কুরআনের কথাগুলো হলো একটি দিক-নির্দেশনা বা উপদেশ

যেই বিধান কিছু মানুষের সাথে যায় আর কিছুর সাথে যায় না তা আল্লাহর বিধান নয় চিন,জাপান,কোরিয়া, মোংগলিয়া,উপজাতি এ সকল অঞ্চলে মানুষের দাড়িই হয়না তাই আল্লাহ দাড়ির বিধান কুরআনে দেননি কেননা তিনি কুরআনকে বলেছেন পুরো বিশ্বের জন্য উপদেশগ্রন্থ।

বিশ্বজগতের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কুরআনের কথাগুলো হলো একটি দিক-নির্দেশনা বা উপদেশ(সূরা নং-৩৮,আয়াত-৮৭)।

১.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন,আল্লাহ সবার সাথে উত্তম আচরণ,সদ্ব্যবহার করতে বলেছেন।বাসার কাজের লোক,পরিচিত,অপরিচিত সবার সাথে,আর আল্লাহর এই আদেশ জানাই সালাত।

“তোমরা ইবাদাত কর আল্লাহর,তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতাপিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে,ইয়াতীম,মিসকীন,নিকট আত্মীয়- প্রতিবেশী,অনাত্মীয়-প্রতিবেশী,পার্শ্ববর্তী সাথী,মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী।(সুরা আন-নিসা,আয়াত ৩৬)

আর কুরআনের বাইরের বই পড়লে জানবেন,শবে মেরাজ, শবে কদর আর নফল নামাজ,তাহাজ্জুদ ও একরাতে সব গুনাহ মাপের নামাজের নিয়ম।মানে যা ব্যক্তির কাছ থেকে বিনিময়ের মাধ্যমে শিখতে হয় বা বই কিনে শিখতে হয়।

২.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন আল্লাহ কাউকে উপহাস করতে,একে অপরকে দোষারোপ করতে,মন্দ নামে ডাকতে নিষেধ করেছেন।যারা এসব করে আল্লাহর কাছে তারা যালিম।কিন্তু আপনি আমি নোয়াখাইল্লা, কাইল্লা,ভোটকা কারো ব্যার্থতায় হাসাহাসি মানে উপহাস করি।আমাদের সো কলড আলেমরা এক অপরকে দোষারোপ,গালাগালি কাফের মুশরেক বলছে।

“হে মু’মিনগণ!কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে;কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকেও যেন উপহাস না করে;কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে।তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করনা এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকনা;ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ।যারা এ ধরণের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই যালিম।(সুরা আলহুজরাত,আয়াত ১১)

এই আয়াত অনুযায়ী আমরা যেসব ধর্মীয় বক্তাদের দোষারোপ করতে দেখি,আল্লাহর কাছে তারা যালিম।

৩.আল্লাহ ঘুষ দিতে ও অন্যের সম্পদ খেতে নিষেধ করেছেন।আর আপনি এ কাজ করলে,আপনার সালাত কায়েম হলো না।অথচ আল্লাহর নিষেধ করা কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করে চলছি লেবাস ধরে,কুরআন কায়েমের কথা বলে মানে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার নামে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছি।

“তোমরা নিজদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।(সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৮)

৪.আল্লহ সম্পদ পুঞ্জিভূত বা আগলিয়ে রাখতে নিষেধ করেছেন যদি আপনি তা পালন করেন,আপনি সালাত কায়েম করলেন।কিন্তু আমি আপনি অন্যের সম্পদ এমনকি সরকারি সম্পদ ও নিজের করে আগলিয়ে রেখে ভোগ করি।”জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সম্পদ পুঞ্জিভুত করে রেখে ছিল আর আগলিয়ে রেখেছিল(সুরা মাআরিজ আয়াত ১৭/১৮)

৫.কুরআন বুজে পড়লে আপনি জানবেন,আল্লাহ বিনয়ী হতে ও ক্ষমাশীল হতে বলেছেন।আর না বুজে পড়লে আপনাকে যে যা বুজাবে তা আল্লাহর কথা বলে চালানো যাবে।”তুমি বিনয় ও ক্ষমা পরায়ণতার নীতি গ্রহণ কর,এবং লোকদেরকে সৎ কাজের নির্দেশ দাও, আর মূর্খদের কে এড়িয়ে চল।(সুরা আল-আরাফ,আয়াত ৭)

আর আল্লাহর এ সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলাই সালাত কায়েম করা।জ্বী আপনি ঠিকই শুনেছেন আল্লাহ সালাত কায়েম করতে বলেছেন,পড়তে নয়।পার্থিব জগতের প্রতিটা কাজে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলাটাই সার্বক্ষণিক সালাতে থাকা।আল্লাহ বলছেন তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতে দাঁড়াবে না যতক্ষন তোমরা বুঝতে পারসো তোমরা কি বলছো।আচ্ছা আমরা কি স্বাভাবিক অবস্থায় বুঝে সালাত দাড়াই? উত্তর না,তাই আমরা সালাত কায়েম করি না, আমরা সালাত পড়ি।

ভূমি অফিসের কর্মকর্তা,আমি ঘুষ দিতে গড়িমসি করায় বললেন,”আপনি টাকা দিলে দেন নয় আমি নামাজে গেলাম।”তাই আল্লাহ বলছেন সুরা বাকারা ১৭৭ নাম্বার আয়াতে “কল্যান নেই তোমাদের পূর্ব-পশ্চিম দিকে মুখ ফেরানোতে,এরপরই তিনি বলেছেন আমাদের জন্য কিসে কল্যান রয়েছে।

কিন্তু আমরা আরবি উচ্চারণ,তেলাওয়াত,হরফ প্রতি নেকিতে এতই ব্যস্ত যে আমরা মূল বইয়ের চাইতে, আউট অফ সিলেবাসে র বইয়ে প্রতি মনোযোগী বেশি,সে সকল বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মূল বইকে ডিফেন্ড করি,সেই বইকে মুল বইয়ের সমকক্ষ বা বেশি গুরুত্ব দেই।ব্যক্তির কথা দিয়ে আল্লাহর কথা জাজ করি,তাই আল্লাহ বলে দিয়েছেন,অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে একই সাথে শির্ক করে (সুরা12:আয়াত106)

Sourcefb

Leave a comment