কোরআনে বর্ণিত তাওহীদের দাওয়া প্রসঙ্গে ৯ জন নবীর ভাষণ-

কোরআনে বর্ণিত তাওহীদের দাওয়া প্রসঙ্গে ৯ জন নবীর ভাষণ-👇

🥀১] 👉 নবী নূহ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉 আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়’ই আমি নূহকে তার সম্প্রাদায়ের প্রতি প্রেরণ করেছি, সে বললো, হে আমার সম্প্রাদায় তোমরা এক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ব্যতিত তোমাদের আর অন্য কোনো উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্য এক মহা দিবসের শাস্তির আশংকা করি।(সূরা আরাফ ৫৯) তার সম্প্রাদায়ের লোকেরা তাকে (নূহকে) বললো, আমরা তোমাকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় দেখছি।(সূরা আরাফ৬০)

🥀২] 👉নবী হুদ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- আদ সম্প্রাদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম তার ভাই হুদ’কে, সে বললো হে আমার সম্প্রাদায়, তোমরা কেবল মাত্র এক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোনো উপাস্য নেই।(সূরা আরাফ৬৫) তার সম্প্রাদায়ের লোকেরা বলতে লাগলো, আমরা তোমাকে নির্বোধ দেখতে পাচ্ছি, এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদি মনে করি, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যই এসেছ যে আমরা এক ইলাহের ইবাদত করি আর আমাদের বাপ দাদারা যাদের পূজা করতো তাদের ছেড়ে দেই?এত’এব নিয়ে আসো থাকে, যার দ্বারা তুমি আমাদের ভয় দেখাচ্ছো?
(সূরা আরাফ৬৬-৭০)

🥀৩] 👉নবী সালেহ আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছি তার ভাই সালেহ’কে। সে বললো, হে আমার সম্প্রাদায় তোমরা একক ইলাহের ইবাদত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের আর অন্য কোনো উপাস্য নেই। তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। এটি হল আল্লাহর উটনী, তোমাদের জন্য নিদর্শন, তাকে আল্লাহর যমীনে চরে খেতে দাও, মন্দ উদ্দেশে একে স্পর্শ করবে না, করলে পীড়াদায়ক শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে।(সূরা আরাফ৭৩) তার জাতির গর্বিত প্রধানগণ ঐসব লোকদেরকে বলেছিল যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, যারা তাদের মধ্যে ঈমান এনেছিল- ‘‘তোমরা কি জান যে সালিহ তার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত? বলেছিল, ‘তিনি যে বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তাতে আমরা বিশ্বাসী’।”যারা অহঙ্কার করেছিল তারা বলেছিল, ‘তোমরা যাতে বিশ্বাস করেছ আমরা তা অস্বীকার করছি।’”অতঃপর তারা উষ্ট্রীটিকে মেরে ফেলল এবং তাদের প্রতিপালকের স্পষ্ট বিরোধিতা করে চলল আর বলল, ‘হে সালিহ! তুমি যদি রসূল হয়েই থাক তাহলে তা নিয়ে এসো আমাদেরকে যার ওয়াদা করছ (ভয় দেখাচ্ছ)।”অতঃপর ভূমিকম্প তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করল আর তারা তাদের ঘরগুলোতে মুখ থুবড়ে পড়ে রইল।”
(সূরা আরাফ৭৫-৭৮)

🥀৪]👉 নবী ইব্রাহীম আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিল সত্যবাদি নবী, সে তার পিতা আযরকে বললো, হে আমার পিতা আপনি ও আপনার জাতি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর পূজা করছে যা তাদের কল্যায়ণ ও অকল্যায়ণ করার ক্ষমতা রাখে না,নিশ্চয়ই আপনি ও আপনার জাতিকে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত দেখছি। তখন তার পিতা বললো, হে ইব্রাহিম, তুমি কি আমাদের উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে আমি অবস্যই প্রাস্তর আঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করবো।(সূরা মারিয়াম৪৬)

🥀৫] 👉 নবী শুয়াইব আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন-“আমি মাদইয়ানবাসীদের কাছে তাদের ভাই শুয়াইবকে পাঠিয়েছিলাম। (সে বলেছিল) ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের কাছে তো স্পষ্ট নিদর্শন এসে গেছে, কাজেই মাপ ও ওজন সঠিকভাবে কর, লোকেদেরকে তাদের প্রাপ্য বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করো না, পৃথিবীর সংশোধনের পর তাতে বিপর্যয় সৃষ্টি কর না, এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা সত্যিই মু’মিন হয়ে থাক।’”(সূরা আরাফ৮৫)

🥀৬] 👉নবী ইয়াকুব আঃ এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- যখন ইয়াকুবের মৃত্যু এসে পৌঁছেছিল? তখন সে তার পুত্রদেরকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আমার পরে তোমরা কার উপাসনা করবে’? পুত্রগণ উত্তর দিয়েছিল, ‘আমরা আপনার এবং আপনার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের উপাসনা করব, যিনি অদ্বিতীয় উপাস্য এবং আমরা তাঁরই প্রতি আত্মসমর্পিত।”(সূরা বাক্বারা১৩৩)

🥀৭] 👉 নবী ইউসুফ (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- হে কারা’গারের সঙ্গীদ্বয়? পৃথক পৃথক অনেক উপাস্য ভাল? নাকি পরাক্রমশালী এক আল্লাহ্?(সূরা ইউসুফ৩৯)

🥀৮] 👉নবী ঈষা (আঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- তিনি ঈষা আরো বলেন, নিশ্চয়’ই আল্লাহ আমার ও পালনকর্তা, তোমাদেরও পালনকর্তা।
এত’এব তোমরা কেবল মাত্র তার ইবাদত করো, এটাই সরল সঠিক পথ।(সূরা মারইয়াম৩৬)

🥀৯] 👉নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর দাওয়াত প্রসঙ্গে-
✔️👉আল্লাহ বলেন- বলুন! তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, তিনি ছাড়া মহা দয়ালু কেউ নেই।(সূরা বাক্বারা১৬৩) বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার কাছে ওহী করা হয়,তোমাদের ইলাহ একক ইলাহ, সুতরাং যে তার পালনকর্তার সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।(সূরা কাহফ১১০)
বলুন! আমাকে তো এই আদেশ’ই দেওয়া হয়েছে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, সুতরাং তোমরা কি (এক ইলাহের কাছে) আত্মসমর্পণ’কারি(বান্দা) হবে না?(সূরা আম্বিয়া১০৮) (কাফিররা এর জবাব দিয়ে বলেছিলো) সে(মুহাম্মদ) কি আমাদের বহু ইলাহের পরিবর্তে একক ইলাহে সাব্যস্ত করে দিয়েছে? নিশ্চয়’ই এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার।(সূরা সাদ ৫)

Courtesy Anamul Hoque Anamul fbfd

Leave a comment