Quranic Duas.bn article

আল কুরআন পড়ে জানতে পারি যে,সকল নবী ও রাসূলরা বিপদের সময় ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চেয়েছেন,তাই আমাদেরকেও বিপদের সময় ধৈর্যধারণ করে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাইতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা নিজের যতভুল ত্রুটি আছে,সেগুলো সংশোধন করে,অনুশোচনা করে,অনুতপ্ত হয়ে আল কুরানের রব্বানা (হে আমাদের রব) বা রব্বি (হে আমার রব) যুক্ত দোয়াগুলোর মাধ্যমে সাহায্য চাইতে পারি অথবা নিজের মাতৃভাষায় নির্জনে,নিরবে মনের কথাগুলো নিজের রবকে বা মালিককে অনুয়-বিনয় করে বলতে পারি। যেভাবে অনুতপ্ত হয়ে,অনুশোচনা করে,সকল প্রকার অনৈতিক ও অপকর্ম থেকে বিরত থেকে বিশ্বাসী ও আত্মসমর্পন কারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আমরা সর্বদা নিচের দুয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইবো!!!!

পরম করুণাময় অসীম দয়াল,আল্লাহর নামে শুরু করছি। (২৭:৩০) হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় লইতেছি এবং হে আমার রব! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকেও আপনার আশ্রয় লইতেছি।(২৩:৯৭,৯৮) আপনি পবিত্র মহান, আমি আপনার কাছে অনুতপ্ত হয়ে ,অনুশোচনা হয়ে করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি। (৭:১৪৩) নিশ্চয় আমি আপনার কাছে অনুতপ্ত হয়ে ,অনুশোচনা হয়ে করছি এবং আমি অবশ্যই আতœসর্মপণকারীদের অর্ন্তভুক্ত। (৪৬:১৫) হে আমার রব, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন।(২৮:১৬) হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নিজের প্রতি যুলম করেছি। আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করছি।(২৭:৪৪) আমি বিশ্বজগতের রবের নিকট আতœসর্মপণ করলাম। (২:১৩১) আমি আল্লাহর নিকট আতœসর্মপণ করলাম । (৩:২০) আমাদের রব আল্লাহ। (২২:৪০,৪১:৩০,৪৬:১৩) আমার রব তিনিই যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান।(২:২৫৮)

হে আমাদের রব,আপনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। আপনি পবিত্র মহান। সুতরাং আপনি আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর। হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি যাকে আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তাকে আপনি অপমান করবেন। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব, নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তাই আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, হে আমাদের রব! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করুন ও আমাদের সকল দোষক্রটি দূর করুন এবং পুন্যবানদের সাথে আমাদের মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের রব, আর আপনি আমাদেরকে তা প্রদান করুন যার ওয়াদা আপনি আমাদেরকে দিয়েছেন আপনার বার্তাবাহকগণের মাধ্যমে। আর কিয়ামতের দিনে আপনি আমাদেরকে অপমান করবেন না। নিশ্চয় আপনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না।(৩:১৯১-১৯৪) আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি,আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ করা হয়েছে আমাদের উপর ও যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর, আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে অন্যান্য নবীগণকে। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁর কাছে আত্মসমর্পণকারী। (৩:৮৪)(২:১৩৬) আমরা শুনিয়াছি এবং পালন করিয়াছি, হে আমাদের রব! আমরা তোমার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন তোমারই নিকট। (০২:২৮৫)

আমরা বিশ্বজগতের রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।(৭:১২১) আমরাই আল্লাহর সাহায্যকারী,আমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং সাক্ষী থেকো যে,আমরা আত্মসমর্পণকারী। হে আমাদের রব! আমরা সে সকল বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যা তুমি নাযিল করেছ, আমরা রাসূলের অনুগত হয়েছি। অতএব, আমাদিগকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাভুক্ত কর । (৩:৫২,৫৩)(৫:১১১) হে আমাদের রব,আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।(৫ঃ ৮৩) হে আমাদের রব, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা কর। (৩:১৬) হে আমাদের রব,আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন,আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (২৩:১০৯) হে আমাদের রব, আমাদেরকে ক্ষমা কর ও দয়া কর, আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।(২৩:১১৮) হে আল্লাহ, আপনিই আমাদের রক্ষক। আপনি ক্ষমা করুন ও দয়া করুন। আপনিই শ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল। (৭:১৫৫)আপনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই,আপনি পবিত্র মহান। আমি তো সীমালংঘনকারী। (২১: ৮৭) হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি,যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (৭:২৩) সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করেছেন, আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করলে আমরা পথ পেতামনা(৭:৪৩)

হে আমাদের রব,আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহান দাতা। হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি মানুষকে সমবেত করবেন এমন একদিন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। (৩:৮,৯) হে আমাদের রব! আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন ।(১৮: ১০) হে আমার রব! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি,যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে নিজ অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর। (২৭: ১৯) হে আমার রব! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যাতে আমি তোমার সেই নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি,যা তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছ এবং আমার জন্য আমার সন্তানদের সৎকর্ম পরায়ণ করে দিন। আমি অবশ্যই আপনার নিকট তাওবা করছি এবং নিশ্চয়ই আমি অনুগত বান্দাদের একজন। (৪৬:১৫) হে আমাদের রব, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের রব! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না , যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছেন, হে আমাদের রব,আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন। আমাদের উপর দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (২:২৮৬)হে আমাদের রব!দুনিয়াতে আমাদের কল্যাণ দাও এবং আখিরাতে ও আমাদের কল্যাণ দাও। আর আমাদের দোযখের আগুন হতে রক্ষা কর। (২:২০১) হে আমাদের রব, আপনি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব ফিরিয়ে নিন। নিশ্চয় এর আযাব হল অবিচ্ছিন্ন। নিশ্চয় তা আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে অতীব নিকৃষ্ট! (২৫:৬৫,৬৬)

হে আমাদের রব,আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তাননাদি দান করুন যারা আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন।(২৫:৭৪) হে আমার রব! আমাকে সন্তানহীন করে রেখ না, যদিও তুমি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।(২১:৮৯)হে আমাদের রব, আমাকে তুমি তোমার নিকট হতে সৎ বংশধর দান কর।নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।(৩:৩৮)হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে আপনি রক্ষা করুন। (২৬:১৬৯) হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। হে আমার রব! আমার প্রার্থনা কবুল করুন। হে আমার রব,যেদিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং বিশ্বাসী গণকে ক্ষমা করুন। (১৪:৪০, ৪১)হে আমার রব, আপনি ক্ষমা করুন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং যাহারা বিশ্বাসী হইয়া আমার গৃহে প্রবেশ করে তাহাদেরকে এবং বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদরেকে আর যালিমদের জন্য ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করো না।(৭১:২৮)হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন পালন করেছেন।(১৭:২৪) হে আমাদের রব! আমাদেরকে আর আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে কোন হিংসা বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের রব! তুমি বড়ই করুণাময়, অতি দয়ালু।(৫৯:১০)

হে আমার রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। হে আমার রব! আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিন। আমার কাজকে আমার জন্য সহজ করে দিন। আমার জিহ্ববার জড়তা দূর করে দিনÑ যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে। (২০:১১৪,২৫-২৮) হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের আন্তর্ভুক্ত করুন। এবং আমাকে পরর্বতীদের মধ্যে সত্যভাষী করুন। এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তভূক্ত করুন। (২৬:৮৩,৮৪,৮৫) হে আমাদের রব! আমাদের এ কাজকে তুমি কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে ও আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে ইবাদতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (২:১২৭-১২৮) হে আমার রব! আমাকে প্রবেশ করান সত্যতার সাথে এবং আমাকে বের করান সত্যতার সাথে এবং আপনার কাছ থেকে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি। (১৭:৮০)হে আমাদের রব, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (৬৬: ৮)

হে আমাদের রব! আমরা আপনারই উপর ভরসা করেছি , আপনারই দিকে মুখ করেছি এবং আপনারই নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তন । হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে অবিশ্বাসীদের পীড়নের পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের রব, আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।(৬০:৪,৫) আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ঠ,তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই। আমি তাহারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহা আরশের অধিপতি।(৯:১২৯)আমাদের জন্যেই আল্লাহ যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক। কত উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী। (৩:১৭৩ ও ৮:৪০)আমরা আল্লাহরই উপর ভরসা করলাম। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র করো না। আর আপনি আপনার নিজ করুণায় অবিশ্বাসী সম্প্রদায় হতে আমাদেরকে রক্ষা কর।’(১০:৮৫,৮৬) আল্লাহরই উপর আমরা তাওয়াক্কুল করি। হে আমাদের রব, আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথার্থ ফয়সালা করে দিন। আর আপনি শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।(৭:৮৯) হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন,যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন।কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (৩:২৬)

হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।(৪:৭৫) হে আমার রব! আপনি আমাকে যালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন না।(২৩:৯৪)হে আমাদের রব! আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গী করবেন না।(৭:৪৭)হে আমাদের রব! আমাদেরকে ধৈর্য দান কর, আমাদেরকে অবিচলিত রাখ এবং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। (২:২৫০)হে আমাদের রব! আপনি আমাদের অপরাধগুলো এবং আমাদের কাজ-কর্মের বাড়াবাড়িগুলোকে ক্ষমা করুন,আমাদেরকে সুদৃঢ়পদে রাখুন এবং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।(৩:১৪৭) হে আমার রব! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন। (২৯:৩০) হে আমার রব! আপনি যালিম সম্প্রদায় থেকে আমাকে রক্ষা করুন। (২৮:২১) হে আমার রব, আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করিবে আমি তাহার মুখাপেক্ষী।(২৮:২৪)আর আমাদেরকে রিযিক দান করুন এবং আপনিই তো শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।(৫ঃ ১১৪)হে আমার রব, আপনার কাছে আমার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরী করুন।(৬৬:১১) নিশ্চয় আমার সালাত, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগতসমূহের রব আল্লাহর জন্যেই। তাহার কোন শরীক নাই এবং আমি ইহার জন্যেই আদিষ্ট হইয়াছি এবং আমিই প্রথম আত্মসমর্পণকারী (৬:১৬২-১৬৩) হে আমাদের রব, আমাদেরকে ধৈর্য দান করুন এবং মুসলিম হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন”।(৭:১২৬)হে আকাশ ও জমিনের মালিক! দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আপনি আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অর্ন্তভুক্ত করুন। (১২:১০১) নিশ্চয় আমি অসহায়, অতএব আপনি আমার প্রতিবিধান করুন।(৫৪:১০)আমি দুঃখ কষ্টে পতিত হয়েছি, আপনিতো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (২১:৮৩) সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। নিশ্চয় আমাদের রব পরম ক্ষমাশীল, মহাগুণগ্রাহী’। (৩৫:৩৪) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন। তিনিই আমাকে খাওয়ান এবং তিনিই আমাকে পান করানএবং রোগাক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন এবং তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আমাকে পুনর্জীবিত করবেন। এবং আশা করি, তিনি কিয়ামতের দিন আমার অপরাধসমূহ মার্জনা করে দেবেন।(২৬:৭৮-৮২)

আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের রবের, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দেওয়া জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।(১১৩:১-৫)আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের,তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আতœগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। (১১৪:১-৬)আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই।(২:৬৭)

তিনিই আল্লাহ একক অদ্বিতীয়। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।(১১২:১-৪) তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা, তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ,যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ,মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত,নিরাপত্তাদানকারী,রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা,আকৃতিদানকারী, তাঁর রয়েছে সুন্দর নামসমূহ, আসমান ও যমীনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৫৯:২২-২৪)

আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে, আধিপত্য তারই এবং প্রশংসা তারই; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।(৬৪:১) বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।(৬৭:১)আর তিনি বরকতময়,যার কর্তৃত্বে রয়েছে আসমানসমূহ,যমীন ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু।(৪৩:৮৫) সকল প্রশংসা আল্লাহর,যিনি আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। আর আখিরাতে ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রজ্ঞাময়,সম্যক অবগত। (৩৪:১) অতএব আল্লাহরই জন্য সকল প্রশংসা, যিনি আসমানসমূহের রব, যমীনের রব ও সকল সৃষ্টির রব।(৪৫:৩৬) সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীন এবং সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো।(৬:১)

আমি একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি যিনি আকাশমন্ডলী আর পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন।আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।(৬:৭৯) নিশ্চয় আমি বিশ্বজগতের রব আল্লাহকে ভয় করি’। (৫:২৮)(৫৯:১৬) তিনিই আল্লাহ, আমার রব। আর আমি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক করি না’।(১৮:৩৮) আল্লাহ মহান, পবিত্র এবং যারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে আমি তাদের অন্তভুর্ক্ত নই। (১২:১০৮) তারা যা আরোপ করে, আসমানসমূহ ও যমীনের রব এবং আরশের রব তা থেকে পবিত্র-মহান।(৪৩:৮২) তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ অতিপবিত্র, মহামহান।(২১:২২) তারা যা বলে, আল্লাহ সে সব দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র,পবিত্র।(৩৭:১৫৯) (২৩:৯১) তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বিবরণ দেয় তা থেকে ঊর্ধ্বে।(৬:১০০) আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ পবিত্র ও মহিমান্বিত! (২৭:৮) তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তারা যাকে শরীক করে, তিনি তারঊর্ধ্বে।(২৩:৯২) তিনি মহান পবিত্র, তারা যাকে শরীক সাব্যস্ত করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।(১৬:১)(১০:১৮)(৩০:৪০)(৩৯:৬৭) আল্লাহ পবিত্র, মহান । তারা যাকে শরীক সাব্যস্ত করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।(২৮:৬৮)তারা যা শরীক স্থির করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান। (৫৯:২৩)(৫২:৪৩) তারা যে শরীক করে তিনি তা থেকে পবিত্র।(৯:৩১) তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা বলে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।(১৭:৪৩) অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়।(২৩:১৪) সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কত বরকতময়। (৭:৫৪)(৪০:৬৪) আর সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্ পবিত্র ও মহিমান্বিত! (২৭:৮)আমাদের রব,পবিত্র ও মহান। (১৭:১০৮) (৬৮:২৯) আমার রব, পবিত্র মহান । (১৭:৯৩) হে আল্লাহ!আপনি পবিত্র মহান । (১০:১০)

যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের রব আল্লাহরই জন্য। যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা শুধু আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকটেই সাহায্য চাই। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন। তাদের পথে নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব বর্ষিত হয়েছে, তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।(১:১-৭) তারা যা আরোপ করে, তা থেকে পবিত্র ও মহান আপনার রব, সকল ক্ষমতার অধিকারী।আর শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলদের প্রতি। আর সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের রব আল্লাহর জন্য।(৩৭:১৮০-১৮২) হে আমাদের রব, আর আমার দোআ কবূল করুন। (১৪:৪০)

By AnamulHoquehttps://www.facebook.com/100000395832341/posts/pfbid02LPxAcDWjwFkwVDeGMUUfZVj6yxEVzGydbF4xnxjJmQ6qJ2xxBYoDfkDspAaF3BAbl/?mibextid=9R9pXO

Leave a comment