Category Archives: Post-AHadith.

How quranists do salat without Hadith?

সংক্ষিপ্ত পোস্ট

ইদানিং কালে এমন কথা শুনা যায় কুরআন মানি হাদিস মানি না, কিছু কিছু নামধারী মুসলিম দাবীদারদের মুখে, যারা আবার নিজেদের আহলে কুরআন বলে দাবী করে।
তারা দাবী করে রাসুল সাঃ এর নামে কোন হাদিস নেই সব মানুষের বানানো হাদিস, মুসলিমদের পথভ্রষ্ট করার জন্য রাসুল সাঃ নামে হাদিস চালিয়ে দেওয়া হইছে।।

শুধু কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের এই বিশ্বাস মতে তারা নিজেরকেি জাহান্নামী ফেরকা বানিয়ে নিয়েছে নিজেদের অজ্ঞতা বা পার্থিব লোভে। আর এটা প্রমান করবো কোন হাদিস দিয়ে নয় বরং আল কুরআনে বহুল আলোচিত সালাত নামক ইবাদত দ্বারাই।

যখন কুরআন মানি হাদিস মানিদের বলা হয় শুধু কুরআন অনুসরন করে কেমনে আপনারা সালাত আদায় করেন বা কায়েম করেন। তখন তারা সরাসরি উত্তর না দিয়ে নয় ছয় করে বা বলে সালাত আদায় কি সালাত কায়েম করা কি জিনিস আবার। অর্থাৎ তাদের কথায় বুঝা যায় সালাত কোন আমল (কায়িক ও পঠিত) বিষয় নয় শুধু বিশ্বাসের বিষয়। তাই আল কুরআনের আয়াত দিয়ে প্রমান করবো সালাত একটি দৈনিক গুরুত্বপুর্ন ও তারা কেমনে জাহান্নামি ফেরকা হয়ে গেছে।

১) সালাত দৈনিক আমল করা একটি ইবাদতঃ

আল কুরআন হতে যে সকল আয়াত দিবো সেগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেব যে সালাত শুধু বিশ্বাসের ব্যপার নয় দৈনিক আমল করা ইবাদত

ক) নিদৃষ্ট সময় সালাত আদায় ফরজ

আল্লাহ বলেন
অতঃপর যখন তোমরা সালাত সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন সালাত ঠিক করে পড়। নিশ্চয় সালাত মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

সুরা আন নিসা, আয়াত ১০৩

খ) দৈনিক কখন সালাত আদায় করতে হবে

আল্লাহ বলেন
আর সালাত কায়েম কর দিনের দু’ প্রান্তভাগে (অর্থাৎ ফজর ও মাগরেবের সময়) ও রাতের প্রথমাংশে (অর্থাৎ এশার সময়)।

সুরা হুদ, আয়াত ১১৪

আল্লাহ বলেন
সূর্য ঢলে যাওয়ার পর হতে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত (অর্থাৎ যোহ্‌র, আসর, মাগরেব ও এশার) সালাত কায়েম কর, আর কায়েম কর ফজরের নামায।

সুরা বানী ইসরায়ীল, আয়াত ৭৮

আল্লাহ বলেন
আর সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজরে) ও সূর্যাস্তের পূর্বে (আসরে) তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির কিছু সময়ে (এশায়) এবং দিনের প্রান্তভাগগুলিতে (ফজর, যোহ্‌র ও মাগরেবে), যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।

সুরা ত্বাহা, আয়াত ১৩০

আল্লাহ বলেন
(৯) মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন সালাত (আযান) দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
(১০) অতঃপর সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

সুরা আল জুমুআহ, আয়াত ৯-১০

গ) সালাত আদায় বিষয়ক অন্যান্য আয়াত

আল্লাহ বলেন
যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে উত্ত্যক্ত করবে। নিশ্চয় কাফেররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

সুরা আন নিসা, আয়াত ১৫৩

আল্লাহ বলেন
আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ।

সুরা ত্বােয়া হা, আয়াত ১৩২

আল্লাহ বলেন
তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা সালাত আদায় কারী।

সূরা আল-মাআরিজ, আয়াত:২২

উল্লেখিত আয়াতগুলো হতে বুঝতে পারলাম সালাত শুধু বিশ্বাসের ব্যপার নয় এটা দৈনিক আমলের ব্যপার। আল কুআরনে দৈনিক সালাত আদায়ের কথা বললেও কিন্তু সালাতের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত কোন পদ্ধতিতে আদায় হবে তার বর্ননা করা হয় নাই।

২) কুরআন মানি হাদিস মানি না তাদের কথা বা বিশ্বাস তারা নিজেরাই কেন জাহান্নামি হয়ে যায়ঃ

আল্লাহ বলেন
(সালাতে) কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর।

সুরা আল মুযযাম্মিল, আয়াত ২০

আল্লাহ বলেন
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি সালাতে দন্ডায়মান হন,

সুরা আশ শোআরা, আয়াত ২১৮

আল্লাহ বলেন
হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সুরা আল হজ্জ, আয়াত ৭৭

আল কুরআনে সালাত আদায় পদ্ধতির এমন বর্ননাই পাওয়া যায়, মানে সালাতের জন্য দাড়াতে হবে রুকু করতে হবে সেজদা করতে হবে, আয়াত পাঠ করতে হবে। কিন্তু কুরআনে সালাত আদায় পদ্ধতি সম্পুর্ন বিবরন পাওয়া যায় না অর্থাৎ

ক) সালাতে কোনটার আগে কোনটা করতে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
খ) কোন অবস্থায় (দাড়ানো, রুকু, সেজদা) কি বলতে বা হবে না এর কোন বর্ননা পাওয়া যায় না
গ) সালাতে কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করতে বলা হইছে কিন্তু সালাতের কোন অবস্থায় পাঠ করতে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
ঘ) আয়াত গুলো উচ্চ স্বরে না মনে মনে পড়তে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
গ) কোন অবস্থা দিয়ে সালাত শুরু ও শেষ করতে হবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না
ঘ) জামআতে সালাত কে কি করবে অর্থাৎ একজন ইমাম সালাত পড়াবে না সবাই একযোগে ইমাম ছাড়া পড়বে এর বর্ননা পাওয়া যায় না
ঙ) জামআতে সালাত আদায় করলে কেও সালাত শুরুর বেশ খানিক পর যোগ দিলে সে কি ভাবে বা কি অবস্থায় সালাত শুরু করবে তার বর্ননা পাওয়া যায় না।
মোটা দাগে বিষয়গুলো বললাম, প্রচলিত সালাতে এমন অনেক বিষয় আছে যা সম্পাদনের পদ্ধতি আল কুরআন হতে বর্ননা পাওয়া যায় না।

যেহেতু কুরআন মানি, হাদিস মানি না দাবীদাররা শুধু কুরআন মানে সেহেতু তাদের ইবাদতের দলিলের একমাত্র উৎস আল কুরআন এবং যেহেতু সেই আল কুরআনে দৈনিক সালাত আদায়ের কথা বলা হইছে কিন্তু সেই সালাত আদায়ের সম্পুর্ন পদ্ধতি আল কুরআনে পাওয়া যায় না। সেহেতু তাদের কথা বা বিশ্বাস মতে তাদের পক্ষে আজিবন সালাত আদায় করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। যদি কেও সালাত আদায় করে দাবী করলেও নিজেদের মনগড়া নিয়মে সালাত আদায় করে, যা আল্লাহর নিকট মন গড়া নিয়মে আমল করা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয় সুরা কাসাস আয়াত ৫০ মতে।

যেহেতু তাদের কথা বা বিশ্বাস মতে কুরআনের দলিল দিয়ে সালাত আদায় করা আজিবন কোন ক্রমে সম্ভব নয় সেহেতু সুরা সুরা মুদাসসির আয়াত নং ৪১, ৪২,৪৩,৪৭ মতে তারা জাহান্নামী হয়ে যায়। এবার সুরা মুদাসসির এর আয়াত গুলো আবার একটু দেখে নেই

আল্লাহ বলেন
(৪১) অপরাধীদের সম্পর্কে
(৪২) বলবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে?
(৪৩) তারা বলবেঃ আমরা সালাত পড়তাম না,
(৪৪) অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না,
(৪৫) আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম।
(৪৬) এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
(৪৭) আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত।

সুরা মুদাসসির, আয়াত ৪১-৪৭

এই বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট লিং নিচে দেওয়া হলো, যেখানে এই সংক্রান্ত মনে যত ধরনের প্রশ্ন জাগবে তার উত্তর পাবেন আশা করি।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1015075008834891&id=100009972030385

……..

Source:-(see many comments)

https://m.facebook.com/groups/1637342032970504?view=permalink&id=2635409619830402

.

Commented by syedraf:- https://refquranistajm.wordpress.com/2020/04/26/in-quran-only-two-fard-salat-syedraf/

Post of AH-কুরআন ও হাদিস দুটোই মানা গুরুত্বপূর্নঃ

Sourse:-https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2069828973253989&id=100006807181942

♦কুরআন ও হাদিস দুটোই মানা গুরুত্বপূর্নঃ
একজন সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে কুরআন কে বিশ্বাস করা যতটা গুরুত্বপুর্ন ঠিক ততটাই গুরুত্ব পুর্ন নবী সঃ এর হাদিস কে বিশ্বাস করা।
নবী সঃ এর হাদিসে বিশ্বাস ও মানা  ব্যাতিত কেউ পরিপুর্ন মুসলিম হতে পারেনা।👳👳👳👳👳

.

অথচ বর্তমানে একদল মানুষ দেখা যায় নবী সঃ এর  হাদিস মানেনা মানতে হবেনা বলে মুখে ফেনা তুলছে ফেলছে।

তাদের ভাষ্য মতে শুধুই কুরআন মানলেই হবে বা প্রকৃত মুসলিম হওয়া যাবে।
তাদের মতে

যারা নবী সঃএর হাদিস মানে তারা

মূর্খ; অজ্ঞ ;আল্লাহর সাথে মুহাম্মদ সাঃ কে বিধানদাতা মানছে এমন আর কতকি!!

.

তারা তাদের এই কুফরি মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তারা এই ভ্রান্ত মতবাদ বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার করে সাধারন মানুষদের কে ধোকা দিচ্ছে।

.

যদিও তারা সংখ্যায় অনেক কম তবু তাদের প্রচারের ফলে অনেক সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে।

.

যাই হোক মূল আলোচনায় আসি>

.
♦হাদিস কি ও কেন???

♦আমরা কেন হাদিস মানবো????

♦হাদিস মানার নির্দেশ কি কুরআনে আছে????
এই প্রশ্ন গুলোর জবাব পেলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে…….

.

♦হাদিস:

 হাদিস বলতে সাধারনত আমরা বুঝি বানি/উপদেশ/বৃত্তান্ত/কথা।
আল্লাহ পবিত্র কুরআন কেউ হাদিস বলেছেন।(৩৯:২৩)

.
কুরআনে মোট ৬ ভাবে এই হাদিস শব্দটি প্রয়োগ হয়েছে।

কখনো কোন ঘটনাকে ;কখনো মুসার বৃত্তান্ত কে;কখনো মুহাম্মদ এর কথা কে

হাদিস বলে অভিহিত করা হয়েছে।

.

পক্ষান্তরে মুহাম্মদ যে সব বিষয়ে আদেশ/নিষেধ;মৌনতা(চুপ) থেকেছেন সে গুলোও হাদিসের অন্তরভুক্ত।।
৫৯:৭ মতে মুহাম্মদ সা: আমাদের যা দিবেন সেটা মেনে নেয়া প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।

.

.

♦#হাদিস_কেন_মানবো?????

.

আল্লাহ ৩৩:২১ এ  বলেন মুহাম্মদ সঃ এর জীবনীতেই রয়েছে উত্তম আর্দশ।
এখন নবী সঃ এর  হাদিস যদি না মানেন তবে তার ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে জানবেন কি করে????

কুরআনে তো তার পুরো জীবনী আসে নি!!

.

♦#হাদিস_মানার_নির্দেশ_কি_কুরআনে_আছে?????
উত্তর হচ্ছে অবশ্যই হাদিস মানার নির্দেশ কুরআনে আছে।
আল্লাহ ২:১৫১

২:২৩১

৪:১১৩ নং আয়াতে সেটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।.📢📢📢📢

.

.

♦অনেকে হয়তো ভিন্নমত পোষন করে বলবেন #হিকমা দ্বারা হাদিস কে না বরং জ্ঞান কে বুঝিয়েছে।

তাদের কে বলবো তাহলে আসুন হিকমা বলতে আল্লাহ কি বুঝিয়েছেন সেটা দেখা যাক….

.

#হিকমা

প্রথমে বলে নেই হিকমা শব্দ টা ব্যাপক অর্থ বহন করে।

এই হিকমা দ্বারা কখনো কখনো হাদিস কে বুঝায় আবার কখনো কখনো জ্ঞান/প্রজ্ঞা কেও বুঝায়।
এখন আমাদের প্রসংগের উপর নির্ভর করে অর্থ নির্বাচন করতে হবে।

যেমন ধরুন

 কুরআনে সাল্লু দ্বারা কখনো সালাত কে বুঝাচ্ছে আবার এই সাল্লু দ্বারাই কখনো দুরুদ কে বুঝাচ্ছে।(৩৩:৫৬.)
আবার

মুনির=ধার করা আলো/প্রতিবিম্বিত আলো বুঝায়।

আল্লাহ কখনো চাঁদকে বুঝাতে মুনির শব্দ ব্যবহার করেছেন(২৫:৬১.)

আবার তার বর্ননা দিতেও মুনির শব্দ ব্যবহার করেছেন।(২৪:৩৫)
তাই একই শব্দ যে বারবার একই অর্থ প্রকাশ করবে সেটে ভাবা বোকামি।

.

.

এবার আসুন দেখি আল্লাহ হিকমা দ্বারা কি বুঝিয়েছেন.

.

আল্লাহ পবিত্র কুরআনের ২৮ নং সুরার ১৪ নং আয়াতে বলেন…..

.

যখন মূসা যৌবনে পদার্পন করলেন এবং পরিণত বয়স্ক হয়ে গেলেন, তখন আমি তাঁকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানদান করলাম। এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি(২৮:১৪)

.

এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন হিকমা ও জ্ঞান দুইটি ভিন্ন বিষয়।

যদি একি অর্থ প্রকাশ করতো তবে আল্লাহ কেন ভিন্ন অর্থ প্রয়োগ করলেন???❗❗❗❗

.

.অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন….

তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন #কিতাব ও #হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত। (৬২:২)

.

এই আয়াতে কিতাব(কুরআন) ও হিকমাত(হাদিস) কে বুঝিয়েছেন।

.

আবার আল্লাহ বলেন…

.

তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।(২:১৫১)
.এখানে তার জ্ঞানতত্ব মানে তার(মুহাম্মদ) হাদিস শিক্ষা দিবেন সেটা পরিষ্কার।

.

এর পরেও যারা ট্যাঁড়ামী করার জন্য বলবেন যে না না হিকমা মানে সব জায়গায় জ্ঞান /প্রজ্ঞাই বুঝাবে তাহলে বলবো জনাব..

হিকমা আই মিন জ্ঞান কি নাযিল করার জিনিস?/??

যেমন টা বলা হয়েছে 

.

যে কিতাব ও জ্ঞানের কথা তোমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে যার দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সর্ববিষয়েই জ্ঞানময়(২:২৩১)

এ।
হিকমা যদি হাদিস ই না হতো তবে নাযিলে প্রশ্নই ওঠে না।🔒🔒🔒🔒

.

♦এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে মুহাম্মদ সা : এর সব কথাই কি ওহি????

.

এর জবাব হল মুহাম্মদ সা: এর জীবনী সাধারনত ভাগ হবে ২ টা ভাবে.
১.নবুওয়াতের আগে

২.নবুওয়াতের পরে

.

নবী সঃ নবুওয়াত পাবার পরে নবী সঃ এর সব কথাই ওহি ভিত্তিক ছিল।

তার মানে তিঁনি যে হাদিস গুলা বলেছেন সে গুলাও ওহি ভিত্তিক।

৫৩:৩-৪ নং সুরা সেটাই প্রমান করে।

.

নবী সঃ ওহি ব্যাতিত কোন হাদিস/কথা/বানী বলতেন না।

৬৯:৪৪-৪৮ আয়াত যার অকাট্য প্রমান।📖📖📖

.

.

#একটি_স্বংসয়_মুলক_প্রশ্ন_ও_তার_যৌক্তিক_জবাব….

.

.

যাদের আহলি কুরআন/সাবমিটার/প্রগ্রেসিভ মুসলিম এদের সম্পর্কে সামান্য ধারনা আছে তারা বিষয় টা লক্ষ্য করেছেন মনে হয়।

এরা মুলত নাস্তিকদের মত একটা স্বংসয়মুলক প্রশ্ন করে সাধারন মানুষ কে  বিভ্রান্তিতে ফেলতে চায়।
আপনি যদি নাস্তিকদের মাত্র একটা প্রশ্ন করতে বলেন দেখবেন তারা প্রথমেই যে প্রশ্নটা করবে সেটা হল

স্রষ্ঠা কি এমন একটা জিনিস বানাতে পারবে যেটা সে নিজেই ওঠাতে পারবেনা….

এই প্রশ্নটা করে সাধারন মানুষের কাছে যেমন স্রষ্ঠা কে বির্তকিত করে ঠিক

তেমনি 

.

আহলি কুরআন/সাবমিটাররা এমন একটা প্রশ্ন করে হাদিস কে বির্তকিত করে।

প্রশ্নটা হল….

 

কুরআন কি স্বয়ংসম্পূর্ন/বিস্তারিত /পুর্নাঙ্গ????
যদি বিস্তারিত/পুর্নাঙ্গ হয় তবে হাদিস মানার দরকার কি?????
মুলত এমন প্রশ্ন টা সাধারন কোন মানুষের কাছে বেশ যৌক্তিক মনে হতে পারে।

কিন্তু আদৌতে এটার পিছনে তেমন কোন লজিক নেই।

.

কুরআন বিস্তারিত আলহামদুলিল্লাহ সেটা আমরা মুসলিমরা কখনোই অস্বীকার করিনা।:🎤🎤🎤

তবে এর সঠিক ব্যাখা বুঝতে হলে নবী সঃ এর হাদিস মানতে হবে।

.

♦কুরআনের ব্যাখ্যা যদি নবী/রাসুল না করে থাকেন তবে কুরআন গ্রন্থ আকারে সেই কওমের লোকের কাছে নাযিল হলেই পারতো।

রাসুল আসার দরকার কি ছিল?????

.

রাসুল এ কারনেই এসেছে যে তিনি এ গুলার বিস্তারিত আলোচনা করে সেই কওমের লোকদের কাছে আল্লাহর বানি পৌঁছে দিবেন..

,
আল্লাহ ৯৩ নং সুরার ১১ নং আয়াতে বলেন…

.
আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা বিস্তারিত বর্ননা করুন।(৯৩:১১)

.

উক্ত আয়াত প্রমান করে নবী সঃ কুরআনের ব্যাখ্যাও করেছেন।📣📣📣

.

কি কিছু বুঝলেন নাতো???

আসুন একটা উদাহরন দেয়া যাক….

.

♦ধরুন একটা #ভাব_সম্প্রসারনের_বই আপনার কাছে আছে।

সেখানে ১০০ টা ভাব সম্প্রসারন আছে।

যেমন:

একতাই বল;

দুূজন বিদ্যান হলেও সর্বদা পরিত্যায্য;

ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ;

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড;

ইত্যাদি ইত্যাদি……

.

তো জনাব আপনার কাছে আমার জানার ছিল যে

এই সব বাক্যদ্বয়/ভাবসম্প্রসারন গুলি কি বিস্তারিত/পুর্নাঙ্গ বাক্য???????

যদি পুর্নাঙ্গ বাক্য হয় তবে কি পরীক্ষার হলে ছাত্ররা  এর কোন ব্যাখ্যা করবেন না?????

নাকি শুধু উক্ত বাক্যদ্বয় ই লিখে রাখবেন???
আর যদি বলেন বাক্য গুলি পুর্নাঙ্গ /বিস্তারিত নয় তাহলে আমার আরেকটা প্রশ্ন থেকে যায় বাক্যের মাঝে ভুল কোথায়???

মানে এটা অসম্পূর্ন বাক্য হলো কি করে❔❔❔❔❔

.

.

.

আসলে ভাব সম্প্রসারনের বাক্য গুলা বিস্তারিত/পুর্নাঙ্গ হওয়া সত্বেও যেমন পরীক্ষা হলে ছাত্রের কর্তব্য হলো সেটার ব্যাখ্যা করা ঠিক তেমন কুরআন পুর্নাঙ্গ /বিস্তারিত হওয়া সত্বেও মুহাম্মদ সা: কে আল্লাহ পাঠিয়েছেন সেই ছাত্রের ন্যায় এটার ব্যাখ্যা করার জন্য।

.

♦শতশত সমস্যা/বিষয়/ব্যাপার/প্রশ্নের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নঃ
 যদি কুরআনে ৮২/৮৩ বার নামাজ কায়েম /পড়তেই বলা হয় এবং এক রাকাত/নামাজের নিয়ম না বলা থাকে তবে হাদিস না মেনে কিভাবে নামাজ পড়বেন/কায়েম করবেন?? 
নাকি বলবেন নামাজ মানে কপাল ঠুকানো,উঠবস করা নয়??

নাকি নামাজই পড়বেন/কায়েম করবেন না??

.

অবশেষে বলতে চাই যারা হাদিস কে বাদ দিয়ে শুধু কুরআন অনুসরন করতে চান তারা কিছুতেই প্রকৃত মুসলিম হতে পারবেন না।

.

আল্লাহ আমাদের সবাই কে বুঝার তৌফিক দান করুন #আমিন
(মূল লিখা #প্রিন্স_শাকিল_খান এবং সকল প্রশ্নের জবাব দেবেন শাকিল সহ  সকল আহলুল কুরআন ও হাদিসের অনুসারী মুসলীম গন)

কুরআনে ‘হিকমত’ দ্বারা কি হাদিস শিক্ষা বুঝায়?

কুরআনে ‘হিকমত’ দ্বারা কি হাদিস শিক্ষা বুঝায়??

১. তিনি (আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা হিকমত দান করেন এবং যাকে হিকমত প্রদান করা হয় তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয় (২:২৬৯)। [উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ রাসূলের হাদিস না কুরআনের প্রয়োগ জ্ঞানকে বুঝিয়েছেন?]

২. আল্লাহর আয়াত ও হিকমত যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয়, তা তোমরা স্মরণ রাখবে (৩৩:৩৪)। [উক্ত আয়াতে আল্লাহ নবীর স্ত্রীদের হিকমত দ্বারা হাদিস না কুরআনের প্রয়োগ জ্ঞান স্মরণ রাখতে বলেছেন?]

৩. তুমি (রাসূল) মানুষকে তোমার রবের পথে আহবান কর হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা (১৬:১২৫)। উক্ত আয়াতে রাসূল হিকমত দ্বারা নিজের হাদিস (কথা) শিক্ষা দিতেন না কুরআনের প্রয়োগ জ্ঞান শিক্ষা দিতেন?]

৪. ইবরাহীম প্রার্থনা করলেন, ‘আমার রব! আমাকে হিকমত দান করুন এবং সালেহিনদের শামিল করুন (২৬:৮৩) [উক্ত আয়াতে হিকমত দ্বারা ইবরাহীম রাসূলের হাদিস শিখতে চেয়েছিলেন, না আল্লাহর কিতাবের প্রয়োগ জ্ঞান শিখতে চেয়েছিলেন?]

৫. আমি লুকমানকে হিকমত দান করেছিলাম (৩১:১২)। [উক্ত আয়াতে লুকমানকে হিকমত দ্বারা কোন কিছুর প্রয়োগ জ্ঞান দান করেছিলেন না হাদিস শিক্ষা দিতে বলেছেলেন?]

৬. আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও হিকমত দান করেছিলেন (২:২৫১)। [উক্ত আয়াতে হিকমত দ্বারা আল্লাহ দাঊদকে যবুর কিতাবের প্রয়োগ জ্ঞান দান করেছিলেন না হাদিস শিক্ষা দিয়েছিলেন?]

.

Source and comments:-

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1891783671075787&id=1649306628656827