Hadith vs Quran

Sourse Link

হাদিস মানার আগে জানুন। কার হাদিস মানবেন? কারহাদিস বর্জন করবেন। মানব রচিত হাদিস মান্য কারিরা হাক্কানি কাফির।
দলিল লিংকে।
♦♦♦♦♦♦♦♣
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/116790780074747/

হাদিস মানার আগে জানুন কার হাদিস মানবেন?আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের হাদিস? হাদিস মানে কি?

((আল্লাহর স্মরনে সিজদাই সালাত
♦♦♦♦♦♦♦
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/138835881203570/ ))


♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
যারা হাদিসের নামে কুরআন বা কুরআনের সাথে সম্পর্কহীন বুখারীদের তৈরি কথাকে হাদিস মনে করে, আল্লাহর কথা বাদ দিয়ে- আলেমদের তথা মানব রচিত কথায় ইবাদত করেন, তারা আগে কুরআনের নিম্মলিখিত আয়াতগুলির অর্থ ঈমান নিয়ে পড়ে যাচাই করুন- আপনি কার হাদিস মানবেন? আল্লাহর হাদিস? নাকি বুখারিদের তৈরি করা হাদিস? কুরআন মতে হাদিস দুই প্রকার। ১. কুরআন নিজেই আহসানাল হাদিস বা উত্তম বানি ৩৯ঃ২৩। ২. লাউয়াল হাদিস বা অসার বানি ৩১ঃ৬।কুরআন নিজেই নবীর হাদিস বা বানি ৬৯ঃ৪০/ ৮১ঃ১৯। কুরআন আল্লাহর বানি তার পক্ষে সমর্থিত আয়াত ৬৯ঃ৪২-৪৪/২৯ঃ৪৬-৪৯।।
আরো দেখুন কুরআন রাসুলের / আল্লাহর হাদিস বা বানি তথা নিস্নের আয়াত গুলিতে হাদিস শব্দ দেখতে পাবেনঃ= ৪ঃ৪২/৪ঃ৭৮/৪ঃ৮৭/৪ঃ১৪০/৪৭ঃ৮/৬ঃ৬৮/৭ঃ১৮৫/১২ঃ১১১/১৮ঃ৬/২০ঃ৯/৩১ঃ৬/৩৩ঃ৫৩/৩৯ঃ২৩/৪৫ঃ৬/৫১ঃ২৪/৫২ঃ৩৪/৫৩ঃ৫৯/৫৬ঃ৮১/৬৬ঃ৩/৬৮ঃ৪৪/৬৮ঃ৫০/৭৮ঃ১৫/৭৯ঃ১৫/৮৫ঃ১৭/৮৮ঃ১।

♦হাদিসঃ = হাদিস মানে বানি , কথা, মেসেজ, খবর, বার্তা, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, ট্রেডিশন, বিবৃতি, বর্ননা, বচন, কথন, । ফলে উল্লেখিত আয়াত সমুহ দ্বারা প্রমানিত হয় যে কুরআন নিজেই হাদিস বা আল্লাহর বানি।

কিছু ধর্মান্ধ পন্ডিতদের কথা, লিখা, কমেন্টে মনে হয় আরবি হাদিস শব্দটি শুধু নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর আমলে উৎপত্তি লাভ করেছে। তাদের মতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর কথা কাজ সম্মতি কে হাদিস বলে। তাদের এই সংজ্ঞা সার্বজনিন নয়, সার্বকালিন নয়। অর্থাৎ এই সংজ্ঞা যথার্থ নয়। কারন হাদিস শব্দটি আরবি ভাষা সৃষ্টির লগ্ন হতেই আরবি অভিধানে ছিল, আছে, থাকবে। কাজেই আরবি হাদিস শব্দটির অর্থ যেহেতু কথা, বানি, ইতিহাস, ইতিবৃত্ত, কালাম, যেহেতু শব্দটি নবীজির আবির্ভাবের আগে থেকেই ছিল সেহেতু কুরআন নিজেই হাদিস বা বানি। আর আল্লাহ + নবীর সেই বানিটিই হল কুরআন, যার দলিল উপরে দেয়া হয়েছে।

সুতরাং হাদিস মানে বুখারিদের কয়টা কথা শুধু নয়।দ্বীনের ক্ষেত্রে মানব রচিত যাবতীয় বিধান বর্জনীয়। কেননা দ্বীনের বিধান দিতে হবে কুরআন হতে মর্মে বহু আয়াত কুরআনে উল্লেখ আছে ২ঃ৭৮-৭৯/২৫৬/৬ঃ৫০-৫৫/৭০/৮৪/২১ঃ৮৩/৩৯ঃ২৭/৪৩ঃ৪৩/৫০ঃ৪৫/১৮ঃ২৭।দ্বীনের সকল ফায়সালা হবে কুরআন মাফিক ৮৬ঃ১৩। অনেকে বলেন বেশির ভাগ মানুষই তো মানব রচিত হাদিস অনুসরন করে।এই অধিকাংশ লোকের কথায়, মতে চলা লোকদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন, যারা অধিকাংশ লোকের কথা মত চলে তারা আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত হবে ৬ঃ১১৬। কেননা, সত্য ও ন্যায়ের দিক হতে আল্লাহর বিধানই পরিপুর্ন ৬ঃ১১৫।

যারা আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যান করে / যারা আল্লাহর আয়াত মানে না-
১. তারা নবী সাঃ এর শত্রু, শয়তান= ৬ঃ১১২।
২. তারা তাগূত- জাহান্নামী =২ঃ২৫৭।
৩. তাদের অবস্থা হাঁপানো কুকুরের মত= ৭ঃ১৭৬।
৪. তারা পুস্তকবহনকারী গাধার মত =৬২ঃ৫।
৫. তারা পশুর মত, বা তার থেকেও বিভ্রান্ত =৭ঃ১৭৯।
৬. তারা নিকৃষ্ট জীব / নির্বোধ জানোয়ার = ৮ঃ২২।
৭.তারা বধির ও মুক, অন্ধকারে রয়েছে =৬ঃ৩৯।
৮. তারা কাফির = ৫ঃ৪৪।
৯. তারা যালিম = ৫ঃ৪৫।
১০. তারা ফাসিক =৫ঃ৪৭।
১১. আল্লাহর আয়াত আসার পর যারা আল্লাহর আয়াত ভুলে থাকবে
তাদেরকে হাসরের মাঠে অন্ধ অবস্থায় উঠানো হবে = ২০ঃ১২৪–১২৭।

যারা কুরআন বর্জন করে বুখারি-মুসলিমদের কথামত সালাতুত তারাবি, সালাতুজ যোহর, সালাতুল আসর ও সালাতুল মাগরিব নামে সালাত পড়েন, তাদের অবস্থা কি একবার ভেবে দেখুন।

♦বিদায় হজের ভাষনে কুরআন + সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে হবে? নাকি কুরআন + মিনহাজা আঁকড়ে ধরতে হবে? এই মর্মে বিভ্রান্তি নিরসনের কুরআন মাফিক ফায়সালা দেখুন নিম্নের লিংকটিতে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=116687840085041&id=114147860339039

♦কুরআনই দ্বীনের একমাত্র দলিল। মানব রচিত হাদিস নামক বিধান, ইজমা, কিয়াস, ফেকাহ ইত্যাদি দ্বীনের কোন দলিল নয়। বিস্তারিত লিংকে
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/116092713477887/
==================================[
♦ ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেকে সুরা নিসার ৪ঃ৫৯/ ৮০ এবং সুরা ইমরানের ৩ঃ৩১আয়াত /সুরা হাসরের ৫৯ঃ৭ সহ ২ঃ১৪৩ /৩ঃ১৮/ ৪ঃ৬৫ / ৪ঃ১১৩ /৪ঃ১১৫ /৬ঃ৭ /৯ঃ১৭ /১০ঃ৮২ /১৫ঃ৯ /১৬ঃ৪৪ /২০ঃ৪৭/ ৩৩ঃ২১/ ৪২ঃ৫১/ ৫৭ঃ২৫/ ৭৫ঃ১৯ আয়াত দ্বারা বুঝাতে চান যে, রাসুলের আনুগত্য করা মানে বুখারিদের উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংগ্রহ কৃত ৬০/৭০ লক্ষ হাদিস হতে সহি নামক ৭২৭৫টি হাদিস মানা। যারা এই হাদিস মানে না তারা রাসুলকে মানেনা, ফলে কুরআন কে মানা হয়না, বিধায় আল্লাহ কেউ মানা হয়না। কিন্তু না, তাদের এই বুঝ ঠিক নয়,ভিত্তিহীন।মিথ্যা, মনগড়া। বিস্তারুত লিংকের ভিতর।
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/114843596936132/
♦===================================
৫৯ঃ৭ সুরা হাশরের ৭ নং আয়াত মতে বুখারি ভক্তরা হাদিস মানা বুঝায়। কিন্তু সে বুঝ ভিত্তিহিন। ৫৯ঃ৭ দ্বারা দান বা বস্তু গ্রহন কে বুঝায়। বিস্তারিত ব্যাখ্যা লিংকে দেখুন, বিভ্রান্তি মুক্ত হউন, সত্য জানুন।

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/122314026189089/

♦দ্বীনের ক্ষেত্রে যারা কুরআন ব্যতিত নিজেদের হাতে রচিত বিধান মানে তারা কুরআন মতে হাক্কানী কাফির। দলিল কুরআন হতেই নিম্নের লিংকটিতে দেখুন।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=118002923286866&id=114147860339039

♦ কুরআন যেমন সত্য, তেমনি মানব রচিত হাদিসও কি সত্য? ২ টি পরস্পর বিরোধী হাদিসের বিশ্লেষন সহ গুরুত্ব পুর্ন আলোচনা লিংকে

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/140729271014231/

♦বোখারীর হাদিস সংগ্রহ ,হাদিসের সংখ্যা, সংকলন এবং অঙ্ক কষে হিসেব মিলেনা মর্মে আলোচনাঃ=

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/141699300917228/

♦সত্য হবে সমহিমায় উদ্ভাসিত। মানব রচিত হাদিসের গোমর ফাঁস হবে পর্ব = ১+২। বিস্তারিত লিংকে

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/140977344322757/

♦ গবেষনার দৃষ্টিতে ৫ উয়াক্ত সালাত মিরাজ হতে আমদানি সংক্রান্ত বুখারিদের হাদিসটি মিথ্যা প্রমানিত হয়ঃ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117638529989972&id=114147860339039

♦ দাড়ি, টিকি, টুপি, জুব্বা, পাগড়ি, ধুতি, জুরির পোশাক ইত্যাদি নাকি সুন্নাত। অন্তত দাড়ি নামা ভিত্তিহিন মর্মে প্রমান দেখুন।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117635269990298&id=114147860339039

♦১০ই মহররম কারবালার শোককে আঁড়াল করার জন্য কতই না মিথ্যার আমদানি করেছে উমাইয়া – আব্বাসীয় রাজ বংশ, তার কিছু দালিলিক নমুনা দেখুন
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=118013109952514&id=114147860339039
♦===================================
যারা বলেন মানব রচিত হাদিসের অনুশীলন না করলে রুকু নিজদা করবো কিভাবে? তারা রুকু সিজদার প্রকৃত অর্থ, প্রক্রিয়া জেনে নিন। প্রচলিত রুকু সিজদা রুপক। https://www.facebook.com/114147860339039/posts/160680782352413/
♦==================================
শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম সমাজ মূর্তিপূজারিদের খেলাফত কর্তৃক ধর্মের বিধান মনের অজান্তে মেনে চলছি।বড়ই অজ্ঞতার গেঁড়াকলে পিষ্ট হচ্ছে মুসলিম জাতিটি। বিস্তারিত লিংকের ভিতর দেখুন।

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/119208683166290/

♦বুখারি—মুসলিম দিগর হাদিস”-এর অনুসারিরাই প্রকৃত হাদিস অস্বীকারকারী ও মুনাফিকঃ=
https://www.facebook.com/114147860339039/posts/145143143906177/
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কুখ্যাত সাহাবীদের সমালোচনা কেন করা যাবেনা, মর্মে হাদিসটির বিশ্লেষন দেখনঃ

https://www.facebook.com/114147860339039/posts/153609959726162/

♦ সিয়াসিত্তা নামে হাদীসের কিতাবগুলোয় হাদীসের নামে রাসুল (সা:)-এর অবমাননা কিভাবে করা হয়েছে একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♣
নিচে বোখারী শরীফে বর্ণিত হাদীসটি পাঠ করে গভীরভাবে চিন্তা করুন, হাদীসটি কতটুকু সহী? হাদীসটি নিচে তুলে ধরা হলো-

” মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহ:) আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা:) তাঁর স্ত্রীগণের কাছে দিনের বা রাতের কোন এক সময় পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারোজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রা:)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি এত শক্তি রাখতেন? আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে। সা’ইদ (রহ:) কাতাদা (রহ:) বর্ণনা করেন, আনাস (রা:) তাদের কাছে হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারোজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন।” (বোখারী শরীফ গোসল অধ্যায়, ২৬৬নং হাদীস)

উপরে উল্লেখিত হাদীসটি রাসুল (সা:)-এর মুখ নিসৃত কোন বাণীই নয়। বরং রাসুল (সা:)-কে নিয়ে নিন্দুকেরা যেভাবে পিছনে সমালোচনা করে, সেইরূপ সমালোচনাই করা হয়েছে কথিত হাদীসটিতে।

কোন পুত্র কি কখনও এরূপ চিন্তা করে যে, তার পিতা কতজন স্ত্রীর সাথে মিলিত হতে সক্ষম? আর রাসুল (সা:) হলেন এমনই একজন, যাঁকে নিজের পিতা-মাতা, স্ত্রী সন্তান, ধন সম্পদ এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও যতক্ষণ কেউ বেশি ভাল না বাসবে, ততক্ষণ কেউ ঈমানদার হতে পারবে না। সেই রাসুল (সা:) কতজন স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার শক্তি রাখেন কোন ঈমানদার কি এমন চিন্তা করতে পারেন? বর্ণিত হাদীসটিতে তারা শুধু চিন্তাই করেনি, পরস্পর এই বিষয় নিয়ে আলোচনাও করত বলে হাদীসটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে যারা এমন আলোচনা করে তারা কি সত্যিই ঈমানদার ছিলো? নাকি রাসুল (সা:)-কে অবমাননা করার জন্য উল্লেখিত সাহাবীগণের নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে?

সাহাবীগণের নাম দিয়ে হাদীসের নামে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। রাসুল (সাঃ) কতজন স্ত্রীলোকের সাথে মিলিত হওয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমন আলোচনা করা কোন সাহাবীর পক্ষে সম্ভব নয়, এটা মোনাফেকদের কাজ। অথচ আমরা বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও তিরমিযী শরীফের হাদীস হলেই অন্ধের মত হাদীসকে সহী হিসাবে বিশ্বাস করি। আসলেই কি এই হাদীসটি বিশ্বাসযোগ্য?
মহানবীর চরিত্র কে খাটো করার ষড়ন্ত্রের অংশ হল হাদিস নামক কেচ্ছা কাহিনি গুলি। কোন পুত্র যেমন তার পিতা তার মায়ের সাথে কোতবার কি করেছে তা শুনতে চায়না, শুনলে লজ্জাবোধ করে, পিতার চরিত্রকে খাটো করা হয়, তেমনি নবী মুহাস্মাদ সাঃ হলেন সমগ্র জগতের নবী। সেই মহামানবের নামে এমন নোংরা গোপন কথা ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানানো ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।

হাদিসের নামে মহানবীর নামে জাল হাদীস তৈরি
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
প্রিয় নবী সাঃ জানতেন যে, তাঁর তিরোধানের পর তাঁর নামে জাল হাদীস প্রচার হবে, তাই তিনি বলে গেছেন,
“আমার নামে প্রচলিত হাদীস যদি কুরআনের ভাবধারার বিরোধী হয় তাহলে জানবে, তা আমার হাদীস নয়।”
[তফসিরে আহমদিয়ার মুকাদ্দামার ৪র্থ পৃ. দ্রষ্টব্য]

হাদীস সংকলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাসূল সা.-এর তিরোধানের দীর্ঘ আড়াই শত বৎসর যাবৎ হাদীস লিখিত আকারে সংকলিত হয়নি।

“হজরত আবু বকর রাঃ একবার হাদীস সংকলনের জন্য মনোনিবেশ করলেন। তিনি প্রায় তিন শত হাদীস সংগ্রহ করেছিলেন। অতঃপর কয়েকটি হাদীস সম্পর্কে তাঁর সন্দেহ হওয়াতে তিনি এ কাজ বন্ধ করে দেন। হজরত ওমর রা ও হাদীস সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ তাঁর মনে হলো, হাদীসসমূহ সংগৃহীত হলে লোকজন কুরআন ছেড়ে হাদীসের দিকেই বেশি আগ্রহান্বিত হবে। তাই তিনি সংগৃহীত হাদীসগুলো নষ্ট করে দেন। উমাইয়া বংশের খলিফা দ্বিতীয় ওমর রাঃ এর আমল থেকেই হাদীস সংকলনের প্রচেষ্টা আরম্ভ হয়। এত দীর্ঘকাল পরে হাদীস সংগ্রহ করায় বিশ্ব মুসলিমের যে ক্ষতির আশংকা ছিলো, সে সর্বনাশ এরই মধ্যে হয়ে গিয়েছিলো। এ মহাসর্বনাশের হোতা ছিলো :
১.তথাকথিত মূঢ় ইসলাম দরদীরা,
২.সাম্প্রদায়িক মাযহাবের নেতৃবৃন্দ,
৩.জালিম শাসকদের পদলেহনকারী আলিমবৃন্দ, আর
৪.ইসলামের শত্রুরা।
শামসুদ্দীন আদ্দাহরী রচিত ‘মিজান-আল-ইতিদাল-ফি নকদ আর রিজাল’ গ্রন্থে হাদীস জালকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে। আহমদ ইবনে হাম্বলের সমকালীন আবু দাউদ (হাদীস সংগ্রাহক আবু দাউদ ভিন্ন ব্যক্তি) অতি বড় আলিম ও কামিল ব্যক্তি ছিলেন…তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং সারারাত আল্লাহর এবাদত করে কাটাতেন। অনেক জাল হাদীস তাঁর নামে চালিয়ে দেওয়া হয় ।
মুহাম্মদ বিন-উক্কাসা এবং মুহাম্মদ বিন-তামিম ১০,০০০-এরও বেশি হাদীস জাল করেছেন (জালালউদ্দিন সুয়ুতি প্রণীত ‘তাদরিব আর-রাভি’)। ওহাব বিন-হাফস অত্যধিক পরহেজগার ছিলেন। কামালিয়াত হাসিলের জন্য তিনি ২০ বৎসর পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির সাথে বাক্যালাপ না করে ইবাদতে কাটান। তাঁর নামেও বহু জাল হাদীস চালানো হয় (ইবনে হাজার আসাকালানি : লিসান আল-মিযান)।

“মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাঃএর ওফাতের এক শতাব্দীর মধ্যেই মুসলমানরা ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। মাযহাবের নেতৃবৃন্দ বা আলিমবৃন্দ তাঁদের বিশ্বাস ও আকিদার সমর্থনে হাদীস জাল করতে থাকেন । মুহাম্মদ বিন-আল-হাসান সুন্নিদের সমর্থনে হাদীস জাল করেন (আল ইসতিয়াব প্রণেতা ইবনে আবদ আলবার)। খারিজিদের বিরুদ্ধবাদী আল-মুহাল্লাব খারিজিদের মতবাদ মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য হাদীস জাল করেন। উমাইয়াদের প্রচলিত রীতিনীতি সমর্থন করে হাদীস জাল করে আউয়ানা বিন-আউকাম (আবু আবদুল্লাহ ইয়াকুত প্রণীত মুজাম আল-আবাদা)। তেমনি আব্বাসীয়দের সমর্থনে জিয়াত বিন-ইব্রাহিম হাদীস জাল করেছে। আবু আল-আয়না মুহাম্মদ আল-কাসিম জাল করেছে শিয়াদের সমর্থনে। মুহাম্মদ-বিন-আল- হোসাইন করেছেন সুফিদের সমর্থনে। মুহাম্মদ-বিন-আল-কাসিম হাদীস জাল করেছে মুরজিয়াদের সমর্থনে।”
[ইসলামী প্রবন্ধমালা, সামশুল আলম, (ইঃ ফাঃ) পৃষ্ঠা ৫০৭-৫০৮]
এ হচ্ছে হাদীস জালের সংক্ষিপ্ত বিবরন ।

♦জাল হাদিসের দৃষ্টান্ত আরো দেখুন।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117704033316755&id=114147860339039♦

হাদিসের গোঁজামিলের / বিভ্রান্তির আর একটি দৃষ্টান্ত দেখুন।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=117643929989432&id=114147860339039
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
অনেকে বলেন মানব রচিত হাদিস না পড়লে নামাজ, রোজা ইত্যাদি করবো কিভাবে? তাদের কথায় প্রমানিত হয় কুরআন অসম্পুর্ন। কিন্তু না, কুরান সস্পুর্ন ৫ঃ৩। তাছাড়া মানব রচিত হাদিস ব্যতীত বাবা আদম আঃ হতে নবী মুহাম্মাদ সাঃ পর্যন্ত মানব রচিত হাদিস সৃষ্টির পুর্বে মানুষ হাদিস ছাড়া এগুলি পালন করেছে নিশ্চিত। কারন পুর্ববর্তি নবী- রাসুলগনের প্রতিও কিতাব নাজীল করা হয়েছিল ১৬ঃ৬৪, পুর্ববর্তি নবী- রাসুলদেরকে সব বলা হয়েছিল ৪১ঃ৪৩, নবী – রাসুল গনের নফসের মৃত্যু পুর্বেওছিল ৩ঃ১৪৪, নবী মুহাম্মাদ সাঃ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করেছেন ৩৯ঃ৩০-৩১, সালাত ,জাকাত পুর্বেও, ছিল ৩ঃ৪৩/২ঃ৮৩/২ঃ১২৫।/ ১৪ঃ৪০, ইবাদত পুর্বেও ছিল ২ঃ৮৩/২১ঃ৭৩/২ঃ১২৫ , সিজদা পুর্বেও ছিল ৩ঃ৪৩, গুনাহ পুর্বেওছিল ৪০ঃ৫৫/৪৭ঃ১৯, দোয়া/ মুনাজাত পুর্বেও ছিল ১৪ঃ৪০/ ২ঃ১২৫/ রুকু + তোয়াফ + ইতিকাফ পুর্বেও ছিল ২ঃ১২৫ / কুরবানি পুর্বেও ছিল ২২ঃ৩৪-৩৫। বিবাহ পুর্বেও ছিল ৭ঃ১৮৯।জাকাত এবং জাকাত প্রদানের নিয়ম পুর্বেও ছিল ২ঃ৮৩/ ২১ঃ৭২-৭৩/১৯ঃ৫৪-৫৫, । মুসলিম বা ইসলাম ধর্ম পূর্বেও ছিল ২২ঃ৭৮ রোজা পুর্বেও ছিল, কারন মা মরিয়ম রোজা পালন করেছে ১৯ঃ২৬ । সালাম পুর্বেও ছিল ৩৭ঃ১৮১/ ১৯ঃ১৫/৩৩/ ৩৭ঃ১৩৭/৩৭ঃ১০৯/ ৩৭ঃ১২০ কাবা, হাজরে আসোয়াদ, মাকামে ইব্রাহীম, শয়তানের প্রতীকি পিলার পুর্বেও ছিল ২ঃ১২৫। কাবা পুর্বেও ছিল ২ঃ১২৫, কবর খনন, দাফন – কাফন প্রক্রিয়া পুর্বেওছিল ৫ঃ৩০-৩১, মিথ্যা- অবজ্ঞা পুর্বেওছিল ৬৭ঃ১৮, নবী- রাসুল – মুানুষকে শয়তানের ধোকা, দাগা, প্ররোচনা পুর্বেওছিল ২ঃ৩৬/৭ঃ২৩/২০ঃ১২১/ ১১ঃ৪৭/ ৭১ঃ২৬-২৮/ ১৪ঃ৩৫-৪১/২৮ঃ১৫-১৬/৩৮ঃ১৮-২৬/৩৮ঃ৩১-৩৬/ ৩৭ঃ১৩৯-১৪৪, কালিমা, সাওম, সবই পুর্বে ছিল এবং পুর্বের বিধান মতে মানুষ মেনে চলেছে। আর এই বিধানের কোন পরিবর্তনও নেই ১৭ঃ৭৭। এই গুলির ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে রাসুল তোমাদের কুরআনের অজানা বিষয় শেখাবেন এবং অন্তরাত্না পরিশুদ্ধ করাবেন ২ঃ১৫১/৩ঃ১৬৪।
বিধায় পুর্নাঙ্গ কুরআন থাকতে, চলমান রাসুল থাততে মানব রচিত বিধান অনুসরন করার কোন হেতু নেই। অনেকে বলেন রাসুল কে অনুসরন করা মানে রাসুলের নামে অসত্য হাদিস অনুসরন করতে হবে এবং যারা এই অসত্য হাদিস অনুসরন করবেনা তারা কাফির, রাসুলের অনুসারি নয়। কিন্তু না, এদের বুঝ কুরআনের বুঝ নয় নিশ্চিত । এদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হচ্ছে যে, নবী মুহাম্মাদ (স.) যা অনুসরণ করেছেন তা যারা অনুসরণ করেন তারাই নবী (স.)-এর অনুসারী। নবী মুহাম্মাদ (স.)-কে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, “হে নবী আপনার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হয় আপনি শুধু তারই অনুসরণ করুন, অন্যকিছু অনুসরণ করবেন না” সুরা আনআম আয়াত ৬ঃ-৫০। কারণ নবী (স.) ওহি ব্যতীত কাউকে সতর্ক করেন নি সুরা আম্বিয়া-২১ঃ ৪৫। আর দ্বীনের বিষয়ে নবী ওহি ব্যতীত কোন কথা বলেন নি ৫৩ঃ৩।তিনি আল্লাহর নামে কোন কিছু বানিয়ে বলেন নি ৬৯ঃ৪৪। যদি দ্বীনের ব্যাপারে কোন কিছু বানিয়ে বলতেন তাহলে আল্লাহ তাঁর দক্ষিন হস্ত ধরে ফেলতেন ৬৯ঃ ৪৫ এবং তাঁর জীবন ধমনী কাটিয়া ফেলতেন ৬৯ঃ৪৬। নবীকে আল্লাহ বলেন, আপনি ওহির অনুসরন করুন ৪৩ঃ৪৩।আর তিনি তো প্রভুর স্পষ্ট প্রমানের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৬ঃ৫৭।আর নবী সাঃ এর জন্য বিধান স্বরুপ এই কুরআনই ২৮ঃ৮৫ এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে বিধান দিতে হবে একমাত্র কুরআন হতে ২ঃ৭৮-৭৯/২৫৬/৬ঃ৫০-৫৫/৭০/৮৪/২১ঃ৮৩/৩৯ঃ২৭/৪৩ঃ৪৩/৫০ঃ৪৫/১৮ঃ২৭

=====================================
মোনাফেক মোয়াবিয়া কর্তৃক জাল হাদিস তৈরির গোমর ফাঁস করি।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦। মোনাফেক মোয়াবিয়া টাকার বিনিময়ে, খারিজিদের দিয়ে মাওলা আলী আঃ কে গুপ্ত হত্যা করিয়ে গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ক্ষমতায় এসে তার দাদা মূর্তি পূজারী উমাইয়ার নামে মুসলিম খিলাফত রাজতন্ত্র কায়েম করে। তা আজও উমাইয়া খিলাফত নামে পরিচিত। মোয়াবিয়ার ২০ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে তার অনুগত লোকদের দিয়ে নিজের প্রশংসার উপর প্রচুর জাল,মিথ্যা হাদিস তৈরি করে।

চতুর মোয়াবিয়ার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিজের পাপকর্ম ঢেকে রাখা। কারণ সে জানতো ইতিহাস কখনো ঢেকে রাখা যাবে না। তাই সে জঘন্যতম কালো ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য, স্বর্ণ মুদ্রার বিনিময়ে জাল হাদিস ও মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে। যাতে তার অন্ধ অনুসারীরা এইসব জাল হাদিস ও মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে তার পক্ষে আনুগত্য স্বীকার করাতে সক্ষম হয়। যুগের কালক্রমে আজও সমাজে সেটাই হয়ে আসছে।তার আর একটি উদ্দেশ্য ছিল খুনি মদ্যপ লম্পট পুত্র ইয়াজিদ কে উত্তর সুরি করে মোয়াবিয়া পরবর্তি সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানো।পরবর্তিতে সে সফল হয়। কারবালার প্রান্তরে নবী বংশ কে ধ্বংস করে খুনি ইয়াজিদ ক্ষমতার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে তার পোষা বেতন খোর মোল্লাহ আলেম দ্বারা মিথ্যা হাদিসের মহাস্তুপ রচনা করে নেয়। এই উদ্দেশ্য প্রনোদিত মানব রচিত হাদিস চাষিরাই হল আমাদের পাকপাঞ্জাতনের মহাদুশমন। এদেরকে চিহ্নিত করার এখন সময়। আর এদের অন্যতম হাতিয়ার হলো, যে মোয়াবিয়াকে কাফের বলবে তাকে সরাসরি শিয়া উপাধি দিয়ে দাও।

হাদিসের সংখ্যা ও সংগ্রহের হিসাব মিলেনাঃ=
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
মুহাম্মাদ (সাঃ) ২৩ বছর ভরে কুরআন প্রকাশ করলেন,১৫ বছর ধ্যান সাধনা করলেন,নামাজের জন্য সময় দিতে হয়েছিল,হজ্জের জন্য সময় দিতে হয়েছিল,গরীব দুঃস্থদের উপকার করতে সময় দিতে হয়েছিল,যুদ্ধে যাওয়াসহ যুদ্ধে সময় ব্যয় করতে হয়েছিল,তার বাল্যকাল ছিল,চাকরী ছিল,রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনায় বিভিন্ন কাজ করতে হয়েছিল, সংসার ছিল,আল্লার আদেশ প্রচার করার সময় দিতে হয়েছিল ইত্যাদি,মতান্তরে রাসুলের(সাঃ) ৬০/৭০ লাখ হাদিস সংগ্রহের কথা সোনা যায়,তাহলে ৬০/৭০ লক্ষ হাদিস কখন প্রকাশ করলেন,তিনি কি আর কোন কাজ করেননি,তিনি কি শুধু অনরগোল কথাই বলেছেন? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।এছাড়া যারা এই হাদিস সংগ্রহ করলেন তাদের জীবদ্দশায় ৬০-৬৫ বছরে কিভাবে ইরান থেকে ১২০০/ ১৫০০ মাইল দুরে গিয়ে সৌদি আরব হতে এতো হাদিস সংগ্রহ করলেন? হাদিস সংগ্রহকারী নিশ্চয়ই ঘরে বসে বসে হাদিস সংগ্রহ করেননি, সংগ্রহের জন্য যেতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়,বিভিন্ন রাবির কাছে, তাছাড়া তৎকালীন সময়ে যাতায়াতের জন্য উট ও ঘোড়া ব্যতিত দ্রুতগামী কোন যানবাহনও ছিলনা, আবার হাদিস সংগ্রহ করে সেটা গ্রহন যোগ্য কিনা সেটার জন্যও নিশ্চয়ই সত্যতা যাচাই করতে হয়েছে, এছাড়া হাদিস সংগ্রহ কারীদের কি বাল্যকাল ছিলনা? , কি সংসার ছিলনা,?আল্লাহ দাসত্ব করেননি,?নিজেদের ব্যক্তিগত কোন কাজ করেননি,?তাদের কি বয়স বেড়ে বৃদ্ধ হতে হয়নি? ইত্যাদি। ,যাই হোক জানার জন্য লিখা, যদি কোন স্ব হৃদয় ব্যক্তি যুক্তি দিয়ে আমার এই অজানা বিষয়ে জানাতেন তবে উপকৃত হতাম।

প্রশ্ন আরো রয়ে যায়, ৬০/৭০ লক্ষ হাদিসের মধ্যে কোন কষ্টি পাথর দিয়ে যাচাই করলেন যে মাত্র ৭২৯৭টি হাদিস সহি? বাঁকি সব জাল? ধানের মধ্যে যেমন চিঁটা, চিঁটার মধ্যে যেমন ধান মিশ্রীত হওয়ার আশংকা থাকে তদ্রুপ জাল হাদিসের মধ্যে সহি এবং সহির মধ্যে জাল মিশ্রিত হওয়ার আশংকা রয়ে যায়না কি?

কারবালার শোক কে অন্য খাতে নেয়ার জন্য ১০ই মহররম কতগুলি খুশির খবর আমদানি করেছে তার ইয়ত্তা নেই। নিম্নে কিছু মিথ্যা কাহিনির নমুনা দেখুন।
ইসলামের ইতিহাসে ১০ মহরম তারিখ কে ইয়াওমে আশুরা বলে নামকরণ করা হয়।
♦১. ১০ই মহররম তারিখে বিশ্ব- ধরিত্রীকে সৃষ্টির সূচনা শুরু করা হয়।
♦২. মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদমকে (আ.) এই ১০ মহরম তারিখে সৃষ্টি করা হয়।
♦৩. আদম ও হাওয়া আঃ ও ইবলিশ কে দুনিয়াতে নিক্ষেপের দিনটিও ছিল ১০ মহরম।
♦৪. আদম ও হাওয়া’র (আ.) সুদীর্ঘ সাড়ে তিনশ বছর পর এই দিনেই আরাফতের মাঠে প্রথম মিলন সংঘঠিত হয়।
♦৫. ১০ই মহরম শুক্রবার দিনে কেয়ামত বা মহাপ্রলয় অনুষ্ঠিত হবে।
♦৬. এই দিনেই সর্বপ্রথম দুনিয়াতে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ হয়।
♦৭.এক কথায় আল্লাহতা’লা জগতের সকল বস্তুসামগ্রী সৃষ্টি করে তাঁর আরশে আজিমে সমাসীন হয়ে প্রভু হিসেবে অভিসিক্ত হন ১০ মহরম তারিখে আশুরার দিনে।

♦৮.এ মাসের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলতও বহুগুণে বেশি। মাহে মহরমের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত পৃথিবীর সূচনাকাল থেকেই আছে এবং কেয়ামত বা মহাপ্রলয় কাল পর্যন্ত থাকবে। ইসলামের পূর্বাপরে এ মাসটি অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাশীল হিসেবে পরিগণিত হয়। আইয়ামে জাহেলিয়াতে আরববাসীরা এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা রক্ষার্থে কোনো প্রকার অন্যায়, অবিচার, জুলুম, অত্যাচার, যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না।
♦৯.মহান আল্লাহতা’লা যে ৪টি মাসকে সম্মানিত করেছেন তা হল জিলক্কদ, জিলহজ, মহরম ও সফর। সেই চারটি মাসের মধ্যে মাহে মহরম অন্যতম ফজিলতপূর্ণ বরকতময় মাস। যার বর্ণনা কুরআন ও হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
♦১০. মাহে মহরমের ১০ তারিখের কিছু ঘটনাবলি যেমন হজরত আদম (আ.) সৃষ্টি, আদম (আ.)-এর বেহেশত প্রবেশ, বাবা আদম ও মা হাওয়া নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণের ভুলের ফলে দুনিয়াতে নিক্ষিপ্ত হওয়া, ৩৫০ বছর পর বাবা আদম ও মা হাওয়ার (আ.) প্রথম মিলন,
♦১১. ১০ই মহররম আরাফাতের ময়দানে আদম-হাওয়ার দোয়া কবুল এবং মুক্তির সুসংবাদের দিন।
♦১২. হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্ম, নমরুদের অগ্নি থেকে মুক্তি, মূসা (আ.) আল্লাহর সাথে কথা বলার সৌভাগ্য অর্জন ও নবুওয়াতি এবং তাওরাত কিতাব লাভ।
♦১৩. নীলনদ পার হওয়া, ফেরাউন সদলবলে নীলনদে ডুবে মরা ১০ ই মহররমে।
♦১৪. আইয়ূব (আ.) ১৮ বছর রোগে ভোগার পর মুক্তি লাভ,
♦১৫. সোলেমান (আ.)-এর বাদশাহি লাভ, দাউদ (আ.)-এর তওবা কবুল, ইয়াকুব (আ.) ও ইউসুফ (আ.) পিতা-পুত্রের মিলন, নুহ (আ.) প্রবল বন্যায় নৌকাতে ৪০ দিন অবস্থানের পর জুদিপাহাড়ে নৌকা ভিড়ানো, ১০ই মহররম।
♦১৬. ইশা (আ.) সশরীরে ৪র্থ আকাশে গমণ, ইউনূস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভসহ যাবতীয় ঘটনা ১০ মহররম তথা আশুরার এই দিনে অনুষ্ঠিত হয়।

♦১৭. মহান আল্লাহতা’লা আশুরার দিন ২৫০০ নবী-রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠান। আবার এই দিনে ২৫০০ নবী-রাসূলের দোয়া কবুল করেন।
♦১৮. ইমাম হাসান- হোসাইনের শাহাদত বার্ষিকি এই দিন।
বাহ!

প্রিয় পাঠক, একটু গভীর ভাবে ভাবুন, মাত্র ১৪০০বছর পুর্বে নবী সাঃ এর জন্ম- ওফাৎ তারিখটি একটি নির্ধারন করতে পারলোনা যারা , একাধিক জন্ম- ওফাৎ তারিখ মতান্তর যোগ করে আবিস্কার করলো। অথচ যখন কোন ক্যালেন্ডার তথা সবচেয়ে পুরাতন গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার আবিস্কার হয়নি তখন এত গুলি খুশির খবরের দিন তারিখ ক্ষন তারা আবিস্কার করলো কিভাবে?

♥হাদিসটি যখনি পড়ি, তখনি চোখে অশ্রুর ফোটা টলমল করে।।।
♦একটি লাভজনক ব্যবসা !

♥মদীনার বাগানগুলোর মধ্যে এক ইয়াতীম ছেলের একটি বাগান ছিল। তার বাগানের সাথে লাগানো বাগানের মালিক ছিলেন আবু লুবাবা নামের এক লোক। সেই ইয়াতীম ছেলেটি নিজের বাগান বরাবর একটি প্রাচীর দিতে গিয়ে দেখল, প্রতিবেশীর একটি খেজুর গাছ সীমানার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। ছেলেটি তার প্রতিবেশীর কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলে সীমানার খেজুর গাছটি কিনতে চাইলো যাতে প্রাচীরটি সোজা হয়। কিন্তু প্রতিবেশী আবু লুবাবা কোনভাবেই রাজী হচ্ছিল না।
কোন উপায় না পেয়ে সেই ইয়াতীম রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এর কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা বুঝিয়ে বললো। আল্লাহর রাসুল ﷺ ডেকে পাঠালেন আবু লুবাবাকে। সে মসজিদে নববীতে আসলে নবী করীম ﷺ সেই খেজুর গাছটি অর্থের বিনিময়ে হলেও ইয়াতীম ছেলেটিকে দিয়ে দিতে অনুরোধ করলেন।
আবু লুবাবা যথারীতি রাজী হলো না। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এক পর্যায়ে তাকে বললেন, “তোমার ভাইকে ওই খেজুর গাছটি দিয়ে দাও। আমি তোমার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছের জিম্মাদার হব।”
বিস্ময়কর হলেও আবু লুবাবা তারপরেও সেই খেজুর গাছ দিতে রাজী হলো না। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এই পর্যায়ে চুপ হয়ে গেলেন। এর চেয়ে বেশী তিনি ﷺ তাকে আর কী বলতে পারেন!
উপস্থিত সাহাবীদের মধ্যে সাবিত (রাঃ)ও ছিলেন। তিনি আবু দাহদাহ নামে পরিচিত ছিলেন। মদীনায় তাঁর খুব সুন্দর একটি বাগান ছিল। প্রায় ৬০০ খেজুর গাছ ছাড়াও একটি মনোরম বাড়ি ও একটি পানির কুয়া ছিল সেখানে। মদীনার সব বড় ব্যবসায়ীদের কাছে আবু দাহদাহ (রাঃ) এর বাগানটি সুপরিচিত ছিল। তিনি স্বপরিবারে সেখানে বসবাসও করতেন।
আবু দাহদাহ (রাঃ) হঠাৎ রাসুলুল্লাহ্ ﷺ -এর কাছে গিয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহ্’র রাসুল ﷺ ! আমি যদি আবু লুবাবার কাছ থেকে ঐ খেজুর গাছটি কিনে এই ইয়াতীমকে দিয়ে দেই, তাহলে আমিও কি জান্নাতে একটি খেজুর গাছের মালিক হবো?’ রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, “হ্যাঁ, তোমার জন্যও জান্নাতে খেজুর গাছ থাকবে।” আবু দাহদাহ (রাঃ) সাথে সাথে আবু লুবাবাকে বললেন, ‘আপনি আমার সেই সম্পূর্ণ বাগানটি গ্রহণ করে সেই খেজুর গাছটি আমাকে দিয়ে দিন।’
আবু লুবাবা ‘দুনিয়াবী’ এই বিনিময় বিশ্বাস করতে পারছিল না! হুঁশ ফিরলেই সে বলল, ‘হ্যাঁ আমি আপনার খেজুর গাছের বাগানটি গ্রহণ করলাম। বিনিময়ে আমার সেই খেজুর গাছটি আপনাকে দিয়ে দিলাম।’
হযরত আবু দাহদাহ (রাঃ) সেই মূহুর্তেই খেজুর গাছটি ইয়াতীম ছেলেটিকে উপহার হিসাবে দিয়ে দিলেন। তারপর রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘হে রাসুলুল্লাহ্ ﷺ ! এখন আমি কি জান্নাতে একটি খেজুর গাছের মালিক হলাম’? রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, “আবু দাহদাহ’র জন্য জান্নাতে এখন কত বিশাল বিশাল খেজুরের বাগান অপেক্ষা করছে।”
বর্ণনাকারী হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, এ কথাটি রাসুলুল্লাহ্ ﷺ এক, দুই বা তিনবার বলেননি; বরং খুশী হয়ে বারবার বলেছেন।
শেষে আবু দাহদাহ (রাঃ) সেখান থেকে বের হয়ে সদ্য বিক্রি করে দেয়া সেই বাগানে ফিরে গেলেন। বাড়ির দরজায় এসে স্ত্রীকে ডাক দিলেন তিনি, ‘হে উম্মে দাহদাহ! বাচ্চাদেরকে নিয়ে এ বাগান থেকে বের হয়ে আসো। আমি দুনিয়ার এই বাগান বিক্রি করে দিয়েছি’। তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আপনি কার কাছে এটি বিক্রি করেছেন? কে কত দাম দিয়ে এটি কিনে নিয়েছে?’
আবু দাহদাহ (রাঃ) বললেন, ‘আমি জান্নাতে একটি খেজুর বাগানের বিনিময়ে তা বিক্রি করে দিয়েছি’। তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘আল্লাহু আকবার! হে আবু দাহদাহ! আপনি অবশ্যই অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা করেছেন’।

[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৫০৪; ইবনে হীব্বান, হাদীস ৭১৫৯; , হাদীস ২৯৬৪; মুস্তাদরাকে হাকীম, হাদীস ২১৯৪]

১.যারা কাঁচ দিয়ে হীরা কাটতে চায়।
১যারা মোল্লাহ দিয়ে মুহাম্মাদ সাঃ কে মাপতে চায়।
৩.যারা ঠাকুর কে দিয়ে শ্রী কৃষ্ণ আঃ কে মাপতে চায়,
৪. যারা পাদ্রী দিয়ে ইসা আঃ কে মাপতে চায়।
৫. যারা খাদেম দিয়ে ওলিকে মাপতে চায়,
৬. যারা চায়ের কাপের চামুচ দিয়ে সমুদ্র সেঁচে শুকাতে চায়।
৭. যারা কুপি বাতিকে সুর্যের আলোর সাথে তুলনা করতে চায়,
৮. যারা কুঁয়ো দিয়ে সমুদ্র মাপাতে চায়।
৯. যারা টিলা দিয়ে হিমালয় মাপতে চায়,

১০. যারা মানব রচিত হাদিস নামক বিধান ২ঃ৭৯/১৭৬ দিয়ে আল্লাহর বানি ২৯ঃ৪৪-৪৯/৬৯ঃ৪০-৪৯+ রাসুলের বানি ৬৯ঃ৪০/৮১ঃ১৯ কুরআন কে খন্ডন করতে চায়, অপুর্নাঙ্গ প্রমান করতে চায় তারা কারা??? তারাই সত্য পথে আছে? নাকি কাফিরের দলে? ?

.♦মানব রচিত হাদিস কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
হাদিসওলা কিতাবিরা নিজেদের হাতে ২ঃ৭৯/১৭৪/১৭৬ মতে কিতাব রচনা করে মানুষকে কর্ম গুনে ৭২/৭৩ কাতারে বিভক্ত করে মাত্র ১ কাতারকে জান্নাতি বলে, এবং বাঁকি ৭১/৭২ কাতারকে জাহান্নামী বলে। এবং প্রতিটি ভাগ স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজেদের কে জান্নাতী দাবি করে, এবং বাঁকি ফেরকাদের জাহান্নামী বলে। কিন্তু কুরআন যদি মানি তাহলে উল্লেখিত ফেরকা কুরআনের সাথে মারাত্বক সাংঘর্ষিক হয়। কারন কুরআনের ৫৬ নং সুরা উয়াকিয়ার ৭-১১ নং আয়াতে তিনটি দলের কথা বলা হয়েছে। ১. ডানের দল= জান্নাতি+ ২. বামের দল = জাহান্নামী + ৩. সম্মক অগ্রবর্তি দল যারা রবের নৈকট্য লাভ করবে। প্রিয় পাঠক, বিচারের ভার আপনাদের উপর অর্পন করছি। কোন্টা মানবেন? মানব রচিত হাদিস মতে ৭২/৭৩ ফেরকাবাজি ? নাকি আল্লাহর কুরআন মতে তিনটি ভাগ ? দ্বীনকে খন্ড খন্ড করে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ” যারা দ্বীন কে খন্ড – বিখন্ড করে দেয় এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয় তাদের ব্যাপারে নবীর কোন সম্পর্ক নেই ৬ঃ১৫৯/৩০ঃ৩২। এই সমস্ত লোকের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি ৩ঃ১০৩-১০৫//৪৩ঃ৬৫।/ ১৫ঃ৯১-৯৩। তারা সত্য থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বহুদুর চলে গেছে ২ঃ১৭৬/২১৩।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
ইসলামের কোন বিশ্বাস, নিয়ম আরোপ (হালাল-হারাম) বা নিরেট সত্যতা প্রমান করতে কুরআনের স্বীকৃতি লাগে।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
দুনিয়ায় সহি-জয়ীফ-জাল মিলে প্রায় ৬০ –৭০ লক্ষ হাদিস রয়েছে। মানুষ তার পছন্দনীয় পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই করে ৭২৯৭ টি হাদিস সহি বলে মনে করে। শিয়া ও সুন্নীদের রয়েছে আলাদা আলাদা সহি হাদিস ভান্ডার, যা একে অপরের কাছে সম্পুর্ণ বাতিল দাবি করে।

একেক মুহাদ্দিসের যাচাই পদ্ধতিরও পার্থক্য রয়েছে। যা আবার করা হয়েছে হাদিসের মুল বর্ননাকারির মৃত্যুর ২/১শ বছর পর। সেকারণে তা পরস্পর বিরোধিও রয়েছে, রয়েছে কুরআনের বিপরিত ও কুরআনের বাইরের আদেশও।

শিয়া, সুন্নি, হানাফি, মালেকি, শাফি ও হাম্বলিতে,সালাফি, অমুক, তমুক বিভাজনের কারনও হাদিসের যাচাই পদ্ধতি, হাদিসের সহিতার সীকৃতি, ব্যাখ্যা ও গ্রহনীয় নিয়ে মতপার্থক্যের কারনে।

যদিও হাদিস চাষিরা ইনিয়েবিনিয়ে সেগুলোকে সত্য প্রমানের চেষ্টা করেন। বলতে চেষ্টা করেন- পরস্পর বিরোধি নাকি বিরোধি নয়, বুঝের ভুল, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।

তথাকথিত আলেম ওলামারা অধিকাংশই ইসলামের বুনিয়াদ দাড়ি-গোফ, চাঁছা – রাখা, ছোটকরা, বড় রাখা, খাওয়া-দাওয়া, কপালে কালো দাগ, মাদ্রাসার শিক্ষা, হাগা-মুতা, ফরজ গোসল, ওজু, রুকু, সিজদা, তারাবির রাকাত ৮ না ২০, কুলুকের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চান। কিন্তু এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদেশ কুরআনে রয়েছে, রয়েছে হাদিসেও, সেগুলো নিয়ে ভাবেন না, আমরা পালনে উদ্যোগীও হই না।অথচ হাদিস চাষি কুরআনের সত্য বিমুখ এই ভড়ং ভাড়ং এর ধারা আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। এরা কৃত্রিম অমুকে এতো ছোয়া – নেকি, তমুকে এত ছোয়াব – নেকি, ফজিলত ইত্যাদি বানিয়েছে। জান্নাতের লোভ, জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে রমরমা ধর্ম ব্যবসা করে যাচ্ছে। এই চকচকে ভড়ং ভাড়ং এর দল কারবালার প্রান্তরে নবী বংশ ধ্বংশ , উহুদ, বদর, সিফফিনের যুদ্ধে মানুষ হত্যা , তিন খলিফা হত্যা, পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরদের মত বেইমানদের বেইমানী , ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে নারী ধর্ষক, খুন, গুম, সুদ, ঘুষ, নারী পাচার, পাকিস্তানি সৈন্যদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে নারী,খাশি, মুরগি, গরু, মহিষ সরবরাহ, ধন – সম্পদ লুট, অগ্নিসংযোগ সহ এমন কোন নোংরা কাজ নেই যা করেনি।এরাই মানবতার ভাইরাস। ধর্মের আগাছা। শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি, ধর্মের চেয়ে দাড়ি, টুপি, টিকি, জুব্বা, তসবিহ, জপমালা, পৈতা আলখেল্লাহ বেশি।

ইসলামের বুনিয়াদকে শুধু কপালে কালো দাগ ফেলা আর দাড়ি-মোচে সীমাবদ্ধ না করে নিজেকে সৎকাজে নিয়োগ করি। আরতির থালা তসবির মালা, আসিবেনা কোন কাজে, মানুষ করিবে মানুষের সেবা, আর সব কিছু বাজে। যেথায় মানবতার পরাজয়, সেথায় কাজ হইবনা তর নামাজ পুজোয়, মানবতার ধ্বংস না করিয়া রোধ, ওরে বেআক্কল! প্রার্থনায় মত্ত, সে মহা নির্বোধ = সুফিকবি কাজী নজরুল ইসলাম রহঃ। ইমান ও সৎ কর্মেই এবং রাসুলের আনুগত্য সরাসরি জান্নাতে নিয়ে যাবে মর্মে কুরআন বুহুস্থানে ঘোষনা করেছে।

ইমান আনার পর সৎকাজই হলো জান্নাত লাভের উপায়, কিন্তু আমরা চেহারায় বিনয়ের ছাপ অর্জনের চেয়ে কপালে কালো দাগ অর্জনের মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ করেছে। যেমন সালাতের চেয়ে নবীর উপর দরুদ পাঠ বহুগুনে শক্তিশালী ৩৩ঃ৫৬ আয়াত। অথচ এই ফরজ কাজটিকে বিদআত বানিয়ে মানুষকে নবী প্রেম হতে বিমুখ করে।

বেশির ভাগ মানুষ বুখারিদের হাদিস মানে। আর এই বেশির ভাগ লোককে অনুসরনের ব্যাপারে কুরআনে কি বলা হয়েছে তা ” বেশির ভাগ মানুষ দ্বীনের কোন দলিল নয়, বরং মারাত্বক মর্মে নিচের লিংকটি দেখুন।

♦https://www.facebook.com/114147860339039/posts/115129153574243/

মোঃ নজরুল ইসলাম।
২২-৬-২০২০ খ্রীঃ।

Question be asked in Judgement day

Khan Zabed fbfd

♦বিচারের দিনে আল্লাহ কি কি প্রশ্ন করবেন?

(১) [১৭:৩৬] প্রশ্ন করা হবে কান, চক্ষু ও অন্তর সম্পর্কে। ছূরা বনি ইছরাঈল আয়াত ৩৬।
.
(২) [৪৩:৪৪] ক্বুরআন সম্পর্কে সকলকে প্রশ্ন করা হবে। ছূরা ঝুখরুফ আয়াত ৪৪। (আমাদের ভেবে দেখার বিষয় যে, যখন আল্লাহ প্রশ্ন করবেন যে, তোমাদের জিবন ব্যবস্থার জন্য আমি যে ক্বুরআন দিয়েছিলাম তা কি পড়ে দেখেছো? তখন কি উত্তর দেয়া হবে?)।
.
(৩) [১৬:৩০] প্রশ্ন করা হবে মুত্তাক্বীদেরকে যে, তোমাদের রব কি নাযিল করেছিলেন? তারা বলবেঃ মহা কল্যাণ। (অর্থাৎ ক্বুরআন) ছূরা নাহল আয়াত ৩০।
.
(৪) [২৩:১০৫-১০৬] প্রশ্ন করা হবে আয়াত সম্পর্কে, তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনানো হত না? ছূরা মু’মিনুন আয়াত ১০৫-১০৬।
.
(৫) [৬:১৩০] প্রশ্ন করা হবে আয়াত সম্পর্কে যে, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতে রছূলগণ আসেনি যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ বর্ণনা করতেন? ছূরা আন’আম আয়াত ১৩০।
.
(৬) [২৭:৮৪] প্রশ্ন করা হবে, আয়াত প্রত্যাখ্যান করে অন্যকিছু করেছিলে কি? ছূরা নামল আয়াত ৮৪।
.
(৭) [৪৫:৩১] প্রশ্ন করা হবে, আয়াত না মেনে অহংকার করেছিলে কি? আমার আয়াতগুলো কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হয়নি? ছূরা যাছিয়া আয়াত ৩১। (লক্ষ্য করুন, আল্লাহ অন্য কোনো বাণীর কথা জিজ্ঞাসা করবেন না)।
.
(১০) [৩৯:৭১] জাহান্নামের রক্ষি ফেরেস্তারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন। ছূরা ঝুমার আয়াত ৭১।
.
(৮) [৭:৬] প্রশ্ন করা হবে সমস্ত মানুষকে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে। এবং সমস্ত রছূলগণকেও আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়া সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে। ছূরা আ’রাফ আয়াত ৬।
.
(৯) [২৮:৬৫] প্রশ্ন করা হবে যে, তোমরা রছূলগণকে কী জবাব দিয়েছিলে? ছূরা ক্বাছাছ আয়াত ৬৫। (যারা বর্তমানে রছূলের রেখে যাওয়া কিতাব ক্বুরআনকে বুঝে বুঝে পড়ে না, বুঝে না, সে মুলতঃ ক্বূরআন প্রত্যখ্যান করলো এবং সে রছূলকেও প্রত্যাখ্যান করে রছূলকে না জবাবই দিয়ে দিলো)।
.
(১১) [২৯:১৩] প্রশ্ন করা হবে মিথ্যা উদ্ভাবন সম্পর্কে এবং যারা নিজেদের পাপের বোঝা এবং অন্যের পাপের বোঝাও বহন করবে তাদেরকেও। ছূরা আনকাবূত আয়াত ১৩।

(১২) [১৬:৫৬] প্রশ্ন করা হবে সম্পদ ও মিথ্যা উদ্ভাবন সম্পর্কে। আল্লাহ নিজেই নিজের শপথ করে বললেন যে, তাদেরকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে। ছূরা নাহল আয়াত ৫৬।
.
(১৩) [১০২:১-৮] প্রশ্ন করা হবে নিয়ামত, রিঝিক, প্রাচুর্য ও সম্পদ সম্পর্কে। ছূরা তাকাছুর ১-৮।

(১৪) [২৩:৬৪-৬৮] (প্রশ্ন করা হবে ভোগবিলাসপূর্ণ জীবন সম্পর্কে। যেমন- ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনধারণ, গল্পগুজব, বিত্ত সম্পদশালীরা আল্লাহর আয়াতের প্রতি অহংকার, এবং আল্লাহর বাণী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করে অন্য যা কিছু মান্য করে চলে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবশ্য অবশ্যই প্রশ্ন করবেন)। ছূরা মু’মিনুন আয়াত ৬৪-৬৮।
.
(যাকাত, ছদকা ও করজে হাছানা না দিয়ে যারা সম্পদকে কুক্ষিগত করে রাখে ও ইচ্ছা মত খরচ করে সেইসমস্ত বিত্তশালী বা সম্পদশালীদেরকেও আল্লাহ প্রশ্ন করবেন)।
.
(১৫) [১৬:৯৩] প্রশ্ন করা হইবে, মানুষ যা কিছু করে সে সম্পর্কে। ছূরা নাহল আয়াত ৯৩।
.
(১৬) [১৫:৯২-৯৩] (প্রশ্ন করা হবে সকলকে তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে। এই আয়াতে আল্লাহ নিজেই নিজের কছম করে কথাটা বলেছেন)। ছূরা হিজর আয়াত ৯২:৯৩।
.
(১৭) [৩৫:৩৭] প্রশ্ন করা হবে দীর্ঘ জীবন সম্পর্কে যে, জীবনে সৎকর্ম করেছো কিনা? ছূরা ফাতির আয়াত ৩৭।
.
(১৮) [১৭:৩৪] প্রশ্ন করা হবে এতিমের সম্পদ ও অঙ্গিকার বা ওয়াদা সম্পর্কে। ছূরা বনি ইছরাঈল আয়াত ৩৪।
.
(২৬) [৬:৩০] প্রশ্ন করা হবে কিয়ামত সম্পর্কে। এটা (কিয়ামাত) কি সত্য নয়? ছূরা আন’আম আয়াত ৩০।

(২২) [১৬:২৭] প্রশ্ন করা হবে, ‘আমার শরীকরা কোথায়? যারা শিরক্ করতো। ছূরা নাহল আয়াত ২৭।
.
(২৩) [২৮:৬২] প্রশ্ন করা হবে, ‘আমার শরীকরা কোথায়? যারা শিরক্ করতো। ছূরা ক্বাছাছ আয়াত ৬২।
.
(২৪) [২৮:৭৪] প্রশ্ন করা হবে, ‘আমার শরীকরা কোথায়? যারা শিরক্ করতো। ছূরা ক্বাছাছ আয়াত ৭৪।
.
(২৫) [৪১:৪৭] প্রশ্ন করা হবে ‘আমার শরীকরা কোথায়? যারা শিরক্ করতো। ছূরা হামীম ছিজদা আয়াত ৪৭।
.
(২০) [৪:৯৭] প্রশ্ন করা হবে, তোমরা কী অবস্থায় ছিলে? অর্থাৎ হিজরত করনি কেনো? যমিন কি প্রশস্ত ছিল না? ছূরা নিছা আয়াত ৯৭।
.
(১৯) [৩৪:৪০] প্রশ্ন করা হইবে ফেরেস্তাদেরকে, মানুষের এবাদাত সম্পর্কে। ছূরা ছাবা, আয়াত ৪০।

(২১) [৫:১১৬] প্রশ্ন করা হবে ঈছাকেও। তুমি কি বলেছিলে যে, তোমরা আমার এবং আমার মায়ের এবাদাত করো? ছূরা মায়িদা আয়াত ১১৬।
.
(২৭) [৪৭:২৭-২৮] প্রশ্ন করেন আল্লাহ। আল্লাহ বলেনঃ তখন কেমন দশা হবে? যখন ফেরেশতারা তাদের মুখে আর পিঠে মারতে মারতে তাদের জান কবজ করবে। ছূরা মুহাম্মাদ আয়াত ২৭-২৮।
.
[৬:৯৪] (সেদিন আল্লাহ বলবেন) তোমরা আমার কাছে নিঃসঙ্গ হয়ে এসেছো, আমি তোদেরকে যা দিয়েছিলাম, তা তোমরা পিছনেই রেখে এসেছো। (অর্থাৎ ক্বুরআন)। ছূরা আন’আম আয়াত ৯৪।
.
[১৮:৪৭] (আল্লাহ বলেন) আমি মানুষকে একত্রিত করবো অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়বো না। ছূরা কাহাফ আয়াত ৪৭।