আল কুরআন যেভাবে পরিত্যক্ত:

📚 আল কুরআন যেভাবে পরিত্যক্ত:

✅ ইমামদের ও ইমামদের নামে রচিত কিতাব বা বই তাদের নিজস্ব মতামতে ভরপুর। তাই যারা মাযহাবের অনুসরণ করে, তারা উক্ত কিতাব বা বই গুলো পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ সালাফী বা আহলে হাদীছদের রচিত কিতাব বা বই গুলো রসূনের নামে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা ভরপুর। উক্ত কিতাব বা বই গুলো তাদের অনুসারীরা পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ তরিকাহ পন্থী বা পীর পন্থীদের কিতাব বা বই গুলো বানোয়াট কেরামতিতে ভরপুর। মুরিদ বা ভক্তগণ উক্ত কিতাব বা বই গুলো পড়তে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

✅ প্রচলিত তাবলীগ জামাআত ইলিয়াস সাহেবের রচিত কিতাব বা বই গুলো পাঠ করতে ব্যস্ত। কুরআন পড়তে বললেই বিরক্ত।

⚽ আল কুরআনের দাওয়াত প্রদানে আমার অভিজ্ঞতা:

✅ আমি একান্ত বন্ধুর নিকট আল কুরআনের দাওয়াত প্রদান করেছি, তখনই তারা আমাকে পরিত্যগ করেছে।

✅ আমার সংগঠন আল কুরআনের দাওয়াতের কারণে আমাকে পরিত্যগ করেছে।

✅ সাধারণ মানুষকে আল কুরআনের দাওয়াত প্রদান করছি তারাও দুনিয়া ভর্তি মানুষের দলিল পেশ করে, আমাকে পরিত্যগ করে চলেছে।

✅ ছাত্র ছাত্রীগণ একাডেমিক বইয়ের ভিড়ে আল কুরআন পরিত্যক্ত করে রেখেছে।

✅ চাকরি জীবিগণ নিজ দফতর নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হওয়ায়, আল কুরআন পরিত্যক্ত করে রেখেছে।

✅ আল কুরআনের দাওয়াত যাঁরা গ্রহণ করছে, তাদেরকে আবার মোল্লারা অবজ্ঞা করে বলছে, তোমরা কুরআনের কিছু বুঝতে পরবেনা। কারণ কুরআন বুঝতে হলে, ১৬ প্রকারের ইলেম লাগবে। অনেক বই পড়তে হবে। তবেই তো কুরআনের কিছু বুঝতে পরবে। আমরা ২০ বছর যাবত পড়াশোনা করেই কিছু বুঝতে পারছি না। আর তোমরা পড়াশোনা না করেই কুরআন বুঝে ফেল্লে, ইত্যাদি কথা বলে অবজ্ঞা, অপমান করে পরিত্যগ করে থাকেন।

✅ আল কুরআনের বিধান থেকে দুরে থাকার পরিনতি:

وَمَنْ اَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَاِنَّ لَهٗ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَّنَحْشُرُهٗ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ اَعْمٰي
আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।
Ta Ha ২০:১২৪
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِيْۤ اَعْمٰي وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا
সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?
Ta Ha ২০:১২৫

قَالَ كَذٰلِكَ اَتَتْكَ اٰيٰتُنَا فَنَسِيْتَهَا ۚ وَكَذٰلِكَ الْيَوْمَ تُنْسٰي
তিনি বলবেন, ‘এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল’। Ta Ha ২০:১২৬

وَكَذٰلِكَ نَجْزِيْ مَنْ اَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِنْۢ بِاٰيٰتِ رَبِّهٖ ؕ وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَشَدُّ وَاَبْقٰي
আর এভাবেই আমি প্রতিফল দান করি তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে এবং তার রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে না। আর আখিরাতের আযাব তো অবশ্যই কঠোরতর ও অধিকতর স্থায়ী।
Ta Ha ২০:১২৭

✅ কুরআন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।

وَإِنَّهُۥ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ وَسَوْفَ تُسْـَٔلُونَ
নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে। Az-Zukhruf 43:44

✅ রসুলের মামলা কুরআন পরিত্যাজ্য কারীদের জন্যঃ

وَقَالَ الرَّسُوْلُ يٰرَبِّ اِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوْا هٰذَا الْقُرْاٰنَ مَهْجُوْرًا
আর রাসূল বলবে, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে। Al-Furqan 25:30

📗 কুরআনের অনুসরণ করলে সে কি কাফের? সে কি পাগল? সে কি মিথ্যা বাদী?

সালামুন আ’লাইকুম, সম্মানিত পাঠক পাঠিকাগণ আসুন দেখেনি কুরআনে রব্বুল আ’লামীন এ বিষয়ে কি বলেছেন:

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আর তাতে কোন বক্রতার অবকাশ রাখেননি। সূরা আল কাহফ ১৮:১

(১) আসুন দেখেনি কাফেরের পরিচয় অর্থাৎ কাফের কারা?
(২) আসুন দেখেনি কাফেররা কি চায়?
(৩) আসুন দেখেনি মিথ্যাবাদী কারা?
(৪) আসুন দেখেনি পাগল কাদেরকে বলা হয়েছে?
(৫) আসুন দেখেনি এসব মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার পর। আল্লাহ তাঁর রাসুলগণেকে কি সান্ত্বনা দিয়েছে।

আসুন জেনেনি কাফের শব্দের অর্থঃ
কুফর অর্থঃ ঢেকে রাখা, যারা আল্লাহ প্রদত্ত ফিতরাত কে ডেকে রাখে তারা কাফের। কাফের অর্থঃ অবিশ্বাস করা, অস্বীকার করা, অকৃতজ্ঞ, অমান্যকারী।

হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে। সূরা আল মুমিনুন ২৩:৯৭+৯৮

(১)#_আসুন দেখেনি কাফেরের পরিচয় অর্থাৎ কাফের কারা:

وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍۚ وَلَئِن جِئْتَهُم بِـَٔايَةٍ لَّيَقُولَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا مُبْطِلُونَ
আর আমি তো মানুষের জন্য এই কুরআনে সব ধরনের দৃষ্টান্ত পেশ করেছি। আর যদি তুমি তাদের কাছে কোন আয়াত নিয়ে আস, তবে অবশ্যই কাফিররা বলবে, ‘তোমরা তো বাতিলপন্থী’।
Ar-Rum 30:58

مَا يُجَٰدِلُ فِىٓ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِى ٱلْبِلَٰدِ
কাফিররাই কেবল আল্লাহর আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়। সুতরাং দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে। Ghafir 40:4

ٱلَّذِينَ يَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَيَبْغُونَهَا عِوَجًا وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ كَٰفِرُونَ
যারা আল্লাহর পথে বাধা প্রদান করত এবং তাতে বক্রতা সন্ধান করত এবং তারা ছিল আখিরাতকে অস্বীকারকারী’।
Al-A’raf 7:45; 11:19

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا۟ بَيْنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُوا۟ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا
নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি’ এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায় । An-Nisa’ 4:150

أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ حَقًّاۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا
তারাই প্রকৃত কাফির এবং আমি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছি অপমানকর আযাব। An-Nisa’ 4:151

يَعْرِفُونَ نِعْمَتَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُنكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ
তারা আল্লাহর নিআমত চিনে, তারপরও তারা তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই কাফির। An-Nahl 16:83

وَإِذَا رَءَاكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى يَذْكُرُ ءَالِهَتَكُمْ وَهُم بِذِكْرِ ٱلرَّحْمَٰنِ هُمْ كَٰفِرُونَ
আর যারা কুফরী করে তারা যখন তোমাকে দেখে তখন তোমাকে কেবল উপহাসের পাত্র হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বলে, ‘এ কি সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের দেবতাদের সমালোচনা করে?’ অথচ তারাই ‘রহমান’-এর আলোচনার বিরোধিতা করে। Al-Anbiya 21:36

ٱلَّذِينَ لَا يُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَهُم بِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ كَٰفِرُونَ
যারা যাকাত দেয় না। আর তারাই আখিরাতের অস্বীকারকারী।
Fussilat 41:7

(কাফেরদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কুরআন মাজিদে আল্লাহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন সংক্ষেপে কিছু আয়াত তুলে ধরা হল। নিচের আয়াতগুলো ভালো করে বুঝে অধ্যায়ন করলে কাফেরদের সম্পর্কে ধারনা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
(৪৩:৩০)(৪০:১৪)(৩৪:৩৪)(২৩:১১৭)(১৬:৮৩)(৭:৪৫-৭৬)

(২)#_আসুন দেখেনেই কাফেররা কি করতে চায়।

১/ কাফেররা চায় আমরা যেন কোরআন অর্থাৎ আল্লাহর নাযিলকৃত ওহীর অনুসরণ না করি। সূরা আল ইসরা ১৭:৭৩

২/কাফেররা চায় মুসলিমদেরকে যমীন থেকে উৎখাত করতে। সূরা আল ইসরা ১৭:৭৬

৩/ তাদের কাছে যখন কুরআনের আয়াত দিয়ে কথা বলা হয় কাফেররা তখন আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। সূরা হাজ্জ ২২:৭২

৪/ যখনই কোন আয়াত কাফেরদের বিরুদ্ধে যারা বলে তখন তারা তাদেরকে হত্যা করতেও পিছপা হয়নি। সূরা আল বাকারা ২:৮৭

৫/কাফেররা সবাই ফেরাউনের সম্প্রদায়ের অতএব তাদের শেষ পরিণতি তাদেরকে পানিতে ডুবিয়ে মারবে। সূরা আল ইসরা ১৭:১০৩

(৩)#_আসুন দেখেনি কাদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছ কাফের সম্প্রদায়ের লোকেরা।

১/কাফেররা সালামুন আলা মোহাম্মদকেও মিথ্যাবাদী বলেছে।
সূরা আল আনআম ৬:৩৩

২/ সালামান আলা আদম থেকে শুরু করে সালমান আলা মুহাম্মদ পর্যন্ত সমস্ত নবী রাসূলদেরকে কাফেররা মিথ্যাবাদী বলেছে। সূরা আল আনআম ৬:৩৪

৩/সালামুন আলা নূহের সম্প্রদায় আদ ও সামূদ রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে। সুরা হাজ্জ ২২:৪২

৪/ সালামুন আলা নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যেবাদী বলেছিল। সূরা আশ-শুআরা ২৬:১০৫

৫/ সালামুন আলা লূতের সম্প্রদায় রসুলদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছিল।

৬/ পূর্বেও বহু সেনা শিবিরের অধিপতি এবং বড় নেতা ও শাসকরাও রসূলদেরকে মিথ্যেবাদী বলেছিল।
সূরা সোয়াদ ৩৮:১২

৭/মক্কার কাফের মুশরিক সালামুন আলা মুহাম্মদকে জাদুকর এবং মিথ্যাবাদী বলেছিল। সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ কারণ তিনি আল্লাহর হুকুম আদেশ নির্দেশিত জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য অর্থাৎ কুরআনের অনুসরণ করার জন্য বলেছিলেন সেই জন্য ।

এখনোও বর্তমান সমাজে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে, তাদেরকে শুধুমাত্র কুরআনের অনুসরণ করার কথা বললে তখন তারা মানব রচিত কিছু কিতাবের কথা বলে, সেগুলোকে অস্বীকার করলে তারা বলে তুমি কাফের তুমি মিথ্যেবাদী তুমি পাগল ছাগল যা তা বলে। এমনকি আক্রমণাত্মকভাবে মারমুখী হয়ে ওঠেঃ

وَيَوْمَ نَحْشُرُ مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ فَوْجًا مِّمَّنْ يُّكَذِّبُ بِاٰيٰتِنَا فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ
আর স্মরণ কর সেদিনের কথা, যেদিন প্রত্যেক জাতির মধ্য থেকে যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত তাদেরকে আমি দলে দলে সমবেত করব। অতঃপর তাদেরকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
An-Naml ২৭:৮৩

যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে? সূরা আন নামাল ২৭:৮৪
(২:৮৭)(৬:৩৪-৫৭)(২২:৪২)(২৬:১০৫+১২৩+১৪১+১৬০)(৩৫:৪)(৩৮:৪+১২)(৩৯:৫৯)(৪০:৫)(৫:১২)(৫৪:৯+১৮+২৩+৩৩)(৬৯:৪)

(৪)#_আসুন দেখেনি কাফেররা কাদেরকে পাগল বলেছে।

১/ কাফের মুশরিকরা বলে যার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে! সে অবশ্যই পাগল। সূরা আল হিজর ১৫:৬

২/ ফেরআউন সালামুন আলা মুসাকে পাগল বলেছিল। সূরা আশ-শুআরা ২৬:২৭

৩/ কাফেররা বলে আমরা কি এক পাগলা কবির কথা মেনে চলবে। সূরা আস সাফফাত ৩৫:৩৬

৪/ এখন তারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর তারা বলছে পাগল- যাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
সূরা আদ দুখান ৪৪:১৪

৫/ তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।
সূরা আয যারিয়াত ৫১:৩৯

৬/ এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় পাগল। সূরা আয-যারিয়াত ৫২:৫২

৭/ তাদের আগে নূহের জাতিও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা আমার বান্দাহকে অস্বীকার করেছিল আর বলেছিল- ‘‘একটা পাগল’’ আর তাকে ভয় দেখানো হয়েছিল।

(৫)#_আসুন দেখেনি কাফেরদের এসব কথার জবাবে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলছেন।

১/ আমি আমার বান্দাহর প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত কোন সূরাহ এনে দাও আর তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর। সূরা আল বাকারা ২:২৩

(মুশরিকরা রসূলদের কথা অমান্য করলে রসূলদের তো আর কিছুই করার নেই, কারণ)

২/স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলদের উপর কি কোন দায়িত্ব আছে? সূরা আন নাহল ১৬:৩৫

(৬)#_আসুন দেখেনেই কাফের-মুশরিকদের মিথ্যা অপবাদ তিরস্কার এর পর আল্লাহর তার রাসূলদের কি সান্ত্বনা দিয়েছেন।

১/ তারা যা বলে তা তোমাকে কষ্ট দেয় এটা আমি অবশ্যই ভালভাবে অবগত, কেননা তারা তো তোমাকে মিথ্যে মনে করে না, প্রকৃতপক্ষে যালিমরা আল্লাহর আয়াতকেই প্রত্যাখ্যান করে। সূরা আল আনআম ৬:৩৩

২/ তোমার পূর্বেও রসূলগণকে মিথ্যে মনে করা হয়েছে কিন্তু তাদেরকে মিথ্যে মনে করা এবং কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছে। আল্লাহর ওয়াদার পরিবর্তন হয় না, নাবীগণের কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট পৌঁছেছেই। সূরা আল আনআম ৬:৩৪

৩/ কাফিররা ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর আয়াত নিয়ে ঝগড়া করে না। কাজেই দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। সূরা গাফির ৪০:৪

৪/ কাজেই তুমি উপদেশ দিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণকও নও, আর পাগলও নও। সূরা আত তূর ৫২:২৯

৫/ তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও।তোমার জন্য অবশ্যই আছে অফুরন্ত পুরস্কার। নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের উচ্চমার্গে উন্নীত। শীঘ্রই তুমি দেখতে পাবে আর তারাও দেখবে। তোমাদের মধ্যে কে পাগলামিতে আক্রান্ত। তোমার প্রতিপালক বেশি জানেন কে তাঁর পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর সঠিক পথপ্রাপ্তদেরকেও তিনি ভাল করে জানেন। কাজেই তুমি মিথ্যাবাদীদের কথা মান্য কর না। সূরা আল ক্বলাম ৬৮:২-৮

৬/তোমাদের সঙ্গী পাগল নয়। সূরা আত তাকবীর ৮১:২২

৭/ এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, আর আমার বান্দাহ দাঊদের কথা স্মরণ কর, সে ছিল শক্তি-সামর্থ্যের অধিকারী আর বড়ই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। সূরা সোয়াদ ৩৮:১৭

৮/ তোমরা হীনবল ও দুঃখিত হয়ো না, বস্তুতঃ তোমরাই জয়ী থাকবে যদি তোমরা মু’মিন হও। সূরা আল ইমরান ৩:১৩৯

৯/ আর তোমার রব্বের ‘ইবাদাত করতে থাক যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কাছে মৃত্যু না আসে। সূরা আল হিজর ১৫:৯৯

(৭)#_আসুন দেখেনেই মুসলমানদেরকে অর্থাৎ কিতাবধারীদের আল্লাহ কি বলেছেন।

১/ হে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। সূরা আল মায়েদা ৫:৭৭

২/ দীনের মধ্যে জবরদস্তির অবকাশ নেই, নিশ্চয় হিদায়াত গোমরাহী হতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই যে ব্যক্তি তাগুতকে অমান্য করল এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল, নিশ্চয়ই সে দৃঢ়তর রজ্জু ধারণ করল যা ছিন্ন হওয়ার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাতা। সূরা আল বাকারা ২:২৫৬

৩/ বল, ‘‘হে মানুষ! আমার দ্বীন সম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে তাহলে জেনে রেখ, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার ‘ইবাদাত কর, আমি তাদের ‘ইবাদাত করি না, বরং আমি আল্লাহর ‘ইবাদাত করি যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান, আর আমি আদিষ্ট হয়েছি মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য। সূরা ইউনুস ১০:১০৪

৪/ আর আমাকে এও আদেশ দেয়া হয়েছে যে, তুমি দ্বীনের দিকে তোমার মুখ প্রতিষ্ঠিত কর একনিষ্ঠভাবে, আর তুমি কক্ষনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। সূরা ইউনুস ১০:১০৫

৫/ (এটা শিক্ষা) যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করবে না, আমি অবশ্যই তাঁর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য ভয় প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতা। সূরা হূদ ১১:২

৬/ যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না, অন্যথায় আমি আশঙ্কা করছি যে, তোমাদের উপর একদিন বেদনাদায়ক ‘আযাব আসবে। সূরা হুদ ১১:২৬

৭/ তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে। সূরা তওবা ৯:৩২

৮/ আর যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাদের নাপাকীর উপর আরো নাপাকী বাড়িয়ে দেয়, আর তাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। সূরা তওবা ৯:১২৫

৯/ যখন তারা এসে যাবে তখন আল্লাহ বলবেন- তোমরা কি আমার নিদর্শনকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলে যদিও তা তোমরা জ্ঞানায়ত্ত করতে পারনি; নাকি তোমরা অন্য কিছু করছিলে? সূরা আন নামাল ২৭:৮৪

১০/ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে খুব ভাল ক’রেই জানেন। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে তাদের কাজকর্মের জন্য দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি। সূরা আল ইসরা ১৭:৫৪

১১/ অথচ এ পথই তোমার প্রতিপালকের সরল-সঠিক পথ, যারা নাসীহাত গ্রহণ করে আমি তাদের জন্য নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করে দিয়েছি। সূরা আল ইমরান ৩:১২৬

১২/ আল্লাহ্ই আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল সুদৃঢ় পথ। সূরা মারইয়াম ১৯:৩৬

‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের অনুসরণ করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ করুন। সূরা আল ইমরান ৩:৫৩

AnamulHoque

Leave a comment