সৎকর্ম বাদ দিয়ে প্রচলিত নামাজ নিয়ে জান্নাতের চাবি বানিয়ে ফেলেছে?

সৎকর্ম বাদ দিয়ে প্রচলিত নামাজ নিয়ে জান্নাতের চাবি বানিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কুরআনে একটা জায়গায় প্রচলিত নামাজ পড়ে জান্নাতে যাওয়ার কথা বলা নেই কিন্তু 63 বেশি আয়াতে এক সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাস ও সৎ কর্মে জান্নাতের কথা বলা আছে কুরআনে প্রচলিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে ও সারা দিন না খেয়ে রোজা রাখলে জান্নাতে যাওয়া যাবে নিচে উল্লেখিত 84 টি আয়াতের মত একটি আয়াত উল্লেখ করুন। নইলে আপনারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছেন তা সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দিন।

আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কুরআনে বলেছেন—“যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে তারা-ই সৃষ্টির সেরা”(৯৮:৭)। পুরুষই হোক বা নারী-ই হোক, যারা তওবা করে,বিশ্বাসী হয়ে, সৎকাজ করবে, তাদের প্রাপ্য নষ্ট হবে না, বরং পরিপূর্ণ ভাবে দেয়া হবে। তাদের ভয় নাই, তারা দু:খিতও হবে না—তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।এই কথাগুলো বলা আছে নীচের উল্লেখিত আয়াত সমূহে।
1.সময়ের শপথ ! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা ছাড়া যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।(103:1-3)
2.নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়। এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।(11:114)
3.তবে যারা তাওবা করে, বিশ্বাস ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ অভিমুখী হয়। (25:70,71)
4.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে,আমি অবশ্যই তাদের থেকে তাদের মন্দকাজগুলো মিটিয়ে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তারা যে উত্তম কাজ করত, তার প্রতিদান দেব।(29:7)
5.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে আমি অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করব।(29:9)
6.হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর—বিশুদ্ধ তাওবা,সম্ভবত তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। (66:8)
7.আর আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তাওবা করে, বিশ্বাস করে , সৎকাজ করে এবং সৎপথে অবিচল থাকে।(20:82)
8.তবে যে ব্যক্তি তাওবা করেছিল, বিশ্বাস করেছিল এবং সৎকর্ম করেছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (28:67)

9.অতঃপর যারা বিশ্বাস করে ও নিজেকে সংশোধন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।(6:48)
10.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদসমূহে স্থান দান করব; যার নিচে নদীমালা প্রবাহিত থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার কত উত্তম!(29:58)
11.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে শুভ সংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত; যার তলদেশে নদী প্রবাহিত,যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে, তখনই তারা বলবে, আমাদেরকে পূর্বে জীবিকা হিসেবে যা দেয়া হতো, এতো তারই মতো। একই রকম ফল তাদেরকে দেয়া হবে এবং সেখানে রয়েছে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিণী, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে।(2:25)
12.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে, যারা ইয়াহুদী এবং খ্রিষ্টান হয়েছে অথবা সাবেয়ী হয়েছে, এদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ এবং শেষ দিবসে বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য তাদের রবের নিকট পুরস্কার আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।(2:62)
13.আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই হবে জান্নাতের অধিবাসী; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।(2:82)
14.নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে, সালাত প্রতিষ্ঠা করেছে এবং যাকাত দিয়েছে, তাদের প্রতিদান রয়েছে তাদের রব-এর নিকট। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।(2:277)
15.আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদের প্রতিফল পুরোপুরিভাবে প্রদান করবেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(3:57)
16.আর যারা বিশ্বাস করে ও ভাল কাজ করে অচিরেই আমি তাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার পাদদেশে নদী-নালাসমূহ প্রবাহিত; যেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী থাকবে এবং তাদেরকে আমি চিরস্নিগ্ধ ছায়ায় প্রবেশ করাব।(4:57)
17.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে, আমরা তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর কে আল্লাহর চেয়ে কথায় সত্যবাদী?(4:122)
18.আর পুরুষই হোক অথবা নারীই হোক, যারাই বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করবে, তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি বিন্দু পরিমাণও যুলুম করা হবে না। (4:124)
19.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তিনি তাদেরকে পূর্ণ পুরস্কার দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দেবেন,কিন্তু যারা উন্নাসিকতা প্রদর্শন করে ও অহঙ্কার করে তাদেরকে তিনি মর্মন্তুদ শাস্তি প্রদান করবেনএবং আল্লাহ ছাড়া তাদের জন্য তারা কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।(4:173)
20.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদের জন্য ক্ষমা এবং মহাপুরস্কার আছে।(5:9)
21.নিশ্চয় যারা বিশ্বাসী এবং ইয়াহুদী, স্বাবেয়ী ও খ্রিষ্টান তাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করবে এবং সৎকাজ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।(5:69)
22.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, তার জন্য তাদের কোন পাপ নেই, যদি তারা সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সাবধান হয় ও বিশ্বাস করে, পুনরায় সাবধান হয় এবং সৎকর্মশীল হয়। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলগণকে ভালবাসেন। (5:93)
23.আর যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে এমন কোন ব্যক্তিকে আমি তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করিনা – তারাই হবে জান্নাতবাসী, সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে। (7:42)
24.আর যারা বিশ্বাস করেছে, হিজরত করেছে এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদায় শ্ৰেষ্ঠ। আর তারাই সফলকাম।(9:20)
25.…….আর যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদেরকে ইনসাফপূর্ণ প্রতিফল প্রদানের জন্য। আর যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত গরম পানীয় ও অতীব কষ্টদায়ক শাস্তি; কারণ তারা কুফরী করত।(10:4)
26.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের রব তাদের বিশ্বাসের কারণে তাদেরকে পথ নির্দেশ করবেন; নিয়ামতে ভরপুর জান্নাতে তাদের পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। (10:9)
27.কিন্তু যারা ধৈর্য ধারণ করে ও সৎকর্ম করে এমন লোকদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং বিরাট প্রতিদান। (11:11)
28.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে ,সৎকর্ম করেছে এবং তাদের রবের প্রতি বিনয়াবনত হয়েছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।(11:23)
29.যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, কল্যাণ ও শুভ পরিণাম তাদেরই।(13:29)
30.যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদেরকে প্রবেশ করানো হবে জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত; সেখানে তারা তাদের রবের অনুমতিক্রমে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে,সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’।(14:23)
31.পুরুষ ও নারী যে কেউই বিশ্বাসী হয়ে সৎকর্ম করবে, তাকে আমি নিশ্চয়ই সুখী জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।(16:97)

  1. তোমরা সৎকাজ করলে সৎকাজ নিজেদের জন্য করবে এবং মন্দকাজ করলে তাও করবে নিজেদের জন্য। নিশ্চয় এ কুরআন এমন পথনির্দেশ করে, যা সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সৎকর্মপরায়ণ বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।(17:7,9)
    33.সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি তাঁর বান্দার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে তিনি কোন প্রকার বক্রতা রাখেননি। একে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত তাঁর কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য এবং বিশ্বাসীগণ, যারা সৎকাজ করে তাদেরকে এই সুসংবাদ দেয়ার জন্য যে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার ।(18:1,2)
    34.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে আমি তাদেরকে পুরস্কৃত করি, যে সৎকাজ করে আমি তার কর্মফল নষ্ট করিনা।(18:30)
    35.ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি পার্থিব জীবনের শোভা-সৌন্দর্য, আর তোমার রবের নিকট পুরস্কার লাভের জন্য স্থায়ী সৎকাজ হল উৎকৃষ্ট আর আকাঙ্ক্ষা পোষণের ভিত্তি হিসেবেও উত্তম। (18:46)
    36.আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে, তার জন্য প্রতিদান স্বরূপ আছে কল্যাণ এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলব।(18:88)
    37.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফিরদাউস।(18:107)
    38.বল,আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র সত্য ইলাহ। কাজেই যে তার রব-এর সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে ও তার রব-এর ইবাদাতে কাউকেও শরীক না করে।(18:110)
    39.কিন্তু তারা নয়—যারা তাওবা করেছে, বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে। তারা তো জান্নাতে প্ৰবেশ করবে। আর তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না।(19:60)
    40.এবং যারা সৎ পথে চলে আল্লাহ তাদেরকে অধিক হিদায়াত দান করেন এবং স্থায়ী সৎকর্ম তোমার রবের পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং প্রতিদান হিসাবেও শ্রেষ্ঠ।(19:76)
    41.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকর্ম করেছে পরম দয়াময় তাদের জন্য পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টি করবেন।(19:96)
    42.আর যারা তাঁর নিকট বিশ্বাসী হয়ে ও সৎকর্ম করে উপস্থিত হবে, তাদের জন্য আছে সমুচ্চ মর্যাদাসমূহ।(20:75)
    43.নিশ্চয় আমি তার জন্য বড় ক্ষমাশীল যে তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকাজ করে ও সৎপথে অবিচল থাকে।(20:82)
    44.আর যে বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করে, কোন আশংকা নেই অবিচারের এবং অন্য কোন ক্ষতির।(20:112)
    45.সুতরাং যদি কেউ বিশ্বাসী হয়ে সৎকর্ম করে, তবে তার কর্ম-প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হবে না এবং নিশ্চয় আমি তা লিখে রাখি।(21:94)
    46.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে অবশ্যই আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তা-ই করেন।(22:14)
    47.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে,আল্লাহ তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, সেথায় তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ-কঙ্কণ ও মুক্তা দ্বারা এবং সেথায় তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের।(22:23)
    48.সুতরাং যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।(22:50)
    49.সে দিন আল্লাহরই আধিপত্য হবে;তিনিই তাদের বিচার করবেন; যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তারা অবস্থান করবে সুখময় জান্নাতে।(22:56)
    50.হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকাজ কর; তোমরা যা কর সেই সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত। (23:51)
    51.তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে অবশ্যই প্রতিনিধিত্ব দান করবেন; যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে……(24:55)
    52.কিন্তু তারা ছাড়া যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে, আল্লাহকে বেশী পরিমাণ স্মরণ করেছে এবং অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্ৰহণ করেছে। আর যালিমরা শীঘ্রই জানবে কোন ধরনের গন্তব্যস্থলে তারা ফিরে যাবে। (26:227)
    53.অতঃপর সুলাইমান তার এ কথাতে মৃদু হাসলেন এবং বললেন, হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন যাতে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতামাতার প্রতি আপনি যে অনুগ্রহ করেছেন তার জন্য এবং যাতে আমি এমন সৎকাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন। আর আপনার অনুগ্রহে আমাকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের শামিল করুন।(27:19)
    54.তবে যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, সে অবশ্যই সফলকাম হবে। কেহ যদি সৎ কাজ করে তাহলে সে তার কাজ অপেক্ষা উত্তম ফল পাবে, আর যে মন্দ কাজ করে সেতো শাস্তি পাবে শুধু তার কাজ অনুপাতে। (28:67,84)
    55.আর যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলল, ধিক তোমাদেরকে! যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ এবং ধৈর্যশীল ছাড়া তা কেউ পাবে না।(28:80)
    56.অতএব যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে, তারা জান্নাতে আনন্দে থাকবে।(30:15)
    57.যে অবিশ্বাস করে, অবিশ্বাসের জন্য সে-ই দায়ী। আর যারা সৎকাজ করে, তারা নিজেদেরই জন্য সুখশয্যা রচনা করে। কারণ, যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে পুরস্কৃত করেন।নিশ্চয় তিনি অবিশ্বাসীদেরকে ভালবাসেন না। (30:44,45)
    58.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে সুখের উদ্যানরাজি। (31:8)
    59.যারা বিশ্বাস করে সৎকাজ করে, তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য জান্নাত হবে তাদের বাসস্থান।(32:19)
    60.আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি অনুগত হবে এবং সৎকাজ করবে তাকে আমরা পুরস্কার দেব দু’বার। আর তার জন্য আমরা প্ৰস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিযিক।(33:31)
    61.এটা এজন্য যে, যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণ তিনি তাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। এদেরই জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রয়েছে।’(34:4)
    62.এবং তাকে বলেছিলাম, তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরী কর,ওগুলির কড়াসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর এবং তোমরা সৎকাজ কর। তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আমি তার সম্যক দ্রষ্টা।(34:11)
    63.আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আমার নৈকট্য লাভের সহায়ক হবে না। তবে নৈকট্য লাভ করবে তারাই যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে এবং তারা তাদের কাজের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার। আর তারা প্রাসাদসমূহে নিরাপদে বসবাস করবে।(34:37)
    64.যারা অবিশ্বাস করে, তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি এবং যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।(35:7)
    65.দাউদ বললেন, তোমার ভেড়ীটিকে তার ভেড়ীগুলোর সঙ্গে যুক্ত করার দাবী করে সে তোমার প্রতি যুলুম করেছে। আর শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর তো সীমালঙ্ঘন করে থাকে—করে না শুধু যারা বিশ্বাসী এবং সৎকাজ করে, আর তারা সংখ্যায় স্বল্প। আর দাউদ বুঝতে পারলেন, আমরা তো তাকে পরীক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি তার রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন এবং নত হয়ে লুটিয়ে পড়লেন, আর তাঁর অভিমুখী হলেন।(38:24)
    66.যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে এবং যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আমি কি তাদেরকে সমান গণ্য করব? অথবা সাবধানিগণকে কি অপরাধিগণের সমান গণ্য করব?(38:28)

67.কেউ মন্দ কাজ করলে সে শুধু তার কাজের অনুরূপ শাস্তিই প্রাপ্ত হবে। আর যে পুরুষ কিংবা নারী বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করবে তবে তারা প্ৰবেশ করবে জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে দেয়া হবে অগণিত রিযিক।(40:40)
68.আর সমান নয় অন্ধ ও চক্ষুষ্মান এবং যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে এবং যারা দুষ্কৃতিপরায়ণ। তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।(40:58)
69.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার রয়েছে।(41:8)
70.আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম যে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করে, সৎকাজ করে এবং বলে, ‘আমি তো আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)’ ।(41:33)
71.যে সৎকাজ করে সে নিজের কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ কাজ করলে তার প্রতিফল সে নিজেই ভোগ করবে। আর তোমার প্রতিপালক তাঁর দাসদের প্রতি কোন যুলুম করেন না।(41:46)
72.তুমি সীমালংঘনকারীদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখবেন তাদের কৃতকর্মের জন্য; অথচ তা আপতিত হবে তাদেরই উপর। আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তারা থাকবে জান্নাতের উদ্যানসমূহে। তারা যা কিছু চাইবে তাদের রবের কাছে তাদের জন্য তা-ই থাকবে। এটাই তো মহা অনুগ্রহ। আল্লাহ এ সুসংবাদই তাঁর বান্দাদেরকে দেন, যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে। বল, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের কাছ থেকে আত্মীয়তার সৌহাদ্য ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না। যে উত্তম কাজ করে আমরা তার জন্য এতে কল্যাণ। বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, গুণগ্ৰাহী।।(42:22,23)
73.তিনি বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণদের আহবানে সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ধিত করেন; আর অস্বীকারকারীদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। (42:26)
74.যে সৎকাজ করে সে তার কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ কাজ করলে তা তারই উপর বর্তবে, তারপর তোমাদেরকে তোমাদের রবের দিকেই প্রত্যাবর্তিত করা হবে।(45:15)
75.দুষ্ককৃতকারীরা কি মনে করে যে, আমি জীবন ও মৃত্যুর দিক দিয়ে ওদেরকে তাদের সমান গণ্য করব, যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে?তাদের বিচার-সিদ্ধান্ত কতই না মন্দ!(45:21)
76.অতঃপর যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকাজ করেছে, পরিণামে তাদের রব তাদেরকে প্রবেশ করাবেন স্বীয় রহমতে। এটাই সুস্পষ্ট সাফল্য।(45:30)
77.আর যারা বিশ্বাস করেছে, সৎকাজ করেছে এবং মুহাম্মদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তাতে বিশ্বাস করেছে,আর তা-ই তাদের রবের পক্ষ হতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাদের মন্দ কাজগুলো বিদূরিত করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন।(47:2)
78.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকর্ম করেছে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। কিন্তু যারা অবিশ্বাস করে তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং তারা আহার করে যেমন চতুষ্পদ জন্তুরা আহার করে। আর জাহান্নামই তাদের বাসস্থান। (47:12)
79.আর যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের।(48:29)
80.স্মরণ কর,যেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন সমাবেশ দিবসে,সেদিন হবে লাভ-ক্ষতির দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে, তিনি তার পাপরাশি মোচন করবেন এবং তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহা সাফল্য।(64:9)
81.এক রাসূল, যে তোমাদের কাছে আল্লাহ্‌র সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করে, যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম করে তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে আনার জন্য। আর যে কেউ আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে,সৎকাজ করবে তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহ্‌ তো তাকে উত্তম রিযিক দেবেন।(65:11)
82.কিন্তু যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।(84:25)
83.নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; এটাই মহাসাফল্য।(85:11)
84.তবে যারা বিশ্বাস করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (95:6)

85.পৃথিবী যখন আপন কম্পনে প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে।এবং পৃথিবী যখন তার ভারসমূহ বের করে দেবে, এবং মানুষ বলবে, ‘এর কি হল?’সেদিন পৃথিবী তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে।যেহেতু তোমার রব তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।সেদিন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো যায়। অতএব কেউ অণু পরিমাণও সৎ কাজ করলে সে তা দেখবে এবং কেহ অণু পরিমান অসৎ কাজ করলে তাও দেখতে পাবে। (99:1-8)
86.যে ব্যক্তি সৎকাজ নিয়ে আসবে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান এবং সেদিনের ভীতিকর অবস্থা থেকে তারা নিরাপদ থাকবে। আর যারা মন্দ কাজ নিয়ে আসবে তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে; (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা যে আমল করেছ তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হল’। (27:89,90)
87.যে সৎপথ অবলম্বন করবে। সে তো নিজেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করে এবং যে পথভ্রষ্ট হবে সে তো পথভ্রষ্ট হবে নিজেরই ধ্বংসের জন্য। আর কোন বহনকারী অন্য কারো ভার বহন করবে না। আর আমরা রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত শাস্তি প্রদানকারী নই।(17:15)
88.হে মানুষ! তুমি তোমার রবের কাছে পৌছা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাত লাভ করবে।(84:6)
89.সুতরাং যে তার রবের সাথে সাক্ষাত কামনা করে সে যেন সৎ কাজ করে এবং তার রবের ইবাদাতে কেহকেও শরীক না করে। (18:110)

Anamul Hoque Anamul fbfd

Leave a comment