি কি খাতে ব্যয় হবে?
(৯ঃ৬০) সদকা তো শুধু ফকীর, মিসকীন ও সদকা আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের জন্য, যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য, দাসমুক্তিতে, ঋণ ভারাক্রান্তদের জন্য, আল্লাহ্‌র পথে ও মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(২ঃ১৭৭) সম্পদ দান করবে তার ভালবাসায় আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী ও দাসমুক্তির জন্য এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করবে, অর্থ-সংকটে, দুঃখ-কষ্টে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করবে। তারাই সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী।
(২ঃ২১৫) ‘যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন এবং মুসাফিরদের জন্য। উত্তম কাজের যা কিছুই তোমরা কর আল্লাহ্‌ সে সম্পর্কে সম্যক অবগত।
(৮ঃ৪১) যুদ্ধে যা তোমরা গনীমত হিসেবে লাভ করেছ ,তার এক-পঞ্চামাংশ আল্লাহ্‌র, রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিসকীনদের এবং সফরকারীদের।
(৫৭ঃ৭) আল্লাহ্‌ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে ‘ফায়’ হিসেবে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহ্‌র, রাসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিসকীন ও পথচারীদের।
(৪ঃ৮) সম্পত্তি বন্টনকালে আত্মীয়, ইয়াতীম এবং অভাবগ্রস্ত লোকদের উপস্থিত থাকলে তাদেরকে তা থেকে কিছু দিবে এবং তাদের সাথে সদালাপ করবে।

বন্টন পদ্ধতি বা পরিমানঃ
‘গানিমতুম’ থেকে ‘গানিমা’ অর্থ যেকোনো ইনকাম, উপার্যন বা সম্পদ বুঝায়।
‘গনীমত’ (৮ঃ৪১) ‘যুদ্ধে যা তোমরা গনীমত হিসেবে লাভ করেছ ,তার এক-পঞ্চামাংশ’ অর্থাৎ ১০০ টাকায় ২০ টাকা বা ২০%.

যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অর্জন ৩ ভাবে কোরআন এ বর্নিত হয়েছে।
১. ‘গনীমত’ (৮ঃ৬৯) তোমরা যে গনীমত লাভ করেছ তা বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর।
২. ‘ফাই’ বা যা বিনা যুদ্ধে বা চুক্তির মাধ্যমে অর্জিত,
(৫৭ঃ৭) আল্লাহ্‌ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে ‘ফায়’ হিসেবে যা কিছু দিয়েছেন তা আল্লাহ্‌র।
৩. ‘আনফাল’ (৮ঃ১) লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে আনফাল (যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ) সম্বদ্ধে; বলুন, ‘ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আল্লাহ্‌ এবং রাসূলের।

কখন যাকাত দিবো?
(৬ঃ১৪১) যখন ফলবান হবে তখন সেগুলোর ফল খাবে এবং ফসল তোলার দিন সে সবের হক প্রদান করবে।

অর্থাৎ যেদিন ইনকাম হবে সে দিন এর হক প্রদান করতে হবে, এটা প্রত্যহিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক হতে পারে অথবা বাৎষরীকও হতে পারে।

স্বর্ন ও রৌপ্য প্রসঙ্গঃ
(৯ঃ৩৪) যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।

অর্থাৎ ব্যাবহায্য ব্যতীত কোন স্বর্ন-রৌপ্য জমা রাখা যাবে না।

সম্পদ জমা করা যাবে নাঃ
(১০৪ঃ২) যে সম্পদ জমায় ও তা বার বার গণনা করে।
(১০৪ঃ৪) সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায় (প্রজ্বলিত আগুন)
(২ঃ১৯৫) তোমরা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় কর এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। আর তোমরা ইহ্‌সান কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসীনদের ভালবাসেন।

যারা যাকাত অস্বীকার করে তারা আখেরাতও অস্বীকারকারীঃ
(৪১ঃ৭) যারা যাকাত প্ৰদান করে না এবং তারাই আখিরাতের সাথে কুফরিকারী।
(৪ঃ৩৯) আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনলে এবং আল্লাহ তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করলে তাদের কি ক্ষতি হত?
(৩৬ঃ৪৭) যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় কর’ তখন কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, ‘যাকে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে খাওয়াতে পারতেন আমরা কি তাকে খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছ।’
(৯ঃ৯৮) তারা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে তা জরিমানা গণ্য করে এবং তোমাদের বিপর্যয়ের প্রতীক্ষা করে।

যারা যাকাত পারিশোধ করে তারাই পরকাল বিস্বাসীঃ
(২৭ঃ৩) যারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় আর তারাই আখেরাতে নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।
(৪ঃ১৬২) সালাত প্রতিষ্ঠাকারী, যাকাত প্রদানকারী এবং আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনয়নকারী, তাদেরকে অচিরেই আমরা মহা পুরস্কার দেব।
(৫ঃ১২) তোমরা যদি সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, আমার রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন, তাঁদেরকে সম্মান-সহযোগিতা কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান কর, তবে আমি তোমাদের পাপ অবশ্যই মোচন করব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত’।

পরিশেষে আমাদের চাওয়া হচ্ছেঃ
(৬৩ঃ১০) আমরা তোমাদেরকে যে রিফিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে। তোমাদের কারও মৃত্যু আসার আগে। (অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে)
‘হে আমার রব ! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদাকাহ দিতাম ও সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম !

লিমিটেশনঃ ‘যাকাত’, ‘সাদাকাহ’ এবং ‘দান’ এর মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য আছে কি না আমার জানা নাই।
আমি কোন মুফতি, শায়েখ বা কোন আলেম নই যে, যাকাতের মত এত বিশাল বিষয়ে আমার জ্ঞান রয়েছে,
তবুও নিজে কোরআন পড়ে যা উপলব্ধি করলাম, তা উপস্থাপন করেছি মাত্র।
ভুল ত্রুটি শুধরে দিলে ‘সীরাতুল মুস্তাকীম’ (সঠিক পথ) পেতে সহজ হবে।

Collected

Zakat. Amirul. Bangla

Amirul Islam satya gopon

.

Mohammd Sobuz যাকাত অর্থ পবিত্র, পরিশুদ্ধ (১৮:৮১; ১৯:১৩)। আতা অর্থ দেওয়া। এ অর্থে ‘যাকাত দেওয়া’ বলতে আমি ‘অর্থ’ দেওয়াকেই বুঝেছি। কারণটা নিচে দেওয়া হলো। তবে মু’মিন ভাই-বোনদের নিকট সবিনয় অনুরোধ- আমার ভুল হলে তা শুধরিয়ে নেওয়ার জন্য মতামত দিবেন।
সমাজে কিছু দেওয়া প্রচলিত আছে, যেমন-

১. চাঁদা দেওয়া, ২. ট্যাক্স দেওয়া, ৩. মুষ্টির চাল দেওয়া, ৪. (বিদ্যুত/ টেলিফোনের) বিল দেওয়া, ৫. বেতন দেওয়া, ৬. ঋণ দেওয়া, ৭. দাদন দেওয়া ৮. সূদ দেওয়া, ৯. ভাড়া দেওয়া, ১০. সদকা দেওয়া ইত্যাদি। এর বিপরীত অর্থও হয়। ভিন্ন ভিন্ন দেওয়া / নেওয়া জিনিষের নাম। তেমনটি যাকাতও একটি দেওয়া /নেওয়া জিনিষের নাম।

আতা অর্থ দেওয়া। যেমন-
১. হক (ফসল) দেওয়া (৬:১৪১);
২. রাজ্য দেওয়া (৪:৫৪);
২. সম্পদ (মাল) দেওয়া (৯২:১৮)।

কুরআনে ‘যাকাত’ দেওয়ার জিনিস-
১. ‘মানুষের ধনে (সম্পদে/মালে) বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা যে সূদ দিয়ে থাকো, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা বৃদ্ধি করে না। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তোমরা যে যাকাত দিয়ে থাক, তারাই সমৃদ্ধিশালী (৩০:৩৯)। উপরোক্ত আয়াতে সম্পদকে ‘যাকাত’ বলা হয়েছে এবং ‘যাকাত’ দেওয়ার জিনিস।
২. আল্লাহ সূদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং সদকাকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না (২:২৭৬)। উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে ‘সূদ, সদকা ও যাকাত অর্থের সাথে সম্পর্কিত।

১. আতা অর্থ দেওয়া। ইনফাক (নাফাকাহ) অর্থ ব্যয় করা।
২:৩ আয়াতে অর্থ ব্যয় করলে সফলকাম, ৩১:৪ আয়াতে যাকাত দিলে সফলকাম।
(ক) আলিফ-লাম-মীম, এ সে-ই কিতাব, এতে কোন সন্দেহ নাই, মুত্তাকীদের জন্য এ পথ-নির্দেশ, যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে এবং তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে এবং তোমার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা নাযিল করা হয়েছে তাতে যারা ঈমান আনে, তারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী। তারাই তাদের রবের নির্দেশিত পথে আছে এবং তারাই সফলকাম (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-১-৫)।

(খ) আলিফ-লাম-মীম, ‘এগুলো জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত, পথ-নির্দেশ ও দয়াস্বরূপ মুহসীনের (সৎকর্মপরায়ণদের) জন্য; যারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, আর তারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী; তারাই তাদের রবের নির্দেশিত পথে আছে এবং তারাই সফলকাম (সূরা-৩১, লুকমান, আয়াত-২-৫।
উপরের ২:২-৫ আয়াতে সালাতের সাথে ব্যয় এবং ৩১:২-৫ আয়াতে সালাতের সাথে যাকাতের আমল করলে সফলকাম। আমরা কি রিযক থেকে ব্যয় না করে যাকাত (আত্মশুদ্ধি) করব? কিভাবে?

২. আতা অর্থ দেওয়া। ইনফাক (নাফাকাহ) অর্থ ব্যয় করা।
৮:৩ আয়াতে অর্থ ব্যয় করলে মু‘মিন, ৯:৭১ আয়াতে যাকাত দিলে মু‘মিন।
(ক) ‘মু’মিন তো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহ্কে স্মরণ করা হয় এবং তাঁর আয়াত তাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের রবের উপরই নির্ভর করে, যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে; তারাই প্রকৃত মু’মিন। তাদের রবের নিকট তাদেরই জন্য রয়েছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মান জনক রিয্ক (সূরা-৮, আনফাল, আয়াতঃ ২-৪)।

(খ) ‘মু‘মিন নর ও মু‘মিন নারী একে অপরের ওলী (বন্ধু) তারা সৎকার্যের নির্দেশ দেয়, অসৎকার্যে নিষেধ করে, ‘সালাতে কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে ….; আল্লাহ মু‘মিন নর ও মু‘মিন নারীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জান্নাতের— যার নিম্নদেশে নহর প্রবাহিত যেথায় তারা স্থায়ী হবে এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বসস্থানের। আল্লাহর সন্তুষ্টিই শ্রেষ্ঠ এবং তা-ই মহাসাফল্য (সূরা-৯, তাওবা, আয়াতঃ ৭১-৭২)।
উপরের ৮:২-৫ আয়াতে সালাতের সাথে ব্যয় করলে মু’মিন এবং ৯:৭১-৭২ আয়াতে সালাতের সাথে যাকাতের আমল করলে মু’মিন ।

৩. আতা অর্থ দেওয়া। ইনফাক (নাফাকাহ) অর্থ ব্যয় করা।
১৩:২২-২৩ আয়াতে অর্থ ব্যয় করলে জান্নাত, ৪:১৬২ আয়াতে যাকাত দিলে পুরস্কার।

(ক) যারা তাদের রবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্যধারণ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং ভালোর দ্বারা মন্দ দূরীভূত করে, এদেরই জন্য শুভ পরিণাম—স্থায়ী জান্নাত (সূরা-১৩, রাদ, আয়াত: ২২-২৩)।

(খ) ‘তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা ও মু‘মিনগণ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতেও ঈমান আনে এবং রীতিমত সালাত কায়েম করে, রীতিমত যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে, আমি তাদেরকেই মহা পুরস্কার দিব (সূরা-৪, নিসা, আয়াত-১৬২)।

উপরের ১৩:২২-২৩ আয়াতে সালাতের সাথে ব্যয় করলে জান্নাত এবং ৪:১৬২ আয়াতে সালাতের সাথে যাকাতের আমল করলে মহাপুরস্কার।

৪. আতা অর্থ দেওয়া। ইনফাক (নাফাকাহ) অর্থ ব্যয় করা।
১৪:৩১ ও ২:২৭৪ আয়াতে অর্থ ব্যয় করলে; আর ২:২৭৭ আয়াতে যাকাত দিলে ভয় নাই এবং তাদেরকে দুঃখিতও হতে হবে না।

(ক) আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মু’মিন তাদেরকে বল ‘সালাত কায়েম করতে এব আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করতে- সেই দিনের পূর্বে যেদিন কোন ক্রয়-বিক্রয় ও বন্ধুত্ব থাকবে না (সূরা-১৪, ইবরাহীম, আয়াত-৩১)।
যারা তাদের ধনৈশ্বর্য রাত্রে ও দিবসে, গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের পূণ্যফল তাদের রবের নিকট আছে, তাদের কোন ভয় নাই এবং তাদেরকে দুঃখিতও হতে হবে না (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৭৪)।

(খ) যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, তাদের পুরস্কার তাদের রবের নিকট আছে। তাদের কোন ভয় নাই এবং তাদেরকে দুঃখিতও হতে হবে না (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৭৭)।

উপরের ১৪:৩১; ২:২৭৪ আয়াতে সালাতের সাথে ব্যয় এবং ২:২৭৭ আয়াতে সালাতের সাথে যাকাতের আমল করলে তাদের ভয়ও নাই এবং দুঃখিতও হতে হবে না।

আল্লাহ তাঁর কিতাবে ইনফাককে যাকাত বললে সমস্যা নাই। আমি ইনফাককে যাকাত বললে বললেই সমস্যা হবে কেন?

হে মু’মিনগণ! আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর সেই দিন আসার পূর্বে, যেই দিন ক্রয়-বিক্রয় ও বন্ধুত্ব থাকবে না এবং কাফিররাই যালিম (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৫৪)।
আল্লাহ কাফিরকে যালিম বললে সমস্যা নাই, আমি বললে সমস্যা হবে কেন?

আতা অর্থ দেওয়া। যেমন-
১. হক (ফসল) দেওয়া (৬:১৪১); হক আনে হবে কি?
২. রাজ্য দেওয়া (৪:৫৪); রাজ্য আনে হবে কি?
৩. যাকাত দেওয়া (৩০:৩৯); যাকাত (আত্মশুদ্ধি) আনে হবে কি?

আতা অর্থ দেওয়া। ‘যাকাত দেওয়া’, যেমন-
১. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (২:৪৩)।
২. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (২:৮৩)।
৩. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (২:১১০)।
৪. সালাত কায়েম করলে ও যাকাত দিলে (২:১৭৭)।
৫. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (২:২৭৭)।
৬. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (৪:৭৭)।
৭. রীতিমত সালাত কায়েম করে ও রিতীমত যাকাত দেয় (৪:১৬২)।
৮. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (৫:১২)।
৯. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (৫:৫৫)।
১০. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (৯:৫)।
১১. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (৯:১১)।
১২. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (৯:১৮)।
১৩. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (৯:৭১)।
১৪. সালাত কায়েম করতে ও যাকাত দিতে (২১:৭৩)।
১৫. সালাত কায়েম করবে ও যাকাত দিবে (৯:১১)।
১৬. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (২২:৭৮)।
১৭. সালাত কায়েম করতে ও যাকাত দিতে (২৪:৩৭)।
১৮. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (২৪:৫৬)।
১৯. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (২৭:৩)।
২০. সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় (৩১:৪)।
২১. সালাত কায়েম করবে ও যাকাত দিবে (৩৩:৩৩)।
২২. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (৫৮:১৩)।
২৩. সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও (৭৩:২০)।

আল্লাহ বলেন, ‘আর অবশ্যই আমি এ কুরআন বহু বিষয় বার বার বিবৃত করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে; কিন্তু এতে তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায় (১৭:৪১)।

আমি বঝেছি, সম্পদ (মাল) দিলে যাকাত (আত্মশুদ্ধি) হয় (৯২:১৮)।
উপরোক্ত আয়াতগুলো পড়ে আপনারা কি বুঝলেন?
যাকাত (মাল/সম্পদ) দিলে আত্মশুদ্ধি হবে, না যাকাত (সম্পদ/মাল) না দিলে আত্মশুদ্ধি হবে?

সালাত ও যাকাতে দীনের ভাই হয়

By saitya gupon thakana

.

‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ গ্রন্থের সংকলকের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি শুধু যাকাত যাকাত করেন। টাকা ছাড়া কিছুই বুঝেন না।

জবাব-
পৃথিবীতে বহু নেতা (ইমাম) আছেন। টাকা ছাড়া কতজন ইমাম (নেতা) চলতে পারেন? আমার নাম ‘আমিরুল ইসলাম’ অর্থাৎ, শান্তির নেতা। তাই ইমাম হিসাবে আমি সবচেয়ে বেশি প্রচার করি কুরআন অনুসারে সালাত ও যাকাতের কথা। আর এই দু’টি কাজ করলে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিত হওয়া যায়। যেমন-

১. ‘সালাত ও যাকাতে দীনের ভাই হয় (৯:১১; ৪৯:১০)।
২. ‘সালাত ও যাকাতে মু’মিন হয়, জান্নাত নিশ্চিত করে (৯:৭১; ৮:২-৪)।
৩. সালাত ও যাকাতে মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে (৯:১৮)।
৪. ‘সালাত ও যাকাতে ইমামের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে (২১:৭৩)।
৫. ‘দীন ইসলামের শুরু সালাত ও যাকাত দিয়ে (২:১০৯-১১০; ৪:৭৭)।
৬. ‘আল্লাহ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করলেও সালাত ও যাকাতের আমল (২২:৪১)।
৭. ‘আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য সালাত ও যাকাত (২৪:৫৬)।
৮. ‘সঠিক দীনের অনুসারি হলো সালাত ও যাকাতে (৯৮:৫)।
৯. ‘যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন সালাত ও যাকাত (১৯:৩১)।
১০. ‘সর্বাবস্থায় সালাত ও যাকাত (২৪:৩৭)।
১১. ‘আল্লাহ সংগে থাকবেন সালাত ও যাকাতে (৫:১২)।
১২. ‘সালাত ও যাকাতে সফলকাম হয় (৩১:৩-৫)।

মূসা নবি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন-
‘আপনিই আমাদের ওলী; সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি দয়া করুন এবং ক্ষমাশীলদের মধ্যে আপনি তো শ্রেষ্ঠ। আমাদের জন্য নির্ধারিত করুন দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, আমরা আপনার নিকট প্রত্যাবর্তন করেছি। আল্লাহ বললেন, ‘আমার শাস্তি যাকে ইচ্ছা দিয়ে থাকি আর আমার দয়া- তা তো প্রত্যেক বস্তুতে ব্যপ্ত। সুতরাং আমি তা নির্ধারিত করব যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমার আয়াতে বিশ্বাস করে (৭:১৫৫-১৫৬)।
আর আখিরাতে বিশ্বাসী তারা যারা সালাত পড়ে ও যাকাত দেয় / ব্যয় করে (২:২-৪; ২৭:২-৩; ৩১:৩-৪)।
যারা যাকাত দেয় না তার আখিরাতে অবিশ্বাসী (কাফেরুন)/মুশরেকুন (৪১:৬-৭)।

আল্লঅহ বলেন, ‘আর অবশ্যই আমি এই কুরআনে বহু বিষয়ে বার বার বিবৃত করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। কিন্তু এতে তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায় (১৭:৪১)। উপরোক্ত আয়াত অনুসারে আমিও বার বার সালাত ও যাকাতের কথা বলি।

আমি প্রত্যেক মাসে আমার উপার্জনের ২.৫% যাকাত দেওয়া শুরু করি ১৯৮৬ সালে কাটাইখানার মোড়, কুষ্টিয়া, ফারুক কোরেশীর নিকট (১৯৮৬-২০০৪)। উনি কুরআন থেকে আমার প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে যাকাত নেওয়া বন্ধ করলে একাই দিতাম। আমার আয়ের ২০% যাকাত দেই ২০০৮ থেকে এবং স্বঘোশসিত অস্থায়ী ইমাম হিসাবে যাকাত আদায়-বন্টন শুরু করি ১৭/০৪/২০১৪ থেকে।

আপনারাই বলুন- উপরোক্ত আয়াতমালা অনুসারে আমি প্রথমে কুরআনের কি কি প্রচার করব?

কাফির,যালিম,ফাসিক কে বা কারা?+কাফিররাই যলিম।

By Amirul Islam fbfd

আজ শুক্রবার, ০২/০৩/২০১৮ খ্রি: ‘দারুস সালামে’ কুরআন থেকে সংক্ষেপে আলোচনা হয়-
১. কাফির কে বা কারা?
২. যালিম কে বা কারা?
৩. ফাসিক কে বা কারা?
৪. কাফিররাই যলিম।
প্রশ্নোত্তরে ছিল-
৫. সকলকেই কেন যাকাতের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়?
৬. যাকাত-সদকা একা একা নিজ হাতে দিলে কি আল্লাহ কবূল করবেন না?
৭. অধিকাংশ লোক কুরআনের বিধান না মানর কারণ কি?

জবাব-
১. কাফির কে বা কারা?
উত্তর: কুরআনে তিন ধরনের কাফির দেখা যায়-
ক. ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেই না তারাই কাফির (৫:৪৪); সূরা-৫, মায়িদা, আয়াত-৪৪ । [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ‘আল্লাহর কিতাব অনুসারে বিধান না দিলে কাফির।]
‘কেবল কাফিররাই আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে (২৯:৪৭); সূরা-২৯, আনকাবূত, আয়াত-৪৭ ।

খ. ‘যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে ও তাঁর রাসূলদেরকেও এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মধ্যে তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতক বিশ্বাস করি ও কতক অবিশ্বাস করি’ আর তারা মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফির (৪:১৫০-১৫১); সূরা-৪, নিসা, আয়াতঃ ৪:১৫০-১৫১। [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে কুরআনের সাথে নিজেদের মনমত কোন বিষয় যোগ করে ধর্ম বানিয়ে নিলেও কাফির!]

গ. ‘যারা যাকাত প্রদান করে না তারা আখিরাতে (বিশ্বাস করে না) কাফির (৪১:৭)। ‘সম্পদ দিলে যাকাত হয় (৯২:১৮)।

২. যালিম কে বা কারা?
উত্তর: কুরআনে বিভিন্ন ধরনের যালিম দেখা যায়-
ক. ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেই না তারাই যালিম (৫:৪৫); সূরা-৫, মায়িদা, আয়াত-৪৫ । [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ‘আল্লাহর কিতাব অনুসারে বিধান না দিলে যালিম।]

খ. ‘আল্লাহর নিকট হতে তার কাছে যে প্রমাণ আছে তা যে গোপন করে তার অপেক্ষা অধিকতর যালিম আর কে হতে পারে? (২:১৪০)।

গ. ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তাঁর আয়াত প্রত্যাখ্যান করে তার অপেক্ষা অধিক যালিম আর কে? (৬:২১, ৯৩, ১৪৪)।

ঘ. ‘যে কেউ আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যান করে এবং তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার চেয়ে বড় যালিম আর কে? যারা আমার আয়াতসমূহ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় সত্যবিমুখতার জন্য আমি তাদের নিকৃষ্ট শাস্তি দিব (৬:১৫৭)।

ঙ. ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে কিংবা তাঁর আয়াত অস্বীকার করে তার অপেক্ষা বড় যালিম আর কে? (৭:৩৭; ১০:১৭; ১১:১৮; ২৯:৬৮; ৬১:৭)।

চ. ‘কোন ব্যক্তিকে তার রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়ার পর সে যদি তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তার কৃতকর্মসমূহ ভুলে যায় তবে তার অপেক্ষা অধিক যালিম আর কে? (১৮:৫৭)।
ছ. ‘যে ব্যক্তি তার রবের আয়াতসমূহ দ্বারা উপদিষ্ট হয়ে তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক যালিম আর কে? (৩২:২২)। ‘বরং যালিমেরা আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করে (৬:৩৩; ৩৯:৩২)।

৩. ফাসিক কে বা কারা?
ক. ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেই না তারাই ফাসিক (৫:৪৭); সূরা-৫, মায়িদা, আয়াত-৪৭ । [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ‘আল্লাহর কিতাব অনুসারে বিধান না দিলে ফাসিক।]

খ. ‘আমি তোমার প্রতি স্পষ্ট আয়াত অবতীর্ণ করেছি, ফাসিকরা ব্যতিত অন্য কেউ তা প্রত্যাখ্যান করে না (২:৯৯)।

গ. ‘তাদের অধিকাংশই ফাসিক, তারা আল্লাহর আয়াতকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় (দীন নিয়ে ব্যবসা) করে এবং তারা মানুষকে তাঁর পথ হতে নিবৃত করে (৯:৮-৯)।

ঘ. ‘বল, ‘তোমরা স্বেচ্ছায় ব্যয় কর অথবা অনিচ্ছায়, তোমাদের নিকট হতে তা কিছুতেই গৃহীত হবে না; তোমরা তো সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।’ তাদের অর্থ সাহায্য গ্রহণ করা নিষেধ করা হয়েছে এজন্য যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করে, সালাতে শৈথিল্যের সঙ্গে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থ সাহায্য কর (৯:৫৩-৫৪)।

ঙ. ‘আমি শীঘ্রই ফাসিকদের বাসস্থান তোমাদেরকে দেখাব … … তারা সৎপথ দেখলেও তাকে পথ বলে গ্রহণ করবে না, কিন্তু তারা ভ্রান্ত পথ দেখলে তাকে পথ হিসেবে গ্রহণ করবে। এটা এ হেতু যে, তারা আমার আয়াতকে অস্বীকার করেছে (৭:৪৫-৪৬)।

৪. কাফিররাই যলিম। যলিমরাই কাফির।
ক. ‘হে মু‘মিনগণ! আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি তা হতে তোমরা ব্যয় কর সেই দিন আসার পূর্বে,যেই দিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব ও সুপারিশ থাকবে না এবং কাফিররাই যলিম (২:২৫৪)।

খ. `যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা বলে এবং সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে তা আপেক্ষা অধিকা যালিম আর কে? কাফিরদের আবাস্থল কি জাহান্নাম নয়?(৩৯:৩২)।

প্রশ্নোত্তরে ছিল-
৫. সকলকেই কেন যাকাতের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়?

মানুষ একটি উম্মত (জাতি) ছিল এবং আল্লাহ এক উম্মত (জাতি) হতে বলেছেন-

যেমন-
ক. আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ হয় কাফির এবং তোমাদের মধ্যে কেউ হয় মু‘মিন (৬৪:২)।

খ. আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একটি মু‘মিন দল ছিল ….. (২৩:১০৯-১১১)।

গ. যাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি তাদের মধ্যে একদল লোক আছে যারা ন্যায়ভাবে পথ দেখায় এবং ন্যায়ভাবে বিচার করে (৭:১৮১)।

গ. সমস্ত মানুষ ছিল একই ‍উম্মত (জাতি) … (২:২১৩)।

ঘ. ‘তোমাদের এ যে উম্মত (জাতি) এ তো একই উম্মত এবং আমিই তোমাদের রব … (২৩:৫২; ২১:৯২; ১০:১৯)।

ঙ. ‘ইচ্ছা করলে আল্লাহ তোমাদেরকে এক উম্মত (জাতি) করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগীতা কর (৫:৪৮; ১৬:৯৩)।

চ. ‘তোমাদের মধ্যে এমন এক উম্মত (জাতি) হোক যারা কল্যাণের দিকে মানষকে আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে; এরাই সফলকাম (৩:১০৪)।

উররোক্ত আয়াতগুলো অনুসারে এক স্রষ্টার, একই বিশ্বে, একই সংবিধান কুরআনের মাধ্যমে এক উম্মত (জাতি) গঠন করার জন্য আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। নিচের আয়াতটি মনোযোগসহকারে পড়ুন-

‘আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে (ইমামকে) যা কিছু দিয়েছেন তা- ১. আল্লাহর, ২. রাসূলের, ৩. স্বজনদের (৯:১১), ৪. ইয়াতিমদের, ৫. মিসকিনদের ও ৬. পথচারীদের, যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান কেবল তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল (ইমাম) তোমাদের যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর (৫৯:৭)।

উপরোক্ত আয়াতে ‘রাসূল/ইমাম তোমাদের যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর।’
উক্ত আয়াত অনুসারে সকলকেই অর্থ দিতে হবে এবং ন্যায় ভাবে দিতে হবে। তাই আমি যাকাত দাতাদের মধ্যে মাথাপিছু বন্টন করি।

এর ফলে-
ক. ধনী বেশি দিয়েছিল, পেল কম। সে বুঝতে পারল আমার দীনের ভায়েরা অনেক কষ্টে আছে। ফলে সে অতিরিক্ত সদকা দিবে। এই সদকা দীনের দরিদ্র ভাইদের মধ্যে ৮ খাতে ব্যয় হবে (৯:৬০)।

খ. দরিদ্র কম দিয়েছিল, পেল বেশি। ফলে সে বুঝতে পারল আমার দীনের ভাইদের আয় বেশি নয়। তাদের আয় বেশি হলে আমি ভাতা বেশি পেতাম।

সকলের একটি দায়িত্ব আছে, তা হলো-
লোকে তোমাকে প্রশ্ন করে তারা কী ব্যয় করবে। বল, ‘যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় করবে তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিত এবং মুসাফিরদের জন্য … (২:২১৫)।

যাকাত-সদকা বন্টন পদ্ধতি যেমন কার কাছে কি পরিমাণ সম্পদ আছে তা জানা যাবে। ফলে কেন্দ্র থেকে এক ধরনের ব্যয় হচ্ছে। আর ভাতা পাওয়ার ফলে তারাও উক্ত সম্পদ নিজ হাতে ব্যয় করতে পারছে। এর ফলে সমাজে দাতার সংখ্যা বাড়বে এবং সকলের মধ্যে সাহায্য-সহযোগীতার হাত বাড়বে, সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।

৬. যাকাত-সদকা একা একা নিজ হাতে দিলে কি আল্লাহ কবূল করবেন না?

আল্লাহ এক উম্মত (জাতি) হতে বলেছেন। ফলে একজন ইমামকে বিশ্বাস করতেই হবে, অথবা নিজেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।

আল্লাহ বলেন, `তাদের সম্পদ হতে সদকা গ্রহণ কর। এর দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র কর ও পরিশোধিত কর। তাদেরকে দু‘আ কর। তোমার দু‘আ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর।, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তো তাঁর বান্দাদের তওবা কবূল করেন এবং সদকা গ্রহণ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ (৯:১০৩-৪)। উপরোক্ত আয়াত অনুসারে রাসূলের/ইমামের নিকট যাকাত-সদকা দিলেই আল্লাহ কবূল করেন।

যারা বিশ্বাস না করে একা একা ব্যয় করবে তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ বলেন-
‘আল্লাহর পথ হতে মানুষকে নিবৃত্ত করার জন্য অবিশ্বাসীরা তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে; অতঃপর তা তাদের মনস্তাপের কারণ হবে, এর পর তারা পরাভূত হবে এবং যারা অবিশ্বাস করে তাদেরকে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে। এ এজন্য, আল্লাহ কুজনকে সুজন হতে পৃথক করবেন এবং কুজনদের এককে অপরের উপর রাখবেন, অতঃপর সকলকে স্তুপীকৃত করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন, এরাই ক্ষতিগ্রস্ত (৮:৩৬-৩৭)।

৭. অধিকাংশ লোক কুরআনের বিধান না মানর কারণ কি?

‘যারা যাকাত প্রদান করে না তারা আখিরাতে (বিশ্বাস করে না) কাফির (৪১:৭)। আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না (১৬:১০৭)। আর কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থই হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।
‘তুমি যখন কুরআন পাঠ কর তখন তোমার ও যারা আখিরাত বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে এক প্রচ্ছন্ন পর্দা রেখে দেই। আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়েছি যেন তারা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদেরকে বধির করেছি … … (১৭:৪৫-৪৬)। সুতরাং ইমামের নিকট যাকাত-সদকা দিয়ে নিজের প্রচ্ছন্ন পর্দা নিজেকেই উন্মোচিত করতে হবে।

যাকাত ও জিযয়া এক-পঞ্চমাংশ, মুসলিদের জন্য অতিরিক্ত সদকা

যাকাত ও জিযয়া এক-পঞ্চমাংশ, মুসলিদের জন্য অতিরিক্ত সদকা।

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সালাত ও যাকাত (২:১০৯-১১০)। কেউ এই দু’টি কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করলে হিজরত, আর সামর্থ্য (৮:৬৫-৬৬) থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (৪:৭৭)। আর যুদ্ধ চলবে দীন (৯৮:৫) প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত (২:১৯০, ১৯৩)। দেখুন-

১. ‘অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে, তাদেরকে বন্দী করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁত পেতে থাকবে। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালূ (সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-৫)।

উপরোক্ত আয়াতে সালাত ও যাকাত এ দুইটির জন্য যুদ্ধ। কিন্তু যারা মরে গেলেও দীনের অনুসরণ করবে না তাদের জন্য নিচের আয়াত।

২. ‘যাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহে ঈমান আনে না ও আখিরাত দিবসেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম গণ্য করে না; তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে স্বহস্তে জিযয়া দেয় (সূরা-৯, তাওবা, আয়াত-২৯)।

উপরোক্ত আয়াত দুইটি অনুসারে মুসলিমদের জন্য সালাত ও যাকাত; আর অমুসলিমদের জন্য জিযয়া।

যাকাত ও জিযয়ার পরিমাণ কত? আল্লাহ বলেন-

‘কিতাবে কিছুই আমি বাদ দেইনি (৬:৩৮; ১০:৬১; ৩৪:৩)। ‘সুস্পষ্ট কিতাবে সব কিছুই আছে (১১:৬; ২৭:৭৫)। ‘আমি তো মানুষের জন্য এ কুরআনে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত দিয়েছি (১৭:৮৯; ১৮:৫৪; ৩৯:২৭)।

সুতরাং আল্লাহর কিতাবে নির্দিষ্ট ব্যয় (৭০:২৪) গণিমত (৮:৪১) নামে এক-পঞ্চমাংশ। ‘আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে যা কিছু দিয়েছেন তা- ১. আল্লাহর, ২. রাসূলের (ইমামের-২১:৭৩), ৩. স্বজনদের (দীনি ভাইদের-৯:১১), ৪. ইয়াতিমদের, ৫. মিসকিনদের ও ৬. পথচারীদের, যাতে তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান কেবল তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে। রাসূল (ইমাম) তোমাদের যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর; আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর (৫৯:৭)। [ইমামের নিকট এলাকার সবাই যাকাত / জিযয়া দিলেই সম্ভব অভাবীদের চেনা ও উক্ত ৬ খাতে ব্যয় করা]।

যারা আল্লাহর জান্নাতে যেতে চায় তারা সালাত পড়বে, ইমামের নিকট তাদের আয়ের এক-পঞ্চমাংশ যাকাত হিসাবে দিবেন এবং অতিরিক্ত সদকা (৯:১০২-১০৪) দিয়ে সৎকর্মপায়ণ হবেন (৯:৭৫; ৬৩:১০)। সদকা দিলেই হবেন সৎকর্মপায়ণ। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকার্য করে তারাই জান্নাতবাসী, তাহারা সেখানে স্থায়ী হবে (২:৮২)।

Fm fbfd

যা সম্পদ(গণিমাত) তোমরা পাও তার এক পঞ্চমাংশ… মিসকীন,মূসাফিরের জন্য-8:41

by A S Saloon fbfd

আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু।
☆☆সুরা আনফাল:41- আর তোমরা জেনে রেখ যে, যা কিছু সম্পদ(গণিমাত) তোমরা পাও তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তাঁর রাসূল, (রাসূলের) নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন এবং মূসাফিরের জন্য – যদি তোমরা ঈমান এনে থাক আল্লাহর প্রতি এবং যা আমি অবতীর্ণ করেছি আমার বান্দার উপর সেই চুড়ান্ত ফাইসালার দিন, যেদিন দু‘দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
///////কুরআন অনুযায়ী যখনই সম্পদ হাতে আসবে তখনই তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ আল্লাহর নির্ধারিত খাতে ব্যয় করতে হবে।
^^^^^^প্রচলিত হাদীস দেখুন-

‘যে ব্যক্তি কোন মাল লাভ করেছে তার সে মালে যাকাত দেয় হবে না যাবত না তার বর্ষ গোজরিয়া যায় ‘(তিরমিজি) মেশকাত-4/1695।
☆☆সুরা আ’রাফ:52- আর আমি তাদের নিকট এমন একটি কিতাব পৌঁছিয়েছিলাম যাকে আমি স্বীয় জ্ঞান দ্বারা বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলাম এবং যা ছিল মু’মিনদের জন্য পথ নির্দেশ ও রাহমাতের প্রতীক।
#### আল্লাহ্ কি কুরআনে কোথাও বলেছেন কুরআনে সব সংক্ষেপ!!!

তাই মানুষ বিস্তারিত খুঁজতে হাদীসে যায়!!!!
☆☆—–এই সব ফল তোমরা আহার কর যখন ওতে ফল ধরে, আর তা হতে ফসল কাটার দিন তার হক প্রদান করবে এবং অপচয় করবেনা; নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (6:141)
☆☆’যাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের;-(70:24-25)
#### আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী আপনার সম্পদের নির্ধারিত অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করুন!
☆☆ “”তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনই কল্যাণ লাভ করতে পারবেনা; এবং তোমরা যা কিছুই ব্যয় কর, আল্লাহ তা জ্ঞাত আছেন।””(3:92)

Zakat

By Romjan Hussoin fbfd 

সালাতীদের (নামাজিদের) ভয় দেখাও যাতে তারা যাকাত দেয় (পরিশুদ্ধ / পবিত্র হয়)।

যাকাত, যাক্কা বা যাক্কি শব্দের অর্থ পবিত্র, পরিশোধন, পরিশুদ্ধ।
১. ‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত দেয় না (পরিশুদ্ধ হয় না) এবং তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী (কাফির) [৪১:৬-৭]; সূরা-৪১, হা-মীম, আস-সাজদা, আয়াতঃ ৬-৭। কাফির অর্থ অবিশ্বাসী বা নাস্তিক। ‘আল্লাহ কাফিরদের হেদায়েত করেন না (১৬:১০৭-১০৯)। কাফিররা কুরআন বুঝতে পারে না (১৭:৪৫-৪৬)। কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থ হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।

আমাদের যাকাত প্রদান না করে কাফির হয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত হবে কি?
২. ‘ফির‘আওনের নিকট যাও, সে তো সীমালংঘন করেছে,’ এবং বল, ‘তোমার কি আগ্রহ আছে যে, তুমি পবিত্র হও (যাকাত দাও) [৭৯:১৭-১৮]; সূরা-৭৯, নাযি’আত, আয়াতঃ ১৭-১৭।

‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত দেয় না (পরিশুদ্ধ হয় না) এবং তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী (কাফির) [৪১:৬-৭]; সূরা-৪১, হা-মীম, আস-সাজদা, আয়াতঃ ৬-৭। কাফির অর্থ অবিশ্বাসী বা নাস্তিক। ‘আল্লাহ কাফিরদের হেদায়েত করেন না (১৬:১০৭-১০৯)। কাফিররা কুরআন বুঝতে পারে না (১৭:৪৫-৪৬)। কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থ হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।

আমাদের যাকাত প্রদান না করে কাফির হয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত হবে কি?
৩. যে স্বীয় মাল (সম্পদ) দান করে যাকাতের (আত্মশুদ্ধির / পবিত্রতার) জ্ন্য, এবং তার প্রতি কারও অনুগ্রহের প্রতিদানে নহে, কেবল তার মহান রবের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়; সে তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে (৯২:১৮-২১); সূরা-৯২, লায়ল, আয়াতঃ ১৮-২১।

‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত দেয় না (পরিশুদ্ধ হয় না) এবং তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী (কাফির) [৪১:৬-৭]; সূরা-৪১, হা-মীম, আস-সাজদা, আয়াতঃ ৬-৭। কাফির অর্থ অবিশ্বাসী বা নাস্তিক। ‘আল্লাহ কাফিরদের হেদায়েত করেন না (১৬:১০৭-১০৯)। কাফিররা কুরআন বুঝতে পারে না (১৭:৪৫-৪৬)। কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থ হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।

আমাদের যাকাত প্রদান না করে কাফির হয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত হবে কি?
৪. ‘নিশ্চয়ই সাফল্য লাভ করবে যে পবিত্রতা অর্জন করে (যাকাত দেয়) এবং তার রবের নাম স্মরণ করে ও মুসল্লি হয়। কিন্তু তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দাও, অথচ আখিরাতই উৎকৃষ্টতর ও স্থায়ী (৮৭:১৪-১৭)।  ‘সে-ই সফল কাম হবে, যে নিজকে পরিশুদ্ধ করেবে ( যাকাত দিবে), এবং সে-ই ব্যর্থ হবে, যে নিজকে কলুয়াচ্ছন্ন করবে (৯১:৯-১০)।

‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত দেয় না (পরিশুদ্ধ হয় না) এবং তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী (কাফির) [৪১:৬-৭]; সূরা-৪১, হা-মীম, আস-সাজদা, আয়াতঃ ৬-৭। কাফির অর্থ অবিশ্বাসী বা নাস্তিক। ‘আল্লাহ কাফিরদের হেদায়েত করেন না (১৬:১০৭-১০৯)। কাফিররা কুরআন বুঝতে পারে না (১৭:৪৫-৪৬)। কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থ হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।

আমাদের যাকাত প্রদান না করে কাফির হয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত হবে কি?
৫. ‘যে তার রবের নিকট অপরাধী হয়ে উপস্থিত হবে তার জন্য তো আছে জাহান্নাম, সেথায় সে মরবেও না, বাঁচবেও না। যারা তাঁর নিকট উপস্থিত হবে মু‘মিন অবস্থায় সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আছে সমুচ্চ মর্যদা—স্থায়ী জান্নাত, সেথায় তারা স্থায়ী হবে এবং এ পুরস্কার তাদেরই, যারা পবিত্র (যাকাত); সূরা-২০, তা-হা, আয়াতঃ ৭৪-৭৬।

‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত দেয় না (পরিশুদ্ধ হয় না) এবং তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী (কাফির) [৪১:৬-৭]; সূরা-৪১, হা-মীম, আস-সাজদা, আয়াতঃ ৬-৭। কাফির অর্থ অবিশ্বাসী বা নাস্তিক। ‘আল্লাহ কাফিরদের হেদায়েত করেন না (১৬:১০৭-১০৯)। কাফিররা কুরআন বুঝতে পারে না (১৭:৪৫-৪৬)। কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থ হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।

আমাদের যাকাত প্রদান না করে কাফির হয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত হবে কি?
৬. ‘যারা ঈমান আনে, আমেলূ সালেহ (সৎকর্ম) করে, সালাতে (প্রার্থনাতে) দাঁড়ায় এবং যাকাত দেয়, তাদের পুরস্কার আছে তাদের রবের নিকট। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না (২:২৭৭); সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৭৭।

‘দুর্ভোগ মুশরিকদের জন্য, যারা যাকাত দেয় না (পরিশুদ্ধ হয় না) এবং তারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী (কাফির) [৪১:৬-৭]; সূরা-৪১, হা-মীম, আস-সাজদা, আয়াতঃ ৬-৭। কাফির অর্থ অবিশ্বাসী বা নাস্তিক। ‘আল্লাহ কাফিরদের হেদায়েত করেন না (১৬:১০৭-১০৯)। কাফিররা কুরআন বুঝতে পারে না (১৭:৪৫-৪৬)। কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থ হয় (১৩:১৪; ৪০:৫০)।

আমাদের যাকাত প্রদান না করে কাফির হয়ে মৃত্যু বরণ করা উচিত হবে কি?